ইতিহাস- ঐতিহ্যউসামা মিডিয়াকমান্ডার আবু হামাস রহিমাহুল্লাহকাশ্মীরকাশ্মীর আর্কাইভপিডিএফ ও ওয়ার্ডবই ও রিসালাহবিষয়মিডিয়া

আমার জিহাদী সফর – তাগুতের অধীনে জিহাদ থেকে আল্লাহর অধীনে জিহাদ -শহীদ আবু হামাস রহিমাহুল্লাহ

‘উসামা প্রকাশনী‘ পরিবেশিত

আমার জিহাদী সফর
তাগুতের অধীনে জিহাদ থেকে আল্লাহর অধীনে জিহাদ

মূলঃ শহীদ আবু হামাস রহিমাহুল্লাহ
অনুবাদঃ আবু আব্দুল্লাহ উসামা

AmarJihadiSofor.jpg

অনলাইনেপড়ুন

PDF
WORD

ডাউনলোড লিঙ্ক-১

ডাউনলোড লিঙ্ক-২

আরও ডাউনলোড লিঙ্ক পেতে ও অনলাইনে ছড়িয়ে দিতে ক্লিক করুনএখানে

 

দৃষ্টি আকর্ষণ

শহীদ আবু হামাস (হক নেওয়াজ) রহিমাহুল্লাহ, আযাদ কাশ্মীরের বাসিন্দা ছিলেন। ‘শরীয়াত অথবা শাহাদাত’ এই মতাদর্শের অধিকারী মুজাহিদীনের মাঝে প্রথম সারির একজন মুজাহিদ ছিলেন। তিনি ১৬ই মার্চ, ২০১৮ইং সনে নিজের দুইজন প্রিয় মুজাহিদ সাথীসহ কাশ্মীরের শ্রীনগরের বালহামা এলাকায় মালাউন হিন্দু সৈন্যদের সাথে এক লড়াইয়ে শাহাদাত বরণ করেন। (আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন তাদেরকে শহীদ হিসাবে কবুল করে নিন। আমীন)

শাহাদাত লাভের কয়েক মাস পূর্বে তিনি এই ভিডিওটি রেকর্ড করেছিলেন, যার লিখিতরূপ আমরা এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরছি…!

بسمِ الله والحمدُ للهِ والصلاةُ والسلامُ على رسولِ الله وآلِه وصحبِه ومن والاه.

أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ. بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ. يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا ﴿الأحزاب: ٧٠﴾

“হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল।” (সূরা আহযাব: ৭০)

হামদ ও সালাতের পর-

আমার মুহাজির ও আনসার মুজাহিদ ভাই ও বন্ধুগণ,

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

আজ একটি ভিডিও রেকর্ডের মাধ্যমে আমি আপনাদের নিকট আমার জীবনের, বিশেষকরে আমার জিহাদি সফরের ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত একটি বার্তা প্রদান করতে চাই।

২০১২ইং সনে পাকিস্তানে আমি আমার জিহাদী সফর শুরু করেছিলাম। তাছাড়া প্রাথমিক জীবনে আমি মাদ্রাসার একজন তালিবুল ইলম ছিলাম এবং সেখান থেকেই পর্যায়ক্রমে সূরা তাওবা এবং সূরা আনফাল (তাফসীরসহ) পড়ার পর, আলহামদুলিল্লাহ, আমার মস্তিষ্কে এই চিন্তার উদয় শুরু হয় যে, আমারও তো জিহাদের ময়দানে যাওয়া উচিত। ছুম্মা আলহামদলিল্লাহ্, আল্লাহ তা‘আলা আমার সেই দু‘আকে কবুল করেছেন এবং একদিন মুজাহিদীনের ট্রেনিং সেন্টার এবং তাদের সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছানোর সুযোগ দান করেছেন।

প্রিয় ভাইয়েরা,

অতঃপর আমি সংক্ষিপ্তভাবে আমার জীবন ও দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে আপনাদেরকে বলতে চাই। তা হলো: আমি পাকিস্তানে থাকাকালীন সময়ে সেখানকার জিহাদী দলগুলোর সাথে জড়িত ছিলাম। পরবর্তীতে কাশ্মীর পৌঁছানোর পর আল্লাহ তা‘আলা আমাকে এমন এক তানযীম বা দলের সন্ধান দিলেন, যারা শরীয়ত ও খিলাফত প্রতিষ্ঠার স্লোগান দিচ্ছিল।

মুহতারাম ভাইয়েরা আমার,

সংক্ষিপ্তভাবে কথা হলো এই যে, আমি যখন পাকিস্তানে ছিলাম, তখন দেখতাম যে, পাকিস্তানি ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই), তাগুতি গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো মুজাহিদীনের বিভিন্ন দলগুলোকে নিয়ন্ত্রন করছে। এজেন্সিগুলো নিজেদের মস্তিষ্কপ্রসূত যেই বিষয়কে নিজেদের জন্য উপকারী মনে করতো বা নিজেদের স্বার্থের অনুকূলে মনে করত, সেটাই তাদের (মুজাহিদদের) দ্বারা করিয়ে নিত। অন্যদিকে যদি তা তাদের স্বার্থের বিরোধী বলে মনে করত, তাহলে তাদেরকে সেই কাজ থেকে দমন করার জন্য নিজেদের নিকৃষ্ট কাজগুলি করে বেড়াত। তখন আমার মস্তিষ্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উদ্রেক হত যে, এসব কী হচ্ছে? জিহাদ (কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ) তো এই ধরনের বিষয়(তাগুতের সাহায্য-সহযোগিতা)-এর উপর নির্ভরশীল নয়। বরং জিহাদের উদ্দেশ্য হলো: (তাগুতদের) এই ধরনের ফিতনা নির্মূল করার নাম। ঠিক যেমনটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন-

وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ فَإِنِ انتَهَوْا فَإِنَّ اللَّهَ بِمَا يَعْمَلُونَ بَصِيرٌ ﴿الأنفال: ٣٩﴾

“আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।” (সূরা আনফাল-৩৯)

তবে আমার মনে একটি বিষয়ে খটকা লাগত যে, এই মুজাহিদীনদের একদলকে পাকিস্তানে খেলাফত ও শরীয়ত প্রতিষ্ঠার স্লোগান দেওয়ার কারণে তাদের মসজিদে বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে, তাদের যুবকদেরকে জেলে বন্দি করা হচ্ছে। অপরদিকে কাশ্মীরের মুজাহিদীনদেরকে স্কুটি দেয়া হচ্ছে, উন্নত মানের সরকারী প্রটোকল দেয়া হচ্ছে। এসব কিছু দেখার পর আমার মস্তিষ্কে নানা রকম প্রশ্ন জাগা শুরু হলো। তবুও নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আমি ভাবলাম যে, মাজলুমদেরকে  সাহায্য করার জন্য প্রথমে কাশ্মীর চলে যাই, তারপর সেখানে গিয়ে প্রকৃত বাস্তবতা অনুধাবন করা যাবে, ইনশা আল্লাহ। অতঃপর আমি এখানে (কাশ্মীরে) পৌঁছাতে পেরে অনেক আনন্দিত হয়েছিলাম, বিশেষকরে শহীদ বুরহান (রহ.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ও তাঁর কথা-বার্তা শুনে মুগ্ধ হয়েছিলাম। কারণ, তিনি খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ করছেন। তিনি একথা প্রায়ই বলতেন যে, আমাদের এই লড়াই শুধু জালিমদের জুলুমের বিরুদ্ধে নয়, বরং তা মানবরচিত আইন-কানুনের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র ও সেক্যুলারিজমের বিরুদ্ধে।

আমার  প্রিয়  ভাইয়েরা,

তারপর একটি সময় এমন এসেছিল; যখন এখনকার মুজাহিদীনগণ এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন যে, আমরা সকল তাগুতী গোয়েন্দা এজেন্সির প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে একটি স্বাধীন তানযীম গঠন করব। (এই সিদ্ধান্তের আলোকে) পরবর্তীতে এই তানযীমের নাম রাখা হয়- আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ এবং জাকির মূসা (হাফি.)কে তার আমীর হিসাবে মনোনীত করা হয়। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে, ঐ সকল তাগুতী গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রসাশন দ্বারা পরিচালিত তানযীমগুলোর সাথে সম্পর্ক পরিত্যাগ করব। এরপর জিহাদকে (তাদের প্রভাব থেকে) মুক্ত করে এমন একটি স্বাধীন তানযীম গঠন করা হবে, যারা পুরো হিন্দুস্থানে লড়াই করবে, জিহাদ করবে। যারা গুজরাটের মুসলমানদের জন্য, হায়দ্রাবাদের মুসলমানদের জন্য, এমনকি সমস্ত দুনিয়ার মুসলমানদের জন্য লড়াই করবে। তাছাড়া ঐ সকল মুসলমানদের উপর যে সকল জুলুম-অত্যাচার ও অবিচার চলছে, তার অবসানের জন্যও লড়াই করবে। বিশেষকরে খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থাৎ এই শাসনব্যবস্থাকে সমূলে ধ্বংস করে ও সরিয়ে দিয়ে এখানে ইসলামী শাসনব্যবস্থা চালু করবে। আলহামদুলিল্লাহ্‌,  এই  বরকতময় তানযীম ও তার অধিনস্ত মুজাহিদীনগণের সহযাএী হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে  এবং আল্লাহ তা‘আলা আমাকে কবুল করেছেন। আর ঐ সকল তানযীম থেকে মুক্ত হয়ে আজ আমি “আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ”এ শরীক হয়েছি। এতে আমার খুব ভাল লাগছে, হৃদয়ে আনন্দ অনুভূত হচ্ছে।

কিন্তু বর্তমান এই পরিস্থিতিতে অনেক জায়গা থেকে অনেক ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যও  আসছে। কিছু জায়গা থেকে এমন কথাও বলা হচ্ছে যে, আপনারা তো শুধুমাত্র ১২/১৫ জন বা সর্বোচ্চ ২০ জন সাথী। এতে আর কি হবে? এতো অল্প সংখ্যক লোক দিয়েই বা কি হবে? এ কয়জন লোক দিয়ে তো কোন তানযীম বা জামা‘আত চলতে পারে না। তবে হ্যাঁ, যদি গোয়েন্দা এজেন্সির সহায়তা থাকে, তাহলে হয়ত চললেও চলতে পারে।

প্রিয়  ভাইয়েরা আমার,

এ ধরনের কথা (নেতিবাচক  মন্তব্য) আজ নতুন কিছু নয়। আমি  আপনাদেরকে সংক্ষেপে গাযওয়ায়ে খন্দকের ঘটনা বর্ণনা করব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন পরিখা খনন করছিলেন, সেই সময় একটি পাথরে কোদালের প্রতিটি আঘাতে স্ফুলিঙ্গ বের  হচ্ছিলো, তখন তিনি হয়রত সালমান ফারসী (রাযি.)কে জিজ্ঞাসা করলেন- ‘আপনি কি কিছু  দেখতে পেয়েছেন’? জবাবে তিনি বললেন: জী হ্যাঁ, দেখেছি। দ্বিতীয়বার আঘাত করা ফলে যখন আবারো স্ফুলিঙ্গ বের হলো, তখন পুনরায় হযরত সালমান ফারসী (রাযি.)কে জিজ্ঞাসা করলেন- ‘আপনি কি কিছু দেখতে পেয়েছেন’? জবাবে তিনি বললেন: জী হ্যাঁ, দেখেছি। তৃতীয়বার আঘাত করার ফলে যখন স্ফুলিঙ্গ আবারো বের হলো, তখনো তিনি হয়রত সালমান ফারসী (রাযি.)কে জিজ্ঞাসা করলেন- ‘আপনি কি কিছু দেখতে পেয়েছেন’? জবাবে তিনি বললেন: জি হ্যাঁ, আমি পারস্য ও রোম সাম্রাজ্যের প্রাসাদগুলোকে দেখতে পেলাম যে, আমরা সেগুলো বিজয় করছি। সেই সময় প্রতিউত্তরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: “হ্যাঁ, এই ঘটনা সত্য, আমরা অবশ্যই একদিন রোম ও পারস্য সাম্রাজ্যের প্রাসাদগুলো বিজয় করব।” এই ঘটনা মুনাফিক ও তাদের সমগোত্রীয়দের কাছে পৌঁছালে,  তারা ঠাট্রা করে বলতে শুরু করল যে, “দেখো, তাদের (মুসলমানদের) খাওয়ার জন্য কিছু নেই, পান করার মত পানি নেই, গায়ে দেয়ার জামা পর্যন্ত নেই; এরাই নাকি আবার পারস্য ও রোম সাম্রাজ্য বিজয় করার এবং তা দখল করার ব্যাপারে কথা-বার্তা বলছে ও দিবাস্বপ্ন দেখছে!!! তো ভাইয়েরা আমার, মুসলমানদের সে সময়কার দুঃসময়কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনুল কারীম এভাবে চিত্রায়িত করেছেন-

إِذْ جَاءُوكُم مِّن فَوْقِكُمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنكُمْ وَإِذْ زَاغَتِ الْأَبْصَارُ وَبَلَغَتِ الْقُلُوبُ الْحَنَاجِرَ وَتَظُنُّونَ بِاللَّهِ الظُّنُونَا ﴿الأحزاب: ١٠﴾

“যখন তারা তোমাদের নিকটবর্তী হয়েছিল উচ্চ ভূমি ও নিম্নভূমি থেকে এবং যখন তোমাদের দৃষ্টিভ্রম হচ্ছিল, প্রাণ কন্ঠাগত হয়েছিল এবং তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানা বিরূপ ধারণা পোষণ করতে শুরু করছিলে। (সূরা আহযাব-১০)

ঐ সময় পরিস্থিতি এতটাই নাজুক পর্যায়ে পৌঁছে ছিল যে, আল্লাহ তা‘আলার ব্যাপারে বিরূপ ধারণা চলে আসার উপক্রম হয়েছিল। বর্তমানেও সেই একই পরিস্থিতির শিকার ‘আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ’ ও সে সকল মুজাহিদীন, যারা (শুধুমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর নির্ভর করে) খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য এই দুনিয়ায় লড়াই করে যাচ্ছেন। তারাও একই রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন, হতে হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে বলা হচ্ছে: তাদের পিস্তল আছে তো বন্দুক নেই, বন্দুক আছে তো ফৌজ বা ম্যাগাজিন অথবা গুলি নেই। এরা নাকি আবার খেলাফত  প্রতিষ্ঠার কথা-বার্তা বলছে! অথচ খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য তো কোন রাষ্ট্রীয় শক্তির সহায়তা প্রয়োজন হয়। অথচ প্রিয় ভাইয়েরা, আল্লাহ তা’আলা তো এসব শক্তি-সামর্থ্য বা সংখ্যাধিক্য দেখেন না। বরং আল্লাহ তা‘আলা দেখেন-

إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِندَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ ﴿الحجرات: ١٣﴾

“নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। (সূরা আহযাব-১৩)

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যদি আমাদের জীবদ্দশায় খেলাফত ও শরীয়ত  প্রতিষ্ঠা করে দেন, তবে তা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য অনেক বড় নিয়ামত ও সাফল্য হিসাবে বিবেচিত হবে। আর যদি আমরা এই রাস্তায় শহীদ হয়ে যাই, তথাপি প্রিয় ভাইয়েরা আমার, এটাও আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য অনেক বড় একটি নিয়ামত হিসাবে পরিগণিত হবে। আর তা হচ্ছে শাহাদাতের মর্যাদা, যা আমাদের জন্য এক বিরাট সাফল্য বৈ আর কিছুই নয়। কাজেই এক্ষেত্রে আমরা এটা দেখবো না যে, আমরা সংখ্যায় কতজন সাথী আছি, আমাদের কী পরিমাণ শক্তি-সামর্থ্য ও অস্ত্রশস্ত্র এবং সরঞ্জামাদি আছে। বরং দেখার একমাত্র বিষয় হলো: আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার নুসরাত তথা সাহায্য-সহযোগিতা আমাদের সাথে আছে কিনা? কুরআন ও হাদিসের আলোকে আমরা সঠিক পথে আছি কিনা? এসব কিছু দেখেই এই সফরে আমাদের পথ চলা উচিত।

পরিশেষে, আমি তাগুতের নিয়ন্ত্রণাধীন তানযীমের অনুসারী মুজাহিদীন ভাইদেরকে উদ্দেশ্য করে বলব- প্রিয় ভাইয়েরা আমার, এখন তো বুঝার সময়। কুরআন ও হাদীসের আলোকে জিহাদকে বুঝার সময়। তাছাড়া আপনারা জিহাদকে ঐ সকল তাগুত গোয়েন্দা এজেন্সি ও প্রশাসনের প্রভাব থেকে মুক্ত করে, একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার দাসত্বের দিকে জিহাদকে পরিচালিত করুন। আপনারা তাদের(মানুষের) দাসত্ব থেকে বেরিয়ে আসুন। যখন এসব বিষয় ঠিক হয়ে যাবে, তখনই তো জিহাদের প্রকৃত সফলতা আসবে। নতুবা ৩০ বছর যাবৎ যে জিহাদ ও কিতাল কাশ্মীরে চলছে, তার কোন সুফল তো আমরা পাচ্ছি  না। তার কারণ, পাকিস্তান বা অন্য কোন এজেন্সি যখন চেয়েছে, তখন কাশ্মীরে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়েছে, আবার যখন চেয়েছে, তখন যুদ্ধ বন্ধ করে দৌড় মেরেছে। এর দ্বারা তো কোন  সুদূরপ্রসারী সুফল পাওয়ার কথা নয়। তবে হ্যাঁ, আমরা এই কথা মানি যে, যে কোন ব্যক্তি এই লড়াইয়ে শহীদ হবেন, সে শহীদ (ইনশা আল্লাহ)। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে গাযওয়াতুল হিন্দের শহীদদের মাঝে গণ্য করে নিন। আর যারা লড়াই করছেন, তারা মুখলিস মুজাহিদীন।  কিন্তু তারা (উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে) ব্যবহৃত হচ্ছেন।

সবশেষে আমি ঐ সমস্ত মুজাহিদীনের প্রতি সবিনয় আরজ করবো- তারা যেন কুরআন ও হাদিসের আলোকে জিহাদকে বুঝার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি আল্লাহ তা‘আলার কাছে এই দু‘আ করি যে, তিনি যেন আমাদেরকে এই রাস্তায় অবিচল রাখেন, এই রাস্তায় দৃঢ়তার সাথে দুশমনের বিরুদ্ধে লড়াই করার তাওফিক দান করেন এবং সকল  প্রকার  তাগুতকে ভালোভাবে চিনার-বুঝার তাওফিক দান করেন। আর জিহাদ যে উদ্দেশ্যে (শরীয়ত প্রতিষ্ঠা) করা হয়, সেই উদ্দ্যেশ্য অর্জনের জন্যই যেন আমাদের জিহাদ হয়। আল্লাহ তা‘আলা কাছে সকাতর প্রার্থনা করছি, তিনি যেন আমাদেরকে কথার তুলনায় বেশী কাজ করার তাওফিক দান করেন। (আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন)

رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ﴿البقرة: ١٢٧﴾ وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ ﴿البقرة: ١٢٨﴾

“পরওয়ারদেগার! আমাদের থেকে কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ।” (সূরা বাকারাহ-১২৭)

“নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী। দয়ালু।” (সূরা বাকারাহ-১২৮)

——————

UsamaProkashoni.png

Related Articles

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − nine =

Back to top button