খোরাসাননির্বাচিতসংবাদ

তালেবানদের বিশেষ ফোর্স “রেড ইউনিট’ এর ভয়ে কুফফাররা থর থর, আফগানিস্তানে তালেবানদের কুফফার নিধনের নতুন মাত্রা

 

বিগত কয়েক দশক যাবৎ যুদ্ধে বিধ্বস্ত হওয়া আফগান জাতিকে একটি সোনালী দিনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে, নিয়ে আসতে ইসলামী শাসনের সুশীতল ছায়াতলে মোল্লা মুহাম্মদ উমর মুজাহিদ রহিমাহুল্লাহ এর নেতৃত্বে জালিমদের বিরুদ্ধে সুদীর্ঘ এক যুদ্ধের পর আফগানিস্তানে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠিত করে তালেবান । কিন্তু, আল্লাহর অকুতোভয় বীরসেনাদের নিয়ে গঠিত এই সংগঠনটি শিকার হয় দেশি-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্রের । সেই ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটে ২০০১ সালে আমেরিকার হামলার পর। বিগত যুদ্ধগুলোর রেশ কাটতে না কাটতেই বিশ্ব তাগুতের মোড়ল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে আবার আঘাত হানে আফগানিস্তানের পুন্যভূমিতে । ইসলামের সুশৃঙ্খল শাসন দেখে সহ্য করতে পারেনি তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বুশ। যার ফলে রাশিয়ার পর আবারও এক তথাকথিত সুপার পাওয়ারের মুখোমুখি হতে হয় আফগানিস্তানের দৃঢ়চেতা মুসলিমদেরকে। আর তাদেরকে নেতৃত্ব দেবার মহান দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন তালেবানের আমীর, মুসলিমদের আমীর মোল্লা মুহাম্মদ উমর মুজাহিদ রহিমাহুল্লাহ। তিনি দৃঢ় মনোবলের সাথে লড়ে যান আমেরিকা ও তার দেশীয় গোলামদের বিরুদ্ধে । আমেরিকার অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের বিপরীতে অতি সাধারণ কালাশিনকভ আর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তবে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর দৃঢ় ইমান নিয়ে এ পর্যন্ত লড়াই করে এসেছেন এবং করছেন আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহর প্রত্যক্ষ সাহায্যে আমেরিকাসহ তার দেশীয় গোলামদের নাস্তানাবুদ করছেন তালেবান মুজাহিদগণ। একের পর এক গেরিলা হামলায় আফগান তাগুতদের খুঁটি উপড়ে ফেলছেন। তালেবানদের গেরিলা হামলার ভয়ে প্রায়ই সংবাদ শোনা যায় যে শত্রুবাহিনী পলায়ন করেছে, তাও আবার হামলার আগে! সম্প্রতি প্রথম আলো নামক বাংলা সংবাদমাধ্যমে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়েছে তালেবানদের যুদ্ধকৌশল নিয়ে।
তাদের ভাষ্যমতে, “অনেকেই ভাবছিল, দীর্ঘদিনের যুদ্ধে তালেবান হয়তো দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু তাদের ভাবনা ভুল প্রমাণ করে চলছে তালেবান। তারা যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন কৌশল নিয়ে হাজির। তালেবানের কৌশলের কাছে আফগান পুলিশের পাশাপাশি সেনারাও মার খাচ্ছে। উদ্বেগ বাড়ছে কাবুলে।সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর জন্য রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে উঠেছে ‘রেড ইউনিট’। এটি তালেবানের বিশেষ বাহিনী। এই বাহিনীর তৎপরতা ও কার্যকারিতা খোদ আফগান সরকারই অকপটে স্বীকার করেছে। রেড ইউনিট নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হচ্ছে। তাদের সামরিক কৌশল নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের পর্যন্ত ভাবিয়ে তুলেছে।”
সংবাদ মাধ্যমটির বরাতে আরো জানা যায়, “রেড ইউনিট যে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠেছে, তা টের পাওয়া যায় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের কথাবার্তায়। ফারাহ প্রাদেশিক কাউন্সিলের সদস্য দাদুল্লাহ কানি বলেন, ‘পরিস্থিতি শোচনীয়। তালেবান পুরো প্রদেশ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের হাতে আছে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র।’
কান্দাহার প্রদেশের গভর্নরের মুখপাত্র কুদরতুল্লাহ খুশবাকত বলেন, যুদ্ধে তালেবান এখন ভিন্ন কৌশল ব্যবহার করছে। তাদের নিজস্ব ভ্রাম্যমাণ বিশেষ ইউনিট আছে। এই ইউনিটের হাতে রয়েছে লেজার ও নাইট ভিশন প্রযুক্তি। এ দিয়ে তারা রাতের অন্ধকারে দেখতে পায়। তারা হুটহাট তল্লাশিকেন্দ্র ও ঘাঁটিতে হামলা চালাচ্ছে। বিমান হামলা এড়াতে মুহূর্তের মধ্যে এলাকা ছাড়ছে।”
এ হলো তাদের ভাষ্যমতে তালেবান ‍মুজাহিদগণের কৃতিত্বপূর্ণ হামলার ফলাফল। মুজাহিদগণের ভয়ে তাগুতদের অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। আসলে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর ভরসা করে মুজাহিদগণ এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও আফগান জাতির সামনে ইসলামের সুশাসনের বাস্তব চিত্র উপস্থাপন করেছিলেন। যার ফলস্রুতিতে, আজ সমগ্র আফগানিস্তানের মুসলিমগণ এক কাতারে কাতারবন্দী হয়ে মুজাহিদগণের পক্ষে তাগুতদের আপাদমস্তক রঞ্জিত করছেন । তাগুতের শিকড় উপড়ে না ফেলার আগ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন দৃঢ় কণ্ঠে। আল্লাহর উপর সুদৃঢ় ইমান নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে অবিচলতা দেখিয়েছেন তালেবান মুজাহিদগণ । আর তাই, মহান আল্লাহর গায়েবী সাহায্যে আজ তাগুতদের অন্তরে এমন এক ভয় স্থান করে নিয়েছে যা আফগানিস্তানে ইসলামী শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

Related Articles

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × one =

Back to top button