আরবইলম ও আত্মশুদ্ধিবই ও রিসালাহবালাকোট মিডিয়ামিডিয়াশাইখ আবু কাতাদা আল ফিলিস্তিনী হাফিযাহুল্লাহশামহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

জিহাদের জন্য যারা এবং জিহাদকে ভালোবাসেন যারা, তাঁদের প্রতি একটি বার্তা – শাইখ আবু কাতাদাহ আল ফিলিস্তিনি হাফিজাহুল্লাহ

জিহাদের জন্য যারা এবং জিহাদকে ভালোবাসেন যারা, তাঁদের প্রতি একটি বার্তা

– শাইখ আবু কাতাদাহ আল ফিলিস্তিনি হাফিজাহুল্লাহ

জিহাদের জন্য যারা এবং জিহাদকে ভালোবাসেন যারা, তাঁদের প্রতি একটি বার্তা – শাইখ আবু কাতাদাহ আল ফিলিস্তিনি হাফিজাহুল্লাহ

word

https://banglafiles.net/index.php/s/eTDGJge6qpMrNtQ

https://archive.org/download/qatadah_alfilistini_er_guruttopurno_barta/28.abu_qatadah_alfilistini_er_guruttopurno_barta.docx

http://www.mediafire.com/file/7zkv7ms4ygzwmz7/28.abu_qatadah_alfilistini_er_guruttopurno_barta.docx/file

PDF

https://banglafiles.net/index.php/s/pdWRZfTDDQSsez5

https://archive.org/download/balakot_media_books/abu_qatadah_alfilistini_er_guruttopurno_barta.pdf http://www.mediafire.com/file/61zn1qgq31w52p5/28.abu_qatadah_alfilistini_er_guruttopurno_barta.pdf/file

————

জিহাদের জন্য যারা, আর জিহাদ কে ভালোবাসেন যারা তাদের জন্য এক বার্তা

-আবু কাতাদা আল ফিলিস্তিনি (হাফিযাহুল্লাহ)

 বিসমিল্লাহ্‌ হির রাহমানির রাহিম। আল্লাহর সাহায্য কামনা করি, সকল প্রশংসাই আল্লাহ্‌র জন্য, সারা জাহানের মালিক। আল্লাহ্‌র শান্তি ও রহমত মুহাম্মাদ (সঃ) ও তার পরিবারের উপর বর্ষিত হক।

খুব দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এই পত্র লিখছি আমি, যদি না আল্লাহ্‌ তার সৃষ্টির উপর শর্ত দিতেন, আমি এতো তাড়াহুড়ো করতাম না এই পত্রটি লিখার জন্য। আল্লাহ্‌র শপথ আমি নিজে অনেক সংগ্রাম করেছি এই পত্র না লিখার জন্য। যদিও আমি পারিনি এই ভয়ে যে আল্লাহ্‌ আমাকে সত্য গোপন করার জন্য প্রশ্ন করবেন যা আমি বিশ্বাস করি। আমি কঠোর চেষ্টা করেছি গোপনে ও প্রকাশ্যে যারা জিহাদের সাথে সম্পর্কিত তাদের যেন কোন বিপদ না হয়, যদিও কিছু লোক মিথ্যা ও ভুল পথে নিমজ্জিত। তাদের মূল লক্ষ হল জিহাদের জন্য ভালো কিছু না করে ক্ষতি করা। এই কথার ভার পরছে Islamic State of Iraq এবং এর আশ শাম এর নেতাদের উপর।

কোন সন্দেহ ছাড়া ইহা আমার কাছে অত্যন্ত পরিষ্কার যে এই দলটি, তাদের সামরিক ও ইসলামি নেতৃত্ব এবং তাদের কর্ম সাক্ষ্য দেয় যে তারাই “জাহান্নামের কুকুর”। এবং তারাই রাসুলুল্লাহ(সঃ) এর এ বর্ণনার সাথে সবচাইতে বেশি উপযুক্ত- “তারা মুসলিমদের মারে ও মূর্তিপূজকদের ছেড়ে দেয়, আল্লাহ্‌র শপথ যদি আমি তাদেরকে জীবিত অবস্থায় পাই, আমি তাদেরকে হত্যা করব যেভাবে আ’আদ জাতিকে হত্যা করা হয়েছিল”

আমি কোন দ্বিধা ছাড়াই এই রায় দিচ্ছি তাদের অশুভ কর্মের জন্য। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি তাদেরকে নাসীহা দেয়ার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত যখন তারা নাসীহা ও সত্য শুনা বন্ধ করে দিয়েছে। আমি এই শব্দগুলো বলছি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে যা তাদের উপর আরোপিত করা হয়েছে ও যাদের ভেতর অন্তত এক আউন্স সুন্নাহ আছে, দ্বীন ও তাকওয়া আছে ও তারা মুসলিমদের রক্ত ঝরাতে ভয় পায়, তাদের জন্য এই হল আল্লাহ্‌র রাসুল(সঃ) এর বানি এই সব লোকদের জন্য।

সমকালিন সময়ে এমন মানুষদের সাথে রাসুল (সঃ) এর বর্ণনার মিল খোঁজার জন্য কোন অন্য কোন নাম অনুসন্ধানের দরকার নেই। কেউ বলতে পারেন যে খাওয়ারিজি নামটা তাদের আকিদার সাথে যায়না কেনোনা খাওারিজিরা বলে যারা কবিরা গুনাহ করে তারা কাফির। কিন্তু রাসুল (সঃ) এর বর্ণনা আমাদেরকে প্রদর্শন করে তাদের গুণাবলির দিকে তাদের উদ্দেশ্যর দিকে নয়। তাদের নেত্রিত্তের গুনাবলি এখনও তাই আছে যা ছিল আলি (রঃ) এর সময়। তাই কারো এ নিয়ে বিতর্ক করা উচিৎ হবে না রাসুল (সঃ) এর বর্ণনা দিয়ে বিচার করা ছাড়া। এদের উদারহরন হচ্ছে যারা সত্যর উপর থাকা মানুষ যেমন জাবাত আল নুসরাহ (আল্লাহ্‌ তাদের রক্ষা করুন) তাদের উলেমা ও তাদের কমান্ডারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

যারা অপবাদ দেয় জিহাদের আমীরদের উপর যেমন (বিচক্ষন) আল যাওাহিরি এবং যারা দাবি করে যে তিনি তার মানহাজ বদলিয়েছেন, তারাই নিজের কথা নিয়ে ছলচাতুরী করে। এর কারণ হল তাদের জিহাদের রাস্তায় কোন অভিজ্ঞতাই নেই এবং তারা জিহাদের লোকদের আকিদাকেও বুঝে না,তাদের কথাও না তারিকাও না। বড়ই অদ্ভুত যে, তারা দাবী করে যে আল যাওাহিরি (আল্লাহ্‌ তাকে হেফাযাত করুন) এর ভাবাদর্শ শেইখ আবু আব্দইল্লাহ (উসামা) বিন লাদেন (রাহিমুল্লাহ) এর থেকে আলাদা। কেউই তাদের বিশ্বাস করেনা তারা ছাড়া যারা একই দাবী করে, তাদের কোন জ্ঞান নেই ওই সব মানুষদের ইতিহাস ও কৃতিত্ব সম্পর্কে।

আর যারা অন্যদেরকে অভিযুক্ত করছে বিভ্রান্ত হিসেবে তাদের কথা আর পরিভাষার জন্য, আসলে তারাই সবচাইতে বেশি যোগ্য ভুল পথে চলার এবং অজ্ঞতার ও মিথ্যাবাদী খেতাবের জন্য। যদিও এ সব আমাকে বিচলিত করতে পারেনি, তাদের দোষ আমাদের শাইত করে আমাদের নিরাপরাধ কে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য। কারণ রাসুল (সঃ) এর বর্ণনা তাদেরকেই মানায়।

আমি জানি কিছু লোক অনেক কিছুই বলবে। এর মধ্যে এও বলবে “জেলে থাকা লোকটি কিছুই জানে না”। আমি বলবঃ “আল্লাহর শপথ, আমি জানি তোমাদের থেকে বেশি”। এখানে আমার কাছে আসা তথ্যের কমতি নেই কিন্তু তথ্য প্রকাশ করার কমতি রয়েছে। আমার এমন অবস্থা নেই যে আমি প্রতিদিন বিবৃতি দিতে পারব অন্যদের মতো। এর জন্য ময়দান খালি পড়ে গেছে ধর্মান্ধদের কাছে, সংলগ্ন দাওলাহ এর কাছে যাদের জ্ঞান ও সচেতনতা নেই। আমি এখানে শুধু তাদেরকেই উদ্দেশ্য করে বলছি না। যদি দ্বীনে বিদাহ মানুষের মাযে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তা সেইরূপ হবে যেমন কুকুরের রোগ ও অন্ধতা ও অন্তর্দৃষ্টিহীনতার মতো। আল্লাহ্‌কে ধন্যবাদ জানাই অন্য পরিপেক্ষিতে, যে এই বিষয়টি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে সত্য বের হয়ে এসেছে, যার জন্য জিহাদি দল ও বিদাতিদের মধ্যে পার্থক্য প্রকাশ পেয়ে গিয়েছে। আমার সমবেদনা আশ শাম এর মুজাহিদ ভাইদের জন্য, যারা কষ্ট অনুভব করছে তাদের অপরাধের জন্য যারা একসময় তাদেরই সাথে এক হয়ে অত্যাচারিদের বিরুদ্ধে জ্বিহাদ করেছেন, কিন্তু এখানে তাদের পাগলামি এখন এমন পর্যায় পৌঁছেছে যে তারা তাদের সহযোদ্ধাদের রক্তকে হালাল মনে করছে তাদের চরম্পন্থা ও অন্ধও বিশ্বাসের কারনে।

আমি সকল মুজাহিদীন ও যারা তাদেরকে ভালবাসেন তাদের কে আল্লাহর রাসুল(সঃ) এর হাদিসটি ভালভাবে পরার আহবান জানাচ্ছি “আমাদের উম্মাহর মধ্যে এমন একটা দল থাকবেই . . . . . .“। এর মাধ্যমে এই চলমান দলটিকে জানা যায়, যাদেরকে অপরাধীরা ধ্বংস করতে চায় তাদের নেতাদেরকে দোষারোপ করে যারা জ্বিহাদকে প্রতিপালন করেছেন তাদের চেস্টা, ঘাম ও রক্তের মাধ্যমে। না!! তারা তো এমন কি তাদের পরিবার, সময় ও সন্তানদেরও কুরবান করেছেন। এর পরও কিছু মুজরিম তাদের বিরুদ্ধে এরুপ সর্বনাশা কথা বলেই চলেছে। আর তাই আমি জাবাত আল নুসরাহর জ্ঞান সন্ধানিদের ধন্যবাদ জানাই, তাদের মধ্যে আছেন ডঃ সামি আল অরাদি, আবু মার‍্যিয়া আল ইরাকি, আবু আব্দুল্লাহ আল শামি, এবং আল মোহাসিনি। ধন্যবাদ দিতে চাই তাদের ধৈর্যের এবং সত্য কে প্রকাশ করার জন্য, এবং মূর্খদের মূর্খতা প্রকাশ করার জন্য। আমি জানি যে আমি এখানে আশ শাম এর সকল জ্ঞানীদের নাম উল্লেখ করতে পারবনা।

এই জিহাদ যেমন ঘৃণিত শত্রু দ্বারা আক্রান্ত ঠিক তেমনি তাদের দ্বারাও আক্রান্ত যারা মূর্খ কিন্তু জিহাদ কে ভালবাসে। [যারা জিহাদ কে ভালবাসে কিন্তু মূর্খ] তারা যতটুকু ক্ষতি করে জিহাদের, শত্রুরাও ততটাই করে। যারা সত্যবাদী তারা যেন ধৈর্যশীল থাকে যারা আক্রান্ত হয়েছে এমন লোকদের দ্বারা। যারা সত্যবাদী তারা যেন রাসুল (সঃ) এর হাদিস এর উপর অটুট থাকেন“আমি তাদেরকে হত্যা করব যেভাবে আ’আদ জাতিকে হত্যা করা হয়েছিল“। এই উক্তিটি খাইবারের ইয়াহুদের উদ্দেশ্যে ছিল না, বা বানু নাদির বা বানু কায়নুকার উদ্দেশ্যেও ছিল না। এটি কুরায়েশদের উপরও বাস্তবায়ন করা হয় নি। এবং এরা সকলেই রাসুল(সঃ) এর চরম শত্রু ছিল। এর কারন হচ্ছে এটি এমন কুকুরের পাগলামি যা শুধরানো যায় না, এবং যারা এদের সাথে আছে তারা মুহাম্মাদের (সঃ) এর উম্মতের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই দলটির এ বিষয়টি ঐতিহাসিক। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক দুইজন এদের মধ্যে বেচে যায় এবং তাদের ভুল পন্থা ছড়াতে থাকে মরুভূমিতে এবং যেখানে জ্ঞানের অভাব, যার ফলে তারা একসময় যা করত তা আবার ফিরে আসে। আজকে যারা এই দলের ছিল তারা আগেও ছিল। তাদের মধ্যে বিন্দু মাত্র পার্থক্য নেই। যদি প্রশ্নকর্তা এই সম্পর্কে রায় ও প্রমান জানতে চায় তাদেরকে জিহাদের উলেমাদের কাছে পাঠানো দরকার। ইহা বড়ই বেদনাদায়ক যে তাদের মূর্খতা এই পর্যায়ে গিয়েছে যে তারা জিহাদের উলামাদেরকে নিজেদের শত্রু মনে করছে, তাদেরকে মুরতাদের বিশেষণ দিচ্ছে, তাদের নেতাদেরকে গুপ্তহত্যা করছে ও তাদের সম্পদকে হালাল মনে করছে। এসবের পরও প্রশ্নকর্তার আর কি সন্দেহ থাকতে পারে!

এই ছিল আমার কথা তাদের সম্পর্কে। আমি আল্লাহ্‌র সামনে এই অবস্থান নিয়েই দাঁড়াব, এবং যদি এটি জিহাদের কোন কাজে না আসত তাহলে আমি চুপ করে থাকতাম, আমি এটিই করতাম। আল্লাহর শপথ আমি এই কথাগুলো দিয়ে আপনাদের নাসীহা দিতে চেয়েছি। আমি চেয়েছি সুন্নাহ ধরে রাখতে, আমি চেয়েছি মূর্খতাকে প্রতিরোধ করতে এবং জিহাদকে তাদের থেকে পরিশুদ্ধ করতে। আমি এমন অবস্থায় এসব বলছি যে অবস্থায় আমি লোকের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবনা, পারবনা কিছু বলতে যারা আমার বিরুধিতা করবে বা আমাকে সন্দেহ করবে। একজন লোকের খুব কম সময়ই আছে যতটুকু সম্ভব আল্লাহ্‌ কে খুশি করার চেয়ে অন্য কিছু নিয়ে ভাবার। উপরোক্ত মত একই মানহাযের উলামায়গনদেরও। যদিও পৃথক ব্যাক্তির  রয়েছে পৃথক অজুহাত ও উপায়।

আল্লাহ্‌ যেনো আমাদের পথ পপ্রদর্শন করেন যা আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। আল্লাহ্‌ যেন জিহাদ ও জিহাদের লোকদের বিজয় দান করেন। আমীন, আমীন।

সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি সারা জাহানের মালিক।

আপনাদের ভাই

আবু কাতাদাহ

প্রকাশনার দিন

২৮ জুমাদা আল উখ্রাহ ১৪৩৫

২৮ এপ্রিল, ২০১৪

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × four =

Back to top button