অডিও ও ভিডিওআল-কাদিসিয়াহ মিডিয়াগাজওয়াতুল ম্যানহাটন আর্কাইভবাংলা প্রকাশনামিডিয়াশাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

মূল কাফেরদের উপর ৯/১১ তে বরকতময় আক্রমণের তিন মাস পর শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ’র বক্তব্য, পর্ব:১

مؤسسة القادسية

Al-Qadisiyyah Media

আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া

تقدم

Presents

পরিবেশিত

اصدار مرئي

A Video

একটি ভিডিও

الترجمة البنغالية لإصدار

The Bengali Translation of the Release

একটি ভিডিও এর অনুবাদ

القاء المرئى مع الشهيد الشيخ المجاهد اسامة بن لادن (رحمه الله)

Speech by the Mujahid Shaheed Shaikh Usama Bin Laden (Rahimahullah)

মুজাহিদ শহীদ শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) এর বক্তব্য

بعنوان

Entitled

শিরোনাম

بعد مرور ثلاثة أشهر على الضربات المباركة ضد الكفر العالمي في هجمات 11 سبتمبر: القسم الأول

Three Months After The Blessed Attacks Against the Main Infidel in 9/11 : part-1

মূল কাফেরদের উপর ৯/১১ তে বরকতময় আক্রমণের তিন মাস পর: পর্ব-১

ডাউনলোড করুন

পর্ব-১
হাই কোয়ালিটি
https://banglafiles.net/index.php/s/KNCHCDkaBEz3GEK
https://archive.org/download/Al_Qadisiyyah/tin_mash_por_part_1.mp4
http://www.mediafire.com/file/ncl316z1qkk54i3/5.tin_mash_por_part_1.mp4/file

লো কোয়ালিটি
https://banglafiles.net/index.php/s/oiamC7GyPJSyjsd
https://archive.org/download/Al_Qadisiyyah/tin_mash_por_part_1.3gp
http://www.mediafire.com/file/q37npjbhvpmveug/5.tin_mash_por_part_1.3gp/file
=====================================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

==============

শহীদ শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ. এর বক্তব্য

প্রকাশনায়:

আল-ক্বাদিসিয়াহ ফাউন্ডেশন

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمِٰنِ الرَّحِيْمِ

আমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে পানাহ চাই আমাদের নফসের অনিষ্ট থেকে এবং আমাদের মন্দ কাজের ফলাফল থেকে। আল্লাহ্ যাকে হেদায়াত দেন তাকে কেউ গোমরাহ্ করতে পারে না এবং পথভ্রষ্ট হতে দেন তাকে কেউ হেদায়েত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য অন্য কোন ইলাহ নেই এবং তাঁর কোন শরীক নেই। এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। কাফেরদের নেতা আমেরিকার দুনিয়াব্যাপী অন্যায়-অত্যাচার ও শয়তানির বিরুদ্ধে আক্রমনের তিন মাস অতিবাহিত হবার পর, এবং ইসলামের উপর ক্রুসেডারদের হিংস্র আঘাত হানার দুই মাস পর আমরা আপনাদের সামনে এই ঘটনাগুলোর মাহাত্ম্য সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরতে চাই। এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মুসলমানদের ধারণা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। এটা এখন স্ফটিকের মত স্বচ্ছ হয়ে গেছে যে, পশ্চিমারা বিশেষত আমেরিকা হচ্ছে ইসলামের বিরুদ্ধে নির্দয় ও অবিশ্বাস্য ঘৃণার আধার।যারা বিগত কয়েক মাসব্যাপী আমেরিকার বিভিন্ন ধরণের যুদ্ধ বিমানের বোমা হামলার অভিজ্ঞতা নিয়ে এখনও বেঁচে আছেন,তাদের কাছে এটা স্বতঃসিদ্ধভাবেই প্রমাণিত। কোন অপরাধ করা ছাড়াই কত গ্রাম উজাড় হয়ে গেছে! কত শত লোক মারাত্মক ঠান্ডার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বাস করতে বাধ্য হচ্ছে! এরা হচ্ছে মানুষের মাঝে সেই সব অসহায়, দুর্বল পুরুষ, মহিলা এবং শিশু যারা আজ পাকিস্তানের তাঁবুতে আশ্রয় নিচ্ছে। তারা তো কোন আপরাধ করেনি। কেবলমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে আমেরিকা এমন হিংস্রভাবে আক্রমণ চালিয়েছে! আজ যদি আমেরিকার কাছে অকাট্য প্রমাণও থাকতো যে, আক্রমণগুলো ইউরোপিয়ানরা করেছে, যেমন ধরা যাক আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি, তবে তারা ব্যাপারটির কূটনৈতিক সমাধানের জন্য হাজারো পথ খুঁজে বের করতো। কিন্তু সামান্য একটি সন্দেহও যখন মুসলিমদের জনগোষ্ঠীর ব্যাপারে করা হলো, তখন আমেরিকার আসল নোংরা ও কদর্য চেহারাটা বের হয়ে এলো। এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতি ক্রুসেডারদের হিংসাত্মক মনোভাব প্রকাশ পেয়ে গেল। আর এই কথার ধারাবাহিকতায় আমি আপনাদের বলতে চাই যে, মুসলিমদের এবং আমেরিকার মধ্যকার চলমান এই দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়, এবং এর ফলাফল শুধু মুসলমানদেরই প্রভাবিত করবে না, বরং সমগ্র পৃথিবীর উপরই এর প্রভাব পড়বে। আফগানিস্তানে হিজরত করে আসা আরব মুজাহিদীন যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করছেন, তাদের সম্পর্কে আমেরিকা যে দোষারোপ করে তার স্বপক্ষে তাদের কাছে কোনই সাক্ষ্য-প্রমাণ নেই, বরং তারা তো নিজেদের জুলুম, অবিচার আর হিংস্রতার বশবর্তী হয়েই এই অঞ্চলে আক্রমণ করেছে। আল্লাহর রহমতে আফগানিস্তানে আরব মুজাহিদীনদের ইতিহাস শ্বেত শুভ্রতায় লেখা হয়ে আছে। তারা তো বিশ বছর আগে সেই সময়ে এখানে এসেছিল যখন আফগান জনসাধারণের বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন এক সন্ত্রাসী আগ্রাসন ঘটিয়েছিল। তখন এই আরব মুজাহিদীনগণ তাদের কাজ, স্কুল, পরিবার ও বন্ধু-পরিজন ছেড়ে বের হয়েছিলেন আল্লাহর সন্তুষ্টির সন্ধানে, তাদের ঈমান ও বিশ্বাসের সমর্থনে এবং সেই সাথে মুসলমানদের দুর্বল ও অত্যাচারিত অসহায় শিশুদের রক্ষা করার জন্য। এটা কখনোই বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না যে,যারা অত্যাচারিত অসহায় শিশুদের রক্ষার্থে এসেছিলেন, তারাই এরপর নিরাপরাধ জনসাধারণকে হত্যা করা শুরু করে দিল – যা তাদের বিরুদ্ধে অপবাদ প্রধানকারীরা বলে থাকে! এ সবই এখন ইতিহাস, আর যারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল, আমেরিকা তাদের সকলকেই সাহায্য করেছিল। অথচ সখন আরব মুজাহিদীনরা ফিলিস্তিনের দুর্বল, মজলুম শিশুদের সাহায্যার্থে তাদের পাশে দাঁড়ালেন, সঙ্গে সঙ্গেই আমেরিকার গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেল এবং যারা আফগানিস্তানে যুদ্ধ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষে বদ্ধপরিকর হল। আজ ফিলিস্তিনে যে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও জুলুম চলছে তা সকলের নিকটই পরিষ্কার। বনী আদম (আলাইহিস সালাম) এর আদি পিতা হবার বিষয়টির পর এই একটি বিষয়েই বোধহয় সমগ্র মানবজাতি একমত হতে পেরেছে। কোন বিষয়ে মতের মিল না হওয়া এবং দ্বিমত পোষণ করা মানব চরিত্রেরই অংশ। কিন্তু এমন কিছু সহজাত বিষয় আছে যেগুলোকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সকল প্রকার মতানৈক্য থেকে রক্ষা করেছেন, শুধুমাত্র তারা ব্যাতীত যারা তাদের অন্তরকে গোমরাহিতে নিমজ্জিত করেছে এবং চরম মাত্রার অবিচার ও অত্যাচারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমন একটি সহজাত প্রবৃত্তি যার ব্যাপারে সমগ্র মানবজাতি একমত তা হলো, তারা নিষ্পাপ শিশুদের উপর অল্প মাত্রায় অবিচার বা জুলুম করতে সক্ষম হলেও, তাদেরকে হত্যা করতে কোনক্রমেই সক্ষম নয়। ফিলিস্তিনে পূর্বে যা হয়েছে এবং এখনও যেভাবে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সেখানে নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে তা চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্য, যা অবিস্মরণীয় অবিচার ও জুলুম এবং মনুষ্যত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এমন সুপরিকল্পিতভাবে নিষ্পাপ শিশু হত্যা ইতিহাসের পাতায় বিরল। প্রকৃতপক্ষে এমন ঘটিছিল ফেরউনের সময় এবং মহান আল্লাহ বনী ইসরাঈলের প্রতি সদয় হয়ে তাদেরকে ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা করেন। যেমন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন : “আর স্মরণ করো সেই সময়ের কথা যখন আমরা তোমাদেরকে ফেরাউনের লোকদের থেকে রক্ষা করলাম যারা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিত, তারা তোমাদের পুত্র সন্তানদেরকে হত্যা করতো এবং তোমাদের কন্যা সন্তানদেরকে (অন্যায়-অপব্যবহারের উদ্দেশ্যে) ছেড়ে দিত” এভাবে শিশুদের হত্যার মাধ্যমে অবিচার, কুফরী ও অত্যাচারের নেতা ফেরাউন ইতিহাসের পাতায় কুখ্যাত হয়ে আছে। কিন্তু এখন ইসরাঈলিরা ফিলিস্তিনিদের নিরপরাধ শিশুদের হত্যা করার জন্য ঠিক একই পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। সমগ্র বিশ্ব দেখছে এবং অবলোকন করছে যে কিভাবে সন্ত্রাসী ইসরাইলি সৈন্য বাহিনী মুহাম্মাদ আদ-দুররাকে হত্যা করেছে। এবং মুহাম্মাদ আদ-দুররার ন্যায় এমন আরও অনেক শিশুই আছে যাদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। সমগ্র পৃথিবী, পূর্ব এবং পশ্চিম, তাদের ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকা সত্ত্বেও সহজাত মনুষ্যত্ববোধ থেকে সকলেই নির্বিশেষে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করছে। কিন্তু বিবেকবর্জিত আমেরিকা ফিলিস্তিনে আমাদের সন্তানদের আক্রমণকারী এই সব নোংরা জালিমদের ক্রমাগত পৃষ্ঠপোষকতা ও সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এই বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, যখন কেউ আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, অন্যায়ভাবে আক্রমণ করে এবং সীমা অতিক্রম করে বিনা অপরাধে কাউকে হত্যা করে, তখন সেটা হয় এক চরম পর্যায়ের খারাপ কাজ। আর আল্লাহর দৃষ্টিতে এর চাইতে চরম ঘৃণিত কাজ হচ্ছে নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সূরা মায়েদাহ এর ৩২নং আয়াতে বলেন: “এ কারণেই আমি বনী-ইসরাইলের প্রতি ওহী করেছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করার অপরাধ ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সকল মানুষকেই হত্যা করলো। এবং যে ব্যক্তি কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সকল মানুষেরই জীবন রক্ষা করে।” কাজেই ব্যাপারটা এমন যেন, ইসরাইল এবং তাদের পিছনে আমেরিকা, দুইয়ে মিলে সমগ্র পৃথিবীর শিশুদের হত্যা করেছে। আর আগামী দিনগুলোতেও তাবুক বা যাউফ বা ফিলিস্তিনের অন্যান্য এলাকাগুলোর শিশুদের হত্যা করা থেকে ইসরাইলকে কে নিবৃত্ত করবে? আর কোন শাসক ইসরাইলকে তাদের অন্যায়ভাবে সীমানা বাড়ানো থেকে নিবৃত্ত করবে যেমনটা তাদের ভুয়া এবং পরিবর্তন করা কিতাবে লেখা আছে: ‘আমাদের সীমানা মদীনা পর্যন্ত বিস্তৃত’? এই শাসকগোষ্ঠী আমেরিকার জায়নিস্ট লবির কাছে মাথা নত করা আর খাবি খাওয়া ছাড়া আর কিইবা করতে পারবে? কাজেই যারা যৌক্তিকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা রাখেন তাদের বোঝা উচিত যে আজ মোহাম্মাদ আদ-দুররা ও তার ভাই-বোনদের সাথে যা হচ্ছে সেই ঘটনা তাদের নিজেদের সন্তান ও নারীদের উপরেও ভবিষ্যতে আপতিত হবে, আর আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা ব্যতীত কোন ক্ষমতা ও শক্তি-সামর্থ্য নেই। কাজেই এই বিষয়টি এখন অত্যন্ত ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে এবং আমেরিকা ইরাক ও ফিলিস্তিনে তার এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সবচেয়ে ঘৃণ্য অপব্যবহার করছে। দুর্ভাগা বুশের বাবা একাই ইরাকে দশ লক্ষ শিশু হত্যার জন্য দায়ী, অন্যান্য পুরুষ ও নারী হত্যার কথা না হয় নাই বললাম। সেপ্টেম্বর ১১ এর ঘটনা কেবল সেই অবিচার এবং জুলুমেরই বহিঃপ্রকাশ যা ক্রমাগত আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে জারি আছে ফিলিস্তিন, ইরাক, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, কাশ্মির এবং আসাম এর মত অন্যান্য জায়গায়। এই বিষয়গুলো সমগ্র মুসলিম উম্মতের জন্যই উদ্বেগের বিষয়। কাজেই বিবেকবান মানুষের জন্য এটা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে যে, তারা তাদের নিদ্রা থেকে জেগে উঠে এই পরিস্থিতির একটি সমাধান খুঁজে বের করবে যা কিনা সমগ্র মানবজাতির অস্তিত্বের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা এই সব আক্রমণের নিন্দা করেন, তারা নিজেরা আসলে এই ঘটনাগুলোর সাথে অতীতের বিষয়গুলোক সাথে সংযোগ স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন- যার পরিণতিই হচ্ছে আজকের এই (৯/১১) অপারেশনগুলো। আর তাদের চিন্তা-ভাবনা অতি সংকীর্ণ। তাদের এই আচরণ দ্বীনের সাথে সম্পর্কিত নয়, কোন শরয়ী মতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এমনকি তা সাধারণ যৌক্তিকতারও বিরোধী। তারা শুধুমাত্র এই অপারেশনগুলো সম্পর্কে আমেরিকা প্রচারিত কটুক্তিগুলোই দেখেছে এবং সাথে সাথে সেটার প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে। তাদের উদাহরণ সেই নেকড়ের মত যে একটি সদ্য প্রসূত ভেড়া দেখে তাকে বলল: “তুইই তো সেই যে গত বছর আমার পানি নোংরা করেছিস।” ভেড়াটি বলল: “সেটা আমি ছিলাম না।” নেকড়ে বলল: “না তুইই ছিলি।” আর এটা নিয়ে তার উপর জোর খাটাতে লাগল। তখন ভেড়াটি তাকে বলল: “কিন্তু আমার তো এই বছরই জন্ম হয়েছে।” নেকড়ে তখন বলল: “তবে নিশ্চয়ই সে তোর মা ছিল!” এবং এই বলে সে ভেড়াটিকে খেয়ে ফেলল। ভেড়াটির মা যখন নেকড়ের দাঁতের আঘাতে নিজের বাচ্চার ছিন্ন বিছিন্ন হওয়া দেখতে পেল তখন তার আর কি করার ছিল? ভেড়াটির মা তার মাতৃত্ববোধের অনুভূতির দ্বারা তাড়িত হয়ে নেকড়েটিকে মাথা দিয়ে সজোরে একটা ধাক্কা মেরে বসলো। যদিও নেকড়েটির তাতে কিছুই হল না, তারপরও সে চিৎকার করা শুরু করল: “বাঁচাও, বাঁচাও সন্ত্রাসী!” তাই শুনে তোতাগুলোও নেকড়ের মত চেঁচাতে লাগল আর বলতে লাগল যে, “আমরাও দেখেছি নেকড়েকে আক্রমণ করে ভেড়া খুবই খারাপ কাজ করেছে!” কোথায় ছিল এরা যখন বিনা কারণে নেকড়ে ভেড়ার বাচ্চাকে খেয়ে ফেলল? কাজেই এই সফল আক্রমণগুলো আর কিছুই নয়; ফিলিস্তিন, ইরাক এবং আমাদের অন্যান্য দেশে যা কিছু তারা করেছে, এটা তারই প্রতিফল মাত্র। আমেরিকা তার এই সব নীতির প্রয়োগের বিস্তার ঘটিয়েছে জর্জ বুশের ছেলের ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে যে কিনা তার পরিষদকে পরিচালিত করা শুরুই করেছে ইরাকে আগ্রাসী আক্রমণের মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র এটি পরিষ্কার করার জন্য যে, মুসলমানদের রক্ত তাদের কাছে কতটা সস্তা। এসবই আল্লাহর রহমতে ৯/১১ এর আক্রমণকে সংগঠিত করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। এই বরকতময় আক্রমণের মাধ্যমে অনেক বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে। এতে খুব ভালোভাবে প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, এই অহংকারী ও উদ্ধত আমেরিকা – এই জামানার হুবল দেবতা (প্রাক ইসলামী যুগে অন্যতম একটি বড় মূর্তি) – মূলত অত্যন্ত বড় অর্থনৈতিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু তা অত্যন্ত ভঙ্গুর এবং আল্লাহর রহমতে তা অতি দ্রুত ধসে পড়বে। যারা এই আক্রমণ পরিচালনা করেছিল, তারা ঊনিশটি আরব দেশের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছিল না, কোন সেনাবাহিনীকে এই আক্রমণের জন্যও একত্র করতে হয়নি, অথবা এটা কোন আরব দেশের সরকারের পক্ষ থেকেও ছিল না, যারা কিনা ফিলিস্তিন ও অন্যান্য জায়গায় মুসলমানদের উপরে চলমান জুলুম ও হত্যাকাণ্ডকে একান্ত আনুগত্যের সাথে মেনে নিয়েছে।

(প্রথম পর্ব সমাপ্ত)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − one =

Back to top button