অডিও ও ভিডিওঅডিও ও ভিডিও [আন নাসর]আন-নাসর মিডিয়াআল কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ (AQIS)তাওহিদ মিডিয়াতানজীমপাকিস্তানফাতাওয়া-ফারায়েজবই ও রিসালাহবই ও রিসালাহ [আন নাসর]বাংলা প্রকাশনামাওলানা আসিম উমরমিডিয়াহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

শরীয়াত ব্যতীত যুদ্ধ ফিতনা বৈ কিছুই নয় – মাওলানা আসেম উমার হাফিজাহুল্লাহ

বাংলায় ডাবিংকৃত নতুন লেকচার

শরীয়ত  ছাড়া জিহাদ ফিতনা ছাড়া কিছু না

-মাওলানা আসিম ওমর হাফিজাহুল্লাহ

বাংলায় কন্ঠ দিয়েছেনঃ আব্দুল্লাহ আল বাংলাদেশী (দা: বা:)

শরীয়াত ব্যতীত যুদ্ধ ফিতনা বৈ কিছুই নয় – মাওলানা আসেম উমার হাফিজাহুল্লাহ

ডাউনলোড করুন

PDF High Quality:
https://banglafiles.net/index.php/s/qtgJQSXk73XPTgR
https://www.file-upload.com/bi6622iaqugi
https://archive.org/download/AsimUmarWithoutShariahWarIsMereStrifeBNG/AsimUmar-WithoutShariahWarIsMereStrife_BNG.pdf

PDF LOW Quality:
https://banglafiles.net/index.php/s/tdBRCjoA3T3jJor
https://www.file-upload.com/68uoczcvv951
https://archive.org/download/AsimUmarWithoutShariahWarIsMereStrifeBNG/AsimUmar-WithoutShariahWarIsMereStrife_BNG-Low.pdf

Audio
https://banglafiles.net/index.php/s/YjWFkLqriRW9N4b
https://www.file-upload.com/ru9e76qhf5gl
https://archive.org/download/TawhidMedia/ShariyatCharaJihadFitnaCharaKichuNoy.mp3

====================

مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ বাংলাদেশ শাখা
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]

===================

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

শরীয়ত ব্যতীত যুদ্ধ ‌ফেতনা বৈ কিছু নয়

পাকিস্তানে মুসলমানদের রক্ত প্রবাহিত করা প্রসঙ্গে পাকিস্তান ও সারা দুনিয়ার মুজাহিদদের প্রতি আল কায়েদা উপমহাদেশ শাখার আমীর মাওলানা আসিম উমর হাফিজাহুল্লাহর পয়গাম।

 

সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালার জন্য। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক রসুলদের সর্দার, তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবায়ে কেরাম ও কিয়ামত পর্যন্ত ইহসানের সাথে যারা তাঁদের অনুসরণ করবেন, তাঁদের উপর।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন: ‘ তোমরা উত্তম উম্মত, তোমরা ভাল কাজের আদেশ করবে, খারাপ কাজে নিষেধ করবে এবং আল্লাহর উপর ঈমান আনবে।’

আরো ইরশাদ করেন: ‘ তারা তাদের কৃত খারাপ ক্রিয়া সম্পর্কে একে অপরকে নিষেধ করত না, তাদের কর্ম খুবই নিকৃষ্ট ছিল’।

নবীজী সা. বলেছেন, ‘ এক জন মুমিনকে অন্যায় ভাবে হত্যা করার তুলনায় দুনিয়াকে ধ্বংস করে ফেলা আল্লাহর নিকট অধিক সহজ’।

নবীজী সা. আরো বলেন, ‘ একজন মুসলিমের জান, মাল, ইজ্জত নষ্ট করা অপর মুসলিমের উপর হারাম।’

আমার প্রিয় মুজাহিদ ভাই ও আল্লাহর পথে জান উৎসর্গকরার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাকারী ভাইয়েরা! হে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসায় চোখে দেখা দুনিয়াকে না দেখা আখেরাতের উপর কুরবানকারী ভাইয়েরা! হে ঐ সকল পাগলেরা, যারা এই শ্লোগান নিয়ে দাড়িয়েঁছে যে, নিজেদের সব কিছু এই প্রিয়তম উম্মতের ইজ্জতের খাতিরে কুরবান করে দিবে! এতে কোন সন্দেহ নেই যে, আপনারা যে পথ অবলম্বন করেছেন, এটা মহান পথ। উম্মতের শীর উচু করে ঘুরে দাঁড়াবার পথ।এটা ইসলামের বিজয় ও জান্নাতের সংক্ষিপ্ত পথ! এটা এমন পথ যা শুধু মুসলমানদের-ই নয় বরং কাফেরদেরও হেদায়াতের পথে আনার মাধ্যম। এই ফরজ আদায়ের দ্বারা শুধু মুসলমানই নয় বরং পুরো পৃথিবীকে ফাসাদ সৃষ্টিকারী নেজাম থেকে মুক্ত করা যায়।

কিন্তু প্রশ্ন হল, বিষয়টি কি এমন যে, যে চাইবে, যেভাবে চাইবে, যে পথ ও পদ্ধতিতে চাইবে, সে সেভাবেই তা আদায় করবে?তা আদায়ের ক্ষেত্রে ইমামুল মুজাহিদিন, খাতামুন নাবিয়্যিন ও রহমাতুললিল আলামিন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লামের পবিত্র সিরাতের কোন পরোয়া করবেনা? শরয়ী উসুল ও আহকামসমুহের প্রতি লক্ষ্য করবেনা? বরং নিজের ইচ্ছামত রক্ত প্রবাহিত করতে থাকবে! প্রাণ সমূহ নষ্ট করতে থাকবে! ? তবে কি এটা সেই জিহাদ, যা মুসলিম উম্মাহর ইজ্জত, মুক্তি ও সফলতার পথ? তবে কি এই ধরণের জিহাদ দ্বারা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও জান্নাত অর্জন করা যাবে?

কক্ষনো নয়! আল্লাহ তায়ালা জিহাদকে তাঁর প্রিয়তম হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর একটি ইবাদত ও ফরিজাহ হিসেবে নাযিল করেছেন। সুতরাং ঐ সকল ইবাদত-ই মাকবুল হবে, যা আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বলে দেওয়া তরিকা অনুযায়ী হবে। শরয়ী আহকামসমুহের সীমারেখার মধ্যে থেকে তা আদায় করা হবে। হালাল-হারাম ও জায়েজ নাজায়েজের প্রতি লক্ষ করে যা আঞ্জাম দেওয়া হবে। বিষয়টি এই রকম নয় যে, প্রত্যেক যোদ্ধা অথবা রণাঙ্গনে রক্ত প্রবাহিতকারী সকলকেই মুজাহিদ বলা হবে! সুতরাং প্রত্যেক মুজাহিদের এই কথাটি ভালভাবে বুঝতে হবে যে,আল্লাহ তায়ালা যেমনিভাবে অন্যান্য মুসলমানদের শরীয়তের অনুসরণের প্রতি পাবন্দ বানিয়েছেন, তেমনিভাবে একজন মুজাহিদও সেই শরীয়তের পাবন্দ।সাধারণ মুসলিমের জন্য যেমন শরীয়তের সীমা অতিক্রম করা জায়েয নেই, তেমনি মুজাহিদের জন্যও শরীয়তের সীমা অতিক্রম করা জায়েয নেই

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ঘোষণা দিয়েছেন- ‘ইসলামে যা কিছু হালাল সেটা যেমন স্পষ্ট আর যা কিছু হারাম সেটাও তেমন স্পষ্ট। কিন্তু এই দুইটির মাঝে কিছু মুতাশাবিহাত সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যা অধিকাংশ মানুষ জানেনা। সুতরাং যে ব্যক্তি মুতাশাবিহাত থেকে বেঁচে থাকবে, নিজের দিন ও নিজের ইজ্জতকে বাঁচিয়ে রাখবে, আর যে ব্যক্তি এই সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে পতিত হবে, তাঁদের উপমা হল সেই রাখালের মত যে তাঁর বকরির পালকে কারো ক্ষেতের আইলে চড়তে দেখছে, সম্ভাবনা আছে যে বকরির পাল তাঁর ক্ষেতের মাঝেই ঢুকে পরবে। মনে রাখবে! প্রত্যেক বাদশাহর সীমান্ত বা সীমারেখা রয়েছে। আল্লাহর সীমারেখা হচ্ছে তাঁর হারাম করা বস্তুসমুহ! ‘(বুখারি)

সুতরাং হে আমার মুজাহিদ ভাইগণ! আল্লাহর হারামকৃত বস্তুসমুহ থেকে সেই মুজাহিদ-ই বাঁচতে পারে, যে তাঁর সীমারেখা থেকে দূরে অবস্থান করে। তাঁর নিকটে যাওয়ার চেষ্টা না করে। কিন্তু যে কেউ-ই কোন ব্যাখ্যা বা জিহাদ বা ফিদায়ি নাম দিয়ে তাঁর নিকটে যাওয়ার চেষ্টা করে, সে একদিন আল্লাহ তায়ালার সীমারেখা অতিক্রম করেই বসবে। আল্লাহ তায়ালার মুকাবেলায় সে কোন আমীর যে জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালার সীমারেখা অতিক্রম করার সাহস রাখে!? আল্লাহর রাজত্বকে চ্যালেঞ্জ করবে? সকল মালিকদের মালিকের সম্মুখে তাঁর দুঃসাহস দেখাবে? মনে রাখবেন! আল্লাহ তায়ালা অমুখাপেক্ষী। আল্লাহর এমন জিহাদের কোন জরুরত নেই, যা আল্লাহ তায়ালার সীমারেখাকে অতিক্রম করে আদায় করা হবে। আল্লাহ তায়ালার এমন রক্ত প্রবাহিত করন পছন্দ নয়, যা তাঁর নাফরমানীতে প্রবাহিত করা হবে! আল্লাহ তায়ালার এমন প্রাণেরও কোন পরোয়া নেই যা শরীয়তের বাইরে গিয়ে বিসর্জিত হয়।

আমার প্রিয় মুজাহিদ ভাইগণ! একটি বিষয়কে ভালভাবে বুঝে রাখা উচিত! আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিহাদের ময়দানে যে সকল জিনিস থেকে নিষেধ করেছেন, তাতে জিহাদেরই ফায়দা রয়েছে। আমাদের বুঝে আসুক বা না আসুক। আমাদের আকল ও বুঝশক্তি তা অনুধাবন করতে পারুক অথবা না পারুক। হক সেটাই শরীয়তে যা বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর মধ্যেই জিহাদের ফায়েদা রয়েছে; তাঁর মধ্যেই দ্বীনের ফায়েদা রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লড়াইয়ে দুশমনের ওই সকল মহিলা ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করেছেন, যারা কোনো প্রকারে লড়াইয়ে অংশ নেয়নি। যদি কেউ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফরমানের মুকাবেলায় নিজের আকল চালিয়ে দেয় সে এই কথা বলবে যে, মহিলা ও শিশুদের উপর হামলার ফলে দুশমনের মাঝে অধিক ভীতি সৃষ্টি হবে, তাঁদের অধিক ক্ষতি হবে, ফলে তারা লড়াই করতে অক্ষম হয়ে পড়বে। অতঃপর সে মহিলা ও বাচ্চাদের উপর হামলা করা শুরু করে দেয়। তাহলে এটা তাঁর নির্বুদ্ধিতা ও যোগ্যতার কমতি বলে ধরে নেওয়া হবে। এক অগভীর জ্ঞানের অধিকারী যোদ্ধা-ই এমনটি ভাবতে পারে, যে মানুষের প্রাকৃতিক স্বভাব সম্পর্কে অবগত নয়। কেননা আপনি যদি একটু গভীরভাবে মানুষের প্রাকৃতিক স্বভাব ও তাঁর গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করেন। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের রক্ত প্রবাহিত করার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন, তাহলে আপনার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফরমানের উপর ইয়াকিন ও বিশ্বাস দৃঢ় ও মজবুত হবে যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বলা একটি উসুল বা মূলনীতি এই আধুনিক যুদ্ধের যুগেও তেমনি উপকারি ১৪০০ বছর পূর্বে যেমন উপকারি ছিল।  আপনি নিজেই চিন্তা করুন! আপনার মাঝে ঘৃণা ও ক্রোধ কখন বৃদ্ধি পায়, নিজের সহযোগী যোদ্ধাদের মরা লাশ দেখে নাকি নিজের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের মরা লাশ দেখে? মনে রাখবেন! মহিলা ও শিশুদের লাশ মানুষের মনে  ঘৃণা ও প্রতিশোধের রক্ত তপ্ত করে দেয়।

ভীতু থেকে ভীতু মানুষও স্বীয় স্ত্রী ও সন্তানদের লাশ দেখে মরতে ও মারতে প্রস্তুত হয়ে যায়। আপনি কি দেখেননি মহিলাদের মত কমজোর মানুষও স্বীয় সন্তানকে বাঁচাতে নিজের জানকে মৃত্যুর মুখে ঢেলে দেয়? বুঝা গেল মহিলা ও শিশুদের রক্তপাত হত্যাকারীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ও প্রতিশোধের আগুন বৃদ্ধি করে দেয়। তাঁর শত্রুর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তার বিরুদ্ধে লড়ার জযবাকে আরও সমৃদ্ধ করে।

যদি আপনি এই বিষয়টি বুঝে থাকেন যে, শিশু এবং লড়াই করছে না এমন মহিলাদের রক্ত ঘৃণা ও প্রতিশোধের আগুন উস্কে দেয়, তাহলে এবার এই হাকিকতকেও অনুধাবন করে নিন যে, আল্লাহ তায়ালা স্বীয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিহাদের নির্দেশ এই জন্য দিয়েছেন যে, তিনি এই জিহাদের মাধ্যমে দ্বীনের দুশমনদের লড়াই করার জযবাকে চুরমার করে দিবেন। তাদের লড়াইয়ের প্রতিজ্ঞাকে পরাজিত করে দিবেন। এই জন্যই দুশমনের নেতৃত্ব ও উপরস্ত কর্তাদের মাথার খুপরি উড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  ইরশাদ হচ্ছে, ‌’ কাফেরদের নেতাদের সাথে লড়াই কর’ এর মাকসাদও বলে দিয়েছেন, তাহল, ‘তারা যাতে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকে।’  এই আয়াতের তাফসিরে ইমাম আবু সউদ রহিমাহুল্লাহ বলেন, অর্থাৎ তোমাদের কর্তৃক তাদের হত্যা করা ঐ সকল যুদ্ধবাজদের মত নয়, যা তারা জাহেলি পক্ষপাতিত্বের উদ্দেশ্যে শুধুমাত্র নিজের দুশমনকে কষ্ট দেওয়ার জন্য করতো।তাদের অন্য কোন মাকসাদ থাকত না! বরং তোমাদের জিহাদের মাকসাদ তো হল তা-ই, যা সাহাবায়ে কেরাম (রাদিঃ)বর্ণনা করতেন যে, তাদের নেতাদের মাথাসমূহ কেটে দেয়ার মাধ্যমে ঐ  প্রতিবন্ধকতাসমূহ খতম করে দেওয়া, যা এই নেজাম প্রতিষ্ঠার মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে আছে। যাতে সাধারণ মানুষের জন্য হেদায়াতের দরজা খুলে যায় এবং তারা আল্লাহর দ্বীনের মাঝে আনন্দের সাথে প্রবেশ করে। সুতরাং দুশমনের লড়াইয়ের প্রতিজ্ঞাকে চুরমার করার জন্য সর্বশক্তিতে প্রচণ্ড গতিতে দুশমনের নেতৃবর্গের  উপর হামলা করতে হবে। তাদের লড়াইয়ের সাধ মিটিয়ে দিতে হবে।  তাদের অফিসারদের টার্গেট করা হবে যাতে, তারা লড়ার হিম্মত হারিয়ে ফেলে। যেমনটি আল-হামদুলিল্লাহ আফগানিস্তানে আমেরিকা ও ন্যাটো ফৌজ হারিয়েছে।

মনে রাখবেন! গেরিলা শক্তি তাঁর দুশমনের হিম্মত ও সাহসকে দুর্বল করে দিয়ে স্বীয় টার্গেট অর্জন করে নেয়। বিষয়টি এমন নয় যে, তারা দুশমনের সকল সদস্যের রক্ত প্রবাহিত করে বিজয় অর্জন করে। বরং একটি সুসমৃদ্ধ বাহিনীও চেষ্টা করে যে, তার দুশমনের লড়াই করার প্রতিজ্ঞা দুর্বল হয়ে যাক। প্রিয়তম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র সিরাত পর্যবেক্ষণ করে দেখুন; বদরে বিজয় হয়েছে তবে এমন নয় যে ময়দানের সকল কাফের হত্যা করা হয়েছে।তাদের অধিকাংশ মারা যাওয়ার ফলে তাদের পরাজয় হয়নি। বরং মক্কার কাফেরদের অধিকাংশ-ই জিন্দা ছিল। কিন্তু বড় বড় নেতাদের মৃত্যুর ফলে তাদের সেই উদ্দীপনা ও জযবা ভেঙ্গে গিয়েছিল, যা তারা মক্কা থেকে নিয়ে এসেছিল। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্ণ সিরাত মুবারাক অধ্যায়ন করুন! পরবর্তীতে যখন মক্কা বিজয় হল, তখন কি জাজিরাতুল আরবে কোন কাফের ছিলনা? ছিল, অনেক কাফের, যুদ্ধবাজ ও প্রতিশোধ পরায়ণ লোক উপস্থিত ছিল, কিন্তু তাদের লড়াইয়ের ইচ্ছা ও সাহস দুর্বল হয়ে গিয়েছিল।

এমনিভাবে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন পরাজিত হয়ে আফগানিস্তান ত্যাগ করেছিল, কি কারণে ত্যাগ করে ছিল? তাদের সৈন্য সংখ্যা কমে গিয়েছিল সে জন্য? না। বিষয়টি কখনও এমন নয়, বরং তাদের লড়াইকারী সৈন্যদের হিম্মত টুটে গিয়েছিল। এবং বর্তমানেও আফগানিস্তানে আমেরিকা ও তার সহযোগীদের যে পরাজয় হচ্ছে , তাও এই কারনে নয় যে তাদের ড্রোন খতম হয়ে গিয়েছে, তাদের স্যাটেলাইট ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। অথবা তাদের আধুনিক টেকনোলজি খতম হয়ে গিয়েছে, বরং আল্লাহর সাহায্যে আল্লাহর সিংহরা তাদের লড়াইয়ের শক্তিকে এতো মেরেছে! এতো মন্দ মার মেরেছে যে, ড্রোন ও জেট বিমানের সাহায্য সত্ত্বেও ঐ বাহিনীর এতোটুকু হিম্মতও নেই যে, তারা তাদের মজবুত  মোর্চা ও ক্যাম্পসমূহে  বসে তালেবান মুজাহিদদের সামনে দাঁড়াবে!বুঝা গেল যুদ্ধে বিজয় দুশমনের লড়াইয়ের হিম্মতকে চুরমার করে দিয়ে হাসিল করতে হয়। আর লড়াই করেনি এমন নারী ও শিশুদের হত্যা করার দ্বারা দুশমনের মাঝে লড়াই করার আগ্রহ ও হিম্মত বৃদ্ধি পায় ।

সুতরাং যারা এমনটি করছে তারা দুশমনের লড়াই করার হিম্মত ভেঙ্গে দেওয়ার পরিবর্তে আরও শক্তিশালী করছে। শুধু এতটুকুই নয়, এসব হামলার কারণে যারা দুশমন সারিতে ছিল না; দূরে দাড়িয়ে অবস্থা দেখতে ছিল, বুঝতে ছিল, তারাও প্রকাশ্যে কুফুরের ইমামদের সহযোগী হয়ে যাচ্ছে। দুশমনের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুশমনের সংখ্যা কমিয়েছেন বাড়াননি। দুশমনকে বিভক্ত করে দুর্বল  করে দিয়েছেন।

আমার প্রিয় মুজাহিদ ভাইগণ! এই জিহাদকে আপনার প্রিয়তম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট থেকে শিখুন!তাঁর জান উৎসর্গকারী সিপাহসালারদের থেকে শিখুন!

সর্বপ্রথম সঠিক টার্গেট নির্ধারণ করুন! মনে রাখবেন! বিপ্লব ও লড়াইয়ে সঠিক টার্গেট নির্ধারণ, সময় ও উপকরণের যুগোপযোগী ব্যবহার যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে! যুদ্ধে সেই বিজয় লাভ করে যে যুদ্ধের বাগডোর নিজের হাতে রাখতে পারে। এবং যুদ্ধের বাগডোর তাঁর হাতেই থাকে যে তাঁর নির্বাচিত টার্গেটে সফল হামলা করে; টার্গেট ছেড়ে দিয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে জড়িয়ে না পড়ে। বিপ্লবী আন্দোলনসমূহের আশঙ্কা এটা নয় যে দুশমন তাদেরকে শক্তি প্রোয়োগ করে মিটিয়ে ফেলবে, বরং বল প্রোয়োগ তো তাঁদেরকে আরও শক্তিশালী করে তুলে। আসল আশঙ্কা এই যে, আন্দোলনকে তার মৌলিক টার্গেট বা পরিকল্পনা থেকে সরিয়ে অন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে জড়িয়ে ফেলা হবে।

আপনারা বিপ্লবী আন্দোলনসমূহের ইতিহাস পড়ে দেখুন! বল প্রোয়োগের কারনে এই আন্দোলনসমূহ খতম হয়ে যায়নি বরং অধিকাংশ আন্দোলনকে তার মৌলিক টার্গেট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং যুদ্ধকে নিজের হাতে রাখা অত্যন্ত জরুরী। যুদ্ধকে নিজেদের হাতে রাখার ফায়েদা এই যে আপনি যখন চাইবেন, যুদ্ধের মাঠ গরম করে তুলতে পারবেন। এবং যদি যুদ্ধকে হালকা করার আপনার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি ইচ্ছামত তাৎক্ষণিক যুদ্ধের পরিবেশ ঠাণ্ডা করে দিতে পারবেন।দুশমনের ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও সে আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী রণাঙ্গনে আসতে ও যেতে বাধ্য হবে। এমনকি দুশমনের লড়াইকারী সৈন্যরা মানসিকভাবে পরাজিত হতে থাকবে। এমন সিপাহসালার যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনেন, যিনি দুশমনকে তাঁর মর্জিমত টেনে নিয়ে আসেন। কিন্তু যুদ্ধ যদি সিপাহসালারের হাত থেকে বের হয়ে যায়, তখন বিজয় তো দূরের কথা, সে দুশমনের পাতা ফাঁদের একটি গুটি হয়ে থাকবে। লড়াইকে নিজের হাতে রাখার জন্য সঠিক টার্গেট নির্ধারণ ও সময় ও উপকরণের সঠিক ব্যবহার করুন! আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে এই দিকে ইশারা করেছেন, আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতা অথবা আহলে ঈমানকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, ‘শরীয়তের দুশমনদের গর্দানে আঘাত কর! এবং তাঁদের খুঁজে খুঁজে মার!’ এই আয়াতে সঠিক টার্গেট নির্ধারণ করার দিকে ইশারা রয়েছে যে, টার্গেট কে সঠিক ভাবে নির্ধারণ করে দুশমনের শাহরগে আঘাতকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। যাতে সময়ও বাঁচে এবং উপকরণও বাঁচে। কিন্তু যদি দুশমন কখনো শক্তিশালী হয় এবং আপনি শুরুতেই তাঁর শাহরগ পর্যন্ত না পৌছতে পারেন, তখন আপনি তাঁর যে অংশেই পৌঁছতে পারেন, সেই অংশের উপরই শক্তিশালী আঘাত করুন, যাতে এক আঘাতেই সে অকৃতকার্য হয়ে যায়।

টার্গেট যদি হাত হয়, তাহলে হাতের জোড়ায় এক আঘাতেই টার্গেট অর্জন করে ফেলুন, যাতে সময়ও বাঁচে এবং উপকরণও বাঁচে। আর টার্গেট যদি বাজু হয়, তাহলে কাঁধের জোড়ায় একটি শক্তিশালী আঘাতেই তা অকৃতকার্য করে ফেলুন। যাতে কম সময়ে কম উপকরণের দ্বারা টার্গেট অর্জন করা যায়। এ জন্য, যে ব্যক্তি সময় ও উপকরণের যুগোপযোগী ব্যবহার করবে, সে অনেক কম সময়ে কম উপকরণের দ্বারা তাঁর টার্গেট অর্জন করে নিতে পারবে। রহমাতুল লিল আলামিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র সিরাত অধ্যয়ন করে দেখুন! আকায়ে মাদানি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের বিজয়ের জন্য আরবের যে সবচে’ বড় সুপার পাওয়ার ছিল, যার হাতে আরবের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব ছিল। সেটাকেই প্রথম টার্গেট নির্ধারণ করেছেন, এবং কম সময় ও কম উপকরণের দ্বারা সেই টার্গেট তথা জাজিরাতুল আরবের সবচে’ বড় ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি মক্কার কাফেরদের লড়াইয়ের হিম্মতকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছেন। স্বীয় প্রিয়তম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পদাঙ্ক অনুসরণ করে মুহসিনে মিল্লাত, মুজাদ্দিদে জিহাদ শহীদ শায়েখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ আন্তর্জাতিক কুফুরি শক্তিকে পরাজিত করার জন্য এই শক্তির মাথা আমেরিকা ও তাঁর স্বার্থ সমূহে আঘাত করাকে অধিক প্রাধন্য দেন। যাকে শায়েখ সাপের মাথা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাকে শাস্তি প্রদানের জন্য সময় ও উপকরণের যুগোপযোগী ব্যবহার করেছেন। সুতরাং আপনারা দেখেছেন যে, পেন্টাগন ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ইতিহাস অহংকারীদের শাস্তি প্রদানে কত কম সময় ও কম উপকরন ব্যবহার করে এতো বিশাল আঘাত হানা হয়েছে যে, শুধু আমেরিকাই নয় বরং পৃথিবীর ইতিহাসের ধারা-ই পাল্টে দেওয়া হয়েছে। পুরো পশ্চিমা আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার অহঙ্কারকে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। শায়েখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহর মানহাজের উপর চালিত শায়েখ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহর নেতৃত্বে সারা দুনিয়ায় তাঁদের মুজাহিদগন আজও সেই মানহাজ অনুযায়ী চলছেন অর্থাৎ তারা আমেরিকাকেই তাঁদের হামলার প্রথম টার্গেট হিসেবে প্রাধান্য দিচ্ছেন। যার ফলে দুনিয়ার শক্তি ও দাপটের কেন্দ্রের পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। এবং গোপন বাজিগরদের হাত থেকে বাগডোর ছুটে যাচ্ছে। এখন তার অবস্থা হল এই যে, এশিয়ার বাগডোর সামলে নিতে যায় তো আফ্রিকার বাগডোর হাত থেকে ছুটে যেতে দেখছে। আফ্রিকা নিয়ে ফিকির করছে তো ইউরোপের ছোট ছোট দেশগুলো আর্থিক মুয়ামালায় আমেরিকা ও মাল্টি ন্যাশনাল সুদখোরদের চোখ রাঙ্গানো শুরু করে দেয়। এটা সেই আমেরিকা, যার আসার ধমকিতে এটম বোমার অধিকারী সেনাবাহিনীর জেনারেল হাত উচু করে আত্মসমর্পন করত।আজ তাঁদের অবস্থা এই যে, আল কায়েদা থেকে আফ্রিকা বাচাবে নাকি ইয়েমেনে এসে তাঁদের নিমকখোরদের রক্ষা করবে।তা তার ঠিক করতে পারছে না। আবার ও দিকে আফগানিস্তানে পুরো কুফুরি শক্তি আধুনিক যুগের সবচে নিকৃষ্ট পরাজয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। অপরদিকে শাম ভূমির জন্য তো তাদের কোন পলিসি-ই বুঝে আসছেনা। শুধুমাত্র যুদ্ধের আগুনকেই প্রজ্জলিত করছে। আল জাযায়ের, মারাকেশ (ইসলামিক মাগরিব), লিবিয়া ও ভারত উপমহাদেশ নিয়ে তো তারা আলাদা কিছু করার সুযোগই পাচ্ছে না।

আমার মুজাহিদ ভাইয়েরা! শরীয়ত প্রতিষ্ঠার এই জিহাদকে শরীয়তের পথ থেকে সরিয়ে ফেলবেন না!জিহাদের আসল টার্গেট কুফুরী শক্তি ও তাদের রক্ষাকারী শক্তি থেকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে ফেলবেন না! আন্তর্জাতিক ও দেশীয় কুফুরি শক্তিকে বুঝার চেষ্টা করুন যে, তারা কিভাবে চলে? তাদের গুরুত্বপূর্ণ খুঁটি কোনটি? কোন সংস্থা গুলো সবচে মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ? এই শক্তির কাছে কোন সদস্যরা প্রাণসমতুল্য আর কারা টিস্যু পেপারের গুরুত্বও রাখে না। এসব বিষয় যাচাই করে তাদের জোড়ায় জোড়ায় ও গিরায় গিরায় আঘাত করুন। এমন মার মারুন যে গোপন মোর্চাসমূহ থেকেও চিৎকারের আওয়াজ শোনা যায়! স্কুল, ইউনিভারসিটি, বাজার ও জনসাধারণের চলাচলের স্থানে নিরপরাধ মুসলমানদের রক্তের হলি খেলে শহীদদের রক্তের বদনাম করবেন না! মনে রাখবেন! জিহাদ হচ্ছে একটি ইবাদত। আর ইবাদতকে রহমাতুল লিল আলামিন, যুদ্ধের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বলে যাওয়া পদ্ধতির বিপরীত যদি আদায় করেন, তাহলে আপনি মাহরুম হবেন!দুনিয়াতেও এবং আখেরাতেও। আল্লাহর ওয়াস্তে আমাদের প্রিয়তম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র সিরাত অধ্যয়ন করুন! এবং পূর্ণভাবে অধ্যয়ন করুন! শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। শুধুমাত্র কোন আংশিক ঘটনা শুনে ওটাকে পূর্ণ সিরাত মনে করে বসবেন না! এই বিষয়টি বুঝার চেষ্টা করুন যে, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কি অবস্থান গ্রহন করেছেন। সংঘবদ্ধ দুশমনকে কিভাবে বিভক্ত করে ফেলা হয়? কঠোরতা ও লাশের স্তুপ ফেলে দেওয়া কখন ফায়েদা জনক হয়? আর ইহসান ও ক্ষমা-ই বা কখন বিজয়ী করে দেয়? আর যদি এটাকে আরও সহজে বুঝতে চান, তাহলে আপনাদের মারকাজসমূহে ইমাম মুহাম্মাদ রহিমাহুল্লাহর গৌরবময় রচনা সিয়ারে কাবির পড়ানো শুরু করে দিন! বিশেষ করে উক্ত কিতাবের “আমান” অধ্যায়টুকু। কেননা এই অধ্যায়টি আপনাকে জিহাদের খোলাসা ও জিহাদ দ্বারা শরীয়তের মাকসাদ কি তা বুঝিয়ে দিবে যে, শরীয়ত মুজাহিদকে কখন কিভাবে কী করতে নির্দেশ দেয়? এবং কোনটি মৌলিক টার্গেট, যাতে যুদ্ধের প্রতিটি স্তরে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হয়। এমনিভাবে শায়েখ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহর “ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” এর অধ্যয়ন আবশ্যক করে দিন। যাতে এই চক্ষুষ্মান শায়েখ তাঁর সারা জীবনের জিহাদের সারসংক্ষেপ লিখে দিয়েছেন। এটা সারা দুনিয়ার মুজাহিদদের জন্য একটি পুঁজি। আপনারা আপনাদের জিহাদের মাধ্যমে স্বীয় কাজ(couse)অর্থাৎ শরীয়ত বাস্তবায়নের দাওয়াত ও আল্লাহর কালিমাকে বুলন্দ করার দাওয়াতকে সুসজ্জিত করে তুলুন। শরীয়তের চেহারা কে এতোটা বিকৃত করে ফেলবেন না যে, আপনার মুখাতাব আপনার জিহাদ ও দেশের সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের মাঝে পার্থক্য করা-ই ছেড়ে দেয়। এমনকি আপনার ঐ আনসার যে প্রতিটি বিপদে আপনার সঙ্গ দেয়, সেও এটা জিজ্ঞাসা করা শুরু করে দেয় যে, সাধারণ মুসলমান ও স্কুল কলেজ মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত করে আপনি কোন শরীয়ত কায়েম করতে চান?

আমার প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা! এই জিহাদি আন্দোলনসমূহ আমার আপনাদের ব্যক্তিগত উত্তরাধিকার নয়!বরং এটা আমাদের গর্দানে ওই হাজার হাজার শহীদদের রক্তের আমানত যাদেরকে মিসাইল ও বোমা দ্বারা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের ঘাড়ের উপর ঋণ ওই ফুফানো আর্তনাদের যা আমাদের বন্দি ভাইদের মুখ দিয়ে গোপন টর্চারসেলে বের হয়েছে। এবং তাদের এই নিরব আর্তনাদ তাঁদের রব ব্যতিত আর কেউই শুনেননি। এটা আমানত বিধবার ঐ  আহ! ধ্বনির যা পুরো দেশে শরীয়ত বাস্তবায়নের খাতিরে তাঁদের দিলের গভীর থেকে বের হয়েছে, আর তা সিনার মাঝেই দমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মনে রাখবেন! এই জিহাদী আন্দোলন ঐ সকল হাজার এতিম শিশুর নিষ্পাপতার বোঝা আমাদের গর্দানে চাপিয়ে দিয়েছে, যার পিতা হাঁসতে হাঁসতে মৃত্যুকে এই আশায় আলিঙ্গন করেছে যে, তাঁর জিহাদি সাথী তাঁর এই জিহাদি মিশনের কোন ক্ষতি হতে দিবেনা! এটার সাথে গাদ্দারি করবেনা!

আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষান্ত হন! সোয়াত থেকে ওয়াজিরিস্তান পর্যন্ত উজাড় হয়ে যাওয়া বস্তিসমুহ, তাঁদের ভেঙ্গে যাওয়া, পুরে যাওয়া বিরান বাড়িঘর গুলো, হাজারো মহিলা ও শিশুদের আপনাদের সাথে হিজরত করা। এর কোন একটি বিষয়ের প্রতি অন্তত খেয়াল করুন! নিজেকে সংশোধন করুন। নিজেদের এই জিহাদি আন্দোলনকে নিজেদের হাতে বরবাদ করবেননা! আল্লাহর ওয়াস্তে শহীদগন ও তাঁদের মিশনের সাথে গাদ্দারি করবেননা! দুশমন তো এটাই চায় যে, তারা আপনাদের মোড়কে এমন টার্গেটের দিকে ঘুরিয়ে দিবে, যাতে আপনাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ মসৃণ হয়ে যায়। স্বয়ং আপনাদের আনসার ও আপনাদের যারা মুহাব্বত করে তারা যেন আপনাদের ঘৃণা করতে শুরু করে।

যেমনটি হাকিমুল উম্মাহ শায়েখ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ “ফুরসান তাহতা রায়াতিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” তে বলেছেন- ”জনসাধারণের সহযোগিতা ও সমর্থন ছাড়া একজন গেরিলা মুজাহিদ ডাকাতে পরিণত হয়ে যায়। অর্থাৎ জনসাধারন সাথে আছে তো সেই আসল গেরিলা মুজাহিদ, কিন্তু যদি জনসাধারন সঙ্গ ছেড়ে দেয়, তাহলে সে ডাকাতে পরিণত হয়ে যাবে, যে লুকিয়ে জনসাধারন থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হয় এবং এই ধরণের গেরিলা বেশি দিন জিন্দা থাকতে পারেনা। কেননা গেরিলা হচ্ছে একজন দায়ী, যে জনসাধারণকে উজ্জিবিত  করবে। যে স্বীয় মিশনে লোকদেরকে নিয়ে আসবে। জনসাধারণের মাঝে বিপ্লবী চিন্তাধারা বপন করবে। বরং সে মুলত কিতালকেও নিজের কাযে ব্যবহার করবে। আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যেমনিভাবে এই হুকুম দিয়েছেন যে,   ”যদি কেউ কিতালের ময়দানে না নামে, তাহলে না নামুক! আপনি একাই জিহাদ করুন!” কিন্তু এই জিহাদকে স্বতন্ত্রভাবে জারি রাখার জন্য ”আপনি মুমিনদের উৎসাহিত করতে থাকুন!” সাধারণ মুসলিমদেরকে সাথে নেয়া  ব্যতিত জিহাদের মাকসাদ হাসিল হবেনা। যত বড় শক্তি-ই আপনার কাছে থাকুক, যত বড় রাজত্ব-ই আপনার কাছে থাকুক! আপনি যদি আপনার মুখাতাব তথা সাধারণ মুসলমানদের থেকে আপনার সম্পর্ক কেটে ফেলেন, তাহলে আপনি কামিয়াব হতে পারবেন না! যে কোন আন্দোলন জারি রাখার জন্য সাহায্য ও সমর্থন ঐ সমাজে পাওয়া যায়।এ কারনেই এ আন্দোলনের মুকাবেলায় গোয়েন্দাসংস্থাগুলো সর্বপ্রথম যে চেষ্টা করে, তা হচ্ছে, গেরিলা আন্দোলনগুলোর দ্বারা এমন কোন গর্হিত কাজ করানো, যেটাকে ভিত্তি বানিয়ে জনসাধারন কে তাঁদের বিপক্ষে, নিজেদের সাথে নিয়ে নিতে পারে, অথবা তারা নিজেরাই এমন কিছু কাজ করে। অতঃপর তা গেরিলাদের নামে চালিয়ে দেয়, যাতে সমাজে গেরিলাদের আন্দোলনের ব্যাপারে মন্দ ধারনা সৃষ্টি হয়।

সুতরাং হে আমাদের ভাইগণ! এ বিষয়টি বুঝে নিন যে, মুজাহিদ তো দ্বীন ও উম্মাহর ব্যথা এবং ফিকির-নিমজ্জিত হয়ে ঘর থেকে বের হয়।সে স্বীয় জানের সওদা করে স্বীয় রবের সন্তুষ্টি অর্জন করে নেয়। নিজের ইজ্জতের ভ্রুক্ষেপ না করে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইজ্জত রক্ষাকারী হয়ে যায়। নিজের আরাম ও শান্তিকে  উম্মাতের আরাম ও শান্তির জন্য কুরবান করে দেয়। যাদেরকে ইসলামের শত্রুরা শত বছর ধরে গোলাম বানিয়ে রেখেছে। আল্লাহ সাক্ষী যে, আল্লাহর রাস্তার মুজাহিদ শরীয়ত অথবা শাহাদাতের নারা লাগিয়ে এই পথের দুঃখ কষ্টকে শুধুমাত্র এই জন্য হাসিখুশি বরণ করে নেয় যে, রাহমাতুল লিল আলামিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই মজলুম উম্মাহ আন্তর্জাতিক কুফুরি জীবন ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদল ও ইনসাফ পূর্ণ জীবন ব্যবস্থার বসন্তকাল দেখবে। জুলুম ও জবরদস্তীর এই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার চাক্কিতে নিষ্পেষিত, ক্লান্ত ও নিপীড়িত মানবতাকে ঐ রহমতপূর্ণ জীবন ব্যবস্থায় প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হবে, যা দিয়ে রহমতের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণ করা হয়েছিল।

মুজাহিদদের রক্তের মাঝে তড়পানো, ফাঁসির দড়িতে চুমু দিয়ে শাহাদাতের নারা লাগানো, টর্চারসেলসমূহের নির্মম অধ্যায়ে তাঁদের মুখের আহাদ আহাদ শব্দ, এই সব কিছু স্বীয় রবের সন্তুষ্টি, তাঁর দ্বীনের বিজয়, তাঁর প্রেরিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নেজাম বাস্তবায়নের জন্য-ই। তাঁর প্রিয় উম্মাহর আরাম ও শান্তির খাতিরেই। এ ছাড়া কোন মুজাহিদের অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই। অন্যথায় কারো যদি কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ থাকে, কোন গোত্রীয় অথবা কোন জাহিলি পক্ষপাতিত্ব থাকে। অথবা দুনিয়ার দৌলত ও সম্পদ যদি কারো উদ্দেশ্য হয়, সে কিভাবে মুজাহিদ হতে পারে? আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে আল্লাহর দ্বীনকে গালেব করার জন্য, তাঁর শরীয়ত বাস্তবায়নের জন্য কিতাল করবে, তাকেই আল্লাহর পথের মুজাহিদ বলা হবে।

মনে রাখবেন! আপনার দুশমন আপনার উপর, আপনার বাচ্চাদের উপর, আপনার স্ত্রীর উপর যে জুলুম করেছে এবং আপনি যে সকল দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন, নিশ্চই এই দুর্ঘটনা যদি কোন পাহাড়ের উপর করা হয়, তাহলে সেটাও হেলে পড়ে যাবে। কিন্তু সিনার মাঝে প্রজ্জলি প্রতিশোধের আগুন নিজের খাহেশ অনুযায়ী ঠাণ্ডা  করার নাম জিহাদ নয়। বরং জিহাদ তো হল নিজের উজ্জীবিত জযবাকে শরীয়তের বিধিবিধানের ডোরে বেধে দেওয়ার নাম।

সুতরাং হে আমার মুজাহিদ ভাইগণ! জিহাদের জন্য কী ফায়েদা জনক আর কী ক্ষতিকারক, তা আল্লাহ তায়ালার চাইতে ভাল আর কে জানবে? এই সব কিছু তিনি তাঁর কিতাবে বিশদভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। তাঁর প্রিয়তম হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন, এই জন্য ওটাকেই আমাদের মজবুতির সাথে আঁকড়ে ধরতে হবে। এর মধ্যেই দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা  রয়েছে।

আপনারা দুশমনের চরিত্রহীন কর্মকাণ্ডের প্রতি দৃষ্টি দিবেন না যে, তারা আপনাদের মাসুম শিশুদের হত্যা করছে, আপনাদের ঘরে হামলা করে আপনাদের মহিলাদের গ্রেফতার করছে, আপনাদের ঐ সকল আত্মীয়-স্বজন যারা এই জিহাদে আপনাদের সাথে নেই, তারা তাদেরকেও গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠাচ্ছে। আপনাদের দূতদেরকেও তারা গ্রেফতার করছে। কিন্তু আপনারা তাঁদের মত হবেন না! জিহাদ ও সাধারণ লড়াইয়ের মাঝে তো এটাই পার্থক্য। দুনিয়ার ধনসম্পদ ও বিলাসিতার উপকরণের জন্য লড়াই কারী আর আল্লাহ তায়ালার শরীয়ত বাস্তবায়নের জন্য লড়াই কারীদের মাঝে তো এটাই পার্থক্য।

ইসলামের মুকাবেলায় দেশ ও জাতিয়তাবাদের জন্য লড়াইকারী সেনাবাহিনী সর্বদা এই ধরণের চরিত্রহীন কর্মকাণ্ড- ই করে থাকে।কিন্তু যারা ইসলামী শরীয়তের বাস্তবায়ন চায়, তারা সর্বদা আখলাকের উপমা হয়েই থাকে।

আমার মুজাহিদ ভাইয়েরা! জিহাদের দাওয়াতকে প্রতিহত করতে না পেরে দুশমন এখন এই চেষ্টা করছে যে, কোন ভাবে জিহাদের চেহারাকে বিকৃত করে দিবে, সুতরাং মুজাহিদদের নামে বিভিন্ন দেশে এমন সব কাজ করানো হচ্ছে, যাতে মানুষ জিহাদ থেকে বিমুখ হয়ে যায়। এমন সব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে যা না শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে কারো বুঝে আসে, আর না কোন সুস্থ মস্তিষ্ক তা কবুল করে। এই জন্য আবশ্যক হল নিজেদের জিহাদ ও তাঁর ফলাফল কে রক্ষা করার ফিকির কর। তাকে জারি তো রাখতে হবে… সর্বাবস্থায় তা জারি রাখতে হবে। কিন্তু তার রাস্তা সমূহের মধ্যে যে স্পষ্ট রাস্তা আমাদের পিয়ারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিয়ে গিয়েছেন। যার উপর সাহাবায়ে কেরাম রাদিঃ চলেছেন। সেই রাস্তায় জারি রাখতে হবে। তাঁরা কাফেরদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন,মুরতাদদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, শরীয়ত অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছেন। না তাঁরা ক্লান্ত হয়েছেন আর না তাঁরা কমজোর হয়েছেন? তাঁরা লড়েছেন মজবুত শরই দালায়েলের সাথে, দুর্বল ও অনর্থক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের সাহায্য নিয়ে নিজেদের জন্য কারো জান-মাল হালাল করে নেননি। সাহাবায়ে কেরামের সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে মুহসিনে উম্মাত, মুজাদ্দিদে মিল্লাত শহীদ শায়েখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ জিহাদকে জিহাদের দাওয়াত কে স্পষ্ট ও নির্মল ভাবে উম্মাহর সামনে পেশ করেছেন। মুজাহিদদের জিহাদের স্পষ্ট টার্গেট বলে দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা পুরো দুনিয়ায় এই দাওয়াত কে এমন মকবুলিয়াত দান করেছেন যে, আজ ইসলামী বিশ্ব জিহাদের আওয়াজে গুঞ্জরিত হয়ে উঠছে। শায়েখ উসামা রহিমাহুল্লাহর দাওয়াত আফগানিস্তানের পাহাড়ি গুহা থেকে বের হয়ে ইয়েমেন, শাম, ইরাক, সোমালিয়া, আল জাযায়ের ও মারাকেশ(ইসলামিক মাগরিব) পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

হে আমার ভাইয়েরা! যদি জিহাদকে মাকবুল বানাতে চান, দুশমনকে পরাজিত করতে চান, তাহলে ঐ দাওয়াত এবং ঐ মানহাজকেই অবলম্বন করুন, যার উপর চলে আমাদের পূর্বসূরিগণ কামিয়াব হয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা ইমারাতে ইসলামীকে আন্তর্জাতিক কুফুরি শক্তির মোকাবেলায় বিজয় দিয়ে ধন্য করছেন, না তাঁরা স্কুলে হামলা চালিয়েছেন আর না তাঁরা ইউনিভার্সিটি তে হামলা করে নিষ্পাপ মুসলমানদের রক্তে নিজেদের হাত রঞ্জিত করেছেন, বরং স্পষ্ট টার্গেটের উপর তারা হামলা করেছেন এবং তাঁদের মধ্যেও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ টার্গেট, যা আল্লাহ তায়ালা জোড়ায় জোড়ায় ও গিরায় গিরায় মারতে বলেছেন, তারা সেই দুশমনের শাহরগে মেরেছেন এবং এমন মার মেরেছেন যে, তারা আলহামদু লিল্লাহ আফগানিস্তান ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়ে গিয়েছে। আল্লাহর শরীয়তের উপর চলেই আমাদের জিহাদ সফলতায় ভরপুর হয়ে যেতে পারে। আমরা শরীয়তের যে নারা লাগিয়েছি। আমাদের সর্বপ্রথম সেই শরীয়তকে নিজেদের উপর বাস্তবায়ন করতে হবে। নিজেদের গান, তোপ ও ফিদাইদেরকে সেই শরীয়তের অধীন বানাতে হবে। কিন্তু যদি আমাদের রব আমাদের কথা ও কাজের মাঝে বৈপরীত্য পান। এভাবে যে, আমরা তো ইসলামাবাদ ও দিল্লীতে শরীয়ত বাস্তবায়নের ফিকির করি আর নিজেরা নিজেদেরকে ভুলে যাই, নিজেদেরকে শরীয়তের উর্ধে মনে করি, যখন খুশি মুসলিমদের রক্ত প্রবাহিত করি, তাহলে বন্ধুগন! এর দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি দূরে থাক! আল্লাহর ক্রোধ- ই শুধু বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের স্বীয় সন্তুষ্টি মোতাবেক জিহাদ করার তাওফিক দান করুন।আমাদের এই বৈশ্বিক জিহাদকে বিভ্রান্ত ও বিকৃত হয়ে যাওয়া থেকে হেফাজত করুন। আমিন। ইয়া রাব্বাল আলামিন।

ওয়া আখিরু দাওয়ানা আনিল হামদু লিল্লাহি রাব্বুল আলামিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × four =

Back to top button