আন-নাসর মিডিয়ানির্বাচিতপিডিএফ ও ওয়ার্ডবার্তা ও বিবৃতি [আন নাসর]বাংলা প্রকাশনামিডিয়া

|| Bengali Translation || গাজার জনগণ সফল হয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ চলমান!

اداره النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media

پیش کرتے ہیں
পরিবেশিত
Presents

بنگالی ترجمہ
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation

عنوان:
শিরোনাম:
Titled:

بيان : فاز أهل غزة، والمعركة مستمرة

গাজার জনগণ সফল হয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ চলমান!
১৮ রজব ১৪৩৯ হিজরি | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

“The people of Gaza have succeeded, but the war continues!”

|| Bengali Translation || গাজার জনগণ সফল হয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ চলমান!

 

ڈاونلوڈ کریں
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading

پی ڈی ایف
PDF (330 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৩৩০ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/pz9smmpqd2AMBBf
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/MgAKrWsgFM7mtyS
লিংক-৩ : https://archive.org/download/20250122_20250122_1652/pdf.pdf

 

ورڈ
WORD (175 KB)
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [১৭৫ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/epEnAKDg5icCmPr
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/MHkHaxeoPMNWqTm
লিংক-৩ : https://archive.org/download/20250122_20250122_1652/word%20FilistinAQS.docx

 

بينر
banner [70 KB]
ব্যানার [৭০ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/gYLPZSQsw3eFD9N
লিংক-২ : https://archive.gnews.to/index.php/s/gYLPZSQsw3eFD9N
লিংক-৩ : https://archive.org/download/20250122_20250122_1652/Bannar.png


Statement: AQS_11_001

তারিখ: ১৮ রজব ১৪৩৯ হিজরি | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

 

গাজার জনগণ সফল হয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ চলমান!


الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على سيد الأنبياء والمرسلين وعلى آله وصحبه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين، أما بعد

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি বিশ্বজাহানের রব। রহমত ও শান্তি তথা সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক সাইয়েদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালিন তথা সকল নবী ও রাসূলের সরদার, আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর, তাঁর পরিবার-পরিজনের ওপর, তাঁর সাহাবীদের ওপর এবং কিয়ামত পর্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণকারী সকলের ওপর।

সালাত ও সালামের পর

পনেরো মাস ধরে চলা কঠিন সংগ্রাম, অসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং ঈমান ও সাহসিকতার সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তের পর ফিলিস্তিনের ভূমিতে বিজয়ের চাঁদ উদিত হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাঁর বান্দাদের এক মহৎ বিজয় ও সাফল্য দান করেছেন। সমস্ত প্রশংসা সেই রাব্বুল আলামিনের জন্যই।

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ أَعَزَّ جُنْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَغَلَبَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ فَلَا شَيْئَ بَعْدَهُ

“আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তিনি তাঁর সেনাবাহিনীকে সম্মানিত করেছেন, তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাই দলগুলোকে পরাজিত করেছেন। এরপর আর কিছুই নেই।”

গত দুই মাসে, ইহুদি শক্তিগুলো (বিশেষত নেতানিয়াহু, বাইডেন এবং ট্রাম্প) বারবার দাবি ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা গাজার মুজাহিদদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেবে। এটি সেই একই দাবি, যা দুই-আড়াই দশক আগে বুশ করেছিল যে, সে আফগানিস্তানের মুজাহিদদের নিশ্চিহ্ন করে দেবে। গাজা থেকে কাবুল পর্যন্ত ক্রুসেডার এবং ইহুদি শক্তির পরাজয়ের গল্প একই রকম, আর ঈমানদারদের বিজয় ও সফলতার কাহিনীও একই।

গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি ইসলামের অনুসারী এবং মুজাহিদদের জন্য একটি সুস্পষ্ট বিজয় এবং ইহুদি শক্তির জন্য একটি সুস্পষ্ট পরাজয়।

একদিকে ছিল কেবলমাত্র কয়েক টুকরো শুকনো রুটি (যা শত্রুর বন্দিদের খাওয়ানোয় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে) এবং অতি সামান্য অস্ত্র। কিন্তু সেই সঙ্গে ছিল ঈমান, আল্লাহর প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস, জিহাদের প্রেরণা এবং শাহাদাতের প্রতি প্রবল আকাঙ্ক্ষা।

অন্যদিকে ছিল বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সেনাবাহিনী, অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, যুদ্ধক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মানের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা। তবে তাদের মধ্যে ছিল আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের পরিবর্তে বাইডেন, ট্রাম্প এমনকি দাজ্জালের প্রতিশ্রুতিতে আস্থা। তাদের হৃদয়ে ছিল নবীদের এবং নবীদের উত্তরাধিকারীদের হত্যার দীর্ঘ ইতিহাস, মৃত্যুর প্রতি ঘৃণা এবং পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা।

আল্লাহু আকবার! সমস্ত প্রশংসা সেই মহান সত্ত্বার জন্য, যিনি তাঁর বান্দাদের কঠিন পরিস্থিতিতে দৃঢ় রেখেছেন এবং তাদের বিজয়ের সম্মান দান করেছেন।

এই বিজয়ের মুহূর্তে আমরা পুরো মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই, বিশেষত ঈমান ও দৃঢ়তার মূর্ত প্রতীক গাজার ইসলামপ্রেমী জনগণ, কাতায়িবুল কাসসামের মুজাহিদগণ এবং সারায়াল কুদসের মুজাহিদগণকে।

তাই উম্মাহর আলেম ও তালিবে ইলম, ডাক্তার ও প্রকৌশলী, সাহিত্যিক, কবি ও সাংবাদিক, অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ—সকল পুরুষ ও নারীর ওপর জিহাদ ফরজে আইন। উম্মতে মুসলিমা যে জাগরণ ও ঈমানি প্রেরণার সঙ্গে জায়োনিস্ট পণ্যের বর্জনের ঐতিহাসিক সফল অভিযান শুরু করেছে, তা অব্যাহত রাখা উচিত। বরং জায়োনিস্ট পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বর্জন করা জরুরি, যা উম্মাহসহ সমগ্র মানবতাকে ক্রুসেডীয় জায়োনিস্ট নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের দাস বানানোর চেষ্টা করছে।

ক্রুসেডীয় ও জায়োনিস্ট শক্তিগুলো যুদ্ধকে সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছে। তাই ইসলাম ও জিহাদের অনুসারীদেরও এই যুদ্ধ প্রতিটি সামরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং চিন্তাশক্তির ময়দানে লড়তে হবে। তুফানুল আকসা নামক ফরজে আইন এই জিহাদের একটি ধাপ আমরা অতিক্রম করেছি, কিন্তু আমাদের গন্তব্য এখনো বাকি।

আল্লাহ তাআলার বাণী:

وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ

“আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায় এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।” (সূরা আনফাল,  ৮: ৩৯)

কুফরের ফিতনা এখনও শেষ হয়নি; বরং তা সারা বিশ্বে প্রবল হয়ে রয়েছে এবং তারই শাসন ব্যবস্থা বিশ্বে কার্যকর। ইসরাইলের অহংকার এখনো ভাঙেনি, তারা এখনো নতুন করে যুদ্ধ শুরু করার হুমকি দিচ্ছে। ইসরাইলের সবচেয়ে বড় মদদদাতা আমেরিকা এখনো আগের মতোই, বরং আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালীভাবে ইসরাইলের পাশে রয়েছে; সামরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিকভাবে সমর্থন দিয়ে চলেছে। গত পনেরো মাসের যুদ্ধ এটি আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ইসরাইলের শক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত ভাঙা সম্ভব নয়, যতক্ষণ না বিশ্বজুড়ে আমেরিকার লক্ষ্যবস্তুগুলোকে আঘাত করে আমেরিকাকে দুর্বল করা হয়।

আমরা আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, যেন তিনি তাঁর প্রিয় হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতকে বিজয়ী করেন, এই উম্মাহর শহীদদের শহাদাত কবুল করেন, আহতদের আরোগ্য দান করেন, গৃহহীনদের আশ্রয় দেন, ক্ষুধার্তদের খাবার এবং তৃষ্ণার্তদের পানি দান করেন। আর সমগ্র উম্মাহর মধ্যে জিহাদ ও শাহাদাতের চেতনার সুবাসিত বাতাস প্রবাহিত করেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহর এই বাণীতে আমাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতার সুসংবাদ রয়েছে:

وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ (١٣٩) إِن يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِّثْلُهُ ۚ وَتِلْكَ الْأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَتَّخِذَ مِنكُمْ شُهَدَاءَ ۗ وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ الظَّالِمِينَ (١٤٠) وَلِيُمَحِّصَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَيَمْحَقَ الْكَافِرِينَ (١٤١) أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ (١٤٢)

“আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও, তবে তোমরাই জয়ী হবে। (১৩৯) তোমরা যদি আহত হয়ে থাক, তবে তারাও তো তেমনি আহত হয়েছে। আর এ দিনগুলোকে আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন ঘটিয়ে থাকি। এভাবে আল্লাহ জানতে চান কারা ঈমানদার, আর তিনি তোমাদের কিছু লোককে শহীদ হিসেবে গ্রহণ করতে চান। আর আল্লাহ অত্যাচারীদের ভালোবাসেন না। (১৪০) আর এ কারণে আল্লাহ ঈমানদারদের পাক-সাফ করতে চান এবং কাফিরদের ধ্বংস করে দিতে চান। (১৪১) তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জিহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্যশীল।(১৪২)” (সূরা আলে ইমরান, ৩: ১৩৯-১৪২)

 

وآخر دعوانا أن الحمد للہ رب العالمین وصلی اللہ تعالیٰ علی نبینا الأمین!

 

অনুবাদ প্রকাশনা

 

*****************************************

اپنی دعاؤں میں ہمیں یاد رکھيں
اداره النصر براۓ نشر و اشاعت
القاعدہ برِّ صغیر
আপনাদের দোয়ায়
আন নাসর মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent

*****************************************

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 1 =

Back to top button