ভারতের কলকাতায় একটি নির্মাণ কাজ চলার সময় সেখানে প্লাস্টিকের ব্যাগে খুঁজে পাওয়া গেছে ১৪ শিশুর কংকাল এবং দেহাবশেষ।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, রোববার যখন কলকাতার হরিদেবপুর এলাকায় একটি খালি প্লটে খনন কাজ চলছিল, তখন সেখানে এই ১৪ শিশুর গলিত দেহাবশেষ পাওয়া যায়।
কীভাবে এই ১৪ শিশুর দেহাবশেষ সেখানে এলো তা পরিস্কার নয়। তবে, এটা যে বর্তমান যুগের সমাজচিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না! আজ কথিত সভ্য সমাজের মানুষের হিংস্র আচরণ, চরম জাহিলিয়্যাতের যুগকেও হার মানায়!
ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলছে, কোন গর্ভপাত চক্র হয়তো এর পেছনে আছে বলে তারা সন্দেহ করছে। “এসব শিশুর দেহাবশেষ কোত্থেকে এসেছে, তার কোন সূত্র আমরা পাচ্ছি না। তবে অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে কেউ হয়তো এই পতিত জমিতে শিশুদের দেহ ফেলে গেছে।”
মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের কী রকম অবক্ষয় ঘটলে এ ধরণের নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ড করতে পারে! আজ এ ধরণের সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ কী!? যারা সভ্যতার নাম নিয়ে সমাজের দ্বারে দ্বারে অসভ্যতা, নোংরামি, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, কথিত নারী স্বাধীনতার নামে উলঙ্গপনার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে, এ নিয়ে তারা কী বলে? আজ ধ্বংস অভিমুখী সমাজকে রক্ষার উপায় কী?
এসকল প্রশ্নের উত্তর আজ হয়তো কারো জানা নেই! কিন্তু, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আরবের কুলুষিত সমাজকে একটি সভ্য- সুন্দর সমাজে পরিণত করেছিল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনীত পবিত্র দ্বীন ইসলাম। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাই পারে কুলুষিত বর্তমান সমাজকেও সোনালি যুগের সভ্য সমাজে পরিণত করতে।