মুসলিম উম্মাহর প্রতি ইমামের বার্তা | শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ | Bengali Translation
مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা ডাবিং
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled
دعوة الإمام لأمة الإسلام
মুসলিম উম্মাহর প্রতি ইমামের বার্তা
Imam’s Message to the Muslim Ummah
للشيخ أيمن الظواهري حفظه الله
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
By Sheikh Ayman Az Zawahiri Hafizahullah
للمشاهدة المباشرة والتحميل
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading
লিংক-১ : https://justpaste.it/muslim_ummahor_proti_imamerbarta
লিংক-২ : https://mediagram.me/5f903801f073fa55
লিংক-৩ : https://noteshare.id/KjR28ao
লিংক-৪ : https://web.archive.org/web/20220606151859/https://justpaste.it/muslim_ummahor_proti_imamerbarta
লিংক-৫ : https://web.archive.org/web/20220606151623/https://mediagram.me/5f903801f073fa55
লিংক-৬ : https://web.archive.org/web/20220606151219/https://noteshare.id/KjR28ao
روابط الجودة الاصلية
FULL HD 1080 (387.1 MB)
মূল রেজুলেশন [৩৮৭.১ মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/Fc9EiNBM6bLbB2P
লিংক-২ : https://archive.org/download/muslim-ummahr-proti-imamer-barta-update/MuslimUmmahrProti%20imamerBarta1080.mp4
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d488o428fb2bf97234d5298809bde5b65d47c
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=l1m7v6v0y9
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/2151573f-226f-48bd-ae34-03046adefc4b/ae688a556a2fc8444cf7a6453234b67fca3148ce2b16c96048975839f0cc68f3
লিংক-৬ : https://www.mediafire.com/file/ljvova9c3javuca/MuslimUmmahrProti_imamerBarta1080.mp4/file
روابط الجودة العالية
HQ 1080 (231.9 MB)
১০৮০ রেজুলেশন [২৩১.৯ মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/bfqrccS6GDNTNm6
লিংক-২ : https://archive.org/download/muslim-ummahr-proti-imamer-barta-update/MuslimUmmahrProti%20imamerBarta-HQ.mp4
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d488o48cbefcaf97b4befa1482d7f0dad03d3
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=u2o9u9p5h0
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/4687fc41-b215-4e42-b3b1-4b1ec432b7cd/dcd5778c879dc7102dfc7fb02608e9ac52f97c4c2fa7b0ba9bc9de901a82d2b4
লিংক-৬ : https://www.mediafire.com/file/c6ra19l36xhbrad/MuslimUmmahrProti_imamerBarta-HQ.mp4/file
روابط الجودة المتوسطة
MQ 720 (116.7 MB)
৭২০ রেজুলেশন [১১৬.৭ মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/N6AWMPtyc9skTqk
লিংক-২ : https://archive.org/download/muslim-ummahr-proti-imamer-barta-update/MuslimUmmahrProti%20imamerBarta-MQ.mp4
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d488off8ff30fa85146ecbda9e63f38540530
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=f0v8w8m0s8
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/93e5a081-7704-4693-b834-f7ae637e72e2/97afa83dcbe10019554943c10d9acfb8fb70755732f3cf488ccd243796ea613c
লিংক-৬ : https://www.mediafire.com/file/fegkki2x7s4m42l/MuslimUmmahrProti_imamerBarta-MQ.mp4/file
روابط الجودة المنخفضة
LQ 360 (58.4 MB)
৩৬০ রেজুলেশন [৫৮.৪ মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/mytJEnfQd9JDwNc
লিংক-২ : https://archive.org/download/muslim-ummahr-proti-imamer-barta-update/MuslimUmmahrProti%20imamerBarta-LQ.mp4
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d488of4d66a3797414d5281e972637921b85a
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=j0x4d5g9z6
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/ee867623-f76a-4ee9-a318-0de47e59e7d4/61f1d3776ddad39dc92cbfbf1e26e9be547db603394a55f2e2653f83b5c61536
লিংক-৬ : https://www.mediafire.com/file/etaonq2hmzkil56/MuslimUmmahrProti_imamerBarta-LQ.mp4/file
روابط جودة الجوال
Mobile Qoality (69.3 MB)
3GP রেজুলেশন [৬৯.৩ মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/ekJk8iybLeex686
লিংক-২ : https://archive.org/download/muslim-ummahr-proti-imamer-barta-update/MuslimUmmahrProti%20imamerBarta.3gp
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d488ocdf9d207bf084a44967be776fbf1049e
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=s2r1l2b6f9
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/c6b9034b-fc22-48cc-a6e6-e59d62045d00/f150109dc11d10f89dfe0bb944bd05488ea86eebdd2de8a84dc9a80d9c712631
লিংক-৬ : https://www.mediafire.com/file/fg258v9e2j5vks2/MuslimUmmahrProti_imamerBarta.3gp/file
روابط بي دي اب
PDF (471 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪৭১ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/rbbDpdMLkNC23sa
লিংক-২ : https://archive.org/download/muslim-ummahr-proti-imamer-barta-update/MuslimUmmahrProti%20imamerBarta.pdf
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d488occ5f8ef5b3994a62bb30a0cdba04a563
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=u6x0a0g0u0
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/b415576c-0d15-441a-a849-85adf8f76a56/cb5d9e1370cb71eb06381a7f9156de3fb5e9d20d4809bcd118d836d90ca242e2
লিংক-৬ : https://www.mediafire.com/file/8snmbubku3fvsyi/MuslimUmmahrProti+imamerBarta.pdf/file
روابط ورد
Word (396 KB)
ওয়ার্ড [৩৯৬ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/XZHQZNyZNa5qE2w
লিংক-২ : https://archive.org/download/muslim-ummahr-proti-imamer-barta-update/MuslimUmmahrProti%20imamerBarta.docx
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d488o39f11267a76d445caac52291a1d41193
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=n9g2j0n6y6
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/b8610f88-b61b-45cf-8d54-ce33c32a5cf9/a4e02417caa154106fa7f03501ad5e2486a1ea24a3efd1a321348ec09f515c3d
লিংক-৬ : https://www.mediafire.com/file/4o68jryijqxamma/MuslimUmmahrProti+imamerBarta.docx/file
روابط الغلاف- ١
book Banner [312 KB]
বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [৩১২ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/HfP4jMgDjMRpezA
লিংক-২ : https://archive.org/download/muslim-ummahr-proti-imamer-barta-update/MuslimUmmahrProti%20imamerBarta.jpg
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d488o41c82eab53994f32ba9916c20922adb2
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=a0r9s4l1h7
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/1466aa77-8797-46be-94d8-94fac34d87d1/92c80fa20772ab907b81330a9d9a7c469021137c10843bafcdab38c91598c82a
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/view/3yuj6hmetknkz9c/MuslimUmmahrProti_imamerBarta.jpg/file
روابط الغلاف- ٢
Banner [748 KB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [৭৪৮ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/4dwyDFkQpDXqi7g
লিংক-২ : https://archive.org/download/muslim-ummahr-proti-imamer-barta-update/MuslimUmmahrProti%20imamerBarta%20bannar.png
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d488o93ad3bb01fa74c78b78101c7cba3c36b
লিংক-৪ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=k8q6y2r3r0
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/7ce99d9f-e3e1-476d-8634-3424b343f201/7d588704bca273343fdca846b16ddca38f2a8d0cffe93fca3bb2e694e6844cf2
লিংক-৬ : https://www.mediafire.com/view/8rh0tsnj3cp29yn/MuslimUmmahrProti_imamerBarta_bannar.png/file
*******
মুসলিম উম্মাহর প্রতি ইমামের বার্তা
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
بسم الله الرحمن الرحيم
শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ:
“আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের প্রতি! আপনাদের সন্তানদের রক্ত তো আমাদেরই সন্তানদেরই রক্ত। আর আপনাদের রক্ত তো আমাদেরই রক্ত। রক্তের বিনিময়ে রক্ত ঝরানো হবে, আর ধ্বংসের বিনিময়ে ধ্বংস চালানো হবে। মহান আল্লাহকে সাক্ষী করে বলছি, আমরা আপনাদেরকে ভুলে যাবো না। যতদিন না সাহায্য আসে, অথবা আমরা সেই স্বাদ আস্বাদন করি যা আস্বাদন করেছিলেন হামযা বিন আব্দুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু”।
بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وآله وصحبه ومن والاه
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ: আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর, তার পরিবার পরিজনের ওপর, তার সাহাবীদের ওপর এবং তার পদাঙ্ক অনুসারী সকলের ওপর।
বিশ্বের সকল প্রান্তের মুসলিম ভাই ও বোনেরা!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
হামদ ও সালাতের পর…
ইমাম, মুজাদ্দিদ শাইখ উসামা বিন লাদেনের শাহাদাতের পর প্রায় এগার বছর অতিক্রম হতে চলেছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর জন্যে যথেষ্ট।
আল্লাহ তায়ালা চেয়েছেন তার দাওয়াত যেন নিজস্ব ‘ প্রাণশক্তি’ ধরে রেখে উত্তরোত্তর বিস্তৃত হতে থাকে এবং মানুষ বেশি বেশি তা গ্রহণ করতে থাকে। যুদ্ধ, ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে ইসলামের ক্ষতিসাধনে মুসলিমদের শত্রুদের তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও এই দাওয়াতের সাহায্যকারী যেন দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
এ দাওয়াতের ব্যাপারে শত্রুদের অপপ্রচার, মিথ্যাচার, অপবাদ আরোপসহ সকল অপচেষ্টা অব্যাহত রাখা সত্ত্বেও এর গতি থেমে থাকেনি। এত রকমের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত, অপবাদ, মিথ্যা অপপ্রচার সত্ত্বেও একমাত্র আল্লাহর অনুগ্রহে এই দাওয়াত আজও শত্রুর অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে আছে। তাদের শিরক, নাস্তিকতা, ধর্মহীনতা, বিশৃঙ্খলা, অনৈতিকতা, লোভ-লালসা – সবকিছুর ধ্বংসের এক মহা ঘোষণা হয়ে আছে এই দাওয়াত।
এটি এমন দাওয়াত যেখানে শরিয়তকে ফয়সালাকারী হিসেবে মেনে নেয়ার কথা বলা হয়। এর বাইরে যত আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি, যত সংবিধান ও সন্ধি চুক্তি রয়েছে, সবকিছু অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যান করার কথা বলা হয় এই দাওয়াতে।
এটি আগ্রাসন কবলিত মুসলিমদের ভূমিগুলো পুনরুদ্ধার করার দাওয়াত।
এটি মুসলিমদের জাতীয় সম্পদ অবৈধ দখলমুক্ত করার দাওয়াত।
এটি শাসকের স্বৈরাচার থেকে উম্মাহকে স্বাধীন করার দাওয়াত।
এটি মুসলিম উম্মাহকে এমন ক্ষমতা প্রদানের দাওয়াত – যেখানে উম্মাহ নিজেদের শাসকদেরকে নিজেরাই নির্বাচন করবে। তাদের কাছে কৈফিয়ত তলব করবে এবং চাইলে তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে।
এটি শত্রুর মোকাবেলায় সকল মুসলিমকে এক কাতারে দাঁড়ানোর দাওয়াত।
এটি মজলুম ও আর্ত-নিপীড়িতদেরকে সাহায্যের দাওয়াত; চাই সেই মজলুম গোষ্ঠী মুসলিম হোক কিংবা কাফের।
উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ এ দাওয়াত পেশ করার মাধ্যমে – কোন বিদায়াত করেননি কিংবা নব উদ্ভাবিত বিষয় আবিষ্কার করেননি। বরং তিনি ইসলামের বিধি-বিধান অনুসরণ করেছেন মাত্র। কারণ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁর কিতাবে কারীমে ইরশাদ করেছেন—
كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ
“অর্থঃ তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে”। (সুরা আল-ইমরান ৩:১১০)
শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ’ র একটি ঘোষণা ছিল এমন –
“জিহাদ ঐ দিন থেকে ফরযে আইন হয়ে আছে যেদিন আন্দালুসের পতন হয়েছে।
আমাদের লক্ষ্য হলো, আফগানিস্তানকে স্বাধীন করা। জি হ্যাঁ, অবশ্যই আমাদেরকে আফগানিস্তান স্বাধীন করতে হবে। কারণ এটা আমাদের দ্বীনের একটি অংশ এবং আমাদের কাঁধে চেপে থাকা দায়িত্ব। আবার বাইতুল মুকাদ্দাসও আমাদের স্বাধীন করতে হবে। আল–আকসাকে তাওহীদের ছায়াতলে এবং লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ র কালিমার পতাকাতলে ফিরিয়ে আনতে হবে। …
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قَاتِلُوا الَّذِينَ يَلُونَكُم مِّنَ الْكُفَّارِ وَلْيَجِدُوا فِيكُمْ غِلْظَةً ۚ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ مَعَ الْمُتَّقِينَ
“অর্থঃ হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক আর জেনে রাখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন”। (সুরা আত-তাওবা ৯:123)
কিন্তু আমি যেমনটা বলছিলাম যে, আজ আমাদের হাত বাঁধা। শিকল দিয়ে আমাদের হাত গলার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই শিকল আবার আমাদের পায়ের সঙ্গে জড়ানো। আমাদেরকে শ্বাসরুদ্ধ করা হয়েছে। আমাদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আমাদের নাড়ি চেপে ধরা হয়েছে। আমাদের হৃৎস্পন্দন পর্যন্ত গণনা করা হচ্ছে। এরপর আমরা আর কি করতে পারি?
জিহাদের সুযোগ ও ক্ষেত্র আমাদেরকে অবশ্যই খুঁজতে হবে। আন্তরিকভাবে খোঁজাখুঁজি করে আমরা রব্বুল আলামীনের কাছে নিজেদের অপারগতা পেশ করব। এখন আমরা নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে থাকবো, যেন ভূখণ্ডগুলো পবিত্র করার কাজে আমরা নিয়োজিত হতে পারি।
আফগানিস্তানের জিহাদ – ফিলিস্তিনের ইসলামী ইস্যুর ব্যাপারে অবহেলার কারণ – এমনটা যারা মনে করে, নিশ্চয়ই তারা ভুল ধারণাপোষণকারী ও গাফেল। তাদের জানা নেই, নেতৃত্ব কিভাবে পরিচালনা ও প্রস্তুত করতে হয়?! আন্দোলন কিভাবে দানা বাঁধে? কীভাবে একটি মূল শক্তি দাঁড় করাতে হয়, যাকে ঘিরে সুবিশাল ইসলামী বাহিনী সমবেত হবে এবং সে বাহিনী ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা ও অপবিত্রতা থেকে পৃথিবীকে পবিত্র করবে।
আমাদের অবস্থা হল – মানুষ আমাদের কাছে এসে বলে, আপনারা ফিলিস্তিনকে ছেড়ে দিয়েছেন এবং আফগানিস্তান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এটা ঠিক আমরা আফগানিস্তান নিয়ে ব্যস্ত আছি। আমাদের ওপর ওয়াজিব ও আবশ্যক – আফগানিস্তানের মুজাহিদ মুসলিম জনগণকে সহায়তা দেয়া। আমাদের জন্য জরুরী আফগানিস্তানের ভূমিকে পবিত্র করা।
নিশ্চয়ই আফগানিস্তানই হলো ফিলিস্তিন, আবার ফিলিস্তিনই হলো আফগানিস্তান। নিশ্চয়ই দুঃখ ‘ কলহ’ তৈরি করে। কিন্তু আমরা চাইনা – আমাদের কাঁধে দায়িত্ব ঝুলে থেকে এই জিহাদের অঙ্গার নিভে যাক। আমরা চাই না – আল্লাহর দ্বীনের মর্যাদাবোধের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ, দুর্বলদেরকে জুলুম থেকে উদ্ধার করার স্পৃহা, অভ্যন্তরীণ পরিমণ্ডলে মুসলিম ভূখণ্ডগুলোর প্রতিরক্ষার আগ্রহবোধ আমাদের ধমনী থেকে ঝিমিয়ে যাক।
আমরা চাই – আগ্রহ ও স্পৃহার এসব অঙ্গার জ্বলন্ত থাকুক। কারণ আমাদেরকে নিরবচ্ছিন্নভাবে জিহাদ চালিয়ে যেতেই হবে। আফগানিস্তানে, ফিলিস্তিনে, ফিলিপাইনে এবং অন্যান্য বিভিন্ন ভূখণ্ডে—যেখানে অত্যাচারী, পাপাচারী, স্বৈরাচারী শাসকরা জুলুম–অত্যাচারে সীমালঙ্ঘন চালিয়ে যাচ্ছে — সেখানে জিহাদই হল সময়ের দাবি ও ফরজ দায়িত্ব।
[ফিল জিহাদি ফিকহুন ওয়া ইজতিহাদ, শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ পৃষ্ঠা: ২৪১—২৪৪]
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ: উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ’ র অন্যতম বড় অবদান ছিল, তিনি শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ’ র এই উক্তিকে নিয়মিত কার্যক্রম, কার্যকরী পদক্ষেপ এবং পরিকল্পনার দ্বারা নিরবচ্ছিন্ন দাওয়াতি ও জিহাদি হামলায় রূপান্তরিত করেছেন। এই প্রচেষ্টা সফলতার শীর্ষে পৌঁছেছিল সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখের মোবারক সেই হামলার মাধ্যমে, যা ইতিহাসকে দু’ ভাগে বিভক্ত করেছে। আজও পর্যন্ত সেই হামলার কারণে আমেরিকা তার রক্তক্ষরণ সহ্য করছে। আজও তাদের বিলাপের সুর শোনা যায়।
শাইখের আরও একটি মহান অবদান হলো – মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য তার প্রয়াস।
(মুসলমানদের ঐক্য গঠন এবং বিভক্তি, অনৈক্য ও গ্রুপিং নিরসনে তার প্রচেষ্টা)
তিনি বহুধা বিভক্তি, বিচ্ছিন্নতা, গ্রুপিং ইত্যাদি নির্মূলে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। এ কারণেই ব্যাপক পরিসরে মুজাহিদিন ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে এবং বিশেষভাবে শাইখ উসামার দাওয়াতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাফেররা মুসলিমদের মাঝে ‘ দলাদলি ও গ্রুপিং’ সৃষ্টির পন্থা অবলম্বন করেছে।
একাজ তারা করেছে কল্যাণ, স্বার্থরক্ষা, বাস্তবতার বিবেচনা এবং বিশেষ ফায়দা নামক বিভিন্ন চটকদার দাবির মাধ্যমে। অথচ এগুলো দ্বীন ও দুনিয়ার ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনে না।
ইসলামের শত্রুরা মুসলিমদেরকে শতধা বিভক্ত করার অপচেষ্টা এবং তাদের ঐক্য বিনষ্টের অপপ্রয়াস চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। বরং তারা আরও অগ্রসর হয়ে যে অনিষ্ট সৃষ্টি করেছে তা হলো – ধর্মনিরপেক্ষ, নাস্তিক্যবাদী, বিশ্বাসঘাতক, শত্রুদের তাবেদার শ্রেণী এবং মীরজাফর চরিত্রের লোকদের সঙ্গে ঐক্য গঠন করতে মুসলিমদের অনেককে বাধ্য করেছে। জাতীয়তা, দেশ প্রেম, মাতৃভূমির ভালোবাসা ইত্যাদির নামে ঐক্য গঠনের জন্য মুসলিমদের ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করেছে।
জাতি রাষ্ট্রের নিয়ম-কানুন ও বিধি-বিধান মেনে চলার মতো আরও বিভিন্ন মিথ্যাচার ও চটকদার বুলি গলাধঃকরণ করানোর মাধ্যমে বড় বড় অপরাধী চক্র অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীকে নিজেদের দাসত্বের শৃঙ্খলে স্থায়ীভাবে আবদ্ধ করে রাখতে চায়। শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ তাদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। তাই তিনি সর্বদাই আমাদেরকে সজাগ করে দিতেন, উম্মাহকে সতর্ক করে দিতেন একথা বলে যে, ‘ আমরা হলাম এক উম্মাহ। কোন ধরনের জাতিগত, গোত্রীয় অথবা সীমান্তের ভিন্নতা আমাদেরকে আলাদা করতে পারবে না’ ।
তিনি (শাইখ উসামা রহিমাহুল্লাহ) মহান এই উক্তি করেছিলেন— “আজ আমরা আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’ আলার দয়া ও অনুগ্রহে ইসলামী বিশ্বের মানচিত্রকে নতুন করে অঙ্কন করছি, যে মানচিত্রে খেলাফতের পতাকার ছায়াতলে মুসলিম বিশ্ব এক রাষ্ট্ররূপে চিত্রিত হবে। আমরা আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’ আলার অনুগ্রহে ঈমানদারদের জন্য জুলুম, ফেতনা–ফাসাদ ও গোটা বিশ্বে কুফরির জয়জয়কারের এই যুগে এক স্বর্ণালী ইতিহাস রচনা করছি। অতএব, সৌভাগ্যবান ওই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’ য়ালা তাওহীদের পতাকার আশ্রয়ে অটল ও প্রতিষ্ঠিত রাখবেন”।
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ: শাইখ রহিমাহুল্লাহ’ র অন্যতম মহান অবদান ছিল – কার্যকরী একক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের অধীনে ইসলামী আন্দোলনগুলোকে একীভূত করার প্রাণান্তকর প্রয়াস ও তীব্র আগ্রহ। একইভাবে অন্যতম অপর একটি মহান অবদান হলো – তাবেদার শাসকবৃন্দকে প্রত্যাখ্যান করা, তাদের বিশ্বাসঘাতকতা স্পষ্ট করে দেয়া এবং তাদের এই পরিচয় জনসাধারণের কাছে তুলে ধরা যে, এরাই হলো ঐ সমস্ত ‘ ছুরি ও বিষাক্ত নখ’ যেগুলোর মাধ্যমে আমাদের শত্রুরা আমাদের মাংসে আঘাত বসাচ্ছে।
তার অন্যতম আরও একটি অবদান হলো – প্রথমবার ব্রিটিশদের এবং এরপর মার্কিনীদের তাবেদারী, দাসত্ব ও গোলামীর ক্ষেত্রে আলে সৌদের প্রকৃত চেহারা ও মুখোশ উন্মোচন করা এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের শাসকদের লাঞ্ছনাকর ইতিহাস তুলে ধরা। সেই ইতিহাসে দেখা যায়, ব্রিটিশ পরিকল্পনায় কীভাবে সৌদি আরবের প্রধানেরা গড়ে উঠেছে!
পরবর্তীতে মার্কিনীরা মুসলিমদের জাতীয় সম্পদ চুরি ও আত্মসাৎ করার জন্য কীভাবে ব্রিটিশ পরিকল্পনার উত্তরাধিকার লাভ করেছে – সেটাও শাইখ স্পষ্ট করেছেন। এই চুরির বিষয়টি প্রকাশ করার এবং বিশেষ করে মুসলিমদের অধিকারভুক্ত পেট্রোল চুরির বিষয় সম্পর্কে জাতিকে অবহিত করার জন্য তিনি চেষ্টা করেছিলেন।
এই পেট্রোল চুরিকে তিনি মানবজাতির ইতিহাসে ‘ সর্ববৃহৎ ও সর্বাধিক ন্যক্কারজনক চুরি’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। তিনি ‘ তেল চুরির তথ্য প্রকাশের’ এ ময়দানের পথ প্রদর্শক ছিলেন। অল্প যে কয়েকজন মানুষ এই চুরির বিষয়টি প্রকাশিত করেছিলেন, তিনি তাদের একজন ছিলেন। তিনি এই ন্যক্কারজনক কাজ মোকাবেলা করার এবং তা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন।
তিনি বলতেন, “মুসলিমদের পেট্রোল পশ্চিমা সভ্যতার মেরুদণ্ড। এতদসত্ত্বেও এক ব্যারেল পেপসিকোলার দাম, এক ব্যারেল পেট্রোলের দামের চেয়ে বেশি”।
(পেট্রোলের ব্যারেল থেকে কোকাকোলার ব্যারেলের দাম বেশি)
তিনি মুসলিমদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতেন – এ সমস্ত সম্পদ, বিশেষ করে ‘ পেট্রোল’ মুসলিমদের ভূমিতে সামরিক আগ্রাসন ও অবরোধের হুমকি দেখিয়ে চুরি করা হয়।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যা হৃদয়ে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করে সেটি হলো – ইসলামী আন্দোলনের দাবিদার অধিকাংশই, কাছে থেকে হোক কিংবা দূরে থেকে, তেল চুরির এই বিষয়টা নিয়ে মাথা ঘামায় না। বরং তাদের অধিকাংশই উপসাগরীয় অঞ্চলের শাসকদেরকে তোয়াজ করে চলতে ব্যস্ত। তাদের নৈকট্য লাভের জন্য যেন তারা মুখিয়ে থাকে। এসকল পাপাচারী শাসকেরা প্রকৃতপক্ষে মুসলিমদের সম্পদ-চোরদের দাস। হয়তো এর বিনিময়ে তারা কিছু সুযোগসুবিধা ভোগ করার সুযোগ পায় এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা লাভ করতে পারে।
এই নির্বোধ চোরেরা ঐতিহাসিক চুরির সুযোগ করে দেয়ার বিনিময়ে, যে সুযোগসুবিধা লাভ করে তাই নিয়ে বিভিন্ন মৌজ–মাস্তিতে ব্যস্ত হয়ে যায়। বৈশ্বিক শয়তানি অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে জিইয়ে রাখার বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেদের অর্থ তারা বিনিয়োগ করে।
এই নির্বোধ পরাজিত মানসিকতার দাসগুলো সে সমস্ত অর্থের একটা অংশ যদি মুসলিম বিশ্বে ব্যয় করত, তাহলে মুসলিম বিশ্ব দারিদ্রতা, অজ্ঞতা ও অসুস্থতার অনিষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারতো। মুসলিমদের জন্য উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ তারা সৃষ্টি করতে পারত। মুসলিমদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অন্ন ও বাসস্থান তারা তৈরি করতে পারত। কিন্তু তারা এগুলো না করে সে অর্থ ফুটবল বিশ্বকাপে ব্যয় করে। নাইট ক্লাবে খরচ করে, জায়নবাদী হোটেল, স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকে তারা অর্থ বিনিয়োগ করে। এমন অস্ত্রশস্ত্রের চুক্তিতে তারা বিনিয়োগ করে যেসব অস্ত্র তারা ব্যবহার করে না।
আমেরিকা, পশ্চিমা বাহিনী এবং ভাড়াটে গ্যাংকে নিজেদের ভঙ্গুর শাসন ব্যবস্থার রক্ষার্থে ভাড়া করে নিজ দেশে নিয়ে আসে। এরপর তাদের কাছ থেকে সাহায্য নেয়ার নামে তাদের জন্য অর্থ খরচ করে। অতঃপর এইসব নিরর্থক কাজে অর্থ খরচের বিষয়টা তারা খুবই দাম্ভিকতার সাথে, বুক ফুলিয়ে প্রচার করে। ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী দাওয়াতি কার্যক্রম এবং ইলম চর্চার দাবিদার অধিকাংশই এ ব্যাপারে আজ নীরব। শুধু নীরবতা নয়, বরং তাদের অনেকেই এসকল শাসকগোষ্ঠীকে তোয়াজ করে চলে, তাদের প্রশংসা করে। তাদেরকে মুসলিমদের রক্ষাকারী হিসেবে জনসাধারণের সামনে পেশ করে!
কবি বলেন—
أغاية الدين أن تحفوا شواربكم يا أمة ضحكت من جهلها الأمم
আল্লাহর দ্বীনের লক্ষ্য কি এটাই যে, তোমরা নিজেদের গোঁফ ছাঁটাই করবে,
হে জাতি! তোমাদের অজ্ঞতায় অন্যান্য জাতিরা হেসেছিল!!
মুসলিমদের থেকে চুরিকৃত উপসাগরীয় অঞ্চলের এই সম্পদ ব্যবহার করেই আমাদের শত্রুরা মুজাহিদিনের কাতার বিক্ষিপ্ত করা, তাদের ঐক্য বিনষ্ট করা এবং ঘুষের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণীর বিবেক ক্রয় করে ফেতনা সৃষ্টি করার প্রয়াস পায়।
হামাদ বিন জসিম বিন জাবের আল সানি (কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী): সিরিয়াতে যখন ‘ যুদ্ধ’ বা ‘ বিপ্লব’ শুরু হয় তখন আমরা সকলেই প্রধানত ২ টি অপারেশন রুম দ্বারা কাজ করেছিলাম। একটা ছিল জর্ডানে, আরেকটা তুর্কিতে। জর্ডানের অপারেশন রুমটি প্রথম স্থাপন করা হয়েছিল। জি.সি.সিভুক্ত (GCC) দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতার, আমেরিকাসহ আমাদের অন্যান্য সহযোগীরা জর্ডানের অপারেশন রুম ব্যবহার করে কাজ করেছিলাম। আমরা সকলেই একটি গ্রুপকে সাহায্য করেছিলাম। তুর্কির অপারেশন রুমটি দিয়েও একই পদ্ধতিতে কাজ করা হচ্ছিল। সময়ের সাথে আমরা লক্ষ্য করলাম যে, সেখানে কিছু গ্রুপ এমন ছিল যারা ভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। আমরা তাদের সকলকে একে একে সরিয়ে দিয়েছি। যখনই কোন গ্রুপের বিষয়ে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র থেকে আপত্তি জানানো হয়েছে তখনই আমরা সেটাকে বাদ দিয়েছি। যুদ্ধ ক্ষেত্রে কখনো কখনো এমন হয় যে – ভুল গ্রুপকে সাহায্য করা হয়ে যায়।
চার্লি রোসঃ অবশ্যই।
হামাদ বিন জসিম বিন জাবের আল সানি (কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী): যখনই কোন দলের ব্যাপারে ভুল ধরা পড়েছে তখনই আমরা সেখানে সাহায্য করা বন্ধ করে দিয়েছি। তার মানে এটা নয় যে, সেখানে আমাদের কোন ভুল হয়নি।
ভুল হয়েছে, তবে সেটা ইচ্ছাকৃত ছিল না। আমরা জেনে বুঝে ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের সাহায্য করেছি – এটা ভুল। তাদেরকে সাহায্য করাতে আমাদের কী স্বার্থ থাকতে পারে? এরা যদি সিরিয়া জয় করতে পারে, এরপর অবশ্যই তারা আমাদের দিকে আসবে। আমরা এটা জানতাম। তাই আমাদের জন্য…
চার্লি রোসঃ সন্ত্রাসী সংগঠনটির কথা বলছেন?
হামাদ বিন জসিম বিন জাবের আল সানি (কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী): অবশ্যই। অবশ্যই, তারা আমাদের দিকে আসবে। এটাই স্বাভাবিক। আপনি কি ভাবছেন যে আমরা হুমকির মধ্যে ছিলাম না। আমরা অবশ্যই সেসময় হুমকির মুখে ছিলাম।
হামাদ বিন জসিম বিন জাবের আল সানি (কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী): সিরিয়াতে যখন ঘটনাগুলো শুরু হল তখন আমি সৌদি আরব গিয়েছিলাম। আমি বাদশাহ আব্দুল্লাহ এর সাথে দেখা করি। পুরো বিষয়টা সম্মানিত প্রিন্স এর তত্ত্বাবধানে হয়েছিল। বাদশাহ আব্দুল্লাহ বলেছিলেন, ‘ আমরা তোমার সাথে আছি। তুমি তোমার পরিকল্পনামাফিক কাজ শুরু কর। আমরা তোমার সাথে থাকবো ও সমন্বয় করে নিবো। তবে পুরো প্ল্যান বাস্তবায়নের দায়িত্ব তোমার হাতে থাকবে’ ।
আমি আর ভিতরে যাচ্ছি না। তবে পুরো বিষয়টার দায়িত্ব আমাদের হাতে ছিল। আরব দেশগুলো থেকে সিরিয়াতে যত রকমের সাহায্য যেত, তার সবই আমেরিকানদের সাথে সমন্বয় করে তুর্কির মাধ্যমে যেত। আমেরিকান বাহিনী ও তুর্কি সৈন্যদের মাধ্যমে সিরিয়াতে সবকিছু বণ্টন করা হত। আমরা, অন্যান্য আরব দেশ এবং এসকল দেশের সেনারা এতে জড়িত ছিল।
সেখানে কাজ করতে যেয়ে ভুল হয়ে থাকতে পারে। ভুল কোন গ্রুপকে সাহায্য করা হয়ে থাকতে পারে। তবে এটা অবশ্যই ‘ দায়েশ’ ছিল না। ভুলেও দায়েশ’ কে কখনো সাহায্য করা হয় নি। তারা যদি দায়েশ’ কে সাহায্য করার অভিযোগ আমাদের দিকে তোলে তবে এটা বাড়াবাড়ি হবে। সেখানে হয়তো ‘ নুসরা’ গ্রুপটিকে কখনো কখনো সাহায্য করা হয়ে থাকতে পারে, তবে আমি নিশ্চিত না। বিষয়টি আমার পুরোপুরি জানা নেই। তবে আমি আপনাকে একটা বিষয় নিশ্চিত করতে পারি, নুসরা’ কে যদি সাহায্য করা হয়েও থাকে তবে সেটা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সম্মতিতেই হয়েছে। আর যখন নুসরা’ র ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়েছে তখনই সাহায্য করা বন্ধ করা হয়েছে। এরপর নুসরার পরিবর্তে সিরিয়ার স্বাধীনতাকামী অন্যান্য গ্রুপ গুলোকে সাহায্য করা হয়েছে।
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ: শাইখ রহিমাহুল্লাহ’ র গুরুত্বপূর্ণ অবদানগুলোর মাঝে আরও একটি হলো – যায়নিস্ট বানাবার রাজনীতি এবং যায়নবাদীদের আমলাদের মুখোশ উন্মোচন করেছিলেন। এই আমলাদের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলো হচ্ছে – পেট্রোল শেখদের প্রধানেরা, ধর্মনিরপেক্ষ আতাতুর্কী ব্যবস্থা এবং মুসলিম দেশগুলোতে চেপে বসা অধিকাংশ তাবেদার সরকার ও শাসক গোষ্ঠী।
শাইখ ইবনে লাদেনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান হলো – ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রতি এই দাওয়াত পেশ করা যে, তারা যেন তাদের আন্দোলনের পন্থা বিশুদ্ধ করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান যেন প্রত্যাখ্যান করে এবং ফিলিস্তিনের ধর্মনিরপেক্ষ দেশ বিক্রেতাদের সঙ্গে ঐক্য, সন্ধিচুক্তি ও একাত্মতা স্থাপন করা থেকে যেন তারা বিরত থাকে।
উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ কোন পন্থায় ফিলিস্তিনসহ আগ্রাসন কবলিত সকল মুসলিম ভূখণ্ড স্বাধীন হবে সেটি বর্ণনা করেছেন। এর জন্য কার্যকরী পন্থা কোনটি সেটা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। শত্রুরা তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে আলোচনার টেবিলে আসতে যেন বাধ্য হয়, সে লক্ষ্যে তাদের মাথায় আঘাত করতে হবে।
শাইখ রহিমাহুল্লাহ সত্য প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য ব্যাকুল ছিলেন। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারী জালেম শাসকদের কাছ থেকে দূরে না সরে, হিজরত না করে – এ স্বাধীনতার চর্চা করা তার পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই তিনি হিজরত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। নিজের অর্থ-সম্পদ, আপন সম্প্রদায়, ঘরবাড়ি সবকিছু আল্লাহর রাস্তায় তিনি ছেড়ে দেন। আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি, যেন তিনি তার সকল আমল কবুল করে নেন। তিনি সহ সকল মুহাজির ও মুসলিমদের আমল কবুল করে নেন, আমীন।
সৌদি সরকার বাদশা ফাহাদের আমলে তাকে প্রস্তাব করেছিল – তার সকল অর্থ-সম্পদ, মালিকানাধীন সবকিছু ফিরিয়ে দেয়ার বিনিময়ে, তিনি যেন সৌদি রাজপরিবারের কুকীর্তি ও মুখোশ উন্মোচন করা বন্ধ করেন। কিন্তু তিনি দম্ভভরে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তার জবানের বিশ্বস্ততা – তার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ছিল।
সৌদি রাজপরিবারের অশ্লীলতা ও চারিত্রিক অধঃপতন সম্পর্কে তার জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও এবং তাদের সকল অনাচার সবিস্তারে তার সামনে থাকা সত্ত্বেও তিনি আপন ভাইদেরকে বলেছিলেন – এগুলো নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে শাসনব্যবস্থার ধর্মহীনতা ও ধ্বংসমুখী চরিত্রের প্রতি যেন তারা মনোনিবেশ করেন।
এসব কারণেই আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইসলামের শত্রুরা মিলে তার দাওয়াতের মূল আবেদন বিকৃত করতে এবং এ সম্পর্কে অপপ্রচার চালাতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে।
উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ মাসুম বা নিষ্পাপ ছিলেন না। ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বেও ছিলেন না। কিন্তু তিনি ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আত্মবিসর্জনের ব্যাপারে অনুপম আদর্শ ছিলেন। সেইসঙ্গে নম্র চরিত্র, বিনয় ও সদাচরণের ক্ষেত্রে তিনি অসাধারণ ছিলেন। এ কারণেই তার ভাল কাজগুলো অন্যগুলোকে ঢেকে দিয়েছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন।
কবি বলেন—
ومن ذا الذي ترضى سجاياه كلها كفى المرء نبلا أن تعد معايبه
কবিতার অর্থ:
এমন কে আছে যার সকল আচার-আচরণ আপনি পছন্দ করবেন!
একজন মানুষের মহত্ত্ব ও আভিজাত্যের জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, তার হাতে গোনা কিছু দোষ ত্রুটি থাকবে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাকে এই মর্যাদা দান করেছিলেন যে, লক্ষ কোটি মুসলমানের অন্তরে তার জন্য ভালোবাসা স্থান করে নিয়েছিল। তিনি সকলের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন। শুধু মুসলিমরাই নয়, বরং অমুসলিমদের মধ্যে যারা উদার ও সম্ভ্রান্ত, যারা এই পৃথিবীতে বড় বড় অপরাধী চক্রের জুলুম, ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে – তাদের অন্তরেও তিনি স্থান করে নিয়েছিলেন।
শাইখ রহিমাহুল্লাহ তার অনেক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সফল হয়েছিলেন। একথা প্রমাণের জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, তিনি আমেরিকাসহ ইসলামের সকল শত্রু গোষ্ঠীর আতঙ্কে পরিণত হয়েছিলেন।
ইসলামের শত্রুরা এতটাই ভীত হয়েছিল যে, আমেরিকা পাকিস্তানি বাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছিল – তিনি কোনও বাড়ি ভাড়া করলে, তারা যেন সেই বাড়ি বিধ্বস্ত করে দেয়। তারা তাকে সমাধিস্থ করার জন্য কোন স্থান খুঁজে পায়নি। অবশেষে বাধ্য হয়ে গভীর সমুদ্রকে তারা বেছে নিয়েছে। এই সুবাদে মহাসাগর অনেক গুণ, প্রশংসা, সৌভাগ্য ও উচ্চ মর্যাদা হাসিল করেছে।
কবি বলেন:
صارت رفاتك في خضم الماء بحرا من الأمجاد والعلياء
আপনার দেহাবশেষ জলের দ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে, আপনার গৌরব ও মর্যাদা সমুদ্রে পরিণত হয়েছে,
يا ويحهم نصبوا منارا للعلى يهدى به في اللجة الظلماء
হে হতভাগ্যরা! তারা এমন আলোর মিনার স্থাপন করেছেন, যা অন্ধকারের অতল গহ্বরে সঠিক পথ দেখায়,
وأريج عز شامخ وكرامة يسري بموج البحر للأنحاء
তিনি এমন উচ্চ মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের সুবাস, যা সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ: আমেরিকা শাইখের ভাবমূর্তি বিকৃত করতে চেষ্টা করেছে। তাকে একজন ‘ আধপাগল’ , ‘ রক্তপিপাসু’ হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছে। তিনি নাকি সর্বত্র ধ্বংস বিস্তার করেন। ১১ ই সেপ্টেম্বরের ঘটনা সম্পর্কে ‘ ৯/১১ কমিশন রিপোর্টে’ কংগ্রেসের বিবৃতিতে অত্যন্ত হাস্যকর মিথ্যাচার করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে—
“মার্কিন সরকার বিশ্ববাসীকে কি ম্যাসেজ দিতে চাচ্ছে সেটা আগে ঠিক করতে হবে। সেই ম্যাসেজটির গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত কার্যকারণও বের করতে হবে। আমরা পৃথিবী বাসীকে দেখাব যে, আমরা মানবিক নেতৃত্বের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আমরা মানুষকে ‘ মানুষ’ হিসেবে বিবেচনা করি এবং সে অনুযায়ী আচরণ করি। আমরা দেখাবো যে – আমরা আইনের শাসন মেনে চলি এবং আমাদের প্রতিবেশীদের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। আমরা আরও দেখাবো – আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের খোজ খবর রাখি।
আমেরিকা এবং তার মুসলিম বন্ধুরা ‘ মানবিক মর্যাদা’ কে সম্মান করার ব্যাপারে একমত হতে পারে এবং বিভিন্ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে। মুসলিম বাবা-মায়েদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে যে, উসামা বিন লাদেনের মতো সন্ত্রাসীদের কাছে সহিংসতা ও মৃত্যুর দর্শন ছাড়া দেওয়ার মতো কিছুই নেই। আমেরিকা এবং তার বন্ধুদের এক্ষেত্রে দারুণ একটা সুযোগ রয়েছে। আমরা মুসলিম পিতামাতাদেরকে এটা বুঝাব যে, আমাদের সাথে থাকলে তাদের সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে। আমরা যদি এই দৃষ্টিভঙ্গি আরব ও মুসলিম দেশগুলোর বুদ্ধিজীবীদের মাথায় দিয়ে দিতে পারি তবে কিছুকাল পড়ে অধিকাংশ মানুষ এই দৃষ্টিভঙ্গিকে মেনে নিবে”।
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ: এই স্পষ্ট মিথ্যাচার আমেরিকা বরাবরই চর্চা করে আসছে। তারা বহু মানুষকে বলতে চেষ্টা করেছে – ‘ যদি তোমরা আল কায়দা ও তাদের পন্থার নিকটবর্তী হও, তাহলে ধ্বংস ও উজাড় করা ছাড়া তোমরা আর কিছুই করতে পারবেনা। আর যদি তোমরা আমাদের সঙ্গে কাজ কর, তবে দেখবে কত শান্তি, কত সমৃদ্ধি’ !
এভাবেই আমেরিকা তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয়। আমেরিকার প্রতিশ্রুতি কতইনা বড় প্রতারণা!! যারা তাদের সঙ্গে কাজ করবে তারা দ্বীন দুনিয়াতে ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই লাভ করবে না। এতে কি কোন সন্দেহ আছে?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের শাইখ রহিমাহুল্লাহ’ কে তাওফিক দান করেছিলেন বিধায় তিনি আমেরিকার কুটিলতা ও অন্তঃসারশূন্য দাবি বাতিল প্রমাণিত করতে পেরেছিলেন। তিনি সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত ও কৌশলপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করে আমেরিকার অপপ্রচারকে চপেটাঘাত করেছিলেন। তার সেই সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত ছিল – গণ বিপ্লবে উৎসাহ দান, নিজের পক্ষ থেকে গণবিপ্লব সমর্থন, শুরাঈ প্রশাসনকে সাহায্য-সহায়তা দান। এমন একটি প্রশাসন গঠনের জন্য উম্মাহকে উৎসাহ দেয়া, যে প্রশাসনের পরিচালনায় মুসলিম জনসাধারণ বিপ্লবে অংশগ্রহণ করবে। গণবিপ্লবগুলোতে তার অংশগ্রহণের মাত্রা এমন ছিল যে, সেগুলোর ব্যাপারে তিনি নিজে কবিতা রচনা করেছেন।
শাইখ উসামা রহিমাহুল্লাহ, আল কায়দা এবং আমার সম্পর্কে যা কিছু বলা হয় সেগুলোর অধিকাংশই মিথ্যা। আমরা কোন বিষয়ে নীরব থাকার অর্থ এটা নয় যে, আমরা সেটা পুরোপুরি সমর্থন ও সাব্যস্ত করছি। আমরা কেবল সেগুলোর ব্যাপারে দায়িত্বশীল যেগুলো আমরা সুস্পষ্ট ভাষায় বিবৃত করেছি। অন্যরা আমাদের উপর কিছু চাপিয়ে দিলে, আমাদের অজ্ঞানতায় আমাদের নামে প্রচার করলে সেটার জন্য আমরা দায়ী নয়।
আমরা ভালভাবেই জানি এবং শত্রুর কাছ থেকে আমাদের এমনটাই আশা করা উচিত যে, তারা মুসলিমদেরকে এই পথ ও পন্থা হতে দূরে সরানোর সবরকম চেষ্টা জারি রাখবে। মুসলিমদেরকে বিশুদ্ধ শরিয়াহ পদ্ধতি হতে বিচ্যুত করবে।
একাজ তারা অকস্মাৎ করে ফেলবে, এমনটা জরুরী নয়। এর জন্য তারা ধারাবাহিক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ধীরে ধীরে তারা উক্ত লক্ষ্যপানে এগোবে। কখনো ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টির মাধ্যমে, ব্যক্তিস্বার্থ বা লোভ-লালসা উস্কে দিয়ে, জিহাদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং মুসলিমদের মাঝে গৃহ যুদ্ধ বাধানোর জন্য বিভিন্ন উপহার উপঢৌকন প্রেরণের মাধ্যমে তারা এ কাজ করতে চেষ্টা করবে।
উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রধানদের, যায়নবাদী সৌদি নিয়ন্ত্রকদের এবং আতাতুর্কের শাসনব্যবস্থার লোকদের এক্ষেত্রে গভীর হাত রয়েছে। কিন্তু তাদের সবচেয়ে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র হচ্ছে সেটা, যেটা তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে করে থাকে।
এরা উম্মাহর সাধারণ অংশ এবং মুজাহিদদের মধ্যেকার অসচেতন অংশ, সাধারণভাবে মুসলিমদের মাঝে এবং বিশেষভাবে মুজাহিদিনের মাঝে শরীয়ত বিরোধী বিভিন্ন দাওয়াত প্রচার করে। উদাহরণতঃ ক্ষমতা লাভের পন্থা হলো – জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল অথবা অনাচার পাপাচারের পন্থা অবলম্বন করে হলেও যেকোনো মূল্যে কর্তৃত্ব লাভ করতে হবে।
এছাড়া মাসলাহাত বা কল্যাণ বিবেচনার নামে মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্ট করা, কাতার বিক্ষিপ্ত করা, সৌহার্দ্য সম্প্রীতি থেকে ছিটকে বের হয়ে আসা ইত্যাদির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তারা উম্মাহকে বিভ্রান্ত করছে। এমনিভাবে দুটো অনিষ্টের মাঝে অধিক তীব্র ও মারাত্মক অনিষ্ট অপসারণের নামে মুসলিম ভূমিগুলোতে চালানো আগ্রাসনের ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষ দখলদারদেরকে সাহায্য করার পক্ষে যৌক্তিকতা দেখিয়ে উম্মাহকে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া পশ্চিমারা ইসলামিক ভ্রাতৃত্বের চেয়ে এবং মুসলিম উম্মাহর পতাকাতলে সমবেত হওয়ার পরিবর্তে জাতীয়তাবাদী সম্পর্কসূত্রকে প্রাধান্য দেয়ার দাওয়াত দিচ্ছে। ক্রমান্বয়ে প্রয়োজন বিবেচনায় এ ধরনের আরও বিভিন্ন আত্মপ্রতারণামূলক মিথ্যা ও কৃত্রিম দাবির মাধ্যমে ‘ ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও সংবিধানকে শাসনতন্ত্র হিসেবে মেনে নেয়ার দিকে আহবান জানাচ্ছে।
এমনিভাবে প্রতি অঞ্চল এবং প্রত্যেক ভূখণ্ডের আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে – এমন কথা বলে মুসলিমদেরকে তাদের ভাইদের সাহায্য সহযোগিতা করা থেকে বিরত রাখছে।
একইভাবে আমাদের জানা রয়েছে, কেউ কেউ শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ’ র সঙ্গে ন্যূনতম পূর্ব সম্পর্ক থাকলেও সেটা দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে। যদিও সে সম্পর্ক হয় অনেক দূরবর্তী এবং বহুমাধ্যম ঘুরে আসা। এরপর শাইখের নাম ব্যবহার করে যখন তাদের কিছুটা প্রতিষ্ঠা লাভ হয় অথবা কিছু কিছু স্বার্থ অর্জন হয় তখন তারা তাঁর আদর্শ থেকে পিছু হটতে শুরু করে এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে।
এসব কিছুই আমরা জানি এবং তাদের কাছ থেকে আমরা এগুলোই আশা করি।
আমরা আল্লাহর কাছে ফেতনা হতে মুক্তির দোয়া করি। আমরা আল্লাহর নেয়ামতের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ হিসেবে সেই সত্যের ওপর দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকতে চাই – যা আমরা বিশ্বাস করি, যার প্রতি আমরা মুসলিমদেরকে আহ্বান করি এবং বরাবরই আল্লাহর অনুগ্রহে যার দাওয়াত আমরা দিয়ে যাই।
সারাবিশ্বে হে আমার মুসলিম ভাইয়েরা!
আমাদের স্মরণ করা উচিত, আমাদের প্রতি, মুজাহিদিনের প্রতি এবং সকল মুসলমানের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ হলো – শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ’র শাহাদাত বরণের ১১ বছর পরে, আমেরিকা আজ এমন একটা সময়ে পরাজিত হয়েছে যখন জিহাদের সেই দাওয়াত জোরালোভাবে আপন সুফল জানান দিচ্ছে। শাইখ উসামা এই দাওয়াতের দিকেই উম্মাহকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
নিজের ভূখণ্ডে আমেরিকা পরাজিত হয়েছে, যখন উসামা বিন লাদেনের অশ্বারোহীরা (শাইখ সহ সকলের প্রতি আল্লাহর রহম করুন!) তাকে আঘাত করেছে। আমেরিকা পরাজিত হয়েছে, যখন ইরাক থেকে ফিরে এসেছে। আবারো পরাজিত হয়েছে যখন আফগানিস্তান থেকে ফিরে এসেছে।
আজ যখন আমি আপনাদের এ কথাগুলো বলছি, তখন আমেরিকা মুসলিম উম্মাহর সামনে পরাজিত এক রাষ্ট্র সত্তা। আল্লাহর অনুগ্রহে আমেরিকা দুর্বলতা ও পশ্চাদপসরণের অবস্থা পার করছে। ইরাকে আফগানিস্তানে তার পরাজয়ের পর, ৯/১১ এর কারণে সৃষ্ট ভঙ্গুর অর্থনীতি এবং সর্বশেষ করোনা মহামারীর ধাক্কা খাবার পর সে তার মিত্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার শিকার বানিয়ে রেখে চলে যাচ্ছে। একারণেই আমেরিকা এবং তার মিত্ররাসহ ইসলামের সকল শত্রু গোষ্ঠী – মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য এতটা তৎপর।
তারা দেশ ও আঞ্চলিক পর্যায়ে, জাতিগোষ্ঠী ও গোত্রীয় পর্যায়ে এবং জামায়াত ও দলীয় পর্যায়ে অনৈক্যের বীজ ছড়িয়ে দিতে তৎপর। তাদের এই অপতৎপরতা মোকাবেলায় আমাদের প্রধান অস্ত্র হলো – তাওহীদের কালিমার ছায়াতলে আমাদের একতা ও ঐক্যবদ্ধতা। আমাদের উচিত অগ্রসর হওয়া; পৃষ্ঠ প্রদর্শন না করা। আমাদের উচিত নির্মাণ করা; ধ্বংস না করা। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ যেন নির্মাণমুখী হয়। প্রতিটি পরিকল্পনা যেন একতামুখী হয়। এভাবেই আমাদের ঐক্য ধরে রাখা অপরিহার্য। কিছুতেই পিছু হটার সুযোগ নেই।
একতা ও ঐক্য বিনষ্টের মত যে কোন কিছু, মুসলিমদের কাতার বিক্ষিপ্ত করার যেকোনো প্রচেষ্টা এবং মুসলিমদের শক্তি ভাগ করার যেকোনো অপতৎপরতা – আমেরিকাসহ ইসলামের শত্রুদের স্বার্থ রক্ষা ছাড়া আর কিছুই করবে না।
তাই হে উসামা! আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন! আপনার কল্যাণকর কাজের প্রতিদান দান করুন!! আপনার ভুল ত্রুটি মার্জনা করুন! আপনার উত্তম বিকল্প উম্মাহকে দান করুন!!
কবি বলেন:
بالطعن والضرب لا بالنثر والخطب وبالملاحم لا بالشعر والأدب
‘ বিজয়’ – আঘাত–প্রতিঘাত আর যুদ্ধ–জিহাদের মাধ্যমেই আসে। ছন্দময় সাহিত্য আর অলংকৃত বক্তৃতা–বিবৃতির মাধ্যমে আসে না।
نرثي أسامة سيف الله من رزئت لفقده قندهار القادة النجب
আল্লাহর তরবারি–তুল্য উসামা রহ. এর জন্য আমরা আজ শোকগাথা গাইছি, কান্দাহার, আফগান ও বিশ্ব তাকে হারিয়ে একজন অভিজ্ঞ, নির্ভীক ও যুদ্ধবাজ নেতাকে হারিয়েছে।
صنعاء مطرقة والقدس ذاهلة والشام غارقة في لجة الكرب
সানআ’ আজ নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে, আল কুদসও হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে, আর শাম তো পুরোপুরি ডুবে গেছে অত্যাচারের গহ্বরে।
والهند حائرة والسند خائرة أودى بها النعي في الآلام والنصب
হিন্দুস্তানবাসী দ্বিধাগ্রস্ত, সিন্ধও নিস্তেজ, হতাশায় ডুবে সবার মৃত্যু হবার ঘোষণা এসেছে।
رموك في باطن الأمواج فابتهجت بك المحيطات فهي اليوم في طرب
শত্রুরা আপনাকে অথৈ সমুদ্রে নিক্ষেপ করেছে ঠিকই, কিন্তু আপনাকে পেয়ে সমুদ্র আজও আনন্দে আত্মহারা হয়ে আছে।
الأرض تحسدها والمزن تغبطها فقد ثوى في حشاها الفارس العربي
ঐ সমুদ্রকে পৃথিবী হিংসে করে, আকাশও তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়, কারণ সে তো তার গর্ভে ধারণ করেছে একজন আরব অশ্বারোহী মহান নেতাকে।
حتى وأنت مسجى بتّ ترهبهم هذي المهابة يا ابن المجد والحسب
হে আভিজাত্য ও মর্যাদার প্রতীক! আপনি একজন অপরিচিত গুমনাম ব্যক্তি, অথচ আপনার ভয়ে আমেরিকা এখনো থরথর করে কাঁপছে।
هاجمت واشنطن الإجرام، فانهدمت أبراجها، وجثت ذلا على الركب
ইসলাম ও মানবতার শত্রু আমেরিকাকে আপনি চরম আঘাত করেছেন। আমেরিকার সুউচ্চ টাওয়ারগুলো তখন ধ্বসে গিয়েছিলো, পরাজয় ও অপদস্ততায় তারা মুখ থুবড়ে পড়েছিলো।
غزوت معقل أمريكا بلا وجل فحزت أجر جهاد الدفع والطلب
আমেরিকার দম্ভ–দুর্গের বিরুদ্ধে আপনি নির্ভয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন, ফলে আপনি ইকদামী ও দিফায়ী উভয় জিহাদের ফজিলত অর্জন করেছেন।
جاهدت بالنفس والأولاد محتسبا وجدت في نصرة الإسلام بالنّشب
নিজের জান–মাল ও সন্তানদের কুরবানি দিয়ে আপনি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছেন এবং ইসলামের সাহায্যে সারাজীবন অবিচল ছিলেন।
في الزهد مدرسة، في الغزو داهية، في الحرب مهلكة، يخشاه كل أبي
দুনিয়াবিমুখতায় আপনি অনুপম উদাহরণ, অভিযানে অত্যন্ত কৌশলী এবং রণাঙ্গনে বিধ্বংসী যোদ্ধা, উদ্ধত শত্রুর ত্রাস।
يغضي حياء كريم، كله أدب، والحلم موطنه في صدره الرحب
লজ্জায় আপনার চক্ষু অবনত থাকতো, সর্বাঙ্গে আপনি ভদ্র–সম্ভ্রান্ত, প্রশস্ত হৃদয় জুড়ে সহনশীলতায় ভরপুর।
عنه اسألوا يافعا الروس ثكلهم والروم واجههم بالنار من كثب
তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো রাশিয়া ও ইউরোপের যুবকদেরকে এবং তাদের সন্তান হারানো মাদেরকে। তিনি তাদের মোকাবেলা করেছেন সাধারণ গোলাবারুদ দিয়ে।
شيخ ولكنه شاخت به دول وأرهبت أمم ماتت من الرهب
তিনি যদিও বয়োবৃদ্ধ–দুর্বল ছিলেন, কিন্তু তার অভিযানে শক্তিশালী শত্রু রাষ্ট্রগুলোও দুর্বল হয়ে গেছে, তার ভয়ে সন্ত্রস্ত হয়ে বহু জাতি হারিয়ে গেছে।
يا دولة الكفر والإلحاد إن لنا ثأرا سنأخذه، والله، فارتقبي
হে কুফফার গোষ্ঠী! হে ইসলাম বিদ্বেষীরা! অপেক্ষায় থাকো! আল্লাহর কসম! তোমাদের থেকে এখনো আমাদের প্রতিশোধ নেয়ার আছে।
هذي سجاياه يامن راح يطعنه بخنجر العذل ظلما دونما سبب
হে উসামা রহ. এর বিদ্বেষীরা! প্রতিনিয়তই অকারণে নিন্দার খঞ্জরে তোমরা তাকে আক্রমণ করে চলছো, শুনে রাখো! এগুলোই হলো তাঁর স্বভাব–চরিত্র।
هداك ربي أما أبصرتها دررا أخلاقه رصعت باللولي والذهب
তোমাকে আল্লাহ হেদায়েত দিক! তুমি কি তার মুক্তো–তুল্য শিষ্টাচারগুলো জানো না? তার চরিত্র তো স্বর্ণ–মোতির মত সুশোভিত।
هذا هو الشيخ للأجيال مفخرة أسطورة العصر أمسى آية العجب
তিনিই শাইখ উসামা রহ. – প্রজন্ম-প্রজন্মান্তরে তিনি গর্ব, যুগের উপাখ্যান, সর্বকালের তিনি এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
والله غالب على أمره ولكنّ أكثر الناس لا يعلمون.
আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাঁর দ্বীনকে বিজয় করবেন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।
(শহীদ (তার ব্যাপারে যেমনটা আমরা আশা করি) সাদ ইবনে উসামা ইবনে লাদেন আমেরিকানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে, ল্যান্ড মাইন প্রস্তুত করার কাজে মুজাহিদদের সহযোগিতা করছেন)
সা’ দ ইবনে লাদেন রহিমাহুল্লাহঃ আমেরিকার শাসকশ্রেণী, সেনাবাহিনী এবং ঐ সমস্ত জনগণ; যারা তাদেরকে জুলুম অত্যাচারের ক্ষেত্রে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, সকলের প্রতি আমাদের বার্তা হলো –
“হে আমেরিকান বাহিনী! তোমাদের মধ্যে যারা আমাদের হাতে নিহত হয়েছে, তোমরা তাদের জন্য কাঁদো আর না কাঁদো, আমরা এভাবেই আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা তোমাদের অস্তিত্বের ভিত নাড়িয়ে দেব। তোমরা হতাশ, হতোদ্যম হয়ে সবকটা রণাঙ্গন থেকে শোচনীয় পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়ে নিজেদের দেশে ফিরে যাবে”।
আমরা আপনাদেরকে আল্লাহর কাছে আমানত রূপে সোপর্দ করছি, যিনি আমানত বিনষ্ট করেন না। আপনাদের উত্তম দোয়ায় আমাদেরকে ভুলবেন না।
স্বাধীনচেতা সম্ভ্রান্ত প্রত্যেকের কাছে আমার শেষ আবেদন,
উপরের কথাগুলো দ্বারা যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তবে সেগুলো অনুবাদ করে যথাসাধ্য প্রচার করার চেষ্টা করুন। আর যদি উপকারের বাইরে কিছু পেয়ে থাকেন তবে আমাদেরকে অবশ্যই নসিহা করুন। আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করবেন ইনশাআল্লাহ!
وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين، وصلى الله على سيدنا محمد وآله وصحبه وسلم. والسلام عليكم ورحمة الله وبركاته.
***********
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent
হে আল্লাহ দ্বীনের রাহাবার দের সাথে সামিল করে দিন।আমিন