রাশিয়ার মস্কোতে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে ইমারতে ইসলামির প্রতিনিধিদলের প্রধান সাইয়্যেদ শের মুহাম্মাদ আব্বাস স্টানেকজাই হাফি. এর বক্তব্য থেকে। [অফিসিয়াল বার্তার অনুবাদ — ০৫/০২/২০১৯]
– আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে দু’টি মৌলিক বাঁধা রয়েছে; ভিনদেশী আগ্রাসন, যেখানে আফগানের সকল অধিবাসীর উপর কর্তব্য হচ্ছে আগ্রাসীদেরকে প্রতিহত করা ও তাদেরকে বহিষ্কার করা এবং আফগানিস্তানে ইসলামি সরকারব্যবস্থা না থাকা।
– বর্তমান দালাল সরকারের পরিবর্তে একটি স্বাধীন ও ব্যাপকভিত্তিক ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠার উপর একমত হওয়া আবশ্যক।
– আফগানিস্তানের বর্তমান সংবিধান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়; কেননা এটি পশ্চিমাদের থেকে কপি করা হয়েছে। আর এটি দখলদারদের পক্ষ থেকে তৈরি করে আফগান মুসলিম জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
– ইসলামি শরিয়ত নারীদের জন্য যেসব অধিকার প্রদান করেছে এমন সকল অধিকার আমরা তাদের জন্য গ্রহণ করবো। ইসলামি শরিয়তের আওতায় নারীর জন্য পূর্ণ অধিকার রয়েছে কাজ করা, শিক্ষা গ্রহণ করা, সম্পদ ও ব্যবসার মালিক হওয়া এবং স্বামী পছন্দ করা ও অন্যান্য অধিকারের ক্ষেত্রে ইচ্ছার স্বাধীনতা প্রয়োগ করা।
ইসলামি ইমারত আফগানিস্তান দেশকে মুক্ত করা ও ইসলামি শাসনব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার পর আল্লাহর ইচ্ছায় মাদক নির্মূল করা এবং আফগানিস্তানে আফিম চাষকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অথচ বর্তমানে বর্বর দখলদার আমেরিকার ছত্রছায়ায় ও দালাল কাবুল শাসনের ব্যবস্থাপনায় আফগানের ৩২৮ হাজার হেক্টরের অধিক ভূমিতে আফিমের চাষ হচ্ছে। বিগত বছরে আফিম উৎপাদন ৯ হাজার টন ছাড়িয়েছে এবং আফগানিস্তানে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৮ মিলিয়ন (৮০ লাখ) এ পৌঁছেছে।
[উপরোক্ত বার্তাটি ইমারতে ইসলামি আফগানিস্তান অর্থাৎ তালিবানদের অফিসিয়াল আরবি টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রদত্ত বক্তব্যের অনুবাদ।]