আন-নাসর মিডিয়াইতিহাস- ঐতিহ্যবই ও রিসালাহবই ও রিসালাহ [আন নাসর]বার্তা ও বিবৃতিমিডিয়াশাইখ হামজা বিন উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

বাংলা অনুবাদ || উই আর উসামা – আমরা সবাই উসামা!- শাইখ হামজা বিন উসামা হাফিজাহুল্লাহ

বাংলা অনুবাদ

উই আর উসামা – আমরা সবাই উসামা!

শাইখ হামজা বিন উসামা হাফিজাহুল্লাহ

ডাউনলোড করুন
pdf
word

https://archive.org/download/WeAreOsama_201905/we%20are%20osama.docx

https://www.file-upload.com/bwgsxgm40u3k

http://www.mediafire.com/file/042vtk02udpbtws/we_are_osama.docx/file

====================

(শাইখ হাফিজাহুল্লাহর এই গুরুত্বপূর্ণ বয়ানটি আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক শাওয়াল ১৪৩৭ হিজরি মোতাবেক ১০ জুলাই ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলা অনুবাদও সে সময়ে করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে। মুহতারাম ভাই ও বোনেরা! আলহামদু লিল্লাহ ছুম্মা আলহামদু লিল্লাহ এখন পিডিএফ বই আকারে আপনাদের সামনে পেশ করা হচ্ছে- প্রকাশক।

 

الحمد لله الذي أوجب العدل في كل الأحوال، وحرّم الظلم في الدماء والأعراض والحقوق والأموال، ونصر عباده المستضعفين في الشدائد والأهوال. وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له، كامل الأوصاف وواسع النَّوال. وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله، صلى الله عليه وعلى آله وصحبه.

أما بعد

সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য, যিনি সর্বাবস্থায় ইনসাফকে কার্যকর করেছেন। জান-মাল, অধিকার ও ধন-সম্পদের মধ্যে অন্যায়-অবিচারকে হারাম সাব্যস্ত করেছেন। বিপদাপদ ও দুর্যোগের সময় যিনি দুর্বল বান্দাদের সাহায্য করেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তায়ালা ব্যতিত আর কোন মাবুদ নেই। তিনি একক ও তাঁর কোন শরীক নেই। তিনি পরিপূর্ণ গুণাবলীর অধিকারী ও প্রশস্ত দয়ার মালিক। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসুল।

হামদসালাতের পর।

যারা হেদায়াতের অনুসরণ করে, তাদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।

হে মার্কিন জাতি!

তোমাদের সাথে তোমাদের নেতাদের বারবার প্রতারণা ও অবিরাম ধোঁকা দেওয়ার ব্যাপারে এই হচ্ছে তোমাদের প্রতি আমার বার্তা। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক জিহাদের বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে শাহাদাতের সম্মানে ভূষিত করার পর- যাদের মধ্যে রয়েছে বর্তমান জিহাদের ইমাম শায়েখ উসামা বিন লাদেন রহ.- তারা তোমাদের এই বুঝ দিয়ে যাচ্ছে যে, তারা মুজাহিদদের উপর বিজয় লাভ করেছে।

তোমাদের এটা জানা আবশ্যক যে, আমরা হলাম মুসলমান। আমরা এক আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি, যার কোন শরীক নেই। আমরা আখেরাতের উপর ঈমান এনেছি। আমরা মৃত্যুপরবর্তী জীবনের উপর ঈমান এনেছি। হিসাব দিবসের উপর ঈমান এনেছি। যেখানে রয়েছে জান্নাত-জাহান্নাম। আর প্রকৃত সফলতা হচ্ছে ওটাই যার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন-

كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ

“প্রত্যেক প্রাণীকে আস্বাদন করতে হবে মৃত্যু। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, তার কার্যসিদ্ধি ঘটবে। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া ভিন্ন কোন সম্পদ নয়।” (সুরা আল ইমরান: ১৮৫)

আমরা হচ্ছি এমন জাতি, যারা পরাজয় কী জিনিস চিনে না। পরাজয়ের স্বরূপ কেমন তাও জানে না। আমরা এমন জাতি, যারা হয়তো বিজয় নয়তো মৃত্যুবরণ করতে জানে।

قُلْ هَلْ تَرَبَّصُونَ بِنَا إِلَّا إِحْدَى الْحُسْنَيَيْنِ وَنَحْنُ نَتَرَبَّصُ بِكُمْ أَنْ يُصِيبَكُمُ اللَّهُ بِعَذَابٍ مِنْ عِنْدِهِ أَوْ بِأَيْدِينَا فَتَرَبَّصُوا إِنَّا مَعَكُمْ مُتَرَبِّصُونَ

“আপনি বলুন, তোমরা তো তোমাদের জন্যে দুটি কল্যাণের একটি প্রত্যাশা কর; আর আমরা প্রত্যাশায় আছি তোমাদের জন্যে যে, আল্লাহ তোমাদের আযাব দান করুন নিজের পক্ষ থেকে অথবা আমাদের হস্তে। সুতরাং তোমরা অপেক্ষা কর, আমরাও তোমাদের সাথে অপেক্ষমান।” (সুরা তাওবা-৫২)

আমরা এই ধ্বংসশীল দুনিয়ার অনুসন্ধানকারী নই, আসক্তও নই। এখানে আমাদের পাঠানো হয়েছে যাতে আমরা বান্দাদেরকে মানুষের গোলামী থেকে বান্দাদের মালিকের গোলামীর দিকে বের করে নিয়ে আসতে পারি। দুনিয়ার সঙ্কীর্ণতা থেকে আখেরাতের প্রশস্ত পথ দেখাতে পারি।

এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর উপর ঈমান ও তাঁর তাওহীদের ঘোষণা দেয়ার পর আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি দ্বীনি কর্তব্য হল, মুসলমানদের জান-মাল ও পবিত্র ভূমির উপর আগ্রাসী শত্রুদের প্রতিহত করা। বর্তমান সময়ে ফিলিস্তিনের উপর আগ্রাসী ইয়াহুদি ও তাদের ক্রুসেডার চামচারা যার প্রতিচ্ছবি।

আর যে মৃত্যু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার পথে হয়, আমরা সেই মৃত্যুকে তেমন-ই ভালোবাসি যেমন তোমরা জীবনকে ভালোবাস।

শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ. আল্লাহর রাহে মৃত্যুর সুধা পান করেছেন। তাঁর নেককার সঙ্গীরাও তেমনি সেই সুধা পান করেছেন। তিনি তাঁদের কালিমাকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন, তাঁদের মানহাজকে স্থায়ী করেছেন, তাঁদের চিন্তা-ফিকিরকে মজবুত করেছেন। তাঁদের বার্তাগুলো পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁদের পর মুসলিম উম্মাহ জাগ্রত হয়েছে। আর এটা হওয়ারই ছিল।

নিশ্চই আল্লাহর পথে মৃত্যু একটি বড় সফলতা, দয়াময় রবের পক্ষ থেকে নির্বাচিত উপহার। তিনি তাঁর যে বান্দাকে চান এই সফলতা দ্বারা সম্মানিত করেন। কোন বুদ্ধিমান কি এই ধারণা করতে পারে যে, সেই ঊনিশজন বীর, যারা ১১ সেপ্টেম্বরের মহান নুসরতের নায়ক- তারা হেরে গেছে? আল্লাহর কসম! কক্ষনো না। বরং তাঁরা মহান সফলতার সাথে বিজয় লাভ করেছেন। আমরা তাঁদের ব্যাপারে এমনটি-ই ধারণা করি। আর পরকালে সফলতা লাভকারী  কারো ব্যাপারে আমরা আল্লাহর সামনে অভিযোগ করি না।

শায়েখ মুজাদ্দিদ রহ এর জন্য সম্ভব ছিল যে, তিনি আরাম ও বিলাসিতার জীবনকে বেছে নিবেন, অর্থ ও ধনসম্পদ উপভোগ করবেন, যা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছে গিয়ে ছিল; কিন্তু তিনি এবং তাঁর সাথীগণ আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত পুরস্কার ও দারে আখেরাতকে গ্রহণ করেছেন। দ্বীনকে রক্ষা করা ও দুর্বল মুসলমানদের সাহায্য করাকে প্রাধান্য দিয়েছেন; বিশেষ করে আমাদের ফিলিস্তিনী অধিবাসীদেরকে।

তাদের জন্য সম্ভব ছিল যে, তারা নিজেদের ঈমান বিকিয়ে আপন জীবন নিয়ে বেঁচে যাবে। (কিন্তু তা করেননি।) তা সত্ত্বেও আখেরাতের পূর্বে দুনিয়াতে আর কতদিন তারা উপহাসের শিকার হবে?! তাগুতরা যখন পবিত্র ভূমিতে চরে বেড়ায় তখন মুসলিম উম্মাহ আর কতবার পরাজিত হবে? শায়খ ও তার সাথীরা আর কতদিন ক্ষতিগ্রস্ত হবে? অথচ তারা মাড়িয়ে যাচ্ছে কঠিন থেকে কঠিনতর পরিস্থিতি; আকিদা-বিশ্বাস ও স্বাধীনতাহীন তুচ্ছ-বিকৃত জীবন, তাগুতদের পক্ষ থেকে দেহের উপর কর্তৃত্ব লাভের পর রূহের উপর ক্ষমতা লাভের অধঃপতিত জীবন। যদিও ব্যপারটি অনেক বড় ও সম্মানের। যদিও তারা পৃথিবীর নায-নেয়ামত থেকে অনেক দূরে, তা সত্ত্বেও তারা লাভ করতে পেরেছে এই আত্মিক শক্তি। এ কারণেই তারা বিজয় লাভ করেছে এবং এঁরাই প্রকৃত বিজয়ী।

তাঁর একটি জীবন্ত উদাহরণ হল- জিহাদের নেতৃবৃন্দ ও উলামায়ে কেরাম আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও তাঁদের পর উম্মাহকে জাগ্রত করার জন্য আল্লাহর পথে শাহাদাত বরণের অমৃত সুধা পান করছিলেন। তা সে সময়ের কথা, যখন বিগত বছরগুলোতে ওয়াজিরিস্তানে ক্রুসেডার আমেরিকার পাইলট বিহীন ড্রোন বিমানগুলো থেকে বোমা বর্ষণ হচ্ছিল, অতঃপর একের পর এক শহীদী কাফেলার যাত্রী বেড়েই চলছিল, জিহাদের মাশায়েখদের হত্যা করা হচ্ছিল, তখন আমি বিষয়টি নিয়ে একজন কর্মঠ আলেম শাইখ আবু ইয়াহইয়া আল লিবী রহ. এর সাথে আলোচনা করলাম। শাইখ অত্যন্ত শান্ত ও আত্মবিশ্বাসের সাথে একটি মহৎ কথা বলেছিলেন, নিশ্চই আমরা ধারণা করি যে, আল্লাহ তায়ালা চান, আমরা আসহাবে উখদুদের মুমিনদের মত মুমিন হই -যাদেরকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল- এবং আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য যা চান আমরা তাতে সন্তুষ্ট থাকি। আর মুমিনদের তেমনই হওয়া উচিৎ যেমন আল্লাহ চান অথবা শায়েখ এই রকম কিছু বলেছিলেন।

হে শাইখ! এটি একটি মহান কালিমা, যা একজন মহান ব্যক্তি বলেছেন। – আল্লাহ-ই সকল প্রশংসার উপযুক্ত ও সকল প্রতিদানের মালিক। – আমরা শাইখ লিবী ও তাঁর বন্ধুদের ব্যাপারে এমনটি-ই ধারণা করি এবং কারো ব্যাপারে আমরা বিরূপ ধারণা রাখি না, উখদুদের ঐ মুমিনদের মতই, যাদের সাথে শায়খ লিবী ও তাঁর সঙ্গীদের সামঞ্জস্য রয়েছে। তাঁরা আল্লাহর পথে অটল থেকে নিহত হয়েছিল ঐ বালকের অনুসরণ করে, যে তাঁর জানকে উৎসর্গ করেছিল, যাতে উম্মাহ আবার জেগে উঠে। যাদের হত্যা প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা কুরআনে কারীমে সুরা নাজিল করেছেন, যার তিলাওয়াত কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।

وَالسَّمَاءِ ذَاتِ الْبُرُوجِ * وَالْيَوْمِ الْمَوْعُودِ * وَشَاهِدٍ وَمَشْهُودٍ* قُتِلَ أَصْحَابُ الْأُخْدُودِ *النَّارِ ذَاتِ الْوَقُودِ * إِذْ هُمْ عَلَيْهَا قُعُودٌ * وَهُمْ عَلَى مَا يَفْعَلُونَ بِالْمُؤْمِنِينَ شُهُودٌ * وَمَا نَقَمُوا مِنْهُمْ إِلَّا أَنْ يُؤْمِنُوا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ * الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ * إِنَّ الَّذِينَ فَتَنُوا الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَتُوبُوا فَلَهُمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَلَهُمْ عَذَابُ الْحَرِيقِ * إِنَّ الَّذِينَ آَمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ذَلِكَ الْفَوْزُ الْكَبِيرُ

“শপথ গ্রহ-নক্ষত্র শোভিত আকাশের, এবং প্রতিশ্রুত দিবসের, এবং সেই দিবসের, যে উপস্থিত হয় ও যাতে উপস্থিত হয়। অভিশপ্ত হয়েছে গর্তওয়ালারা অর্থাৎ অনেক ইন্ধনের অগ্নিসংযোগকারীরা; যখন তারা তার কিনারায় বসেছিল। এবং তারা বিশ্বাসীদের সাথে যা করেছিল, তা নিরীক্ষণ করছিল। তারা তাদেরকে শাস্তি দিয়েছিল শুধু এ কারণে যে, তারা প্রশংসিত, পরাক্রান্ত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের ক্ষমতার মালিক, আল্লাহর সামনে রয়েছে সবকিছু। যারা মুমিন পুরুষ ও নারীকে নিপীড়ন করেছে, অতঃপর তওবা করেনি, তাদের জন্যে আছে জাহান্নামের শাস্তি, আর আছে দহন যন্ত্রণা, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্যে আছে জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় নির্ঝরিণীসমূহ। এটাই মহাসাফল্য। (সুরা বুরুজ-১-১১)

তাঁরা সব কিছুর উপর তাঁদের রব ও রবের সন্তুষ্টিকে গ্রহণ করেছিল। আমরা তাঁদের ব্যাপারে এমনটিই ধারণা করি এবং তিনিই আমাদের অভিভাবক। তাঁরা আল্লাহ তায়ালার কাছে সেই জিনিসই চাইতো এবং কামনা করতো, যা আল্লাহ তাঁদের জন্য চাইতেন। তাঁরা চাইতো যে, আল্লাহ তায়ালা তাঁদেরকে তাঁর ওই সকল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন, যারা আল্লাহকে ভালোবাসে এবং আল্লাহ যাদেরকে ভালোবাসেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁদেরকে ভালোবাসার সেই মহান মর্যাদায় অধিষ্টিত করুন। এটা সেই জিনিস, তাঁরা যার আশা করতো। এটা সেই বিষয়, তাঁরা যার জন্য চেষ্টা করতো।

সুতরাং যে জীবন তারা কোরবানি করে দিয়েছে, সে জীবন দিয়ে কী হবে? সে জীবন তো একদিন নিঃশেষ হয়েই যেত৷

যে নির্যাতন তারা সহ্য করেছে তাতে তাদের কি হয়েছে?! তাতো সাময়িকের জন্যই ছিল ৷

এই কুরবানী ও নির্যাতন হাবিব সুবহানাহু ওয়া তায়ালার একফোঁটা প্রেম ও এক মুহূর্তের ভালোবাসার সামনে কি-ই বা মূল্য রাখে?

জেনে রেখো! এর সামনে জীবন তুচ্ছ, এ কষ্ট-যাতনা ও নির্যাতন অত্যন্ত নগণ্য ৷ এমনকি প্রতিটি মূল্যবান ও প্রিয় বস্তুই এর সামনে মূল্যহীন ৷

শাইখ উসামা রহ. মুমিনদের অন্তরে বিজয় ও সভ্যতার রুহ সঞ্চারণের মাধ্যমে বিজয় লাভ করেছেন। ঐ মাজলুম মুমিনদের জাগ্রত করতে সক্ষম হয়েছেন, যারা আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা রাখে। যারা আমেরিকাকে আঘাত করেছে, কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে ও তার জুলুমকে প্রতিহত করেছে।

শায়েখ উসামা রহ. সফল হয়েছেন ঔদ্ধত্য প্রদর্শনকারী শক্তিশালীদের হাড্ডি চূর্ণবিচূর্ণ করার মাধ্যমে এবং আমেরিকার চেহারাকে বিকৃত করা ও যমিনে তার নাকে খত দেওয়ার মাধ্যমে। শাইখ উসামা রহ. সফল হয়েছেন- যেহেতু তিনি মুসলিম উম্মাহর যুবকদের মাঝে জিহাদের স্পৃহা তৈরি করেছেন, পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম সবখানে জিহাদের সুষ্ঠু বাজার চালু করে দিয়েছেন।

শাইখ উসামা রহ. সফল হয়েছেন, যেহেতু তিনি আমেরিকার অবান্তর অঙ্গীকারকে নষ্ট করেছেন, অগণিতভাবে বিভিন্ন দেশ ও গোলামদের দ্বারা তার গেইমকে বাঞ্চাল করে দিয়েছেন। আমেরিকাকে নিজ গন্ডির মধ্যে থাকতে বাধ্য করেছেন। নতুন কোন পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্বে তাকে সম্পূর্ণরূপে নতুনকরে ভাবতে বাধ্য করেছেন। শাইখ উসামা-বাহিনী ও সৈন্যরা আজ অবধি হোয়াইট হাউস ও মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রভাব সৃষ্টি করে আসছেন।

শাইখ উসামা রহ. বিজয় লাভ করেছেন, কেননা তিনি আমেরিকার উপর আক্রমণ করা ও তার ধ্বংস সাধনের যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন, তা বাস্তবায়ন করে গেছেন। যার ফলে আমেরিকা দুর্বল হয়ে পড়েছে। পৃথিবীর বুকে মার্কিন দালালগোষ্ঠী কমতে শুরু করেছে। মুসলিম জাতি তাদের বিরুদ্ধে বিপ্লব সৃষ্টি করছে। মুসলমানরা তাদের পতন ঘটাতে সক্ষম হচ্ছে। তাদের পরিবর্তে পথপ্রদর্শনকারী ইসলামী হুকুমাত কায়েম করছে।

শাইখ উসামা রহ. প্রথম ধাপকে জয় করে গেছেন, আর দ্বিতীয় ধাপে পদার্পন করার প্রয়াস আমাদের উপর দায়িত্ব।

হে মার্কিন জাতি!

শাইখ উসামা রহ. তোমাদেরকে হত্যা করার জন্য, তোমাদের স্বার্থে আঘাত হানার জন্য এক বিপ্লব সৃষ্টি করে গেছেন। তার কারণ হল, তোমরা ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইদের উপর জুলুম করেছ। ইয়াহুদিদের ষড়যন্ত্র আর আমেরিকার অস্ত্রে তাঁদেরকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের সন্তানদের এতিম করা হয়েছে। তাঁদেরকে স্বীয় ভূমি থেকে বিতারণ করা হয়েছে।

হে মার্কিন জাতি!

তোমরা তোমাদের নেতাদের নির্বাচিত করেছ, তাদের সমর্থন করেছ, শক্তিশালী করেছ, আর তারা সম্পদ ও অস্ত্রের মাধ্যমে ইয়াহুদিদের শক্তিশালী করেছে।

ইহুদিদের শুধুমাত্র সামরিক সহায়তা-ই ২৫০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যার সবই আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যয় করা হয়েছে। সুতরাং এরপর আমরা তোমাদের হত্যার ব্যাপারে কারো নিন্দার প্রতি কী-ই বা ভ্রুক্ষেপ করতে পারি?

হে মার্কিন জাতি!

তোমাদের প্রেসিডেন্টদেরকে তোমরাই নির্বাচিত করেছ। তাদেরকে বারবার সিংহাসনে বসিয়েছ। তারা সোমালিয়ায় আমাদের জনগণের উপর সীমালঙ্ঘন করেছে। ইরাকে আমাদের শিশুদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বিলাদুল হারামাইনে অনুপ্রবেশ করেছে। আমাদের ধন-সম্পদ আত্মসাৎ করেছে। ইরাক ও আফগানিস্তানকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। অতএব মুসলমানদের উপর জুলুমের ক্ষেত্রে তোমরাও তোমাদের প্রেসিডেন্টদের সাথে শামিল রয়েছ! তোমরা তোমাদের এই সকল কর্মকান্ডের ফলে মুসলমানদের শত্রু সাব্যস্ত হয়েছ! মুসলমানদের প্রচুর জান-মাল বিনষ্ট করেছ।

শাইখ উসামা রহ. ও তাঁর সঙ্গীরা জালেমদের বিরুদ্ধে মজলুমানের পক্ষ অবলম্বন করেছে। আর মজলুমানের সাহায্যকারী সর্বদা সাহায্যপ্রাপ্ত হতেই থাকে; কেননা তাঁর সাথে রয়েছেন আল্লাহ। তিনি মজলুমানের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করেছেন। তা হল, শরীয়তের ছায়ায় সম্ভ্রান্ত জীবন-যাপন। আর জালেমের সাহায্যকারী ও সমর্থনকারী সর্বদা পরাজিত হতে থাকে। সে একদিন তাঁর শক্তির ব্যাপারে অবশ্যই ধোঁকার শিকার হবে। কেননা সে আল্লাহ ও তাঁর বন্ধুদের শত্রু। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা দুনিয়া ও আখেরাতে তার থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন।

নিশ্চই উর্বর গর্ভের অধিকরিণী জাতি বর্তমান জিহাদের মহান নেতাদের জন্ম দিয়েছে, যেমন শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম, মোল্লা মুহাম্মাদ উমর, উসামা বিন লাদিন, আবু উবাইদাহ আল বানশিরি, আবু হাফস আল-কাবির, আবু মুসআব আয-যারকাবি, মোস্তফা আবুল ইয়াজিদ, আবুল হাসান আল-বুলাইদি, মোল্লা দাদুল্লাহ, খালেদ হাবিব, আতিয়াউল্লাহ আল-লিবী, আবু ইয়াহইয়া আল-লিবী, আবু বাসির, আনোয়ার আল-আওলাকি, মুখতার আবু যুবাইর, নাসের আল-আনাসি রহিমাহুমুল্লাহ প্রমুখ। আল্লাহ তায়ালা তাঁদেরকে সীমাহীন রহমত দান করুন। জান্নাতের উঁচু স্থানে তাঁদের বাসস্থান করে দিন। নিশ্চই এই উম্মাহ তাঁদের ব্যতিত আরও সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম।

শাইখগণ যে দ্বীনের জন্য লড়াই করেছেন, তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার দ্বীন। তিনি সকল মানুষ থেকে অমুখাপেক্ষী। প্রতিটি মানুষ তাঁর রহমতের ভিখারি। তিনি স্বয়ং দ্বীনের সাহায্য করবেন; যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে। এমন জাতির মাধ্যমে সাহায্য করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসেন এবং যারা তাঁকে ভালবাসে। তাঁরা মুমিনদের প্রতি সহনশীল ও কাফেরদের প্রতি কঠোর। তাঁরা আল্লাহর রাহের মুজাহিদ। যারা নিন্দুকের নিন্দার পরোয়া করে না। তাঁদের মধ্য থেকে যাকে চান, শাহাদাতের জন্য বাছাই করেন। আবার অনেককে স্বীয় দয়ায় উঠিয়ে নেন, যাতে তার সফর পূর্ণ হয়। এমনিভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলতে থাকবে। আত্মত্যাগ ও উৎসর্গের ধারাবাহিকতা চলমান থাকবে। শুধু আল্লাহ তায়ালার দ্বীন বিজয়ী হবে।

আল্লাহর হুকুমে আমরা জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহকে আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যাবো এবং এই পথেই চলতে থাকবো। আমরা তোমাদের উপর, তোমাদের স্বার্থের উপর তোমাদের দেশে, দেশের বাহিরে বারবার আঘাত করতে থাকবো; ফিলিস্তিন, শাম, ইরাক, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও ইসলামের সকল ভূমিতে আমাদের জনগণের উপর তোমাদের জুলুম বন্ধ করার জন্য, যারা তোমাদের জুলুম কখনই মেনে নিবেনা।

যদি তোমরা ভেবে থাক যে, এবোটাবাদে যে অপরাধ সংগঠিত করেছ, এ সব হিংস্র আচরণ অব্যাহতভাবে তোমরা চালাতে থাকবে, তাহলে তোমাদের ভাবনা ভুল। তোমরা বিরত থাকবে তো ভালো, অন্যথায় এর হিসাব হবে অনেক কঠিন। আমরা এমন জাতি, যারা বিপদের সামনে ঘুমিয়ে পড়ে না। তোমাদের জন্য কষ্ট বাড়ানো ছাড়া সামনের দিনগুলো অন্য কিছু বৃদ্ধি করবে না, সামনের সময়গুলো এ ছাড়া অন্য কোনো কিছুতে লম্বা হবে না। অচিরেই এমন সময় আসবে, যখন তোমরা লজ্জা ও লাঞ্চনার আঙুল চুষবে। বি-ইযনিল্লাহ- এমন লড়াই আসছে, যেখানে কখনো এক পক্ষ বিজয়ী হবে, কখনো অপর পক্ষ। আজ তোমরা যা বপন করে যাচ্ছো, আগামিকাল তোমাদের সন্তানরা তারই ফসল কর্তন করবে। আগামীকাল কী হবে তা তোমরা অচিরেই দেখতে পাবে।

শাইখ উসামা রহ. এর জন্য মুসলিম উম্মাহর পক্ষ থেকে প্রতিশোধ, কোন ব্যক্তি উসামার জন্য প্রতিশোধ নয়; বরং তা ওই ব্যক্তিদের প্রতিশোধ, যারা উম্মাহকে, উম্মাহর ইসলামকে, পবিত্র ভুমি ও ধনসম্পদকে রক্ষা করেছে। কোন ব্যক্তি উসামার জন্য প্রতিশোধ নয়; বরং তা হচ্ছে ওই ব্যক্তিদের জন্য প্রতিশোধ, যারা জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। কোন ব্যক্তি উসামার জন্য প্রতিশোধ নয়; বরং ওই সকল লোকদের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ, যারা জালেম ও ঔদ্ধত্য প্রদর্শনকারীদের ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। যারা উচ্চ মুল্যে আল্লাহর রাহে নিজেদের জান বিক্রি করে দিয়েছে। অতএব এই প্রতিশোধ হচ্ছে আল্লাহ দ্বীনের জন্য।

হে আমেরিকা!

বহুত দূর কি বাত! তোমরা নিরাপদে থাকবে আর আমরা ফিলিস্তিনে নিরাপত্তার স্বাদ আস্বাদন করতে পারবো না? তোমরা ডলার ও জীবনকে ভালবাসবে, আর আমরা বিতাড়িত হয়ে বাঁচার জন্য শুধু একটি মাত্র লোকমা খুঁজে বেড়াবো? শুনে রেখো! আমাদের জনগণ লাঞ্চনা ও অপমানকে পশ্চাতে ছুড়ে মেরেছে, বিজয় ও সম্মানের প্রত্যয়কে বেছে নিয়েছে। আর হ্যাঁ, বর্তমানে আমরা সকল মুজাহিদদের খবরাখবর শুনছি ও পর্যবেক্ষণ করছি, যা পৃথিবীর বিভিন্ন ভূখন্ড থেকে আমাদের কাছে আসছে। আফগানিস্তানে ইমারাতে ইসলামীর বিজয় আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

বুশপুত্র দেড় দশক পূর্বে ইমারাতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ক্রুসেড যুদ্ধের ঘোষণা করেছিল। এই দীর্ঘ সময়ে চারটি মার্কিন সংস্থা তাদের সাধ্যানুযায়ী অনবরত ইসলামকে ধ্বংস করে দিতে সচেষ্ট ছিল। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে একের পর এক পাকড়াও করলেন। তাদেরকে পরাজিত করলেন। তাদের চক্রান্তকে তাদের দিকেই ফিরিয়ে দিলেন। এর কারণ তো স্পষ্ট; আল্লাহ তায়ালা যার বিবেককে আলোকিত করেছেন, সে-ই তা অনুধাবন করতে পারে। তোমরা তোমাদের শক্তির সাহায্য চাও বস্তু থেকে। আর আমরা মহা পরাক্রমশালী শক্তিমান আল্লাহর দরবার থেকে শক্তি অর্জন করি।

এই সংস্থাগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক ফলাফল নিয়ে আফগানিস্তান থেকে বিদায় নিয়েছে। কিন্তু বর্তমান সংস্থা তোমাদের ধোঁকা দিয়ে আসল বিষয় লোকাবার চেষ্টা করছে।

যদি তোমরা চাও যে, তোমাদের আগত দেড় দশক তোমাদের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ হোক, তাহলে তোমরা গত দেড় দশক সম্পর্কে চিন্তা-ফিকির কর! যুদ্ধের পূর্ণ ফলাফল নিয়ে একটু ভাব! তারপর তোমরা যেটা চাও গ্রহণ কর!

দেড় দশক পূর্বে মুজাহিদগণ আফগানিস্তানে অবরুদ্ধ ছিলেন, আর আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তায়ালার দয়ায় মুজাহিদগণ আফগানিস্তান থেকে শাম, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, মিসর, ইরাক, সোমালিয়া, ভারত উপমহাদেশ, লিবিয়া, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, মালি ও মধ্য আফ্রিকায় পৌঁছে গেছেন।

দেড় দশকের এই দীর্ঘ সময়ে শায়েখ উসামা রহিমাহুল্লাহর চিন্তা-চেতনার অনুসারীদের সংখ্যা প্রতিমুহূর্তেই বেড়ে চলেছে। যারা ইহুদীদের সহায়তাকারী আন্তর্জাতিক কুফুরী মহলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাইখের আজ লক্ষ লক্ষ অনুসারী। তাঁর মুহাব্বতকারী ও সমর্থনকারী আজ মিলিয়ন মিলিয়ন। এটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার অনুগ্রহ। শায়েখ রহিমাহুল্লাহর চলে যাওয়ার পর আজও তিনি মানুষের অন্তরে জীবিত, মুসলিম উম্মাহর প্রেরণার উৎস।

দেড় দশক পূর্বে তোমরা ১১ সেপ্টেম্বর যুদ্ধের পরিকল্পনাকারীদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য বের হয়েছ! তোমরা সেই ক্ষয়ক্ষতির চাইতেও বড় ক্ষতি নিজেদের উপর চাপিয়ে দিয়েছ। তোমাদের বর্তমান প্রেসিডেন্ট তোমাদেরকে ভুয়া মিডিয়ার মাধ্যমে হোয়াইট হাউসের প্রতি সহানুভূতিশীল বানাতে চায়। কিন্তু এটা বানোয়াট, অসাড় ও মিথ্যায় ভরপুর।

সে এই ঘোষণা দিয়েছে যে, অচিরেই এই যুদ্ধ বন্ধ করবে। তার অঙ্গীকার হচ্ছে শান্তির অঙ্গীকার। সে তার পূর্বসূরীদের রেখে যাওয়া ফাইলগুলো বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়; কিন্তু তার দেয়া প্রতিশ্রুতির অধিকাংশই পূর্ণ করতে পারেনি।

তোমরা তার সাথে রয়েছ নিছক পানির উপর কবজাকারী ও শুন্যে বিল্ডিং তৈরিকারীর মত। এখন সে হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নিচ্ছে পরবর্তীদের জন্য ফাইলগুলো খোলা রেখেই। এ ক্ষেত্রে সমাধানে বিলম্বিত হওয়ার কারণ হচ্ছে, হস্তক্ষেপের সাহস না থাকা ও অনিচ্ছা।

এই গবেষণা ও প্রসঙ্গিক বিষয় দ্বারা অনুমান করতে পারো যে, তৃতীয় দশকের শেষের দিকে তোমাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে; যখন তোমাদের সরকার জুলুমের নীতির ওপর অটল থাকবে, আর তোমরা তাদেরকে নির্বাচন করবে, তাদের সমর্থন করবে এবং তাদেরকে তাদের জুলুম থেকে ফিরিয়েও আনবে না!

এই গবেষণা ও অন্যান্য বিষয় দ্বারা তোমাদের সামনে তোমাদের প্রেসিডেন্টদের ক্রমাগত প্রবঞ্চনাগুলো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে তাদের বিস্তর পরাজয়ের কথা। সন্দেহ ও সংশয়ের আধাঁর কেটে বিশ্বাস ও ইয়াকিনের ভোর উদ্ভাসিত হয়ে আসছে যে, শাইখ ও তাঁর সাথীরা জয়লাভ করে যাচ্ছেন, সফলতার দার উন্মোচন করেই চলেছেন।

আল-হামদুলিল্লাহ। ইসলাম ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। মুজাহিদদের শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মার্কিন সাম্রাজ্য দিনদিন অধঃপতন ও ধ্বংসের শিকার হচ্ছে। সকল অনুগ্রহ ও দয়া মহাপরাক্রমশালী মহান আল্লাহর জন্য।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তায়ালা সত্যই বলেছেন-

لَا يَغُرَّنَّكَ تَقَلُّبُ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي الْبِلَادِ * مَتَاعٌ قَلِيلٌ ثُمَّ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمِهَادُ * لَكِنِ الَّذِينَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ لَهُمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا نُزُلًا مِنْ عِنْدِ اللَّهِ وَمَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ لِلْأَبْرَارِ

“নগরীতে কাফেরদের চাল-চলন যেন তোমাদেরকে ধোঁকা না দেয়। এটা হলো সামান্য ফায়দা-এরপর তাদের ঠিকানা হবে দোযখ। আর সেটি হলো অতি নিকৃষ্ট অবস্থান। কিন্তু যারা ভয় করে নিজেদের পালনকর্তাকে তাদের জন্যে রয়েছে জান্নাত যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে প্রস্রবণ। তাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সদা আপ্যায়ন চলতে থাকবে। আর যা আল্লাহর নিকট রয়েছে, তা সৎকর্মশীলদের জন্যে একান্তই উত্তম।” (সুরা আল ইমরান- ১৯৬-১৯৮)

وَاللَّهُ غَالِبٌ عَلَى أَمْرِهِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ

“আল্লাহ স্বীয় ব্যাপারে বিজয়ী, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।” (সুরা ইউসুফ-২১)

 

 

সমাপ্ত

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 3 =

Back to top button