আন-নাসর মিডিয়াআর্কাইভজামাআত কায়েদাতুল জিহাদতানজীমনির্বাচিতপাকিস্তান আর্কাইভবার্তা ও বিবৃতিবার্তা ও বিবৃতি [আন নাসর]মিডিয়া

প্রেস রিলিজ || কারাবন্দী মুজাহিদ আলেম শাইখ সুফি মুহাম্মদ আস-সোয়াতী (রহ.) এর ইন্তেকালে প্রশংসা ও শোকগাঁথাময় বিবৃতি

بسم الله الرحمن الرحيم
مؤسسة النصر
تقدم
الترجمة البنغالية : بيان من القيادة العامة : بيان تأبين وعزاء
في وفاة العالم المجاهد الأسير: صوفي محمد السواتي – تقبله الله


আল-কায়েদা || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
কারাবন্দী মুজাহিদ আলেম শাইখ সুফি মুহাম্মদ আস-সোয়াতী (রহ.) এর ইন্তেকালে প্রশংসা ও শোকগাঁথাময় বিবৃতি
[বাংলা অনুবাদ]

প্রেস রিলিজ || কারাবন্দী মুজাহিদ আলেম শাইখ সুফি মুহাম্মদ আস-সোয়াতী (রহ.) এর ইন্তেকালে প্রশংসা ও শোকগাঁথাময় বিবৃতি

للمشاهدة المباشرة والتحميل
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading

https://justpaste.it/SwatiBangla
https://pastethis.to/SwatiBangla
https://mediagram.me/SwatiBangla

ডাউনলোড করুন

PDF (بي دي اف)
https://banglafiles.net/index.php/s/3aGwX9c2bDQiJFj
https://www.file-upload.com/05b7mg5yvnjv

Word (وورد)
https://banglafiles.net/index.php/s/aKLzQnM2f9EwbqL
https://www.file-upload.com/qgsftz8xmk7e

Image 1
https://banglafiles.net/index.php/s/d8743SdaRHDdKnR
https://www.file-upload.com/xa2qcujr36w0

Image 2
https://banglafiles.net/index.php/s/5gRNbXrpqsxjdss
https://www.file-upload.com/l8fsmqkgoqb7

Image 3
https://banglafiles.net/index.php/s/y7cRTNyXzEPjZ53
https://www.file-upload.com/dfrwc7k6viqs

————-
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ বাংলাদেশ শাখা
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]

————————-

বেশ কয়েকদিন আগে আমাদের বর্তমান ইতিহাসের শুভ্র স্বচ্ছ প্রদীপ্ত কিছু পাতা ভাঁজ করে রাখা হয়। এ পাতাগুলোর একটি ছিল ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে জিহাদ করার আমলে পূর্ণ। এ পাতাগুলোতে এমন এক মহাপুরুষের জীবনকাহিনীতে ভরপুর ছিল, যিনি জীবনভর ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য মর্যাদাবান আমলে নিয়োজিত ছিলেন। দ্বীন ও ইসলামের অনুসরণে যার জীবনের সাথে অন্য কারো তুলনা হয় না। তিনি হলেন, আমাদের শাইখ মুজাহিদ সুফি মুহাম্মদ আস সোয়াতি [আল্লাহ তাকে কবুল করে নিন]। তিনি পাকিস্তানের পেশোয়ারে জালিমের কারাগারে মুত্যুবরণ করেছেন। আমরা ধারণা করি যে, তিনি ধৈর্য ও একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশাবাদী ছিলেন। কারণ বন্দিত্ব সত্ত্বেও তাঁর হৃদয়াত্মা, অনুভুতিশক্তি সর্বদা মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার জিহাদকেই লালন করতো। পেছনে পড়ে থাকা হীনমনোভাব ও দূর্বল প্রকৃতির লোকদের মতো তিনি বিছনায় পড়ে থেকে মৃত্যুবরণ করেননি। বরং তিনি ছিলেন আদর্শের উপর অবিচল। হক্বের আওয়াজ বুলন্দকারী। তাগুত পাকিস্তানি প্রশাসন কর্তৃক তাঁর বড় ছেলেকে শহীদ করা, পাকিস্তানি তালেবানের কমান্ডার ও তাঁর জামাতা মাওলানা ফজলুল্লাহ আস-সোয়াতী (রহ.) কে মার্কিন বাহিনী কর্তৃক শহীদ করা তাকে কোনভাবেই বিচলিত করেনি। পাকিস্তানি তাগুত বাহিনীর প্রতি তাঁর মন এতটাই কঠোর ও মজবুত ছিলো যে, তিনি তাদের প্রতি কোন কোমল কথাও বলেননি এবং তাদের কাছ থেকে কোন প্রকার দয়াও কামনা করেননি। অবশেষে তিনি ৯ই জিলক্বদ রোজ বৃহস্পতিবারে ৯৫ বছর বয়সে ইহকাল ত্যাগ করে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তাঁর জানাযায় পাকিস্তানের হাজার হাজার মুসলমান অংশগ্রহণ করেছিলেন। শাইখ সুফি মুহাম্মদ আস-সোয়াতী (রহ.) এর উপর আল্লাহ তাআলার অবিরত রহমত বর্ষিত হোক। আজ আমরা তাঁর বিচ্ছেদ যন্ত্রণায় বড়ই কাতর। আর নিশ্চয়ই আমরা সকলেই আল্লাহর জন্য এবং সকলে তাঁর নিকটেই প্রত্যাবর্তন করবো।

শাইখ মুহাম্মদ সুফি (রহ.) ১৪০২ হিজরীতে পাকিস্তানে “জমিয়তে নেফাজে শরীয়তে মুহাম্মাদিয়া” প্রতিষ্ঠা করেন। অতঃপর তিনি আলেমদের সাথে নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং তিনি সমগ্র পাকিস্তানে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর সর্বশক্তি ব্যয় করে সকলকে আহ্বান করেছেন। অবশেষে ১৪১৬ হিজরীতে তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর ১৪২১ হিজরীতে যখন ইমারাতে ইসলামিয়াকে ধ্বংস করার জন্য আমেরিকা আফগানিস্তানে চূড়ান্ত আক্রমণ করে, তখন শাইখ সুফি মুহাম্মদ (রহ.) পাকিস্তানের প্রত্যেক সক্ষম লোকদের আফগানিস্তানে জিহাদের আহ্বান জানিয়ে, জিহাদের ফারজিয়াত ঘোষণা করে ও আবশ্যকীয় দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে শাইখ নিজেই তাঁর সাথে নিজের প্রায় ১৫০০০ স্বশস্ত্র যোদ্ধা ছাত্রকে নিয়ে আফগানিস্তানের কানজ ও মাজার-ই-শরীফ এলাকায় যুদ্ধ করার জন্য বেড়িয়ে পড়েন। আর তিনি যেমনি স্বশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতেন, তেমনি তাঁর জবানও সর্বদা জিহাদের দাওয়াত দিয়ে যেত। তাই ক্রুসেডারদের গোলাম পাকিস্তানী বাহিনীর কাছে বারবার বন্দিত্বের শিকার হন তিনি। সর্বশেষ ১৪২৮ হিজরীতে বন্দী হয়ে কারাগারে অন্তরীণ হন। তাঁকে এ পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য ও নমনীয়তা দেখাবার জন্য তাগুতগোষ্ঠী তাঁকে বিভিন্ন অফার করেছিলো। কিন্তু তিনি তাদের এই ফাঁদে পা দেননি। বরং তিনি যেমনিভাবে আফগানিস্তানের জিহাদকে শক্তিশালী করেছেন, তেমনিভাবে পাকিস্তানের জিহাদকেও আরো শক্তিশালী করতে লাগলেন। তিনি স্বীয় জামাতা শাইখ ফজলুল্লাহ আস-সোয়াতী রহ. এর কাঁধে জিহাদের নেতৃত্ব তুলে দেন। এবং জিহাদ চালিয়ে যাওয়ার জোর তাগিদ দেন। পাশাপাশি তিনি তাকে এই নির্দেশনাও দেন যে, তিনি যেন সোয়াত এবং তার পার্শ্ববর্তী পশতুন এলাকাগুলোতে পাকিস্তানি জেনারেল ও সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকেন।

তিনি এমনি একজন মহান ব্যক্তি ছিলেন যে, কারাগারে থেকেও তিনি পাকিস্তানের জিহাদকে তাঁর দিকনির্দেশনায় এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর পরামর্শে পাকিস্তানের মুজাহিদগণ তাদের পথচলাকে আরো বিশুদ্ধ, বেগবান ও সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর বিয়োগ ব্যাথায় দুঃখিত হওয়া পর্যন্ত তিনি এ মহান কাজ করে গেছেন। তাঁর বিয়োগে আমরা এবং মুজাহিদরা অনেক সংকটে পড়ে গেলাম। তাঁর বিচ্ছেদে আমাদের এবং বিশেষ করে পাকিস্তানের মুজাহিদরা খুবই দুঃখিত, ব্যথিত। তাঁর ইন্তেকালে আজ আহলে হক ক্রন্দনরত, কারণ আমরা হারিয়েছে একজন বীরকে। যিনি শরীয়াহকে বাস্তবায়ন করার আশায় মরিয়া ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালে জিহাদপ্রেমীরা আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত। কারণ একজন যোদ্ধা আলেমকে তারা হারিয়েছে চিরতরে। তিনি সর্বদা তাঁর সেই প্রসিদ্ধ উক্তি উচ্চারণ করতেন, “হয়তো শরীয়াহ নয়তো শাহাদাহ”। বড়দের এমন বীরত্বমাখা কথায় উম্মাহর অন্তর ইজ্জত ও হিকমতে ভরে ওঠে; যুবকদের হৃদয়গুলো সাহস ও দৃঢ়তায় পরিপূর্ণ হয়।

তাঁর বিয়োগে আমাদের এবং বিশেষ করে পাকিস্তানের মুজাহিদদের হৃদয়গুলো, এ বিয়োগ ব্যাথায় দুঃখের অগ্নিশিখা প্রজ্জ্বলিত। কারণ আমরা হারিয়েছি বর্তমান সময়ের একজন শ্রেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিত্বকে। তিনি ছিলেন সেই মহাপুরুষদের একজন, যারা ইসলামী ইজ্জত, সম্মান, নেতৃত্ব ও আত্মমর্যাবোধের বৈশিষ্ট্যের কথা বুলন্দ আওয়াজে উম্মাহকে স্মরণ করে দিয়েছেন। আর সে বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি হচ্ছে, ধৈর্য্য, দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি, উচ্চ মনোবলের ঢাল সাথে নিয়ে মৃত্যু, বন্দিত্ব ও বিপদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা।

তিনি ছিলেন একজন গাজী ও সংশোধনকারী। হক্বের পথে চলতে গিয়ে তিনি কোন তিরষ্কার বা জুলুমকে ভয় করতেন না। তাইতো তিনি সাম্যাজ্যবাদী শক্তির গোলামদের জুলম-অবিচার থেকে দূরে এবং লাঞ্ছনা-অপদস্থতায় পর্যদুস্তদের বর্জন করে হিজরত করেছেন, দূরে চলে গেছেন এবং পৃথিবীতে কল্যাণের চেষ্টা করেছেন।

সত্যিই! একজন বিদগ্ধ আলেম, সত্যনিষ্ঠ দাঈ ও মুজাহিদের ইন্তেকাল ইসলামের জন্য এক বড় ঘাটতি। যে বিয়োগ-ব্যাথা সমগ্র উম্মাহকে দুঃখ-কষ্টে ভাসিয়ে দেয়। কারণ, তাঁরা ছিলেন দ্বীনের প্রতি দরদী, ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে দ্বীনের প্রহরী, দ্বীনের ব্যাপারে কুৎসা রটনা ও দ্বীনের কোন বিষয়কে পরিবর্তনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী।

আমরা শাইখ সুফি মুহাম্মদ আস-সোয়াতী (রহ.) এর ইন্তেকালে যেমন ব্যাথিত, তেমনি শাইখ মুহাদ্দিস নুরুল হুদা আস-সোয়াতী (রহ.) এবং আল্লামা মুফাসসির মুজাহিদ গোলাম হাবীব (রহ.) এর ইন্তোকালেও দুঃখ ভারাক্রান্ত।

আফগান মুজাহিদদের দিক-নির্দেশনায় এ দুজন মহান ব্যক্তির অনেক প্রভাব আছে। যেটি জিহাদের সবচে বড় মাদরাসায় রূপ নিয়েছে। যেখানে এসে বড় বড় জ্ঞানী, রব্বানী আলেম একত্রিত হয়েছেন। যারা জিহাদী আন্দোলনের দিক নির্দেশনা দেন, মুজাহিদদের চলার পথে যাবতীয় বিষয়ে পরামর্শ দেন। যেন ইসলামী শরীয়াহ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য হাসিল হয় এবং মুজাহিদগণ মাকাসিদে শরীয়াহর উপযোগী পথ চলতে পারেন। আফগানিস্তানের পাশাপাশি পাকিস্তানে ইসলামী শরীয়াহ বাস্তবায়নের জন্য এ আন্দোলনে এই দুজন ব্যক্তির অনেক সুপ্রভাব রয়েছে। মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে, দুঃখ কষ্টের যাতাকল থেকে সুখ আনন্দের দিকে আনার জন্য, মন্দ ও গর্হিত কাজ থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য তাঁরা সর্বদা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। ইসলামী আন্দোলনকে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা থেকে মুক্ত রাখার জন্য তাঁরা খুবই পরিশ্রম করেছেন। যুবকদের অন্তরে উত্তম চরিত্রের বীজ বপন করে দিতেন তাঁরা। যুবকদের পথভ্রষ্ঠ ও বাতিল গোষ্ঠীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই দুজন মানুষ যথাসাধ্য কষ্ট করে গেছেন। তাঁরা সীমালঙ্ঘনকারী তাগুতদের প্রতিহতকরণের মাঝে বসবাস করেও সব সময় ইসলামকে সমুন্নত করা ও সত্য প্রচার-প্রসারের মানসিকতা লালন করতেন। আমরা তাদের সাথেই ছিলাম। সবসময় তাদের কোরআন ও সুন্নাহর গাইরতের মাঝে দেখেছি। মুজাহিদদের ইলমুত তাফসির ও ইলমুল হাদিস শিক্ষা দেওয়ার প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন তারা।

আরব দেশগুলোর অনেক আলেম ও দাঈরা, ভারত উপমহাদেশ ও মা-ওরাউন নাহর অঞ্চলে অবস্থানরত তাদের মুসলিম ভাই ও আলেমদের কথা ভুলে গেছে যে, এতদঅঞ্চলের আলেমদের খবরা-খবর, ইলমী ও দাওয়াতী প্রকাশনার খবরই রাখে না, তো তাদের এসকল আলেমদের বন্দী জীবনে সত্যের উপরে অটল-অবিচলতার এবং আফগান ও পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মুজাহিদদের প্রতি তাদের চূড়ান্ত সাহায্যের খবরা-খবর রাখা তো পরের কথা!

তাই আমাদের কর্তব্য হলো, মানুষের কাছে এই বীরদের অবদানকে প্রচার করা। যেন তারা জানতে পারে যে, যে দ্বীনের সাহায্য করার বিষয়ে অনেকেই এখন বিস্মৃত-গাফেল হয়ে আছে। সে দ্বীনের জন্য এখনো এমন লোক আছে, যারা দ্বীনকে সাহায্য করে, শক্তিশালী করে। মানুষ যেন জানতে পারে যে, এখনো এমন কিছু রব্বানী আলেম আছেন, যারা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

আল্লাহ তাআলা আমাদের বিদগ্ধ পূণ্যময় আলেমদের তাঁর রহমত ও বরকতে পরিপূর্ণ করুন, তাঁদের কবরগুলোকে প্রশস্ত করুন, প্রশান্তিতে রাখুন। তাদের উপর রহমতের বারিধারা বর্ষণ করুন। তাদেরকে আপন মাগফিরাতের ছায়ায় ঢেকে নিন। একমাত্র তিনিই করতে পারেন এসব। একমাত্র তিনিই সক্ষম এসব করতে।

واخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين

জিলক্বদ ১৪৪০ হিজরী

জুলাই ২০১৯ হিজরী

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + 15 =

Back to top button