বিলাদুল হারামাইন (কথিত সৌদি আরব) এর ব্যাপারে বার্তা – শায়খ হামজা বিন উসামা বিন লাদেন
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
বিলাদুল হারামাইন (কথিত সৌদি আরব) এর ব্যাপারে বার্তা
– শায়খ হামজা বিন উসামা বিন লাদেন
ডাউনলোড করুন
ভিডিও ডাউনলোড করুন [৪৪ এমবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/idzFAs8nabGHAN8
https://www.file-upload.com/e0yooe7j5dbm
http://www.mediafire.com/file/cwzmklm346q6tvx/BiladAlHaramyn_1.mp4/file
https://archive.org/download/BiladAl…aramyn%201.mp4
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [২৯০ কেবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/CaXwktbyN2mAEQz
https://www.file-upload.com/pd2vrhomwbzh
http://www.mediafire.com/file/3djjrj517p3xaj9/BiladAlHaramyn_1.pdf/file
https://archive.org/download/BiladAlHaramyn1_201906/BiladAlHaramyn%201.pdf
====================================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ বাংলাদেশ শাখা
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]
—————–
আহলুল হারামের আন্দোলনে খাইরুল উমামের নেতৃত্ব
মজলিস: ১
বিলাদুল হারামাইন (কথিত সৌদি আরব) এর ব্যাপারে বার্তা
– শায়খ হামজা বিন উসামা বিন লাদেন হাফিজাহুল্লাহ
إنّ الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره، ونعوذ بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا، من يهده الله فلا مضلّ له، ومن يضلل فلا هادي له، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له، وأشهد أنّ محمدًا عبده ورسوله، صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم تسليمًا كثيرًا.
নিশ্চই সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য, আমরা তাঁর প্রশংসা জ্ঞাপন করছি। তাঁর কাছে সাহায্য চাই। তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে আমাদের নফসের অনিষ্ঠতা ও মন্দ আমল থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যাকে হেদায়াত দান করেন, তাঁকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারেনা। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার কোন হেদায়াতকারী নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা ও রাসুল। আর অসংখ্য সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর উপর, তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাব্যে কেরামের উপর।
হামদ ও সালাতের পর-
আমার এই বার্তা
মুসলিম উম্মাহর প্রতি, বিশেষ করে বিলাদুল হারামাইনের আমাদের অধিবাসীদের প্রতি-
সাহাবায়ে কেরাম ও ওই সকল মহান বিজয়ীদের বংশধরদের প্রতি, যাদের বাপদাদাগণ জমিনের দৈর্ঘ্য- প্রস্তকে ইসলামের নূর দ্বারা আলোকিত করেছেন।
কুরাইশ ও উতাইবাহর শ্রেষ্ঠ সন্তান… বনি তামিম, হারব ও জুহাইনার বিশস্ত ব্যক্তিবর্গের প্রতি-
জাহরান ও গামেদের বাজপাখি… ও বনি শাহর ও খাওয়ালিদের সিংহদের প্রতি-
দাওয়াসেরের ঈগল… ও ক্ষিপ্র শিকারি বীরদের প্রতি-
মুতায়ের ও কাহতানের বাহাদুরব্যক্তিবর্গ ও ইজ্জত, সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী গর্বিত উপজাতীয় গোত্রগুলোর প্রতি-
সম্মানিত শায়েখ ও সকল বৈশিষ্টের ক্ষেত্রে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন স্বাধীন যুবকদের প্রতি-
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ ওয়াবারাকাতুহু
আমি মহান আল্লাহর কাছে কামনা করি, যেন তিনি আপনার মর্যাদাকে উঁচু করে দেন, আপনাদের রিজিকে প্রশস্থতা দান করেন, আপনাদেরর প্রয়োজনসমূহ পুরো করে দেন ও আপনাদেরকে আখেরাতে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করেন। … আপনাদের কাছে আমার একটি কথা হল জুলুম ও অবাধ্যতা বৃদ্ধি পাওয়া সম্পর্কে, বিলাদুল হারামাইনে আমাদের জনগণের উপর যার প্রয়োগ করা হচ্ছে। এবং মহান শরীয়তের বিরোধিতা বৃদ্ধি পাওয়া সম্পর্কে, যাতে আমাদের দেশের শাসকবর্গ লিপ্ত রয়েছে। যেমন কাফের সাথে বন্ধুত্ব ও মুমিনদের প্রতি শত্রুতা। এবং আল্লাহ তায়ালা যা নাজিল করেছেন, তা ব্যতিত অন্য বিধান দ্বারা ফায়সালা করা। যেমন সুদ হালাল করা, অথচ আল্লাহ তায়ালা তা হারাম করেছেন। জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহকে নিষিদ্ধ করা অথচ আল্লাহ তায়ালা তা ওয়াজিব করেছেন। ইত্যাদি ইত্যাদি আরও অনেক মন্দ বিধান, যা সকল দেশে এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ভুমিতেও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম অভিভাবক।…
، فقد قال صلى الله عليه وسلم لعتبة بن ربيعة وهو مشرك كافر: “أقد فرغت يا أبا الوليد؟”. قال: نعم، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “فاسمع مني”، قال: أفعل”[1].
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উতবাহ ইবনে রবিয়াহ নামক একজন কাফের ও মুশরিককে বললেন- হে আবুল ওয়ালিদ! তুমি কি অবসর হয়েছ! সে বলল- হ্যা। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- তুমি আমার থেকে শোন! সে বলল- আমি এমনটি করলাম। (সিরাতে নববি লিইবনি হিশাম- ২/১৩২)
এই বিষয়ে হাদিসটিকে সামনে রেখে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ মানব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরও দুটি হাদিস আপনাদের সামনে পেশ করছি- যা মুমিনদের জন্য নাজাতের মাধ্যম।
ইমাম মুসলিম রহিমাহুল্লাহ তাঁর সহিহ মুসলিমে রাসুলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন-
عن النبيّ -صلّى الله عليه وسلّم- أنّه قال: “من رأى منكم منكرًا فليغيّره بيده فإن لم يستطع فبلسانه فإن لم يستطع فبقلبه وذلك أضعف الإيمان”
তিনি ইরশাদ করেছেন- তোমাদের কেউ যদি কোন মন্দ কাজ হতে দেখে, সে যেন তা হাত দ্বারা বাঁধা প্রদান করে। যদি সে সক্ষম না হয়, তাহলে যেন মুখ দ্বারা বাঁধা প্রদান করে। আর যদি এতেও সক্ষম না হয়, তাহলে যেন অন্তরে ঘৃণা করে। আর এটাই হল ইমানের সর্বনিম্ন স্তর। (মুসলিম শরীফ, কিতাবুল ঈমান- ৭০)
ইমাম মুসলিম রহিমাহুল্লাহ তাঁর সহিহ মুসলিমে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আরও বর্ণনা করেছেন- তিনি ইরশাদ করেছেন-
عن النبيّ -صلّى الله عليه وسلّم- أنّه قال: “ما من نبىّ بعثه اللّه فى أمّة قبلى إلاّ كان له من أمّته حواريّون وأصحاب يأخذون بسنّته ويقتدون بأمره ثمّ إنّها تخلف من بعدهم خلوف يقولون ما لا يفعلون ويفعلون ما لا يؤمرون فمن جاهدهم بيده فهو مؤمن ومن جاهدهم بلسانه فهو مؤمن ومن جاهدهم بقلبه فهو مؤمن وليس وراء ذلك من الإيمان حبّة خردل”[2].
আমার পূর্বে এমন কোন নবীকে প্রেরণ করা হয়নি, যার উম্মাতের মধ্য থেকে তাঁর এমন সাথী ও অনুসারী হয়নি, যারা…… (মুসলিম শরীফ, কিতাবুল ইমান-৫০) .
হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা! আপনাদের কাছে আমার এই পত্রে একটি বিষয় উল্লেখ করা আবশ্যক যে, এই পত্রটি দেওয়া হচ্ছে- এই শাসকদেরকে আমাদের পূর্বসূরি শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের পবিত্র ও মুবারক নসিহাহ প্রদানের পর। অতঃপর প্রতিবেদনসমূহ লেখা হয়ে গেছে। এবং তাঁর স্বাক্ষরসমূহ জমা করা হয়ে গেছে। এবং সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানসমূহ গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সৌদি রাজ পরিবার প্রজ্ঞাময় দাওয়াত ও উত্তম উপদেশাবলি গ্রহণ না করে, তাঁদেরকে গ্রেফতার, লাঞ্ছিতকরণ ও শাস্তি প্রদান করেছে। অতঃপর তাঁদেরকে বিতাড়িত ও হত্যা করেছে। যখন সংশোধনকারীদের সামনে সকল পথ অবরুদ্ধ হয়ে গেল, এবং ক্রুসেডরদের জন্য ঘাটিসমূহ, বিমানঘাঁটি ও নৌঘাঁটিসমূহ খুলে দেওয়া হল। তখন সংশোধনকারীগণ সর্বশ্রেষ্ঠ মানব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসিয়ত অনুযায়ী কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করলেন যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
، “أخرجوا المشركين من جزيرة العرب
তোমরা মুশরিকদের জাজিরাতুল আরব থেকে বের করে দাও! (বুখারি-৩১৬৮, মুসলিম- ১৬৩৭ )
এবং তাঁরা হেজাযে আমেরিকান ক্রুসেডরদের টার্গেটসমূহে আক্রমণ করার জন্য দাড়িয়ে গেলেন। এবং তাঁরা এটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন যে, তাঁরা নিরাপত্তা কর্মী ও সংরক্ষিত লোকদের হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট নন। শাসকেরা এটা অস্বীকার করল এবং ক্রুসেডরদের নিরাপত্তা দিল। এবং তাদের পক্ষ হয়ে যুদ্ধের ডামাডোল বাজিয়ে দিল। অতঃপর তাঁরা অসংখ্য মুমিন, মুওয়াহহিদ ও শ্রেষ্ঠ মুজাহিদ যুবকদের হত্যা করল, যারা আফগানিস্তানের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বের হয়েছিলেন। এছাড়া আরও অনেককে তাঁরা বন্দি করেছে, যাদের মধ্যে উলামায়ে কেরাম ও মর্যাদাসম্পন্ন ইলমের ছাত্ররাও রয়েছেন। আর এমন কিছু উত্তম ভাই –যারা কারাগারে ছিলেন, তাঁদেরকে এই শাসকেরা পরবর্তীতে ফাসি দিয়েছে। আল্লাহ তায়ালা তাঁদের উপর তাঁর প্রশস্ত রহমত বর্ষণ করুন। এবং তাঁদেরকে জান্নাতের সবচে’ উত্তম স্থান দান করুন। আমিন
আমাদের এই বার্তাটি হচ্ছে সংশোধনকারীদের সকল প্রচেষ্টা ব্যয় হওয়ার পর অবাধ্যদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দাওয়াত।
ইহা আমেরিকার উকিলদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দাওয়াত।
ইহা ক্রুসেডরদের থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করার দাওয়াত, যা আমেরিকার অক্টোপাসে আবদ্ধ রয়েছে, আর আমেরিকা হচ্ছে দেশের আভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র রাজনীতির কর্তৃত্ব গ্রহণকারী।
ইহা ইসলামী শরীয়তকে পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের দাওয়াত, যেভাবে আমাদের রব পূর্ণরূপে নাজিল করেছেন আমীর, ধনী, মন্ত্রী, দুর্বল, মিসকিন ও ফকির সকলের উপর।
ইহা তাওহীদকে পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠার দাওয়াত, যাতে রয়েছে তাওহিদুল হাকিমিয়াহ। এবং শিরক ও খোদাদ্রোহিতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার দাওয়াত, যাতে রয়েছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের শিরক।
ইহা মুরতাদ তাগুতদের পতন ও গুজব রটনাকারী মুনাফিকদের লাঞ্চিত করার দাওয়াত।
ইহা দিন বদলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা ও মুসলমানদের এই পরিবর্তনের জন্য স্বীয় বক্তৃতা, লিখনি ও মিডিয়ার দ্বারা দাওয়াত প্রদানের আহবান।
ইহা হারামাইন শরিফাইনকে রক্ষা করার ওয়াজিব হক বাস্তবায়নের দাওয়াত, যা আমাদের উপর মুসলিম উম্মাহর আমানত।
ইহা উম্মাহর মুক্তি ও তাঁদের নেতৃত্ব ও মর্যাদার দিকে একটি মজবুত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার উপর তাঁদের নেতৃত্ব ফিরিয়ে আনার দাওয়াত।
ইহা আমাদের বন্দি ভাই ও পবিত্র ও নিষ্কলুষ বন্দিনী বোনদের মুক্ত করার দাওয়াত।
ইহা প্রকৃত ইজ্জত অনুসন্ধান ও স্বাধীনতার সাধ ভোগ করার দাওয়াত।
ইহা সৌদি রাজবংশের মিডিয়ার বৃত্ত থেকে আকলকে মুক্ত করার দাওয়াত।
ইহা অপরাধী সৌদি রাজবংশের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটানোর দাওয়াত, যারা বিলাদুল হারামাইনকে কাইসার ও কিসরার মত সাম্রাজ্য বানিয়ে রেখেছে। বিলাদুল হারামাইনকে নিজেদের বংশে নামকরণ করেছে। বিলাদুল হারামাইনের কল্যাণসমূহকে বশীভূত করে রেখেছে। তাঁর অধিবাসীদের হকসমূহকে আত্মসাৎ করে রেখেছে। তাঁদের উপর জুলুম করেছে, তাঁদেরকে নিপীড়ন করছে ও তাঁদের দূরে সরিয়ে রেখেছে। কেমন যেন এটা তাদের মালিকানাধীন সম্পদ।
ইহা দেশের সম্পদসমূহ তাঁদের বৈধ মালিকদের নিকট পুনরায় বণ্টন করে দেওয়ার দাওয়াত। উম্মাতের সম্পদসমূহকে অবৈধভাবে অপচয় ও অপব্যায়কারী বড় বড় চোরদের থেকে হিসাব গ্রহণের দাওয়াত।
ইহা অভাবীদের মুখে মুচকি হাঁসি ফিরিয়ে আনা ও ঋণগ্রস্তদের থেকে দুঃখ ও পেরেশানি দূর করার দাওয়াত।
হে আমাদের বিলাদুল হারামাইনের প্রিয় অধিবাসীগণ! নিশ্চই আমাদের বরকতময় ভূমিকে আল্লাহ তায়ালা বাইতুল হারামের নির্মাণের জন্য পসন্দ করেছেন। এটা হচ্ছে মানুষের ইবাদতের জন্য তৈরি সর্বপ্রথম ঘর। এই ঘরের অনেক মর্যাদা ও সম্মান রয়েছে, যা সকল মুসলমান অবগত। এটা হচ্ছে এমন স্থান, যার জন্য মুসলমানগণ নিজদেদের অন্তর উৎসর্গিত করেন। এই ঘরের দিকে মুখ করেই নামাজ পড়েন। এই ঘরকে কেন্দ্র করেই হজ ও উমরাহ করার ইচ্ছা করেন। এই ঘরের জন্যই নিজেদের অন্তরকে উৎসর্গ করেন। এই ঘরের সাথে বাড়াবাড়ি প্রদর্শনকারী প্রত্যেককে প্রতিরোধ করেন। এছাড়াও এই ঘরের আরও অনেক মহান গুরুত্ব রয়েছে। নিশ্চই আমাদের এই বরকতময় দেশ ভৌগলিক, কৌশলগত, অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক বড় বড় বৈশিষ্ট এর অধিকারী। ইহা পৃথিবীর কলব তথা ঠিক মধ্যখানে অবস্থিত। বেশ কিছু সমুদ্র রয়েছে এবং সমদ্র প্রণালী রয়েছে। এবং আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বানিজ্যের অনেক লাইনে এবং রফতানিযোগ্য জৈব পেট্রোল এর অনেক লাইনে তাঁর কর্তৃত্ব রয়েছে। এছাড়া আরও অনেক বৈশিষ্ট রয়েছে, যেগুলো প্রজ্ঞাময় মহান আল্লাহ তায়ালার বড়ত্ব বুঝায়। যিনি আলিমুল গাইব এবং সর্বদ্রষ্টা। যাতে আসমানি রিসালাতসমূহের পরিসমাপ্তিকারি, বৈশ্বিক মুহাম্মাদি রিসালাত ও ইসলামের চিরস্থায়ী রিসালাতের বিষয় বাস্তব হয়। যাকে আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য যথেষ্ট করে পাঠিয়েছেন, যেমন মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন-
﴿وما أرسلناك إلّا كافّةً للنّاس بشيرًا ونذيرًا ولكنّ أكثر النّاس لا يعلمون﴾
আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যে সুসংবাদাতা ও সতর্ককারী রূপে পাঠিয়েছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না। সুরা সাবা-২৮
সুতরাং বিলাদুল হারামাইন হল ওহী ও কুরআনের অবতরণস্থল। প্রথম ইসলামী রাষ্ট্রের রাজধানী। যেখান থেকে ইসলাম পৃথিবীর চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামের উপকার ও বরকত অসংখ্য মানুষের মাঝে ব্যাপক হয়েছে।
বিলাদুল হারামাইনের আরও অনেক পবিত্র, কৌশলগত, ভৌগলিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। সিয়াদাতু খাইরিল উমাম ফি ইন্তাকাজাতি আহলিল হারাম (হারামের অধিবাসীদের বিপ্লবে উম্মাহর শ্রেষ্ঠ নেতৃত্ব।) শিরোনামে আমাদের ধারাবাহিক মজলিসগুলোতে তাঁর আলোচনা আসবে। যেখানে আমরা বিলাদুল হারামাইনে পরিবর্তনের বিষয়টি স্পষ্ট করবো। এবং বিইজনিল্লাহ সমগ্র উম্মাহর মাঝে তাঁর উপকার ফিরে আসবে। যাতে আবার আমাদের ভূমি মুসলিম উম্মাহর প্রকৃত নেতৃত্বের দিকে ফিরে আসে, যেমনটি পূর্বে ছিল। এবং আমাদের উম্মাহ নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। উম্মাহর সম্মান সমুন্নত হয়। ইসলামের ঝাণ্ডা সকল চুড়ায় উত্তোলিত হয়। এবং আল্লাহ তায়ালার শরীয়ত প্রতিষ্ঠিত হয়। ও পুরো দিন আল্লাহ তায়ালার জন্য হয়ে যায়।
আমরা আমাদের এই বার্তায় এমন আরও কিছু বিষয় বলবো, যাতে আমরা পরিবর্তনের দাওয়াত নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টাকে সংশোধনকারীদের প্রচেষ্টার সাথে মিলাতে পারি, এবং ঈমান ও হিকমতের ইয়েমেনে আমাদের প্রিয়তম শায়েখ ও ভাইদের প্রচেষ্টার সাথে মিলাতে পারি। ফলে আমরা জালেম, স্বৈরাচার শাসকদের পতন ঘটাতে সম্মিলিত, ঐক্যবদ্ধ ও মজবুত হতে পারবো।
কেননা এটা একটি তিক্ত বাস্তবতা যে সউদের বংশধরেরা হচ্ছে আমাদের দেশের শাসক। তাঁরা উম্মাহর শত্রু। তাঁরা উম্মাহকে ভালবাসেনা। তাদের উম্মাহর বিষয়সমূহের কর্তৃত্বশীল হওয়া একটি অগ্রহণযোগ্য বিষয়। হে উম্মাহ! আপনারা তাদেরকে তাদের বন্ধুদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করুন! – শায়েখ আব্দুল্লাহ আজ্জাম, আনওয়ার শাবান, আহমাদ ইয়াসিন, কমান্ডার খাত্তাব, উসামা বিন লাদেন, মোল্লা মুহাম্মাদ উমর, আবু মুসআব আয-যারকাবি (আল্লাহ তাঁদের সকলের উপর রহমত বর্ষণ করুন। আমিন।) এর মত মুজাহিদ, মুহাজির ও আনসারগণ তাদের বন্ধু? নাকি ক্রুসেডর ও মুরতাদরা তাঁদের বন্ধু? যেমন- ক্লিনটন, বুশ, ব্রিটেনের রানী, টনি ব্লেয়ার, ওবামা, হুসনি মোবারক, বিন আলী ও সিসি? জ্ঞানীরা কি এটা ভাবতে পারেন যে আমরা উম্মাহর পবিত্র ভূমিসমূহের পবিত্র নেতৃত্বের লাগাম উম্মাহর শত্রুদের হাতে তুলে দিবো? অথবা উম্মাহর শত্রুদের বন্ধুদের হাতে?
হে আমাদের প্রিয় জনগণ! এটা অত্যান্ত আবশ্যকীয় বিষয় যে, আমরা হারামাইন শরিফাইন ও ইসলামের পবিত্র নিদর্শনসমূহকে আমাদের ঘাড়ে উম্মাহর আমানত মনে করবো। যা আমাদেরকে সোপর্দ করা হয়েছে। সুতরাং এই আমানতকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা আমাদের জন্য ওয়াজিব।
এই আমানতের ওয়াজিবকে সঠিকভাবে আদায়ের ক্ষেত্রে সবচে’ অগ্রগন্য কাজ হবে- তাঁকে রক্ষা করা, শত্রুদের বিরুদ্ধে তাঁকে সাহায্য করা। স্বৈরাচারীদের প্রতিহত করণ ও ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার জন্য এ ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট ও মুল্যবান ত্যাগ প্রদান করা। বাহিরের বিভিন্ন ফ্রন্ট ও ভিতর থেকে হারামাইন শরিফাইন অভিমুখে রাফেজিদের অগ্রসরমান বিপদ সবার জন্য ভয়াবহ- এটা প্রকাশ পেয়ে গেছে। খারেজিদের এই জোয়ার সাধারণ বা মুহূর্তের কোন বিষয় ছিলনা। ধোঁকাপূর্ণ বিলম্বিত পদক্ষেপের দ্বারা গত দুই শতকেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা সাংগঠনিক ও দলীয় জোয়ার শুরু করেছে, কিন্তু তা চলমান রয়েছে। এমনকি তাঁরা ইয়েমেনের রাজধানী সান’আ ও আরও অনেক প্রতিরক্ষাকেন্দ্র দখলে নিতে সক্ষম হয়ে গেছে। আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট ও তিনিই উত্তম অভিভাবক। তাদের একজন তো স্পষ্ট করে বলেই দিয়েছে- “নিশ্চই আমরা অচিরেই কয়েক বছরের ব্যবধানে মক্কা মোকাররমাতে পোঁছে যাবো”। অত্যান্ত আফসোস! গত দীর্ঘ দুই বছরেও সৌদি রাজ পরিবার তাদের এই ধারাবাহিক আগ্রাসনকে রুখতে পারেনি।
তাঁরা বিশ্ববাসীকে রাফেজিদের মাত্র একটি জামায়াতকে প্রতিহত করতে তাদের বাহিনীর অক্ষম হওয়া ও দুর্বলতাকে নিশ্চিত করেছে। সুতরাং এই বাহিনীর দ্বারা কি হবে যখন তাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করবে? যেমনিভাবে তাঁরা আমেরিকানদের বিষয়ে তাদের নমনীয় ইচ্ছাও তারা নিশ্চিত করেছে। সৌদি যুদ্ধ কমান্ডাররা যুদ্ধের ময়দানে শোচনীয় পরাজয়বরণকারী সাব্যস্ত হয়েছে। তারা কুয়েতে রাজনীতির অঙ্গন ও মহলে সাহায্য করতে বাঁধা প্রদান করেছে। কুয়েতকে আলোচনার জন্য প্রস্তুত করা ও গোলাগুলি বন্ধ করতে সৌদি রাজ পরিবার ও তাদের চেলারা নির্লজ্জভাবে আমেরিকার অংশগ্রহণে উপসাগরীয় অঞ্চলে দাড়িয়ে গেছে। তারা মুকাল্লা শহরে আমাদের আনসার আশ শরিয়ার মুজাহিদ ভাইদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছে। অথচ সেই সময়ে আনসার আশ শরিয়ার মুজাহিদ ভাইগন হুতিদের অবরুদ্ধ করা ও তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত ছিলেন। তাদের চক্রান্ত ও শত্রুতাকে প্রতিহত করছিলেন। সেখানে মহান আত্মত্যাগ ও কুরবানি প্রদানে আমাদের ভাইয়েরা অগ্রসর হচ্ছিলেন। তারা মুকাল্লার সাধারণ মুসলিমদের সেবায় খুব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, যা দূরের ও কাছের সবাই দেখেছেন। আমরা আল্লাহর কাছে দুয়া করি যেন, আল্লাহ তাঁদের কবুল করুন। তাঁদেরকে উত্তম বদলা দিন। কিন্তু সৌদি রাজ পরিবার তাঁদেরকে ও তাদের আত্মমর্যাদাকে ছেড়ে দেইনি। তারা হুতিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি। মুসলিমদের মাঝে শরীয়ত প্রতিষ্ঠা ও তাদের খিদমতের জন্য লড়াই করেনি। তারা মুজাহিদদের উপর হামলা করেছে। মুজাহিদদের আক্রমনের বিরুদ্ধে সিমালঙ্গনকারী হুতিদের সাহায্য করেছে। এই কারণে তারা ইয়েমেনের মুসলমানদের দুইবার ধোঁকা দিয়েছে। সুতরাং তারা হুতিদের প্রতিরোধে সক্ষম নয়। তারা মুসলমানদের মাঝে ও যারা হুতিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাদের প্রতিরোধ করছে, তাদের মাঝে ছিদ্র করতে পারবেনা।
আর সামনে আমি দুটি আন্তরিক ও গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা পেশ করবো।
প্রথম বাস্তবতাঃ সৌদি রাজ পরিবার হারামাইন শরিফাইনের প্রতিরক্ষার যোগ্য নয়, ইয়েমেনে বিভিন্ন সময়ে হুতিদের কাছে বারবার পরাজয় বরণ, হুতিদের বিরুদ্ধে টার্গেটে আঘাত হানতে অক্ষম “কঠিন ঝড়” নামক একটি শোচনীয় ব্যর্থতা হচ্ছে তাঁর উৎকৃষ্ট দলীল।
দ্বিতীয় বাস্তবতাঃ মিডিয়া ও রাজনীতিতে বলাবলি সত্ত্বেও রাফেজি বাহিনী হারামাইন শরিফাইনের দিকে লাগাতা এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আমাদের অবস্থান কি? কিভাবে আমরা আমাদের ঘাড়ে রয়ে যাওয়া আমানতকে রক্ষা করবো। কিভাবে আমরা আমাদেরকে ও আমাদের দেশকে সাহায্য করবো?
হে আমাদের প্রিয় জনগণ! সাহাব্যে কেরামের বংশধরগণ… নিশ্চই যে ওয়াজিব আমাদের অপেক্ষা করছে, তা খুবই মহান, আর সে আমানতটি খুবই ভারি। সর্বোত্তম ব্যক্তি হল, যারা এই ওয়াজিব আদায়ের ক্ষেত্রে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবাদের আছার অনুসরণ করবে ও তাঁদের আমলের উপর ক্ষান্ত করবে, যারা মাদরাসাতুন নববি থেকে বের হয়ে ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকের ইচ্ছা ছিল দ্বীন শিক্ষা করা ও সে অনুযায়ী আমল করা। এবং জবান ও সিনার দ্বারা পৃথিবীর আনাচে কানাচে দাওয়াত ও জিহাদের মাধ্যমে এই দ্বীনের তাবলীগ করা। তাঁরা জাজিরাতুল আরবের জনগণকে শুধু দাওয়াত প্রদানের উপর ক্ষান্ত করেননি। তেমনিভাবে তাঁরা শুধু জবান দ্বারা দাওয়াত দিয়েই বসে থাকেননি। সুতরাং তাঁদের সম্মুখে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সেই সত্য বাণী বিদ্যমান ছিল, যা দ্বারা তাঁদের পথ আলোকোজ্জ্বল ছিল।
﴿لقد أرسلنا رسلنا بالبيّنات وأنزلنا معهم الكتاب والميزان ليقوم النّاس بالقسط وأنزلنا الحديد فيه بأس شديد ومنافع للنّاس وليعلم اللّه من ينصره ورسله بالغيب إنّ اللّه قويّ عزيز﴾،
আমি আমার রসূলগণকে সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ প্রেরণ করেছি এবং তাঁদের সাথে অবতীর্ণ করেছি কিতাব ও ন্যায়নীতি, যাতে মানুষ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি নাযিল করেছি লৌহ, যাতে আছে প্রচন্ড রণশক্তি এবং মানুষের বহুবিধ উপকার। এটা এজন্যে যে, আল্লাহ জেনে নিবেন কে না দেখে তাঁকে ও তাঁর রসূলগণকে সাহায্য করে। আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী। সুরা হাদিদ-২৫
একটি পথ প্রদর্শনকারী কিতাব ও তাঁকে সাহায্যকারী তরবারি। আপনার রবের হেদায়াত ও সাহায্যের জন্য ইহাই যথেষ্ট।
তাঁদের ছিল আকাশচুম্বী মহান হিম্মত ছিল। নক্ষত্রের চাইতেও উপরে হচ্ছে তাঁর বিচরন। এমনকি তাঁদের একজন কিছু সংক্ষিপ্ত ও সীমাবদ্ধ কথা বলেছিলেন, যা ইতিহাস আজো পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রেখেছে। কেননা সেগুলো ছিল ইজ্জত ও গৌরবের কথা। যদি ইজ্জত জেরা করে, তাহলে এই মহান অর্থ যে বুঝে সেই বলতে পারবে। আর তা হল যখন মহান সাহাবী রবি’ ইবনে আমের রাঃ কাদেসিয়ার ময়দানে পারস্য বাহিনীর কমান্ডার রুস্তমের নিকট গেলেন। তাকে এই অবস্থায় আল্লাহর দিকে আহবান করলেন যে, তাঁর গায়ে ছিল মোটা পোশাক, হাতে ছিল তরবারি ও ছোরা এবং অল্প পালকবিশিষ্ট ঘোড়া, যাতে তিনি আরোহী অবস্থায় ছিলেন। এমনকি তিনি বিছানো কার্পেটের মাঝে ঘোড়া দিয়ে মাড়িয়ে দিলেন। অতঃপর ঘোড়া থেকে নামলেন ও রুস্তমের নিরাপত্তা বাহিনীর একজনের সাথে কথা বললেন। তিনি সামনে অগ্রসর হলে এবং তাঁর কলব ছিল কুরআনের নুরে আলোকিত। তাঁর গায়ে ছিল অস্ত্র ও বর্ম এবং মাথায় ছিল সাদা শিরস্ত্রাণ। একটি পথপ্রদর্শনকারী কিতাব ও তাঁকে সাহায্যকারী তরবারি।
তারা তাঁকে বলল- তুমি তোমার অস্ত্র নিচে রাখ!
তিনি বললেন- তোমরা আমাকে ডেকেছ… যদি তোমরা আমার তোমাদের কাছে আসা না চাও, তাহলে আমি ফিরে যেতে চাই… রুস্তমকে ডাক… তিনি বললেন তাকে নিয়ে আস!
তিনি দামি কার্পেটের উপর তাঁর বর্শার উপর ভর হয়ে বসলেন। ফলে কার্পেটের কাপড় ছিরে গেল। তারা তাঁকে বলল- তুমি আমাদের কাছে কেন এসেছ? তিনি বললেন- আল্লাহ তায়ালা আমাদের পাঠিয়েছেন যাতে আমরা মানুষকে গোলামদের ইবাদত থেকে আল্লাহর ইবাদতের দিকে নিয়ে যাই। এবং দুনিয়ার সঙ্কীর্ণতা থেকে আখেরাতের প্রশস্ততার দিকে এবং অন্যান্য ধর্মের জোর- জুলুম থেকে ইসলামের ইনসাফের দিকে নিয়ে যাই। আল্লাহ আমাদের তাঁর দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে মানুষকে তাঁর দিকে আহবান করি। সুতরাং যে তা কবুল করে নিবে, আমরা তাঁর থেকে ফিরে যাবো, আর যে অস্বীকার করবে, আমরা তাঁর সাথে যুদ্ধ করতে থাকবো, এমনকি আমরা আল্লাহর ওয়াদার দিকে ফিরে যাবো।
তারা বলল- আল্লাহর ওয়াদা কি? তিনি বললেন- যে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মারা যাবে, তাঁর জন্য জান্নাত। আর যে জীবিত থাকবে, তাঁর জন্য বিজয়।
সুতরাং আমরা এটাকেই পসন্দ করি। এদিকেই আহবান করাকে ভালোবাসি।
সকল সাহাবায়ে কেরামের-ই ইচ্ছা ছিল, ইসলামের প্রচার করা, দাওয়াত ও জিহাদের মাধ্যমে পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে পরা। যারা ইসলামের উপর নির্ভর করবে, তাঁদের দুনিয়া থাকবেনা। যারা ইহার জন্য চেষ্টা করবে, তাঁদের ব্যবসা থাকবেনা। যারা দুনিয়াকে লাথি দিবে তাঁদের দামি বাড়ি, সুন্দর গাড়ি, উচ্চ বেতন থাকবেনা। কেননা এই সবগুলোই দুনিয়ার সঙ্কীর্ণতা। তাঁরা এগুলোকে ভালবাসেনা, তাঁরা প্রশস্ত আখেরাতকে ভালবাসে। মানুষকে সে দিকেই পরিচালিত করে।
সুতরাং সম্মান কতইনা মধুময় ও দামি… কিন্তু… যে তাঁর সাধ আস্বাদন করেছে…
আলোচনার সারাংশঃ নিশ্চই আমাদের দেশে জরুরি পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। যাতে বড় বড় অপরাধী চোর ও আমেরিকার উকিলদের পতন ঘটানো যায়। ক্রুসেডরদের থেকে কুরআনের অবতরণস্থলকে মুক্ত করা যায়। সাফাবিদের থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে হারামাইন শরিফাইনকে সাহায্য করা যায়। নতুন শাসন কায়েম করা যায়, যা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার শরীয়ত অনুযায়ী পরিচালিত হবে। তা ইনসাফের প্রসার ঘটাবে। শুরার পরামর্শে পরিচালিত হবে। জিহাদকে পুনরুজ্জীবিত করবে। মুসলমানদের নেতৃত্ব ও গৌরবের প্রত্যাবর্তন ঘটাবে। আমাদের দেশের অথৈ সম্পদ ফকির, মিসকিন ও মুখাপেক্ষী লোকদের মাঝে বণ্টন করবে। বিইজনিল্লাহ সকলেই ইজ্জত, স্বাধীনতা ও সম্মানের সাথে জীবন যাপন করবে।
এ কারনেই আমরা সকল মুসলমানকে জাজিরাতুল আরবে তাঁদের বক্তৃতা, লেখনী, মিডিয়া ও সুমিষ্ট স্বরের দ্বারা বিপ্লবে অংশ গ্রহণের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। তেমনিভাবে তাঁদেরকে তাঁদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ঘটিত একটি কমিটি গঠনের আহবান জানাচ্ছি। যা সত্যবাদি, সম্মানিত উলামায়ে কেরাম, মুখলিস ও খোদাভীরু দায়ী, প্রশাসনের দয়া দক্ষিনা থেকে নিষ্কলুষ ব্যক্তিগণ দ্বারা গঠিত হবে। বিশেষ করে সামাজিক সংযোগ রক্ষাকারী মুখলসি যুবকগণ এই কমিটিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে। তাঁরা পরিবর্তনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করবে। জাতিকে তাঁদের অধিকারের ব্যাপারে সজাগ করে তুলবে। তাঁদের কাছে ধারাবাহিক বাস্তবতা তুলে ধরবে যে, এই হাকিকতকে চুরি করা, নষ্ট করা, আত্মসাত ও জবর দখলের ক্ষেত্রে এই শাসকেরা অনুশীলন করছে।
যুবক, যুদ্ধে সক্ষম ব্যক্তিবর্গ ও যাদের উপর শাসকেরা বাড়াবাড়ি করেছে- তাঁদেরকে আমরা ঈমান ও হিকমতের ইয়েমেনে তাঁদের মুজাহিদ ভাইদের সাথে যোগদানের আহবান জানাচ্ছি। যাতে আবশ্যকীয় অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন-
﴿ومن يهاجر في سبيل اللّه يجد في الأرض مراغمًا كثيرًا وسعةً ومن يخرج من بيته مهاجرًا إلى اللّه ورسوله ثمّ يدركه الموت فقد وقع أجره على اللّه وكان اللّه غفورًا رحيمًا﴾.
যে কেউ আল্লাহর পথে দেশত্যাগ করে, সে এর বিনিময়ে অনেক স্থান ও সচ্ছলতা প্রাপ্ত হবে। যে কেউ নিজ গৃহ থেকে বের হয় আল্লাহ ও রসূলের প্রতি হিজরত করার উদ্দেশে, অতঃপর মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তবে তার সওয়াব আল্লাহর কাছে অবধারিত হয়ে যায়। আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।
সুরা নিসা-১০০
বার্তা শেষের পূর্বে আমি নিজেকে ও আপনাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, অবশ্যই আমাদের ইখলাস ও সত্যবাদিতার গুণ অর্জন করতে হবে। হক কথা বলতে হবে। আপনারা সেই দিনকে স্মরণ করুন, যেদিন সৃষ্টিকর্তা মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ হিসাব গ্রহণ করবেন।
، ﴿يومئذ تعرضون لا تخفى منكم خافية﴾،
সেদিন তোমাদেরকে উপস্থিত করা হবে। তোমাদের কোন কিছু গোপন থাকবে না। সুরা হাক্কাহ-১৮
আমাদের সকলকেই আল্লাহ তায়ালার সম্মুখে দাঁড়াতে হবে।
، ﴿يوم يفرّ المرء من أخيه * وأمّه وأبيه * وصاحبته وبنيه * لكلّ امرئ منهم يومئذ شأن يغنيه﴾،
সেদিন পলায়ন করবে মানুষ তার ভ্রাতার কাছ থেকে, তার মাতা, তার পিতা, তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে। সেদিন প্রত্যেকেরই নিজের এক চিন্তা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে। সুরা আবাসা-৩৪-৩৭
সুতরাং আমরা আমাদের দেশের মন্দ কর্মকাণ্ডসমূহের ক্ষেত্রে চুপ থাকার ব্যাপারে কি জবাব দিবো? … আমরা অনেক দেরি করে ফেলেছি এবং আমাদের পূর্বে অনেক ব্যক্তি অগ্রসর হয়ে গিয়েছেন। … কিভাবে ওই সকল লোকেরা মহারাক্রমশালি আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে? যারা মানুষকে কুরআনের কিছু অংশ মানতে আহবান করে আর কিছু অংশকে গোপন করে। আল্লাহ তায়ালা কি বলেননি –
: ﴿أفتؤمنون ببعض الكتاب وتكفرون ببعض﴾،
তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর?সুরা বাকারা-৮৫
আল্লাহ তায়ালা কি আরও বলেননি-
﴿اليوم يئس الّذين كفروا من دينكم فلا تخشوهم واخشون اليوم أكملت لكم دينكم وأتممت عليكم نعمتي ورضيت لكم الإسلام دينًا﴾،
আজ কাফেররা তোমাদের দ্বীন থেকে নিরাশ হয়ে গেছে। অতএব তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। সুরা মায়েদা-৩
আপনারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে কেন ভয় করছেন না? চিরঞ্জীব মহাপরাক্রমশালী আল্লাহকে কেন লজ্জা করছেন না? আপনারা কি মৃত্যুকে ভয় করেননা? আপনারা কি কবরের ভয়াবহতাকে ভয় করেননা?
আমাদের নিস্ফল সৃষ্টি করা হয়নি। আমাদের অযথা দুনিয়াতে পাঠানো হয়নি। নিশ্চই আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত ও শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমাদের দেশে আল্লাহ তায়ালার শরিয়ত কায়েম হবে? নাকি ফাসেকি, নষ্টামি, অবাধ্যতা, ফিতনা সৃষ্টিকারীদের আশ্রয়দান, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত কাফেরদের মেহমানদারি কায়েম থাকবে? কেন হকের কালিমাকের আওয়াজ বুলন্দ করার ক্ষেত্রে ভয় করা হবে? কেন আমরা মানুষকে আল্লাহ তায়ালার নাজিলকৃত শরীয়তের দিকে আহবান করছিনা? আমরা কি উপযুক্ত হয়ে গেছি যে আমরা শরীয়ত প্রতিষ্ঠায় আমাদের বাড়াবাড়ির ব্যাপারে ও তাগুত মুরতাদদের ব্যাপারে আমাদের নিশ্চুপ থাকার ব্যাপারে ও ব্যভিচারিণী নষ্টা ক্রুসেডর মহিলা ও পুরুষদের অক্টোপাস থেকে আমাদের বিলাদুল হারামাইনকে কলুষমুক্ত করার ব্যাপারে আমাদের নিশ্চুপ থাকার ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালার কাছে হিসাব দিতে পারবো? এমনিভাবে আমরা কি সাহাবায়ে কেরামের ভূমিকে ক্রুসেডরদের থেকে মুক্ত করার ব্যাপারে সাহায্য করেছি, যেখানে ক্রুসেডর ব্যভিচারিণীরা ভ্রমণ করছে? আমরা দুনিয়ার পশ্চাদপদতা ও চাকচিক্যকে লাথি মারি। কেন আমরা এই অপরাধী তাগুত মুরতাদদের জন্য নতিস্বীকার ও অপমানের দ্বারা সন্তুষ্ট হয়ে যাবো?
এটাই কি আমাদের অবস্থান…? এটাই কি আমাদের চিন্তা-ভাবনা? হিসাব দিবসকে কি আমরা স্মরণ করছি?…
সুতরাং পুরুষরা কোথায়? স্বাধীনচেতারা কোথায়? ওই সকল লোকেরা কোথায়, যারা সেই দিনের ব্যাপারে তাঁদের রবকে ভয় করে যেদিন সবাই হতবিহবল হয়ে ভ্রুকুঞ্চিত হবে? তাগুতদের মুখের সামনে হক কালিমা উচ্চারণকারী লোকেরা কোথায়? মুনাফিকদের পোশাক বিদীর্ণকারীরা কোথায়? তাঁরা মুনাফিকদের সেই কথাই বলে, যা আব্দুল্লাহ ইবেন উবাই ইবনে সুলুলকে বলা হয়েছিল-
“اجلس أي عدوّ الله، لست لذلك بأهل
হে আল্লাহর শত্রু বস! তুমি আমাদের অন্তর্ভুক্ত নও! আল্লাহর পথের মুজাহিদেরা কোথায়? ওই সকল লোকেরা কোথায়, যারা উচ্চমূল্যে নিজেদেরে জানকে আল্লাহ তায়ালার কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন? শাহাদাত কামনাকারী লোকেরা কোথায়? ওই সকল লোকেরা কোথায়, যারা শাহাদাতের নেতৃত্ব কামনা করেন? যাদেরকে কিয়ামতের দিন তাঁদের সর্দার হামজা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রাঃ এর সাথে একত্রিত করা হবে।
হে মুমিনগণ! এটাই তোমাদের দিন! হে মুসলমানগণ! এটাই আপনাদের সময়! সুতরাং আপনারা সেই কাজের জন্য উঠে পরুন, যার দ্বারা আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হবেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের ও আপনাদের ক্ষমা করুন। আমাদেরকে তাঁর পথে মাকবুল শাহাদাতের মাধ্যমে মৃত্যু দান করুন।
হে আল্লাহ! আমাদের এই উম্মাহকে হেদায়াতের উপর সুদৃঢ় করুন! যাতে তাঁরা আনুগত্যশীল হয়ে সম্মানিত হবে। এবং অবাধ্যরা অপমানিত হবে। এবং সৎ কাজের আদেশ দেওয়া হবে ও অসৎ কাজের নিষেধ করা হবে।
হে আল্লাহ! আমাদের জালেম জাতির জন্য ফিতনা বানাবেন না! আমাদের আপনার রহমতে কাফের জাতি থেকে রক্ষা করুন।
হে আল্লাহ! আমাদের গুনাহ মাফ করে দিন! আমাদের বিষয়ে আমাদের ছাড়াছাড়িকে ক্ষমা করে দিন। আমাদের কদমকে দৃঢ় করে দিন! আমাদেরকে কাফের জাতির উপর সাহায্য করুন।
وآخر دعوانا أن الحمد لله ربّ العالمين