জীবনের সফলতা (SUCCESS in Life)
As-Sahab Media Presents
আস-সাহাব মিডিয়া পরিবেশিত
ব্যানার
https://banglafiles.net/index.php/s/9yaaq8kXXxb7be3
الفوز في الحياة
SUCCESS in Life
জীবনের সফলতা
লো কোয়ালিটি ভিডিও ডাউনলোড করুন [৭৫.৭ মেগাবাইট]
অতি লো কোয়ালিটি ভিডিও ডাউনলোড করুন [১০.৫ মেগাবাইট]
আরো ডাউনলোড করুন।
ভিডিও ডাউনলোড করুন [৩১১ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/Hp8ziGLXmnA3d3B
http://www.mediafire.com/file/k1g9c5jcdvgd1rz/L0.mp4/file
https://archive.org/download/update3_cock_L0/L0.mp4
মিডিয়াম কোয়ালিটি ভিডিও ডাউনলোড করুন [২৮১.০ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/LwwwbjZ4kfXeAKm
http://www.mediafire.com/file/mwyu0ydycorcijf/L01.mp4/file
https://archive.org/download/update2_cock_L01/L01.mp4
লো কোয়ালিটি ভিডিও ডাউনলোড করুন [৭৫.৭ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/DxrdKxyQLK2ZFWc
http://www.mediafire.com/file/6134822zj0q947c/L2.mp4/file
https://archive.org/download/update2_cock_L01/L2.mp4
অতি লো কোয়ালিটি ভিডিও ডাউনলোড করুন [১০.৫ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/CQyikr3q8mmiirk
http://www.mediafire.com/file/8wi6k06chef454t/L3.3gp/file
https://archive.org/download/L3.3gp/L3.3gp
————————
[লিখিত রূপ]
الفوز في الحياة
SUCCESS in Life
জীবনের সফলতা
সতর্কতা!
আমরা আমাদের ভিডিও বাদ্যযন্ত্রের সাথে চালানোর অনুমতি দেই না।
পরিবেশনায়
আস-সাহাব উপমহাদেশ
যিল কায়দা, ১৪৩৬ হিঃ
শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ:
“আখেরী নবী এবং রসূল صلى الله عليه وسلم এই স্তরের জন্য ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। কাজেই ওই স্তরের ব্যাপারে জানুন ও গভীরভাবে চিন্তা করুন যার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ মানব صلى الله عليه و سلم প্রত্যাশ করেছেন। তিনি শহীদ হতে চেয়েছিলেন!
সেই মহান সত্তার কসম যাঁর হাতে মুহাম্মাদ صلى الله عليه و سلم এর জীবন আছে! আমার আন্তরিক ইচ্ছা যে, আমি আল্লাহর পথে লড়াই করি এবং শহীদ হই অতঃপর আবার (জীবিত হয়ে) লড়াই করি, শাহাদাত বরণ করি। অতঃপর আবার (পুনর্জীবিত হয়ে) যুদ্ধ করি, শাহাদাত বরণ করি। এই দীর্ঘ জীবনের মূল আকাঙ্খা এটাই যা আসমান জমিনের প্রতিপালক তাকে ওহী করে জানিয়েছেন। আল্লাহর নবী صلى الله عليه و سلم এই ইচ্ছাই পোষণ করেছেন, যার সার-সংক্ষেপ এই কথার মাধ্যমে ফুঁটে উঠেছে। এই স্তরের জন্য ইচ্ছা পোষণ করেছেন। সেই সফলকাম হবে, যাকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন”।
শহীদ আশিকুর রহমান রহিমাহুল্লাহ:
“আজকের জিহাদ ফরজে আইন। আমার বাসায় বসে থাকা আমার পক্ষে আর সম্ভব ছিল না, যখন আমি জিহাদের ময়দান থেকে ডাক পেয়েছিলাম। কাল কিয়ামতের ময়দানে যখন আল্লাহ আমাকে এটার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, সেটা নিয়ে আমি ভীত ছিলাম। আল্লাহর কাছে আমি আমার জান এবং মাল বিক্রয় করে দিয়েছি। আল্লাহর কাছে আমি আশা করি যে, আমি মৃত্যুর পরে এই ব্যবসার প্রতিফল পাব। আমার হিজরতের পথে আমি যত পেরেছি আমার পায়ে সর্বাধিক হিজরতের ধুলো মেখেছি, যাতে জাহান্নামের আগুন আমার শরীরের সাথে একত্রিত না হয় !!!”
আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু
الفوز في الحياة
SUCCESS in Life
জীবনের সফলতা
সতর্কতা!
আমরা আমাদের ভিডিও বাদ্যযন্ত্রের সাথে চালানোর অনুমতি দেই না।
পরিবেশনায়
আস-সাহাব উপমহাদেশ
যিল কায়দা, ১৪৩৬ হিঃ
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم.
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ.
وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَشْرِى نَفْسَهُ ٱبْتِغَآءَ مَرْضَاتِ ٱللَّهِ ۗ وَٱللَّهُ رَءُوفٌۢ بِٱلْعِبَادِ
পক্ষান্তরে কোন কোন লোক এরূপ আছে, যে আল্লাহর পরিতুষ্টি সাধনের জন্যে স্বীয় আত্মা বিক্রয় করে এবং আল্লাহ হচ্ছেন সমস্ত বান্দার প্রতি স্নেহপরায়ণ। সূরা বাকারাহ্: ২০৭
ধারাভাষ্যকার:
উপমহাদেশে ইসলামী হুকুমত পতনের পর মুসলিম উম্মতের রক্তের কোন মূল্যই থাকল না। অত্যাচার, জুলুম ও নির্যাতনের এ ধারায় দুইশ বছর বৃটিশদের গোলামী করতে হল। তার ই ধারাবাহিকতায় আজকের সারা বিশ্বে মুসলিম ও অমুসলিমদের শোষণের রাজত্ব করছে সন্ত্রাসী আমেরিকা।
আমেরিকার অত্যাচার আজ দুনিয়ার প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। জঙ্গি দমনের নাম করে মুসলমানদের উপর জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা নেই। গোয়ান্তানামবে, বাগরামে শুধুমাত্র পুরুষদের-ই নির্যাতন করছে না বরং উম্মতের মেয়ে ড. আফিয়া সিদ্দিকির সাথেও যা করা হয়েছে, তা ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়।
আমেরিকার এই জুলুমের বিষয়গুলো আশিকুর রহমানের কাছে পরিষ্কার ছিল। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, বর্তমানে মুসলমানদের প্রধান শত্রু হচ্ছে আমেরিকা। তিনি আরো বুঝতে পেরেছিলেন, সারা দুনিয়ার জন্য যেমনি আমেরিকা কুফরের হোতা তেমনি উপমহাদেশের জন্য ভারত হচ্ছে মুসলমানদের উপর জুলুমের নেতা।
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ:
“এই সেই বাংলাদেশ যা স্বাধীনতা অর্জনের দাবীতে পাকিস্তান থেকে পৃথক হয়েছিল, আজ সেই বাংলাদেশ ভারতের বশীভূত তুচ্ছ দাস রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ইসলামের চিহ্ন মিটিয়ে দেবার জন্য ইসলাম ও এর সম্মানিত নবী صلى الله عليه و سلم এর বিরুদ্ধে যত ধরণের কৌশল করা হচ্ছে তার সবগুলোই এই দেশে ভারতের প্রতি নতজানুতারই বহিঃপ্রকাশ।
বাংলাদেশে আজ যা ঘটে চলেছে, তা ভারত ও আমেরিকার যৌথ মদদেই ঘটছে, কেননা ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নীতিতে তারা পরস্পর ঐক্যবদ্ধ। আর এ কারণেই তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক দিনে দিনে মজবুত হচ্ছে। এই তিক্ত সত্য সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে, যাতে দূর্ভাগ্য, অপমান ও পরাধীনতা থেকে নিজেদের মুক্তির পথে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি”।
ধারাভাষ্যকার:
মুসলমানদেরকে জুলুম থেকে উদ্ধার করা, জালেমদেরকে নিজের হাত দ্বারা শাস্তি দেয়া এবং দ্বীনের প্রতি ভালবাসার জন্য হাজী শরীয়তুল্লাহ ও শহীদ তিতুমীর রাহিমাহুমাল্লাহ এর মত যেসব বাঙ্গালী ভায়েরা সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন, তাদের মধ্যে আশিকুর রহমান একজন। বর্তমানের ফরজে আইন জিহাদে তিনি উলামাদের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন।
শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ:
ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পেয়েছি চার ইমাম সেই সাথে আলেমগণ, তাফসীরকারকগণ এবং মুহাদ্দিসগণ – আফগানিস্তান ও ফিলিস্তিনের পরিস্থিতিতে- এই ফতোয়া দিয়েছেন যে, জিহাদ ফারদুল আইন (ব্যক্তিগত দ্বায়িত্ব) দায়িত্ব হয়ে যায়। অর্থাৎ মুসলিম অধ্যুষিত ভূমির এক বিঘত পরিমাণ জায়গাও যদি কাফেররা দখল করে নেয়, তবে জিহাদ ফারদুল আইন হয়ে যায় সে এলাকার মুসলিম নর-নারীর ওপর।
সেক্ষেত্রে পিতার অনুমতি ব্যতীত সন্তান জিহাদের জন্য বেরিয়ে পড়বে, তেমনি দাস তার মনিবের অনুমতি ছাড়া, ঋণগ্রহিতা ঋণদাতার অনুমতি ছাড়া বেরিয়ে পড়বে। যদি সেই অঞ্চলের লোকেরা কাফেরদের প্রতিহত করতে অপরাগ হয় অথবা অবহেলা করে বা অলসতা দেখায় বা জিহাদ করা থেকে হাত গুটিয়ে নেয়, তবে আশেপাশের অঞ্চলের লোকদের উপর দায়িত্বের পরিধি বৃত্তাকারে বাড়তে থাকবে। যদি তারাও অবহেলা করে বা অলসতা দেখায় বা হাত গুটিয়ে নেয়, তবে দায়িত্বের পরিধি বাড়তে বাড়তে পুরো পৃথিবীর মুসলমানদের উপর ফারদুল আইনের এই গুরু দায়িত্ব ছড়িয়ে পড়বে”।
ধারাভাষ্যকার:
মুসলমানদের উপর আমেরিকা ও ভারতের জুলুম দেখে আশিকুর রহমান আর ঘরে বসে থাকতে পারলেন না। গাড়ি, বাড়ি ও অর্থ-সম্পদ ছেড়ে কাফেরদের আগ্রাসন থেকে মুসলমানদেরকে বাঁচাতে পাড়ি দেন আফগানিস্তানের ভূমিতে। সেখানে তিনি অনেক বাধা-বিঘ্ন পথ পাড়ি দিয়ে হাজির হয়েছিলেন।
শহীদ আশিকুর রহমান রহিমাহুল্লাহ:
“প্রিয় ভাইয়েরা, আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আমাকে সুদূর বাংলাদেশ থেকে এখানে আসার তাওফিক্ব দান করেছেন, রিবাতের ভূমিতে আসার হিজরত করার তাওফিক্ব দান করেছেন। এজন্য আল্লাহর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আল্লাহ আমাকে সেই সম্মান দিয়েছেন যেটার যোগ্য আমি না। আল্লাহর কাছে চাইলে যে পাওয়া যায় সেটা আমি এখানে এসে বুঝতে পেরেছি।
হিজরতের আগে আমি কখনও ধারণাও করিনি যে আমি রিবাতের ভূমিতে হাঁটবো, রিবাতের ভূমিতে কখনও পাহাড়া দিবো, রিবাতের ভূমিতে চলাফেরা করবো, অস্ত্র হাতে কুফ্ফাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাবো। আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাকে সেই সম্মান, সেই সুযোগ দান করেছেন।
আল্লাহর কাছে দোয়া করলে আল্লাহ দিবেন এবং আল্লাহর কাছে যমীন সংকীর্ণ। আমি আল্লাহর কাছে সব সময় দোয়া করতাম “আল্লাহ! যমীন আপনার। বাংলাদেশ থেকে আমি জিহাদের ভূমিতে কীভাবে যাবো এটা আমি জানি না। যত বড় রাস্তাই হউক আপনি আমার জন্য সংকীর্ণ করে দেন। যত বড় রাস্তা হউক আপনি আমার জন্য ছোট করে দেন। আমার জন্য দুনিয়াকে প্রশস্ত করে দেন, জিহাদের ভূমিকে আমার জন্য Available করে দেন।”
আলহামদুলিল্লাহ । আল্লাহ আমাকে সেই তাওফিক্ব দান করেছেন। আমার জন্য দোয়া করবেন, আমার শাহাদাতের জন্য দোয়া করবেন, আপনাদের দোয়ায় আমাকে সবসময় মনে রাখবেন, আমি আপনাদের দোয়ার মুখাপেক্ষী। আল্লাহর কাছে আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি এখলাসের সাথে এবং সঠিক ভাবে, সুন্দর অবস্থায় শাহাদাত পেতে পারি”।
ধারাভাষ্যকার:
পিতা-মাতার প্রতি ভালবাসা ও দায়িত্ববোধ থাকা সত্ত্বেও উম্মতকে দূরবস্থা থেকে উদ্ধার করা এবং আল্লাহর আদেশ পালন করার জন্য বর্তমান ফারদুল আইন জিহাদে যোগদান করেন ।
শহীদ আশিকুর রহমান রহিমাহুল্লাহ:
“আমি আমার পরিবার-পরিজনকে ছেড়ে এসেছি, আমার বাবা-মাকে ছেড়ে এসেছি, আমার সন্তান-স্ত্রীকে ছেড়ে এসেছি। অবশ্যই এটা খুব কঠিন একটি কাজ। আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালা আমার জন্য সহজ করে দিয়েছে।
কিন্তু আমি যখন চিন্তা করি, আমি দেশে থাকলে তার জন্য কি করতে পারতাম, আর এখানে থেকে তাদের জন্য কি করতে পারবো? আমার বাবা-মাকে আমি দেশে থাকলে আমি কতটুকু সেবা করতাম বা করেছি? এখানে এসে যখন আমি চিন্তা করি এখানে যদি আল্লাহ আমাকে কবুল করে নেন শাহাদাতের জন্য তবে কাল কিয়ামতের ময়দানে আমার বাবা-মাকে অসীম মর্যাদা দান করা হবে সেই কিয়ামতের ময়দানের কঠিন পরিস্থিতিতে যদি আমি আমার বাবা-মার খেদমত করতে পারি, তবে সেটাই তো সবচেয়ে বড় খেদমত।
আর আমি আমার স্ত্রী-সন্তানকে আল্লাহর হেফাজতে রেখে এসেছি। আল্লাহর হেফাজতের চেয়ে আর বড় হেফাজতকারী কে আছে?”
ফায়ারিং করার পর আশিকুর রহমাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে : বলেন ভাই ফায়ার করার অনুভূতি কি?
উত্তর: “আলহামদুলিল্লাহ। লা হাওলা ওয়া লা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। খুবই ভাল লাগল। ইনশাআল্লাহ, কুফ্ফারদের মারতে পারলে আরো ভালো লাগবে।
বিশেষ করে আমাদের এক ভাই আগেই শহীদ হয়েছিলেন। টুটুল ভাই। উনার কথা আমার সবসময় মনে পড়ত। বিশেষ করে যখন আমি দীর্ঘ সময় বাসে থাকতাম অফিস যাওয়ার জন্য মনে হইত যিল্লতের লাইফ, টুটুল ভাই জান্নাতে আরামে আছেন; খালি মনে হইত।
টুটুল ভাই আসার আগে বলছিলেন যে, জান্নাতে গেলে একটা বিশাল বড় আইসক্রিম জড়ায়া ধইরা খাবেন। আমার এটা মনে হইতো। যখন আমি ঘামতাম বাসে বসে তখন মনে হইত যে, এখন টুটুল ভাই আরাম কইরা সে আইসক্রিম খাইতেছে”।
প্রশ্নকারী: সুবহানাল্লাহ
উত্তরদাতা : আলহামদুলিল্লাহ । এটা অনেল বড় inspiration ছিল ।
শহীদ আশিকুর রহমান রহিমাহুল্লাহ:
“আল্লাহ আমাকে এখানে ইজ্জতের জীবন দান করেছেন যেখানে আমার সাথে সিলাহ্ আছে। এটাই মুসলিমের জন্য ইজ্জতের লাইফ।
ভাইয়েরা! আপনারা আমাকে তাওহীদ বুঝিয়েছেন, আপনারা আমাকে জিহাদ বুঝিয়েছেন। সেখান থেকে আল্লাহ আমাকে হেদায়েত দান করেছেন এবং আল্লাহ আমাকে তাওফিক্ব দান করেছেন এখানে আসার।
আপনারা সবাই জানেন আল্লাহ আমাদেরকে সেই ব্যবসার দিকে ডাকছেন যে ব্যবসায় আল্লাহ আমাদের জন্য বলেছেন যে, আমাদের জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর সাথে ব্যবসা করতে। আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালা আমাদেরকে একটি ব্যবসার সুযোগ দিয়েছেন। সেই জাহান্নামের ভয়াবহ আযাব থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার এবং আল্লাহ ছাড়া আর কে আছেন উত্তম ব্যবসা করার মত যাঁর সাথে আমরা ব্যবসা করতে পারি।
ভাইয়েরা! এই ব্যবসা থেকে যারা আমরা নিজেদেরকে গুটিয়ে রেখেছি তাদের থেকে ক্ষতির মধ্যে আর কেউ নেই এবং যারা এই ব্যবসার মধ্যে যুক্ত হতে পেরেছি তারাই পৃথিবীর মাঝে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি।
ভাইয়েরা! আজ আমি আল্লাহ রহমতে এই ব্যবসার অংশীদার হতে পেরেছি আল্লাহর সাথে। আল্লাহর কাছে আমি আমার জান ও মাল বিক্রয় করে দিয়েছি। আল্লাহর কাছে আমি আশা করি যে, আমি মৃত্যুর পরেই ব্যবসার প্রতিফল পাব। আমার হিজরতের পথে আমি যত পেরেছি আমার পায়ে আমার সর্বাঙ্গীন হিজরতের ধুলো মেখেছি, যাতে জাহান্নামের আগুন আমার শরীরের সাথে একত্রিত না হয়। এই পথ অতি সুন্দর একটি পথ পথের প্রতি মুহূর্তই প্রতি পদক্ষেপে আপনি আল্লাহর নৈকট্য টের পাবেন এবং হিজরতের পথে আমি যেটা ব্যক্তিগতভাবে বুঝেছি যে, প্রতি মুহূর্তে, প্রতি পদক্ষেপে আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালা আমার অন্তরে যে নিফাক আছে তা বের করে দিয়েছেন, প্রতি মুহূর্তে আল্লাহ আমার ঈমানকে আরো মজবুত করেছেন, প্রতি মুহূর্তে আল্লাহ আমার ঈমানের সমস্ত ভুল-ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন।
আমি দেশে থাকতে যা কখনই অনুভব করেনি হিজরতের প্রতি ময়দানে, প্রতি মুহূর্তে, প্রতি পদক্ষেপে সেগুলো বুঝতে পেরেছি এবং সময়ে সময়ে আমার ঈমানকে তরতাজা করতে পেরেছি।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে যেটা আমার কাছে খুবই খুবই আল্লাহর রহমত এবং বরকতের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মনে হয়, সেটা হচ্ছে হিজরতের পথে কোরআন হিফজ করা আমার জন্য খুব সহজ হয়ে গিয়েছিল। ঢাকায় থাকতে যখন আমি একটি ছোট্ট সূরা মুখস্থ করার জন্য এক সপ্তাহ, দেড় সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ, এক মাস সময় অতিবাহিত করতাম সেখানে আমি প্রতিদিন একটি-একটি করে সূরা মুখস্থ করতাম। বড়-বড় সূরা মুখস্থ করা আমার জন্য সহজ হয়ে গিয়েছিল। এই পথের রহমত এবং বরকত বলে শেষ করা যাবে না। আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালার নৈকট্য যদি পেতে চান, যদি নিজের তাওয়াক্কুল বানাতে চান ভায়েরা এই পথের চেয়ে উত্তম কোন পথ আর নেই।
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ:
“বাংলাদেশে আমার মুসলিম ভাইয়েরা! আল্লাহর সাহায্য ও ক্ষমতার ফযীলতে আফগানিস্তানে ইসলামিক ইমারতের বিজয় অতি সন্নিকটে। আল্লাহর অনুমতিতে এই বিজয় হবে ইসলাম ও এর অনুসারীদের বিজয়, এবং নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক অপরাধী, তাদের দোসর, তাদের সর্দার ও পূর্ব ইসলামিক বিশ্বে তাদের স্থানীয় প্রতিনিধিসহ সকল ইসলামিক দুশমনদের পরাজয়।
কাজেই, বরকতময় এই ইমারতের সহযোগিতার জন্য আপনাদের সামর্থ্যের শেষ বিন্দু দিয়ে প্রচেষ্টা করুন – আপনাদের সাধ্যমত সম্পদ, জনবল, পরামর্শ, চিন্তা-ভাবনা ও দাওয়াতের মাধ্যম । লক্ষ্যে অনঢ় থাকুন ও সবর করুন। কেননা নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য নিকটে”।
ধারা ভাষ্যকার:
আশিকুর রহমান আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য নিজের জীবন ও সম্পদ উৎসর্গ করেছিলেন। গণতান্ত্রিক কুফুরী ব্যবস্থার পরিবর্তে এমন ইসলামিক হুকুমত কায়েমের পথে লড়েছিলেন যার ফলে সকলের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। সমাজ হবে কলুষ মুক্ত। মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসবে। মুসলমান ও অমুসলমান সহ সকলের প্রতি জুলুম বন্ধ করে ন্যায়-পরায়ণ হুকুমত গঠনের মাধ্যমে সকলের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকলের অন্তরে ও বাহিরে খুশি রাখবে।
মাওলানা আসিম উমর হাফিযাহুল্লাহ:
জীবনের সফলতা কী ?
জীবনের সফলতার অর্থ যদি টাকা-পয়সা উপার্জন করা হয় তাহলে শহীদকে যে ধন-সম্পদ দেয়া হবে তার তুলনায় দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ মাছির পাখার সমানও নয়।
যদি সফলতা উন্নতমানের খাবার-দাবারের নাম হয়ে থাকে, তবে শহীদের মেহমানদারি মাছ দিয়ে করা হবে।
যদি সফলতা সুন্দর সুন্দর ঘর-বাড়ি বানানো হয়ে থাকে, তবে শহীদকে এমন ঘর দেওয়া হবে যেটার ব্যাপারে নবী صلى الله عليه وسلم বলেছেন: “শহীদের জন্য এমন ঘর রয়েছে যার প্রশস্ততা ইয়ামানের শহর সানা থেকে শামের শহর জাবিয়াহ পর্যন্ত বিস্তৃত। যেটা বানানো হয়েছে বাহিরে হীরা ও ইয়াক্বুত দিয়ে এবং ভিতরে মিসক্ ও কাফুর দিয়ে।”
যদি সফলতা সুন্দরী রমনীকে বিয়ে করা হয়ে থাকে, তবে এক্ষেত্রেও শহীদের মোকাবেলা কোন দুনিয়াদার ব্যক্তি করতে পারবে? যে কেউ শহীদ হওয়ার সাথে সাথে জান্নাতের দুই হুর জান্নাত থেকে একশত জোড়া পোশাক নিয়ে শহীদের কাছে পৌঁছে যায় এবং তার চেহারায় হাত বুলিয়ে তার আগমনের শুভ সংবাদ শুনায়। এমন হুর যাদের সৌন্দর্যের সামনে দুনিয়ার সব সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যাবে, যাকে দেখে পূর্ণিমার চাঁদও লজ্জা পাবে।
যদি সফলতা এটাকে বলা হয় যে, সন্তান পিতা-মাতা, নিজ পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের উপকারে আসবে, তবে শহীদ কেয়ামতের দিনে নিজের পিতা-মাতা এবং আত্মীয়স্বজনের উপকারে আসবে যেদিন কেউ কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করবে না। মানুষ নিজের ঘামে ডুবে এক এক নেকির সন্ধানে নিজের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের কাছে ধরনা দিতে থাকবে।
ঐদিন শহীদ সেসব আত্মীয়স্বজনের উপকারে আসবে যাদের ব্যাপারে জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে; মদীনার সর্দার নবী صلى الله عليه و سلم ইরশাদ করেনঃ “শহীদ নিজের আত্মীয় স্বজনদের থেকে সত্তর জনের ব্যাপারে সুপারিশ করবে”।
জীবনের সফলতা আসলে কি ?
এটাই সবচেয়ে সফল জীবন যে, এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তরুণদের অন্তর ছোট ছোট জিনিসের মধ্যে আটকে থাকে না, তারা সব কিছুকে পিছনে রেখে সবচেয়ে উঁচু জিনিসের নির্বাচন করে। না দুনিয়ার ধন-সম্পদ এদের দৃষ্টি কাড়ে, না দুনিয়ার যশ-খ্যাতি তাদের প্রভাবিত করে, না এসব যুবকদের মনে বেপরোয়া আকর্ষণ প্রভাব বিস্তার করে, না দুনিয়ার মোহ এদের প্রলুব্ধ করতে পারে।
বরঞ্চ তাদের অন্তর চিরস্থায়ী জান্নাতের নেয়ামতসমূহের প্রতি লেগে থাকে, যেখানকার সম্মানের কোন তুলনা নেই, যেখানকার সৌন্দর্য কখনও মলিন হবে না, যেখানে জীবনের স্থায়িত্ব সর্বদা যৌবনের শীর্ষে থাকবে, না কোন দুঃখ-দুর্দশা তাদের স্পর্শ করবে, যেখানে সব কিছু থাকবে যা কোন অন্তর তামান্না করতে পারে যার, যেখানে সব মনোবাসনা পূর্ণ করা হবে যা কোন অন্তর চাইতে পারে, যেগুলো বাস্তবতার রূপ ধারণ করবে।
জগতের প্রতিপালক ইরশাদ করেনঃ “যেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমরা দাবী কর।”
তাহলে আপনিই চিন্তা করুন যাদের কাছে সাফল্যের মাপকাঠি এতটা উঁচু তাদের কাছে দুনিয়ার জীবনের সাফল্যের স্থান কোথায় যা কিনা মাছির ডানার বরাবরও নয়!
যুবক ভাইয়েরা! নিজেরাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুণ, কারা জীবনের ব্যাপারে উত্তম পরিকল্পনা করেছেন, কারা নিজের বোধশক্তি খাটিয়েছেন, কাদের সংকল্প ও অভিপ্রায় দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, কারা জীবনকে বহু দূর পর্যন্ত গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করেছেন ? কারা জীবনের সফলতায় পৌঁছাতে পেরেছেন ? … “আর এটাই মহা সাফল্য”
إِنَّ ٱللَّهَ ٱشْتَرَىٰ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ أَنفُسَهُمْ وَأَمْوَٰلَهُم بِأَنَّ لَهُمُ ٱلْجَنَّةَ ۚ يُقَٰتِلُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ ۖ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِى ٱلتَّوْرَىٰةِ وَٱلْإِنجِيلِ وَٱلْقُرْءَانِ ۚ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِۦ مِنَ ٱللَّهِ ۚ فَٱسْتَبْشِرُوا۟ بِبَيْعِكُمُ ٱلَّذِى بَايَعْتُم بِهِۦ ۚ وَذَٰلِكَ هُوَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ
নিঃসন্দেহে আল্লাহ মু‘মিনদের নিকট থেকে তাদের প্রাণ ও তাদের ধন-সম্পদ সমূহকে এর বিনিময়ে ক্রয় করে নিয়েছেন যে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, অতএব তারা হত্যা করে ও নিহত হয়। এর (এই যুদ্ধের) ধরুন (জান্নাত প্রদানের) সত্য অঙ্গীকার করা হয়েছে তাওরাতে, ইনজীলে এবং কুরআনে। আর কে আছে নিজের অঙ্গীকার পালনকারী আল্লাহ অপেক্ষা অধিক? অতএব তোমরা আনন্দ করতে থাকো তোমাদের এই লেনদেনের উপর, যা তোমরা সম্পাদন করেছো। আর এটাই হচ্ছে বিরাট সফলতা। (সূরা তাওবা ৯ : ১১১)
***********
may allah bless upon all of you
may allah bless upon all of you.