ধর্ষণের পর হত্যা ছাত্রলীগের নিত্যদিনের কাজ।
ধর্ষণের পর হত্যা করা এটা গনতান্ত্রিক সংবিধানে তেমন কোন বড় অপরাধ নয়, এবং দুর্লভ কোন অপরাধও নয় আর তা যদি করতে পারে ক্ষমতাসীন দলের কেহ, তাহলে তা পুরষ্কারযোগ্য প্রশংসনীয় কাজ, তাদের নিরাপত্তা সরকার নিজেই নিশ্চিৎ করবে, কারণ বর্তমান সমাজে দ্বীনদ্বার মুসলিমগণ এখনো এই কাজটিকে মারাত্মক অপরাধ মনে করে, যদি এই সকল অপরাধীরা সমাজে স্বাভাবিক চলাফেরা করে, তাহলে তাদেরকে এই দ্বীনদ্বার যুব সমাজ হয়তো কোন ক্ষতি করতে পারে, আবার তাদেরকে সরকার সরাসরি নিরাপত্যা দিলেও সমঝদ্বার মানুষ সরকারের বিপক্ষে চলে যেতে পারে, তাই তাদেরকে গ্রেফতারীর নাম দেখিয়ে রাজকীয় নিরাপত্যা দেওয়া হয়, বাংলাদেশের জনগণ সাক্ষি আছে যে, অতিতে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের দ্বারা কি পরিমান ধর্ষন এবং ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু কয়জনের বিচার হয়েছে? কি আর বলবো, যারা বিচার করবে তারাইতো আজ ধর্ষণের মত অপরাধ করছে, যারা অপরাধগুলো দমনে কাজ করবে, তারাইতো আপরাধে লিপ্ত হয়ে আছে।
আমরা ইতি পুর্বে ছাত্রলীগের এক সোনার ছেলের হাতে খাদিজা নামক বোনকে হত্যা চেষ্টার ঘটনা শুনেছি, যা শোস্যাল মিডিয়ার কল্যানে আশাকরি সবার কানেই পোছেছে, এমন ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে যাচ্ছে, এবং খবর নিলে দেখা যায় এসব কাজে বেশির ভাগ সময়েই ছাত্রলীগ জাড়িত, কারণ, ছাত্রলীগ হত্যা ধর্ষণ এসব কাজ করলে তাদের কোন বিচার হয়না, তাদের জন্য এগুলো কোন অপরাধও নয়,
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১০ আগষ্ট বরগুনা, পাথরঘাটা কলেজের পশ্চিম পাশের পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর গলিত লাশ পাওয়া গেছে, ঘটনার পর থেকে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে তদন্তে লেগে থাকে বলে জানিয়েছে পুলিশ, তবে পুলিশের তদন্তে এত সময় লাগার ব্যপারে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে পরে তথ্য পেয়ে গত শুক্রবার পাথরঘাটা কলেজের নৈশ প্রহরী মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে গভীর রাতে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। জাহাঙ্গীরের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গত শনিবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদ ও রায়হানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এখনও পর্যন্ত নিহত তরুণীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে রবিবার গ্রেফতারকৃত দানিয়াল এবং সাদ্দামকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তরুনীর পরিচয় পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে মাহমুদ এবং রায়হান এ হত্যাকান্ড এবং হত্যাকান্ডের পর লাশ পুকুরে লুকানোর সাথে সম্পৃক্ত ছিলো বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলেও পুলিশ জানায়। কিন্তু এমন বড় অপরাধে যেহেতু ছাত্রলীগ ধরা পড়েছে, তো তাদের বিচার ঠিকমত হবে কিনা এনিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে। নাকি তাদেরকে বার্তি নিরাপত্যা দেওয়ার গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, আর এসব তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদ লোকদেখানো কিনা এনিয়েও অনেক প্রশ্ন থেকে যায়।