নির্বাচিতবাংলাদেশসংবাদ

বাংলাদেশের মুক্তমনা লেখকদের অন্যতম কুখ্যাত জাফর ইকবালের মাথায় ছুরিকাঘাত

বাংলাদেশের মুক্তমনা লেখকদের অন্যতম এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবি) অধ্যাপক জাফর ইকবালকে মাথায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় গতকাল শুক্রবার হতে শুরু হওয়া ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের বিভাগীয় সভাপতি হিসেবে উদ্বোধন করে জাফর ইকবাল। আজ শনিবার বিকালে এর সমাপনী অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক মো. রাশেদ তালুকদারসহ আরো কিছুজন জানিয়েছে যে মুক্তমঞ্চ এলাকায় পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাফর ইকবালের মাথায় আঘাত করা হয়। জানা যায়, ছুরির সাহায্যে একজন সাহসী যুবক গলা, বুক ও মুখের দিকে আঘাতের চেষ্টা করে। তবে সঙ্গে সঙ্গে হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। হামলাকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাকি বহিরাগত তা এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। কথিত ঐ লেখক সম্পর্কে জানা যায়, সে তার লেখায় ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করত। ইসলামকে কটাক্ষ করাসহ মুসলিমদের হৃদয়মণি, মানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নিয়ে রীতিমত মিথ্যা রটনা করত। সে ছিল মূলত নাস্তিক লেখকদের মধ্যে অন্যতম। তার লেখা সুস্পষ্টভাবে মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ ছিল। ইসলামকে কটাক্ষ করার জন্য প্রতারণার আশ্রয় নিতেও তার কলম কুণ্ঠিত হত না। এমনটাই বুঝা যায় তার লেখা কিছু বইয়ে। এরকমই একটি বই হলো “ভূতের বাচ্চা সুলায়মান”, যা জাফর ইকবাল ছোটদের জন্য লিখেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে অনেক তোলপাড় চলছে। সম্প্রীতি প্রকাশ হওয়া এ বইয়ের শিরোনাম দেখেই বুঝা যায় ঐ নিকৃষ্ট লেখকের চিন্তাধারার কেমন। আসলে সে কল্পকথার নামে মুসলিম বাচ্চাদের চিন্তাধারা পাল্টে দেওয়ার নিকৃষ্ট পরিকল্পনায় লিপ্ত ছিল, যা তার এ ধরণের লেখনীর মাধ্যমে বুঝে আসে। তাই, এরকম ইসলামবিদ্বেষী লেখকের এমন পরিণতি মুসলিমদের চোখকে শীতল করেছে, অন্তরকে প্রশান্ত করেছে।

Related Articles

Back to top button