নির্বাচিতসংবাদ

ভারতের আসাম রাজ্যে কথিত বাংলাদেশি স্কুলশিক্ষককে পোরা হলো বিদেশি বন্দিশালায়

#Alfirdaws_News #hind#india ভারতের আসামে (এনআরসি) তালিকা প্রকাশ করেছে যেখানে ৪০লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে।যাদের অধিকাংশই মুসলমান। তাঁদেরকে আসামে থাকতে দেওয়া হবে না। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে দেশত্যাগ না করবে তাদেরকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেওয়া হবে কিংবা বিদেশি বন্দিশালায় রাখা হবে।

সম্পতি ভারতের আসাম রাজ্যে কথিত বাংলাদেশি স্কুলশিক্ষককে পোরা হলো বিদেশি বন্দিশালায়। এবার খোঁজা হচ্ছে তাঁর মা-ভাই-বোনকেও। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, পুরোটাই স্বদেশিকে বিদেশি বানানোর আইনি প্রক্রিয়ার কুফল।

মুহম্মদ খাইরুল ইসলাম আসামের মরিগাঁওতে থোঙ্গাসালি খন্ডপুকুরি নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সরকারি এই বিদ্যালয়ে সমস্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করেই তাঁকে নিযুক্তিপত্র দেওয়া হয়। জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনের (এনআরসি) প্রথম তালিকা তৈরির কাজেও নিযুক্ত ছিলেন।

কিন্তু মরিগাঁও জেলা বিদেশি ট্রাইব্যুনাল তাঁকে ‘বিদেশি’ বলে ঘোষণা করে। সঙ্গে সঙ্গেই সরিয়ে নেওয়া হয় এনআরসি প্রক্রিয়া থেকে।

প্রশ্ন উঠছে, খাইরুল যদি বিদেশিই হন, তাহলে তিনি সরকারি স্কুলে চাকরি পেলেন কী করে? সবকিছু যাচাই করেই তো চাকরি দেওয়া হয়।

আসাম রাজ্য নাগরিক অধিকার সমন্বয় সমিতির চেয়ারম্যান বলেন, ‘নৈরাজ্য চলছে। হিটলারের আমলকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ। কাগজপত্রের ও কোনো দাম নেই।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, অন্ধ জাতিবিদ্বেষ অসংখ্য খাইরুল তৈরি করবে। আসামের বাঙালিরা তবু প্রতিবাদ না করায় নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এমনিভাবে, আসামে বিভিন্ন জেলের ভেতর ৬টি বিদেশি বন্দিশালা রয়েছে। সেখানে প্রায় এক হাজার ‘বিদেশি’ রয়েছেন। এঁদের বেশির ভাগই সেই কথিত বাংলাদেশি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 4 =

Back to top button