শামের জিহাদে বের হও – – শায়খ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ
শামের জিহাদে বের হও
– শায়খ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ
তোহফা মিডিয়া পরিবেশিত….
বাংলায় ডাবিংকৃত অডিও বার্তাটি শুনুন
“শামের জিহাদে বের হও”
মূলঃ শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী(হাফিযাহুল্লাহ)
ডাউনলোড করুন
https://banglafiles.net/index.php/s/yc6SCbf4moCG7dm
https://archive.org/details/MarchTowardsSham
https://archive.org/details/march_towards_sham
https://www.file-upload.com/0ltiipxkl1ch
https://banglafiles.net/index.php/s/Xj8FjDYXcmsrzyT
https://archive.org/download/1.shamerjihadeberhaotohfamedia/1.Shamer_Jihade_Ber_Hao_TohfaMedia.mp3
https://www.file-upload.com/g1gn739exkxn
http://www.mediafire.com/file/tqzpz0sygst68q6/1.Shamer_Jihade_Ber_Hao_TohfaMedia.mp3/file
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [২৩ এমবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/kLndW282GBKYM7L
https://archive.org/download/ShamerJihaderBerHow_201906/shamer%20jihader%20ber%20how.docx
https://www.file-upload.com/dnhz2n6oqdej
http://www.mediafire.com/file/fbyx2z7c3b2r5zj/shamer_jihader_ber_how.docx/file
———————————————-
انفروا للشام
শামের জিহাদে বের হও
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী
(হাফিজাহুল্লাহ)
আস-সাহাব মিডিয়া
জমাদিল উলা’-১৪৩৭ হিজরী
“শামের জিহাদে বের হও”
بسمِ اللهِ والحمدُ للهِ والصلاةُ والسلامُ على رسولِ اللهِ وآلِه وصحبِه ومن والاه
হে সর্বস্থানের মুসলিমগণ!
السلامُ عليكم ورحمةُ اللهِ وبركاتُه
(আস সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।)
অতঃপর;
নি:সন্দেহে বর্তমানে ‘শাম’ মুসলিম উম্মাহর আশা-ভরসার কেন্দ্রবিন্দু। কারণ, আরব বসন্তের আন্দোলনগুলোর মধ্যে একমাত্র এটিই এমন একটি আন্দোলন, যা সহীহ বা বিশুদ্ধ মানহাজের অনুসরণ করেছে। দাওয়াত ও জিহাদের মানহাজ। শরীয়ত প্রতিষ্ঠা, শরীয়তের শাসন বাস্তবায়ন এবং খেলাফতে রাশেদা প্রতিষ্ঠার জন্য; ইবরাহীম আল বদরীর খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য নয়, ‘খেলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওয়াহ’ প্রতিষ্ঠার জন্য; হাজ্জাজের খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য নয়।
একারণে বিশ্বের সকল অপরাধীদের লিডাররা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, জিহাদ ও রিবাতের ভূমি শামে জিহাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে বাঁধা দেওয়ার জন্য। তারা শুরু করেছিল নানামুখী ষড়যন্ত্র। চালাচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞ ও নির্যাতন এবং ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার। তবে, আল্লাহ তায়ালা চেয়েছেন, শ্রেষ্ঠ আনসার ও মুহাজিরদের একটি জিহাদী জামাআত অবশিষ্ট থাকুক, যারা অটল থাকবে সত্যের উপর, কখনো তা থেকে সরে যাবে না।
অতঃপর সমস্ত মুসলিম উম্মাহ শামে তার (হক জামা’তের) পাশে একত্রিত হয়েছে এবং তারা বুঝতে পেরেছে তাদের সঠিক মানহাজ বনাম খারিজী সীমালঙ্ঘনকারী, তাকফীরীদের বিকৃত মানহাজের মধ্যে পার্থক্য। যারা কিনা উম্মাহকে নতুন করে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের চরিত্রের সুসংবাদ (!) শুনাচ্ছে। যারা অচিরেই মুসলিমদের মাথার ভার বহন করবে (হত্যা করবে)।
জিহাদ ও রিবাতের ভূমি শামের মুসলিম ও মুজাহিদগণ এবং প্রত্যেক স্থানে আমার মুসলিম ভাইগণ!
এখন আমাদের দায়িত্ব হল, শামের জিহাদের বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা প্রতিহত করা। যার বড় অংশের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বৃটেনের পালক-কন্যা ও আমেরিকার অনুগামী সাউদ পরিবার ও তাদের আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলোর চ্যালারা। এই সকল ষড়যন্ত্রের লক্ষ্যবস্তু হল, শামে এমন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যা ইসলামকে মিটিয়ে দিবে।
পক্ষান্তরে, তারা এমন বিকৃত ইসলাম পেশ করবে, যা ধর্মনিরপেক্ষতা, ভূমি-ভিত্তিক রাষ্ট্র, জাতীয়তাবাদের শ্লোগান ও অপরাধীদের গুরুদের রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার সাথে ঐক্যমত পোষণ করবে এবং তারা ঐ সকল লক্ষ লক্ষ মুসলিমের রক্ত নিয়ে হোলি খেলেছে, যারা বিক্ষোভ মিছিলে বের হয়ে এই শ্লোগান দিচ্ছিল যে,
قائدُنا للأبدِ سيدُنا محمدٌ
“আমাদের সর্বকালের নেতা ও সর্দার মুহাম্মদ (সাঃ)”।
তাই বিশ্ব কুফরী শাসনব্যবস্থা ও তার অপরাধীদের জন্য এবং আমাদের শাসকশ্রেণী ও তাদের ধর্মত্যাগী শাসনব্যবস্থার জন্য বড় মুশকিল ও পেরেশানীর বিষয় এই যে, শামের মুজাহিদগণ ফিলিস্তীনের (প্রায়) সীমান্তে অবস্থান করছেন এবং তারা সেই ইসরাঈল নামক রাষ্টকে হুমকি দিচ্ছেন, যা (ইসরাঈল) একান্ন বছর ধরে আমেরিকাকে নেতৃত্বদানকারী বা আমেরিকার বাইরে থেকে আমেরিকাকে পরিচালনাকারী। একারণে অপরাধের গুরুরা এই জিহাদকে শেষ করার জন্য এবং তার গতি ধর্মনিরপেক্ষতা, দেশাত্ববোধ, জাতীয়তাবাদ ও অপরাধের গুরুদের বিশ্ব কুফরী শাসনব্যবস্থার প্রতি বশ্যতার দিকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পরস্পর সর্বাত্নক সহযোগীতা করে যাচ্ছে। তাই তারা ষড়যন্ত্রের পর ষড়যন্ত্র, চক্রান্তের পর চক্রান্ত করছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেনেভা, রিয়াদ, হুদনা অপরাধীদের লিডারদের নিরাপত্তাসভা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এছাড়াও অব্যাহত রাখছে অগণিত ধোঁকা, অপবাদ ও মিথ্যাচারের ধারাবাহিকতা।
তাই আজ আমাদের আবশ্যক দায়িত্ব হলঃ শামের জিহাদকে প্রত্যেকের সর্বোচ্চ সামর্থ দিয়ে সহযোগীতা করা এবং তার (শাম) সাহায্যের জন্য হালকা বা ভারি হয়ে বের হয়ে পড়া।
আজ আমাদের দায়িত্ব শামের মুজাহিদদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য উদ্ধুদ্ধ করা, যাতে তারা নুসাইরী ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের থেকে এবং তাদের সহযোগী সাফাবী ও তাদের মিত্র রাশিয়া ও পশ্চিমা ক্রুসেডারদের থেকে স্বাধীনতা লাভ করতে পারে এবং যাতে সেখানে একটি আদর্শ ইসলামী ও জিহাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হতে পারে।
পৃথিবীর সকল স্থান থেকে আগত জিহাদ ও রিবাতের ভূমি শামে আমার মুজাহিদ ভাইগণ!
নিশ্চয়ই আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারটি হল আপনাদের বাচা-মরার ব্যাপার। তাই, হয় আপনারা সম্মান ও মর্যাদার সাথে মুসলিম হিসাবে বসবাস করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হোন, অন্যথা মতবিরোধ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে, পরিণামে আপনাদেরকে একজন একজন করে (শত্রুরা) গ্রাস করবে।
আরেকটি বিশেষ বিষয়, যার ব্যাপারে অনেকেই অনেক কথা বলেছে। আর তা করেছে, শামে জিহাদী মুসলিম উম্মাহর দৃষ্টি তাদের প্রকৃত শত্রুদের থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
আর তা হচ্ছেঃ সম্মান ও গৌরবের প্রতীক, প্রিয় জাবহাতুন নুসরা-র কায়িদাতুল জিহাদের সাথে সম্পৃক্ততার কথা, যার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে আমরা গর্বিত এবং যার ব্যাপারে আমরা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি, আল্লাহ তার দৃঢ়তা ও শক্তি বাড়িয়ে দিন।
এই ব্যাপারে আমি কয়েকটি সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট কথা বলব যা পূর্বেও বহুবার বলেছি, তা হলঃ
শামবাসী ও তাদের হৃদপিন্ড; সাহসী ও সৌভাগ্যবান মুজাহিদগণ যখন তাদের ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠা করবে এবং তারা তাদের জন্য কোন ইমাম মনোনীত করবে, তখন তারা যেটা পছন্দ করবে, সেটাই আমাদের পছন্দ। কারণ আল্লাহর অনুগ্রহে আমরা ক্ষমতার আকাঙ্খী নই; বরং আমরা শরীয়তের শাসন বাস্তবায়নের প্রত্যাশী। আমরা মুসলমানদেরকে শাসন করতে চাই না; বরং আমরা চাই ইসলাম দিয়ে মুসলিমদের মত শাসিত হতে।
আমরা সর্বদা বলেছি, আমরা শামের মুজাহিদদেরকে এক হওয়ার জন্য এবং একটি আদর্শ ইসলামী জিহাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান করি, যা ইনসাফের প্রসার ঘটাবে, পরামর্শ নীতির বিস্তার ঘটাবে, অধিকারসমূহ ফিরিয়ে দিবে, অসহায়-নিপিড়ীতদেরকে সাহায্য করবে, জিহাদকে পুনরুজ্জীবিত করবে, অতঃপর সমস্ত দেশগুলো মুক্ত করবে এবং আল আকসাকে মুক্ত করার জন্য ও খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওয়াহ ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করবে। আল্লাহর অনুগ্রহে কখনো কিছুতেই সাংগঠনিক সম্পৃক্ততার দ্বারা এই সকল মহান কার্যক্রমের বিপরীতে কোন বাধা সৃষ্টি হবে না, যার স্বপ্ন দেখছে উম্মাহ, আমরা তার একটি অংশ মাত্র; অভিভাবক নই। আমরা অপরিচিত লোকদের বায়আতের মাধ্যমে তার অধিকারী হতে চাই না। এবং আমরা আকস্মিক খলিফাও নই।
সুতরাং, “জাবহাতুন নুসরাহ” যদি আল-কায়েদা থেকে পৃথক হয়ে যায়, তাহলে কি অপরাধীদের মোড়লরা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাবে, নাকি তাদেরকে খুনি অপরাধীদের সাথে এক দস্তরখানে বসতে বাধ্য করবে? অতঃপর তাদেরকে বাধ্য করবে লাঞ্ছনা ও অপমানের চুক্তির আনুগত্য স্বীকার করতে, তারপর অনৈতিকতা ও দালালী শাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করতে, অতঃপর নোংরা গণতন্ত্রের খেল-তামাশায় অংশগ্রহণ করতে। অতঃপর তাদেরকে নিক্ষেপ করবে কারাগারে। যেমনটা করেছিল ‘আলজেরিয়ায়’ ‘জাবহাতুল ইসলামীয়ার’ সাথে এবং মিশরে ইখওয়ানুল মুসলিমীনের সাথে।
হে আমার মিশরের মুসলিম ভাইয়েরা!
মহান আল্লাহ সত্যই বলেছেন:
﴿وَلَن تَرْضَى عَنكَ الْيَهُودُ وَلاَ النَّصَارَى حَتَّى تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمْ قُلْ إِنَّ هُدَى اللَّهِ هُوَ الْهُدَى وَلَئِنِ اتَّبَعْتَ أَهْوَاءَهُم بَعْدَ الَّذِي جَاءَكَ مِنَ الْعِلْمِ مَا لَكَ مِنَ اللَّهِ مِن وَلِيٍّ وَلاَ نَصِيرٍ﴾.
“ইহুদীরা তোমার প্রতি কিছুতেই সন্তুষ্ট হবে না এবং নাসারারাও না, যতক্ষণ না তুমি তাদের ধর্মের অনুসরণ করবে। বল, আল্লাহর নির্দেশিত পথই সঠিক পথ। আর যদি তোমার নিকট ইলম আসার পরও তুমি তাদের কামনা-বাসনার অনুসরণ কর, তাহলে (জেনে রেখ) আল্লাহ থেকে রক্ষার করার জন্য তোমার কোন বন্ধু বা সাহায্যকারী নেই। (সূরা বাকারা-১২০)
আমরা কায়িদাতুল জিহাদে সন্তুষ্টিচিত্ত ব্যতীত কারো হতে বায়আত গ্রহণ করি না, কাউকে তাতে বাধ্য করি না এবং কারো শিরোচ্ছেদ বা গর্দান পৃথক করে ফেলার হুমকি দেই না। আমাদের সাথে যারা যুদ্ধ করে তাদেরকে তাকফীর করি না, যেমনটা নব্য খারিজী সীমালঙ্ঘনকারীরা করে থাকে।
হে ‘মুমিনদের বাড়ী’তে অবস্থানরত আমাদের মুসলিম উম্মাহ !
এবং শামের ভূমিতে অবস্থানরত ইসলামের বীর সিংহ আমাদের সম্মানিত ভাইগণ!
নিশ্চয়ই আমরা আপনাদেরই মধ্য থেকে, আপনাদেরই জন্য এবং আপনাদেরই অংশ, যদিও দেশ ও অঞ্চল আমাদের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করেছে, কিন্তু আকীদা ও দ্বীন আমাদেরকে একই সূত্রে আবদ্ধ করেছে। আমরা আপনাদের সাথে আছি। আমরা বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্বে একই যুদ্ধে লিপ্ত। ক্রুসেডীয় অপরাধীদের লিডার ও তাদের মুরতাদ সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
তাই আপনাদের বিজয়ই আমাদের বিজয়, আপনাদের সম্মানই আমাদের সম্মান এবং আপনাদের তামকীন বা কর্তৃত্ব আমাদের তামকীন বা কর্তৃত্ব। সুতরাং অটল থাকুন হে আল্লাহর বান্দাগণ! এই ঘৃণ্য ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে, যাতে পূর্বের ও পশ্চিমের সকল ক্রুসেডাররা মিত্রতা স্থাপন করেছে নুসাইরী, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী, রাফেযী ও দ্বীন থেকে বিচ্যুতদের সাথে। তাই আপনারা অটল থাকুন, মোকাবেলায় অবিচল থাকুন এবং যুদ্ধে দৃঢ়পদ থাকুন। ক্রুসেডারদের যুদ্ধাস্ত্র যেন আপনাদেরকে ভীত করে না দেয়। কারণ পূর্বে আফগানিস্তানে ও ইরাকেও তা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। আপনাদের সম্মানিত আমির ‘আল-মুতাওয়াক্কিল আলাল্লাহ’ মোল্লা মুহাম্মাদ ওমর রহ: এর কথাটি স্মরণ করুন, তিনি বলেছিলেন:
لقد وعدنا اللهُ بالنصرِ، ووعدنا بوشُ بالهزيمةِ، وسنرى أيَ الوعدين أصدقُ
“নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজয়ের, আর বুশ আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পরাজয়ের। আমরা অচিরেই দেখবো, দুটি ওয়াদার কোনটি অধিক সত্য” ?
স্মরণ করুন তার আরেকটি কথা, তিনি (রহঃ) বলেছেন,
إن مسألةَ أسامةَ لم تعد مسألةَ شخصٍ، ولكنها أصبحتْ مسألةَ عزةِ الإسلامِ
নিশ্চয়ই উসামার ব্যাপারটি একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার হিসাবে বাকি থাকেনি, বরং এটি এখন ইসলামের সম্মানের ব্যাপার হয়ে গেছে।
আরো স্মরণ করুন, যখন তিনি তার ভাইদেরকে বলেছিলেন:
لو سلمتُ أسامةَ، فإنكم غدًا ستُسْلِموني
যদি তোমরা আজ উসামাকে সঁপে দেও, তাহলে আগামীকাল তোমরা আমাকেও সঁপে দিবে।
তাই, একেই বলে “আল্লাহর উপর ভরসা”, তার উপরই নির্ভর করা, তিনি ব্যতীত অন্য কারো উপর নির্ভর না করা, এটাই সেই জিনিস, যা পূর্ব ও পশ্চিমের ক্রুসেডার বাহিনীকে আফাগানিস্তানে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছিল, অতঃপর নাস্তানাবুদ করেছে ইরাকে। আর অচিরেই আল্লাহর অনুমতিতে শামেও নাস্তানাবুদ করবে ।
আপনারা সতর্ক থাকবেন, ধর্মত্যাগী, দালাল ও চাটুকার শাসনব্যবস্থার কুমন্ত্রণা থেকে। তা কখনোই আপনাদেরকে স্বাধীনতা, সম্মান ও মর্যাদা দিবে না। কেননা, فاقدَ الشيءِ لا يعطيه যার কাছে কোন বস্তু নেই সে তা অন্যকে দিতে পারে না। আর আপনাদের কাজ যেন কথাকে সত্যায়ন করে, আপনারা বলেছিলেনঃ
“الموتُ ولا المذلةُ” “ইজ্জতের মৃত্যু; লাঞ্ছনা নয়” বা “লাঞ্ছনা থেকে মৃত্যু শ্রেয়”।
মহান আল্লাহ তায়ালার বানীঃ-
﴿وَإِن تَصْبِرُواْ وَتَتَّقُواْ لاَ يَضُرُّكُمْ كَيْدُهُمْ شَيْئًا إِنَّ اللَّهَ بِمَا يَعْمَلُونَ مُحِيطٌ﴾.
“যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর ও ভয় কর, তাহলে তাদের চক্রান্ত তোমাদের কিছুই করতে পারবে না। নিশ্চয়ই তারা যা করে, আল্লাহ তার সবকিছু পরিবেষ্টন করে রাখেন।
সবশেষে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। দরুদ ও সালাম আমাদের নেতা মুহাম্মদ (সাঃ) তার পরিবারবর্গ ও তার সকল সাহাবীদের প্রতি।
والسلامُ عليكم ورحمةُ اللهِ وبركاتُه