আরবইলম ও আত্মশুদ্ধিবই ও রিসালাহবালাকোট মিডিয়ামিডিয়াশাইখ আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসী হাফিযাহুল্লাহশামহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

যেন অপরাধী লোকদের পথরেখা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়ে – শাইখ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ

যেন অপরাধী লোকদের পথরেখা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়ে

– শাইখ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ

যেন অপরাধী লোকদের পথরেখা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়ে – শাইখ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ

অনলাইনে পড়ুন-

https://justpaste.it/jeno_oporadider_pothrekha_prokas

 

Word

https://banglafiles.net/index.php/s/ttjL8FCYaLdWm5M

https://archive.org/download/jeno-oboradhi-lokder-pothorekha-prokasito-na-hoye-pore/20.jeno_oporadhi_lokder_pothrekha_shusposhto_hoye_pore%20F.docx
http://www.mediafire.com/file/u1zkjnw61t6aqha/20.jeno_oporadhi_lokder_pothrekha_shusposhto_hoye_pore.docx/file

 PDF

https://banglafiles.net/index.php/s/8KLrr2w4JDEWS64

https://archive.org/download/balakot_media_books/jeno_oporadhi_lokder_pothrekha_shusposhto_hoye_pore.pdf
http://www.mediafire.com/file/c87v139vts57n1u/20.jeno_oporadhi_lokder_pothrekha_shusposhto_hoye_pore.pdf/file

==================================

যেন অপরাধী লোকদের পথরেখা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়ে

وَكَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ الْآيَاتِ وَلِتَسْتَبِينَ سَبِيلُ الْمُجْرِمِينَ

আর এমনিভাবে আমি নিদর্শনসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করিযাতে অপরাধীদের পথ সুস্পষ্ট হয়ে উঠে।

(সূরা আনআমঃ ৫৫)

………………………………………….. ………………………………………….. ……………………..

যে বান্দা দ্বীনের শত্রুদের মোকাবেলা করতে চায়, তাদের মিথ্যাকে নিজ হাতে ধ্বংস করে দিতে চায়, তার পক্ষে সেই শত্রুদের ব্যাপারে আল্লাহর বিধান সম্পর্কে জ্ঞান না রাখা মোটেও শোভা পায় না। এমন বান্দার জন্য তো এই জ্ঞান রাখা খুবই জরুরি, কারণ এই জ্ঞানের অভাবে এমনকি এমনও হতে পারে যে, সে শত্রুদেরকে চিনতে ভুল করছে, তাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করছে, অথবা ভাবছে যে এখনও তারা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যায় নি (অর্থাৎ, এখানো তাদেরকে মুসলমান ভাবছে!)

আমি কিছু যুবক ভাইদের চিনি। তারা প্রবল উদ্দীপনার সাথে জিহাদের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন, অস্ত্রশস্ত্র যোগাড় করলেন। জিহাদের ভূমিতে পৌঁছবেন এই ছিল তাদের মনের কামনা। কিন্তু পথে ধরা পড়ে গেলেন। তখন তারা তাদেরকে বন্দিকারী বাহিনীদের () সাথে এমন আচরন করতে লাগলেন যেন সেই বাহিনীর লোকেরা মুসলমান! আমি বিস্ময় এবং বেদনায় হতবাক হয়ে গেলাম যখন জানতে পারলাম যে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই বাহিনীদেরকে মুসলমান ভেবে এই ভাইয়েরা তাদেরকে ধোঁকা দেন নি, তাদের সাথে কোন মিথ্যা কথা বলেন নি, বরং তাদের দেয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতিকে নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করেছেন। মুসলমানদের সাথে দয়ালু ও সদাচারী হতে হবে ভেবে এই ভাইয়েরা সত্যবাদীর মত সবকিছু স্বীকার করেছেন! কোন খুঁটিনাটি ব্যাপার পর্যন্ত বাদ রাখেন নি, সবকিছু বলে দয়েছেন! কিন্তু স্বীকার করার ফল হল এই যে, নির্দয় অন্যায় আচরণ ও চরম অত্যাচার সহ্য করে এই ভাইগুলিকে দীর্ঘ সময় যাবৎ কারাবন্দী থাকতে হলো। জালেমদের ব্যাপারে আল্লাহর বিধান না জানার করনেই এমনটা হলো। বন্দিকারী লোকেরা যে তাদের কাফের প্রভুদের অনুগত্য করে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করছে, তা না দেখার কারণেই এমনটা হলো। তারা বোঝেনি যে, প্রতিরক্ষা বাহিনীর এসব লোক, মুসলমানদের সাথে ওয়াদা পালনের ধার ধারে না, কোন সম্পর্কের সম্মানও করে না। তারা জানতো না যে, এ লোকগুলো মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে কী ভয়ানক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, এদের কাজের কাজের ভিত্তিই হচ্ছে ধোঁকা, মিথ্যা আর ষড়যন্ত্র।

আমি এক ভাইকে চিনি, তিনি কোরআনের হাফেজ। তিনি ছিলেন অত্যান্ত ধৈর্য্যশক্তি ও সহ্যক্ষমতার অধিকারী। ধরা পরার পরে তাকে মারধর, জুলুমঅত্যাচার, তার ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো, কি না করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো, তার মুখ থেকে যেন এমন স্বীকারোক্তি আদায় করা যায়, যার দ্বারা তাকে সূদীর্ঘ সাজা দেয়া সম্ভব হয়। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ্*, তিনি এই সবকিছুর মাঝেও দৃঢ় ছিলেন, এতো অত্যাচার সহ্য করা সত্ত্বেও তিনি তাদের ষড়যন্ত্রে পতিত হয়ে স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হন নি। তো বন্দীকারীরা তাকে ফাঁদে ফেলার জন্য এবার একটা নতুন ফন্দি আঁটলো। ধরা পড়ার পূর্বে এই ভাই এক মসজিদে ইমামতি করতেন। এবার শত্রুরা তাকে এমন একজনের হাতে তুলে দিলো যা ব্যক্তি কিনা সে মসজিদে তার পিছে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতো।

লোকটি এসে নিজের পরিচয় দিলো, ভাইটিকে স্মরন করিয়ে দিলো যে, সে একসময় তার সাথে নামাজ পড়েছে। এই লোক বহু রকম ওয়াদা করে, কসম কেটে বললো, যদি এই ভাই স্বীকারোক্তি প্রদান করেন, তবে সে নিজে তাকে সাহায্য করবে, এমনকি তাকে কোর্টে যেতে হবে না। তো ভাইটি তার কথার ওপর ভরসা করে এবারের প্রশ্নকর্তার কাছে সবকিছু অকপটে স্বীকার করলেন। এই দফায় তাকে একটিও আঘাত করা লাগলো না, আর কি সহজেই না তার স্বীকারোক্তি মিলে গেলো। অথচ কত ভয়ানক নির্যাতনের মুখেও এই ভাই অবিচল ছিলেন, খুব অল্প লোকই এমনটা সহ্য করতে পারেন। কিন্তু চালাকি, ধোঁকাবাজি, আর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা এমন কিছু আদায় করে নিতে সক্ষম হলো, যা মারধর আর আত্যাচার করেও আদায় করা সম্ভব হয় নি। আর এই ভাইয়ের কি হলো? তাদেরকে বিশ্বাস করার ফলে, তাদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করার বিনিময়ে তাকে পেতে হলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। অবশ্যই এই ভাই আগে এই জালেমদেরকে () কাফের হিসেবে গণ্য করতেন না, তিনি জালেমদের সঠিক বাস্তবতা সমন্ধে স্পষ্টভাবে আবগত ছিলেন না, প্রশ্নকর্তা নামাজী ব্যক্তিত্ব তার কাছে অনেক গুরুত্ব বহন করতো। কিন্তু এই চরম ভুলের কুফল তাকে আজো বয়ে বেড়াতে হচ্ছে, দশ বছর যাবৎ তিনি কারাদণ্ডের পেছনে, আল্লাহ তাআলা তাকে বন্দীশালা থেকে মুক্ত করুন। আমিন!

আমি এক যুবককে চিনতাম, সে জঙ্গলে একদিন একটা বোমা খুঁজে পেলো, সে এটা তার বাড়িতে নিয়ে গেলো। এরপর, কোন এক সময়, ভয়ংকর মূর্খের মতো সিদ্ধান্ত নিলো যে, সে হবে একজন সচ্চরিত্র নাগরিক (তারা যেমনটা বলে থাকে!), আর তাই সে আদর্শ নাগরিকের মতো পুলিশের কাছে গিয়ে সব খুলে বলবে। সে অবশ্যই নিরাপত্তা রক্ষী কর্মদেরকে কাফের হিসেবে বিবেচনা করতো না। তাই সে তাদের কাছে গিয়ে বললো যে, সে জঙ্গলে একটা বোমায় হোঁচট খায়, পড়ে সে বোমাটি বাসায় নিয়ে যায়। সে তাদেরকে বললো তারা যেন বাড়িতে এসে বোমাটি অপসারণ করে। পুলিশ তাকে অপেক্ষা করতে বললো, আর আর বললো বোমাটি সংগ্রহ করার জন্য তারা একঘণ্টার মাঝেই পৌঁছে যাবে। আর সত্যিই, তারা একঘণ্টা আগেই ছেলেটির বাসায় পৌঁছে গেলো! তবে তারা একা ছিল না, তাদের সাথে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী, বিশেষ বাহিনী, ইন্টেলিজেন্স ফোর্স, এবং অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই গাড়ি। তারা ছেলেটির বাসা ঘিরে ফেললো। বাসায় মধ্যে ঢুকে তল্লাসি চালালো, সবকিছু তছনছ করে ফেললো, এর পর তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেলো, সেই বোমাসহ।

তারা ছেলেটির বিরুদ্ধে অবৈধ বোমা আগ্নেয়াস্ত্র রাখার মামলা ঠুকে দিলো, কিন্তু মামলার কোথাও উল্লেখ করলো না যে, সে নিজেই তাদেরকে বোমার কথা বলেছিল, এবং সে নিজেই তাদেরকে বোমা সরানোর অনুরোধ করেছিল! উল্টো তারা লিখল যে, ইন্টেলিজেন্স এজেন্টস এবং পুলিশেরা তাদের অভিজ্ঞতা, দূরদৃষ্টি ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বুঝতে পেরেছে যে, এই ছেলের নিকট একটি বোমা আছে । তারা ভাব নিলো যে, বোমা সহ ছেলেটিকে আবিষ্কার করে তারা সমাজকে এক আসন্ন বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে। ওদিকে এই মামলার উপর ভিত্তি করে সেই ছেলের হয়ে গেলো সাত বছরের জেল।

আমি আরেক ভাইকে চিনি, উনি আরবে থাকতেন। ওখানকার সরকারি আলেমরা বরাবরি মানুষদের তাকফির বিষয়ক বিধান নিয়ে পড়াশুনা করতে বাধা দেয়, তারা মানুষকে এ বিষয়ে এক প্রকার আতঙ্কিত করে রাখে! তাদের ভাষ্যমতে সরকার ও তার সেনাবাহিনীকে নিয়ে তাকফির করার অর্থ দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা, এটা করা তাকফীরীদের কাজ, খারিজীদের বৈশিষ্ট্য। এভাবে তারা সাধারণ মুসলমান জনতাকে তারা ভয়ংকর বিভ্রান্তির দিকে ঠেলে দিতে ছায় এবং অপরাদিধের সুস্পষ্ট পথ রেখাকে অস্পষ্ট করে দিতে ছায় যেন তাদের চক্রান্ত বুঝে উঠা সাধারণ মানুষদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে। এই ধরনের সরকারি আলেমদের দ্বারা প্রভাবিত কেউ যদি ইসলামের সাথে প্রতারণাকারী মুরতাদ সরকার গোষ্ঠীর কোন ব্যাক্তিকে বা এই গোষ্ঠীকে রক্ষাকারী মুরতাদ বাহিনীর কোন লোককে নামাজ পড়তে দেখে, তাহলে এই অপরধীকে সে কি মনে করতে পারে? আর যদি এই অপরাধীর কপালে নামাজের দাগ থাকে?? হায় কি সাংঘাতিক ব্যাপার !

আমাদের এই আরবের অধিবাসী বন্ধু প্রবল উৎসাহে সিদ্ধান্ত নিলো, সে আল্লাহর পথে জিহাদ করবে, ফিলিস্তিনের ইহুদীদের বিরুদ্ধে লড়বে। সে ইহুদী নদিপথে তার স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র পাচার করলো, নিজেও আলওকিকভাবে জর্ডানি সৈন্যদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নদী পার হয়ে যেতে সক্ষম হলো, কেউ কিছু টের পেলো না। সে ঘুণাক্ষরে জানতো না যে, এরা সবাই ইহুদীদের পাহারাদার, বা তাদের গুপ্তচর। নতবা কোনদিও তাদেরকে বিশ্বাস করত না বা তাদের উপর ভরসা করত না। নদী পার করার পরে, সে খুব তৃষ্ণা বোধ করছিলো, তার মনে পড়লো যে, সে পানি আনতে ভুলে গেছে। তাই সরলমনে সে ফিরে গেলো এদের মাঝে কোন এক পাহারদারের কাছ থেকে পানিড় সন্ধান করতে। ওখানে পৌঁছানোর পর সে সৈন্য কে নামাজরত দেখে তো সে আরো স্বস্তি বোধ করলো। তার ব্যাপারে কোন সন্দেহই মনে আসলো না। নামাজ শেষ হলে সেই সন্য আমাদের এই বন্ধুকে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পেলো, সে তাকে জিজ্ঞাস করলো যে, সে এখানে কি করছে। আমাদের এই বন্ধুও সরল মনে সন্যের কাছে তার মনের ইচ্ছার কতে ব্যাক্ত করলো আর পানি চাইলো। সৈন্যটি তাকে পানি দিয়ে, তার বন্ধুকটা একটু দেখতে চাইল। আমি এখানে এক মুহূর্তের জন্য থামতে চাই। আর পাঠকদের মনে করিয়ে দিতে চাই আবু বসির (রাঃ) এর কথা! ঈমানদারেদের বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার কথা। স্মরণ করে দেখুন, আবু বসির(রাঃ) কী চাতুর্যের সাথে তার বন্দীকারীদের বলে ছিলেন যে, সে তার তারবারি দেখতে চায়। আতঃপর সে ঐ তারবারির আঘাতে তাদের একজনকে হত্যা করে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু আমাদের এই বন্ধুর ক্ষেত্রে কি হলো? সে নিজেই বোকার মতো প্রতিপক্ষের সন্যের হাতে নিজের বন্ধুক তুলে দিলো , তাকে বিশ্বাস করলো! আর ফলস্বরূপ তাকে ভোগ করতে হলো এক নিদারুণ পরিণতি। সেই সৈন্য তাৎক্ষণাৎ বন্ধুক পরখ করে দেখার নাম করে গুলি ছুঁড়তে লাগলো। আসলে সে তার ঊর্ধ্বতন নেতাদেরকে সঙ্কেত দিচ্ছিল। এরপর তারা এখানে এসে সঙ্গে সঙ্গে সেই ভাইকে গ্রেফতার করলো, তাকে ধরে আদালতে নিয়ে গেলো। তার হয়ে গেলো সাত বছরের জেল।

হে আমাদের ভাইয়েরা, আমি আল্লাহর কসম করে বলছি, এই সবগুলো ঘটনা সত্যি। এরা সব এখন আমাদের দেশের বন্দীশালায় আবদ্ধ। এগুলো আমার কল্পনাপ্রসূত কাহিনী নয়, বরং আমাদের চারপাশে এমন আরো বহু ঘটনা ঘটে চলেছে। সচেয়ে সূচনীয় ব্যাপার হলো, উপরের ঘটনাগুলোর প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইসলামের শত্রুদের সম্পর্কে ভালো ধারণা করা হয়েছে। অপরাধী কারা তা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণার অভাব, তাদের প্রকৃত সুরুপ না জানা, জিহাদ ও মুজাহিদীন্দের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্রের কথা না জানা, এবং দ্বীনের শত্রুদের প্রতি তাদের অনুগত্যের ব্যাপারটিকে সঠিক দৃষ্টি দিয়ে না দেখার কারনেই এই নির্মম পরিণতি নেমে এসেছে।

যারা দ্বীন ইসলামের সাথে করে নিজের দ্বীন কে পরিত্যেগ করেছে এবং তাগুত মুরতাদ সরকারের দাসে পরিণত হয়েছে, সেই সকল অপরাধি মুরতাদ লোকদের কাছে তুচ্ছ কিছু পার্থিব লাভ অর্জনই পরম লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে তার জন্য যেই পথ নিতে হোক না কেন তারা সেটা পরোয়া করে না । হোক তা অসম্মান জনক পথ, কিংবা সম্মান জনক পথ। তারা কেবল নিজের স্বার্থ হাসিল করতে চায় এর ফলে আজ জিহাদের ব্যাঘাত ঘটানো, মুজাহিদীন্দের বাধা দেয়া, আর জালেমদের রাজত্বকে নিরাপত্তা প্রদান করাই তাদের পরম লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।

এই অপরাধি গোষ্ঠীর কর্মপদ্ধতির মূল ভিত্তি হলো, মিথ্যা কথা ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, এবং তাদের পথরেখা গঠিত হয় প্রতারণা, ছলনার সমন্বয়ে।

لَا يَرْقُبُونَ فِي مُؤْمِنٍ إِلًّا وَلَا ذِمَّةً ۚ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُعْتَدُونَ

তারা কোন মুমিনের ব্যাপারে আত্মীয়তার মর্যাদা ও রক্ষা করে না, এবং অঙ্গীকারেরও না। আর তারাই হলো সিমালঙ্ঘনকারী।’’ (সূরা তওবা: ১০)

وَدُّوا لَوْ تَكْفُرُونَ كَمَا كَفَرُوا فَتَكُونُونَ سَوَاءً ۖ فَلَا تَتَّخِذُوا مِنْهُمْ أَوْلِيَاءَ حَتَّىٰ

يُهَاجِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۚ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَخُذُوهُمْ وَاقْتُلُوهُمْ حَيْثُ وَجَدْتُمُوهُمْ ۖ وَلَا

تَتَّخِذُوا مِنْهُمْ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا

তারা চায় যে, তারা যেমন কুফরী করেছে, তোমরাও তেমন কুফরী করো, যাতে তোমরাও তাদের সদৃশ হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্য থেকে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তার আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও করো এবং যেখানে পাও তাদেরকে হত্যা করো। এবং তাদের মধ্য থেকে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।’’ (সূরা নিসাঃ৮৯)

وَإِذَا رَأَيْتَهُمْ تُعْجِبُكَ أَجْسَامُهُمْ ۖ وَإِنْ يَقُولُوا تَسْمَعْ لِقَوْلِهِمْ ۖ كَأَنَّهُمْ خُشُبٌ

مُسَنَّدَةٌ ۖ يَحْسَبُونَ كُلَّ صَيْحَةٍ عَلَيْهِمْ ۚ هُمُ الْعَدُوُّ فَاحْذَرْهُمْ ۚ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ ۖ أَنَّىٰ

يُؤْفَكُونَ

আপনি যখন তাদেরকে দেখেন, তখন তাদের দেহাকৃতি আপনার নিকট প্রীতিকর মনে হয়। আর যদি তারা কথা বলে, সগ্রেহে তাদের কথা শ্রাবণ করেন। তারা দেয়ালে ঠেকানো কাঠ সদৃশ। তারা যে কোন বড় আওয়াজ বা শোরগোলকে নিজেদের বিরুদ্ধে মনে করে। তারাই শত্রু, অতএব তাদের সম্পর্কে সতর্ক হোন। আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন। বিভ্রান্ত হয়ে তারা কোথায় চলেছে?” (সূরা মুনাফিকূনঃ৪)

যে এসব বিষয় সম্বদ্ধে জানে না, এসব ব্যাপারে সচেতন নয়, এবং ঘৃণ্য অপরাধিদের পথরেখা সম্পর্কে যার সুস্পষ্ট জ্ঞান নেই, সে জেন রাখুক, জিহাদ তার বোকামি ও ছেলেমানুষী চায় না , ঠিক যেমন জিহাদ চায় না ব্যর্থতা ও পরাজয়ের বোঝা উঠাতে।

………………………………………….. ………………………………………….

() অর্থাৎ, সেই ভূখণ্ডের অত্যাচারী তাগুত মুরতাদ সেবায় নিয়োজিত প্রতিরিক্ষা বাহিনীর কোন একটি দল , বাংলাদেশের র‍্যাব, পুলিশ আর্মি ইত্যাদির অনুরূপ।

() মুসলিম ভূখণ্ডসমূহে আজ যেসকল তাগুত সরকার শরীয়তের বদলে ব্রিটিশআমেরিকার আইন দিয়ে শাসন করছে এবং নামে মাত্র কিছু ইসলামি আচরণ পালন করছে বা তাও করছে নয়া, তাদের সরাসরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিরক্ষা বাহিনী হলো জালে কাফের তাগুতি সেনাবাহিনী। এই তাগুতি সেনাবাহিনীতে র‍্যাব, আর্ম, নেভি, পুলিশ ইত্যাদি ন্যায় ইউনিফর্ম পরিহিত মুরতাদ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি অনেক সাদা পোশাকের কর্মচারীও নিয়োজিত আছে যারা মূলত গোয়েন্দা সংস্থার চাকুরি করে। এই ভাইকে শেষ মুহূর্তে যে ব্যাক্তি প্রতারিত করেছে সে ছিল সাদা পোশাকের তাগুতি মুরতাদ বাহিনী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − four =

Back to top button