আল কায়েদা শামে আবারো ফিরে যাচ্ছে…
শামে আল কায়েদা আবারো ফিরে যাচ্ছে। জাবহাতুন নুসরাহর সম্পর্ক ত্যাগকে প্রত্যাখ্যান করে সম্প্রতি বক্তব্য দিয়েছেন আল কায়েদা প্রধান ডক্টর আইমান আয যাওয়াহিরি। উক্ত বার্তায় শামে আল কায়েদার প্রত্যাবর্তনের কারণ সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন আল কায়েদা প্রধান।
শাইখ আইমান বলেন-
একটি বাস্তবতাকে আমি স্পষ্ট করতে চাই, আর তা হল শামের জিহাদ হচ্ছে প্রতিরক্ষামূলক জিহাদ। যে জিহাদের ব্যাপারে ফকিহগণ উল্লেখ করেছেন যে, এই জিহাদের জন্য কোন বিষয়কে শর্তযুক্ত করা যাবে না। বরং মুসলমানদের প্রত্যেক ভাল-খারাপ, একমত পোষণকারী-ভিন্নমত পোষণকারী সবাইকে সাথে নিয়ে আক্রমণকারী শত্রুর বিরুদ্ধে সাধ্য অনুযায়ী প্রতিরক্ষা করা হবে।
ডক্টর আইমান আরও বলেন-
শামের জিহাদ হচ্ছে পুরো মুসলিম উম্মাহর জিহাদ, সুতরাং এমন বলা হবে না যে, এটা শামবাসীর জিহাদ, সিরিয়াবাসীর জিহাদ, এবং বলা হবে না যে, এটা ইদলিববাসীর জিহাদ, এটা দার’আবাসীর জিহাদ অথবা দামেস্কবাসীর জিহাদ।
আমি এখানে অত্যান্ত জোর দিয়ে একটি কথা বলতে চাই, আর তা হল আমরা আমাদের বাইয়াত থেকে কাউকে বের হয়ে যাওয়া হালাল বলি না। শুধুমাত্র আমরা ইবরাহীম আল বদরী এবং তার সাথীদেরকে আমাদের জামাআত থেকে বহিস্কার করেছি। কিন্তু আমরা আমাদের বাইয়াত থেকে কাউকে বের হয়ে যাওয়া হালাল বলি না, চাই সে জাবহাতুন নুসরাহ হোক অথবা অন্য কেউ হোক। এবং আমরা জাবহাতুন নুসরাহ’র বাইয়াতকে গোপন বাইয়াত হিসেবে গ্রহণ করিনি, এটিকে আমরা একটি মারাত্বক ভুল বলে মনে করেছি। এবং আমাদের ও আমাদের যারা বাইয়াত দিয়েছেন, তাঁদের মাঝে যে অঙ্গীকার রয়েছে, তা হচ্ছে একটি আবশ্যকীয় অঙ্গীকার, যা ভঙ্গ করা হারাম এবং পূর্ণ করা ওয়াজিব।
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরি শামের জিহাদিদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন-
শামে আমি আমার ভাইদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে, জামাআত কায়েদাতুল জিহাদ এই বিষয়টি বারবার পুনরাবৃত্তি করেছে যে, তাঁরা জাবহাতুন নুসরাহ’র সাথে তখনই সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে প্রস্তুত হবে, যখন দুটি বিষয়ের কোন একটি বাস্তবায়ন হবে, তৃতীয় কোন সুযোগ নেই-
- হয়তো শামের মুজাহিদদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
- অথবা শামে একটি ইসলামী হুকুমত কায়েম করা, এবং শামবাসীরা তাঁদের জন্য ইমাম পসন্দ করবেন।
শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র এই পরিস্থিতিতেই আমরা আমাদের সাংগঠনিক সম্পর্ক থেকে মুক্ত করে দিবো, এর পূর্বে নয়। এবং শামবাসীকে আমরা, তাঁরা যা বাস্তবায়ন করবে, তার অভিবাদন জানাবো। এবং আমাদের মাঝে ইসলাম ও জিহাদের ভ্রাতৃত্ব বাকি থাকবে। যাই হোক একতা ছাড়া নতুন নতুন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা বা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তামাশাপূর্ণভাবে সংযুক্ত হওয়া ও বিচ্ছিন্ন হওয়ার ধারার পুনরাবৃত্তি ঘটবে, আর এই কারণে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি।
আমরা ধারনা করি যে, এই রকম ব্যাপার আগেও জামাআত কায়েদাতুল জিহাদের সাথে হয়েছে, এবং আমার জানামতে এই সময়ে এরকম কোন জামাআত এখনো প্রতিষ্ঠা হয়নি। সুতরাং আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে দুয়া করি যে, তিনি এটাকে তাঁর সন্তুষ্টির জন্য খালেস করে নিবেন।
উল্লেখ্য আল কায়েদা যদি শাম বা সিরিয়াতে প্রত্যাবর্তন করে, তাহলে সিরিয়ানদের আরও বড় আকারে পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হতে পারে। তবে এই আল কায়েদার জন্য সিরিয়ানরা এবং সিরিয়ানদের জন্য অনেক কুরবানি ত্যাগ করেছে। সিরিয়াতে আল কায়েদার শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।