দেশের জনগণ রাষ্ট্রকে অর্থ দিচ্ছে। রাষ্ট্র সে টাকা দিয়ে পুলিশকে বেতনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এখন পুলিশের দায়িত্ব কী হওয়া উচিত ছিল তা সবারই জানা! তাদের অন্যতম দায়িত্ব ছিল মাদকদ্রব্যসহ সকল অপরাধ দমন করা। কিন্তু দু:খজনক হলেও প্রকৃত সত্য হলো- দেশে মাদকসহ নানা অপরাধে তারাই সবচেয়ে বেশি জড়িত। তারা মাদক চোরাচালান, মাদকদ্রব্য গ্রহণসহ মাদকের সাথে সম্পর্কিত সকল অপরাধেই জড়িত! তার কিছু নমুনা নিচে উল্লেখ করা হলো:-
২০ আগস্ট খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ৮৬ ইয়াবা বড়িসহ এক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরও এক নারী গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. ইকরাম হোসেন। সে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক। আর গ্রেপ্তার হওয়া নারীর নাম ইসমত আরা। ইসমত চট্টগ্রামে পোশাকশ্রমিক ছিলেন। পোশাকশ্রমিকের আড়ালে সে পুলিশের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়ে। তার চার বিয়ে ভেঙে গেছে। পুলিশ পরিদর্শক ইকরাম নাকি তার পঞ্চম স্বামী। কিন্তু ইকরাম স্ত্রীর মতই মেলামেশা করেও সবকিছু অস্বীকার করছে। ঐ পুলিশের অপর দুই ভাইও মাদক ব্যবসায়ী।
এদিকে, একইদিনে নারায়ণগঞ্জে ইয়াবা ও মাদক বিক্রির টাকাসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই)-কে তার সঙ্গীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫০ টাকা পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার আসামি এএসআই সালাউদ্দিন স্বীকার করে, নারায়ণগঞ্জ ডিবিতে থাকা অবস্থায় তাঁর সঙ্গে টেকনাফের কিছু মাদক ব্যবসায়ীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর টেকনাফ থেকে ইয়াবা আমদানি করে নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ ও বিক্রি করত এ ছাড়া এএসআই সালাউদ্দিন আরও জানায়, বিভিন্ন এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিত এবং সেই বাসা ব্যবহার করে তাঁর গাড়িচালক রনি ও অন্য সহযোগীদের মাধ্যমে ইয়াবা মজুদ ও বিক্রি করত।
১৬ আগস্টের প্রথম আলোর আরেকটি রিপোর্ট দেখা যেতে পারে, পড়লে লোম শিহরিয়ে উঠে। এরাই বুঝি জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিবে?
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) দায়িত্বরত এক গোয়েন্দাপুলিশ সদস্য। সম্প্রতি, তার মোটরসাইকেলে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ২৮ হাজারের বেশি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।
এরাই আবার মাদক বিরোধী অভিযানের নামে অনেক মানুষকে হত্যা করেছে। অনেক নিরাপরাধ মানুষগুলোকে জেলখানায় ফেলে রেখেছে। নিজেদের অপরাধের ফিরিস্তি ঢাকতে সাধারণ জনতাকে বিভিন্ন বিষয়ের ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রেখেছে। তারা আইনের পোশাক পড়ে সবচেয়ে বেআইনী কাজ করে থাকে। সকল অপরাধীদের সঙ্গ দেয় এবং নিজেও অপরাধ কর্মে জড়ায়। [সূত্র: প্রথম আলো]