মাওলানা জালালুদ্দীন হাক্কানী রহ. এর মৃত্যু উপলক্ষে শোকবার্তা।
ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তান এর মুরুব্বী
শাইখুল মুজাহিদীন মাওলানা জালালুদ্দীন হাক্কানী রহ. এর মৃত্যুতে
আল-কায়েদা উপমহাদেশের
শোকবার্তা।
ডাউনলোড করুন
https://banglafiles.net/index.php/s/p58rrRitLngpFjN
https://archive.org/details/ShokBartaHaqqani
https://archive.org/download/ShokBartaHaqqani_201905/ShokBarta_Haqqani.pdf
https://www.file-upload.com/ix0dnfbc8xwc
http://www.mediafire.com/file/ekk41155zgatr1v/ShokBarta_Haqqani.pdf/file
word
https://banglafiles.net/index.php/s/c425xZT3niLPZLZ
https://archive.org/details/ShokBartaHaqqani
https://archive.org/download/ShokBartaHaqqani_201905/ShokBarta_Haqqani.docx
https://www.file-upload.com/74nec25kzihg
http://www.mediafire.com/file/amb2jwv2xdzrvzy/ShokBarta_Haqqani.docx/file
========================
প্রেস রিলিজ–০২
০১ মুহাররাম ১৪৪০ হিজরি/ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইংরেজি
মাওলানা জালালুদ্দীন হাক্কানী রহ. এর মৃত্যু উপলক্ষে শোকবার্তা।
الحمد للہ والصلاۃ والسلام علی رسول اللہ وعلی آلہ وصحبہ ومن والاہ، أما بعد
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার, দরুদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এর উপর, তাঁর পরিবার পরিজন, তাঁর সাহাবাগণ ও তার সকল অনুসারীগণের উপর।
বাদ সমাচার এই যে,
আল্লাহ তা’আলার বাণী:
وَكَاَيِّن مِّن نَّبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُواْ لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَمَا ضَعُفُواْ وَمَا اسْتَكَانُواْ وَاللّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِين (آل عمران : ١٤٦)
আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী–সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জিহাদ করেছে; আল্লাহর পথে তাদের যে কষ্ট হয়েছে এতে তাঁরা হীনবলও হয়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। (আল ইমরান: ১৪৬)
জিহাদের পথপ্রদর্শক ও প্রখ্যাত আলেম মাওলানা জালালুদ্দীন হাক্বানী রহ. এর মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরা সমস্ত মুসলিম উম্মাহ, আমীরুল মুমিনীন শাইখ হাইবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিযাহুল্লাহ, তাঁর নেতৃত্বে সমগ্র বিশ্বের মুজাহিদগণ, ইমারাতে ইসলামিয়ার মুজাহিদগণ, মাওলানা জালালুদ্দীন হাক্কানী রহ. এর সন্তানগণ, ও নায়েবে আমীরুল মুমিনীন খলীফা সিরাজুদ্দীন সাহেব হাফিযাহুল্লাহ, হাক্কানী সাহেবের পরিবার–পরিজন এবং তাঁর প্রবীণ সাথী শাইখ আইমান আয–যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ এর নিকট শোকবার্তা পেশ করছি। যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার উদ্দেশ্যে বের হয়েছে অতঃপর ঐ পথে শহীদ হয়েছে অথবা মৃত্যু বরণ করেছে, আল্লাহ তা’আলা এমন ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যেমনটি আল্লাহ তা’আলা বলেছেন। মাওলানা জালালুদ্দীন হাক্কানী এর উপর আল্লাহ তা’আলা কোটি কোটি রহমত অবতীর্ণ করুন এবং তাঁকে নবীগণ, ছিদ্দিকীন, শহীদগণ ও ছালেহীনগণের সঙ্গী করুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
আল্লাহর জন্য জিহাদ করা, জিহাদে দৃঢ়পদ থাকা, ধৈর্যধারণ, ও অটল থাকার ব্যাপারে মাওলানা জালালুদ্দীন হাক্কানী উত্তম উপমা ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন। যৌবন কালে তিনি জিহাদ ফি–সাবীলিল্লাহ শুরু করেন এবং শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগ পর্যন্ত এই ফরজ আদায়ে লেগে থাকেন। বার্ধ্যক্য তাঁর শক্তিকে তো নিস্তেজ করে দিয়েছে কিন্তু তাঁর দৃঢ়তা ও দ্বীনের জন্য কুরবানির জযবা–উদ্দীপনা প্রত্যেক শ্বাস–প্রশ্বাসে মজবুত থেকে মজবুত অবস্থায় ছিল। ১৯৯২ সালে রাশিয়ানদেরকে পরাজিত ও দখল মুক্ত হওয়ার পর বর্তমানে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সম্মান ও পদ মর্যাদার উপঢৌকনকে পদদলিত করে, মাল সম্পদকে অস্থায়ী মনে করে তিনি কন্টকময় পথে অটল থাকেন। মাতৃভূমি থেকে হিজরত, উদ্ভ্রান্ত জীবনযাপন, যুবক ছেলেদের শাহাদাত ও গ্রেফতার তাঁর দৃঢ়তা ও মযবুতীতে কোন রূপ কম্পন সৃষ্টি করেনি। তিনি কাফেরদের সামনে মাথানত করেননি বরং একজন পরহেযগার আলেম ও জানবায মুজাহিদের মত কাফেরদের সম্মুখে অটল ছিলেন। কম–বেশি পাঁচ দশক যাবত জিহাদী সফরে তিনি যদি করো সাথে আপোষ করেন তবে তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও رحماء بینھم (পরস্পর সহমর্মিতা) এর ভিত্তিতে করেছেন। অন্যথায় কাফেরদের সামনে তার মস্তক اشداء علی الکفار (কাফেরদের উপর কঠোর) এর প্রতীক ছিল।
হাক্কানী সাহেবের বড় ধরনের খেদমতের মধ্যে একটি হল পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে আগত মুহাজির মুজাহিদগণের নুসরত করা। তিনি শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ. এবং তাঁর সাথীদের নুসরাত করেছেন, তাদের আশ্রয় দিয়েছেন এবং জিহাদি কার্যক্রমে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তাঁর জিহাদ ও মুজাহিদগণের সহযোগিতার জযবাও একটি কারণ ছিলো তিনি ও তাঁর সন্তানগণ আমেরিকা এবং বৈশ্বিক শক্তির গলার কাঁটা হয়ে দাড়াবার।
হাক্কানী রহ. দুই সুপার পাওয়ারের সাথে যুদ্ধ করেছেন। এবং তাদেরকে পরাজয়ের অতল গহবরে নিমজ্জিত করতে কৃতিত্বের সাথে ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে কমিউনিস্টদের সাথে লড়াই এর পর অর্জিত প্রথম এলাকা ছিল ‘খোস্ত’। আর এই যুদ্ধ হাক্কানী সাহেব রহ. এর নেতৃত্বেই সংগঠিত হয়েছিল। রুশদের দখলমুক্ত হওয়ার পর আফগানিস্তানে যখন মুজাহিদদের সাথে সম্পৃক্ত কিছু দলের পরস্পরের মাঝে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তখন তিনি তাদের থেকে পরিপূর্ণ দূরত্ব বজায় রাখেন। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মাদ উমর মুজাহিদ রহ. এর নেতৃত্বে ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ এর প্রতিষ্ঠায় হক্কানী রহ. নিজের আসবাবপত্র, মাল–সম্পদ এবং এক এক সাথী করে ইমারাতে ইসলামিয়্যার সামনে আল্লাহর জন্য পেশ করেন।
হাক্বানী সাহেবের জীবন উলামায়ে দ্বীনের জন্য বার্তা স্বরূপ যে, একজন আলেম নিজের ইলমকে ইলমে দ্বীনের অন্যান্য শাখার সাথে সাথে জিহাদের ময়দানকেও কার্যত সজ্জিত করে। হাক্কানী সাহেবের জীবনী এবং তাঁর পাঁচ দশকের জিহাদ মুজাহিদদের জন্য দৃষ্টান্ত স্বরূপ যে, যৌবন থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত সবকিছু এই দ্বীন ও জিহাদের জন্য উৎসর্গ করাই উদ্দেশ্য ও কাঙ্ক্ষিত বস্তু। মাওলানা জালালুদ্দীন হক্কানীর সারাটি জীবন আগুন ও লোহার ছায়াতলে জিহাদ ও ক্বিতালে অতিবাহিত করেন। বার্ধক্যে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করা ঐ সব লোকদের জন্য নসীহত যারা জিহাদকে দুনিয়াবী জীবনের সমাপ্তি মনে করে।
আমরা আল্লাহ তা’আলার নিকট হাক্কানী সাহেবের উপর তাঁর রহমত অবতরণের দরখাস্ত করছি। আর পুরো উম্মতের জন্য এই দোয়া করছি যে,
أللھم أجرنا فی مصیبتنا واخلف لنا خیرا منھا، آمین یا ربّ العالمین۔
হে আল্লাহ আপনি আমাদের এই বিপদ থেকে প্ররিত্রাণ দান করুন এবং এর পর আমাদের এর থেকে উত্তম স্থলাভিষিক্ত নিযুক্ত করুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
ওয়া আখিরু দা’ওয়ানা আনিল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।