আল-হিকমাহ মিডিয়া নির্বাচিত পিডিএফ ও ওয়ার্ড বার্তা ও বিবৃতি বার্তা ও বিবৃতি [আল হিকমাহ]মিডিয়া

Bengali Translation || হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদীন- এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিবৃতি ‘তুফানুল আকসা’ অভিযান উপলক্ষে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা

অক্টোবর ১৮, ২০২৩

০ ১,৮১৪ ৭ minutes read

Bengali Translation || হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদীন- এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিবৃতি ‘তুফানুল আকসা’ অভিযান উপলক্ষে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা

مؤسسة الحكمة
আল হিকমাহ মিডিয়া
Al-Hikmah Media

تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents

الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation

بعنوان:
শিরোনাম:
Titled

بيان من القيادة العامة لحركة الشباب المجاهدين: تهنئة ومباركة بغزوة «طوفان_الأقصى»

হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদীন- এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিবৃতি
‘তুফানুল আকসা’ অভিযান উপলক্ষে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা

Statement by the central leadership of Harakat al-Shabaab al-Mujahideen
Congratulations and best wishes on the occasion of ‘Tufanul Aqsa’

Bengali Translation || হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদীন- এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিবৃতি ‘তুফানুল আকসা’ অভিযান উপলক্ষে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা

للقرائة المباشرة والتحميل
সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Reading and Downloading

লিংক-১ : https://justpaste.it/tufanul_AQSA_Al_Shabab
লিংক-২ : https://mediagram.me/9357e0e20af40526
লিংক-৩ : https://noteshare.id/Ddljdon
লিংক-৪ : https://web.archive.org/web/20231018…AQSA_Al_Shabab
লিংক-৫ : https://web.archive.org/web/20231018…57e0e20af40526
লিংক-৬ : https://web.archive.org/web/20231018…are.id/Ddljdon

*******

হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদীন- এর

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিবৃতি

‘তুফানুল আকসা’

অভিযান উপলক্ষে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা

بسم الله الرحمن الرحيم

সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য যিনি বলেছেন:

وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكَ لَيَبْعَثَنَّ عَلَيْهِمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَن يَسُومُهُمْ سُوءَ الْعَذَابِ إِنَّ رَبَّكَ لَسَرِيعُ الْعِقَابِ وَإِنَّهُ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ

অর্থঃ “আর সে সময়ের কথা স্মরণ কর, যখন তোমার পালনকর্তা সংবাদ দিয়েছেন যে, অবশ্যই কেয়ামত দিবস পর্যন্ত ইহুদীদের উপর এমন লোক পাঠাতে থাকবেন যারা তাদেরকে নিকৃষ্ট শাস্তি দান করতে থাকবে। নিঃসন্দেহে তোমার পালনকর্তা শীঘ্র শাস্তি দানকারী এবং তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু”। (সূরা আরাফ ৭:১৬৭)

আল্লাহ তাআলা রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর, যিনি হাদীস শরীফে ইরশাদ করেছেন:

لوددت ان أقتل في سبيل الله ثم أحيا فأقتل ثم أحيا فأقتل

অর্থ: আমি পছন্দ করি যে, আল্লাহর রাস্তায় নিহত হবো। অতঃপর আমাকে জীবিত করা হবে। পুনরায় আমি নিহত হব। পুনরায় আমাকে জীবিত করা হবে। অতঃপর আমি আবার নিহত হবো।

হামদ ও সালাতের পর..

‘তুফানুল আকসা’ মহাযুদ্ধের বীরত্ব ও সাহসিকতার কথা আমরা শুনতে পেয়েছি। আল্লাহর তাকবীর ধ্বনি, অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা এই মহাযুদ্ধের জন্য। কুরআনে বর্ণিত আল্লাহর অভিশাপপ্রাপ্ত ইহুদী জাতির বিরুদ্ধে বিজয় ও সাফল্য অর্জন, তাদের ওপর এবং তাদের মিত্র ক্রুসেডারদের ওপর লাঞ্ছনা চাপিয়ে দেবার এই মহামূল্যবান সময়ে প্রিয় ফিলিস্তিনে মুজাহিদ ভাইদেরকে অভিনন্দন জানানো আমরা কর্তব্য বলে মনে করি। সুসংবাদবাহী এই অভিযানের জন্য তাদেরকে আমরা শুভেচ্ছা জানাই। পবিত্র ভূমিতে আমাদের বীর বাহাদুর সাহসী ভাইদের প্রতি আমাদের পক্ষ থেকে সালাম। তাদের সকলের উদ্দেশ্যে আমরা বলবো: জাযাকুমুল্লাহু খাইরান- আল্লাহ আপনাদেরকে গোটা উম্মাহর পক্ষ থেকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন। আল্লাহ আপনাদের জিহাদ ও গৌরবময় এই অভিযান কবুল করে নিন। আপনারা ঈমানদার সম্প্রদায়ের অন্তরের জ্বলন প্রশমিত করেছেন। গোটা বিশ্বের মুসলিমগণ জায়নবাদী শক্তির এই দুর্দশা এবং আপনাদের প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ডে উচ্ছ্বসিত। তাদের অপবিত্র হাত বছরের পর বছর যত সীমালঙ্ঘন করে এসেছে, সেগুলোর শাস্তি পেতে দেখে সকলেই আনন্দিত।

আমরা সকলেই আরও প্রত্যক্ষ করেছি, ‘তুফানুল আকসা’ নামক এই অভিযানের ফলস্বরূপ আমেরিকা, ইউরোপ এবং ক্রুশবাহী পৌত্তলিকতার রাষ্ট্রগুলো কেমন করে জোটবদ্ধ হয়েছে। সীমালঙ্ঘনকারী ইহুদীদের পাশে দাঁড়াবার জন্য এবং গৌরবময় বীরত্বকে নিস্তব্ধ করার জন্য তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই সাহসিকতাকে তারা ‘মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ’ বলে আখ্যা দিচ্ছে। তারা তো বরাবরই মুসলমানদের ব্যাপারে এমনটা করে এসেছে। আগ্রাসী শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে যেকোনো প্রতিরোধ আন্দোলনকেই তারা ‘সন্ত্রাসবাদ’ বলে আখ্যা দিয়ে আসছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রতিরক্ষামূলক জিহাদকে তারা কট্টরপন্থা বলে অভিহিত করে থাকে।

দখলদার ইহুদীদের পাশে আন্তর্জাতিক মহল এবং কাফের রাষ্ট্রগুলোর এই সমর্থন এ কথার সুস্পষ্ট প্রমাণ যে, কাফেররা সকলেই এক জাতি। তাদের দুর্দশায় আমাদের আনন্দ আর আমাদের আনন্দই হল তাদের জন্য দুর্দশা। কাফের পশ্চিমা বিশ্ব এবং তাদের লালিত-পালিত তথাকথিত ইসরাইল রাষ্ট্রটি এমন কম্পন সৃষ্টিকারী আঘাতের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না। পশ্চিমা বিশ্ব খুব আদর যত্ন সহকারে মুসলিম ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ৭৫ বছর যাবৎ এই কুড়িয়ে পাওয়া জারজ রাষ্ট্রকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে এসেছে। তারা সীমাহীন অর্থায়ন ও ধারাবাহিক সমর্থন দিয়ে রাষ্ট্রটিকে লালন-পালন করে বড় করেছে। অতঃপর ‘তুফানুল আকসা’ অভিযান তাদের পরিশ্রমের ফসল ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে এবং তাদের দুর্বলতা সকলের সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছে। এ যেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নিম্নোক্ত আয়াতের প্রতিফলন:

مَثَلُ الَّذِينَ اتَّخَذُوا مِن دُونِ اللَّهِ أَوْلِيَاء كَمَثَلِ الْعَنكَبُوتِ اتَّخَذَتْ بَيْتًا وَإِنَّ أَوْهَنَ الْبُيُوتِ لَبَيْتُ الْعَنكَبُوتِ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ

অর্থ: “যারা আল্লাহর পরিবর্তে অপরকে সাহায্যকারীরূপে গ্রহণ করে তাদের উদাহরণ মাকড়সা। সে ঘর বানায়। আর সব ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই তো অধিক দুর্বল, যদি তারা জানত”। (সূরা আল আনকাবুত 29:41)

আন্তর্জাতিক কুফরী মহলের সহায়তায় লালিত-পালিত এই আগ্রাসী নিকৃষ্ট জায়নবাদী চক্র মুসলিম ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে দাম্ভিকতা প্রদর্শন করছে এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর নিকৃষ্টতম শাস্তি চাপিয়ে দিয়েছে। এই সমস্ত অমানবিক কার্যকলাপের পক্ষে আন্তর্জাতিক মহল ও কাফের রাষ্ট্রগুলো কথা বলছে নির্লজ্জের মতো। তারা ইসরাইলের নির্মমতাকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক বৈধতা দিচ্ছে। ফিলিস্তিনি মুসলিম জনসাধারণের অধিকার হরণ এবং তাদের ওপর অত্যাচার-অনাচার ইসরাইলের জন্য বৈধ ঘোষণা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের ভূমি লুণ্ঠন, তাদের ইতিহাসে বিকৃতি সাধন এবং তাদের অস্তিত্ব মিটিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের এত ব্যাপক হস্তক্ষেপ ও সহায়তা সত্ত্বেও ইহুদীরা আজ উপকৃত হতে পারছে না। কারণ ফিলিস্তিনের সাহসী বীর বাহাদুর সন্তানেরা ইহুদীদের সম্মান মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেছেন:

قَالَ رَجُلاَنِ مِنَ الَّذِينَ يَخَافُونَ أَنْعَمَ اللّهُ عَلَيْهِمَا ادْخُلُواْ عَلَيْهِمُ الْبَابَ فَإِذَا دَخَلْتُمُوهُ فَإِنَّكُمْ غَالِبُونَ وَعَلَى اللّهِ فَتَوَكَّلُواْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

অর্থ: “খোদাভীরুদের মধ্য থেকে দু’ব্যক্তি বলল, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছিলেনঃ তোমরা তাদের উপর আক্রমণ করে দরজায় প্রবেশ কর। অতঃপর তোমরা যখন তাতে পবেশ করবে, তখন তোমরাই জয়ী হবে। আর আল্লাহর উপর ভরসা কর যদি তোমরা বিশ্বাসী হও”। (সূরা মায়েদা ৫:২৩)

অপরাধী ইহুদীদের বিরুদ্ধে এই লড়াই শুধু ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের কয়েকটি দলের লড়াই নয় বরং এটি ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর লড়াই। তাই মুসলিমদের উচিত যথাসম্ভব ইহুদী গোষ্ঠী এবং তাদের মিত্র কাফের ও মুনাফিক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুজাহিদীনকে সাহায্য-সহযোগিতা করা এবং সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে তাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ এই উম্মাহর শক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটে জিহাদী অঙ্গনের ঘাঁটিতে শক্তি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে। আন্তর্জাতিক জোটবদ্ধ আগ্রাসী কাফের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জিহাদী মহাকর্মযজ্ঞ সমর্থনের মাধ্যমেই এই উম্মাহর গৌরব অর্জিত হবে।

তাই হে মুসলিম উম্মাহ!

আপনারা তাদেরকে অর্থবল, জনবল দিয়ে সহায়তা করুন এবং আপনাদের নেক দোয়া দ্বারা তাদেরকে সিক্ত রাখুন। ফিলিস্তিন, শাম এবং পৃথিবীর যেখানেই আপনাদের হাত ও শক্তি সামর্থ্য পৌঁছতে পারে সেখানেই মুজাহিদীনের সাহায্য-সহযোগিতা থেকে আপনারা এক মুহূর্তের জন্য বিচ্ছিন্ন হবেন না। কারণ তারা সীমা অতিক্রমকারী আগ্রাসী শত্রুর কবল থেকে এই উম্মাহকে রক্ষা করার জন্য, পশ্চিমা কাফের গোষ্ঠীর আধিপত্য থেকে স্বাধীন হবার জন্য এবং ইসলামী শরীয়তের আলোকে বিশ্ব পরিচালনাকারী নেতৃবৃন্দের হাতে এই উম্মাহর দায়িত্ব প্রদানের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। তাই এই উম্মাহ লাঞ্ছনা, ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত কিংবা নির্যাতন-নিপীড়নের ভয় করতে পারে না।

যেই সময় আপনাদের মুজাহিদ ভাইয়েরা পূর্ব আফ্রিকা থেকে অধিকৃত ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে আপনাদের মহাযুদ্ধকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে একই সময় আমরা জোর দিয়ে আপনাদেরকে বলতে চাই, আত্মোৎসর্গ এবং সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়ার এই রণাঙ্গনে আপনাদের থেকে পিছিয়ে থাকতে আমরা চাই না। আমরা যদি আপনাদের পর্যন্ত পৌঁছে যাবার কোনো পথ পেতাম তাহলে কিছুতেই বিলম্ব করতাম না। কিন্তু আপনারা ওখানে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে জিহাদ করছেন আর আমরা পূর্ব আফ্রিকার ভূখণ্ডে জিহাদ করছি। আমাদের দৃষ্টি কুদসের দিকে। আমাদের হৃদয় আপনাদের সঙ্গে। আমাদের এবং আপনাদের শত্রু অভিন্ন। তারা সকলেই মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। পৃথিবীর পূর্বে, পশ্চিমে, উত্তরে ও দক্ষিণে মুসলিম জনসাধারণের উপর অন্যায়-অবিচারের জন্য তারা একে অপরকে আহ্বান করছে। ফলে আমরাও তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা যুদ্ধ চালিয়ে যাবো আর আমাদের লক্ষ্য আল-আকসার প্রাঙ্গণ। ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এবং তাকবীর ধ্বনি ‘আল্লাহু আকবার’ উচ্চারণ করে অদ্বিতীয় আল্লাহর হুকুমে আমরা এগিয়ে যাবো।

পরিশেষে মুসলিমদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এই পৃথিবীতে তাদের ইজ্জত, সম্মান, মর্যাদা ও গৌরব হলো জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ এবং আল্লাহর শত্রুর বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই ও তার প্রস্তুতির মাঝে। তাই মৃত্যুভয় ঝেড়ে ফেলতে হবে। শত্রুদের আগ্রাসন আধিপত্য এবং উম্মাহর লাঞ্ছনা মিটিয়ে দেবার উদ্দেশ্যে এক উম্মাহ হিসেবে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে।

হে আল্লাহ! মুসলিম উম্মাহর পুনর্জাগরণের মাধ্যমে আমাদের চক্ষু আপনি শীতল করে দিন। পৃথিবীর বুকে আপনার শরীয়ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের হৃদয়কে শান্ত করুন। কাফের ও মুরতাদ গোষ্ঠী এবং তাদের মিত্রদের সকলকে ভূলুণ্ঠিত করে দিন।

আমরা ফিলিস্তিনে আমাদের মুসলিম ভাইদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই –

গৌরব অর্জনের জন্য যথার্থ মূল্য পরিশোধ করতে হয়। স্বাধীনতার জন্য আত্মদানের প্রয়োজন হয়। আল্লাহর দীনের পথে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পথে আজ যেই বিপদ আপনারা সহ্য করছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলার কাছে তার প্রতিদান রয়েছে। যদি লিল্লাহিয়াত, একনিষ্ঠতা এবং আল্লাহর পথে নেকীর আশা আপনাদের সঙ্গে থাকে, তবে আল্লাহ কিছুতেই আপনাদের প্রতিদান বিনষ্ট করবেন না। তাই আপনারা আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করুন। ধৈর্য ধারণ করুন। কারণ এক মুহূর্তের ধৈর্য অনেক বড় বিজয়।

আল্লাহ আপনাদের শহীদদেরকে কবুল করুন এবং আপনাদের আহত ব্যক্তিদেরকে দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থতা দান করুন। আল্লাহ আপনাদেরকে ধৈর্য ধারণের তাওফীক দান করুন। অবিচলতা ও সান্ত্বনা দান করুন। আসমান জমিনের বাহিনী দিয়ে আপনাদেরকে শক্তিশালী করুন। আপনারা জেনে রাখুন, নিশ্চয়ই বাইতুল মুকাদ্দাসের প্রতিরক্ষায় প্রথম কাতারে রয়েছেন আপনারা।

وَلاَ تَهِنُوا وَلاَ تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ۝ إِن يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِّثْلُهُ وَتِلْكَ الأيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللّهُ الَّذِينَ آمَنُواْ وَيَتَّخِذَ مِنكُمْ شُهَدَاء وَاللّهُ لاَ يُحِبُّ الظَّالِمِينَ۝

অর্থ: “আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে (139)। তোমরা যদি আহত হয়ে থাক, তবে তারাও তো তেমনি আহত হয়েছে। আর এ দিনগুলোকে আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন ঘটিয়ে থাকি। এভাবে আল্লাহ জানতে চান কারা ঈমানদার আর তিনি তোমাদের কিছু লোককে শহীদ হিসাবে গ্রহণ করতে চান। আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না (১৪০)”। (সূরা ইমরান ৩:১৩৯-১৪০)

নিশ্চয়ই আমরা সোমালিয়ায় লড়াই করে যাচ্ছি কিন্তু আমাদের দৃষ্টি বাইতুল মুকাদ্দাস পানে।

اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الكِتَابِ، ومُجْرِيَ السَّحَاب وهَازِمَ الأحْزَابِ، اهْزِمْهُمْ وانْصُرْنَا عليهم

অর্থ: “হে কুরআন অবতীর্ণকারী আল্লাহ! হে মেঘমালা সঞ্চালনকারী আল্লাহ! হে শত্রু বাহিনীকে পরাজয় দানকারী আল্লাহ। আপনি শত্রু বাহিনীকে পরাজিত করুন এবং আমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে বিজয় দান করুন।”

হে আল্লাহ! আপনি এই উম্মাহর জন্য এমন কল্যাণময় শাসন সুদৃঢ় করে দিন, যেখানে আপনার আনুগত্যশীল বান্দাগণ সম্মানিত হবেন, আপনার অবাধ্য ব্যক্তিরা লাঞ্ছিত হবে। যেখানে আমর বিল মারূফ তথা সৎ কাজের আদেশ করা হবে এবং নাহী আনিল মুনকার তথা অসৎ কাজ থেকে বারণ করা হবে।

হে আল্লাহ! আমাদেরকে অবিচল রাখুন এবং সারা বিশ্বের মুজাহিদীনকে আপনি অটল রাখুন। শাম, ইরাক, জাযীরাতুল আরব, ইসলামী মাগরিব, ভারত উপমহাদেশ, খোরাসান এবং দুই হিজরতের দেশকে সর্বত্র আপনি সাহায্য করুন।

মুজাহিদীনের তীরকে আপনি লক্ষ্যভেদ করার তাওফীক দান করুন। তাদের অন্তরকে অটুট রাখুন। তাদেরকে মনোবল দান করুন এবং সরাসরি আপনার পক্ষ থেকে সাহায্য প্রেরণ করুন। শত্রুদের বিরুদ্ধে তাদেরকে সাহায্য করুন। কারণ হে শক্তিশালী, হে পরাক্রমশালী রব! আপনি ছাড়া আমাদের এবং তাদের কোনো সাহায্যকারী নেই।

হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন, আখিরাতে কল্যাণ দান করুন এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে হেফাযত করুন।

নিশ্চয়ই আল্লাহ নিজের বিষয়ে বিজয়ী, যদিও অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।

হে আল্লাহ আপনি আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর রহমত, শান্তি ও বরকত অবতীর্ণ করুন। তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবীদের উপরেও রহমত, শান্তি ও বরকত বর্ষণ করুন।

আল্লাহু আকবার! নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব মহান। শুধুর আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং ঈমানদারদের জন্যই সম্মান ও গৌরব কিন্তু মুনাফিকেরা তা জানে না।

রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরী

*****************