বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় শাহ পরীর দ্বীপে অবস্থান করছে দুই শতাধিক রোহিঙ্গা। বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
বিজিবি জানায়, তারা সীমান্ত এলাকাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। লেদা শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা আব্দুল মোতালেব বলেন, তিনি ও তার পরিবার জানতে পেরেছেন যে নাফ নদীর পূর্ব পাশে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছেন।
গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনা বাহিনীর নিরাপত্তা চৌকিতে আরসার হামলাকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের কারণ বলা হলেও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে এবং তাদের ফেরার সব পথ বন্ধ করতে আরসার হামলার আগে থেকেই পরিকল্পিত সেনা-অভিযান শুরু হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, রোহিঙ্গাদেরকে জাতিগতভাবে নির্মূলের জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, এরই জবাবে আরসা সেনাবাহিনীর চৌকিতে হামলা করেছিল বলে জানানো হয়েছে আরসার পক্ষ থেকে।
চলমান জাতিগত নিধনে হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ।
এক বছরেও মিয়ানমারের এই পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। এখনও আশার আলো দেখার মতো, নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর।
সূত্র: আওয়ার ইসলাম ।