ইউরোপের জনগণের প্রতি বার্তা- শাইখ উসামা বিন লাদিন
ইউরোপের জনগণের প্রতি বার্তা- শাইখ উসামা বিন লাদিন
ডাউনলোড ফোল্ডার আকারে
https://archive.org/details/amessage-to-the-european-people
https://mega.nz/folder/hzhl0bZA#zyF6FLWe1U3P8IPVAEd1IQ
ভিডিও-
https://mega.nz/file/AvADzA6C#tcwBClSp01TmtqKkjNaKGWbWN_343s-_mDXCHG3GQY4
https://archive.org/details/AMessageToTheEuropeanPeoplebangla-sheikhOsamaBinLadinha_468
পিডিএফ-
https://mega.nz/file/gqoASLDR#xFyQKN8rIAVBJbJUcEiuyMTSP880aJQ7fttK2I7Xb40
https://archive.org/details/AMessageToTheEuropeanPeoplebangla-sheikhOsamaBinLadinha
ইউরোপের জনগণের প্রতি বার্তা
মুজাহিদ শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ
[আল্লাহ তা’আলা তাঁকে হিফাজত করুন]
তারিখ:৩০-০৯-২০০৯
আস– সাহাব মিডিয়া প্রোডাকশন
قُلۡ لِّلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِنۡ یَّنۡتَہُوۡا یُغۡفَرۡ لَہُمۡ مَّا قَدۡ سَلَفَ ۚ وَ اِنۡ یَّعُوۡدُوۡا فَقَدۡ مَضَتۡ سُنَّتُ الۡاَوَّلِیۡنَ
“তুমি বলে দাও, কাফেরদেরকে যে, তারা যদি বিরত হয়ে যায়, তবে যা কিছু ঘটে গেছে ক্ষমা হবে যাবে। পক্ষান্তরে আবারও যদি তাই করে, তবে পুর্ববর্তীদের পথ নির্ধারিত হয়ে গেছে।”(সূরা আনফাল ৮: ৩৮)
ইউরোপের জনগণের প্রতি বার্তা
সকল প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার জন্য,যিনি নিজের ওপর যুলুমকে হারাম করার সাথে সাথে মানুষের উপরেও যুলুমকে হারাম করে দিয়েছেন।
অতঃপর,
ইউরোপের জনগণের প্রতি; তাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক যারা হিদায়াতের পথ অনুসরণ করে। তোমরা ভালো করে ই জানো যে, যালিম তার কৃত অপরাধের দ্বারাই ধ্বংস হয়। আর অন্যায়ের বেদনাদায়ক পরিণতি অন্যায়কারিকেই ভোগ করতে হয়। যাবতীয় অন্যায়ের মাঝে সবচেয়ে বড় অন্যায় হলো, মানুষকে বিনা কারণে হত্যা করা, আর ঠিক এ কাজটিই তোমাদের ‘NATO’ দলভুক্ত সরকার ও সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে করে বেড়াচ্ছে।
তারা সেখানে নারী,শিশু ও বৃদ্ধদেরকে হত্যা করছে; যাদের একমাত্র অপরাধ হচ্ছে বুশ তাদের উপর ক্রুদ্ধ হয়েছে, যদিও তোমরা জানো যে, তারা (আফগানরা) কোনো দিনই ইউরোপের বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণের প্রস্তুতি নেয় নি এবং আমেরিকায় সংঘটিত ঘটনার সাথেও তাদের কোনো যোগসূত্র ছিল না।
সুতরাং, তোমরা কিসের উপর ভিত্তি করে সেই ন্যায় ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করছ, যা নিয়ে তোমরাই বড় বড় কথা বলে থাকো? তোমরা কি কখনো বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেছ কিংবা জ্ঞান ও বিবেক সম্পন্ন মানুষদেরকে কখনো জিজ্ঞাসা করেছ? কেননা, সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন আফগানিস্তানের যুদ্ধের ধুলা বালি মুছে যাবে। যেদিন তোমরা কোনো আমেরিকানেরই পদচিহ্ন দেখতে পাবে না, কেননা,তারা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে চলে যাবে এবং আল্লাহর অনুমতিক্রমে কেবল আমরা আর তোমরাই থেকে যাবো অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারিতের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য।
তোমাদেরই দেশ জর্জিয়ার উদাহরণে তোমাদের জন্য শিক্ষা রয়েছে, এর লোকেরা বোমা দ্বারা আক্রান্ত হলো এবং যাদের উপর আক্রমণ হলো তারা আমেরিকার নিকট সাহায্যের জন্য আবেদন জানালো; যাতে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া সার্বভৌমত্ব কে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু এর প্রতিউত্তরে শুধুমাত্র কিছু ফাঁকা বুলিই আওড়িয়েছে আমেরিকা। পরিশেষে যদিও তাদের জাহাজ ও নিয়ে এসেছিল, কিন্তু ওসেচিয়া এবং আবখাজিয়াকে উদ্ধারের জন্য নয়,বরং এসেছিল কিছু তাঁবু, সামান্য খাদ্য আর কাপড় কাঁচার সাবার বিতরণ করতে; যার কোনো প্রয়োজন জর্জিয়াবাসীর ছিল না। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা কর।
একজন বুদ্ধিমান মানুষ কখনোই ওয়াশিংটন এর অপরাধীদের জন্য নিজের অর্থ ও সন্তানদের নষ্ট করবে না এবং তাদের নেতৃত্বে যুদ্ধ করা একটি লজ্জাজনক বিষয়; যাদের সর্বোচ্চ কমান্ডারের মানুষের জীবনের প্রতি বিন্দুমাত্র দয়া নেই, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রামের নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য আকাশ থেকে বোমা ফেলছে এবং এমন ঘটনার আমি নিজেই একজন স্বাক্ষী। শুধুমাত্র তখনই হাম্ভির বহর আসে, যখন তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত হয় যে,তাদের বোমায় শুধু শিশুরাই মারা গিয়েছে। আমেরিকার দরদ তখনই উথলে উঠে যে, তারা নিহত শিশুপ্রতি ১০০ ডলার করে শিশুদের কোনো এক আত্মীয়ের হাতে দিয়ে যায়।
এটা মর্মান্তিক। ইউরোপে কোনো ভেড়া কি ১০০ ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যায়? ওয়াশিংটন এবং তার মিত্রদের চোখে আমাদের নিরপরাধ শিশুদের মূল্য এতটুকুই, সুতরাং এর প্রতিক্রিয়া আমাদের মাঝে কী হতে পারে? তোমরা যদি দেখতে তোমাদের মিত্র আমেরিকা এবং তার দোসরেরা উত্তর আফগানিস্তানে কী করেছিল এবং কিভাবে তারা হাজার হাজার তালিবানকে মালবাহী কন্টেইনার ট্রাকের ভিতরে সার্ডিন মাছের মতো ঠাসাঠাসি করে ভরে তালা মেরে দিয়েছিল-তারা মারা গিয়েছিল অথবা তাদেরকে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছিল। এসব প্রত্যক্ষ করলে ঠিকই বুঝতে পারতে কি কারনে মাদ্রিদ এবং লন্ডনের ঘটনাগুলো ঘটেছিল ।
আমি এখানে যা যা উল্লেখ করলাম সবই প্রামাণ্য ঘটনা। কিন্তু জাতিসংঘ যখন(উত্তর আফগানিস্তানে) সংঘটিত ঘটনার তদন্ত শুরু করলো তখন বুশ প্রশাসন চাপ প্রয়োগ করল এবং তদন্ত বন্ধ হয়ে গেল। আর এটিই হচ্ছে আমেরিকার সুবিচারের দৃষ্টান্ত।
সংক্ষেপে বলতে চাই ,আমরা এমন কোন দাবী করছি না যা যুক্তিহীন, অন্যায় বা বাড়াবাড়ি। ন্যায়সঙ্গত দাবী এটাই যে, তোমরা তোমাদের জুলুম-নির্যাতন ত্যাগ করবে এবং তোমাদের সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করবে এবং এটাই যুক্তিসংগত যে তোমরা তোমাদের প্রতিবেশীকে আঘাত করবে না। আর যখন ইউরোপ অর্থনৈতিক সংকটের যন্ত্রণা ভোগ করছে এবং ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র বিশ্ব রপ্তানির শীর্ষস্থান হারিয়েছে এবং আমেরিকার অর্থনৈতিক যুদ্ধের রক্তক্ষরণে পাগলের মতো ছুটে বেড়াচ্ছে, এ অবস্থায় যদি আমেরিকা আল্লাহর ইচ্ছায় লেজ গুটিয়ে পালায়, আর মাজলুমের পক্ষে অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে আমরা প্রস্তুত হই তাহলে তোমরা কিভাবে আমাদের মোকাবেলা করবে?
সুতরাং সে-ই সুখে থাকবে, যে অন্যের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং সামান্য প্রতিরোধ বিরাট প্রতিকার থেকে উত্তম এবং সত্যের দিকে প্রত্যাবর্তন-বিভ্রান্তির দিকে হাবুডুবু খাওয়ার চেয়ে উত্তম। এবং তাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক যারা হিদায়াতের পথ গ্রহণ করে।
وَ اِنۡ جَنَحُوۡا لِلسَّلۡمِ فَاجۡنَحۡ لَہَا وَ تَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰہِ ؕ اِنَّہٗ ہُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ
“ আর যদি তারা সন্ধি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে তুমিও সে দিকেই আগ্রহী হও এবং আল্লাহর উপর ভরসা কর। নিঃসন্দেহে তিনি শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত।”(সূরা আনফাল ৮:৬১)
সমাপ্ত