অডিও ও ভিডিওঅডিও ও ভিডিও [আন নাসর]আন-নাসর মিডিয়াবই ও রিসালাহবাংলা প্রকাশনামিডিয়াশাইখ হামজা বিন উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

পশ্চিমা দেশসমূহে শহীদি হামলাকারীর প্রতি অসিয়ত – শায়খ হামজা উসামা বিন লাদিন (হাফিজাহুল্লাহ)

পশ্চিমা দেশসমূহে শহীদি হামলাকারীর প্রতি অসিয়ত

– শায়খ হামজা উসামা বিন লাদিন (হাফিজাহুল্লাহ)

পশ্চিমা দেশসমূহে শহীদি হামলাকারীর প্রতি অসিয়ত – শায়খ হামজা উসামা বিন লাদিন (হাফিজাহুল্লাহ)

ডাউনলোড করুন

ভিডিও ডাউনলোড করুন (১২০ মেগাবাইট)
https://banglafiles.net/index.php/s/fc9jH6Hf8K5yMYB
https://www.file-upload.com/p4f9adcudxfc
http://www.mediafire.com/file/db92t88x5nffp13/Advice.mp4/file
https://archive.org/download/Advice_201906/Advice.mp4
https://ln.sync.com/dl/e9d0f5cc0/5f6irwg5-bkbisfnu-m47xe9yx-byajqsjy

পিডিএফ ডাউনলোড করুন (১.৩৮ মেগাবাইট)
https://banglafiles.net/index.php/s/fJz9L7QzaHJ96bk
https://www.file-upload.com/ffqzmebiub8y
http://www.mediafire.com/file/bif23jpjrlxxrue/wasaya.pdf/file
https://archive.org/download/Advice_201906/wasaya.pdf
https://ln.sync.com/dl/620d351f0/rbsn7m24-vb5cqgnq-irv69wzf-qt45b5hq

ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
https://banglafiles.net/index.php/s/Pj4YPBsQW94FzWB
https://www.file-upload.com/a61aszwnhhms

ব্যানার ডাউনলোড করুন
https://banglafiles.net/index.php/s/AbyPBtHf9qkBroG
https://www.file-upload.com/nbvxi2olitj8

====================================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ বাংলাদেশ শাখা
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]
—————–

অনলাইনে পড়ুন:


পশ্চিমা দেশসমূহে শহীদি হামলাকারীর প্রতি অসিয়ত
শাইখ হামযা উসামা বিন লাদেন (হাফিজাহুল্লাহ)

الحمد لله ربّ العالمين، وأشهد أن لا إله إلا الله وليّ الصالحين، وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله صلّى الله عليه وعلى آله وصحبه أجمعين.
সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার জন্য, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, যিনি ন্যায়পরায়ণদের রক্ষাকারী, এবং মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রসূল, তাঁর উপর শান্তি, তাঁর পরিবার এবং তাঁর সমস্ত সহচরদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
আমেরিকা, পশ্চিমা দেশসমূহ, এবং (অভিশপ্ত ইহুদী কর্তৃক) দখলকৃত ফিলিস্তিনে বসবাসকারী ইসলামের বীর যোদ্ধাদের প্রতি……
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু!
এগুলো শহীদি অপারেশনে নিজেকে যুক্ত করতে ইচ্ছুক অথবা চিন্তা-ফিকির করছেন, এমন ভাইদের জন্য কিছু পরামর্শ।
সেই সব মহান শহীদদের প্রতি ক্ষমা করার প্রার্থনা করে আমি আমার কথা শুরু করছি। যারা তাঁদের রক্তের সাথে তাঁদের প্রিয় উম্মাহর জন্য একটি মহিমান্বিত অধ্যায় (ইতিহাস) তৈরি করেছেন।
ওহে মহান যোদ্ধা! আপনি এমন একটি আমলের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন, যা হচ্ছে ইবাদতসমূহের মধ্যে অধিক নৈকট্যশীল, এবং সবচেয়ে বেশি গর্বের, সুতরাং আপনার নিজের নিয়তকে খালেস করুন। কেননা আল্লাহ্*র সাহায্য আসবে আপনার অন্তরের পবিত্রতার উপর নির্ভর করে। সুতরাং মহিমান্বিত আল্লাহ্*র কাছে আপনার আত্মাকে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে দিন, তিনিই উত্তম ক্রয়কারী।
“احفظ اللّه يحفظك احفظ اللّه تجده تجاهك إذا سألت فاسأل اللّه وإذا استعنت فاستعن باللّه واعلم أنّ الأمّة لو اجتمعت على أن ينفعوك بشىء لم ينفعوك إلاّ بشىء قد كتبه اللّه لك ولو اجتمعوا على أن يضرّوك بشىء لم يضرّوك إلاّ بشىء قد كتبه اللّه عليك”[أخرجه الترمذي].
“আল্লাহর আদেশগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা কর!, তিনি তোমাকে রক্ষা করবেন। আল্লাহর আদেশ রক্ষা কর, তাহলে তুমি তোমার সাথে তাঁকে পাবে। যদি তুমি কিছু চাও, তাহলে আল্লাহর কাছেই চাও! যদি তুমি সাহায্য চাও, তাহলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও, জেনে রেখো, যদি লোকেরা তোমাদের উপকারের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয় তবে তারা তোমাদের উপকারে আসবে না, তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যা নির্ধারিত করেছেন তা ব্যতীত। আর যদি তারা তোমার ক্ষতিসাধন করতে একত্রিত হয়, তাহলেও তোমাদের ক্ষতি করতে পারে না, তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যা নির্ধারিত করেছেন তা ছাড়া। (তিরমিযি শরীফ)”
সুতরাং আল্লাহ এর সাহায্য কামনা করুন, এবং দোদুল্যমান হবেন না! এভাবেই তাঁর কাছে প্রার্থনা করতে থাকুন, আশা ছেড়ে দেবেন না! আল্লাহর উপর ভরসা করুন, ভয় পাবেন না! কেননা তিনি আপনাদের জন্য যথেষ্ট হবেন এবং তিনিই সর্বোত্তম রক্ষাকর্তা।
আল্লাহকে ভয় করুন! তাঁকে ভয় করার মাধ্যমে মেনে চলুন এবং তাঁর অবাধ্যতা করবেন না! তাঁর প্রতি আনুগত্য এই দুনিয়া বিমুখীতা এবং তার পরকালের পুনরুত্থানের ব্যাপারে সচেতন করবে। তার অবাধ্যতা এর বিপরীত ফলাফল নিয়ে আসবে। আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে সর্বোত্তম প্রত্যাশাটি করুন, এবং তাঁর ব্যাপারে ভালো ধারণা রাখুন, তিনি আপনাদের জন্য ভাল চিন্তা করবেন।
নিজের হৃদয়কে ঈমান দ্বারা জাগ্রত করুন। দয়াময় প্রভুর কাছে মুনাজাতের অশ্রুর মাধ্যমে ঈমানকে সঞ্জীবিত করুন! আপনার জন্য আবশ্যক হল সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করবেন, কারণ এটি হচ্ছে সর্বোত্তম পাথেয়, যুদ্ধের সর্বোৎকৃষ্ট অস্ত্র এবং যুদ্ধের সবচেয়ে শক্তিশালী সরঞ্জাম। এটিকে আপনার গুনাহ এর বিরুদ্ধে পাহারাদার বানিয়ে নিন, এমনকি আপনি যেভাবে আপনার শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকেন তার থেকেও বেশী সতর্ক থাকুন, কেননা একজন যোদ্ধার তার শত্রুদের চেয়েও তার গুনাহ এর ভয় বেশী থাকা উচিত। আর মুসলমানগণ শত্রুদের উপর বিজয় লাভ করেন তাদের আল্লাহর অবাধ্যতার কারণে। যেমনটি হযরত উমর রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
قال عمر رضي الله عنه، فلن ننتصر عليهم بفضلنا، ولن نغلبهم بقوتنا، وإنما بقوة الله، وقوة الله مع المتقين.
“আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের কারণে আমরা তাদের উপর জয়ী হই না, না আমাদের শক্তির মাধ্যমে, বরং আমাদের খোদা ভীতির কারণে আল্লাহ্*র শক্তি দ্বারা বিজয় লাভ করি। আর আল্লাহ তাআলার শক্তি মুত্তাকীদের সাথে রয়েছে।”
{إن ينصركم اللّه فلا غالب لكم وإن يخذلكم فمن ذا الّذي ينصركم من بعده}[آل عمران: 160] “যদি আল্লাহ তোমাদের সহায়তা করেন, তাহলে কেউ তোমাদের উপর পরাক্রান্ত হতে পারবে না। আর যদি তিনি তোমাদের সাহায্য না করেন, তবে এমন কে আছে, যে তোমাদের সাহায্য করতে পারে? (সুরা আল ইমরান ৩:১৬০)”
সাফল্যের জন্য আপনার পালনকর্তার কাছে সাহায্য চান, এটি সাফল্যের গোপনীয়তা এবং তার শ্রেষ্ঠ সহচর। যেভাবে বায়ু দ্বারা মেঘ চলমান হয়, তেমনি বান্দারা আল্লাহর তাওফিকে চলমান হয় তথা বান্দার সাফল্য আসে। এবং যদি আল্লাহ আপনাকে সাফল্যের দিকে পরিচালিত করেন, তাহলে তিনি আপনাকে ব্যর্থ করবেন না।
ধৈর্য্যকে আপনার ঈমানের চূড়া বানিয়ে নিন, এবং আপনার মধ্যে আল্লাহ্*র উপর পূর্ণ আস্থা নিয়ে আসুন এবং মহান আল্লাহকে আপনার শক্তিবৃদ্ধির সহচর হিসেবে বানিয়ে নিন, স্মরণ করুন আল্লাহ্* তায়ালা কুরআনে কি বলছেন-
{فلمّا تراءى الجمعان قال أصحاب موسى إنّا لمدركون* قال كلّا إنّ معي ربّي سيهدين}[الشعراء: 61 – 63] “যখন উভয় দল পরস্পরকে দেখল, তখন মূসার সঙ্গীরা বলল, আমরা যে ধরা পড়ে গেলাম। মূসা বলল, কখনই নয়, আমার সাথে আছেন আমার পালনকর্তা। তিনি আমাকে পথ বলে দেবেন।
(সুরা শুয়ারা ২৬:৬১-৬২)”
আল্লাহ্*র স্মরণ করতে থাকুন প্রতিনিয়ত। আল্লাহ্* ছাড়া আমাদের কোন সাহায্য বা ক্ষমতা নেই।
বেরিয়ে পড়ুন আপনার দ্বীনের জন্যে, মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্যে, বেরিয়ে পড়ুন শামের শিশুদের জন্যে, ফিলিস্তিনের বিধবাদের জন্যে, আফগানিস্তানের এতিমদের জন্যে, এবং প্রবেশ করুন জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে।
আপনার উপর আবশ্যক হল ধৈর্য্য এবং ধীরতার অনুশীলন করবেন, কারণ এ দুটো গুণাবলীসমূহের মধ্য থেকে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের অধিক ভালোবাসাপূর্ণ গুণাবলী।
গোপনীয়তার সাথে আপনি আপনার লক্ষ্যে এগুতে থাকুন। আপনার কর্মের সর্বোচ্চ পরিপূর্ণতা নিয়ে আসুন। অনুশীলন করুন পরম যত্ন এবং সাবধানতার। এক্ষেত্রে আপনি ইন্সপায়ার ম্যাগাজিন থেকে যথাসম্ভব সাহায্য নিতে পারেন।
আপনাকে লক্ষ্য নির্ধারণে নিখুঁত হতে হবে, যাতে আপনি আপনার শত্রুকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেন। অস্ত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে পেশাদার হতে হবে। এটি প্রয়োজনীয় নয় যে তা একটি সামরিক সরঞ্জামই হতে হবে। আপনি যদি একটি আগ্নেয়াস্ত্র তুলতে পারেন খুবই ভালো, যদি তা না হয়, তবে আরো অনেক উপায় আছে।
আপনার পূর্বের শহীদ-অনুসারীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করুন এবং তাদের যেখানে শেষ হয়েছে আপনার যাত্রা সেখান থেকে শুরু করুন, কারণ এটি আপনাকে সাহায্য করবে। নিজেকে কখনোই তুচ্ছ মনে করবেন না এবং আপনার কাজকেও ছোট মনে করবেন না। দেখুন পশ্চিমারা কতগুলো অপারেশন পেশাদারীত্বের সাথে করেছে প্রাচ্যে(?)
সম্ভবত আপনি হিজরতের প্রত্যাশী। সম্ভবত আপনি যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে প্রত্যাশী। কিন্তু জেনে রাখুন, আপনার অবস্থান থেকে ইহুদি এবং ক্রুসেডারদের উপর আপনার একটি আক্রমণ আপনার শত্রুদের কাছে অনেক বেশি তীব্র এবং যন্ত্রণাদায়ক। এটা তাদের এজেন্টদের বিরুদ্ধে পরিচালিত শত টর্পেডোর আঘাতের চেয়েও তীক্ষ্ন একটি আঘাত। আপনার তৃষ্ণাকে বাড়িয়ে তুলুন এবং তাদেরকে ধ্বংস করার মাধ্যমে নিজের অন্তরকে সুস্থ রাখুন।

নিম্নলিখিত টার্গেটগুলোতে অগ্রাধিকার দিন:
প্রথমত: যারা আমাদের দ্বীনে হানিফের বিরুদ্ধে বা আমাদের প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) বিরুদ্ধে সীমালঙ্ঘন করবে তাদেরকে টার্গেট করুন।
অতঃপর প্রত্যেক জায়গায় ইহুদিদের স্বার্থসমূহে…
আপনি যদি এদের খুঁজে পেতে সক্ষম না হন, তবে আমেরিকান ক্রুসেডারদের টার্গেট করুন।
যদি আপনি আমেরিকান ক্রুসেডারদের কাছে যেতে না পারেন, ন্যাটো জোটের ক্রুসেডার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ কোথায় কোথায় আছে সেগুলোকে টার্গেট করুন। এবং যেহেতু রাশিয়া চেচনিয়া ও আফগানিস্তানের স্বাদ দ্রুতই ভুলে গিয়েছে এবং ইসলামের বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার জন্য আবার ফিরে এসেছে, তাই অগ্রাধিকারের লক্ষ্যমাত্রা থেকে তাদেরকেও বাদ দেয়া যাচ্ছে না। রাশিয়াকে আবার তার পূর্বপুরুষদের অবস্থার একটি নমুনা দেখিয়ে দিন।
আমি দৃঢ়ভাবে উপদেশ দিব যে আপনাদের অপারেশন কেন করেছেন তার সুস্পষ্ট বার্তা আপনি মিডিয়ার মধ্যে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করবেন। এটা একেবারে অপরিহার্য যে মানুষ আপনার অপারেশনের উদ্দেশ্য যেন জানতে পারে।
আল-কায়েদা থেকে আমরা পশ্চিমা দেশগুলোকে এই বার্তাটি পৌছে দিতে গুরুত্বারোপ করি এবং আপনাদেরও একই কাজ করতে পরামর্শ দিচ্ছিঃ
১। আমাদের ধর্ম এবং আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন “লাল সীমানা/ নিষিদ্ধ সীমানা।” যারা এই সীমানা অতিক্রম করতে চায় তারা “শার্লি এব্দো” এর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিক।
২। ফিলিস্তিন হচ্ছে এই উম্মাহ্*র ভিত্তি এবং যারাই দখলদার ইহুদীদের সমর্থন করবে; ইনশাআল্লাহ তারা কখনোই শান্তির স্বপ্নও দেখতে পারবে না।

৩। শাম (সিরিয়া) হচ্ছে এই উম্মাহ্*র ভিত্তি। আমাদের শামের জনগণ গণহত্যার মুখোমুখি হয়েছে এবং প্রত্যেক সেই ব্যক্তি যারা এই গণহত্যায় অংশগ্রহণ করেছে অথবা বাশার আল-আসাদ এবং তার সহযোগীদের সমর্থন করেছে তারা শাস্তি থেকে পালিয়ে বাঁচতে পারবে না।
৪। আমাদের ভূমিগুলোকে দখল করে নেয়া হয়েছে। পবিত্র ভূমি দুটিই দখল করে নেয়া হয়েছে। আমরা তোমাদের আক্রমণ করতে থাকব যতক্ষন না তোমরা আরব উপদ্বীপ এবং অন্যান্য মুসলিম ভূমিগুলো ছেড়ে যাও।
৫। তোমাদের বিমানগুলো আমাদের আকাশে সীমালঙ্ঘন করে থাকে যার বিষাক্ত গ্যাস আমাদের সন্তানদের উপর নিক্ষেপ করে। আর তাই আমরাও তোমাদের উপর একই ভাবে আক্রমণ করতে থাকব যতক্ষন তোমরা আমাদের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে থাকবে।
এই বার্তাগুলো অবশ্যই আমরা আমাদের অপারেশনসমূহের সাথে পৌঁছে দিবো।

একবার যখন তুমি তোমার টার্গেট ঠিক করে নিয়েছ, পর্যবেক্ষণের কাজে নেমে পড়। তোমার টার্গেট সম্পর্কে যতবেশি সম্ভব তথ্য সংগ্রহ কর এবং এই কাজের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য ওজর তৈরি রাখ। তোমার তথ্য সংগ্রহ যেন সামান্যতম সন্দেহেরও তৈরি না করে। এতে তুমি শত্রু দলের উপর নীরবে তোমার পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যেত পারবে এবং শত্রুর দুর্বলতা সম্পর্কে জানতে পারবে।
তোমার নিজের যত্ন নাও। অপারেশনের পূর্বে যথেষ্ট পরিমান বিশ্রাম নাও যাতে তোমার প্রচেষ্টা হয় সর্বোত্তম এবং তোমার সতর্কতা হয় সর্বোচ্চ, অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনা এবং নির্ঘুম রাত মাঠে একজন ব্যক্তির সক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যদি তোমাকে তোমার শত্রুদের পরাজিত করার সুযোগ দিয়ে থাকেন, তবে আকস্মিক আক্রমণের উপযুক্ত ব্যবহার কর।
এই নির্দেশনাগুলো পড়ে নিজেই নিশ্চিত হয়ে নাও, নিজেকে ধীর-স্থীর করে নাও। আল্লাহর কাছ থেকে উত্তমটাই আশা কর, কারণ তুমি হচ্ছ রহমানের সেনাবাহিনীর একজন সৈন্য; তুমি তার সাথে মিলিত হতে যাচ্ছ যিনি সর্ব শক্তিমান, দাতা। তিনি তোমাকে ওয়াদা দিয়েছেন জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান জান্নাতুল ফেরদাউসের, এবং দয়ালু রবের কাছে দয়া ছাড়া আর কি পুরষ্কার থাকতে পারে?
আল্লাহ্*র উপর তোমার আস্থা রাখ। তুমিই সত্য পথে আছ যদি তুমি শরীয়াহ্* মেনে চল। আল্লাহ্*র নামে আল্লাহ্*র রহমতে বেরিয়ে পড়, কারণ তাঁর (সুবহানাহু ওয়া তায়ালার) ইচ্ছায় তুমি হচ্ছো সফলকামদের মধ্যে একজন।
তোমার সৎকর্ম হচ্ছে আল্লাহর জন্য নিবেদিত এবং আল্লাহর কাছেই রয়েছে তোমার পুরষ্কার।
تجود بالنفس إن ضنّ البخيل بها *** والجود بالنفس أقصى غاية الجود
তোমার জীবনের ব্যাপারে উদার হও, যদিও কৃপণরা এই ব্যাপারে খুবই কৃপণ হয়ে থাকে।
*** কারও জন্য নিজের প্রাণ দেয়া হচ্ছে উদারতার চরম পরাকাষ্ঠা।
আল্লাহ তোমার সাথে থাকুন, সাহায্য করুন, পথ দেখান এবং তোমাকে বিজয় দান করুন, কারণ তিনি হচ্ছেন তোমার সাহায্যকারী এবং তার কাছেই সাহায্য চাওয়া হয়।
জান্নাতে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
وآخر دعوانا أن الحمد لله ربّ العالمين
এবং আমাদের সর্বশেষ দুয়া হচ্ছে, সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার জন্য।

পরিবেশনায়:
আন নাসর

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − seven =

Back to top button