অডিও ও ভিডিওআন-নাসর মিডিয়াইলম ও আত্মশুদ্ধিনির্বাচিতবই ও রিসালাহবই ও রিসালাহ [আন নাসর]বাংলা প্রকাশনামিডিয়াশাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

ধারাবাহিক দাওয়াহ সিরিজ [৩য় পর্ব] হে নবীর ওয়ারিসগণ! হে কুরআনের বাহকগণ! এই পতাকা কে বহন করবে?- শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী (হাফিজাহুল্লাহ)

الترجمة البنغالية: الحلقة الثالثة ضمن السلسلة الدعوية بعنوان :
يا ورثة النبي ﷺ يا حملة القرآن، من يحمل الراية ؟
للشيخ أيمن الظواهري حفظه الله
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী (হাফিজাহুল্লাহ) এর
ধারাবাহিক দাওয়াহ সিরিজ
[৩য় পর্ব]
হে নবীর ওয়ারিসগণ! হে কুরআনের বাহকগণ!
এই পতাকা কে বহন করবে?

[বাংলা অনুবাদ]
ডাউনলোড করুন1080p (Subtitles)
https://banglafiles.net/index.php/s/NPEdNxeRfwkJ6ad
https://archive.org/download/dawa-3-1080-dubing/Dawa3_1080_SubTitle.mp4
https://www.file-upload.com/9vykg58slmri

720p (Subtitles)
https://banglafiles.net/index.php/s/Cre2zDe64mHkbKB
https://archive.org/download/dawa-3-1080-dubing/Dawa3_720_SubTitle.mp4
https://www.file-upload.com/o0888msh4uea

480p (Subtitles)
https://banglafiles.net/index.php/s/4dJQqSFpTXyw7Cb
https://archive.org/download/dawa-3-1080-dubing/Dawa3_480_SubTitle.mp4
https://www.file-upload.com/aq54c33jc4nj

1080p (Dubbing)
https://banglafiles.net/index.php/s/2ndAbkA3GqG4nQ4
https://archive.org/download/dawa-3-1080-dubing/Dawa3_1080_Dubing.mp4
https://www.file-upload.com/j8zofsze8dls

720p (Dubbing)
https://banglafiles.net/index.php/s/XZXPqqrQCkn48tD
https://archive.org/download/dawa-3-1080-dubing/Dawa3_720_Dubing.mp4
https://www.file-upload.com/l5w37nahbem9

480p (Dubbing)
https://banglafiles.net/index.php/s/LBNZs3gN7NZioCj
https://archive.org/download/dawa-3-1080-dubing/Dawa3_480_Dubing.mp4
https://www.file-upload.com/vez5zw821kuc

mp3 (Audio Dubbing)
https://banglafiles.net/index.php/s/mW7eLd2W32DyTGM
https://archive.org/download/dawa-3-1080-dubing/Dawa3_1080_Dubing.mp3
https://www.file-upload.com/3yehqsl2dqwz

PDF
https://banglafiles.net/index.php/s/kYKWDP7j4n56NAp
https://archive.org/download/dawa-3-1080-dubing/Dars%2003.pdf
https://www.file-upload.com/kw4pwluuhf8t

Word
https://banglafiles.net/index.php/s/6eLEj5ToKMgzg6w
https://archive.org/download/dawa-3-1080-dubing/Dars%2003.docx
https://www.file-upload.com/6shr16k99p4y

Banner
https://banglafiles.net/index.php/s/9QnWLa6NWmm2E4W
https://archive.org/download/dawa-3-1080-dubing/Dars%2003.jpg
https://www.file-upload.com/jpx5squs83c7

————-
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ বাংলাদেশ শাখা
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]


 

শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী (হাফিজাহুল্লাহ) এর

ধারাবাহিক দাওয়াহ সিরিজ

[৩য় পর্ব]

হে নবীর ওয়ারিসগণ! হে কুরআনের বাহকগণ!

এই পতাকা কে বহন করবে?

আন নাসর মিডিয়ার সকল পরিবেশনা –

https://justpaste.it/annasrbd1

 

অনুবাদ ও পরিবেশনা

 

بسم الله  والحمد لله  والصلاة  والسلام على رسول الله  وآله وصحبه ومن والاه

সর্বত্র অবস্থানরত মুসলিম ভাইয়েরা! আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকতুহু৷

পর সমাচার এই যে,

আজ আমি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উত্তরসূরী, কর্মরত সম্মানিত আলেমদেরকে বিশেষভাবে সম্বোধন করে দুটি হাদিস পেশ করতে চাই, তাঁদের কাঁধে অর্পিত গুরু-দায়িত্ব স্বরণ করি়য়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে৷

১- হযরত হাইছামী রহি. উল্লেখ করেন, হযরত আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) যখন মুসলমানদেরকে মুসায়লামা কাযযাব, ইয়ামামাহ এবং মুরতাদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বের হওয়ার নির্দেশ দিলেন, তখন যারা যুদ্ধে বের হয়েছিলেন, তাদের মাঝে ছাবেত বিন কায়েস (রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু)ও ছিলেন। তাঁরা যখন মুসায়লামা ও বনী হানিফা গোত্রের মুখোমুখি হলেন তখন দুশমনরা তাঁদেরকে একেক করে তিনবার পরাজিত করল। তখন ছাবেত এবং সালেম মাওলা হুযায়ফা (রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) বললেন: ‘আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে এভাবে যুদ্ধ করতাম না।’সুতরাং তাঁরা দুজনে নিজেদের জন্য একটি গর্ত খনন করলেন, অতঃপর তাঁরা উভয়ে তাতে প্রবেশ করেন এবং সেখানে থেকেই যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়ে গেলেন ৷

২- হাকেম রহি. যায়েদ বিন খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) এর সন্তানদের মধ্যে আব্দুর রহমানের সূত্রে তাঁর  হাদিস গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন; তিনি বলেন- ইয়ামামার যুদ্ধে যায়েদ বিন খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) মুসলমানদের ঝান্ডা বহন করছিলেন। এক পর্যায়ে মুসলমানরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বনু হানীফা মুসলিম পুরুষদের উপর বিজয়ী হয়ে যায়। তখন যায়েদ বিন খাত্তাব রা. বলতে লাগলেন, হায় পুরুষরা কোন পুরুষই নয়! হায় পুরুষরা কোন পুরুষই নয়!! এরপর তিনি উঁচু আওয়াজে চিৎকার করে বলতে লাগলেন,

اللهم انى اعتذ راليك من فرا راصحابي وابرأ اليك مما جاء به مسيلمة ومحكم بن الطفيل

“হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আমার সাথীদের পলায়নের ব্যাপারে ওজর পেশ করছি এবং আমি আপনার নিকট মুসায়লামা ও মুহকাম বিন তুফাইলের কৃতকর্ম থেকে দায়মুক্তি প্রকাশ করছি৷”

এরপর তিনি পতাকা দৃঢ়ভাবে ধারণ করে শত্রু শিবিরের অগ্রভাগের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং নিজ তরবারী দ্বারা আঘাত করতে থাকলেন, অবশেষে শাহাদাতের অমীয় শুধা পান করলেন। (আল্লাহ তাঁর উপর রহমত বর্ষণ করুন!) তাঁর হাত থেকে ঝান্ডা পড়ে গেলে হযরত সালেম (রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) (হুযায়ফা রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু এর আযাদকৃত গোলাম) তা ধারণ করেন। তখন মুসলমানগন বললেন, হে সালেম! আমরা তোমার দিক দিয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা করছি। তখন সালেম বললেন, আমি কুরআনের কতই না মন্দ বাহক হবো! যদি তোমরা আমার দিক থেকে আক্রান্ত হও। (অর্থাৎ কিছুতেই তোমরা আমার দিক থেকে আক্রান্ত হবে না।)

ওহে উলামায়ে ইসলাম! এই পতাকা যুগযুগ ধরে পালা বদল হয়ে আমাদের পর্যন্ত পৌঁছেছে। এ যুগে যারা এই পতাকা ধারণ করেছেন তাদের মাঝে একজন হলেন, ইমামুল মুজাহিদ ডঃ আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রহঃ), যিনি যুদ্ধের ময়দানে প্রথম সারিতে থাকতেন। নিজে স্বশরীরে ময়দানে যুদ্ধ করতেন ।

————————

শায়খ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহ.) এর নেতৃত্ব সম্পর্কে শায়খ আবু মুসআব আসসূরী (রহ.) এর অভিমত।

১৯৮৭ সালের দিকে। সিরিয়ায় জিহাদের ভিত্তি পুনরায় ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ভাইয়েরা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাই আমরা শায়খ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহ.) এর কাছে পৌঁছলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই তখন আমাদের উদ্দেশ্য পরিবর্তন হয়ে গেল। আমরা সিরিয়ার বিষয় ছেড়ে আফগানিস্তানের বিষয়ে মনোযোগ দিলাম। কারণ সিরিয়ায় এর কোন সম্ভাবনা ছিলো না। অবশেষে আমি আফগানিস্তানেই থেকে গেলাম। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯২ সন পর্যন্ত আমি বেশীরভাগ সময় আফগানিস্তানে অতিবাহিত করেছি। অর্থাৎ এই পাঁচ বছরের সিংহভাগ সময়টাই আফগানিস্তানে কাটালাম। শুরুতে আমি শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহ.) এর সাথে আলোচনা করলাম। যেই তারিখে আমি প্রথম আফগানিস্তানে আসি, সেই তারিখের কথা আমার স্মৃতিতে এখনো ঝলঝল করছে। সেদিনটি ছিল, ১৯৮৭ সালের সপ্তম মাসের সপ্তম দিনের সকাল সাতটা। এই তারিখটি আমার স্মৃতি থেকে হয়তো কখনো মুছে যাবেনা। আমরা মিরান শাহ (উত্তর ওয়াজিরিস্তানের প্রশাসনিক সদর দপ্তর) প্রবেশ করলাম। শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহ.) খোস্ত এলাকার এক ঘাটিতে অবস্থান করতে চাইলেন। আমিও তাঁর সঙ্গে রয়ে গেলাম। এসময় আমি তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। একদা শায়খ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহ.) তাঁর ছেলে হোযায়ফা ও ইবরাহিমকে সাথে নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আমিও তাদের সাথে ছিলাম। তখন আমি প্রথমবারের মত আশ্চর্যান্বিত হলাম। মুসলমান ভাইদের মধ্য থেকে কিছু নেতার সাথে শায়খের আচরণ দেখে। … … এভাবে আমি একের পর এক দেখতে থাকলাম। ফলে আমি জীবনে প্রথমবারের মত শায়খ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহ.) এর ন্যায় একজন সঠিক নেতা দেখতে পেলাম। তিনি নিজে স্বয়ং আফগানিস্তানের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে, এক সংগঠনের কাছ থেকে আরেক সংগঠনের কাছে ছুঠে যেতেন। শুহাদাদের ঘটনাগুলো জমা করতেন। তিনি সেগুলোকে লিখে রাখতেন। পরবর্তীতে সেগুলো  الحور عشاق قضية নামে বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এই সফরে স্বয়ং তিনি নিজেও আমাদের সাথে অপারেশনে অংশ নিতেন। কারণ লোকজন অপারেশনস্থলে কাজ করতো। এই দেখে তিনি বলতেন, আমিও তোমাদের সাথে অপারেশনে অংশ নিবো। তখন তিনি ও আমি আক্রমণস্থলে যেতাম। অবশেষে যতক্ষণ পর্যন্ত ভাইয়েরা এই বলে আস্বস্ত না করতেন যে, “আপনি ফিরে যান, আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনযোগ দিন।” ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি ফিরে আসতেননা। এই মানুষটার মাঝে আমি উচ্চ মনোবল পেয়েছি। তাঁর দুটি ছেলে ছিলো। তাঁদের মাঝে হোযায়ফার বয়স ছিলো ১৬ বছর আর ইবরাহিমের বয়স ছিলো ৯ বা ১০ বছর। অর্থাৎ সে কালাশনিকভ রাইফেল থেকে সামান্য লম্বা ছিলো। তারা আমাদের সাথে গাড়িতে ছিলো। ধীরে ধীরে আমি বাস্তবের একজন আদর্শ নেতাকে চিনতে লাগলাম। এমন কিছু যাদুময়ী বাস্তবতা আমাকে আফগানিস্তানের প্রতি আকৃষ্ট করে রাখলো। ১৯৮৭ সালে কাবুল বিজয়ের পূর্ব মুহুর্তে আমি আফগানিস্তানেই ছিলাম। তখন খোস্ত বিজয়ের পর এবং কাবুল বিজয়ের পূর্বে আমি আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ার মনস্ত করলাম।

———————–

তিনি উম্মতকে বারংবার এ কথা স্বরণ করিয়ে দিতেন যে, জিহাদ তখন থেকে ফরজে আইন হয়েছে যখন থেকে উন্দুলুস, বুখারা ও সমরকন্দের পতন হয়েছে।

————————-

শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহ.) এর বক্তব্য থেকে

সর্বজন স্বীকৃত এবং পরিচিত সকল ফকীহ, মুফাসসির, মুহাদ্দিস ও উসূলবীদ এ বিষয়ে একমত যে, যখন কোন মুসলিম ভূমির একবিঘত পরিমাণ কাফেরদের দখলে যায় তখন ঐ অঞ্চলের প্রত্যেক মুসলিমের উপর জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়। অতপর যদি তারা এ ফরজ আদায়ে ত্রুটি করে বা অলসতা করে বা তারা যথেষ্ট না হয় অথবা তারা বসে থাকে, তবে ঐ ভূখন্ডের সকল অধিবাসীর উপর ফরজটি ব্যাপকতা লাভ করে। যদি তারাও ত্রুটি করে বা অলসতা করে বা বসে থাকে অথবা তারা যথেষ্ট না হয় তবে পার্শ্ববর্তী অধিবাসীদের উপরও ফরজটি ব্যাপকতা লাভ করে। এভাবে গোটা বিশ্বের মুসলিম এ ফরজের আওতাধীনে চলে আসে। নারী স্বামীর অনুমতি ছাড়া বের হবে, তবে তার কোন মাহরামের সাথে। ছেলে তার পিতার অনুমতি ছাড়া বের হবে। দাস তার মুনিবের অনুমতি ছাড়া বের হবে। ঋণ-গ্রহিতা; ঋণ-দাতার অনুমতি ছাড়া বের হবে, এটি সালাত ও সিয়ামের মতই ফরজ, যা ত্যাগ করার কোন সুযোগ নেই।

—————————

তিনি মুসলমানদের সামনে সুস্পষ্ট ভাবে বলতেন যে, ফরজে আইন জিহাদ পরিত্যাগকারী ফাসেক যদিও সে এবাদতগুজার, পরহেজগার, তলেবে ইলম ও আলেমই হোক না কেনো।

—————————

শায়খ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহ.) এর বক্তব্য থেকে

فَتَرَبَّصُوا حَتَّىٰ يَأْتِيَ اللَّـهُ بِأَمْرِهِ ۗ وَاللَّـهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ

“সুতরাং তোমরা অপেক্ষা করো আল্লাহর আযাব আসা পর্যন্ত। আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না।” [সুরা তাওবাহ: ২৪ ]

অতএব স্পষ্টভাবে জেনে নিন। যদি আপনি রাত জেগে ইবাদত করেন এবং দিনে রোজা রাখেন। যদি আপনি নিজ দেশে রাত জেগে ইবাদত করেন এবং সারাদিন রোজা রাখেন তবুও আপনি ফাসেক।

বর্তমান সময়ে পৃথিবীর বুকে যারাই জিহাদ করছেনা, তারা প্রত্যেকেই ফাসেক। হোক সে মসজিদের ইমাম, ইবাদতগুজার বা কোন সূফী-দরবেশ। আল্লাহর শপথ করে বলছি ! এটা কোন ধরণের ইবাদত, কোন ধরণের বুজুর্গী এবং কেমন ঈমানী মর্যাদা-বোধ এ লোকদের কাছে ?!! যারা প্রতিনিয়ত দেখছে- ইজ্জত আবরু ভূলুন্ঠিত হচ্ছে, পবিত্র স্থানগুলোকে অপবিত্র করা হচ্ছে, মুসলমানদের জবাই করা হচ্ছে, তাঁদের রক্ত ঝরানো হচ্ছে, তাঁদের সীমানাগুলো দখল হয়ে গেছে, তাঁদের ধর্মকে আজ অপমানিত করা হচ্ছে। এটা কোনধরণের আত্মমর্যাদা! এটা কেমন দ্বীনদারী! এটা কেমন বৈরাগ্য! এটা কোন ধরণের তাহাজ্জুদগুজার- এই লোকদের কাছে।

—————————

আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ব্যাপারে তিনি সদাসর্বদা উদ্বুদ্ধ করে যেতেন। তিনি তাদের বিষয়ে আশ্চর্য প্রকাশ করতেন; যারা রুশদের সাথে কিতালের প্রতি উৎসাহ দেয় কিন্তু আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়েইয়ে অনীহা প্রকাশ করে।

—————————

শায়খ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহ.) এর বক্তব্য থেকে

এ কেমন বন্টন নীতি! কেউ মৌলবাদী, কেউ মধ্যমপন্থী। হ্যা, আমরা মৌলবাদী। আল্লাহ তো আমাদের দুশমনদের সত্য কথা বলিয়েছেন। আমরা মৌলবাদী। তারা চায় আমরা যেন কোরআন সুন্নাহর দিকে ফিরে যাই। তারা চায় মৌলবাদীরা যেন ধর্মের মূলের দিকে ফিরে যায়। আর মধ্যমপন্থীরা, যাদের জন্য “আমরিকান ইসলাম” গ্রহণ করা সম্ভব। এমন ইসলাম যা নাস্তিক্যবাদী কমিউনিজমের সাথে লড়াই করবে। কিন্তু আমেরিকার সাথে লড়বেনা। যেই আমেরিকা আমাদের অর্থ দিয়ে অস্ত্র কিনে, আমাদের সম্পদ দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরী করে মুসলিমদের নারী শিশুদের মাথার উপর নিক্ষেপ করে বিভিন্ন স্থানে- যেমন: সাবরা- শাতিলায়, বাইতুল মাকদিসে, হাইফায় ও ইয়াফা এলাকায়। এরা ইসলামকে ব্যবসায়ীক পণ্য মনে করে। যা আল্লাহর দুশমন আমেরিকানরা নাস্তিক্যবাদীদের বিরুদ্ধে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই ব্যাবহার করবে। তারা কেন এমন মনোভাব লালন করে ? কারণ তাদের যুক্তি হচ্ছে, নাস্তিক্যবাদ খৃস্টবাদের চেয়েও ভয়াবহ। কারণ খৃস্টানদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন

وَلَتَجِدَنَّ أَقْرَبَهُم مَّوَدَّةً لِّلَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ قَالُوا إِنَّا نَصَارَىٰ ۚ

“অবশ্যই আপনি মুমিনদের জন্য মমতার ক্ষেত্রে অধিক নিকটবর্তী পাবেন তাদেরকে যারা বলে আমরা নাসারা।” [সূরা মায়িদা: ৮২]

একারণে যখন আপনি খৃষ্টানদেরকে উদ্দেশ্য করে বলবেন যে, তারাতো কাফের। তখন এই আলেমরা বলে থাকে যে, এরাতো অজ্ঞ। নিজের কিতাব ও অধ্যায়ন করেনা। ওরাতো আহলে কিতাব। কাফের নয়।

—————————

তিনি এ কথার ওপর খুব জোর দিতেন যে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব এমন কুফরী যা একজন মুসলিম কে দ্বীন থেকে খারিজ করে দেয়। তিনি ঐ সমস্ত মুজাহিদদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতেন যারা আরবের তাগুত শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

—————————

শায়খ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহ.) এর বক্তব্য থেকে

তারা কাউকে উদ্দেশ্য করে বলে যে, এরা সন্ত্রাসী। লক্ষ্য করুন! সাথে  সাথে এরপর রেডিও টেলিভিশনে বিচার শুরু হয়ে যায়। প্রকাশ্যে বিচার, গোপনে বিচার। গোপনে ফাঁসির কাষ্ঠে দেয়, প্রকাশ্যে ফাঁসির কাষ্ঠে দেয়। কাদের জন্য এসব করছে তারা? অমুকের অমুকের জন্য। ওমর, উসমান এবং সাইয়্যেদ কুতুবের জন্য। তাঁদেরকে ফাসিতে ঝুলানো হবে। আব্দুল কাদের আওদাহ, মুহাম্মাদ ফারগালী, হিন্দাওয়ী, দুওয়াইরী, ইউসুফ ত্বলা’। এদের অপরাধটা কী!? এদের অপরাধ হলো এরা সন্ত্রাসী! এই লোকদের অপরাধ কী!? মিশরে প্রতিনিয়ত যাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে! প্রতি বছর তাঁরা রব্বুল আলামিনের দায়িত্ব আদায় করছে। আমরিকার চাহিদার বদ্ধভূমিতে। এবং তাদের পূর্ব-পশ্চিমের চাটুকারদের চাহিদার বদ্ধভূমিতে। যাদের তারা আমাদের দেশে প্রহরী বানিয়েছে। ইসলামকে জবাই করার জন্য।

উত্তর দিন তাঁদের অপরাধটা কী? উত্তর এটাই যে, তারা জিহাদী এবং জিহাদী তানযীমের সাথে সংশ্লিষ্টতা। এযুগে জিহাদ করাটা অপরাধে পরিণত হয়েছে। জিহাদ তো সেই ফরজ যা সপ্তম আকাশের উপর থেকে অতীর্ণ হয়েছে। এখন তা অপরাধ হয়ে গেছে। তারা টেলিভিশনে জিহাদকে অপরাধ বলে মিথ্যাচার করতে সামান্যতম লজ্জাবোধ করেনা। অমুককে হত্যা করা হবে, অমুককে ফাঁসি দেওয়া হবে, অমুককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হবে। কারণ কী? কারণ হচ্ছে তাঁরা জিহাদী তানযীমের সদস্য।

হ্যাঁ তোমাদের ভাষায় যদি জিহাদ অপরাধ হয়ে থাকে, জিহাদ সন্ত্রাস হয়ে থাকে, তবে আমরা সন্ত্রাসী। আমরা নিজেদেরকে গোপন করছি না। আমরা সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসবাদ কোরআন-সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত ফরজ।

وَأَعِدُّوا لَهُم مَّا اسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ وَمِن رِّبَاطِ الْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِ عَدُوَّ اللَّـهِ

“আর তোমরা কাফেরদের বিরুদ্ধে যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ববাহিনী প্রস্তুত করো। যার দ্বারা তোমরা আল্লাহর শত্রু  ও তোমাদের শত্রুদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত করবে।” [সূরা আনফাল: ৬০]

এই কাফেররা যতদিন আমাদের কে ভয় পাবেনা, ততদিন আমরা ইসলামের দাবীদার হতে পারবোনা।

—————————

তিনি ইহাও তাগিদ দিয়ে বলতেন যে, নুসরতের পথ কাবুল থেকে সুদুর বাইতুল মুকাদ্দাস পুর্যন্ত বিস্তৃত। দাওয়াত ও জিহাদের পথ ছাড়া বাকি সব অসাড় ও পানিতে ভেসে যাওয়া খড়কুটোর মত। তিনি মুসলমানদের উৎসাহ যোগাতেন, তাঁরা যেন তাগুতি শক্তির কাছে মাথানত না করে যখন তারা মুসলিমদের উপর দখলদারিত্বের প্রচেষ্টা চালাবে। এ বিষয়েও তিনি জোড় দিতেন যে, মুসলমানদের সমস্ত রাষ্ট্র এক ও অভিন্ন। এই রাষ্ট্র কাফেরদের জবর দখল থেকে মুক্ত করা প্রতিটি মুসলমানের উপর ফরজ। যদিও এর কারণে পুরা বিশ্ব তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।

এই পতাকাবাহীদের অন্য একজন হলেন, মুজাহিদ্বীন, আলেম এবং দ্বীনের পথে অটল ও ধৈর্যশীল ব্যক্তিদের মুরুব্বী- উমর আব্দুর রহমান (রহ.)। যিনি প্রধান বিচারপতিকে বলেছিলেন, হে দেশের নিরাপত্তা বিষয়ক উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারক!! হক্বের দলীল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সত্য প্রকাশিত হয়ে গেছে, চক্ষুষ্মান ব্যক্তিদের কাছে সত্য দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে গেছে। সুতরাং আপনার কর্তব্য হলো শরীয়ত দিয়ে বিচার ফায়সালা করা। এবং আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করা। যদি এমনটি না করেন তাহলে আপনি কাফের, ফাসেক ও জালেম। অতঃপর তিনি বিচারকদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, আমরা কারাবাস ও ফাঁসির কোন ভয় করিনা। আমরা কোন শাস্তি বা নির্যাতনের পরোয়া করিনা। আমরা তাই বলবো যা যাদুকররা ফেরাউনকে বলেছিল।

لن نُّؤثرك على ما جاءنا من الْبيّنات والّذي فطرنا فاقض ما أنت قاض إنما تقْضي هذه الحياة الدُّنيا

“যাদুকররা বলল, আমাদের কাছে যে সুস্পষ্ট প্রমান এসেছে তার উপর এবং যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর উপর আমরা কিছুতেই তোমাকে প্রাধান্য দিব না। অতএব, তুমি যা ইচ্ছা করতে পারো। তুমি তো শুধু এই পার্থিব জীবনে যা করার করতে পারবে।” [সুরা তোহা-৭২]

তিনি এটাও বলতেন যে, হে প্রধান বিচারকগণ!! তোমাদের পশ্চাতে হিসাব-নিকাশ হচ্ছে! চাবুকের বদলায় চাবুক! আর শাস্তির বদলায় শাস্তি প্রদান করা হবে!! আর আল্লাহ তা’আলা তো সব পর্যবেক্ষণ করছেনই।

তিনি হলেন ঐ ব্যক্তি যিনি মুসলমানদেরকে আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদের দাওয়াত প্রদান করতেন। তাদের থেকে পরিপূর্ণ রূপে প্রতিশোধ নিতে উৎসাহ যোগাতেন।

—————————

শাইখ উমর আব্দুর রহমান রহ. এর বক্তব্য থেকে

فَقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَ ۚ وَحَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ ۖ

“সুতরাং আপনি আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করতে থাকুন। আপনাকে শুধু নিজের ব্যাপারেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর মুমিনদেরকে জিহাদের পথে উদ্বুদ্ধ করুন।”  [সূরা নিসা ৮৪]

এ আয়াত আমাদেরকে কয়েকটি বিষয়ে সজাগ করে দিচ্ছে। কিছু নির্দিষ্ট অবস্থা ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত করছে। যেগুলো আমাদের জেনে নেওয়া আবশ্যক। এই সেগুলো হচ্ছে- প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী এবং হতাশা সৃষ্টিকারীদের ফেতনা মারাত্মক। তারা বছর বছর ধরে বিভিন্নভাবে জিহাদের পথে বাধা দিয়ে যাচ্ছে। এই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী লোকগুলো কিছু নির্দিষ্ট অনর্থক বুলি মুখে আওড়াতে থাকে। যেমন, “আমরা এখনো প্রস্তুতি নিতে পারিনি। আমাদের প্রশিক্ষণ নেই, সরঞ্জামাদী নেই, আসবাব পত্র নেই। আমরা শত্রুর সমকক্ষ না হলে তো চলবেনা।”

আফসোস ! স্বভাবতই তাদের প্রতিটি কথা অনর্থক, বৃথা, মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ আমাদেরকে শুধুমাত্র সামর্থ পরিমাণ প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

وَأَعِدُّوا لَهُم مَّا اسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ

“তোমরা তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের সাধ্যমত প্রস্তুতি নিয়ে রাখো।” [সূরা আনফাল: ৬০]

আমাদের সামর্থ যদি পাথরের মাঝে হয় তবে সেটাই যথেষ্ট হবে। আমাদের সামর্থ যদি পাথরের খনির মাঝে হয় তবে সেটিই যথেষ্ট হবে। আমাদের সমর্থ যদি রান্না ঘরের ছুরি চাকুর মাঝে হতো, তবে ততটুকুই যথেষ্ট হতো। এটি আমাদের সক্ষমতা, এটি আমাদের সামর্থ। এর চেয়ে বেশী আর আমরা কী করব ?? হ্যাঁ! তুমি তোমার সাধ্যের বাইরে আর কিছু করার দরকার নেই। কারণ আমরা যা জানিনা, তা কোথা থেকে নিয়ে আসবো? তারা তোমাকে এমনও বলবে যে, “এত এত সরঞ্জম না হলে হবেনা। শত্রুদেরকে আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে।” তাই বলছি! হতাশা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের সংখ্যা অনেক। তাদের বিপদ মারাত্মক ধরণের। যার কোন সীমা নেই।

দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, কোরআন নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে  বলছে,

فَقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَ ۚ

“আর আপনি আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করতে থাকুন। আপনাকে শুধু নিজের ব্যাপারেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” [সূরা নিসা ৮৪]

আমি মনে করি, এটাই জবাব, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের মুখের উপর জবাব। এ জবাব তাদের চোখের উপর এসে চোখ বন্ধ করে দিয়েছে। কলবের উপর এসে কলবে মোহর মেরে দিয়েছে। কেননা এটি স্পষ্ট জবাব। কিসের সরঞ্জাম? কিসের আসবাবপত্র , কিসের সংখ্যা সামর্থ? বরং আল্লাহ তায়ালাতো তাঁর রাসূলকে বলছেন যে, যদি যুদ্ধের ময়দানে আপনি একাকিও থাকেন তবে একাই লড়াই করতে থাকুন, একটুও বিলম্ব করবেন না।

—————————

এই পতাকাবাহীদের অন্য কিংবদ্বন্তিরা হলেন, মোল্লা মুহাম্মাদ উমর (রহ.), মুফতি নিজামুদ্দিন শামযায়ী (রহ.), গাজী আব্দুর রশীদ (রহ.), তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ গাজী (রহ.), মৌলবী জালালুদ্দীন হক্কানী (রহ.), শায়েখ আব্দুল্লাহ রুশদ (রহ.), ফারেস যাহরানী (রহ.), ইবরাহীম আর-রুবায়েশ (রহ.), হারেস নাজ্জারী (রহ.), আবুল হাসান বুলায়দি (রহ.), মুরজান সালেম (রহ.), হাসান হারসী (রহ.), এবং মুহাম্মাদ যুলইয়াদাইন (রহ.)।

হে সম্মানিত আলেমগণ! এই ঝাণ্ডাই আজ আপনাদের পর্যন্ত পৌঁছেছে। আপনারা এই ঝাণ্ডা ধারন করুন, এর প্রতিরক্ষা করুন। আপনারা উত্তম পূর্বসূরিদের উত্তম উত্তরসূরী হয়ে যান।

ওহে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওয়ারিসগণ! নিশ্চয় আপনাদের উম্মাহ আজ  যুদ্ধের প্রথম সারিতে আপনাদের প্রয়োজন-বোধ করছে। আজ পুরা জাতি এমন ব্যক্তিদের প্রয়োজনবোধ করছে যারা তাঁদের নেতৃত্ব দিবে। ঐ লোকদের কোন প্রয়োজন মনে করে না যারা তাঁদেরকে হতাশ করে। তাঁরা ঐ ব্যক্তিদের চাইছে যারা উম্মতের উচ্চ মনোবলকে আরো সুদৃঢ় করবে। ঐ লোকদের চাইছে না যারা মনোবলকে নষ্ট করে দিবে। এই উম্মত বড়ই অভাববোধ করে তাদের যারা নব্য ত্রুসেডারদের ধারক বাহকদের অন্যায়, কুফরী ও তাদের ভ্রষ্টতার বিশদ বিবরণ তুলে ধরবে। উম্মত তাদের অভাববোধ করে না যারা নব্য ত্রুসেডারদের অনুগত হওয়াকে আরো সুসজ্জিত করে তোলে এবং ঈমান ও কুফরের মাঝে ব্যবধানকে দূরীভূত করে দিবে। উম্মত অধিক মুখাপেক্ষী তাঁদের যারা একত্ববাদের রাষ্ট্র, জিহাদ ও শাসনকার্যের রূপরেখা বর্ণনা করবে। যা আমাদেরকে মর্যাদাবান করবে এবং আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে। তাদের মুখাপেক্ষী নয় যারা ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী পক্ষপাতদুষ্ট রাজত্বকে সুন্দর করে দেখায়। যা আমাদেরকে ফেৎনায় ফেলে দিবে এবং আমাদের মনোবল ভেঙে দিবে। উম্মত তাঁদের অভাব খুবই অনুভব করে যারা নব্য ত্রুসেডারদের ধারক বাহকদের মুখোশ উন্মোচন করে দিবে। তাদের অভাব অনুভব করেনা যারা প্রতিনিয়ত উম্মতের সামনে টেলিভিশনে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা প্রচার প্রসার করে। এই জাতি আরো প্রয়োজনবোধ করে তাঁদের যারা আরব উপদ্বীপ, মিশর, পাকিস্তান,ইরাক, শাম ও আফগানিস্তানে বন্দি আলেমদেরকে সাহায্য করবেন।

হে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উত্তরসূরিগণ! আপনারা ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের মুখোশ উন্মোচন করে দিন, যারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় ব্যভিচারীর আনুগত্যের আদেশ দেয় এবং দুনিয়ার অতি সামান্য সামগ্রীর বিনিময়ে দ্বীনকে বিক্রি করে দেয়। অথচ হক্কানী উলামায়ে কেরামগণ তাদের আশপাশ থেকে অপহৃত হচ্ছেন।

হে নবীর ওয়ারেসগণ! আপনারা আমাদের সর্দার আবু হুজায়ফা (রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) এর আযাতকৃত গোলাম সালেম (রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) এর মত হয়ে যান। যিনি বলেছিলেন, আমি কুরআনের কতই না মন্দ বাহক হবো! যদি আমার দিক থেকে তোমরা আক্রান্ত হও।

و آخر دعوانا ان الحمدللہ ربّ العالمین.

والسلام علیکم ورحمۃ اللہ وبرکاتہ.

 

 

আস-সাহাব মিডিয়া থেকে প্রকাশিত শাইখের ভিডিও বয়ান থেকে আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে।

যিলকাদাহ ১৪৪০ হিজরী মোতাবেক জুলাই ২০১৯ খৃষ্টাব্দ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 5 =

Back to top button