যুবলীগের বাহাদুরির কাহিনী, স্কুল ছাত্রীকে গুলির মুখে তুলে নিয়ে বিয়ে ! –
এ যেন জুলুমের এক স্বর্গরাজ্য। দেশে লীগই যেন একমাত্র প্রভু সেজে সাধারণ কে হুমকি দিচ্ছে, হয় কথা মানো বা মরো। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় খাদিজাদের কোপানো থেকে শুরু করে ছাত্রী তুলে নিয়ে বিয়ে করার মত ‘ বাহাদুরি’ তেও পিছিএ নেই লীগের সন্তানেরা। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর তাহেরপুরে। গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে অত্র পৌরসভার মেয়রের সহায়তায় বিয়ে করে নিয়েছে যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ! অপরাধ? নেতার বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল মেয়েটির পরিবার। এটাই তাদের অপরাধ।
ছাত্রীর বাবা জানান, যুবলীগের ১২ – ১৫ জন কর্মী ৬ টি মোটরসাইকেলে এসে তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় মেয়রের বাসায়। সেখানে আগে থেকেই কাজি এনে রাখা হয়েছিল। মেয়রের বাসাতেই সম্পন্ন হয় বিয়ে বিয়ে এক বীভৎস খেলা। ঘটনার পর মেয়ের বাড়ি থেকে যাতে কেউ থানায় যেতে না পারে এজন্য সারাদিন বাড়ির আশেপাশে পাহারা দেয় লীগের কর্মীরা। ছাত্রীর ভাই জানান এরপর মেয়রের বাড়িতে আমাদের ডেকে নেয়া হয় এবং হত্যার হুমকি দেয়া হয় যাতে আমরা পুলিশ কে কিছু না জানাই।
এই হচ্ছে ‘উন্নয়নশীল’ বাংলাদেশের ‘উন্নয়নের’ অবস্থা। জুলুমের নতুন নতুন পন্থা আবিস্কার হচ্ছে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।