অডিও ও ভিডিওআল-কাদিসিয়াহ মিডিয়াউস্তাদ আহমাদ ফারুক রহিমাহুল্লাহপাকিস্তানবই ও রিসালাহবার্তা ও বিবৃতিবাংলা প্রকাশনামিডিয়াহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

ঘুম থেকে জেগে ওঠো এবং বিশ্ব কাঁপিয়ে তুলো! – উস্তাদ আহমেদ ফারুক

مؤسسة القادسية للإنتاج الإعلامي
আল–ক্বাদিসিয়াহমিডিয়া 

تقدم 
পরিবেশিত

الترجمة البنغالية لإصدار السحاب المرئي
বাংলায়অনূদিতআস–সাহাবেরমুক্তিপ্রাপ্তভিডিও 

بعنوان 
শিরোনাম

استيقظ من سباتك أيها المسلم وهز العالم!
ঘুম থেকে জেগে ওঠো এবং বিশ্ব কাঁপিয়ে তুলো!

للأستاذ أحمد فاروق حفظه الله
বার্তা প্রদানকারী উস্তাদ আহমেদ ফারুক আল্লাহ্ তাঁকে রক্ষা করুন

Archive Page
https://archive.org/details/men-soubatik

Word

https://banglafiles.net/index.php/s/FHeoQdRsEdrrGfC
http://www.mediafire.com/file/6xjq2lpjfovzyk2/29.risebn.docx/file

PDf

https://banglafiles.net/index.php/s/xLE3TZzXFaDqmea
http://www.mediafire.com/file/z5fipjyhm39t1um/29.risebn.pdf/file

===============================

ঘুম থেকে জেগে ওঠো এবং বিশ্ব কাঁপিয়ে তুলো!

বিবৃতি

উস্তাদ আহমাদ ফারুক

(আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করুন)

দক্ষিণ এশিয়ার সংখ্যালঘু মুসলিমদের গণহত্যার প্রেক্ষিতে

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর প্রাপ্য যিনি সমগ্র সৃষ্টি কূলের রব সমস্ত প্রশংসাই আল্লাহরআসমান জমীনের সব কিছু তাঁরই মালিকানাধীন তিনি আসমান জমীনের সৃষ্টি কর্তা এবং যখন তিনি কোন কিছু সৃষ্টি করতে চান তখন তিনি শুধু বলেনহও, আর তা হয়ে যায় এবং সালাম সালাওয়াত প্রেরণ করছি খাতামুল আম্বিয়া, সব নবী রাসূলদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং তার পরিবার, সাহাবী এবং সন্তানসন্ততিদের উপর তাদের সবার উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে সালাম দয়া বর্ষিত হোক

সমগ্র বিশ্ব জুঁড়ে থাকা আমার প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা,

আল্লাহর দয়া, বারাকাহ এবং নিরাপত্তা আপনাদের উপর বর্ষিত হোক!

বার্মা, ভারতের আসাম, এবং শ্রীলংকার অত্যাচারিত মুসলিম ভাই বোনদের উপর আপতিত হওয়া বেদনাদায়ক দূর্ভোগের খবর নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে পৌছেছে এই মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে শত শত মুসলিমদের ভেড়ার মত জবাই করা হয়েছে অথচ কেউ এক ইঞ্চি পরিমাণ নড়েননি তথাকথিত বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতা যারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে মঙ্গলগ্রহে পর্যবেক্ষক দল প্রেরণ করতে সামান্যতম দ্বিধা বোধ করে না অথচ এরাই সর্বনিম্ন পরিমাণ অর্থ সম্পদ ব্যয় করে এই পৃথিবীর বুকেই ঘটে যাওয়া এই অত্যাচার অবিচার বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়

অত্যাচারের শিকার হওয়ার জন্য সান্তনা সমবেদনা দেখানোর নামে সংগঠিত হওয়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনগুলো হয়ত আফ্রিকার কোন বনে থাকা কোন অসুস্থ বাঘকে রক্ষা করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্ট করতে পারে অথচ এই তারাই আবার হাজার হাজার মানুষের নির্মম গনহত্যার বিরুদ্ধে সামান্য প্রতিবাদ লিপি ইস্যু করতে ব্যর্থ হচ্ছে একই পাশ্চাত্যের সরকার এবং এন.জি. গুলো পবিত্র কোরআন অবমাননার দায়ে দোষী এক মেয়েকে নিষ্পাপ প্রমান করার জন্য এবং তাকে মুক্ত করে দেয়ার জন্য তাদের হাতের কাছে থাকা সব ধরনের সম্পদ ব্যবহারে কুন্ঠিত হয় না এছাড়াও যেখানে বর্তমানে পাকিস্তান থেকে ভারতে মাত্র ১৩০ জন হিন্দুর স্থানান্তরিত হওয়া ব্যাপক হৈ চৈর জন্ম দিয়েছে সেখানে একই সরকার এবং এন.জি. গুলো বার্মা আসামের বুকে ঘটে যাওয়া ২০০০০ মুসলিমের হত্যা, তাদের ঘর দোকান পাট ধ্বংস এবং হাজার হাজার অসহায় মানুষকে যখন তাদের ঘর বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় তখন ব্যাপারে তারা তাদের মুখে কলুপ এটে রাখে

যে আমেরিকা বার্মার উপর অবরোধ আরোপ করেছিল যখন সেখানের বিরোধী দলগুলোর কোন রাজনৈতিক স্বাধীনতা ছিল না সেই একই আমেরিকা বার্মার মুসলিম জনতার সামান্য বেঁচে থাকার স্বাধীনতার প্রশ্নে কোন বিকার দেখায় না যে জাতিসংঘ পূর্ব তিমূরে খ্রীষ্টানদের রক্ষা করার জন্য তড়িঘড়ি করে সেখানে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং দক্ষিণ সুদানে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে যাতে সেখানে এক স্বাধীন সার্বভৌম দেশই প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং নাইজেরিয়ার খ্রীষ্টানদের জন্য দুঃখে কাতর হয়ে পড়ে, সেই জাতিসংঘ যারা এত সংবেদনশীল মানসিকতার ধারক বাহক যেমালিতে এক পীরের মাজার ধ্বংসের খবর হজম করতে পারে না সেই একই সংবেদনশীল মানসিকতায় যখন ভরা দিবালোকে সংখ্যালঘু মুসলিমদের জোর করে তাদের নিজেদের ঘর বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হচ্ছিল এবং প্রতিরক্ষায় অক্ষম মুসলিম জনতাকে ব্যাপক হত্যা করা হচ্ছিল তখন তাদেরকে নীরব দর্শকের ভূমিকা থেকে সরে আসার মতো আঘাত পড়েনি

স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া আউটলেটগুলো যখন তাদের শিরোনামগুলো মুজাহিদীনদের এক অভিযানে অনাকাংখিত ভাবে নিহত হওয়া এক ব্যক্তির খবর অতিরঞ্জিত করে প্রকাশে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং অভিযানের বাস্তব লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে উপেক্ষার করে সর্ব মনোযোগ মুজাহিদীনদের ভূলে নিবদ্ধ রেখে বার বার নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের আহাজারি প্রদর্শন করছে যেন মনে হয় এই পুরো অভিযান এই নিরপরাধ ব্যক্তির হত্যার জন্যই পরিচালিত হয়েছে এই মিডিয়া যারা এরকম বহু ঘটনায় মুজাহিদীনদের খাটো করার জন্য বানোয়াট ভূয়া বিবৃতি দিয়ে আসছে এই একই মিডিয়া আউটলেটগুলো কয়েকটি ছোট খবরের জের ধরে উস্কানীহীন, অন্যায় দয়াহীন হাজার হাজার প্রতিরক্ষাহীন নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং যুবকদের গনহত্যাকে পারস্পারিক ধর্মীয় কোন্দল হিসাবে উপস্থাপন করে আসছে এবং তা করতে গিয়ে সাংবাদিকতার সব নীতি এবং নিয়ম এক পাশে সরিয়ে রেখেছে

আমার প্রিয় মুসলিম উম্মাহ!

বর্তমান আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার এই হল বাস্তবতা যা সাজানো হয়েছে আমেরিকার নেতৃত্বে! এই ব্যবস্থায় মুসলিম ছাড়া বাকী সবার ধর্মের নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ন, মৃত্যুর হুমকী, সবার সম্পদ এবং সম্মানহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে হোক না তা বার্মা, ভারত, শ্রীলংকা এবং থাইল্যান্ডের সংখ্যা লঘু মুসলিম, পূর্ব তুর্কিস্থান এবং ফিলিপাইনের মুসলিম জনতা, অত্যাচারিত চেচনিয়া এবং বসনিয়ার অত্যাচারিত মুসলিমদের ইস্যু অথবা, ইরাক এবং সিরিয়ার সুন্নি জনতার ইস্যু, যতক্ষন পর্যন্ত মুসলিমদের জবাই করা হচ্ছে, হোক না তখন বিশ্বের মানবতা জাগ্রত হয় না তথাকথিত বিশ্ব সম্প্রদায় ইহা প্রতিরোধে এগিয়ে আসে না

এই ব্যবস্থা উদ্ভাবন করাই হয়েছে আমাদের অপদস্ত এবং শিকলে আবদ্ধ করে রাখার জন্য করুনা হয় ঐসব সংকীর্ণ আত্মাগুলোর প্রতি যারা এক হীনমন্যতায় ভোগছেন এরা এত্ত মুসলিম রক্তক্ষরন দেখার পরও এবং এই গ্লোবাল অর্ডারের পর্দা তাদের চোখের উপর থেকে তুলে ধরার পরও তারা শুধুই শান্তিপূর্ণ পন্থায় এই অত্যাচারের জবাব দেয়ার জুন্য লোকদের আহবান করে চলেছেন এই পথ, যার দিকে তারা আমাদেরকে আহবান জানাচ্ছেন তা যে শুধু শরীয়াহ দ্বারাই প্রত্যাখ্যাত তাই নয় এমনকি তা স্বাভাবিক বিবেক বুদ্ধিরও পরিপন্থী কারো যদি এক দানা পরিমান সাধারন জ্ঞান থাকে তবে সে কখনই অত্যাচারিতের প্রতি এই উপদেশ দিবে না যে তোমরা অত্যাচারীর সামনে হাঁটু গেড়ে বস এবং তার কাছে নিজেদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আবেদন কর শক্তিকে শুধু শক্তি দিয়েই প্রতিহত করা যায় আর তা যদি না করা হয় এবং অত্যাচারীর শক্তিকে চুরমার করে দেয়া না হয় তবে এই পুরা পৃথিবী বিশৃংখলায় ছেয়ে যাবে

মহামহিমান্বিত আল্লাহ কোরআনে বলেনঃ

أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ ۔ الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ إِلَّا أَنْ يَقُولُوا رَبُّنَا اللَّهُ وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لَهُدِّمَتْ صَوَامِعُ وَبِيَعٌ وَصَلَوَاتٌ وَمَسَاجِدُ يُذْكَرُ فِيهَا اسْمُ اللَّهِ كَثِيرًا وَلَيَنْصُرَنَّ اللَّهُ مَنْ يَنْصُرُهُ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ (الحج: 40,39)

যাদের (বিশ্বাসী) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়েছে তাদের অনুমোদন দেয়া হল কারন তাদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে বিজয় দানে সক্ষম যাদের তাদের ঘরবাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল অন্যায় ভাবে শুধু কারনেই যে তারা বলেছিল, “আমাদের রব আল্লাহযদি আল্লাহ একদল মানুষ দ্বারা অন্য দলকে প্রতিহত না করতেন তবে সাওয়ামী, বিইয়া, সালাওয়াত এবং মাসজিদসহ যেসব স্থানে আল্লাহর নাম অধিক স্মরন করা হয় সেগুলো ধ্বংস হয়ে যেত নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন যে তাঁকে সাহায্য করে সত্যই আল্লাহ সর্বোশক্তিমান মহা পরাক্রমশালী (সূরা হাজ্জ্ব ২২ আয়াত ৩৯,৪০)

আর যদি এই উম্মাহ একজন অপরজনকে সাহায্য এবং রক্ষা করতে এগিয়ে না আসে, যদি এই উম্মাহ এর অত্যাচারিত ভাইদের সাহায্য না করে এবং কুফফারদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ না হয় তবে এর ফলে উম্মাহর ধ্বংস বিপদ হতেই থাকবে

পরম করুণাময় রব বলেনঃ

وَالَّذِينَ كَفَرُوا بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ إِلَّا تَفْعَلُوهُ تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الْأَرْضِ وَفَسَادٌ كَبِيرٌ (الأنفال: 73)

যারা অবিশ্বাসী তারা একে অপরের বন্ধু এবং তোমরা (মুসলিম) যদি তা না কর (একে অপরকে সাহায্য) তাহলে জমিনে ফিতনা ফাসাদ ছড়িয়ে পড়বে (সূরা আনফাল আয়াত ৭৩)

এই বেদনাদায়ক ঘটনাবলী পরিষ্কার করে দিয়েছে যে .আই.সি এবং এর সদস্য দেশগুলো এবং এর সরকার মুসলিম দেশগুলোর সামরিক বাহিনী থেকে কোন রূপ সাহায্যের আশা করা বৃথা এরা নিজেরাই অন্য কারো গোলাম এদেরকে গঠন করা হয়েছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ইশারায় এবং এদের মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে ওদের স্বার্থ সংরক্ষন করা তাদের বন্দুক মুসলিমদের দিকে তাক করা সম্ভব তবে মুসলিমদের রক্ষার জন্য ট্রিগার দাবানো অসম্ভব

আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা অদৃশ্য সাহায্য ছাড়া যদি এই পুরো বিশ্বের সব কোনায় মুসলিমদের জন্য আশা ছিটাফোঁটা দেখা যায় তবে তা হল মুজাহিদীনরা যারা বর্তমানে নতুন বিশ্বের এই ধারার সাথে যুদ্ধ করে আসছে যা আমেরিকা ইসরাঈলের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে যেন তারা এই উম্মাহকে তাদের আজ্ঞাবহ গোলামে পরিণত করতে পারে এই ব্যবস্থার শিকল থেকে এই উম্মাহর মুক্তিই পারে একমাত্র এই অত্যাচারিত বিশ্বের জন্য মুক্তির সুসংবাদ নিয়ে আসতে পরম দয়ালু রবের পক্ষ থেকে আমরা ব্যাপারে চরম আশাবাদী যে অত্যাচারীদেরকে বিচারের সম্মুখীন করতে এবং এই মানবতাকে মানবের গোলামী থেকে মুক্ত করার দিন আর বেশি দূরে নয়

আমার প্রিয় পাকিস্তানের ভাইয়েরা,

বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে এটা বলে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ যে আসাম বার্মায় ঘটে যাওয়া বেদনাদায়ক ঘটনাবলীর জন্য পাকিস্তানী আর্মিও সমান দোষী হ্যাঁ! এই বাহিনীর করা অবিচারের গল্পগুলো সীমাহীন, কিন্তু ইতিহাসের এই কালো অধ্যায় খুবই সতর্কতার সাথে আমাদের নজরের বাইরে রাখা হয়েছে

মুসলিমদের যারা আজ বর্তমানে বার্মা এবং আসামে অত্যাচারের নিশানা হয়েছে সেদেশগুলোর কুফফার জনগনের দ্বারা যাদের একটি বড় অংশ তাদের অন্তরের গহীনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে পাকিস্তানের প্রতি ভালবাসা পোষণ করত এবং বিভাজনের প্রবনতাকে প্রত্যাখান করে আসছিল কিন্তু জেনারেল নিয়াজীর নেতৃত্বে যখন ঢাকার পল্টন ময়দানে ৯০০০০ সশস্ত্র পাকিস্তানী সেনা ভারতের জেনারেল আরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করল তা যে শুধু পাকিস্তানের দুই ভাগ হওয়ার রাস্তাকে প্রশস্ত করে দিয়েছিল তাই নয় বরং তা হাজারো মুসলিমের জীবনকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল শুধু বছরের পর বছর ধরে তারা তাদের বুকে সে স্বপ্ন ধরে রাখার কারনে তাই পূর্ব পাকিস্তানের বিভক্তির পরে তাদের ভয় সত্যে প্রমাণিত হল

মুসলিমদের যারা পাকিস্তানকে সমর্থন করছিল তারা বাংলাদেশে করা পাকিস্তান আর্মি যেসব নৃশংসতা সংগঠিত করেছিল সেগুলোর জন্য প্রতিশোধের নিশানায় পরিণত হল এই প্রতিশোধ পরায়ণ আক্রমন থেকে বেঁচে থাকার জন্য কিছু সংখ্যক মুসলিম আসামে এবং বাকীরা বার্মায় পালিয়ে যান বর্তমানে এই অসহায় মুসলিম জনতা সমগ্র দুনিয়ায় একা পড়ে আছে না তারা বার্মা এবং ভারতে শান্তির খোঁজ পেল না বাংলাদেশের সরকার তাদেরকে ঘরে ফিরে আসার জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে পাকিস্তান সরকার এবং তার আর্মিও এদেরকে রক্ষার জন্য কোন পদক্ষেপ নেয় নি

এখানে একটা প্রশ্ন করা প্রয়োজন, পাকিস্তান আর্মিতে এমন কি বিশেষত্ব আছে যে এর অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এবং এর ব্যয়ভার বহনের জন্য এই দেশের জনগনকে তাদের কষ্টের কামাই করা অর্থ থেকে মোটা অংকের ট্যাক্স দিতে বাধ্য হচ্ছে ইসলাম মুসলিমের জন্য এই আর্মি কি কাজ করেছে? কোন ময়দানে এরা কুফফারদের শয়তানী থেকে মুসলিমদের রক্ষা করতে পেরেছে? কখনো কি এই আর্মিযারা নিজেদের ক্ষমতা এবং সামরিক দক্ষতার বড়াইয়ে ব্যস্ত, সফল ভাবে এই ধর্মকে রক্ষা করতে এবং মুসলিমের জান মালের নিরাপত্তা দিতে পেরেছে? হোক না তা ১৯৪৮, ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ এর যুদ্ধ অথবা, কারগিল যুদ্ধ যখনই এই আর্মি কুফফারদের বাহিনীর মুকাবিলা করেছে তখনই তারা লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করেছে

হ্যাঁ! তারা যদি কোন জায়গায় সফল হয়ে থাকে তা হল এই পাকিস্তানকে ভেংগে দুই টুকরো করতে এরা ইসলামিক আমিরাতকে ধ্বংস করতে সফল হয়েছে এরা মুজাহিদীনদের খুঁজে বের করতে সফল হয়েছে এরা নিজের দেশের বিভিন্ন গোত্রীয় জনগণকে যেমনবেলুচিস্তান এবং সোয়াতে সাফ করতে সফল হয়েছে এখন শুধু মাত্র আল্লাহর পক্ষেই সম্ভব এই অঞ্চলের জনগনকে এই ধরনের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে

প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তান সহ এই দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমদের সংরক্ষন শুধু তখনি সম্ভব হবে যখন ইসলামিক সাম্রাজ্য আবার ফিরে আসবে যার রাজধানী একসময়ে কাবুল ছিল এবং অন্য এক সময়ে ছিল দিল্লী যা শরীয়াহ দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল যার ছায়া তলে শুধু মুসলিমরাই নয় বরং কুফফাররাও শান্তি নিরাপত্তার জীবন লাভ করেছিল

আমার কথা শেষ করছি, আমি আসাম, বার্মা এবং শ্রীলংকার বৌদ্ধ জনতাকে এই বার্তা পৌছিয়ে দিতে চাই যে, আমরা আমাদের বন্দুক এখন বুদ্ধের অনুসারীদের দিকে ফিরাই নি এবং আমি মনে করি না আল্লাহর মুজাহিদ বান্দাদের মাত্র কয়েকটা আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা তোমাদের আছে তাই আমাদের মুসলিম ভাইদের প্রতি অবিচার করে তোমরা তোমাদেরকে যুদ্ধে জড়িয়ো না যা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার মত যোগ্যতা তোমাদের নেই

আমি বার্মার সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে তোমাদের দেশ সবে মাত্র আন্তর্জাতিক অবরোধ থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করছে এবং তোমাদের অর্থনীতি তার নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে রাখার জন্য লম্বা পথ পড়ে আছে সুতরাং এমন কোন কাজ কর না যার ফলে তোমাদের শান্তি, অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় মনে কর না যে এভাবে মুসলিম রক্ত বইতে থাকবে এবং তোমাদের অগ্রগতির পথে তা কোন বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না

আমি ভারতীয় সরকারকেও সতর্ক করে দিতে চাই যে কাশ্মীর, গুজরাট এবং আহমাদাবাদের পরে তোমরা চাইলে তোমাদের বীভৎস কাজের দীর্ঘ তালিকায় আসামের নামও যোগ করে নিতে পার কিন্তু এটা ভুলে যেও না যে তোমাদের অধীনে থাকা প্রতিটি অত্যাচারিত মুসলিমের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ নেয়ার দায়িত্ব আমাদের কাঁধে ন্যস্ত তোমাদের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ আমাদের কাছে দিল্লীর দিকে অগ্রসর হওয়ার তাড়াই দিয়ে যাবে এবং ভারতে থাকা লক্ষ লক্ষ মুসলিম যুবককে এই কথাই স্মরণ করিয়ে দিবে যে জিহাদ এবং লড়াই এর পথ ছাড়া এই দুনিয়া এবং আখিরাতে সফল হওয়ার কোন পথ গ্রহন করা অসম্ভব

আমি বাংলাদেশের আলেম সমাজ এবং জনগনকে অনুরোধ করব তারা যেন তাদের প্রতিবেশী অত্যাচারিত মুসলিমদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন এবং তাদের কালা সরকারকে তার বর্ডার খুলে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবং এরা যেন তাদের অত্যাচারী কর্মকান্ড বন্ধ করে যা অত্যাচারিত বার্মা এবং আসামের মুসলিমদের জন্য জীবন ধারণ করা আরো কঠিন করে তুলছে

পরিশেষে আমি বার্মা, ভারত শ্রীলংকা সহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার সব অত্যাচারিত মুসলিম জনগণকে এই বার্তা পৌছিয়ে দিতে চাই যে তোমাদের অবস্থার খবরে আমাদের অন্তরে ক্ষতের সৃষ্টি হয় কিন্তু একই সময়ে, আমেরিকা এবং এর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আপনাদের অত্যাচারের বন্ধন থেকে মুক্ত করার জন্য আমাদের করে যাওয়া জিহাদ আমাদের অন্তরে কিছু সান্তনা প্রদান করে ইনশাআল্লাহ আমরা সর্বদা লড়াই করতে থাকব ধৈর্য্য সহকারে এবং এই বিশ্বময় ক্রুসেডারজাওনিস্টমুশরিক ঐক্যের বিরুদ্ধে দৃঢ় থাকব যারা আপনাদেরকে সহ পূরো উম্মাহকে শোষন করছে যতক্ষন না এই শয়তানী ঐক্য ভাঙ্গবে, মানব জাতিকে এই অশুভ চক্র থেকে মুক্ত করে এবং ক্ষমতার রাজত্ব এই নির্বোধ এবং দূর্নীতিপরায়ন লোকদের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বিশ্বাসী আল্লাহর বান্দাদের হাতে দেয়া হবে ততক্ষন পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে

আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আপনাদের দূর্ভোগ্যের সমাধান কিছু প্রতিবাদ সভা অথবা, কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহনের মাধ্যমে হবে না আপনাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধকে পরিবর্তন করার জন্য আমাদেরকে শরীয়াহর দেয়া শিক্ষা মোতাবেক শক্তি সঞ্চয় করতে হবে, জিহাদের রাস্তায় অটল থাকতে হবে এবং জিহাদের ভূমিতে আমাদের রক্ত উৎসর্গ করতে হবে যতক্ষন না আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে এই জমিনে প্রতিষ্ঠিত করে দেন এবং ইসলামকে আরো একবার বিজয়ী করে দেন আমরা যদি জিহাদের কষ্ট দেখে পিছিয়ে পড়ি অন্য কোন পথে চলি তবে তা নিজের কাছে হেরে যাওয়া পথ গ্রহনের সদৃশ হবে আল্লাহ যেন আমাদেরকে এই সম্মান বিজয়ের পথের দিশা দেখানোর পর এই ধরনের অবমাননাকর পথে ফিরে যাওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখেন আমিন

আল্লাহর পক্ষ থেকে সালাম এবং সালাওয়াত বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ), এবং তাঁর পরিবার সাহাবীদের প্রতি

পরিবেশনায়

আলক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + 4 =

Back to top button