“হে ইহুদীরা, খাইবার যুদ্ধের পরিণাম স্মরণ কর! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাহিনী পুনরায় তোমাদের বিরুদ্ধে সারিবদ্ধ”
مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:
پریس ریلیز – خيبـر خيبـر يا يهـود … جيش محمد سوف يعود
“হে ইহুদীরা, খাইবার যুদ্ধের পরিণাম স্মরণ কর! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাহিনী পুনরায় তোমাদের বিরুদ্ধে সারিবদ্ধ”
(ইসরা ও মেরাজের ভূমি ফিলিস্তিনে ইসলামের মুজাহিদীনের পক্ষ থেকে আরম্ভ হওয়া ‘তুফানুল আকসা’ নামক জিহাদী কার্যক্রম উপলক্ষে বার্তা)
Press Release – Remember the conquest of Khyber,
O Jews… For the army of Muhammad (SAWS) returns to the battlefield!
للقرائة المباشرة والتحميل
সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Reading and Downloading
লিংক-১ : https://justpaste.it/conquest_of_Khyber
লিংক-২ : https://mediagram.me/8cf93893d00eedaf
লিংক-৩ : https://noteshare.id/Z5aCEuV
লিংক-৪ : https://web.archive.org/web/20231010165516/https://justpaste.it/conquest_of_Khyber
লিংক-৫ : https://web.archive.org/web/20231010165755/https://mediagram.me/8cf93893d00eedaf
লিংক-৬ : https://web.archive.org/web/20231010165911/https://noteshare.id/Z5aCEuV
روابط بي دي اب
PDF (403 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪০৩ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/AxEab3AcnGwJCAF
লিংক-২ : https://archive.org/download/aqs-pr-117-bn/AQS%20-%20PR117%20BN%20-%20an%20nasr.pdf
লিংক-৩ : https://upload179.files.wordpress.com/2023/10/aqs-pr117-bn-an-nasr.pdf
লিংক-৪ : https://www.file-upload.org/tc5eml3hfqb8
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/e261d7b0-01a5-45ce-97e4-c3f14741ee86/8d62df905477362db8b73061745f9c038d3ad63383216a623b9c3692ff3f208c
লিংক-৬ : https://www.mediafire.com/file/04ykjnit2ym11ab/AQS+-+PR117+BN+-+an+nasr.pdf/file
লিংক-৭ : https://mega.nz/file/tu1TARiL#PnRNzqjRGp7D0lEZQEcG3UH6LPiuabZL1-H-D-K2V2Y
روابط ورد
Word (182 KB)
ওয়ার্ড [১৮২ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/Py4XP53BtogLpep
লিংক-২ : https://archive.org/download/aqs-pr-117-bn/AQS%20-%20PR117%20BN%20-%20an%20nasr.docx
লিংক-৩ : https://upload179.files.wordpress.com/2023/10/aqs-pr117-bn-an-nasr.docx
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/3afd554a-ede6-47f3-b3a4-98e4702716b8/77c0ffd8c65ed15da3391f3d4ee6a0cdedaad713ea520b202819371ea70c984f
লিংক-৫ : https://www.file-upload.org/7bt151l6lkdu
লিংক-৬ : https://www.mediafire.com/file/takzc0x8w4pvshe/AQS+-+PR117+BN+-+an+nasr.docx/file
লিংক-৭ : https://mega.nz/file/4nsn0IwZ#cKZ836kFlA9NCN0K4OxzXfHM6QTpyuBH93ojaP15KwA
روابط الغلاف
Banner [424 KB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [৪২৪ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/RT5TA2En7izXoaZ
লিংক-২ : https://archive.org/download/aqs-pr-117-bn/AQS—PR117-BN—an-nasr-1.png
লিংক-৩ : https://upload179.files.wordpress.com/2023/10/aqs-pr117-bn-an-nasr-1.png
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/43bfa021-397e-4fa8-b4e7-30f87972846a/a3979788a91d3dedcb1a8eb1f49b3d6b90ef33fb446208d4dc7e101f5659bb30
লিংক-৫ : https://www.file-upload.org/g0k6dq28rq8u
লিংক-৬ : https://www.mediafire.com/file/hfogv8n8fiqs20g/AQS—PR117-BN—an-nasr-1.png/file
লিংক-৭ : https://mega.nz/file/h6EUFJ4R#Fi0hoEY9bMOmoHyu9pjy_H4coz5YaZijjunbih-jxQY
***
“হে ইহুদীরা, খাইবার যুদ্ধের পরিণাম স্মরণ কর! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাহিনী পুনরায় তোমাদের বিরুদ্ধে সারিবদ্ধ”
(ইসরা ও মেরাজের ভূমি ফিলিস্তিনে ইসলামের মুজাহিদীনের পক্ষ থেকে আরম্ভ হওয়া ‘তুফানুল আকসা’ নামক জিহাদী কার্যক্রম উপলক্ষে বার্তা)
PR_117_AQS
তারিখ: 22 শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী / ৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ ঈসায়ী
“হে ইহুদীরা, খাইবার যুদ্ধের পরিণাম স্মরণ কর! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাহিনী পুনরায় তোমাদের বিরুদ্ধে সারিবদ্ধ”
(ইসরা ও মেরাজের ভূমি ফিলিস্তিনে ইসলামের মুজাহিদীনের পক্ষ থেকে আরম্ভ হওয়া ‘তুফানুল আকসা’ নামক জিহাদী কার্যক্রম উপলক্ষে বার্তা)
الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على سيد الأنبياء والمرسلين وعلى آله وصحبه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين، أما بعد
সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব জাহানের পালনকর্তা আল্লাহর জন্য! রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক সকল নবী রাসূলের সরদারের ওপর, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবী রাযিয়াল্লাহু আনহুমের ওপর এবং কেয়ামত পর্যন্ত তাঁদের অনুসারী সকলের ওপর।
হামদ ও সালাতের পর..
অত্যন্ত খুশি, প্রফুল্লতা ও উচ্ছ্বাস সহকারে মুসলিম উম্মাহর সকলের মতো আমাদের কাছেও এই সংবাদ পৌঁছেছে যে, আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তাআলার দয়া ও অনুগ্রহে, তাঁর সাহায্য-সহযোগিতায় কুদস ভূমির মুজাহিদীন ‘কাসসাম ব্রিগেড’ দখলদার ইসরাইল এবং তাতে বসবাসরত হারবি কাফের ইহুদীদের বিরুদ্ধে ‘তুফানুল আকসা’ নামে এক বিরাট ধারাবাহিক সামরিক কার্যক্রম আরম্ভ করেছেন। মুসলিম উম্মাহর ঈমান-আকীদা, অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, ইতিহাস ও ভূগোলের অন্যতম প্রাণকেন্দ্রে, মুসলিম জনসাধারণের সাহায্য ও সহযোগিতায় ‘কাসসাম বিগ্রেড’ ঈমানদারদের হৃদয় শীতলকারী এই ধারাবাহিক সামরিক কার্যক্রম শুরু করেছেন।
প্যারাগ্লাইডিংয়ের মাধ্যমে আকাশ পথে এবং স্থল ও সমুদ্রপথে গ্রাউন্ড ফোর্সের দ্বারা ইসলামের মুজাহিদরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হামলা আরম্ভ করেছেন। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২৫০ জনেরও বেশি ইহুদী জাহান্নামে পৌঁছে গিয়েছে, ১১ শতাধিক আহত রয়েছে। (প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী) নিমরদ আলোনি (Nimrod Aloni) নামে একজন ইসরাইলি জেনারেল অফিসার সহ কয়েক ডজন ইহুদী বন্দী হয়েছে। শত শত অস্ত্র, গোলা বারুদ, ৫০টি সাঁজোয়া যান (মার্কিন Humvee সহ এমনই ধরণের কিছু সামরিক গাড়ি), ২০টি কামানবাহী মার্কিন সামরিক ট্যাঙ্ক গনীমত হিসেবে মুজাহিদীনের হাতে এসেছে আলহামদুলিল্লাহ। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর! গৌরব একমাত্র আল্লাহর জন্য, তাঁর রাসূলের জন্য এবং ঈমানদারদের জন্য, কিন্তু মুনাফিকেরা তা বোঝে না। আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তাআলা ইরশাদ করেছেন
قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِينَ
অর্থ: “তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর। তাহলে আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদেরকে শাস্তি দেবেন, তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে বিজয় দান করবেন এবং ঈমানদারদের হৃদয় শীতল করবেন।” (সূরা আত তাওবা ০৯:১৪)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইসরা-মেরাজ ও প্রথম কেবলার ভূমি, হাজার হাজার নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালামের মাতৃভূমি বিগত কয়েক দশক যাবৎ ইহুদী ও জায়নিস্টদের দখলে রয়েছে। নিঃসন্দেহে মুজাহিদীনে-ইসলামের পরিচালিত এই কার্যক্রম ঈমানদারদের চক্ষু শীতল করেছে, তাদের হৃদয় প্রশান্ত করেছে এবং আল্লাহর বড়ত্ব, মহত্ব ও নেয়ামত দেখে ঈমানদারদের চক্ষু থেকে প্রশংসার অশ্রু প্রবাহিত হয়েছে। ‘তুফানুল আকসা’ অতীতের আরব ইসরাইল যুদ্ধে আরব দেশগুলোর পরাজয়ের লাঞ্ছনা ও গ্লানি মুছে দিয়েছে। শাহাদাতের পানপাত্রের দেওয়ানা ইসলামের ফিদায়ী যোদ্ধাগণ, হাজার হাজার মুজাহিদ এবং আল কুদস ভূমির মুসলিম জনসাধারণ দখলদার ইসরাইলের লোহার বর্ডারগুলো আল্লাহর প্রতি ঈমান ও তাওয়াক্কুল, দৃঢ় বিশ্বাস, আস্থা ও উচ্চ মনোবল দিয়ে ভেঙে দিয়েছে। ঈমান ও জিহাদের চেতনায় উদ্দীপ্ত মুজাহিদীন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা, তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুসলিমদের চিরস্থায়ী শত্রু অভিশপ্ত ইহুদী— বিশেষ করে তাদের প্রাণকেন্দ্র তেল আবিবে ৩০০০-এর অধিক রকেট বর্ষণ করেছে। শুধু আল্লাহর সাহায্যে মার্কিন সহযোগিতায় পরিচালিত ইসরাইলি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘আয়রন ডোম’ শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
অত্যাধুনিক এই সিস্টেমে সর্বপ্রকার কমিউনিকেশন ও যোগাযোগের খবরা-খবর রাখার যোগ্যতা সম্পন্ন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংযুক্ত করা আছে। তারপরও আয়রন ডোম এই হামলার কোনো পূর্বাভাস দিতে পারেনি। কথিত পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষ ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ‘মোসাদ’ পুরোপুরিভাবে এত বড় অপারেশনের খবর পেতে এবং উক্ত অপারেশন প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। মুজাহিদীন এবং তাদের সমর্থক ও সাহায্যকারী মুসলিম জনসাধারণ ‘গাজা স্ট্রিপ’ অতিক্রম করে গাজা সীমান্তের দেড় গুণের অধিক এলাকা জয় করে নিয়েছে — যা পূর্বে দখলদার ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ‘দামে তাহরির’ তথাকথিত ইসরাইলি সীমান্তের ভেতর ইসরাইলের ২২ টি জায়গায় এখন যুদ্ধ চলমান।
‘তুফানুল আকসা’ অপারেশন ইহুদীদের কাপুরুষতা গোটা পৃথিবীর সামনে প্রকাশ করে দিয়েছে। পৃথিবীর অত্যাধুনিক অস্ত্র সজ্জিত ইহুদী সেনাবাহিনী নিজেদের সামরিক ছাউনি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে – হাজার হাজার ইসরাইলি, যারা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালাতো, মুসলিমদের গৃহে অনৈতিকভাবে চড়াও হতো, তারা ঘুমানোর পোশাক ও খালি পায়ে জীবন বাঁচানোর জন্য তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ‘তুফানুল আকসা’ সামরিক কার্যক্রম কুদস ভূমির পুনরুদ্ধার এবং গোটা পৃথিবীতে ইসরাইলের লবিস্টদের দ্বারা পরিচালিত মার্কিন ওয়ার্ল্ড অর্ডারের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহর অন্য মুজাহিদীনের সকল সামরিক কার্যক্রমের মাথার মুকুট ও গর্বের প্রতীক।
সাধারণভাবে মুসলিম উম্মাহ এবং বিশেষভাবে মুসলিম উম্মাহর সকল শ্রেণির মুজাহিদ সন্তানেরা পবিত্র শরীয়ত, নৈতিকতা, আখলাক ও বুদ্ধিজাত যুক্তির আলোকে কোনো ‘দ্বিপাক্ষিক সমাধান’ অথবা ‘১৯৬৭ সালের আগে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলি সীমান্ত’কে ‘ফিলিস্তিন সমস্যার’ সমাধান বলে মনে করে না। আমরা মুসলিমরা ফিলিস্তিন থেকে স্পেন, কাশগড় থেকে মধ্য আফ্রিকা পর্যন্ত গোটা অঞ্চল— বিশেষ করে প্রথম কেবলা ও সম্মানিত কুদসকে মুসলিমদের ভূমি বলে মনে করি। তাই এই অঞ্চলগুলোতে কোনো কাফেরের বসবাস করার অধিকার থাকতে পারে না। যতক্ষণ না ইসলামী শরীয়তের আইন তাদেরকে বসবাসের অনুমতি দিবে।
ইসরাইলি ইহুদীরা ইসলামের মুজাহিদীনের বিপরীতে যুদ্ধের ময়দান থেকে পালাবার পথ ধরেছে। অপরদিকে কাপুরুষতার পরিচয় দিয়ে গাজা উপত্যকার বেসামরিক মুসলিমদের উপর অন্ধের মতো বিমান হামলা শুরু করেছে। এই হামলায় ৬০০+ মুসলিম শহীদ এবং ১৮ শতাধিক মুসলিম আহত হয়েছেন। বিপরীতে এই যুদ্ধ চলাকালে মুজাহিদীনে ইসলাম যুদ্ধের ময়দানে ইনসাফের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিজিত এলাকায় একজন সাধারণ নিরপরাধ ইহুদী নারী এবং তার নিরপরাধ বাচ্চাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। ওই নারীকে সতর ঢাকার জন্য চাদর দিয়েছেন এবং বলেছেন: ‘মানবতা তো আমাদের মুসলিমদের কাছেই রয়েছে’। তারা যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের কোনো ক্ষতি করেননি। আল্লাহু আকবার! এইতো ইসলাম এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ইনসাফ ও ন্যায় নীতি! যা যুদ্ধের ময়দানেও তাদেরকে ভদ্রতা, সদাচার ও আখলাক থেকে বঞ্চিত হতে দেয়নি।
একদিকে যেমন ইজরায়েলের ওপর হামলার কারণে আমরা আনন্দিত, অপরদিকে গাজা উপত্যকায় চলমান বোমা হামলার কারণে আমরা দুঃখিত ও ব্যথিত। নিঃসন্দেহে যুদ্ধের কারণে ঈমানদারদের ক্ষতি হয় বটে; কিন্তু এই অবস্থায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার বাণী আমাদের সামনে আলো দান করে। তিনি ইরশাদ করেছেন:
وَلاَ تَهِنُواْ فِي ابْتِغَاء الْقَوْمِ إِن تَكُونُواْ تَأْلَمُونَ فَإِنَّهُمْ يَأْلَمُونَ كَمَا تَأْلَمونَ وَتَرْجُونَ مِنَ اللّهِ مَا لاَ يَرْجُونَ وَكَانَ اللّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
অর্থঃ “তোমরা ওই সব লোকের (অর্থাৎ কাফির দুশমনদের) অনুসন্ধানে দুর্বলতা দেখিয়ো না। তোমাদের যদি কষ্ট হয়ে থাকে, তবে তাদেরও তোমাদেরই মতো কষ্ট হয়। আর তোমরা আল্লাহর কাছে এমন জিনিসের আশা কর, যার আশা তারা করে না। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।” (সূরা আন নিসা, ০৪:১০৪)
সবশেষে আমরা পরাজিত মানসিকতার ওই সমস্ত মানুষকে সম্বোধন করতে চাই, যারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব (Conspiracy theories) দ্বারা প্রভাবিত। এরা ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস করে। কাফের গোষ্ঠীর টেকনোলজি ও পরিকল্পনায় প্রভাবিত হয়ে, মানসিকভাবে তারা পরাজিত। ইসলামের প্রতিটি বাহাদুরি ও সাহসী কার্যক্রমকে এরা ষড়যন্ত্র বলে মনে করে। চাই সেটা ৯/১১ হোক, আফগানিস্তানে আমেরিকার বিরুদ্ধে আজিমুশশান বিজয় হোক অথবা আল কাসসাম ব্রিগেডের ‘তুফানুল আকসা’ জিহাদের আঘাত হোক।
তাদের পরাজিত মানসিকতা এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে জালেম ও অহঙ্কারী, যুগের তাগুত গোষ্ঠীকে আঘাত করা সম্ভব – এটা তারা বিশ্বাস করতে পারে না। এক একটি মহৎ কার্যক্রম ও সম্মানজনক বিজয়ের পর, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তারা পূর্বের কাজগুলোকেও ষড়যন্ত্র বলে গণ্য করে। নিঃসন্দেহে প্রত্যেক ক্রিয়ার পরেই প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আমরা যদি অগ্রসর হই এবং কাফেরদের উপর হামলা করি, তাহলে তারা পাল্টা হামলা করবে এটাই স্বাভাবিক। বস্তুগতভাবে তাদের শক্তি বেশি হওয়ার কারণে তাদের পাল্টা হামলা আমাদের চেয়ে বড় হতেই পারে। কিন্তু পরিণামে সর্বদা ঈমানদারদের দিকেই কল্যাণের পাল্লা ঝুঁকবে। শুভ পরিণাম ঈমানদারদের জন্য।
পরাজিত মানসিকতার লোকেরা প্রতিক্রিয়ামূলক কার্যক্রমের দিকে তাকিয়ে একথা ভুলে যায় যে, মুজাহিদীনের জিহাদী কার্যক্রমের আগে মুসলিম উম্মাহর অবস্থা কি ছিল? ‘তুফানুল আকসার’ পূর্বে কি গাজা উপত্যকায় বিনা উস্কানিতে ইসরাইল বোমা হামলা করে হাজার হাজার মুসলিমকে শহীদ করেনি? এই কার্যক্রমের আগে কি মসজিদে আকসা ইহুদীদের দ্বারা পদদলিত হয়নি? এই প্রশ্নগুলোর জবাব যদি ‘হ্যা’ হয়, তাহলে আমরা একথা কেন চিন্তা করতে পারছি না যে, ইসলামের শত্রুদেরকে— বিশেষ করে আমেরিকা এবং অভিশপ্ত ইহুদীদেরকে ইটের জবাব পাথর দিয়ে দেয়া উচিত। শুধু মজলুম হয়ে মৃত্যুবরণ করা নয়, বরং শত্রু বাহিনীর উপর আঘাত হেনে তাদের ক্ষয়-ক্ষতি নিশ্চিত করে তাদেরকে দুর্বল করে মৃত্যুবরণ করা উচিত। কারণ এই জিহাদী কার্যক্রম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার বিধানেরই বাস্তবায়ন।
গোটা পৃথিবীতে চলমান জিহাদী কার্যক্রম— বিশেষ করে সাম্প্রতিককালে কুদস ভূমিতে চলমান যুদ্ধ মুসলিমদের ভূখণ্ডসমূহ থেকে ইহুদী, ক্রুসেডার ও জায়নবাদীদেরকে উৎখাত করার সূচনা। এই জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ – কাফের গোষ্ঠীর শক্তি-দর্প নিঃশেষিত হওয়া এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরীয়ত মোতাবেক নবুয়তের আদলে খেলাফত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা। গোটা পৃথিবীতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে চলমান সকল যুদ্ধ ‘এক ও অভিন্ন যুদ্ধ’। এই যুদ্ধে ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত মুজাহিদীন সকলেই ‘এক বাহিনী’। তাদের লক্ষ্য ‘অভিন্ন’। আর তা হল: আল্লাহর বাণী সমুন্নত করা, মুসলিমদের পুণ্যভূমিগুলো উদ্ধার করা, মুসলিমদের জান, সম্মান ও গৌরবের হেফাযত করা। নিঃসন্দেহে ওই সময় বেশি দূরে নয়, যখন এই সকল মুজাহিদের ঘাঁটি হবে আল কুদস ভূখণ্ডের মসজিদে আকসা।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার কাছে আমাদের দোয়া ও কামনা, গোটা বিশ্বের মুজাহিদীনে ইসলামকে যেন তিনি সঠিক পথে পরিচালিত করেন। তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেন। তাদের শহীদানের শাহাদাত কবুল করেন। আহতদেরকে আরোগ্য দান করেন। বন্দীদেরকে মুক্ত করেন। গোটা বিশ্বে শীতের মৌসুমে যেই বসন্তের বাতাস চালু হয়েছে, আল্লাহ যেন তার শুভ পরিণাম দান করেন। ইহুদী গোষ্ঠী এবং তাদের সহযোগীদের কোমর যেন তিনি ভেঙ্গে দেন। তাদের মনোবল যেন তিনি কেড়ে নেন। তাদের শিশুদেরকে যেন তিনি ইয়াতীম করেন, তাদের নারীদেরকে বিধবা করেন এবং দুনিয়া আখিরাতে ইহুদী গোষ্ঠী এবং তাদের সহচরদেরকে লাঞ্ছিত করেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক যুদ্ধের সময় মোবারক ইরশাদ ফরমান:
فاذا لقيتموهم فاصبروا واعلموا أن الجنة تحت ظلال السيوف
অর্থ: “যখন তোমরা যুদ্ধের ময়দানে শত্রু বাহিনীর মুখোমুখি হবে, তখন ধৈর্য ধারণ ও অবিচলতা অবলম্বন করো। নিশ্চিত থাকো, জান্নাত হল তরবারির ছায়ায়।”
অতঃপর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া করেছেন:
اللهم منزل الكتاب مجري السحاب وهازم الاحزاب اهزمهم وانصرنا عليهم
অর্থ: “হে কুরআন অবতীর্ণকারী আল্লাহ! হে মেঘমালা সঞ্চালনকারী আল্লাহ! হে শত্রু বাহিনীকে পরাজয় দানকারী আল্লাহ! আপনি শত্রু বাহিনীকে পরাজিত করুন এবং আমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে বিজয় দান করুন।” (মুত্তাফাকুন আলাইহি)
ইহুদীদের বিরুদ্ধে খাইবারের যুদ্ধ আরম্ভ হবার সময় রাসূলে মাহবুব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
الله اكبر خربت خيب
“আল্লাহু আকবার! খাইবার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।” (মুত্তাফাকুন আলাইহি)
আমরা মুসলিম উম্মাহকে ইহুদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সুসংবাদ দিচ্ছি- “আল্লাহু আকবার! নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্ব মহান এবং আজ ইহুদীদের সবচেয়ে বড় খাইবারের কেল্লা ইসরাইল ধ্বংস হয়ে গিয়েছে”।
وآخر دعوانا أن الحمد للہ رب العالمین وصلی اللہ تعالیٰ علی نبینا الأمین!
*******************
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent