আমেরিকার প্রতিআরবআর্কাইভআল-কাদিসিয়াহ মিডিয়াইয়েমেনএ ধুলা কখনই মিটবে নাবই ও রিসালাহবার্তা ও বিবৃতিমিডিয়াশাইখ হারিস আন নাজ্জারী রহিমাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

আমেরিকার (সাথে যুদ্ধের) জন্য কে আছে? কারণ এরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে অপমান করেছে – শাইখ হারিস আল-নাযহারী

مؤسسة القادسية للإنتاج الإعلامي

আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া

تقدم

পরিবেশিত

الترجمة البنغالية لإصدار الملاحم الصوتي

বাংলায় অনূদিত আল-মালাহিমের মুক্তিপ্রাপ্ত অডিও

بعنوان

শিরোনাম

আমেরিকার (সাথে যুদ্ধের) জন্য কে আছে? কারণ এরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে অপমান করেছে – শাইখ হারিস আল-নাযহারী

من لأمريكا؟ فإنها قد آذت الله ورسوله

আমেরিকার (সাথে যুদ্ধের) জন্য কে আছে? কারণ এরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে অপমান করেছে

للشيخ حارث النظاري حفظه الله

বার্তাপ্রদানকারী শাইখ হারিস আল-নাযহারী আল্লাহ্ তাঁকে হিফাজত করুন

Downland

Archive Link:
https://archive.org/details/mn-amrk-bn

word
https://banglafiles.net/index.php/s/yNGRcCPFzCBbnzW
http://www.mediafire.com/file/tfsgaozubifcqwj/25.WHARTFAA_Bn.docx/file
http://www.mediafire.com/file/idk6s88p4rsyvcv/americar_sathe_k_ache-_saikh_haris-_word.pdf/file

PDF
https://banglafiles.net/index.php/s/CwnZpDAY7ykYoYQ
http://www.mediafire.com/file/wd0zzorxui37vlq/25.WHARTFAA_Bn.pdf/file
http://www.mediafire.com/file/bq8lnwod4pfuxcz/americar_sathe_k_ache-_saikh_haris-_pdf.pdf/file
=============================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
In your dua remember your brothers

========================

بسم ﷲ الرحمٰن الرحیم

সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আব্দুল্লাহর পুত্র নবী মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং তাঁর পরিবারের উপরযিনি হলেন সর্বশক্তিমান আল্লাহর তরফ থেকে দুই সৃষ্টির (মানুষ এবং জ্বীন) জন্য পাঠানো এক রাসূল। আব্দুল্লাহর পুত্র নবী মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই পৃথিবীর সকলের জন্য নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন।

বলুন, হে লোকেরা! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের সকলের প্রতি পাঠানো এক আল্লাহর রাসুল, যার মালিকানায় রয়েছে আসমান ও জমিনের রাজত্ব। তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নাই। তিনিই জীবিত করেন এবং তাঁর কারনেই মৃত্যু বরন হয়। সুতরাং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি একজন নিরক্ষর নবী যিনি আল্লাহ ও তাঁর আয়াতসমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছেন এবং তাঁকে অনুসরন কর যেন তোমরা পথপ্রাপ্ত হতে পারো। সূরা আরাফ আয়াত ১৫৮

ইমাম মুসলিম জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেনতিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “আগে প্রত্যেক নবীকে পাঠানো হত শুধু তাঁর জাতির জন্য কিন্তু আমাকে সমগ্র মানব জাতির জন্য পাঠানো হয়েছে।” তাই যেকোন ধর্ম অথবা, বিশ্বাসের প্রত্যেককেই মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর বিশ্বাস আনতে হবে। এবং যেই হেদায়াত প্রত্যাখ্যান করে এবং সত্য থেকে দূরে থাকে তাঁর স্থান হবে জাহান্নাম।

আহলে কিতাবইহুদী এবং খ্রীষ্টানদেরকে এর মাধ্যমে প্রথমে সম্বোধন করা হল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ তাঁর শপথ করে বলছি এই উম্মাহর থেকে এমন কেউ নাই হোক ইহুদি না হয় খ্রীষ্টান যেই আমার থেকে শুনবে এবং তাতে বিশ্বাস না করেই মৃত্যু বরন করবে যা দিয়ে আমাকে পাঠানো হয়েছে সে জাহান্নামের অধিবাসিদের একজন হবে।” (মুসলিম কর্তৃক বর্নিত)

তাই ইহুদী এবং খ্রীষ্টানদেরকে হুকুম করা হয়েছে তারা যেন নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে অনুসরন করে।

যারা অনুসরণ করে বার্তা বাহক উম্মী নবীর যার উল্লেখ রয়েছে তাওরাত এবং ইঞ্জিলে যে তাদেরকে সৎ কাজের নির্দেশ দেয় ও অসৎ কাজে নিষেধ করে এবং যে তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে এবং অপবিত্র বস্তু হারাম করে এবং যে তাদের উপর থাকা বোঝা এবং শৃংখল মুক্ত করে দেয় (সূরা আরাফ আয়াত ১৫৭)

আগের নবীরা (আঃ) শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ব্যাপারে ভবিষ্যৎবানী করে গিয়েছিলেন এবং তাদের অনুসারীদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন তারা উনাকে অনুসরন করে এবং অনুগত হয়ে ইসলামে প্রবেশ করে।

কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কুফরি না করে ক্ষান্ত হল না (সূরা ইসরা আয়াত ৮৯)

মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্মানিত হানাফিয়্যাহ, তাওহীদ, ন্যায়বিচার এবং দয়া নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কিন্তু পাপীরা এতে সন্তুষ্ট হয় নি এবং তারা পথভ্রষ্টতা, অবিচার, অন্যায়, নির্যাতন এবং অজ্ঞতাকে বেছে নিল।

কবিতাঃ

যখন পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত অন্ধকার

এবং কুফরঃ পাথর পূজা তখন তাঁর আগমন

কিন্তু তিনি সুরা ফাতিহা যা ৫ ওয়াক্ত সালাতে পড়া হয়

তাঁর মাধ্যমে নিয়ে আসেন দ্বীন ইসলাম

তিনি পরিবর্তন করেন ন্যায় দিয়ে অবিচারী শিরককে

এবং ভয়কে নিরাপত্তা দিয়ে

তিনি তাদেরকে দাওয়াহ দেন কিন্তু তারা অন্ধ ও বধির সাজে

তাই তিনি আঘাত ও বিদ্ধ করেন

তাই তিনি তাদেরকে হত্যার নির্দেশ জারি করেন

এবং বন্দিদেরকে মুক্তিপণ নেন অথবা, মুক্ত করে দেন

তিনি তাঁর প্রতি হিংসাকারীকে জোর করে দূর্গ থেকে বের করে দেন

এবং তাদের কাউকেই ছেড়ে দেন নি

তিনি হাতে নেন এক ঝকঝকে তলোয়ার এবং এক দীর্ঘ বল্লম

তিনি তাদেরকে সন্ধ্যায় আক্রমন করতেন রুদ্ধশ্বাসে ছোঁটা ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে

যদি তোমরা সমস্ত আরব ও অনারবকে তাঁর সাথে তুলনা কর তবে ওরা তাঁর সমতুল্য হবে না

নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে নিয়ে ব্যাঙ্গ করা অমার্জনীয় অপরাধ, এ নিয়ে আলাপচারিতা নিষ্ফল এবং ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহন করা হয় না।

এবং আপনি যদি তাদেরকে প্রশ্ন করেন, তারা হয়ত বলবে, “আমরা তো আলাপ আলোচনা এবং ক্রীড়া কৌতুক করছিলাম।” বলে দাওঃ তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর নিদর্শন এবং তাঁর রাসুলকে বিদ্রুপ করছিলে? …… তোমরা অজুহাত তালাশ কর না(সূরা আত তাওবাহ ৯ আয়াত ৬৫)

নব্যুউয়্যাতের সম্মানিত মর্যাদা ক্ষুন্ন করার শাস্তি হল রক্ত পাত। যখন অভিশপ্ত ইহুদী (কাব বিন আলআশরাফ) এই সম্মানিত মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে চাচ্ছিল, নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুসলিমদের আহবান জানান, “কাবের (হত্যার) জন্য কে আছো? সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে অপমান করেছে।”

এবং আজকের দিনে আমেরিকার (সাথে যুদ্ধ করার) জন্য কে আছো? তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অপমান করেছে।

বক্তৃতা, বিবৃতি, প্রত্যাহার, বিক্ষোভ প্রদর্শন, মাফ চাইতে বলা, মানব রচিত আইনের কাছে বিচার চাওয়ার মাধ্যমে নবী (সাঃ) কে সমর্থন করা হবে না বরং এর ফলে কুফফারদের অন্যায় ও অত্যাচার আরো বৃদ্ধি পাবে। সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হল তাই করা যা নবী (সাঃ) কাব বিন আলআশরাফকে দিয়ে শুরু করেছিলেন।

কবিতাঃ

দোয়াত ছেড়ে রক্ত দিয়ে লিখো,

তোমার মুখ বন্ধ রেখে অন্য মুখ খোলো

তা হল শত্রুর বুকে কামানের মুখ

আছে যার বাকপটুতা পরাজিত করার

আজ আর হবে না বক্তৃতা অথবা, চিঠি বরং জিহবা কাঁটা এবং ঘাড়ে আঘাত এবং কথা হবে তলোয়ারের ভাষায়।

কথ্যভাষা অস্ত্রের ভাষার থেকে পিছিয়ে পড়েছে

আমরা নির্বাক মুখের জন্যে বাকপটু বাহু প্রয়োগে আগ্রহী

লিবিয়ার মুসলিমরা কত উত্তম কাজ করেছে যখন তারা আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে হত্যা করেছিল। তারা একটা ভাল সুন্নাহ শিখিয়ে দিয়েছে। তারা এবং তাদের মত যারাই এই কাজ করবে হাশরের ময়দানে তারা এর জন্য উত্তম পুরষ্কার পাবে। ওহে, কী সাফল্যমন্ডিত চেহারা এবং বরকতময় তোমাদের হাত!

যখন তারা (অজ্ঞ ও পথভ্রষ্ঠরা) বলে যাচ্ছে আল্লাহর রাসূল কোনোও ব্যক্তির রক্তপাত করতে কাউকে পাঠাননি তখন তোমরা তা করেছো।

অজ্ঞতা, পথভ্রষ্টতা, তোমরা তোমাদের কলম দিয়ে বিজয়ের পরে তলোয়ার দিয়ে বিজয় করেছো

যখন সব নীতিবান মানুষ আসলো দয়া দেখানোর জন্য, তলোয়ার তখন অজ্ঞ এবং পথভ্রষ্টদের কব্জা করলো।

আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কে যারা ভালবাসে তারা কোথায়?

তাঁর জন্যে যারা নিজেদের জান ও মাল উৎসর্গ করে তারা কোথায়?

যারা আল্লাহর প্রতি সত্যনিষ্ঠ তারা কোথায়?

আমেরিকানদের দালাল বলে যাচ্ছেঃ এম্বেসীর গলা কাঁটার আগে আমার গলা (আমি দিয়ে দিব)

তাহলে কোথায় বিশ্বাসী বান্দারা যারা বলেঃ হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) আপনার গলা কাঁটার আগে আমার গলা (আমি দিয়ে দিব।)

আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি যে, আল্লাহ নবীর শত্রুকে এবং নবীর শত্রুর দালালদেরকে পরাস্থ করবেন এবং আল্লাহ আমাদের বিশ্বাসীদের মাধ্যমে নবী (সাঃ) কে সাহায্য করবেন। আর এই হল আল্লাহর করা তাঁর নবীর প্রতি এক ওয়াদাহ।

অতঃপর নিশ্চয়ই আল্লাহই তোমার জন্যে যথেষ্ট। আর তিনিই তোমাকে তাঁর থেকে আসা সাহায্য এবং বিশ্বাসীদের মাধ্যমে তোমাকে শক্তি যোগান। (সূরা আনফাল আয়াত ৬২)

আমরা তাদের পুত্র যারা আকাবার দিনে নবী (সাঃ) কে সাহায্য করার জন্য তাঁর কাছে বায়’আহ দিয়েছিল। এবং তাঁরা তাকে ঠিক সেভাবেই রক্ষা করেছিলেন যেভাবে তারা তাদের মেয়েলোকদেরকে, নিজেদেরকে এবং তাদের বাচ্চাদের রক্ষা করতেন। আমরা এখনো আমাদের পূর্বপুরুষদের করা শপথের ব্যাপারে অটল আছি এবং এই বায়’আহ পূর্ণ করা হবে। আমরা তাই বলি যা আমাদের পূর্বপূরুষরা বলেছিলেন, “কত সফল এক চুক্তি! আমরা আপনার কাছে এ থেকে অব্যাহতি চাইবো না এবং আমরা নিজেরা অব্যাহতি নিব না।”

আমরা ইয়েমেনীরা, হে তাহা, আনসারদের আত্মার উঁচু টিলার দিকে উড়াল দাও

যদি ‘আমর এবং তাঁর নীতির কথা তোমাদের মনে থেকে থাকে তবে আমাদের ব্যাপারে গর্বিত হও আমরা ‘আমরের উত্তরসূরী

হে মুসলিম, সব মুসলিম এক সাথে, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর জন্যে ভালবাসার খাতিরে এবং তাঁর সাথে জান্নাতে দেখা করার তাড়নায় তোমরা তোমাদের মাল ও জান উৎসর্গ কর। আমরা কিভাবে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর ব্যাপারে কাল ক্ষেপন করতে পারি! আজ যে আমরা আমাদের প্রিয় নবী এবং তাঁর সাহাবীদের সাথে দেখা করব।

এবং যেই আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলকে মেনে চলবে সে নবী, সত্যনিষ্ঠ, শহীদ ও সৎকর্মপরায়ণযাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেতাদের সংগী হবে এবং তারা কতই না উত্তম সঙ্গী হিসাবে। হে মু’মিনগণ, সতর্কতা অবলম্বন কর, অতঃপর দলে দলে বিভক্ত হয়ে অগ্রসর হও অথবা, এক সঙ্গে আগ্রসর হও। তোমাদের মধ্যে এমন লোক আছে, যে গড়িমসি করবেইতোমাদের কোন মুসীবত হলে সে বলবে, তাদের সঙ্গে না থাকায় আল্লাহ আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। আর তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ হলে, যেন তোমাদের এবং তাঁর মধ্যে কোণ সম্পর্ক নাইএমনভাবে বলবেই, হায়! যদি তাদের সঙ্গে থাকতাম তবে আমিও বিরাট সাফল্য অর্জন করতে পারতাম। সুতরাং যারা আখিরাতের বিনিময়ে পার্থিব জীবন বিক্রয় করে তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করুক এবং কেউ আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে সে নিহত হোক অথবা, বিজয়ী হোক আমি তাকে মহাপুরস্কার দান করিবই। সূরা নিসা আয়াত ৬৯৭৪

আল্লাহ তার কর্মসম্পাদনে অপ্রতিহত, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত নয়। (সুরা ইউসুফ ২১)

আলমালাহিম মিডিয়া দ্বারা প্রকাশিত

জিলক্বদ ১৪৩৩ সেপ্টেম্বর ২০১২

পরিবেশনায়

আলক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া

গ্লোবাল ইসলামিক মিডিয়া ফ্রন্টের একটি শাখা

مُؤَسَّسَةٌ الْقَادِسِيَّةِ لِلْإِنْتَاجِ الْإِعْلامِيَّ

المصدر: ( مركز صدى الجهاد للإعلام )
الجبهة الإعلامية الإسلامية العالمية
رصد لأخبار المجاهدين و تحريض للمؤمنين

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − eleven =

Back to top button