পিডিএফ/ওয়ার্ড || আজাদির ধোঁকা || মুজাহিদ কমান্ডার আদনান রশিদ হাফিজাহুল্লাহ
আজাদির ধোঁকা
অভিশপ্ত ব্রিটিশ কর্তৃক ১৯৪৭ সালের পাক-ভারত বিভাজনের
চেপে রাখা ইতিহাস
মুজাহিদ কমান্ডার আদনান রশিদ হাফিজাহুল্লাহ
অনুবাদঃ মাওলানা হাসান মাহমুদ
অনলাইনে পড়ুন
লিংক-১ : https://justpaste.it/3awaf
ডাউনলোড করুন
پی ڈی ایف
PDF (971 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৯৭১ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://archive.org/download/azadir-dhoka/AzadirDhoka.pdf
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/db7hyd8378932b5cd4255bd27cf3ebb6a5062
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/032466ad-5604-4b63-bb12-ca6e00003b7b/57ec65415eeb83e0d4e66f608422468c10e84daa6bdb6c98ba6f84193f4ab1a2
লিংক-৪ : https://f005.backblazeb2.com/file/AzadirDhoka/AzadirDhoka.pdf
লিংক-৫ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=v8h0w9j5i4
ورڈ
WORD (745 KB)
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [৭৪৫ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://archive.org/download/azadir-dhoka/AzadirDhoka.docx
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/db7hy893159b98fef4f93bd05bac54e17635e
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/0bbcebe2-38b2-4b57-a213-073317c8aa17/25366e9e60cb605c756b4f06907bea3cfdfe0cada5d24dda0e9d35cde19530ef
লিংক-৪ : https://f005.backblazeb2.com/file/AzadirDhoka/AzadirDhoka.docx
লিংক-৫ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=u6e9o7g0c5
غلاف
book cover (984 KB)
বুক কভার [৯৮৪ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://archive.org/download/azadir-dhoka/AzadirDhoka%20Cover.jpg
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/db7hy8bc71568688448b4952cea7a3c87349a
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/66efd99a-0380-4518-9c7e-2a05cc4ef187/63420db3633c9f39f05a29a7f81c498a704167b50b46157805bafab9b2e66228
লিংক-৪ : https://f005.backblazeb2.com/file/AzadirDhoka/AzadirDhoka+Cover.jpg
লিংক-৫ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=a8p3d9x9q0
روابط الغلاف
Banner [2.6 MB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [২.৬ মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://archive.org/download/azadir-dhoka/Azadir-Dhoka-Bnr.jpg
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/db7hy73e4027dd1b84409b4389fbe8663b917
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/e31e4f3d-a874-46cd-b2db-f4c52b401539/f4c1e282401ae30351149780b2148a2c2dff11eeedbe322345050faac2925fc4
লিংক-৪ : https://f005.backblazeb2.com/file/AzadirDhoka/Azadir-Dhoka-Bnr.jpg
লিংক-৫ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=v2u3t0j2g9
*******
আজাদির ধোঁকা
অভিশপ্ত ব্রিটিশ কর্তৃক ১৯৪৭ সালের পাক-ভারত বিভাজনের
চেপে রাখা ইতিহাস
মুজাহিদ কমান্ডার আদনান রশিদ হাফিজাহুল্লাহ
অনুবাদঃ মাওলানা হাসান মাহমুদ
الحمد لله رب العالمين. والصلوة والسلام على محمد وعلي آله واصحابه اجمعين .
اما بعد.
পাকিস্তানে বসবাসরত আমার প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা এবং মা-বোনেরা!
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هُبَيْرَةَ، أَخْبَرَنِي أَبُو تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو ذَرٍّ، قَالَ: كُنْتُ أَمْشِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَغَيْرُ الدَّجَّالِ أَخْوَفُنِي عَلَى أُمَّتِي» قَالَهَا ثَلَاثًا. قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هَذَا الَّذِي غَيْرُ الدَّجَّالِ أَخْوَفُكَ عَلَى أُمَّتِكَ؟ قَالَ: «أَئِمَّةً مُضِلِّينَ) مسند احمد(21296
হযরত আবুযর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন আমি একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে হাঁটছিলাম, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ‘‘দাজ্জাল ছাড়াও আমি আমার উম্মতের জন্য আরো একটি বিষয় খুব ভয় করছি’’ (এটা তিনি তিনবার বার বলেন) আমি জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসূল! দাজ্জাল ছাড়াও যেই বিষয়টি আপনাকে আপনার উম্মতের ব্যাপারে খুব ভীত-সন্ত্রস্ত করে সেই বিষয়টি কী? তিনি বললেন: ‘‘পথভ্রষ্টকারী নেতা’’ (মুসনাদে আহমাদ: হা:২১২৯৬)
আজ প্রিয় ভূমি পাকিস্তানে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে ৬৯তম স্বাধীনতা উৎসব উদযাপন হচ্ছে! এখানে আপনারা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান ও অন্যান্যদের ভাষণ শুনবেন। আর আজ এখানে আমিও আপনাদের সম্বোধন করে কিছু কথা বলবো।
আমি আপনাদের সামনে একটি হাদীস পাঠ করেছি। এই উপমহাদেশের মুসলমানদের উপর অতীতে যা কিছু হয়েছে এবং যা এখনো হচ্ছে এতে এমন পথভ্রষ্টকারী নেতা ও লিডারদের বড় ধরণের দায় রয়েছে। পূর্বেও বনী আদমকে শয়তান ও তার অনুসারীরা পথভ্রষ্ট করেছে। এবং জাতিকে তাদের ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিয়েছে। প্রতিটি পদে পদে মানুষের পথপ্রদর্শনের জন্য আল্লাহ তা’আলা নবীদের প্রেরণ করেছেন। যে নবীদের দাওয়াতকে গ্রহন করেছে সে সফলকাম হয়েছে। আর যে অস্বীকার করেছে সে ধ্বংস হয়েছে। শয়তান কখনো নিজ আকৃতিতে এসে মানুষকে পথভ্রষ্ট করে না, বরং সে মানুষকে মানুষের প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্যবহার করে। উপমহাদেশের মুসলিমদের ধ্বংস ও ক্ষতির জন্য দায়ী এমন নেতা যারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং জাতিকেও পথভ্রষ্টতার গহ্বরে হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । ভেড়ীর পোশাকধারী ভেড়ারা সর্বদা উপমহাদেশের মুসলমানদের রক্তাক্ত করেছে। তাদের মধ্য থেকে সুচতুর শাসক ও নেতৃবৃন্দ মুসলমানদেরকে মরীচিকা দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। এবং তাদের জান-মাল ইজ্জত-আব্রু পদদলিত করেছে। আজ পাকিস্তানে জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠা স্বাধীনতা উৎসব উদযাপন হচ্ছে! আমি প্রশ্ন করতে চাই যে আজ কি আমাদের উৎসব পালন করা উচিৎ নাকি দশলক্ষ প্রাণের জন্য শোক পালন করা উচিৎ? এখানে তো লাখো বোনের ইজ্জত হরণে লজ্জিত হওয়া উচিৎ। যদি সরকারপক্ষ্য এদিন আনন্দ উদযাপন করে, রাষ্ট্রের রজনৈতিক পরিবার, জমিদার, নাবাব, সেনাপ্রধান এদিন খুশিতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে, তাদের উদ্দেশ্য এটা নয় যে, এদিন দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তারা তো এ উৎসব পালন করে যে, আজকের এ দিনে ক্ষমতা তাদের হাতে এসেছে। তারা পালাক্রমে এ রাষ্ট্রের উপর রাজত্ব করছে আর রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করতে করতে নিজেদের মাঝে বন্টনের মধ্যদিয়ে ৬৯ বছর অতিবাহিত করার উৎসব পালন করছে। মনে রাখবেন! যাকে স্বাধীনতা বলে, সেটা না ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সালের এর পূর্বে ছিল, আর না এর পরে অর্জিত হয়েছে। আমাকে একটু বলুন ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সালের পর উৎসব পালন করার মত কোন জিনিষের পরিবর্তন এসেছে যাকে স্বাধীনতা বলা যায়? কিসের পরিবর্তন এসেছে যার উপর আজ গর্ব করা হচ্ছে? প্রিয় ভূমির রাজনীতি, বিচার বিভাগ, ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক আইন তো সেটিই আছে যা ১৯৪৭ এর পূর্ব ছিল। হ্যাঁ যে পরিবর্তন এসেছে তা হল: উপমহাদেশের ভৌগলিক সীমানায় পরিবর্তন এসেছে। যা উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে সীমানার দেয়ালে আবদ্ধ করে দিয়েছে। তাদের রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞার অধীনস্থ করে দিয়েছে। ১৯৪৭ এর পূর্বে পাকিস্তানের মুসলমানদের জন্য দিল্লি, মুম্বাই অথবা আগ্রা যাওয়ার জন্য কোন অনুমতির প্রয়োজন ছিল না। আর এখন ভিসা নেয়ার কষ্টে লিপ্ত হতে হয়। বাবরি মসজিদ ও হায়দারাবাদের মুসলমানদের গণহত্যার বদলা নিতে সীমান্ত প্রতিবন্ধক হয়ে আছে। ফলে আপনাদেরকে মুসলমানদের সাহায্য করার জন্য হিন্দুস্তান যেতে দিবে না। আজকে কিছু বাস্তবতা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। এতে করে আপনারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে, ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সাল কি স্বাধীনতার দিন ছিল না হিন্দুস্থানের মুসলমানদের বিভক্তি করার দিন ছিল। ২৩ মার্চ ১৯৪০ সালে মুসলমানদের জন্য আলাদা ভুখন্ডের দাবী করা হয়েছিলো? না তাদেরকে বাধ্য করা হয়েছে আলাদা রাষ্ট্রের প্রতি? এই দেশটি কি ইসলামের জন্য অর্জিত হয়েছে না ইসলামের নামে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নেয়া হয়েছে? দ্বি-জাতিতত্তের চেতনার কি বাস্তবতা না পথভ্রষ্ট চিন্তা-ভাবনা? মুসলিমলীগ ও পাকিস্তান নীতির তৎপর কর্মকর্তারা উপমহাদেশের মুসলমানদের জন্য কল্যাণকামী ছিল? তারা মুসলমানদের বিজয়ের প্রত্যাশা রাখতো না দ্বীন ও দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতক ও ইংরেজদের দালাল ছিল? তারা কি উপমহাদেশের মুসলমানদের স্বাধীনতা চাইতো না তাদের ধোকা দিয়ে, গলায় গোলামীর শিকল বেঁধে তাদের দাসত্বের জীবনে আবদ্ধ করতে চাইতো? আজ আমি আল্লাহর সাহায্য ও রহমতে আপনাদের এমন ইতিহাস শুনাবো যা আমাদের দেশের নিস্পাপ ও মুখলিছ মুসলিমরা হয়তো কখনো শুনেনি। আমাদের পাঠ্য পুস্তকে পড়ানো হয় যে, পাকিস্তানের মূল ভিত্তিস্থাপনকারী হল স্যার সৈয়দ আহমাদ খান। সে দ্বি-জাতিতত্বের আবিস্কর্তা। সে মুসলমানদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের ভিত্তি স্থাপন করে। যার দ্বারা মুসলিমলীগ অস্তিত্বে আসে। মুসলিমলীগ ১৯৪০ সালে পাকিস্তান প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে। অতঃপর পাকিস্তান অস্তিত্বলাভ করে।
আমি শুরুতে একটি হাদীস পাঠ করেছি যে, পথভ্রষ্ট নেতারা দাজ্জাল থেকেও অধিক ভয়াবহ। আজ আমাদের স্যার সৈয়দ আহমাদ খানের নামে পথভ্রষ্ট করা হচ্ছে। আসুন জেনে নেই স্যার সৈয়দ কে ছিল এবং তার আক্বীদা কী ছিল। অতঃপর আপনারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিন যে, এই দাস আমাদের কিসের স্বাধীনতা দেখাচ্ছে। আর এই ধর্মহীন ব্যাক্তি আমাদের কিসের পথ প্রদর্শন করছে।
স্যার সৈয়দ খানের পরিচয়:
নাম: স্যার সৈয়দ আহমদ খান তাকবী।
ধর্ম: শিয়া।
পেশা: ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির আদালতের কেরাণী ছিল। শয়তানী সংগঠন ফ্রি ম্যাসন এর পৃষ্ঠপোষক ছিল।
(সূত্র: www.masonindiawest.org/eminent.htm)
১৮৫৭ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে হিন্দুস্তানের মুসলমানদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ইংরেজদের সাহয্য করে, তাদের প্রাণ বাচায়। যু্দ্ধের পর ইংরেজদের আনুগত্যের জন্য মুসলমানদের উপর জোর দিতে থাকে। লর্ড মাইকেল থমাস স্যাডলার এর পাঠ্যসূচি মেনে নেওয়ার জন্য চেষ্টা-সাধনা করতে থাকে। দ্বিজাতিতত্ব ধারণার পথভ্রষ্ট চিন্তা-চেতনার প্রবর্তন করে।
স্যার সৈয়দ তার চিন্তা-ধারা উল্লেখ করে এক জায়গায় লেখে: বর্তমানে আমাদের জাতি শিক্ষা ও অর্থ-সম্পদের দিক দিয়ে খুবই খারাপ অবস্থায় কাটাচ্ছে। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা আমাদের দ্বীনের আলো দান করেছেন। এবং কুরআন আমাদের পথপ্রদর্শক হিসেবে বিদ্যমান রয়েছে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের জন্য ইংরেজদেরকে বন্ধু বানানোর ফয়সালা করে দিয়েছেন। তিনি ইংরেজদেরকে আমাদের উপর শাসক নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমাদের উচিত ইংরেজদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বৃদ্ধি করা, এবং সে পথ অবলম্বন করা যার দ্বারা হিন্দুস্তানে ইংরেজদের ক্ষমতা দৃঢ় ও মজবুত হয়ে যায়।
এই সেবার দরুন ১৮৮৭ সালে লর্ড ডাফরিন স্যার সৈয়দ আহমদ খানকে ব্যুরোক্র্যাট (প্রশাসনিক কর্মকর্তা) বানায় এবং ১৮৮৭ তে রাণী ভিক্টোরিয়া তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করে।
স্যার সৈয়দ আহমাদ খানের আক্বীদাসমূহ:
- যা আমাদের আল্লাহর মাজহাব তাই আমাদের মাজহাব, আল্লাহ না হিন্দু না প্রচলিত মুসলমান না মুকাল্লিাদ না লা মাযহাবী না ইয়াহুদী না খ্রিষ্টান তিনি তো পরিপূর্ণ উজ্জল প্রকৃতি।
(সূত্র: মাকালাতে সার সৈয়দ খন্ড#১৫ পৃষ্ঠাঃ ১৪৭ প্রকাশক: মাজলিসে তারাক্বিয়ে তওয়াব।
- ‘‘নবুওয়াত এাটি স্বভাবগত বিষয়’’
সূত্র: তাফসীরুল কোরআন খন্ড # ১পৃষ্ঠা নাম্বার # ২৩২৪ প্রকাশক: রিফাহে আম্মাহ সিটিম পারিস লাহোর)
- যত নবী অতিবাহিত হয়েছে সকলেই স্বভাবজাত ছিল।
(সূত্র: মাকালাতে স্যার সৈয়দ খন্ড # ১৫ পৃষ্ঠাঃ ১৪৭ প্রকাশক: মাজলিসে তারাক্বিয়ে তাওয়াব)
- ‘‘আমার নিকট ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাবা ছাড়া হওয়া কোরআন দ্বার সাব্যস্ত নয়। (সূত্র: মাকতুবাতে সার সৈয়দ, খন্ডঃ২ পৃষ্ঠাঃ ১১৬)
- ‘‘জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম নামের কোন ফেরেশতা নেই, আর না তিনি ওহী নিয়ে আসতেন। বরং এটা একটি শক্তির নাম যা নবীর মধ্যে থাকতো”
(সূত্র: তাফসীরুল কোরআন, খন্ডঃ ০১ পৃষ্ঠাঃ ১৩০)
- “শয়তান ভিন্ন কোন সৃষ্টি নয় বরং মানুষের মাঝেই বিদ্যমান এক শক্তি যে ব্যাক্তি খারাপের দিকে যায় তাকেই শয়তান বলে”
(সূত্র: খোদ নাবীস্ত, পৃষ্ঠাঃ ৭০ প্রকাশক: জাময়ীয়্যাত পাবলিকেশন লাহোর।)
- “মুসলমানদের মাঝে প্রসিদ্ধ ঘটনাসমূহের মধ্য থেকে একটি ঘটনা শেষ যুগে ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের ঘটনা। হাদীসের কিতাবাদিতেও এ সম্পর্কে অনেক হাদীস বিদ্যমান। কিন্তু এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এসব মিথ্যা ও বানানো”
(সূত্র: মাকালাতে সার সৈয়্যেদ, খন্ডঃ ৬, পৃষ্ঠাঃ ১২১, প্রকাশক: মাজলিসে তারক্বিয়ে তাওয়াব।)
- “যখন পর্যন্ত মদ হারাম করা হয়নি তখন সমস্ত নবীগণ ও অধিকাংশ সাহাবাগণ তাতে লিপ্ত ছিল”
(সূত্র: খোদ নাবীস্ত, পৃষ্ঠাঃ ১৫৫, প্রকাশক: জাময়ীয়্যাত পাবলিকেশন লাহোর।)
আমি স্পষ্ট বলছি, স্যার সৈয়্যেদের দ্বি-জাতিতত্ত্ব কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী ছিল না, বরং তা ‘ডিভাইড এন্ড রুল’ এর রাজনৈতিক কৌশল ছিল। যেন হিন্দু-মুসলিমদের পরস্পর বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দখলদার ইংরেজদের থেকে মনোযোগ ফিরানো যায় এবং মুসলিমরা তাদের মূল শত্রুকে ভুলে গিয়ে নিজেদের দেশকে উগ্রতার দৃষ্টিতে দেখে। যেন মুসলমান ভুলে যায় যে ৮০০ বছর ধরে মুসলমান ও হিন্দুরা দৃষ্টান্ত মুলক নিরাপত্তা এবং পরস্পর উদারতার সাথে জীবন যাপন করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ইংরেজদের বিরুদ্ধে হিন্দু ও মুসলিম সকলে জান বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে। আমি আপনাদের প্রশ্ন করতে চাই, যদি ১৮৫৭ এর স্বাধীনতার আন্দোলন সফল হত এবং ইংরেজদের পিটিয়ে এদেশ থেকে উৎখাত করা হত, তবে হিন্দুস্থানের সিংহাসনে কারা আরোহন করতো? নিশ্চয় মুসলমানরাই হিন্দুস্থানে তাদের শাসন অব্যাহত রাখতো। মূল শত্রু কে ছিল? হিন্দু না দখলদার ইংরেজ? আমরা গরুর গোস্ত খাওয়া ও হিন্দুরা গরুকে মা বলার উপর ভিত্তি করে তারা আলাদা সম্প্রদায় হয়, না তাওহীদের বিশ্বাসই আমাদের সকল সম্প্রদায় থেকে আলাদা করে? স্যার সৈয়েদ নিজেই একজন পা চাটা গোলাম ছিল। এবং অত্যন্ত লোভী ছিল। এ জন্য বৃটেনের খৃষ্টান শাসকরা তাকে নিজেদের ‘নাইট’ বানিয়েছে। এই ‘নাইট’ পদলাভ ও ‘স্যার’ উপাধি অর্জনের জন্য বৃটেনের রাজার সামনে অবশেষে কার্যত মাথা নত করতেই হয়েছে এবং শাহী তরবারীর বরকত অর্জনের জন্য হাঁটু গেড়ে নিজের কাঁধ পেশ করেছে। একটু দেখে নিন ‘নাইট’ কিভাবে হয়।
‘নাইট’ যেভাবে হয়:
ক্রুসেড যুদ্ধে যে খৃস্টীয় যোদ্ধা তাদের ‘পবিত্র ক্রুশ’ ও গীর্জার স্বার্থে মুসলিমদের খুব বেশি ক্ষতি সাধনে সক্ষম হত এবং খৃস্টান রাজ্যের উপকারী সাব্যস্ত হত তাকে ইংল্যান্ডের রাজা নিজের খৃস্টীয় রাজ্যের ‘নাইট’ নির্ধারণ করত। এবং তার নামের শুরুতে স্যার বলে ডাকা হত। ক্রুসেড যুদ্ধের পর বৃটেনের রাজা এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। এবং যুদ্ধের ময়দান ছাড়া ঐ লোকদেরকেও ‘নাইট’ মর্যাদায় ভূষিত করেছে যারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, মাজহাবী ও সাংস্কৃতিক ময়দানে মুসলমানদের ক্ষতিসাধন করেছে। এবং খ্রিস্টীয় রাজত্ব দৃঢ় করা ও গির্জার শিক্ষাকে প্রচার প্রসারে বাদশাহ থেকে আগে বেড়ে বাদশাহের ঠিকাদারী করেছে। হিন্দুস্থানের ইতিহাস জাতি ও ধর্মের এমন শত্রুতে পরিপূর্ণ।
ভিডিওতে দেখুন যে, ‘নাইট’ মর্যাদা লাভ এবং ‘স্যার’ উপাধিতে ভূষিত হওয়ার জন্য কিভাবে বৃটেনের রাজ পরিবারের সামনে মাথানত করতে হয়। স্যার সৈয়দ আহমাদ খান থেকে শুরু করে আইউব খান পর্যন্ত পাকিস্তানের ইতিহাসে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের পাবেন যারা বৃটেনের রাজ পরিবারের নিকট মাথা ঝুকিয়ে অবশেষে ‘স্যার’ উপাধি লাভ করেছে।
‘ব্রেডলি বগেস’ কে সাইকেল রেস এর কৃতিত্বের স্বাক্ষর হিসাবে ‘নাইট’ এর মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।
স্যার সৈয়দ যে শিক্ষা সিলেবাস প্রবর্তন করেছে, তা ইংরেজদের গোলাম ও দালালই তৈরী করেছ। যাদেরকে ইংরেজদের সংগ্রামী পরিকল্পনার পরিপূর্ণতার জন্য সর্বদা কোমর বেঁধে নামতে দেখা যায়। স্যার সৈয়্যেদ একজন বেদ্বীন ও শয়তানের অনুসারী সংগঠন ফ্রি ম্যাসনের সদস্য ছিল। তার শিক্ষায় ১৯০৬ সালে আর ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ অস্তিত্ব লাভ করে। মুসলমানদের অন্তরে ইংরেজদের দালালির মানসিকতা সৃষ্টি করাই যার উদ্দেশ্য ছিল। স্যার সৈয়দ শিক্ষার মাধ্যেমে এবং তাঁর আধ্যাত্মিক ভাই স্যার আগা খান রাজনৈতিকভাবে এ উদ্দেশ্য অর্জনের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে। মনে রাখবেন! মুসলিমলীগের প্রতিষ্ঠা ও হিন্দুস্তানের বিভক্তি বৃটেনের রাজার অনুমোদন ও পথ প্রদর্শনের পরই হয়েছে। মোটকথা বৃটেনের রাজা এডওয়ার্ড ও মুসলিমলীগের প্রধান স্যার আগাখান উভয়েই ফ্রি ম্যাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিল।
মুসলিম লিগ:
প্রতিষ্ঠা ১৯০৬ সালে ঢাকায়।
প্রথম চেয়রম্যান ও প্রতিষ্ঠাতাঃ স্যার আগাখান তৃতীয়।
ভাইস চেয়ারম্যানঃ স্যার খাজা সলিমুল্লাহ (শীয়া)।
মুসলিম লিগের ইশতেহার:
আর্টিক্যাল ১ -হিন্দুস্তানের মুসলমানদের মাঝে বৃটেন প্রশাসনের প্রতি বিশ্বস্ততার উন্মাদনা সৃষ্টি করা।
স্যার আগাখান তৃতীয় ১৮৭৭ – ১৯৫৭ খ্রি:
আগাখানী ইসমাঈলী মতাদর্শের ইমাম ও আধ্যাত্মিক নেতা ৩৩ ডিগ্রি ফ্রি ম্যাসন।
বংশীয় ইতিহাস:
১৮৪১–১৮৪৪ খ্রি: ইংরেজ ও আফগান যুদ্ধে বৃটেনকে সামরিক সহায়তা করে। ইংরেজকে সিন্দ দখলে সহায়তা করে। এসব সহায়তার দরুন বৃটেন সরকার আগাখান তৃতীয়ের দাদা আগাখান প্রথমকে ‘প্রিন্স’ উপাধি দেয়। এবং ধর্মীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এবং ১৮৯৭ তে রাণী ভিকটোরিয়া তাকে ‘নাইট’ হিসাবে ঘোষণা করে। ১৯০২ তে রাজা এডওয়ার্ড তাকে সবচেয়ে ‘বড় নাইট’ সাব্যস্ত করে। এরপর রাজা জর্জ তাকে তৃতীবার খৃষ্টীয় বৃটেন রাজ্যের সবচেয়ে ‘বড় নাইট’ সাব্যস্ত করেন। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে লিগ অভ নেশন এর চেয়ারম্যান করা হয়। আগাখান তৃতীয় এর এক স্ত্রী ক্লাবের ডান্সার ও দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল ও মিস ফ্রান্স ছিল। স্যার আগাখান তৃতীয় একজন বেদ্বীন, নির্লজ্জ ও দাসের ছেলে দাস ছিল। বর্তমানে আমাদের প্রিয় ভূমিতে যত মুসলিমলীগই পাওয়া যায়, মুসলিমলিগ নুন, কা বা ফা সবই আগাখানের মুসলিমলীগের উত্তরসূরী। এই দলের ইসলামের প্রতি ভালবাসা, দ্বীনদারী. ইখলাস ও তাকওয়া, লজ্জা ও আত্মমর্যাদা আপনাদের সামনেই আছে। যাদের ভিত্তিই হল: নেফাকের উপর, তারা কিভাবে মুসলমানদের জন্য কল্যাণকামী হতে পারে?! আর ইন্ডিয়া মুসলিমলীগের যদি জরিপ চালানো হয় তবে তার অধিকাংশ কর্মকর্তারা হয়তো শিয়া ছিল অথবা কাদিয়নী ছিল। স্যার আগাখান থেকে নিয়ে মুসলিমলীগের নেতৃত্ব হতে স্যার জাফরুল্লাহ খানের হাতে আসে, যে ছিল এক কাদিয়ানী। কাদিয়ানীদের ব্যাপারে তো অবশেষে পাকিস্তানের মুসলমানদের নিকট এ কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা ইসলামের শত্রু ও নিকৃষ্ট কাফের। কিন্তু শিয়াদের কুফরী ও ইসলামের শত্রুতার ব্যাপারে কিছু মুসলমান এখনো অজ্ঞ। এখানে শিয়াদের কিছু আক্বীদা বর্ণনা করা হচ্ছে। আপনারা নিজেরাই ফয়সালা করে নিন যে, শিয়া কারা? মুসলমানদের প্রকৃত বন্ধু না নিকৃষ্ট শত্রু!।
ইসলামের সাথে শিয়াদের নূন্যতম কোন সম্পর্ক নেই। বরং তারা সর্বদা ইসলামের মাঝে বিকৃতি সাধন ও মুসলমানদের ক্ষতিগ্রস্ত করার ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে। খেলাফতে আব্বাসীয়ার ধ্বংস, সালতানাতে মহীসুর, বাংলা ও মুগল শাসনের পতনে সবসময়ই শিয়াদের ভূমিকা ছিল। তাহরিকে পাকিস্তান ও তার পূর্বে মুসলমানদের উপর ধ্বংসের দায়ও এদেরই। যারা তাদের ইংরেজ নেতাদের সাথে মিলে হিন্দুস্তানের মুসলমানদের তিন ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে। আর এখন পর্যন্ত পাকিস্তান বাংলাদেশ ও হিন্দুস্তানের মুসলমানরা ইসলামী শাসন থেকে বঞ্চিত, অনৈসলামিক নীতির অধীনে জীবন যাপনে বাধ্য।
আসুন আপনি নিজেই শিয়াদের আক্বীদা পর্যবেক্ষণ করুন এবং সিদ্ধান্ত নিন যে, শিয়ারা কি মুসলমানদের সাথে আন্তরিক?এই সব আক্বীদার ধারক বাহক হয়ে কিভাবে তারা হিন্দুস্তানের মুসলমানদের জন্য স্বধীনতা বা আলাদা ভূখন্ডের দাবিদার হতে পারে!। বরং এদের কাজ তো স্বাধীনতার নামে মুসলমানদেরকে পথভ্রষ্ট করা। এবং তারা এতে সফলকামও হয়।
শিয়াদের আক্বীদাঃ
১– যে কুরআন জিব্রাইল আলাইহিস সালাম মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নিয়ে এসেছিলেন তাতে সত্তর হাজার আয়াত ছিল।
২– ইমামতের মর্যাদা নবুওয়াতের মর্যাদার চেয়ে ঊর্ধ্বে।
৩– যখন আমাদের ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশ ঘটবে তখন তিনি আয়েশাকে জীবিত করে তার উপর শরয়ী হদ জারী করবেন।
৪— রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহকাল ত্যাগ করার পর চার ব্যক্তি ছাড়া সবাই মুরতাদ হয়ে গেছেঃ (ক) আলী ইবনে আবি তালিব (খ) মিকদাদ। (গ) সালমান (ঘ) আবু যর।
৫—আবু বকর ও উমর এরা দুইজন অকাট্য কাফের। এদের উপর সমস্ত ফেরেস্তা ও সকল মানুষের লা’নত।
৬– কোন জ্ঞানীর জন্য এ সুযোগ নেই যে সে উমরের কুফরীর ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করবে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের লা’নাত উমরের উপর এবং ঐ ব্যক্তির উপর যে উমরকে মুসলমান মনে করে আর প্রত্যেক ঐ ব্যক্তির উপর যে উমরের প্রতি লা’নত করার ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকে।
৭– ইবনে উমর কাফের ছিল।
৮– আনাছ ইবনে মালেক মুনাফেক, অসৎলোক ও আহলে বাইতের বিরোধী ছিল।
৯—আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ কফের ও মুরতাদ ছিল।
১০—আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর কাফের ও মুরতাদ ছিল।
১১—আবু মুসা আশআরী অসৎ মুনফেক, আহমদ মুখতারের লাআনাত প্রাপ্ত ও আহলে বাইতের বিরোধী ছিল।
১২—আবু হুরায়রা শুধু পেট ভরার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সাথে ছিল। বিড়ালের বাপ ছাহাবী আবু হুরায়রা কাফের হয়ে যায়।
১৩—উলামায়ে ইমামিয়াদের ঐক্যমত অনুসারে সুন্নিরা ইয়াহুদী, খ্রিষ্টান ও অগ্নি পুজারীদের থেকে বেশী খারাপ ও নিকৃষ্ট কাফের।
১৪-সুন্নিরা কাফের তাদের সাথে বিবাহ জায়েয নেই। তাদের জবাইকৃত পশু হারাম।
আল্লাহ পানাহ,
পাকিস্তানের ব্যাপারে শিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি:
(পাকিস্তানে শিয়াদের আল্লামা) জমীর আখতার নাকবীর বক্তব্য:
“আমি পুনরায় সেখান থেকে শুরু করছি। কায়েদে আজমের দাদি ছিল, বেচারী মারা গেছে। তার পিতাও মরণশীল, সেও মারা গেল। যখন মারা গেলো তখন কায়েদে আজমের জন্মই হয়নি। আর যখন কায়েদে আজম মারা গেছে, তখন মুসলিম লিগ তৈরী হয়নি। আর যখন মুসলিম লিগ তৈরী হয়নি তবে পাকিস্তান তৈরী হয়নি। যখন পাকিস্তান তৈরী হয়নি তখন পাকিস্তান মরে গেছে। তবে পাকিস্তান কে বানিয়েছে? প্রথমে যুল জানাহ (হুসাইন (রাঃ) এর ঘোড়া) কায়েদে আজমের দাদীকে ছেলে দিয়েছে। যুল জানাহের আদেশে পাকিস্তানের চাকর হল। তখন প্রমাণিত হল যে পাকিস্তান যুল জানাহের লাগামের দান। সন্দেহ কিসের! ঘোড়ার দান, ঘোড়ার দান! আরে শুনে নাও যেহেতু যুল জানাহের কারণে এই দেশ সৃষ্টি হয়েছে তবে পুরো রাষ্টের আবাদী তো যুল জানাহের পায়ের উপর সিজদা করা চাই। তোমরা মিথ্যুক, এ রাষ্ট্র খোদাপ্রদত্ত নয়, খোদা এই রাষ্ট্র দেয়নি ঘোড়ায় দিয়েছে। পাকিস্তান মানে কি? লা- ইলাহা নয়, পাকিস্তান মানে যুল জানাহ। পাকিস্তানের মানে ঘোড়া, পাকিস্তান মনে দুলদুল, পাকিস্তানের মানে হায় হুসাইন, এয়া হুসাইন”
স্যার জাফরুল্লাহ কাদিয়ানীর পর স্যার আগাখান, মুহাম্মাদ আলি জিন্নাহকে মুসলিম লীগের চেয়ারম্যন বানায়। ঠিক সেভাবেই যেভাবে বেলাওয়াল ভুট্টো জারদারী এবং হামদর শাহবাজকে বানানো হয়। মুহাম্মাদ আলি জিন্নাহকে আমাদের পাঠ্যপুস্তকে জাতির পিতা, ধর্মের রক্ষক, অনুগ্রহকারী ও কায়েদে আজম হিসেবে পেশ করে।
বলাহয় যে, ইতিহাস কাউকে মাফ করে না। মিথ্যার স্থায়িত্ব হয় না। অবশেষে জয় হকেরই হয়।
মুহাম্মাদ আলি জিন্নাহ ১৮৭৬– ১৯৪৮
মতাদর্শ: প্রথমে ইসমাইলী পরে শিয়া ইসনা আশারী।
মেম্বার: ইনার টেম্পল সোসাইটি ১৯৩১ খ্রিঃ (ভূতপূর্ব নাইট টেম্পলার্স)
মেম্বার: ফেবিয়ান সোসাইটি (যা বড় বড় ফ্রি ম্যাসনারি ও থিওসোফিক্যাল সোসাইটির একটি গ্রুপ)
রাজনৈতিক মাতা পিতা: ৩৩ ডিগ্রি ফ্রি ম্যাসনারি, অগ্নীপূজারী ‘স্যার দাদা বাই নারুজী’কে নিজের পিতা বলে ডাকতো। থিওসোফিক্যাল সোসাইটির প্রধানশয়তানের পূজারী ‘এনি বিসেন্ট’কে নিজের মা বলে ডাকতো। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে খেলাফতে উসমানিয়ার বিরুদ্ধে ইংরেজদের সহায়তা করে। নিজের আধ্যাতিক মা এনি বিসেন্টের কথায় তাহরীকে খেলাফতের চরম বিরোধিতা করে এবং এটাকে নির্বুদ্ধিতামূলক আক্রমণ আখ্যা দেয়। ইন্ডিয়ান আর্মির জন্য দেরাদুন মিলিটারী একেডেমির প্রতিষ্ঠায় মৌলিক ভুমিকা পালন করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পুনরায় বৃটেন সরকারকে সামরিক সহায়তার জন্য হিন্দুস্তানের মুসলমানদেকে জোর দিতে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিন্দুস্তানী সৈন্যদের বৃটেনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চলাকালে মুসলিম সেনাদের বৃটেনের অনুগত থাকতে জোর দেয়।
প্রসিদ্ধ পুরষ্কার প্রাপ্ত ইতিহাসবিদ স্টেনলি ওলপার্ট, উইলিয়াম ডালরিম্পল ও পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত সমালোচক তারেক ফাতাহ এর অনুসন্ধানী রিপোর্ট অনুযায়ী জিন্নাহ শূকরের গোস্ত খেত এবং মদ পান করতো। ফাতেমা জিন্নাহের বক্তব্য অনুযায়ী জিন্নাহ প্রতিদিন ক্রেভেন (Craven A) ব্র্যান্ড এর ৫০ টি সিগারেট খেত। বিভিন্ন প্রকার ইংরেজী কুকুর প্রতিপালন করা জিন্নাহের শখ ছিল। বাম হাতে খানা খাওয়াকে সে কোন দোষের কিছু মনে করতো না। সবসময় ইংরেজী পোষাক পরিধান করতো। মৃত্যুর সময় সর্বশেষ আকাংখাও ছিল যেন ইংরেজ পোষাকে তার মৃত্যু হয়।
পাকিস্তানের মন্ত্রী খাজা আছিফ জিন্নাহ’র ব্যাপারে বলেন:
“আমি আবারো একবার বলব যে, আমাদের এ জাতির পিতা? যে শিয়া মতাদর্শের ছিল! আমরা তাকে জতির পিতা বলি, পাকিস্তানিরা তাকে পিতা বলে, নিজেদের জাতির পিতা বলে”!
ড. তাহের আলি আল–কাদরী জিন্নাহ’র ব্যাপারে বলেন:
এই কায়েদে আজম মুহাম্মাদ আলি জিন্নাহ এর জীবনী সংক্রান্ত যে কিতাবই দেখুন, চাই তা পাকিস্তানের কারো লেখা, কিংবা পশ্চিমা আমেরিকার কারো, পৃথিবীর যে স্থানের লেখাই হোক সেখানে দেখা যায় সে ইসমাইলী আক্বীদার ছিল। অতঃপর শিয়াদের ইসনা আশারী মতাদর্শের ছিল।
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আছিফ আলি জারদারীর পিতা হাকেম আলি জারদারী জিন্নাহ’র ব্যাপারে বলেন:
আমি তো বলবো জিন্নাহ এই দেশের অনেক ক্ষতি করেছে। সচিবালয় ইন্ডিয়া থেকে এনেছে । পাঁচটি প্রদেশে একজন দুইজন করে দিয়ে বাকি সব ইন্ডিয়া থেকে আনে। অফিসকেও ইন্ডিয়া থেকে এনেছে। আমরা যে, উর্দূতে কথা বলছি তাও ইন্ডিয়া থেকে আনে। আর বাঙ্গালদের গিয়ে বলে: তোমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা উর্দূ (তখন থেকে তারা বিদ্রোহী হয়ে যায়।) পাগলের ছেলে কোথাকার!! মূলত তার এই দেশের A B C D এর জ্ঞানও ছিল না।
জনাব তারেক ফাতহ জিন্নাহ’র ব্যাপারে বলেন:
“পাকিস্তানের সাথে এমনটিই হয়েছিল। যে নিজের মাতৃ ভাষায় কথা বলতে পারতো না, উর্দূ জানতো না, মদ পান করতো, শুকরের গোস্ত খেত, নষ্টা মেয়েদের বিবাহ করতো তাকে ইমামের বেশে চুল, শেরোআনী ও জুতা পরিয়ে পেকেট করে উপস্থিত করা হয় যে, কায়েদে আজম!! মুহাম্মাদ আলি”
এই পথভ্রষ্ট্রকারী নেতাদের পরিচয়ে আপনি কিছু সোসাইটির নাম শুনে থাকবেন। এই সব সিক্রেট সোসাইটির ভিত্তি হল ‘নাইট টেম্পলস’। নাইট টেম্পলস কট্টর খৃষ্টান ছিল। সকল ক্রুসেড যুদ্ধে উল্লেখযোগ্যভাবে অংশ গ্রহণ করে এবং মুসলমানদেরকে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হতে না পেরে যুগের পরিবর্তনে তাঁরা রূপ পরির্তন করে। পরবর্তীতে স্বয়ং গির্জাই তাদের বিরোধী হয়, ফলে এরা ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে পালায়ন করে। অতঃপর ফ্রি ম্যাসন, ইলুমিনাটি, জিসেটস, ইনার টেম্পল, মিডল টেম্পল, ফেবিয়ান সোসাইটি, থিওসোফিক্যাল সোসাইটি ইত্যাদি নামে আবির্ভুত হয়। ক্রুসেড যুদ্ধের উদ্দেশ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনের উপর করায়ত্ত করা, মুসলমানদের সমূলে নিঃশেষ করে বিশ্বব্যাপী শাসন প্রতিষ্ঠা করা। যার পরিচালকরা ‘হাইকেলে সুলাইমানী’র শিষ্য অর্থাৎ নাইট টেম্পলস হবে। ক্রুসেড যুদ্ধ চলাকালীন নাইট টেম্পলস ইউরোপের সীমানায় একটি বিশ্ব ব্যাংক, যৌথ বাহিনী, ইউরোপের রাষ্ট্রপ্রধানদের সমন্বয়ে একটি পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছিল। আর বর্তমানে তারা ফিলিস্তিনের উপর জোর দখল করে বিশ্ব ব্যাংক বানিয়ে ন্যাটো সেনা ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট, জাতিসংঘ এবং তার নিরাপত্তা বাহিনী তৈরী করতে সফলতার সাথে সক্ষম হয়েছে। আপনারা স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছেন যে, এসব তৈরীর পর অতীতের ন্যায় আরো একটি ক্রুসেড যুদ্ধ শুরু করে। এবং তা ১৫ বছর অতিক্রমের পথে।
ডব্লিউ বুশ বলে:
“এই ক্রুসেড যুদ্ধ সমস্ত সন্ত্রসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, এর জন্য কিছু সময় লাগবে। আমেরিকার জনগণকে ধৈর্যের সাথে কাজ করতে হবে”।
এটা কি ঘটনাক্রমেই হয়েছে যে, স্যার সৈয়দ থেকে নিয়ে মুহাম্মাদ আলি জিন্নাহ পর্যন্ত, বৃটেনের রাজা এডওয়ার্ড থেকে নিয়ে রাজা জর্জ ষষ্ঠ পর্যন্ত,প্রধানমন্ত্রী কোলম্যান এটলি সহ এসব নেতা যাদের সম্পর্ক কোন মাধ্যম ছাড়া অথবা কোন মাধ্যমে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সাথে রয়েছে তারা কোন না কোন সোসাইটির উল্লেখযোগ্য সদস্য ছিল। উদাহরণ সরূপ মুসলিমলীগ প্রতিষ্ঠাকালে মুসলিম লীগের নেতা ও বৃটেন রাজা উভয়েই ফ্রি ম্যাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিল। ২৩ মার্চ ১৯৪০ সালে বৃটেন রাজা ও জিন্নাহ উভয়েই কোন না কোন সোসাইটির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। আর ১৪ আগষ্ট ১৯৪৭ সালে বৃটেনের রাজার সম্পর্ক ফ্রি ম্যাসন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক ইনারটেম্পল, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান এর সম্পর্ক ফ্রি ম্যাসন, জিন্নাহ’র সম্পর্ক ফেবিয়ান সোসাইটির সাথে ছিল। এটাকি সুধু কাকতালীয় বিষয়!! নাকি ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট বানানোর পরিকল্পনা ছিল?
ফ্রি ম্যাসন, টেম্পল সোসাইটি, ফেবিয়ান সোসাইটি, আরো অন্যান্য গোপন সংস্থাগুলোর উদ্দেশ্য হচ্ছে পৃথিবীতে দাজ্জালের আগমনের পথপ্রদর্শন করা। একটি আন্তর্জাতিক রাষ্ট্র, একটি আন্তর্জাতিক ধর্ম, একটি আন্তর্জাতিক অর্থনীতি, একটি আন্তর্জাতিক শাসননীতি ও একটি আন্তর্জাতিক শিক্ষাব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবাহিনী, বিশ্ব আদালত ও আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গঠনের পর আন্তর্জাতিক ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ধর্মের নামে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। খেলাফতে উসমানিয়া টুকরো টুকরো করা, ফিলিস্তিনকে দখল করা এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অর্থাৎ ইসলামের বিরুদ্ধে বিশ্বযুদ্ধ এদের পরিকল্পনারই একটি অংশ। কেননা ইসলাম ও ইসলামপ্রিয় মুসলমানই এই সোসাইটির সামনে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক।
ইনারটেম্পল সোসাইটি:
ইউরোপে যখন নাইটটেম্পল সোসাইটির বিরুদ্ধে ক্রেকডাউন করা হয় তখন তা বন্ধ হয়ে যায় এবং বহুবছর পর ইনারটেম্পল সোসাইটির নামে আবার আত্মপ্রকাশ করে। এবং টেম্পল চার্চকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করে।
ফেবিয়ান সোসাইটি:
ফ্রি ম্যাসনই ফেবিয়ান সোসাইটি বানিয়েছে। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এদের মনোগ্রামেই স্পষ্ট। ভেড়ার চামড়ায় নেকড়ে! কচ্ছপের গতিতে অগ্রসরমান। পৃথিবীর সকল জনগণকে বিভিন্ন কষ্টে ফেলে চুরমার করে নিজেদের স্বার্থ পূরণ করা। মুহাম্মাদ আলি জিন্নাহ এই সোসাইটিরই মেম্বার ছিল। এবং সে পাকিস্তান বানানোর জন্য এই তিন নীতির উপরই আমল করেছে।
এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল শাহেদ আযীয ফ্রি ম্যাসন সম্পর্কে বলেন:
প্রশ্নঃ “একটি কোর্সে আপনাকে মেজর হিসেবে পাঠানো হয়। ওখানকার আমেরিকান এক অফিসার আপনার বিশ্বাসকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছে এবং আপনাকে আমেরিকান সেনাবাহিনীতে ভর্তি করার চেষ্টা করে?
জেনারেল শাহেদঃ দু’বার
প্রশ্নঃ দু’বার?!
জেনারেল শাহেদঃ যে দু’বার কোর্সে গিয়েছি দু’বারই।
প্রশ্নঃ দু’বারই?
জেনারেল শাহেদঃ হ্যাঁ।
প্রশ্নঃ আরেকবার আপনাকে ফ্রি ম্যাসনের জন্য কাজ করতে বলে?
জেনারেল শাহেদঃ দ্বিতীয় বার এক অফিসার আমাকে ফ্রি ম্যাসনে জয়েন করার জন্য অফার দেয়।
প্রশ্নঃ কিন্তু আপনি তা অস্বীকার করেন? এবং… আচ্ছা তারা আপনাকে এটাও বলে যে, “আপনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে গিয়ে আমাদের জন্য কাজ করেন”?
জেনারেল শাহেদঃ জি এটাও বলেছে। আমি বুঝি, বিশেষ করে আমেরিকা ও বৃটেন (অন্যান্য দেশও হতে পারে) কেননা এসব হচ্ছে ফ্রি ম্যাসনের আড্ডাখানা এবং এরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, এখনো করছে।
২৩ মার্চ ১৯৪০ সাল পাকিস্তান ভ্রাতৃত্বের যে ঢোল আমাদের মাঝে পেটানো হয়,আর যার ভিত্তিতে জাতিকে প্রত্যেক বছর পথভ্রষ্ট করা হয় এর বাস্তবতা অবশেষে স্পষ্ট হয়ে গেছে। আসুন বোঝার চেষ্টা করি যে, ২৩ মার্চ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার যে নাটক সাজানো হয় তা কোন নাটকীয়তায় আবদ্ধ করা হয়েছে।
বৃটেন সরকারের নীতি অনুসারে সরকারী সকল গোপন নথি ৩০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ১৯৭০ এর মাঝামাঝি সময়ে হিন্দুস্তানের উপর ইংরেজ শাসন চলাকালে হিন্দুস্তানের ভাইসরয় এর গোপন নথি ও চিঠি প্রকাশ পায়, যা হিন্দুস্তানের বিভক্তির উপর গোপন বিষয়গুলোর আবরণ উঠিয়ে দেয়।
এনএপি (ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) এর নেতা আব্দুল ওয়ালী খান লন্ডনে ইন্ডিয়ান অফিস লাইব্রেরীতে গিয়ে এর নথি সংগ্রহ করে নিজের বই ‘FACTS ARE FACTS’ এ প্রকাশ করেন: যার তৃতীয় অধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ ৪০ এ ২৩ মার্চ ১৯৪০ এর আবরণ উন্মোচন করেছেন।
১২ মার্চ ১৯৪০ সালে ইন্ডিয়ার ভাইসরয় ভিক্টর হোপ লেনলিথগো হিন্দুস্তান বিভক্তির এ কার্যক্রম সম্পর্কে এক গোপন চিঠিতে বৃটেনের ইন্ডিয়া বিষয়ক সচিব লরেন্স জেটল্যান্ড এর কাছে লিখেনঃ
“আমার আদেশে জাফরুল্লাহ এই কার্যক্রমের স্বরণিকা লিখেছে। অর্থাৎ দুইটি রাজ্য। আমি প্রথমেই তা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য পাঠিয়ে দিলাম। আমি এতে আরো স্পষ্ট করার জন্য বলেছি, যার ব্যাপারে সে বলে তা অতি দ্রুত এসে যাবে। সে এ ব্যাপারে খুবই চিন্তিত যেন কেউ এ ব্যাপারে অবগত না হয় যে, সে এই পরিকল্পনা তৈরী করেছে। সে আমাকে এতে পরিবর্তন পরিশোধনের অধিকার দিয়েছে এবং এটাও বলেছে যে, এর একটি কপি যেন আপনার নিকট প্রেরণ করি। এবং একটি কপি জিন্নাহকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার পরামর্শ হল: স্যার আকবর হায়দারকেও পাঠানো হোক। যেহেতু জাফরুল্লাহ এই দায়িত্ব পালন করতে পারবে না, তাই মুসলিম লিগ এর পক্ষ্য থেকে এই দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে অনুমোদন করার পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যেন জনগণের গ্রহণযোগ্যতা অর্জিত হয়। এ গোপনিয়তা সম্পর্কে আরো স্পষ্ট করতে গিয়ে ভাইসরয় লেখেন: যেহেতু জাফরুল্লাহ কাদিয়ানী, তাই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কেননা যদি মুসলমানরা জানতে পারে যে এই পরিকল্পনা একজন কাদিয়ানী তৈরী করেছে, তারা ঘৃণা করবে। ভাইসরয় লেখে যে, জিন্নাহকে এর একটি কপি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেন মুসলিম লিগ থেকে তা অনুমোদন করায় এবং ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা তৈরি করে”।
এই পরিকল্পনার মাধ্যমে উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে এত বছর পর্যন্ত স্বধীনতার নামে ধোকা দেওয়া হয়েছে। যেসব হকপন্থী বীর ও উম্মতের কল্যাণকামী ব্যক্তিবর্গ স্বাধীনতার নামে মিথ্যা অঙ্গীকার এবং ধোকা সম্পর্কে মানুষের সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাদেরকে মুসলিমলীগ দেশ ও ইসলামের শত্রু বলে আখ্যা দিয়েছে। আজ পর্যন্ত পাকিস্তানের শাসকরা হক্বপন্থী উলামাদের এই অপবাদ দেয় যে, তোমরা তো পাকিস্তান হওয়ার বিপক্ষে ছিলে। মনে রাখবেন উপমহাদেশের সাধারণ থেকে সাধারণ মুসলমানও স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল না। তাদের বিরোধিতা তো ছিল এই বিষয়ে যে, উপমহাদেশের মুসলমানরা যেন বিভক্ত না হয়ে যায় এবং হিন্দুস্তান থেকে মুসলমানদের রাজ্য বিলুপ্ত করার স্বপ্ন যেন পূরণ না হয়ে যায়। এবং এটিই হয়েছে। আজ ইতহাস তা সাব্যস্ত করে দিয়েছে। আজ ইন্ডিয়ার ১৬ কোটি মুসলমানের দূরবস্থার দায় কার?! হিন্দুস্তান বিভাজনের এই অপকৌশল অন্তত ১৬ কোটি মুসলমানকে তো আয়ত্বে এনেছে। যে কাজটি শত ক্রুসেড যুদ্ধ দ্বারাও অর্জন করা যাচ্ছিলো না, তা লর্ড ক্লাইভের এক লাইনই করে দিয়েছে। তাই আরো খুশি উদযাপন করুন। আনন্দ উৎসব পালন করুন। ১৬ ডিসেম্বর দিনটিতেও একটি উৎসবের আয়োজন করুন যে দিন আমাদের এই পাকিস্তান বাঙ্গালি পাকিস্তনিদের ত্রিশলক্ষ মুসলমানকে স্বাধীনতা কামনার অপরাধে হত্যা করেছে। দু’লক্ষ মুসলিম বোনের ইজ্জত লুন্ঠন হয়েছিল। যেদিন আমাদের নব্বই হাজার পাকিস্তানী সেনা গোমূত্র পানকারী হিন্দুদের সামনে অস্ত্র সমর্পণ করেছিল। তারা গোমূত্র পান করে জিতে গেছে আর আমরা গরুর গোস্ত খেয়ে হেরে গেছি। যে স্বধীনতার উৎসব আজ পালন করা হচ্ছে তা মুলত কী ছিল? ১৯৪৭ হিন্দুস্তান স্বাধীনতা বিষয়ক নীতিমালার প্রতি একটু লক্ষ্য করুন যার ভিত্তিতে পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল এবং সিদ্ধান্ত নিন স্বাধীনতা কি এরই নাম?
হিন্দুস্তান স্বাধীনতা নীতি বা ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স এক্টঃ ১৯৪৭।যার ভিত্তিতে ভারত উপমহাদেশকে ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানে বিভক্ত করা হয়েছে এবং যার ভিত্তিতে এই দুই নতুন দেশের জন্য রাষ্ট্রনীতি, সুপ্রিম আইন ও ব্যবস্থাপনা নীতি তৈরী করা হয়েছে:
এখানে আপনাদের সামনে ঐ নীতির কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট উল্লেখ করছি যেন আপনারা নিজেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন যে এটি কি হিন্দুস্তান এর স্বাধীনতার নীতি ছিল, না হিন্দুস্তান বিভক্তি নীতি?
হিন্দুস্তান স্বাধীনতা নীতির বাছাইকৃত কিছু সূক্ষ্ম দিকসমূহ যা ১৮ জুলাই ১৯৪৭ সালে বৃটেনের রাজা জর্জ ষষ্ঠ এবং বৃটেন পার্লামেন্ট অনুমোদন করে।
ধারা নং: ১
১৫ আগষ্ট ১৯৪৭ সালের মাঝে হিন্দুস্তানে দুইটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। যার নাম ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান হবে।
ধারা নং: ৫
প্রত্যেক নতুন রাষ্ট্রের একজন গভর্ণর জেনারেল হবে যাকে বৃটেন রাজ নির্ধারণ করবে এবং সে দেশের রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডে বৃটেন রাজের প্রতিনিধিত্ব করবে।
ধারা নং: ৮ পরিচ্ছেদ ২
প্রত্যেক নতুন রাষ্ট্র, সকল প্রদেশ ও জেলাকে গভর্ণর অভ ইন্ডিয়া এক্টঃ ১৯৩৫ অনুযায়ী চালানো হবে।
ধারা নং: ১৮ পরিচ্ছেদ ৩
বৃটিশ আইন ও তার অন্যান্য অংশসমূহ (ভারতীয় ফৌজদারী আইন ১৮৬০ খৃঃ সি আর পি সি ১৮৯৭ ইত্যাদি।)যা ১৫ আগষ্টের এর পূর্বে প্রচলিত ও কার্যকর ছিল তা সামান্য কিছু পরিবর্তনের সাথে নতুন রাষ্ট্রের আইন হিসেবে বহাল থাকবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী!
আপনারা দেখেছেন যে, এটা কেবল নামেমাত্র স্বাধীনতা ছিল। মূলত এটা মুসলমানদের বিভক্তি ছিল। এবং ইতিহাস এটা সাব্যস্ত করে দিয়েছে যে,বর্তমানে ইসলামী নীতি একটি স্বপ্নের বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে। ১৪ আগষ্ট ১৯৪৭ এর পরও পাকিস্তানের উপর বৃটেন রাজার কর্তৃত্ব বজায় থাকে। বৃটেন রাজা পাকিস্তানের জন্য জিন্নাহকে নিজের গভর্ণর জেনারেল ও লিয়াকত আলি খানকে নিজের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচন করে। চীফ জাষ্টিস স্যার আব্দুর রশিদ জিন্নাহ থেকে আর জিন্নাহ লিয়াকত আলি খান থেকে রাজা জর্জ এবং বৃটেন এর আনুগত্বের হলফ নেয়। প্রমান স্বরূপ আপনি ১৯৩৫ এর আইনের সিডিউল-৪ (Schedule-4) প্রতি একটু লক্ষ্য করুন। জিন্নাহ ও লিয়াকত আলি খান এর শপথ গ্রহণের ভিডিও তো সংরক্ষণ আছে কিন্তু আওয়াজ ছাড়া। নমুনা হিসেবে আপনাদের নিকট অষ্ট্রলিয়ার গভর্ণর জেনারেল এর শপথ পেশ করা হচ্ছে। যা সে ১৯৪৭ সালে করেছিল। রাজা জর্জ তাকে মনোনয়ন দিয়েছে।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৩৫ এর আইনের আলোকে শপথ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
১৯৩৫ এর আইনের সিডিউল অনুযায়ী যে কোন বড় সরকারী,ব্যবস্থাপনা বা আইনি চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার জন্য বৃটেন রাজার আনুগত্বের শপথ করাকে আবশ্যক করে দেওয়া হয়। ১৯৩৫ এর আইন অনুযায়ী মুহাম্মাদ আলি জিন্নাহ থেকে নিয়ে শেষ গভর্ণর সেকান্দার মির্জা এবং লিয়াকত আলি খান থেকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি মুহাম্মাদ আলি বৃটেনের রাজা অর্থাৎ রাজা জর্জ ষষ্ঠ এবং রাণী এলিজাবেথ এর আনুগত্বের শপথ করে।
উদাহরণ হিসাবে
১৯৪৭ সালে মিষ্টার মাইকেল এর অষ্ট্রেলিয়ার গভর্ণর জেনারেল পদে নিযুক্ত হওয়ার সময় অষ্ট্রেলিয়ার চিফ জাষ্টিস এর কাছে রাজা জর্জ (ষষ্ঠ) এর আনুগত্যের শপথ করার ভিডিওটি দেখুন।
চীফ জাষ্টিস মিষ্টার মাইকেলকে শপথ গ্রহণের জন্য বলছেঃ
-জনাব আমি আপনাকে বলছি: আপনি হলফনামা পড়ে শপথ করুন।
-আমি উইলিয়ম জন মাইকেল শপথ করছি যে আমি সম্মানিত রাজা জর্জ ষষ্ঠ এর অনুগত হিসেবে থাকবো। এবং তার স্থলাভিষিক্ত ও উপদেষ্টাদেরও আইন অনুযায়ী অনুগত থাকবো।
ঠিক একইভাবে পাকিস্তানের গভর্ণর জেনারেল হিসাবে চীফ জাষ্টিস স্যার আবদুর রশীদ মুহাম্মাদ আলি জিন্নাহকেও শপথ করায়। যার মাঝে সে রাজা জর্জের আনুগত্বের শপথ গ্রহণ করে। এমনিভাবে মুহাম্মাদ আলি জিন্নাহ প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লেয়াকত আলি খানকে রাজা জর্জ এর আনুগত্বের শপথ করায়।
আমার প্রিয় দেশবাসী!
এতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা ঐ ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন যা আপনাদের থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করা হয়েছে। এবং আপনাদের ধোকা দেওয়া হচ্ছে। আরো একটু লক্ষ্য করুন যে, বৃটেনের রাণী পাকিস্তানের উপর রাজত্ব করার শপথ নিচ্ছে। এটা ১৯৫২ এর ভিডিও যখন বৃটেন রাণী এলিজাবেথ ২য় (যে আজও জীবিত আছে) তার পিতা রাজা জর্জ ষষ্ঠ এর ইন্তেকালের পর ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করে। রাজমুকুট পরানোর সময় অর্থাৎ ক্ষমতা গ্রহণের সময় খৃষ্টীয় আলেম ও পাদ্রীদের উপস্থিতিতে পাকিস্তানে রাজত্ব বহাল রাখার উপর শপথ গহণ করার ভিডিও।
তাকে বলা হচ্ছেঃ
-আপনি কি এ দৃঢ় অঙ্গীকার করছেন যে, আপনি বৃটেন, সোমালিয়া, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও অন্যান্য এলাকা যা আপনার রাজেত্বের অধীনে রয়েছে তাতে জনসাধারণের জন্য এর নিয়মনীতি ও কানুন অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালানা করবেন?
রানী এলিজাবেথ ২য় বলছেঃ
-আমি এমন করবো বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করছি।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর (ইসলামী দেশে অনৈসলামী শাসক)
পকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পাকিস্তানের শাসকরা
পাকিস্তানের প্রথম রাজা:
রাজা আলবার্ট ফ্রেডেরিক আর্থার জর্জ (জর্জ ষষ্ঠ)
ধর্ম: খ্রিস্টান।
দ্বীনে মসীহের রক্ষক ইংল্যান্ডের গির্জার প্রধান গভর্ণর, ৩৩ ডিগ্রি ফ্রি ম্যাসন।
রাজত্বকাল: ১৯৪৭খ্রিঃ-১৯৫২ খ্রিঃ পর্যন্ত।
পাকিস্তানের প্রথম গভর্ণর:
মুহাম্মাদ আলি জিন্নাহ।
শাসনকাল: ১৯৪৭-১৯৪৮খ্রিঃ
ধর্ম: শিয়া ইসনা আশারিয়া।
মেম্বর: ইনার টেম্পল ১৯৩১খ্রিঃ (নাইট টেম্পলস)
পাকিস্তানের দ্বিতীয় গভর্ণর জেনারেল:
স্যার খাজা নাজিমুদ্দিন।
ধর্ম: শিয়া ইসনা আশারিয়া।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
রাজত্বকাল: ১৯৪৮খ্রিঃ-১৯৫১ খ্রিঃ
পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী:
লিয়াকত আলি খান।
ধর্ম: শিয়া ইসনা আশারিয়া।
মেম্বর: ইনার টেম্পল(নাইট টেম্পলস)
রাজত্বকাল: ১৯৪৭ খ্রিঃ-১৯৫১ খ্রিঃ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী লেয়াকত আলি খান সম্পর্কে (শিয়াদের আল্লামা) জমীর আখতার নাকবী এর বক্তব্য:
“যেমন পাকিস্তান সম্পর্কিত প্রথম বই, উর্দূ বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত ‘শা’রায়ে পাকিস্তান’ এতে ড. হাদী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের মাতার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, লিয়াকত আলি খানের বাল্যকাল সম্পর্কে উল্লেখ করুন। তখন লিয়াকত আলি খানের মা বললেন: মুজফফরনগরের যেখানে আমরা বসবাস করতাম সেখানে মুহাররাম মাসে অনেক জসন বের হত, তখন আমার ছেলে লিয়াকত প্রত্যেক জসনের সাথে ঘর থেকে বের হয়ে যেত। মুহাররাম তো শেষ হয়ে যেত কিন্তু সে লাকড়ি তুলে নিয়ে আমার উড়না টুকরা করে পতাকা বানিয়ে সারাদিন বাচ্চাদের নিয়ে ইয়া হোসাইন, ইয়া হোসাইন করতে থাকতো।”
পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী:
স্যার খাজা নাযিম উদ্দিন।
মাযহাব: শিয়া ইসনা আশারী।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ প্রশাসনের নাইট কমান্ডার
রাজত্বকাল ১৯৫১খ্রিঃ- ১৯৫৩খ্রিঃ
পাকিস্তানের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী:
স্যার ফিরোজ খান নূন।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ প্রশাসনের নাইট কমান্ডার।
রাজত্বকাল: ১৯৫৭খ্রিঃ- ১৯৫৮খ্রিঃ
শাহ জর্জ ষষ্ঠ এর পর পাকিস্তানের প্রথম রাণী:
এলিজাবেথ দ্বিতীয়।
ধর্ম: খ্রিস্টান।
খ্রিস্টিয় ধর্মের রক্ষক ইংল্যান্ডের গির্জার প্রধান গভর্ণর।
রাজত্বকাল: ১৯৫২- ১৯৫৬খ্রিঃ।
পাকিস্তানের পথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী:
স্যার জাফরুল্লাহ খান।
ধর্ম: কাদিয়ানী।
খ্রিস্টিয় রাষ্ট্র বৃটেনের নাইট কমান্ডার।
রাজত্বকাল: ১৯৪৭ খ্রিঃ- ১৯৫৪খ্রিঃ
পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রী:
যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল।
ধর্ম: হিন্দু
শাসনকাল: ১৯৪৭খ্রিঃ- ১৯৫১খ্রিঃ
পাকিস্তানের প্রথম প্রতিরক্ষামন্ত্রী:
স্যার সেকান্দার মির্জা।
ধর্ম: শিয়া ইসনা আশারী।
খ্রিষ্টিয় বৃটিশ সম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
মহাগাদ্দার মীর জাফরের নাতি।
শাসন কাল: ১৯৪৭খ্রিঃ- ১৯৫৪খ্রিঃ
পাকিস্তানের প্রথম অর্থমন্ত্রী:
স্যার ভিকটর টার্নার।
ধর্ম: খ্রিস্টান।
খ্রিষ্টিয় বৃটিশ সম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে খিলাফতে উসমানিয়্যার বিরুদ্ধে পূর্ণ অংশ গ্রহণ করে।
মন্ত্রীত্ব কাল: ১৯৪৭ খ্রিঃ- ১৯৫১ খ্রিঃ
পাকিস্তানের প্রথম আইন সচিব:
এ আর কারনিলেস।
ধর্ম: খিষ্টান।
পাকিস্তানের প্রথম চীফ জাষ্টিজ:
স্যার আব্দুর রশীদ।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পাঞ্জাব প্রদেশের প্রথম গভর্ণর:
স্যার রাবর্ট ফ্রান্সিস মুডি।
ধর্ম: খ্রিষ্টান।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
শাসন কাল: ১৯৪৭খ্রি: – ১৯৪৯খ্রিঃ
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর খাইবার পাখতুনখাহ প্রদেশের প্রথম গভর্ণর:
স্যার জর্জ কানেঙ্গম।
ধর্ম: খ্রিষ্টান।
খ্রিষ্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
শাসন কাল: ১৯৪৭খ্রিঃ- ১৯৪৮খ্রিঃ
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর খাইবার পাখতুনখাহ প্রদেশের দ্বিতীয় গভর্ণর:
স্যার এম্ব্রোস ডান্ডাস।
ধর্ম: খ্রিষ্টান।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
শাসন কাল: ১৯৪৮খ্রিঃ- ১৯৪৯খ্রিঃ
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব বাংলা প্রদেশ (বর্তমান বাংলাদেশ) এর প্রথম গভর্ণর:
স্যার ফ্রেডরিক।
ধর্ম: খ্রিষ্টান।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
রাজত্ব কাল ১৯৪৭খ্রিঃ- ১৯৫০খ্রিঃ
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব বাংলা প্রদেশ (বর্তমান বাংলাদেশ) এর দ্বিতীয় গভর্ণর:
স্যার ফিরোয খান নূন।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
রাজত্ব কাল ১৯৫০খ্রিঃ- ১৯৫৩খ্রিঃ
ভারত ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যৌথ সুপ্রিম কমান্ডার:
ফিল্ডমার্শাল স্যার ক্লড অকিনলেক।
ধর্ম: খ্রিষ্টান।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে খিলাফতে উসমানিয়্যার বিরুদ্ধে পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করেছে।
চাকরিকাল: আগষ্ট ১৯৪৭খ্রিঃ- নভেম্বর ১৯৪৮খ্রিঃ
পাকিস্তানের প্রথম সেনাপ্রধান:
জেনারেল স্যার ফ্রাঙ্ক মিসার্ভি।
ধর্ম: খ্রিস্টান।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে খিলাফতে উসমানিয়্যার বিরুদ্ধে পূর্ণ রূপে অংশগ্রহণ করে।
চাকরীকাল: ১৯৪৭খ্রিঃ থেকে ১৯৪৮খ্রিঃ
পাকিস্তানের দ্বিতীয় সেনা প্রধান:
স্যার ডাগলাস গ্রেসি।
ধর্ম: খ্রিস্টান।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে খিলাফতে উসমানিয়্যার বিরুদ্ধে পূর্ণ রূপে অংশগ্রহণ করে।
চাকরীকাল: ১৯৪৮খ্রিঃ- ১৯৫১খ্রিঃ
পাকিস্তানের তৃতীয় সেনাপ্রধান:
ফিল্ড মার্শাল মুহাম্মাদ আইউব খান।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
চাকরীকাল: ১৯৫১খ্রিঃ- ১৯৫৮খ্রিঃ
পাকিস্তানের চতুর্থ সেনা প্রধান:
জেনারেল মুহাম্মাদ মুসা।
ধর্ম: শিয়া ইসনা আশারী।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
চাকরীকাল: ১৯৫৮খ্রিঃ- ১৯৬৬খ্রিঃ
পাকিস্তানের পঞ্চম সেনাপ্রধান:
জেনারেল ইয়াহইয়া।
ধর্ম: শিয়া ইসনা আশারী।
পাকিাস্তান প্রথম বিমানবাহিনী প্রধান:
এয়ার ভাইস মার্শাল এলান পেরি কেইন।
ধর্ম: খ্রিস্টান।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে খিলাফতে উসমানিয়্যার বিরুদ্ধে পূর্ণরূপে অংশগ্রহণ করে।
চাকরীকাল: ১৯৪৭খ্রিঃ- ১৯৪৯খ্রিঃ
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর দ্বিতীয় চীফ:
এয়ার ভাইস মার্শাল স্যার রিচার্ড আচার্লি।
ধর্ম: খ্রিস্টান।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
চাকরীকাল: ১৯৪৯খ্রিঃ-১৯৫১খ্রিঃ
পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর তৃতীয় এয়ার চীফ:
এয়ার ভাইস মার্শাল লেসলি উইলিয়াম ক্যানন।
ধর্ম: খ্রিস্টান।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
চাকরীকাল: ১৯৫১খ্রিঃ- ১৯৫৫খ্রিঃ
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর চতুর্থ এয়ার চীফ:
এয়ার ভাইস মার্শাল স্যার আর্থার ম্যাকডোনাল্ড।
ধর্ম: খ্রিস্টান।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
চাকরীকাল: ১৯৫৫খ্রিঃ- ১৯৫৭খ্রিঃ
পাকিস্তান নৌ বাহিনীর প্রথম কমান্ডার ইন চীফ:
জেমস উইলফ্রেড জেফর্ড।
ধর্ম: খ্রিস্টান।
চাকরীকাল: ১৯৪৭খ্রিঃ- ১৯৫৩খ্রিঃ
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে খিলাফতে উসমানিয়্যার বিরুদ্ধে পূর্ণ অংশ গ্রহণ করে।
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা সমূহ (আই এস আই এবং এম আই) এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম ডিজি:
মেজর জেনারেল স্যার রবার্ট কথোম।
ধর্ম: খ্রিস্টান।
চাকরী কাল: ১৯৫০খ্রিঃ- ১৯৫৯খ্রিঃ
পাকিস্তানের মিলিটারি একাডেমি কাকোল এর প্রথম প্রতিষ্ঠাতা:
ব্রিগেডিয়ার ফ্রান্সিস এংগল।
ধর্ম: খ্রিস্টান।
খ্রিস্টিয় বৃটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার।
চাকরীকাল: ১৯৪৭খ্রিঃ- ১৯৫১খ্রিঃ
পাকিস্তানের কমান্ডো বাহিনী এস,এস,জি এর প্রতিষ্ঠাতা:
কর্নেল গ্রান্ট টেলর ও মেজর কেথ ওকিলি (১৯৫০)
এস এস জি এর প্রথম কমান্ডার:
কর্নেল কাহুন (১৯৫১খ্রিঃ)
পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় সঙ্গীতের রচিয়তা:
জাগন্নাথ আযাদ।
ধর্ম: হিন্দু।
প্রশ্ন হল:
সর্বশেষ বৃটেনের রানী পাকিস্তানের নাম কেন নিল? এর উত্তর স্পষ্ট যে, পাকিস্তান স্বাধীনই হয়নি।
এখনো কি আমরা স্বাধীনতা উৎসব পালন থেকে ফিরে আসবো না!? এখনো কি আপনারা এই পথভ্রষ্টকারী নেতাদের অনুসরণ ত্যাগ করবেন না?এখনো কি আপনারা এই মিথ্যাবাদী, ধোকাবাজ, প্রতারক ও পথভ্রষ্ট শাসকদের বিরুদ্ধে জিহাদি ঝান্ডা উঁচু করবেন না?! মনে রাখবেন: এক সময় এমন ছিল যে, উপমহাদেশের মুসলমানদের জিহাদের কোন ঠিকানা ও সাংগঠনিক বিন্যাস ছিল না। কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানের মুসলমানদের এই অসহায় অবস্থার কোন কারন নেই। আল্লাহ তা’আলা পাকিস্তানের মুসলমানদের জন্য জিহাদের রাস্তা খুলে রেখেছেন। আসুন আমি আপনাদের দাওয়াত দিচ্ছি যে, তাহরিকে তালেবান পাকিস্তানের কাতারে এসে মিলিত হোন এবং শরীয়ত অথবা শাহাদাতের বরকতময় ধ্বনি সমুন্নত করে জিহাদের ময়দানে বেরিয়ে পড়ুন। কেননা পাকিস্তানের এই ধর্মহীন শাসক জিহাদ ব্যতিত অন্যকোন ভাষায় সোজা হবে না।
ওয়া আখিরু দা’ওয়ানা আনিল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।