আরবইলম ও আত্মশুদ্ধিবই ও রিসালাহবালাকোট মিডিয়ামিডিয়াশাইখ আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসী হাফিযাহুল্লাহশামহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

এই দ্বীনের মূলভিত্তি হচ্ছে একটি পথপ্রদর্শনকারী কিতাব ও একটি পক্ষালম্বনকারী তরবারি – শাইখ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ

এই দ্বীনের মূলভিত্তি হচ্ছে একটি পথপ্রদর্শনকারী কিতাব ও একটি পক্ষালম্বনকারী তরবারি

– শাইখ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ

এই দ্বীনের মূলভিত্তি হচ্ছে একটি পথপ্রদর্শনকারী কিতাব ও একটি পক্ষালম্বনকারী তরবারি –  শাইখ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ

অনলাইনে পড়ুন-
https://justpaste.it/diner_mul_Vitti_1kitab_1torbari

ডাউনলোড করুন

Word
https://banglafiles.net/index.php/s/r8XSiGMd5xjjZXH

https://archive.org/download/ei-deener-mul-vitti-kitab-o-torbari/17.ei_deener_mul_vitti.docx
http://www.mediafire.com/file/sbb35lueov7r2ua/17.ei_deener_mul_vitti.docx/file

PDF
https://banglafiles.net/index.php/s/Ceg3G8smew9JNx8
https://archive.org/download/balakot_media_books/ei_deener_mul_vitti.pdf
http://www.mediafire.com/file/pp8mbnfm0et0rha/17.ei_deener_mul_vitti.pdf/file

=========================

এই দ্বীনের মূলভিত্তি হচ্ছে একটি পথপ্রদর্শনকারী কিতাব ও একটি পক্ষালম্বনকারী তরবারি –  শাইখ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ

শাইখ আবু মুহাম্মদ আসিম আলমাকদিসী (আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করুন) রচিত একটি মূল্যবান প্রবন্ধ

এই দ্বীনের মূল ভিত্তি হচ্ছেএকটি পথপ্রদর্শনকারী কিতাবও তার পক্ষাবলম্বনকারী একটি তরবারি

পরিবেশনায়: বালাকোট মিডিয়া

নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলদেরকে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ প্রেরণ করেছি এবং তাদের সাথে অবতীর্ণ করেছি কিতাব ও তুলাদন্ড, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি নাযিল করেছি লৌহ, যাতে রছে প্রচন্ড রণশক্তি এবং মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ। এটা এই জন্যে যে, আল্লাহ প্রকাশ করে দিবেন কে না দেখে তাঁকে ও তাঁর রাসূলগণকে সাহায্য করে। আল্লাহ মহাশক্তিময়, মহাপরাক্রমশালী।()

জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এক হাতে একটি তরবারি ও অপর হাতে একটি কোরআন নিয়ে বলেছিলেন,

রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে আদেশ করেছেন এটা দিয়ে আঘাত করতে (তিনি তাঁর হাতের তরবারির দিকে নির্দেশ করলেন), যে কেউই এটার থেকে বিচ্যুত হয়ে যায় (তিনি তাঁর হাতের কোরআনের দিকে নির্দেশ করলেন)()

আর আল্লাহতাআলা বলেছেন,

নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলদেরকে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ প্রেরণ করেছি এবং তাদের সাথে অবতীর্ণ করেছি কিতাব ও তুলাদন্ড, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।()

তাই রাসূলগণ (আলাইহিমিস সালাম) ও কিতাবসমূহকে প্রেরণের উদ্দেশ্য হলো এই যে, মানবজাতি যেন আল্লাহ ও মানুষের যথাযথ অধিকার ন্যায়ের সাথে সমুন্নত রাখে।()

আর আল্লাহর প্রধান অধিকারসমূহের একটি যার জন্য তিনি সকল রাসূলগণ (আলাইহিমিস সালাম) ও কিতাবসমূহ প্রেরণ করেছেন তা হলো এই যে,মানুষেরা যেন তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করে, যা হচ্ছে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একনিষ্ঠভাবে শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা। সকল নবীরাসূলগণের (আলাইহিমিস সালাম) বার্তা ও আহবান এবং সকল কিতাব ও সহীফাসমূহ যা প্রাসঙ্গিক নবীরাসূলদের (আলাইহিমিস সালাম) নবুয়্যাতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁদের উপর নাযিল হয়েছে সেখানে আল্লাহর এই অধিকারের বিষয়েই কথা এসেছে:

হয় তা হলো, আল্লাহর এই অধিকার আদায় করা ও প্রতিষ্ঠা করার একটি আহবান; অথবা তা হলো, মানুষদেরকে এর দিকে আহবান করা এবং এই পথে ধৈর্য ধারণের একটি আদেশ; অথবা তা হলো,এই অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জিহাদের প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং এই অনুযায়ী ভালোবাসা (ঈমানদারদের প্রতি) ও ঘৃণার (তাওহীদ প্রত্যাখ্যানকারী কাফের, মুশরিক, মুরতাদ লোকদের প্রতি) সম্পর্ক নির্ধারণ।

অথবা তা হলো, সেই সকল মানুষদের ব্যাপারে সংবাদ প্রদান যারা তাওহীদের বিশ্বাস ধারণ করেছিল, ইসলামের বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল এবং তাওহীদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জিহাদ করেছিল; এবং তা হলো, এই ধরনের ঈমানদার মানুষদের জন্য আল্লাহ যে পরম অনুগ্রহ ও জান্নাতের অনন্ত শান্তিময় জীবন নির্ধারণ করেছেন তার সুসংবাদ প্রদান।

অথবা তা হলো, তাওহীদের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক বিষয়সমূহ ও শিরকের সাথে দায়মুক্তি ও শত্রুতার সম্পর্ক তৈরির আহবান, এবং এগুলো ও এগুলোর পক্ষাবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আহবান, এবং এগুলোর সকল রূপ ও ধরনকে পৃথিবীর বুক থেকে সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলার আহবান।

অথবা তা হলো, সেই সকল মানুষদের ব্যাপারে সংবাদ প্রদান যারা আল্লাহর এই অধিকারের বিরোধিতা করে এবং যারা তাওহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং যারা এই সকল লোকদের সমর্থন করে;এবং তা হলো, এই সকল লোকদের শেষ পরিণতি যে কতটা হতাশা, লাঞ্ছনা ও পরিতাপময় এবং আল্লাহ এই সকল অপরাধীদের জন্য যে চিরন্তন শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন সেই সংবাদ প্রদান।

আল্লাহর সকল কিতাবসমূহ এবং প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর সকল নবীর (আলাইহিমিস সালাম) বার্তা এই অধিকার প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে।

আর সুউচ্চ যে লক্ষ্যে মানবজাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে তা হচ্ছে এই মহান উদ্দেশ্য, যার জন্য রাসূলগণ (আলাইহিমিস সালাম) ও কিতাবসমূহ প্রেরিত হয়েছে।

এবং আল্লাহ তাআলাসূরাহাদীদে বলেন,

আর আমি নাযিল করেছি লৌহ, যাতে রছে প্রচন্ড রণশক্তি এবং মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ। এটা এই জন্যে যে, আল্লাহ প্রকাশ করে দিবেন কে না দেখে তাঁকে ও তাঁর রাসূলগণকে সাহায্য করে। আল্লাহ মহাশক্তিময়, মহাপরাক্রমশালী।()

তাই যে ব্যক্তি এই অধিকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং তদানুযায়ী কর্ম সম্পাদন করে না এবংরাসূলগণ (আলাইহিমিস সালাম)ও আল্লাহর দিকে আহবানকারীদের মুখের উপর তা প্রত্যাখ্যান করে, তাকে সংশোধন করতে হবে তরবারি দিয়ে।

আর এটাই সেই হাদীসের অর্থ যেখানে রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

আমাকে কেয়ামতের আগ মুহূর্তে তরবারিসহকারে প্রেরণ করা হয়েছে যাতে কোনো শরীক সাব্যস্ত করা ব্যতীত শুধুমাত্র এক আল্লাহর ইবাদত করা হয় এবং আমার জীবিকারসংস্থান করা হয়েছে আমার বর্শার ছায়াতলে, আর যারা আমার নির্দেশ অমান্য করেছে তারা অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়েছে, এবং যে যাদের অনুকরণ করে সে তাদেরই একজন!”()

সুতরাং, যে কেউই কিতাব (কোরআন শরীফ) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাকে লৌহ (যুদ্ধাস্ত্র) দ্বারা সংশোধন করা হয়, এবং এ কারণেই এই দ্বীনের মূল ভিত্তি নির্মিত হয়েছিল কোরআন ও তরবারির মাধ্যমে।()

তাই সকল যুগের হক্‌ আলেমগণ (রহিমাহুমুল্লাহ) আল্লাহর এই অধিকারকেই তাঁদের দাওয়াতের কেন্দ্র ও তাঁদের বক্তব্যের মূল বিষয় বানিয়েছিলেন এবং একেই পরিমাপের মানদন্ড বানিয়েছিলেন এবং এরপরিসরেই পরিভ্রমণ করেছিলেন, এবং এর খাতিরেই বন্দী ও নিহত হয়েছিলেন এবং এর পতাকাতলেই যুদ্ধ করেছিলেন এবং লড়তে লড়তে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন।

এবং কোরআন ও সুন্নাতের আলোকে দলিল ও যুক্তির সমন্বয়ে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করার মহান দায়িত্ব তাঁদের উপরেই অর্পিত।এবং যে কেউই এর বিরুদ্ধে দাঁড়াবে ও তা প্রত্যাখ্যান করবে সেই তরবারির দ্বারা সংশোধিত হবে!

তাই যারাই এই দ্বীনের সত্যতা সম্পর্কে অবগত এমনকি দ্বীনের শত্রুরাও,তারা এটা জানে যে, এর ভিত্তি হচ্ছে তাওহীদ ও জিহাদ, দাওয়াত ও কিতাল, কোরআন ও যুদ্ধাস্ত্র, এবং তারা এটা ভালোভাবেই জানে যে, যদি তারা তা মেনে নিতে প্রত্যাখ্যান করে তবে দ্বীনের ধারালো ভাগ তাদের জন্য নির্ধারিত হবে এবং তা তাদের অপরাধ মিটিয়ে দিবে হোক তা কিছুসময় আগে অথবা পরে। তারা জানে যে, নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে ও তাদের অনুরূপদেরকে বধ করার জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন,এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইসলামের কঠোরতা নিয়েই অগ্রসর হয়েছিলেন যখন এমনকি তাঁর নিজ আত্মীয়, গোত্র ও মানুষেরাও তাঁর প্রদর্শিত পথ অনুসরণে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল, এবং তিনি তাঁর আগমনের উদ্দেশ্য তা পূরণের পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি বলেছিলেন,

তোমরা কি আমার কথা শুনবে, হে কুরাইশ? তাঁর শপথ যার হাতে রয়েছে আমার প্রাণ, আমি তোমাদের প্রতি এসেছি জবাই সহকারে।

এবং এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা পূরণ করেছিলেন সর্বোত্তম উপায়ে, যখন আল্লাহ ইসলাম ও তার অনুসারীদেরকে তরবারির দ্বারা সম্মানিত করলেন।

এবং আমরা ইনশাআল্লাহ তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রদর্শিত পথের অনুসরণ করছি এবং তাঁর পথেই অটল আছি, তাঁর সুন্নাতের উপর আমল করছি এবং তাঁর সাথে থেকেই যুদ্ধ করছি।

এবং নবীদের মধ্যে অনেকেই আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করেছেন এবং তাদের সাথে বড় সংখ্যায় যুদ্ধ করেছেন দ্বীনের শিক্ষায় শিক্ষিত জ্ঞানী ব্যক্তিগণ। কিন্তু আল্লাহর রাস্তায় তাদের উপর যা আপতিত হয়েছিল তাতে তারা মনোবল হারান নি, না তারা দুর্বল হয়েছিলেন আর না তারা অধঃপতিত হয়েছিলেন। এবং আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন।()

শাইখুল ইসলাম ইবনেতাইমিয়াহ(রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, “দ্বীনের অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিগণ রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে থেকে যুদ্ধ করেছেন অথবা নিহত হয়েছেন এর মানে এই নয় যে, রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুধুমাত্র তাঁদের সাথেই স্বয়ং থেকে যুদ্ধ করেছেন, বরং যারাই রাসূলেরঅনুসরণ করেছেন এবংদ্বীন ইসলামের জন্য লড়াই করেছেন তাঁরা বস্তুতঃ তাঁরই (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে থেকে যুদ্ধ করেছেন, এবং এটাই সেই আদর্শ যা সাহাবাগণ(রাদিয়াল্লাহু আনহুম) বুঝেছিলেন,কারণ তাঁদের অংশগ্রহণকৃত বৃহত্তম যুদ্ধগুলোরাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মৃত্যুর পরেইসংঘটিত হয়েছিল যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁরা শাম, মিশর, ইরাক, ইয়েমেন, আজাম, রোম, মরক্কো, ও পূর্বাঞ্চলের জমিনকে দ্বীন ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করেছিলেন। এবং এটাই ছিল সেই সময় যখন সাহবাগণরাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথেথেকে নিহত হয়েছিলেন, কারণ তখন যারা যুদ্ধ করেছিলেন ও নিহত হয়েছিলেন তাঁরা আম্বিয়াদের (আলাইহিমিস সালাম) দ্বীনের জন্যই লড়াই করেছিলেন এবং এটি বিচারদিবসের আগ পর্যন্ত বিশ্বাসীদের জন্য একটি মহান গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা যে, তাঁরারাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে থেকেই দ্বীন ইসলামের জন্য যুদ্ধ করেছেন যদিও তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গত হয়েছিলেন। এবং তাঁরা এই আয়াতের অধীনে আসেন:

মুহাম্মাদআল্লাহর রাসূল এবং যারা তার সাথে আছেন()

এবং এই আয়াতের:

আর যারা ঈমান এনেছে পরবর্তী পর্যায়ে এবং ঘরবাড়ি ছেড়েছে এবং তোমাদের সাথে সম্মিলিত হয়ে জিহাদ করেছে(১০)

তাই যে ব্যক্তি তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনীত বিধানের আনুগত্য করে চলেছে তার জন্য রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে থাকার জন্য তাঁকে স্বচক্ষে দেখা বা প্রত্যক্ষ করা কোনো শর্ত নয়।(১১)

তাই আমরা উচ্চস্বরে আমাদের শত্রুদেরকে আমাদের লক্ষ্য সম্পর্কে জানিয়ে দেই, এবং আমরা তাদেরকেঅবহিত করি যে, যদি আমরা তা আজ পূরণ করতে অসমর্থ হই তার মানে এই নয় যে, আমরা তা আমাদের চিন্তাচেতনা থেকে মুছে ফেলেছি, যেহেতু সেটা আমাদের জন্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বা বৈধও নয়, তাই আমরা আল্লাহর কাছে দিনরাত প্রার্থনা করি এবং সকালসন্ধ্যায় প্রার্থনা করি যেন আমরা তাদের প্রত্যেকের গর্দান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারি যারা তাঁর দ্বীনের দুশমন, এবং আমাদের প্রতিটি কর্ম ও নিঃশ্বাস এই কাজেরই প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এবং তারা সেটা ভালো করেই জানে এবং তারা সেই সকল আলেমদের ভ্রষ্টতার কথাও জানে যারা দুর্ভাগার মতো কোরআন থেকে তরবারিকে মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা করে থাকে, তারা জানে দ্বীনের ব্যাপারে সেসব আলেমদের অজ্ঞতার কথা এবং জানে যে,আল্লাহর হুকুমসমূহ পালনের ব্যাপারেতারা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং দ্বীনের ব্যাপারে তাদের কোনোই বুঝ নেই।

শাইখুল ইসলাম ইবনেতাইমিয়াহ(রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,

দ্বীন ইসলাম হচ্ছে এমন যেখানে তরবারি কিতাবকে অনুসরণ করবে, তাই যদি কোরআন ও সুন্নাহএর জ্ঞানের সন্ধান পাওয়া যায় এবং তরবারি তা অনুসরণ করতে থাকে তাহলে ইসলামের হুকুমসমূহ প্রতিষ্ঠিত হবে।(১২)

এবং তিনি (রহিমাহুল্লাহ) আরও বলেছেন,

তাই এই দ্বীনের মূল ভিত্তি হচ্ছে একটি পথপ্রদর্শনকারী কিতাব ও তার পক্ষাবলম্বনকারী একটি তরবারি, আর পথপ্রদর্শক ও সাহায্যকারী হিসেবে তোমাদের রবই যথেষ্ট।

——————————-

() সূরা হাদীদ, আয়াত: ২৫

() মুসনাদে আহমদ

() সূরা হাদীদ, আয়াত: ২৫

() ফাতাওয়া শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ (২৬৩/২৮)

() সূরা হাদীদ, আয়াত: ২৫

() ইমাম আহমদ

() আল ফাতাওয়া (২৬৪/২৮)

() সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৪৬

() সূরাফাত্‌হ, আয়াত: ২৯

(১০) সূরা আনফাল, আয়াত: ৭৫

(১১) মাজমু আল ফাতাওয়া

(১২ )আল ফাতাওয়া (৩৯৩/২০)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + fifteen =

Back to top button