শান্তির শুভেচ্ছা… ইসলামের অনুসারীদের প্রতি – মুজাহিদ হামযা বিন ওসামা হাফিজাহুল্লাহ
শান্তির শুভেচ্ছা… ইসলামের অনুসারীদের প্রতি
– মুজাহিদ হামযা বিন ওসামা হাফিজাহুল্লাহ
ডাউনলোড করুন
https://banglafiles.net/index.php/s/WBAaaAod2Nr2bWA
https://archive.org/download/shantir-shuveccha/.pdf
https://www.pdf-archive.com/2015/09/30/hamza-bin-usama-bin-laden-hote-barta-bangla/
http://www.mediafire.com/file/x5uizefuatsygou/37.hamza-bin-usama-bin-laden-hote-barta-bangla.pdf/file
WORD
https://banglafiles.net/index.php/s/PQHtaAeB2yFzKrA
https://archive.org/download/shantir-shuveccha/hamzaMsg_bngla.docx
=====================================
শান্তির শুভেচ্ছা…..
ইসলাম এর অনুসারীদের প্রতি
মুজাহিদ হামযা বিন উসামা বিন লাদেন(হাফিযাল্লাহু) এর পক্ষ হতে
بسم الله الرحمن الرحيم
সকল প্রশংসার অধিকারী একমাত্র আল্লাহ্, যার কাছে আমরা সাহায্য ও ক্ষমা চাই।আমরা আল্লাহ্র কাছে আমাদের অন্তরে লুকিয়ে থাকা খারাবি ও আমাদের খারাপ কাজের ফলাফল হতে আশ্রয় চাই। আল্লাহ্ যাকে হিদায়াত দান করবেন, তাকে পথভ্রষ্ট করার কেউ নেই। আল্লাহ্ যাকে পথভ্রষ্ট করবেন, তাকে পথ দেখানোর কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, যার কোন শরীক নেই,এবং মুহাম্মদ(সা) তাঁর বান্দা ও রাসূল।
অতঃপরঃ
মুসলিম উম্মাহর সর্বসাধারণের প্রতি সালাম, এবং আপনাদের প্রতি আল্লাহ্র ক্ষমা ও রহমত নাযিল হোক।
আমার মুসলিম উম্মাহঃ এক দশকের কিছু বেশি সময় পার হয়েছে যখন থেকে যালিম ক্রুসেডাররা আপনাদের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ শুরু করেছে এবং আপনারা একের পরে এক আঘাতের সম্মুখীন হচ্ছেন। সেগুলার কিছু আপনার ঈমানে আঘাত হেনেছে, কিছু আপনার বিশ্বাসে, কিছু আপনার নবী মুহাম্মদ(সা) কে অপমান করেছে, এবং কিছু আপনার পবিত্র স্থানগুলাতে আঘাত করেছে। আমাদের জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট, এবং তিনি সকল বিষয়ের সর্বোত্তম ফয়সালাকারী।আপনারা অনুগত, নিবেদিত উম্মাহ। আপনাদের দুর্বলতা ও শক্তির কমতি থাকার পরেও আপনারা অত্যাচারীদের আক্রমণ ও আগ্রাসনকে রুখে দাঁড়িয়েছেন। হে বরকতময় উম্মাহ, আপনারা জ্ঞানী, শক্তিশালী ও সাহসী নেতাদের ধারণ করেছেন যারা নিজেদের মহৎ উৎসর্গকারী। আল্লাহ্ আপনাদের সবর, অধ্যবসায় ও ধীরস্থিরতার পুরস্কার দান করুন। আল্লাহ্ আপনাদের অনবরত শত-সহস্র বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের জীবনদানের জন্য বরকত দান করুন; আল্লাহ্ তাঁদের প্রতি রহম করুন এবং তাঁর জান্নাতে নিবাস দান করুন। এবং আরো অনেক বেশি সংখ্যক আহত ও বন্দী, আল্লাহ্ তাঁদের সুস্থ করুন ও শিকল থেকে মুক্ত করুন, এবং আরো বহু সংখ্যক বিধবা,ইয়াতিম,স্বজনহারা- আল্লাহ্ জানেন, তাদের বিপর্যয়ে আল্লাহ্ তাদের জন্য উত্তম জিনিস দান করুন। আল্লাহ্ যেন আপনাদের পুরস্কার দান করেন হে আমার মুসলিম উম্মাহ, তাকদির সুপ্রসন্ন করেন,বিজয় ত্বরান্বিত করেন এবং বরকত দান করেন।
এবং বিশেষভাবে, আমি জিহাদের দৃঢ় পর্বত, আমিরুল মু’মিনীন মোল্লা মুহাম্মদ উমর (হাফিযাল্লাহু) ও ইসলামিক আমিরাতের যোদ্ধাদের কথা বলতে চাই, আল্লাহ্ তাঁদের মর্যাদা দান করুন। আল্লাহ্ যেন আপনাদের থেকে আপনাদের ও মুসলিম উম্মাহকে ব্যাপক পুরস্কার দান করেন এবং আপনাদের লক্ষ্যের জন্য এবং আপনাদের চেষ্টায় বরকত দান করেন। এই ক্ষেত্রে, আমি আমার বাবার(রহ.) অনুসরণ করি, আমি আমিরুল মু’মিনীন মোল্লা মুহাম্মদ উমর(হাফিঃ) এর কাছে আমার বাইয়্যাহ নবায়ন করতে চাই এবং বলিঃ আমি কঠিন সময়ে ও সাফল্যে আপনার কথা শুনতে ও মানতে বাইয়্যাহ দিচ্ছি, সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ তায়ালার রাস্থায় জিহাদে। আল্লাহ্র কাছে আপনার জন্য বিজয় ও শক্তি চাই।
একই সাথে, আমি আমার বাবা (রহ.) এর বন্ধু ও চলার পথের সাথী, সম্মানিত শায়খ আমির আয়মান আল-জাওয়াহিরী (হাফিযাল্লাহু) কে সালাম জানাই, যিনি সবরকারী ও দৃঢ়, যেরকম আমরা তাঁকে মনে করি ও আল্লাহ্ তাঁকে সবচেয়ে ভাল জানেন। সালাম হে সম্মানিত শায়খ। আল্লাহ্ যেন আপনার জিহাদ, অধ্যবসায় ও সবরকে কবুল করেন। আমি আল্লাহ্র কাছে আপনার জীবন, সময় এবং প্রচেষ্টার বরকত কামনা করি এবং ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য আপনার রক্ষণাবেক্ষণ এর দুয়া করি।
মুহাজির আগন্তুকদের প্রতি সম্মান নিবেদন, প্রশংসা- হিজরত, বিচ্ছিন্নতা ও একাকীত্বের কঠিন অবস্থায় তাদের সবরের জন্য। সেসব বিশ্বস্ত,অদৃশ্য,মহানায়ক যোদ্ধাদের জন্য, যারা শহীদ হয়েছেন তাঁদের যা করার ইচ্ছা ছিল তা করতে পারার পূর্বেই, এবং যেসব শহীদদের কথা উম্মাহ জানে না। বিমান-হামলা ও গোলাবর্ষণ এর সময়ে স্থিরতা,সবরে অটল, আমাদের খোরাসানের ভাইদের প্রতিঃ সালাম হে অনুগত বান্দারা। আমি আপনাদের সবর ও দৃঢ়তার পুরস্কারের জন্য আল্লাহ্র কাছে গভীরভাবে দুয়া করি। নিশ্চয়ই, সবরকারীরা বিনা হিসাবে পুরস্কার পাবেন।
এবং আমার সালাম,অভিবাদন ও সম্মান আমাদের আরব উপদ্বীপের সিংহদের প্রতি যারা প্রিয় শায়খ,কায়েদাতুল জিহাদের ডেপুটি, শায়খ আবু বাসির নাসির আল উহায়শি এর নেতৃত্বে পরিচালিত, এবং তার নির্ভীক যোদ্ধাদের- ইয়েমেন এর জ্ঞান,সমর্থন ও ঈমানী যোদ্ধাদের প্রতি। আল্লাহ্ আপনাদের সবাইকে বরকত দান করুন,জান্নাতকে আপনাদের চূড়ান্ত স্থান করুন এবং আপনাদের জিহাদ ও শত্রুর জ্বালা হওয়াকে কবুল করুন। আল্লাহ্র কাছে আপনাদের বরকতের দুয়া চাই।
এবং আমি আমার সালাম প্রসারিত করি সম্মানিত শায়খ, আমাদের বিচারে সবরকারী, আবু মুসাব আবদুল ওয়াদুদ এর প্রতি এবং তার সৈন্যদের প্রতি,ইসলামিক মাগরেব এর যোদ্ধা ও সিংহদের প্রতি, যারা সবর,সম্মান ও মর্যাদার সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আল্লাহ্ আপনাদের বরকত দান করুন,খেয়াল রাখুন ও আপনাদের অবিচল থাকার মাধ্যমে ইসলামিক মাগরেবকে রক্ষা করুন।আমি আল্লাহ্র কাছে দুয়া করি আপনাদের জিহাদে বরকত এর জন্য, এবং আপানাদেরকে প্রচুর সবর ও ভরসা দানের জন্য।
এবং, ধন্যবাদ,সম্মান ও সৌজন্য আমাদের সোমালিয়ার ভাইদের জন্য, তাকদিরের সিদ্ধান্তে অবিচল ও ধৈর্যশীল, মিষ্টি ও তিক্ত, পূর্ব প্রান্তে ইসলাম এর রক্ষাকারীদের প্রতি, আল্লাহ্ তাঁদের রক্ষা করুন ও হিফাজত করুন, এবং জান্নাতকে তাঁদের চূড়ান্ত নিবাস করুন।আল্লাহ্ আপনাদের প্রচেষ্টা ও জিহাদের বরকত দান করুন। আমাদের সান্তনা বিশেষভাবে প্রসারিত আপনাদের প্রতি এবং সাধারণভাবে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর প্রতি, ইসলাম এর শহীদ যোদ্ধার প্রতি, ইসলামের বীর শায়খ মুখতার আবু আল-যুবায়র এর প্রতি, আল্লাহ্ তাঁকে ক্ষমা করুন ও তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে নিবাস দান করুন। আমরা শায়খের পছন্দের উত্তরসূরি,শায়খ আহমেদ ওমর আবু ওবাইদা(হাফিঃ)কে অভিবাদন জানাই। আমরা আল্লাহ্র কাছে দুয়া করি যেন আপনাকে সাহায্য করেন এবং পদক্ষেপকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন, এবং আপনাকে যেন ক্রুসেডার ও তাদের সাহায্যকারীদের জন্য গলার কাঁটা বানিয়ে দেন।
এক বিরাট সম্মান এর স্যালুট দুঃসাহসী কমান্ডার, শায়খ আল-ফাতাহ আবু মুহাম্মদ আল-জাওলানী এবং তাঁর সৈন্যদের প্রতি, আল্লাহ্ তাদের হিফাজত করুন। আল্লাহ্ আপনার পদক্ষেপকে সরল পথে পরিচালিত করুন। আপনি শত্রুর ব্যাপক ক্ষতি করেছেন ও ইতিহাসের পাতায় বীরত্ব লিখিয়েছেন। আল্লাহ্ আপনার প্রচেষ্টা ও ত্যাগকে কবুল করুন, এবং আল্লাহ্র আপনাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে মাকাম দান করুন। আমরা আপনার জিহাদ,অধ্যবসায়, এবং অনন্য ত্যা্গ-যা আমাদের ইসলামী পূর্বপুরুষদের ন্যায় সম্মানিত, এর জন্য ধন্যবাদ জানাই; আপনাদের জিহাদের ময়দানে যে ফিতনা এসে হতচকিত করেছিল তার জন্য আমরা শোকাহত হয়েছিলাম, এবং আল্লাহ্ ছাড়া কোন শক্তি বা ক্ষমতা নেই। আমরা আপনাকে এই ফিতনা থেকে দূরে থাকার আহবান জানাই। একজন ব্যক্তি ততক্ষণ তার ঈমানের উপরে থাকবে যতক্ষণ সে অন্যায়ভাবে কারো রক্ত না ঝড়াবে। আল্লাহ্র কাছে সারা দুনিয়ার ধ্বংসের চেয়ে একজন মুসলিম হত্যা বেশি গুরুতর, এবং তাই আমাদের জিহাদ ও আমাদের মুজাহিদরা আরো বেশি গুরুত্ব রাখে। আমি আল্লাহ্র কাছে দুয়া করি যেন তিনি আপনাকে সাহায্য করেন এবং প্রকাশ্য-গোপন উভয় প্রকার ফিতনা এড়াতে যেন পারেন।
ধন্যবাদ, সৌজন্য ও সালাম ভারতীয় উপমহাদেশের যোদ্ধাদের প্রতি, যারা শায়খ আসেম উমর এবং তাঁর ভাইদের নেতৃত্বে আছেন, আল্লাহ্ তাদের হিফাজত করুন এবং তাদের পথকে আলোকিত করুন। মুজাহিদ সারিতে একতা ও একত্রীকরণে তারা জীবন্ত উদাহরণ । তারা সেই আয়াতের দৃষ্টান্ত যেখানে আল্লাহ্ বলেছেন- “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর” (সূরা আস সাফ, আয়াত ৪)। আল্লাহ্ আপনাদের পুরস্কৃত করুন এই ভাল পদক্ষেপের জন্য এবং আমি আল্লাহ্র কাছে দুয়া করি আপনাদের কার্যক্রম, সময় ও কাজে বরকত দান করুন।
এক শান্তির শুভেচ্ছা এবং সম্মানের তোড়া সারা বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ মুজাহিদদের প্রতি- ফিলিস্তিনে গৌরবের, অবিচলতা ও ধৈর্যের সাথে, ইরাকে সাহস ও বীরত্বের সাথে, এবং উমর আল মুখতারের লিবিয়ায়, ত্যাগ ও দৃঢ়সংকল্পের চেচনিয়ায়, খ্রিস্টানীকরণ ও ভ্রষ্টতার ইন্দোনেশিয়ায়, এবং আঘাতগ্রস্থ বার্মায়, পূর্ব তুর্কিস্তান এবং সকল মুসলিম দেশে। আল্লাহ্ আপনাদের রহম করুন এবং খেয়াল রাখুন, শত্রুর বিরুদ্ধে আপনাদের বিজয় দান করুন এবং শক্তিশালী করুন, এবং তাঁর পক্ষ থেকে আপনাদের সবর দান করুন পরিপূর্ণরূপে।
সালাম ও শ্রদ্ধার সমাপ্তিতে…. আমাদের সকল ভাইয়ের প্রতি এবং আমাদের অবিচল, কারাবন্দী শায়খরা যারা বিচলিত হননি অথবা বদলাননি, এবং যারা বছরের পর বছর জল্লাদদের চাবুকের পরেও অটল আছেন, বিশেষভাবে শায়খ ওমর আব্দেল রাহমান, শায়খ সুলায়মান আল-আলওয়ান, এবং খালিদ শাইখ মুহাম্মদ ও তাঁর ভাইয়েরা, আল্লাহ্ তাঁদের মুক্ত করুন। এবং সেসব শায়খ যাদের থেকে আমি শিক্ষালাভ করেছিঃ শায়খ আহমদ হাসান আবুল খায়ের, শায়খ আবু মুহাম্মদ আল-মাসরি, শায়খ সাইফ আল-আদেল, এবং শায়খ সুলায়মান আবু গাইছ- আল্লাহে যেন তাঁদের সকলকে মুক্ত করেন। এক বিশেষ সালাম হারামাইন ভূমির জেলে থাকা পবিত্র ও হক্কানী শায়খদের প্রতি… আমি আল্লাহ্র কাছে দুয়া করি যেন সব এবং প্রতিটা মুসলিম বন্দীকে শিকলমুক্ত করেন , প্রশান্তি দান করেন এবং তাদের পেরেশানী দূর করেন, তিনি তা করতে সক্ষম।
আমি আপনাদের সুখবর দিচ্ছি যে, আপনাদের মুজাহিদ ভাইয়েরা তাদের শক্তি অনুযায়ী সবকিছু করছেন আপনাদের শিকল খোলা ও মুক্ত করার জন্য। আপনারা খুব শীঘ্রই মুক্ত হবেন ইনশাআ আল্লাহ্। আমি সুসংবাদ দিচ্ছি যে আল্লাহ্ জেলের ভিতরে আপনাদের ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের জন্য আল্লাহ্ আপনাদের পুরস্কৃত করবেন। আপনারা মুসলিম উম্মাহর ও এর তারুণ্যের জন্য উৎসাহ,সবর ও স্থিতিশীলতার উৎসে পরিণত হয়েছেন। আল্লাহ্র শপথ, আমরা আপনাদের ভুলে যাইনি এবং যাবও না। আপনাদের কিছু ভাইয়েরা নিজেরা বন্দী হয়ে হলেও আপনাদের মুক্ত করতে ও মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে তৎপর।
সেখানকার শিকলবদ্ধ বন্দীদের অশ্রু এবং এখানকার শহীদ এর রক্ত মিলিত হবে,
যতক্ষণ শিকারীরা রক্ত ও অশ্রুতে হাবুডুবু খায়, বন্যা ব্যতীত অন্য কোন পানি সেখানে সাহায্য করতে পারবেনা।
আমার মুজাহিদ ভাইয়েরাঃ আপনাদের জিহাদ, অবিচলতা, চেষ্টা, দান এবং হক্কের পূর্বসূরি মুজাহিদদের (আমির অথবা সৈনিক) জিহাদের ফল পাকার খুব কাছাকাছি এবং আল্লাহ্র অনুমতিতে শীঘ্রই তা তুলে নেয়া হবে, তাই একে রক্ষা করুন সর্বস্ব দিয়ে।
আনন্দিত হউন…. আন্তর্জাতিক কুফফার ও এর নেতা আমেরিকা ভয়াবহ আঘাত পেয়েছে এবং এক নিদারুণ পরাজয় যেটা আপনাদের খালিস হাতের দ্বারা এর ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছে, শুধু পতন বাকি, আল্লাহ্র ইচ্ছায়। দৃঢ়,ধৈর্যশীল হোন, এবং সামনে এগিয়ে যান, আপনাদের বিজয় ও সাহায্য তো আল্লাহ্র পক্ষ থেকেই।
আমার মুসলিম উম্মাহঃ আপনাদের কাছে ছোট বুশ এর শুরু করা ক্রুসেডার অভিযানের কথা গোপন নেই, যেটাকে হোয়াইট হাউসের অপরাধী চক্রের কালো নেতা চালিয়ে নিচ্ছে, ইরাক ও শামে নতুন অভিযানের মাধ্যমে। এই প্রসঙ্গে, আমরা সকল শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারকে সান্তনা জানাই, এবং যারা স্থানচ্যুত হয়েছে এবং ফেরারী হয়েছেন তাদের সমর্থন জানাই। আল্লাহ্ আপনাদের পুরস্কৃত করুন এবং আপনাদের বেদনায় সান্তনা দান করুন।
এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মুহূর্তে, আমি বলি- আমাদের সকলের ক্রুসেডার চক্রের বিরুদ্ধে পরিষ্কার এবং গম্ভীর অবস্থান নেয়া উচিত, যেটা পরিস্থিতির সাথে খাপ খায়।
প্রথম অবস্থানঃ আমাদের জানতে হবে যে এই নির্মম, পুনঃ পুনঃ ক্রুসেডার অভিযান তাদের দেখানো সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ না,অথবা কোন বিশেষ নেতা বা দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না, বরং এটা তাওহিদকে মিটিয়ে দেয়ার নিমিত্তে ইসলাম এর বিরুদ্ধে আদর্শিক যুদ্ধ। এটা ইসলামের শীর্ষস্থানীয় বস্তু জিহাদকে লক্ষ্যবস্তু বানায়, আমাদের পবিত্র স্থানসমূহের অবমাননা করে, আমাদের সম্পদ লুট করে, যাতে করে আমাদের জাতিসমূহের সামনে আমাদের উম্মাহর কিছুই না থাকে এবং তারা ইচ্ছামত আমাদের ব্যবহার করতে পারে। যারাই ইসলামের মহান মূলনীতির জন্য ত্যাগ স্বীকার করবে ও একে রক্ষা করতে চাইবে তাদেরকে ধাওয়া করা হবে এবং লড়াই করা হবে, তাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত রচনা করা হবে, এবং শত্রুরা একতাবদ্ধ হয়ে তাঁর মুকাবিলা করবে ও মিটিয়ে দিতে চাইবে। “তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়। কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে” (সূরা আত-তাওবা, আয়াত ৩২)
দ্বিতীয় অবস্থানঃ এটা আল্লাহ্র দুশমনদের ধূর্ততা যে, তারা তাদের দোসরদের ভূমিকাকে যেভাবে মানায় সেভাবে ভাগ-বাটয়ারা করে দিয়েছে এবং কাজের এমন উপাধি দিয়ে যাতে মুসলিমরা তাদের বিরুদ্ধে না ক্ষেপে, ইরাক ও শাম এর ক্রুসেডার অভিযানের সাথে তাল রেখে। তারা পবিত্র মসজিদ আল-আকসাকে অপবিত্র করেছে, তারা আফ্রিকান ইউনিয়নকে দিয়ে সোমালিয়ায় আমাদের মুসলিম ভাই ও পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। তারা ইয়েমেনে রাফেযীদের সাথে মিলেছে আমাদের প্রিয় ইয়েমেনী ভাইদেরকে তাদের বীর গোত্র ও মুজাহিদদের দিয়ে মারানোর জন্য; এবং ওয়াজিরিস্তানে, তারা সেখানে মিডিয়া কারচুপির সাথে অভিযান চাল্লাচ্ছে যাতে ইসলামিক উম্মাহ তাদের ভাইদের জন্য সহানুভূতি দেখাতে না পরে। এবং ইসলামিক উম্মাহর বাকি ক্ষতগুলোর জন্যেও তাই। আমাদের জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট, তিনি সকল বিষয়ের মীমাংসাকারী।
তৃতীয় অবস্থানঃ অত্যাচারী ক্রুসেডার অভিযানের বিরুদ্ধে ইসলামী উম্মাহর তরুণদের সত্যবাদী ও শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে। আর বিশ্রামের সময় নেই। বোঝা খুব ভারী, ভরসা অনেক বিশাল এবং জান্নাতের দরজাগুলো বিস্তৃত খোলা এবং ডাকছেঃ “তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও যমীন, যা তৈরী করা হয়েছে মুত্তাকীদের জন্য” (সূরা আ’লে ইমরানঃ আয়াত ১৩৩)। সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারকের সাথে উত্তম বিনিময়ের সময় এটাঃ “মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে? তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ। তিনি তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং এমন জান্নাতে দাখিল করবেন, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত এবং বসবাসের জান্নাতে উত্তম বাসগৃহে। এটা মহাসাফল্য।” (সূরা সাফঃ আয়াত ১০-১২)
আমাদের মুসলিম ভাইদের দরকার আল্লাহ্র জন্য জেগে উঠে তাদের নির্যাতিত ভাইদের সাহায্য করা এবং ক্রুসেডারদের আগ্রাসন এর মুকাবিলা করা যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়।
চতুর্থ অবস্থানঃ ইরাক ও শামে আমার মুজাহিদ ভাইয়েরাঃ ইসলামের শত্রুরা তাদের ধর্মীয়, জাতিগত ও আরো নানা পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আপনাদের বিরুদ্ধে লড়তে এক হয়েছে। তারাই ক্রুসেডার, ইহুদি, আলাভী নুসাইরি, সাফাভী রাফেযী, এবং বিভিন্ন দেশের মুরতাদ সেনারা। আপনাদের উচ্ছেদ করতে তারা একত্রিত হয়েছে। আমরা যদি নিজেদের মধ্যকার বিভেদ না মিটাই ও পার্থক্য দূর না করি তাহলে তাদের আক্রমণ প্রতিহত করা, তাদের জোট ভাঙ্গা, অট্টালিকা চূর্ণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবেনা। আমরা যেন আমাদের উম্মাহ ও মুসলিমদের উপরে আপতিত বিপদের স্তর উপলব্ধি করি। আমাদের রব এক, দ্বীন এক, নবী এক, কিতাব এক, এবং আমাদের শত্রুও এক, তাহলে কেন আমরা মতভেদ করি আর বিতণ্ডা করি যখন মসজিদ আল-আকসার অবমাননা হচ্ছে? আপনাদের ফিলিস্তিনের ভাইয়েরা আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। আল্লাহ্র পরে আপনাদের উপরেই বন্দীরা সবচেয়ে বেশি আশা রেখেছেন। স্থানচ্যুত মুহাজিররা চান তাদের দেশ করুণাময় আল্লাহ্র শরিয়াহ দ্বারা পরিচালিত হোক। মহান আল্লাহ্ তাআলা আমাদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেনঃ “আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার।” (সূরা আ’লে ইমরানঃ আয়াত ১০৩)
জেনে রাখুন হে আল্লাহ্র বান্দারাঃ এই পরিস্থিতি হালকাভাবে নেবার নয় বরং এটা জরুরি এবং চূড়ান্ত পর্যায়। মহান ও মহিমান্বিত আল্লাহ্ মু’মিনদেরকে আহলে কিতাবদের ন্যায় হতে সতর্ক করেছেন, যারা কিতাব পড়লেও সে মত জীবন যাপন করেনি। তারা ভাগাভাগি ও বিচ্ছিন্নতার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে জ্ঞাত ছিল এরপরেও তার পরোয়া করেনি। মহান আল্লাহ্ তাআলা তাঁর পবিত্র কিতাবে বলেনঃ “আর তাদের মত হয়ো না, যারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং নিদর্শন সমূহ আসার পরও বিরোধিতা করতে শুরু করেছে-তাদের জন্যে রয়েছে ভয়ঙ্কর আযাব।” (সূরা আ’লে ইমরানঃ আয়াত ১০৫) এবং মহান রব বলেছেনঃ “অপর কিতাব প্রাপ্তরা যে বিভ্রান্ত হয়েছে, তা হয়েছে তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পরেই।” (সূরা আল বাইয়্যিনাহঃ আয়াত ৪)। যারা শরিয়াহ কায়েম এর জন্য জানমাল উৎসর্গ করবে, তাদের উচিত নিজেদের উপরে এবং নিজের দলের উপরে তা কায়েম করা এবং আল্লাহ্ যা কবুল করবেন ও আল্লাহ্র দ্বীন বিজয়ী হবে সে অনুযায়ী কাজ করা। সে দুনিয়া পূর্ব-পশ্চিম প্রান্তে থাকা মুসলিম ভাইদের খুশি করবে এবং আল্লাহ্র ইচ্ছায় উভয় প্রান্ত থেকে খুশি লাভ করবে। শামের প্রতিটি মুজাহিদ গ্রুপ তাওহীদ এর মহান বাণীর উপরে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত, যেখানে ইসলামী শরিয়াহ কায়েম ও দুনিয়াতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী কাফেরদের মুকাবিলা করার জন্য মুজাহিদরা জমা হয়েছেন। মুজাহিদদের সাবধান থাকতে হবে সিরিয়ার বিপ্লবীদের ব্যাপারে -যারা শরিয়াহ কায়েমে-বিরোধী প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য, জিহাদি গ্রুপগুলোর মধ্যে বিভেদ এর বীজ বোনার জন্য,পুতুল সরকার তৈরির জন্য ও পশ্চিমাদের স্বার্থরক্ষার জন্য আমেরিকার থেকে সাহায্য, ট্রেনিং পেয়েছিল।
আমার মুসলিম উম্মাহঃ আন্তর্জাতিক কুফফারদের প্রধান খুব শক্তভাবে চেষ্টা করছে মুজাহিদ সিংহদের সরাসরি মুকাবিলা না করতে, এবং যেটা আমরা হতে দিব না। আমার বাবা(রাহিমাহুল্লাহ) এর নেতৃত্ব দেয়া মুজাহিদদের উপরে আল্লাহ্র বিশেষ বরকত ছিল যে, একটা কৌশলগত পরিকল্পনা করা এবং আন্তর্জাতিক কুফরের সাপের মাথাকে আকৃষ্ট করা। মহান আল্লাহ্ তায়ালা তাঁকে এই প্ল্যানের মাধ্যমে বরকত দিয়েছেন ও সফল করেছেন। তিনি কুফফার সাপ, আমেরিকার মাথায় মনোনিবেশ করতে সক্ষম হয়েছিলেন, এবং একে যথাসম্ভব নিঃশেষ করতে পেরেছিলেন, এইদিকে থেকে যে আমেরিকা তার সম্মান ও গর্বের অবস্থান হারিয়েছিল, সৈন্য হারাল, এবং একটা ব্যয়বহুল যুদ্ধের মাধ্যমে এর অর্থনীতিকে নষ্ট করানো হল, এভাবে তাদেরকে আমাদের দেশে আমাদের মাল লুটার চেয়ে ব্যয়বহুলভাবে থাকতে বাধ্য করা হল, এবং তাকে পিঠ দেখাতে ও পালাতে বাধ্য করা হল।আন্তর্জাতিক কুফফারদের প্রধানের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়ার জন্য এর স্থানীয় এজেন্ট ও মিত্রদের থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকতে যাতে সরাসরি আঘাত দেয়া যায়, যার ফলে তার পতন ঘটে ও তার এজেন্টদের ত্যাগ করে, সে অবস্থায় আল্লাহ্ চাইলে তাদের মুকাবিলা করা সহজ হবে।
এটা সেই মুবারক পরিকল্পনার মতই যা উমর বিন খাত্তাব(রা) নিয়েছিলেন যেরকম উমর বিন খাত্তাব(রা) এর থেকে সহি বুখারীতে বর্নায় পাইঃ “তিনি বড় রাজ্যসমূহে মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়তে বাহিনী পাঠান। যখন হরমুযান ইসলাম গ্রহণ করল, উমর(রা) তাকে বললেন “আমি যেসব দেশে আক্রমণ করতে চাচ্ছি সেগুলার ব্যাপারে তোমার পরামর্শ চাই”। হরমুযান বলল, “হ্যাঁ, মুসলিমদের শত্রু দেশ ও তাদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত হল, এক পাখির মত যার দুইটি পা, দুইটি ডানা এবং মাথা রয়েছে; যদি এর একটা ডানা ভাঙ্গে তাহলে পায়ের উপরে উঠে দাঁড়াবে, আরেক ডানা ও মাথা সহ; যদি আরেকটা ডানা ভাঙ্গে , তাহলে দুই পা ও মাথা নিয়ে উঠে দাঁড়াবে, কিন্তু যদি এর মাথা ধ্বংস করা হয়, তাহলে এর দুই পা, দুই ডানা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়বে। মাথা হল খসরু, এবং এক ডানা সিজার, আরেক ডানা ফারিস। সুতরাং,মুসলিমদের উচিত খস্রুর দিকে অগ্রসর হওয়া..” এবং এভাবে বাকি হাদিস বর্ণনা করল।
আমি নির্ণয় করেছি যে, বর্তমান সময়ের আমেরিকার নেতৃত্বাধীন যায়নবাদী-ক্রুসেডার জোট হল একটি পাখির মতঃ আমেরিকা তার মাথা, ন্যাট এক্টী পাখা এবং ফিলিস্তিন দখলকারী ইহুদি রাষ্ট্র আরেকটি পাখা, এবং পা’গুলো হল মুসলিম উম্মাহর জনগণের বুকে চেপে বসা অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী…
মাথার দিকে লক্ষ্য রাখলে, ইনশা আল্লাহ্, নিশ্চিতভাবেই বাকি সব যাবে।
এটাই মুজাহিদদের জন্য সাধারণ পরিকল্পনা। আর রাফেযীদের ক্ষেত্রে, আলহামদুলিলাহ মুজাহিদরা তাদের বিপদের ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক। আমরা পুনর্বার তাদের সাবধান করেছিলাম যে আমরা আন্তর্জাতিক কুফফারদের সাথে লড়ছি এবং আমাদেরকে আমাদের মত ছেড়ে দেয়া হোক। তারা আমাদের সতর্কবাণীকে অবহেলা করেছে এবং নিজেদেরকে সেই জিনিসের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে যা তাদের ব্যাপার ছিলনা। তারা বহুবার আমাদের মুজাহিদ ভাইদের আক্রমণ করেছে যা মুজাহিদ কমান্ডারদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, মুজাহিদরা তো সবর করছিলেন আগে উল্লিখিত লড়াইয়ে জড়িত থাকার কারণে। তারা ইরাক,শাম এবং আরব উপদ্বীপের কিছু এলাকায় সীমা অতিক্রম করেছে। তারা মুসলিমদের পবিত্রতা ও রক্তের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করেছে, এবং ক্ষতিসাধন করেছে। তারা আফগানিস্তানে ক্রুসেডারদের আগ্রাসনে সাহায্য করেছে, তারা ইরাকে তাদের সাথে জোটবদ্ধ হয়েছে, এবং তারা ইয়েমেনে আমেরিকার সাথে আঁতাত করে কিছু প্রদেশ দখলের মাধ্যমে বিস্তার করা শুরু করেছে। মুজাহিদরা তাদের সাথে পেরে উঠেছেন, জবাব দিয়েছেন এবং নির্যাতিতদের উপর থেকে আগ্রাসন তুলে নিয়েছেন, এবং একে শেষ করেছেন। যে সতর্ক করে দেয়, অজুহাত তারই থাকে।
আল্লাহ্র রহমতে এবং এই মহান পরিকল্পনা অনুসারে… মুজাহিদরা গত এক দশক ধরে এবং তার আগে এটী অনুসরণ করেছেন, এবং সেভাবে আসে নাইরোবি ও দার-আস-সালাম, USS Cole এর ধ্বংসের মাধ্যমে, এবং এরপরে ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলা অহংকারী আমেরিকাকে যুদ্ধের ময়দানে যেতে বাধ্য করে। সারা বিশ্ব থেকে উপচে পরা মুসলিম মহানায়কেরা কাবুল ও বাগদাদের যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁদের রবকে খুশি করার জন্য গৌরবের সাথে জীবন উৎসর্গের জন্য প্রতিযোগিতা করেছেন, এবং জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত বিস্তৃত জান্নাতে যাবার জন্য ছুটেছেন। তাঁদের হাতে আমেরিকা বিষাক্ত মৃত্যু দেখেছে এবং ভারী ক্ষতি বহন করেছে, তার সৈন্যরা বিষাদময় ক্ষত নিয়ে ফিরেছে, এত পরিমাণ অর্থ ও সরঞ্জাম হারিয়েছে যা বলার মত না, যেমনটা মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেনঃ “নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের, তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যাতে করে বাধাদান করতে পারে আল্লাহর পথে। বস্তুতঃ এখন তারা আরো ব্যয় করবে। তারপর তাই তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হয়ে এবং শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যাবে। আর যারা কাফের তাদেরকে দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।” (সূরা আনফালঃ আয়াত ৩৬)
এবং আল্লাহ্র অনুগ্রহে এবং তারপরে মুজাহিদদের পরিকল্পনার ফলে, আমেরিকার আন্তর্জাতিক প্রভাব দুর্বল হয়ে পরেছে এবং পরতির দিকে, এবং এটি অস্থির ও ভেঙ্গে পরছে।
আমাদের প্রিয় মুসলিম উম্মাহ যে আজকে আমেরিকার অবনমনের অবস্থা দেখছে তা বরকতময় জিহাদি পরিকল্পনার ফল। একে যে ভয়াবহ দুর্বলতা আঘাত করেছে তাতে ময়দানে এবং আন্তর্জাতিক মহলে এর পরতি ভূমিকা ব্যাখ্যা করে, এবং মুসলিম দেশে আক্রমণের ক্ষেত্রে এর ক্ষান্তি ও ইতস্তত এবং এর নেতাদের দ্বিধাযুক্ত সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করে, কারণ সে আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে ফেরত আসা ব্যাপক সংখ্যক লাল কফিন থেকে বিরাট শিক্ষা নিয়েছে।
লাল কফিন আমেরিকান জনগণকে সেটা শিখিয়েছে যেটা মুজাহিদ নেতাদের বার্তা থেকে তারা শিখেনি। তারা ধৈর্য রেখে যা শিখতে চায়নি তা শিখিয়েছে। এটা তাদেরকে শিখিয়েছে যে তুমি যদি অন্যের নিরাপত্তাকে হুমকি দাও, তোমার নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পরবে, এবং তুমি যদি তাদের আক্রমণ কর, তুমিও আক্রমণের শিকার হবে, তুমি যদি তাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাও, তোমার ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটবে সাথে তোমার সৈন্যদের মনেরও। অবিচারকে শাস্তি দেয়া হবে। আল্লাহ্ তাঁর কর্তৃত্বের মাধ্যমে নিবৃত্ত করেন যেটা কুরআন এর মাধ্যমে নিবৃত্ত হয়নি।
আমেরিকান জনগণ এই শিক্ষা ভালভাবেই বুঝেছে। বহুলাংশে আফগানিস্তান ও ইরাকের যুদ্ধের পক্ষে থাকার করে, বেশিরভাগই নতুন মুসলিম ভূমি দখলের পরিবর্তে সৈন্য তুলে আনার পক্ষে গেল, এবং সকল প্রশংসা আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামীনের।
অবিচার তার জনগণকে আঘাত করে*** এবং জুলুম ভয়াবহ পরিণামের জন্ম দেয়
আমার মুসলিম উম্মাহ… আমার মুজাহিদ ভাইয়েরা… আমেরিকান শত্রুরা সম্প্রতি মুজাহিদদের পরিকল্পনার সাফল্য উপলব্ধি করতে পেরেছে, এর ফলে তার মুকাবিলা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে। এটি তার স্থানীয় এজেন্টদের স্পন্সর করা শুরু করেছে আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, তার নিজের মাথা ও ডানা নিরাপদ রেখে আমাদেরকে তার পা ও আঙ্গুলের সাথে লড়াইয়ে ব্যস্ত রাখতে। তারা চায় এই যুদ্ধে আমাদের রক্ত, সেরা জনবল ও নেতারা কুরবান হোক, যেখানে তাদের শুধু অর্থ ব্যয় যাবে এবং তাদের গোলামদের, অনুগতদের মধ্যে থেকে গুরুত্বহীনরা যাবে।
তাই ইসলামী উম্মাহর সাধারণদের ও বিশেষভাবে মুজাহিদদের এই ব্যাপারটা স্পষ্টভাবে বুঝতে ও ধরতে হবে।
আমার মুসলিম উম্মাহ, ফিলিস্তিনে আপনাদের সন্তানেরা দখলদার ইহুদিদের অত্যাচারে কুঁকড়ে আছে, এবং তারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট পর্যায়ের নির্যাতন, সন্তান হত্যা, মহিলাদের বিধবা হবার পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। তার মধ্যে আছে বিরাট ফিতনা, নির্যাতন ও সীমালঙ্ঘন, জেল ও গ্রেফতার, পবিত্র স্থানের অবমাননা, শ্বাসরোধকারী অবরোধ ও গভীর ঘৃণা, মতবাদের বিচ্ছিন্নতা এবং ক্রমাগত ভূমি দখল। এমনকি সারা বিশ্বের সামনে মসজিদ আল আকসা কলুষিত হচ্ছে। এর নিচ দিয়ে সুরঙ্গ খোড়া হয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রচনা করা হয়েছে। আমাদের নির্যাতিত ভাইয়েরা দেখছেন দুই কিবলার প্রথমটার সাথে, নবী মুহাম্মদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবস্থান নেবার স্থান এর সাথে কি করা হচ্ছে, এবং তারা তাদের সামর্থ্যের সীমার মধ্যে একে রক্ষা করার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তারা এই ক্ষেত্রে বিরাট ও নায়কোচিত কাজ করেছেন, আমরা আল্লাহ্র কাছে আশা করি যেন তাদের কবুল করা হয় এবং তাদেরকে নেক দ্বারা পুরস্কৃত করা হয়।
এমনকি এখনো গৌরবের গাযায় আমাদের ভাইয়েরা… অবিচল, গৌরবোজ্জল গাযায়, দখলদারির তিক্ততা সহ্য করছেন, ক্ষুধা, ভয় ও ধ্বংসের কষ্টে ভুগছেন। তাদের শহীদদের রক্ত শুকানোর আগেই ঈদ চলে যায়, আমাদের অনেকের ঈদ চলে যায় কাউকে সাহায্য বা সমর্থন করা ছাড়াই। অতএব, আর কত আমাদের পরিবারগুলো অবরুদ্ধ ও অসহায় হবে? আর কত মসজিদ আল-আকসা অপমানিত হতে থাকবে? এখনো কি জাগরণের সময় হয়নি? এখনো কি শিকল ভাঙ্গার সময় হয়নি? এখনো কি সময় হয়নি শাসকদের বিরুদ্ধে জাগার ও সারিবদ্ধ হবার? গণতন্ত্র বা ব্যক্তি-স্বাধীনতার জন্য না, বরং “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” এর জন্য, রবের শরিয়াহ কায়েম করার জন্য, সীমান্তগুলো ভেঙ্গে ফেলা এবং ফিলিস্তিনের সবরকারী জনতাকে মুক্ত করার। এই বাধ্যবাধকতা সবার আগে আসে সেই প্রিয় ভূমির প্রতিবেশী দেশের জনগণের উপরে।
হে এইসব ভূমির মুসলিমরা, আপনারা আপনাদের শাসকদের বিরুদ্ধে জেগে উঠুন, যেহেতু আপনারাই গত তিন বছরে ভয়ের বাঁধা ভেঙ্গে নায়কোচিত কাজ করেছেন, কিন্তু দুনিয়া ও পদলোভী ব্যক্তিরা পশ্চিমা নেতাদের সন্তুষ্ট করার পিছনে আপনাদের বিপ্লবকে অপচয় করেছে।
তাই এবার উচ্চস্বরে ও পরিষ্কার ঘোষণা দিন, যে আল্লাহ্ ছাড়া কোন হুকুমদাতা নেই, আল্লাহ্র বিধান ছাড়া কোন বিধান নেই, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ ছাড়া আল-আকসাকে মুক্ত করার কোন পথ নেই। হে উম্মাহ, মহান আল্লাহ্ তাআলা আপনাদের উদ্দেশ্যে বলেছেনঃ “আর তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।” (সূরা নিসাঃ আয়াত ৭৫)। আমার উম্মাহ! আমরা সকলেই মহান আল্লাহ্ তায়ালার কাছে জিজ্ঞাসিত হব যে, তুমি কেন আল্লাহ্র রাস্তায় লড়াই করনি, যেখানে নির্যাতিত গাযার অধিবাসীরদের বিনাশ করা হচ্ছে, ইহুদিরা মসজিদ আল-আকসাকে বিকৃত করছে এবং তোমার বন্দী ভাইয়েরা জেল থেকে ডাকছে?
সুতরাং, আল্লাহ্কে বিশ্বাস করে এমন প্রতিটি মুসলিম এর শেষ দিবসের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর খুজে রাখা উচিত।
আর কতদিন আমরা আমাদের প্রচেষ্টাকে বলা ও করার মধ্যে অপচয় করব যেখানে এর বেশিরভাগি অস্ত্রের নির্মমতাকে প্রতিরোধ করে না, শত্রুকে কমপক্ষে আঘাতগ্রস্থও করেনা?
মসজিদ আল-আকসাকে মুক্ত করার একমাত্র উপায় কাজের মাধ্যমে, বলার মাধ্যমে নয়… তা হল আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ করা, আল্লাহ্র রাস্তায় লড়াইয়ের মাধ্যমে … অত্যাচারী ইহুদিদের বিরুদ্ধে লড়াই করার মাধ্যমে, তাদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পিছনে প্রধান অপরাধীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, এবং অর্থ, অস্ত্র, অভিজ্ঞতা দিয়ে তাদের প্রধান সমর্থনকারী, গাজার দহনের প্রধান আসামি, আমেরিকা… ইহুদিদের কর্তা ও ক্রুশ এর রক্ষক, আল্লাহ্ তাদেরকে দান করুন যা তাদের প্রাপ্য।
সুতরাং মুসলিমদের উচিত তাদের ফিলিস্তিনের ভাইদের সমর্থন দেয়া, এবং সেটা ইহুদি ও আমেরিকানদের সাথে যুদ্ধ করার মাধ্যমে… শুধুমাত্র আমেরিকা ও দখলকৃত ফিলিস্তিনে, আফগানিস্তানে নয়, বরং যমিনের দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে যতদূর যায়, কারণ আল্লাহ্র যমিন প্রশস্ত এবং তাদের স্বার্থ সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে আছে, সকল প্রশংসা আল্লাহ্র। এই কাজই আমাদের উপরে ন্যস্ত করা হয়েছে এর ব্যাপারেই আমাদেরকে শেষ বিচারের দিনে উত্তর দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ক্রুসেডার জোটের জন্য এই কাজটিই সবচেয়ে অপছন্দনীয়, কারণ আমেরিকা ও তার দোসরদের জন্য সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হল- আমরা এই যুদ্ধকে কাবুল, বাগদাদ ও গাযা থেকে ওয়াশিংটন, লণ্ডন, প্যারিস ও তেল আভিভে নিয়ে যাই এবং আমেরিকা, ইহুদি ও পশ্চিমাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকল জায়গায় এই যুদ্ধকে নিয়ে যাই।
হে ইসলাম এর তরুণরা, এটা আপনাদের দায়িত্ব, আপনাদের কর্তব্য, তাই আল্লাহ্কে দেখান যাতে আল্লাহ্ আপনাদের উপরে সন্তুষ্ট হন, আল্লাহ্ আপনাদের বিজয় দান করুন, পথ প্রদর্শন করুন, এবং আপনাদের সাথে থাকুন। আধুনিক যুগের বীর যোদ্ধা ও সিংহ হিসাবে আপনাদের জন্য ভাল উদাহরণ হতে পারেন- নিদাল হাসান, মুহাম্মদ মেররাহ, উমর ফারুক-আল্লাহ্ তার মুক্তি ত্বরান্বিত করুন, এবং তামারলান ও জাহার তসারনেভ ভাইয়েরা, এবং আরো গুপ্ত ভাইয়েরা যারা দখলকৃত ফিলিস্তিনে বীরত্বের কাজ করেছে কিন্তু আমরা তাদের নাম জানিনা এবং এটাই যথেষ্ট যে আল্লাহ্ তাদের নাম জানেন।
এরপরে আমি আমেরিকা, পশ্চিমা দেশসমূহ ও দখলকৃত ফিলিস্তিনে থাকা মুসলিম তরুণদের প্রতি একটি সরাসরি বিশেষ বার্তা দিচ্ছি… আল্লাহ্র পথের মুসলিম মুজাহিদ তরুণের প্রতি, সেই লোকেরা যারা দুনিয়ার সৌন্দর্য ও চাকচিক্য দেখার পরেও আল্লাহ্ ও আখিরাতকে বেছে নিয়েছে, এবং তাদের অন্তরে ঈমানের এত উপস্থিতি যে তারা দুনিয়াকে তিন তালাক দিয়ে জিহাদের ময়দানে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অথবা নিতেই যাচ্ছে….
আমার প্রিয় ভাইয়েরা, জেনে রাখুন আপনারা আল্লাহ্র নিবেদিত যোদ্ধাদের মধ্য হতে, যেরকম আমরা মনে করি, আল্লাহ্ আপনাদের হিসাব গ্রহণকারী। আল্লাহ্ তাঁর রাস্তায় জিহাদ এর মাধ্যমে আপনাদের বরকত দিয়েছেন ও সম্মানিত করেছেন, সুতরাং আপনারা যদি তা করেন তাহলে আল্লাহ্র দুশমনদের এমনভাবে অপদস্থ করবেন যা এখানে আপনাদের অনেক ভাইকে দিয়েই করা সম্ভব না। আপনাদের মধ্য হতে মাত্র একজন যোদ্ধার অপারেশন, যেটায় লক্ষ্য ভালভাবে ঠিক করা হয়েছে, ভালভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে- বড় রাষ্ট্রসমূহের ভিত কাঁপিয়ে দিবে ব্যাপকভাবে। তাই চিন্তা করুন বহু অপারেশন এর কথা। আমি আপনাদের নির্দেশনা দিচ্ছি, আল্লাহ্কে ভয় করুন, আপনার কাজগুলা সম্পূর্ণ গোপনীয়তায় সম্পন্ন করুন এবং প্রকাশের জন্য অসিয়াত করে রাখা যদি আল্লাহ্ আপনাদের মধ্যে থেকে শাহাদাত কবুল করেন। তাই আল্লাহ্র উপরে ভরসা করুন, কারণ তিনি আপনাদের সাথে আছেন এবং আপনাদের সাহায্য করবেন ও বিজয় দান করবেন। ইনশাআ আল্লাহ্, তিনি আপনাদের ব্যর্থ করবেন না। মিলিত হবার স্থান জান্নাত ইনশাআ আল্লাহ্। “আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য” (সূরা তাওবাঃ আয়াত ১১১)
এই প্রসঙ্গে আস সাহাব মিডিয়ার “তোমার জন্য তুমি নিজেই দায়ী” শীর্ষক ভিডিওটি খুব উপযোগী।
উপরের লেখার সারমর্ম হল, সাধারণ মুসলিমদের জন্য ফিলিস্তিনের লোকদের সাহায্য করার এবং ইরাক ও শামের অন্যায় ক্রুসেড লড়ার দুইটি পথ খোলাঃ
প্রথম, শামের মহান বাহিনীকে ও জিহাদকে সমর্থন দেয়া, যেহেতু তারা বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে পাথর নিক্ষেপের দূরত্বে অবস্থিত।
দ্বিতীয়, বিশ্বের সকল মানব বসতিতে ইহুদি ও আমেরিকানদের স্বার্থের বস্তুতে লক্ষ্য করে আঘাত করা।
অতএব, হে মুসলিমরা, এই দুইয়ের যেকোন একটিকে বেছে নিয়ে আল্লাহ্র নিকটবর্তী হোন।
আমার মুসলিম ভাইয়েরাঃ যখন আমরা প্রিয় ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইহুদিদের সীমালঙ্ঘন দেখে যাচ্ছি এবং দুই নদীর দেশ ও শামে ক্রুসেডারদের সীমালঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করছি, সে একই সময়ে আপনাদের কিছু ভাইয়েরা ক্রমাগত বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ এর মধ্যে বাস করছেন যেখানে তাদের বাড়িঘরও ধ্বংস করা হয়েছে, মহিলারা নির্বাসিত এবং ইসলাম এর উম্মাহর খুব অল্প কিছু লোক তাদের ব্যাপারে অবগত। কারণ ইসলামের শত্রুরা চায় তাদেরকে নীরবে নিঃশেষ করতে, যাতে বৈশ্বিক জিহাদের শিখা মিটে যায় মুবারক, ধৈর্যশীল ওয়াযিরিস্তান থেকে- যেখানকার লোকেরা নিজেদের জীবনে বিলিয়েছেন, কয়েক বছর ধরে তাদের আকাশে আমেরিকান ড্রোন উড়তে থাকার পরেও সবর ও অধ্যবসায়ের সুউচ্চ দৃষ্টান্ত রেখেছেন। তারা খুব সামান্য সময়ের বিরতির মধ্যেই কয়েকশত বার আপনাদের মুহাজির ভাইদের আক্রমণ করেছে। তাঁদের মধ্য হতে একদল শাহাদাতের কাফেলায় শরীক হয়েছেন-যেরকম আমরা মনে করি, এবং আমরা আল্লাহ্র চাইতে কাউকে বড় মনে করিনা।
সাম্প্রতিক কয়েক মাসেই মুরতাদ পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের আমেরিকান প্রভুদের থেকে অর্থের বিরাট স্তুপ পেয়েছে, যাতে তারা সেখানকার মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান চালাতে পারে, সঙ্গে আকাশপথ থেকে আমেরিকান সাহায্য। এই অভিযানকে তারা জমিন-ছাড়খাড় করার পদ্ধতি নাম দিয়েছে, যাতে শত শত মুসলিম এর মৃত্যু এবং কয়েক শত মুসলিমের অঙ্গহানি ঘটেছে, মসজিদ ও গ্রাম ধ্বংস হয়েছে, এবং এই যুদ্ধ থেকে পলায়নরত অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখে পৌঁছেছে। আমাদের জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট, এবং তিনিই সকল বিষয়ের নিষ্পত্তিকারী।
প্রিয় ইয়েমেনে আমার মুসলিম ভাইয়েরাঃ আপনারা দুর্নীতিবাজ শাসকদের বিরুদ্ধে বিপ্লব করেছেন যাতে করে একে সরিয়ে এমন কাউকে প্রতিস্থাপন করা যায় যেটা আপনাদের দাবি পূর্ণ করবে, অপরদিকে আমেরিকা ও জাযিরাতুল আরবের রাষ্ট্রগুলো আপনাদের বিপ্লবকে নষ্ট করে নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থা রাখার জন্য কাজ করছে।
যদিও তারা খারাপ শাসককে বদল করেছে, তারা সে জায়গায় দুর্নীতিবাজ সহকারীকে বসিয়েছে এবং কিছু অভ্যন্তরীণ শক্তিও আমেরিকার পক্ষে গিয়েছে এবং ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গী হয়েছে একে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবার জন্য। দেখুন তারা দেশকে কোথায় নিয়ে গেছে, এক অপ্রত্যাশিত পরিণতির দিকে, আমেরিকার হুকুমে দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারের জায়গায় জোট ক্ষমতা নিয়েছে, এবং রাফেযী হুতি, এসব ব্যাপার আপনাদের অজানা নেই। পরিস্থিতি এতটাই বিগড়ে গিয়েছে যে তারা রাজধানী সানা’আ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে নিয়েছে। আপনারা নিজের চোখেই দেখেছেন তাদের প্রতিরোধ করা লড়ার ক্ষেত্রে কারো অক্ষমতা, এবং আপনার এও দেখেছেন যে আপনাদের মুজাহিদ ভাইয়েরাই একমাত্র গোত্রের সন্তানদের পাশে দাঁড়িয়েছে হুতিদের বিরুদ্ধে লড়তে। এটাই পরিষ্কার প্রমাণ যে, আপনাদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিজের জান-মাল খরচ করবে একমাত্র আপনাদের মুজাহিদ সন্তানরাই।
আমরা সেসব দুঃসাহসী ও স্বাধীন গোত্রদের সালাম জানাই যারা তাদের মুজাহিদ ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমরা আল্লাহ্র কাছে তাঁদের জন্য বরকত চাই, আল্লাহ্ যেন তাঁদের দুনিয়াতে সম্মান ও আখিরাতে বিজয় দান করেন এবং সীমালঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে বিজয় দান করেন। আমরা উৎসাহ জানাই বাকি আগ্রহী গোত্রদের যেন তারা মুজাহিদদের সমর্থন করেন ও তাঁদের কাফেলায় যুক্ত হন, এবং আল্লাহ্র কাছে তাঁদের জন্য বিজয় ও ক্ষমতা চাই।
ইলম ও ঈমান এর ইয়েমেনে আমার সম্মানিত ভাইয়েরাঃ আপনাদের বিরুদ্ধে জড়ো হওয়া ক্রুসেডার-রাফেযী জোট এর বিরুদ্ধে মুজাহিদ ভাইদের সাহায্য করতে জলদি করুন। সাহায্য করুন, সহযোগিতা করুন, তাঁদের সাথে থাকুন, কারণ তাঁরাই আপনাদের প্রতিরক্ষার কাজ করছে, এবং আপনাদের জন্য নিজেদের সবচেয়ে ভালটা দিচ্ছে, তারা তো শুধু চায় আপনাদের মাঝে পরম করুণাময়ের শরিয়াহ কায়েম করতে, যাতে করে আপনারা ইসলাম এর সাম্য ভোগ করতে পারেন এবং সম্মানিত মানুষ হয়ে আল্লাহ্র বিশুদ্ধ শরিয়াতের ছায়ায় বাঁচতে পারেন।
সবশেষে, আমি এই ভাল সুযোগটি নিতে চাইব, এবং এটি প্রথম উত্তম সুযোগ, সেই সম্মানিত ও মহান ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার জন্য, যারা আমার বাবা ও ভাই খালিদ এবং তাঁদের দুই সাথীর (আল্লাহ্ তাঁদের রহম করুন ও জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন) শাহাদাতের পরে স্মরণীয় ভূমিকা ও বীরত্বের সাথে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
তাই, সকল অবিচল মুজাহিদদের প্রতি, সত্যবাদী বক্তা, সাংবাদিক ও সচেতন লেখক, এবং সাধারণ মুসলিম, যারা সান্তনা ও শীতল বার্তা পাঠিয়েছেন, এবং সেই সকল বরকতপ্রাপ্ত, বীর, নেক লোকদের প্রতি যারা মসজিদ ও চত্বরে ছুটে গিয়ে জমায়েত হয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর অনুসরণের ভয় না পেয়ে সান্তনা, শীতলতা ও সমর্থন যুগিয়েছেন; আমি আপনাদের সকলকে জানাই… আমার আন্তরিক ধন্যবাদ,কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই। আপনাদের সান্তনা আমাদের কাছে পৌঁছেছে যা আপনারা চেয়েছিলেন, আমাদের অন্তর শীতল করেছে এবং আমাদের কষ্টকে সহজ করেছে, এবং আপনার আন্তরিক অশ্রু আমাদের মুখ থেকে দুঃখ ধুয়ে দিয়েছে। আল্লাহ্ যেন আপনাদের প্রচেষ্টাকে কবুল করেন, কাজে বরকত দান করেন, এবং আমাদের পক্ষ হতে,ইসলাম ও মুসলিমদের সব ভাল দ্বারা পুরস্কৃত করুন।
হে আল্লাহ্! এই উম্মাহর জন্য এমন জাগরণ এর উত্থান করে দিন, যেন আপনার ইবাদতকারীরা সম্মান লাভ করে এবং আপনার অমান্যকারীরা অপদস্ত হয়, এবং যাতে ভাল কাজের নির্দেশ হয় ও খারাপ কাজকে তিরস্কার করা হয়!
আমাদের শেষ দুয়া, আল হামদুলিলাল্লহি রাব্বিল আ’লামিন