তবে কি তারা জাহিলিয়াতের শাসন কামনা করে? – শায়খ ইব্রাহিম আর রুবাইশ রহ.
তবে কি তারা জাহিলিয়াতের শাসন কামনা করে?
– শায়খ ইব্রাহিম আর রুবাইশ রহ.
ইয়েমেনের সরকারের পাঠানো আলেমদের প্রতিনিধি দল ও আল-কায়েদার মুজাহিদিনদের সাথে সম্ভাব্য চুক্তি ও মুরতাদ শাসকদের মার্কিন গোলামির বাস্তবতা… অত্যন্ত জরুরী একটি বয়ান… ভিডিওতে দেখুন, সরাসরি পড়ুন…
ভিডিও ডাউনলোড করুন [৬১ এমবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/Z2DoxCxLtdXsRFS
https://archive.org/download/AfaHukmulJahiliyyaMQ2/afa%20hukmul%20jahiliyya%20MQ2.mp4
https://www.file-upload.com/8u9q2fktp2io
http://www.mediafire.com/file/1ocb2tfkh0oc68y/afa_hukmul_jahiliyya_MQ2.mp4/file
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪৭৬ কেবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/b6zCYRGr4fSxeeb
https://archive.org/download/AfaHukmulJahiliyyaMQ2/AfaHukmulJahiliyya.pdf
https://www.file-upload.com/6u4mbxo95zpo
http://www.mediafire.com/file/u8xt6w3x7c7458u/AfaHukmulJahiliyya.pdf/file
BANNER
https://banglafiles.net/index.php/s/PPfiQxWXEWtDBqf
https://www.file-upload.com/5pti3qyb1aui
তারা কি জাহিলিয়াতের শাসন কামনা করে?
নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য আল্লাহ অপেক্ষা উত্তম শাসনকারী কে আছে?
শায়খ আল মুজাহিদ ইবরাহীম ইবনে সুলাইমান আর-রুবাইশ রহ.
অনুবাদ ও প্রকাশনা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। দরূদ ও সালাম সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত নবীর উপর। আল্লাহ তার উপর এবং তার পরিবারবর্গ, সাহাবা ও কিয়ামত পর্যন্ত যারা ইখলাসের সাথে তার অনুসরণ করবে তাদের উপর রহমত নাযিল করুন!
গত ১৪৩৩ হিজরী যিলক্বদ মাসে উলামাদের একটি দল আমাদের নিকট আসলেন। তারা ছিলেন আব্দুল্লাহ আল- বান্না, আমিন জাফর, মুহাম্মাদ আলওয়াদি ও সালিহ আলওয়াদি। তারা আমাদের মাঝে ও ইয়ামান সরকারের মাঝে একটি সন্ধি প্রস্তাব পেশ করে।
সন্ধিমতে আমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে নিবৃত্ত হবো এবং তারা আমাদেরকে দমন করা থেকে নিবৃত্ত হবে, আমাদের বন্দীদেরকে মুক্ত করে দিবে এবং আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারবো।
তারা এও উল্লেখ করেছে যে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা সচিবের সাথে আলাপ করে তার নিকট এই প্রস্তাব পেশ করলে তিনি তার সাথে একমত প্রকাশ করেছেন। মুজাহিদগণ এই বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল যে, এই শর্তগুলো হল ব্যক্তিকেন্দ্রিক শর্ত। চাইলে এগুলো অর্জন করার পথ আমাদের জানা আছে। আমাদের লক্ষ্য হল উম্মাহ। তাই যদি উম্মাহর স্বার্থ বাস্তবায়িত হয়, তাহলে আমরা তার সাথে আছি। তখন তাদের একজন বলল: আপনারা আপনাদের শর্ত ও দাবিগুলো লিখুন, আমরা তা সরকারের নিকট পৌঁছে দেব।
সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত শর্তগুলোর উপর সকলে একমত হয়েছিল
এক. জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়াহ কার্যকর করা। আর আমাদের মূল লক্ষ্য হবে কুরআন, সুন্নাহ এবং জীবনব্যবস্থায় তা কার্যকর করা।
দুই. সংবিধানে যত শরীয়াহ বিরোধী উপাদান আছে, তা সংশোধন করা।
তিন, স্থলপথ, জলপথ ও আকাশ পথে সকল আমেরিকান দখলদারিত্ব খতম করে দেশের নেতৃত্বকে সংরক্ষণ করা এবং দেশীয় বিষয়াবলীতে আমেরিকান দূতাবাসের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।
চার. সকল প্রকাশ্য অন্যায়সমূহ বন্ধ করা। যেমন সুদি ব্যাংক এবং মিডিয়ায় ও পর্যটনস্থলে নৈতিক ও চারিত্রিক অবক্ষয়মূলক আচার-অনুষ্ঠান।
পাঁচ. দেশে বিদ্যমান আন্তর্জাতিক কাফের সংগঠনগুলোর উপর নজরদারী করা এবং যাদের গোয়েন্দাবৃত্তি, ধর্মান্তরিত করণ বা চরিত্র ধ্বংসের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাদেরকে বহিস্কার করা।
ছয়. বিচার ও ফাতওয়ার স্বাধীনতা থাকবে আর তার তত্ববধানে থাকবে একদল বাছাইকৃত শরয়ী আলেম।
সাত. দাওয়াহ ও দায়ীদের জন্য পত্রিকা খোলা, যাতে দায়িগণ তাদের দাওয়াহ পৌঁছে দিতে পারেন এবং তাদের উপর কোন প্রকার সংকীর্ণতা আরোপ না করা। বিভিন্ন শরয়ী প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্র খোলা।
আট. জনগণের উপর চাঁদা, টেক্স ইত্যাদির নামে সকল প্রকার জুলুম বন্ধ করা। নয়. দেশীয় সম্পদের ধ্বংসাত্মক বাণিজ্য বন্ধ করা এবং জাতির এমন লোকদের নিকট দেশের সম্পদ অর্পণ করা, যাদের ভ্ৰামানতদারির ব্যাপারে সকলে সাক্ষ্য দেয়।
দশ. যেসকল বন্দীদের কোন অপরাধ নেই, অথবা যাদেরকে শুধু ইয়ামান বা অন্য কোন এলাকার জিহাদের সাথে সম্পর্ক রাখার অপরাধে বন্দী করা হয়েছে তাদেরকে মুক্ত করে দেওয়া।
এগার. সন্ধিতে একমত হওয়ার পর ৬ মাস সময় দেওয়া হবে, যাতে প্রত্যেক পক্ষ অপর পক্ষের ওয়াদা রক্ষার বিষয়ে দেখতে পারে।
বার. এতে এমন কিছু মাশায়েখ ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ দায়িত্বশীল থাকবে, যাদের ব্যাপারে উভয় পক্ষ একমত হবে।
মধ্যস্ততাকারী উলামাদের নিকট শর্তগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হল। তারপর কিছুদিন পর তারা এসে তাদের সম্মতি প্রকাশ করল এবং জানাল যে, এগুলো তো এমন শর্ত, যা কেউই উপেক্ষা করতে পারবে না।
তারা আরো জানাল যে, তারা শর্তগুলো প্রতিরক্ষা সচিবের নিকট পেশ করেছে। সে তাদেরকে দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছে। তাই তারা তার থেকে দুই মাসের সময় চেয়েছে, যাতে তারা উভয় পক্ষের সাথে যোগাযোগ ও বোঝাপড়া করতে পারে। তারা জানাল যে, প্রতিরক্ষা সচিত প্রাথমিকভাবে এতে একমত প্রকাশ করেছে, এখন শুধু তার স্বাক্ষর করা বাকি।
তখন তানযীম আল কায়েদা জাযিরাতুল আরবের (AQAP) আমির আবু বসীর নাসির আল উহায়শী মধ্যস্ততাকারী উলামাদের উপস্থিতিতে এবং শায়খ আব্দুল মাজীদ আর-রিমী, মুহাম্মাদ যুবায়দী, মুহাম্মাদ হাশেদী ও মুরাদ আলকুদসীর সাক্ষ্যমতে উক্ত সাময়িক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। আর উলামাগণ এই আশা নিয়ে ফিরে যান যে, সরকারের সাক্ষর কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে।
আমরা অপেক্ষা করছিলাম। আর সরকারপক্ষ প্রেসিডেন্টের ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে টালবাহানা করছিল। পরিশেষে ১৪৩৪ হিজরীর সফর মাসের ২৫ তারিখ সাক্ষর প্রদানের সর্ব শেষ সময় নির্ধারণ করা হল।
যে সময় আমরা সন্ধির ভবিষ্যৎ দেখার অপেক্ষায় ছিলাম, তখনই আমরা ঘটনাস্থল এলাকায় সরকারের জবাব দেখতে পেলাম। মাআরিব অঞ্চলে সামরিক হামলা। রিদা অঞ্চলে আকস্মিক সামরিক হামলা। মাত্রারিব, শাবওয়া ও হারামাউতে আমেরিকান বোমা বর্ষণ।
যেন শাসক আামাদেরকে বলতে চাচ্ছে: ‘‘এটাই শরীয়া প্রতিষ্ঠার পথ, যদি তোমরা শরীয়া চাও।”
ঐদিনই যখন উলামাদের দল সন্ধিতে সরকারের সাক্ষর না করার সংবাদ নিয়ে আসল, আমরা তখন সরকারের সাক্ষর না করাকে আশ্চর্য মনে করলাম না। বরং তাদের প্রাথমিক সম্মতিতেই আমরা আশ্চর্যান্বিত হয়েছিলাম। কারণ আমরা জানি, সরকার আমেরিকান লক্ষ্য থেকে বের হতে পারবে না।
আর আমরা সাক্ষর করেছিলাম, যাতে উম্মাহ একথা জেনে যায় যে, আল্লাহর শরীয়াহ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে আমরা যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রস্তুত আছি এবং সাধারণ মুসলিমদের নিকট একথা প্রকাশ হয়ে পরে যে, সরকার নিজের সকল সিদ্ধান্ত আমেরিকার সিদ্ধান্তের সাথে যুক্ত করে রেখেছে।
এই ঘটনার পর কয়েকটি বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়ে বললো:
প্রথমত: আমাদের লক্ষ্য হল শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করা। যদি যুদ্ধবিহীন এই লক্ষ্য অর্জিত হয়ে যায়, তাহলে এটাই আমাদের চাওয়া পাওয়া। আর আল্লাহই মুমিনদের পক্ষে যুদ্ধের জনা যথেষ্ট। আর তা না হলে যতক্ষণ পর্যন্ত ভ্রামরা শরীয়া দ্বারা শাসিত না হতে পারবো কিংবা এর জন্যে শেষ না হয়ে যাবো, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুতেই আমরা আমাদের অস্ত্র রাখবো না।
দ্বিতীয়ত: এই সরকার আল্লাহর শরীয়াহকে পরিপূর্ণ প্রত্যাখ্যানকারী এবং সে আমেরিকান স্বার্থের ভিত্তিতে চলে। তার মাঝে যদি শরয়ী শাসন প্রতিষ্ঠার সামান্যও নিয়ত থাকতো, তাহলে সে অবশ্যই প্রথম সংলাপেই তা গ্রহণ করে নিত। কিন্তু সে শুরু থেকেই পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। এই সরকার যারা আল্লাহর শরীয়াহর শাসন প্রত্যাশা করে একমাত্র তাদের ব্যতিত সকলের সাথে সংলাপ করতে পারে। তারা যদি মনে করে যে, আমরা তো অস্ত্র তুলে নিয়েছি, তাহলে আমরা বলবো: হুথিরাও তো এখনও অস্ত্র ধরে আছে এবং বিস্তৃত অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করে আছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও তো সরকার তাদেরকে সংলাপের আওতায় নিয়েছে।
তাই মূল রহস্য অস্ত্র ধারণ করার সাথে নয়; বরং মূল রহস্য হল আল্লাহ’র শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার সাথে, যা দেশে আমেরিকান প্রভুত্বকে খতম করে দিবে, জালিমদের হাত আটকে দিবে এবং দুর্নীতিবাজদের থেকে হিসাব বুঝে নিবে।
তৃতীয়ত: সাক্ষর না করার ফলাফল এবং রক্তপাতের দায়ভার সরকারের উপর আরোপ করে উলামাগণ যে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন, আমরা উলামাগণকে তা বয়ান করার অনুরোধ করছি। আর তাদের উপর এই দায়িত্বও রয়ে গেছে যে, তারা উম্মাহর নিকট একথা স্পষ্টভাবে বলে দিবে যে, এই সরকার আল্লাহর শরীয়াহকে পরিপূর্ণ প্রত্যাখ্যানকারী এবং তারা এই উদ্দেশ্যে সামান্য সংলাপও করতে রাজি না।
আলেমদের উদ্দেশ্যে আমরা বলবো: যারা লড়াই ও জিহাদ ঘোষণার বিষয়ে আমাদের বিরোধিতা করেছেন, তারা নিশ্চয় শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার জন্য পরিশ্রমের বিষয়ে আমাদের সাথে বিরোধিতা করেন না, তাই আপনারা এই আমানতের ভার নিজেদের উপর তুলে নিন এবং তা মানুষের নিকট পৌঁছে দিন।
এই ভয়ে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার দাবি ছেড়ে দিবেন না যে, আপনাদের উপর তানযীম আল কায়েদার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলা হবে। কারণ শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা শুধু আল-কায়েদার বিশেষ কাজ নয়; বরং এটা এমন দায়িত্ব, যা আল্লাহ প্রতিটি মুসলিমের উপর ফরজ করেছেন। আর অন্যান্যদের উপর যে দায়িত্ব বর্তায় না, আলেমদের উপর তা বর্তায়।
চতুর্থত: এই সকল আচরণগুলো উলামাদের সাথে সরকারের আচরণ নীতিও স্পষ্ট করেছে। ফলে প্রেসিডেন্ট বাজে কাজের অজুহাতে তাদের প্রতি মনোযোগহীন থেকেছে। তাদের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করে ওযর পেশ করার মাধ্যমে নিজের সদিচ্ছাটুকু প্রকাশ করার কষ্টটুকুও করেনি। তাদেরকে পরিপূর্ণ এড়িয়ে চলেছে। সংলাপ-অনুষ্ঠানে সংলাপের ব্যাপারে উলামাদের কার্যকরী ভূমিকা থাকার পরিবর্তে তাদেরকে একপাশে রাখা হয়েছে। তারপর পরিপূর্ণ নির্লজ্জভাবে আমেরিকান দূতাবাস এক বিবৃতিতে ‘কাদেরকে সংলাপে স্বাগত জানানো হবে এবং কাদেরকে স্বাগত জানানো হবে না’ সে বিষয়ে বক্তব্য পেশ করে। যাতে করে স্পষ্টভাবে একথা প্রমাণ হয়ে যায় যে, দেশ আমেরিকান দূতাবাসের ভিতর থেকে পরিচালিত হচ্ছে।
পঞ্চমত: এ সব কিছুর পর এ কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, এই সরকারের উপর শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার প্রমাণ সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সরকার তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
আর শান্তিপূর্ণ সমাধানের সকল উপায় খতম হয়ে এখন শুধু জিহাদের ঘোষণাই বাকি আছে-
“তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাও, যাবৎ না ফিৎনা নির্মূল হয় এবং দ্বীন পরিপূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায়।”
তাই এখন হয়ত জিহাদ, নয়ত যে নিজেকে দুর্বল মনে করে তার জনা প্রাণপণ জিহাদের প্রস্তুতি।
ষষ্ঠত: এ সকল ঘটনার পর স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ইয়ামানী সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ হল এমন দুটি দলের মাঝে যুদ্ধ,
- যাদের একদল চায় আল্লাহর শরীয়াহ ও তৎসংশ্লিষ্ট ইনসাফ, দূর্ণীতির মূলোৎটন ও দেশীয় নেতৃত্ব সংরক্ষণ।
- আর অপর দল আল্লাহর শরীয়াহ প্রত্যাখ্যান করে এবং দেশের ভবিষ্যৎকে আমেরিকান দূতাবাসের হাতে বন্ধক রাখে। আর আল্লাহর শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার জন্য যেকোন সংলাপের পথও বন্ধ করে দেয়।
নিশ্চয়ই এই সরকারের সাথে আমাদের যুদ্ধ হল এমন দুটি গ্রুপের মাঝে যুদ্ধ: যাদের একটি হল মুসলিমদের গ্রুপ, যারা আল্লাহর শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার পথে যুদ্ধ করে, আর অপর গ্রুপ মানবরচিত আইন বিধিবদ্ধ করা ও আমেরিকান স্বার্থ রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ করে। যাদের সাথে ইহুদী, খৃষ্টান ও ইসলামের নামধারী নিকৃষ্টরাও একমত পোষণ করেছে।
সুতরাং হে সেনাবাহিনী! একটু নিজের সাথে বোঝাপড়া করুন, উল্লেখিত অবস্থার ব্যাপারে চিন্তা করুন! আপনার জন্য কি মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রুসেডারদের সাথে থাকা শোভনীয়?
নিশ্চয়ই হক বাতিল থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই হয়ত আল্লাহর শরীয়াহর পথ অবলম্বন করুন, নয়ত জাহেলী বিধিবিধান অবলম্বন করুন!
“যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, আর যারা কুফর অবলম্বন করেছে তারা তাগুতের পথে যুদ্ধ করে। তাই তোমরা তাগুতের নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো। নিশ্চয়ই শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল।”
তাই নিজের জন্য এমন অবস্থান বেছে নিন, যা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করবে।
পরিশেষে আমি মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্যে বলবোঃ নিশ্চয়ই মুজাহিদগণ তাদের ঘর-বাড়ী ছেড়েছেন এবং অস্ত্র তুলে নিয়েছেন একমাত্র আল্লাহর দ্বীনের সাহায্যের জন্য এবং তাদের উম্মাহর মুক্তির জন্য। কারণ তারা যখন উম্মাহর দুরাবস্থা দেখলেন এবং জানতে পারলেন যে, আল্লাহর পথে জিহাদ ব্যতিত তার অবসান হবে না, যেমন রাসূল ﷺ বলেছেন:
“তোমরা যখন বিভিন্ন সুদি ব্যবসায় লিপ্ত হবে, গরুর লেজ ধরবে, কৃষিকর্ম নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে পড়বে আর জিহাদি ছেড়ে দিবে, তখন আল্লাহ তোমাদের উপর লাঞ্ছনা চাপিয়ে দিবেন। তা ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের থেকে তুলে নিবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আবার তোমাদের দ্বীনের দিকে ফিরে না আসবে।”
তখন তারা অস্ত্র তুলে নিলেন।
নিশ্চয়ই মুজাহিদগণ উম্মাহর অংশ। উম্মাহর স্বার্থই তাদের স্বার্থ। যখন উম্মাহর স্বার্থ বাস্তবায়িত হয়ে যাবে, তখন উম্মাহ যার অন্তর্ভূক্ত হয়েছে, মুজাহিদগণও তার অন্তর্ভুক্ত হতে সামান্য কুণ্ঠাবোধ করবে না।
আর উম্মাহর স্বার্থ বাস্তবায়ন, আল্লাহর শরীয়ত প্রতিষ্ঠা করা ও আগ্রাসীদেরকে মুসলমানদের দেশ থেকে বহিস্কার করা ব্যতিত কখনো সম্ভব নয়। চাই তারা ক্রুসেডার হোক, কিংবা আমাদের স্বজাতির গাদ্দারদের মধ্য থেকে তাদের এজেন্টরা হোক।
পরিশেষে আমরা বলবো: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সকল জগতের প্রতিপালক।
🟩🟩🟩🟩🟩🟩🟩🟩🟩