ইন্সপায়ার গাইড – নিস অপারেশন, ফ্রান্স
ইন্সপায়ার গাইড – নিস অপারেশন, ফ্রান্স
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [305কেবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/ESna2Gm6tsmfkBW
https://archive.org/download/InspireGuideNiceOperationBN/Inspire_Guide_Nice_Operation_BN.pdf
https://archive.org/download/InspayarGide/inspayar%20Gide.pdf
https://www.file-upload.com/n2ma89bwbaqs
http://www.mediafire.com/file/xbs9j1zbuh7h96t/inspayar_Gide.pdf/file
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [26কেবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/78nRxbt3twH855a
https://archive.org/download/InspayarGide/inspayar%20Gide.docx
https://www.file-upload.com/9uqw9ldy10bh
http://www.mediafire.com/file/8v60qhueja8ecdf/inspayar_Gide.docx/file
===================
ইন্সপায়ার গাইড
নিস অপারেশন, ফ্রান্স
২০১৬ / ৭ / ১৭ / ১৪৩৭ / ১০ / ১২
নিস অপারেশন, ফ্রান্স
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর, যিনি তাঁর বান্দাদেরকে বিজয় দান করেন, তাঁর সৈন্যদেরকে সম্মানিত করেন এবং শত্রুদেরকে পরাজিত করেন। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি বলেন,
وَلَمَنِ انتَصَرَ بَعْدَ ظُلْمِهِ فَأُولَٰئِكَ مَا عَلَيْهِم مِّن سَبِيلٍ
“নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই ।”(আশ শুরা-৪১)
এবং তিনি আরো বলেন,
أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا ۚ وَإِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ
“যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে কাফেররা যুদ্ধ করে; কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে । আল্লাহ তাদেরকে অবশ্যই বিজয়ী করতে সক্ষম ।” (হজ্জ-৩৯)
ইসলামী ও আরব বিশ্ব এখনো ফ্রান্স ও ব্রিটেন কর্তৃক যুলুমপূর্ণ বিভাজন এবং ঔপনিবেশিকতার সঙ্কট নিয়ে বেঁচে আছে ব্রিটিশ সাইকস ও ফরাসি পিকট- এর সন্ধির উপর । আর মুসলমানদের এখনও, আজ পর্যন্ত, মুসলিম দেশগুলোর উপর পরোক্ষ ফরাসি ঔপনিবেশিক হস্তক্ষেপের কারণে ভোগা অব্যাহত রয়েছে, বিশেষ করে ইসলামীক মাগরিব ও অন্যান্য অনেক আফ্রিকান নেশন্স ।
ফ্রান্স আফ্রিকান মহাদেশের অধিকাংশ অংশে মুসলমানদের সম্পদ লুট করা অব্যাহত রেখেছে, দুর্বলের সম্পদ চুষে নেয়ার নোংরা যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে । যদিও ঔপনিবেশিকতার বাস্তব আকৃতি বিলুপ্ত হয়েছে তবুও ফ্রান্স তাদের সাবেক উপনিবেশগুলোর বিষয়াবলি পরিচালনা, গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা, তার কর্তৃত্ব শক্তিশালী করার জন্য সরকারকে সমর্থন করা এবং তার অর্থনৈতিক লালসা যা মুসলমানদের রক্ত চুষে পূরণ হয় তা জারি রেখেছে । এবং সারাবিশ্বে ফ্রান্সের এই অপরাধগুলো মুসলমানদের অন্তরে গভীর ক্ষত তৈরী করেছে ।
ফ্রান্স, তার আমেরিকান সঙ্গীর সঙ্গে একত্রে, আফগানিস্তানে হাজার হাজার শিশু ও মহিলাদের হত্যায় অংশগ্রহণ করেছে। মুসলিমদের বিষয়াবলিতে হস্তক্ষেপ অব্যাহত রেখে নিজের স্বার্থসিদ্ধি এবং লুট করার সুযোগ অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে। যদিও এই সবকিছুই ঘটে চলেছে ফরাসি জনগণের সমর্থনে (ভোটে) ।
সম্প্রতি ফ্রান্স অবলোকন করেছে একটি সমুচিত এবং সাহসী inghimaasi অপারেশন (শত্রু লাইনের গভীরে ঢুকে) এটি লোন জিহাদের একজন হিরো কর্তৃক ফ্রান্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর, নিস-এ সম্পন্ন হয়েছে । এই অপারেশন ফ্রান্সে এবং সমগ্র ইউরোপ মহাদেশে ভীতির সঞ্চার করেছে অ এটা একটি বার্তা, ইঙ্গিতও এবং পরিণতি যে আমরা (লোন মুজাহিদ) অবশ্যই এমন পদ্ধতি এবং উপায় বের করবো, যাতে এর পূনরাবৃত্তি করা যায় । এবং যা যেকোন সৃজনশীল সহজলভ্য উপায়ে জিহাদী অপারেশনকে অনুপ্রাণিত করবে যা শত্রুদেরকে পিষে ফেলবে ।
ঘটনার বিবরণ
মুজাহিদ হিরো, মুহাম্মদ আল-হুওয়েয, একটি বৃহৎ ফ্রিজ ট্রাক নিলেন, যা তিনি অপারেশনের পাঁচদিন আগে ভাড়া নিয়েছিলেন । এরপর তিনি একটি জনাকীর্ণ সমাবেশ সেটিকে চালিয়ে দেন যেখানে ফরাসি নাগরিক এবং বিভিন্ন জাতীয়তার বিদেশী পর্যটকরা ছিল; তাদের মধ্যে আমেরিকান, ব্রিটিশ, রাশিয়ান, কিছু আরব প্রমুখ উল্লেখযোগ্য । বাস্তিল দিবস উৎসবের সময় এবং আতশবাজির পরপরই মুজাহিদ তার গন্তব্যে এসে ত্বরিত সামনে ২ কিঃ মিঃ ব্যাপী যারা ছিল তাদের উপর নিয়ে সর্বোচ্চ গতিতে ট্রাক চালিয়ে দেন । ৮৪ জন নিহত করা শুরু করেন । শেষমেষ পুলিশের গুলিতে তিনি শহীদ হন । আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন এবং তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিন । এই অপারেশনের সময় ছিল রাত ১০টা ১০মিঃ ফরাসি সময় ।
অপারেশনের বিশ্লেষণ
প্রথম যে বিষয়টা গভীরভাবে দেখতে হবে তা হচ্ছে অপারেশনের জায়গা নির্বাচন এবং অপারেশন সফল হওয়ার ক্ষেত্রে এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ।
মুজাহিদ নিস শহর নির্বাচন করেছেন । শহরটি বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও ডানপন্থী চরমপন্থার জন্য পরিচিত । এই শহর ইসলামের প্রতি তার শত্রুতার জন্য বিখ্যাত যেমন, মসজিদ নির্মান এবং ইসলামিক কোন কিছু মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ । অতঃপর ঘটনাস্থল নির্বাচন, এটি একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠানোর উপযুক্ত ছিল ।
নিস শহর ফ্রান্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন শহরগুলোর মধ্যে একটি । অর্থাৎ এই অপারেশেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে । বিশেষ করে ভ্রমনের ক্ষেত্রে ফ্রান্সকে অনেক পর্যটক অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে, যা বার্ষিক কয়েক মিলিয়ন ধরা যায় । অপারেশনের জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে পয়েন্ট তা হচ্ছে তিনি বিস্ময় সৃষ্টি করতে পেরেছেন । নিরাপত্তা বাহিনী আসন্ন আক্রমনের হুমকি সম্পর্কে অবগত ছিল কিন্তু নিসকে কেউ আমলে নেয়নি । তারা মনে করেছিল অন্যকোথাও সম্ভবত দেশের বাইরে সম্ভাব্য হামলা হতে পারে; তুরস্কে সম্ভাব্য হামলা হতে পারে এটা ভেবে তারা তাদের কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করে নেয়, এবং প্যারিসের মত ফ্রান্সের বড় শহরগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করায় মনযোগ দেয় । আর একারনেই মুজাহিদদের নিস আক্রমনে তারা বিস্মিত ।
অপারেশনের জন্য সঠিক ঘটনাস্থল নির্বাচন যেনতেন ভাবে করা হয়নি । যে জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে সেখানে বিপুল জনতার উপস্থিতি ছিল । অন্য বিষয় হচ্ছে তিনি একটি দীর্ঘ প্রসারিত রাস্তা বেছে নিয়েছেন, যাতে সর্বোচ্চ গতিতে ট্রাক চালানো যায় এবং সর্বোচ্চ ক্ষতি এবং হতাহত নিশ্চিত করা যায় এবং ট্রাকটিকে যাতে সর্বোচ্চ দূরত্ব পর্যন্ত নেয়া যায় ।
এই অপারেশনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অপারেশনের সময় । মুজাহিদ অপারেশনের দিন নির্ধারিত করেছেন ফরাসি ন্যাশনাল হলিডে- বাস্তিল দিবসের সঙ্গে মিলিয়ে যা বিশেষভাবে দেশের নিরাপত্তাসংস্থা ও গোয়েন্দাদেরকে বিস্মিত করেছে । তারা ইউরোপীয়ান কাপ প্রতিযোগিতার সুরক্ষায় তাদের সকল প্রচেষ্টা নিয়োজিত করেছে । এবং পরে তারা চিন্তা করে যে ফ্রান্সের নিরাপত্তা পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । এভাবে নিরাপত্তার বিষয়টিতে ঢিলা দেবার পর, এবং পরে রাষ্ট্রপতির জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করার পর অতর্কিত আক্রমণ হলো, যা ফ্রান্সের জন্য একটি বিপজ্জনক সতর্ক বার্তা এবং যা তাদেরকে অস্থির অবস্থার একটি বাস্তব ধারণা দিল । ফ্রান্সকে এটি একটি যুদ্ধাবস্থার জানান দিল, যেমনটি রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমরা একটা যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আছি ।” অপারেশনের দিন হিসেবে বাস্তিল দিবসকে পছন্দ করা হয়েছে, যা এমন একটি দিন যেদিন অনেক নাগরিক রাস্তার ঝাঁকে ঝাঁকে ছিল যা লক্ষ্যমাত্রাকে অনেক বিস্তৃতি প্রদান করে ।
তৃতীয় পয়েন্ট : অপারেশনে ব্যবহৃত অস্ত্রের ধরণ । যখন নিরাপত্তা সংস্থা বিস্ফোরকের প্রাথমিক উপকরণ ট্রাকিং এবং এর নকশা এর দিকে মনোযোগী ছিল । পূর্ববর্তী অপারেশনগুলোতে ব্যবহৃত উপকরণের প্রত্যাশিত ধরনের উপর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা এবং পরিকল্পনায় তাদের মনোযোগ নিবদ্ধ ছিল । তখনই মুজাহিদ মুহাম্মদ এলেন একটি নতুন অস্ত্র সঙ্গে নিয়ে, এই অস্ত্রটি মূলত বেসামরিক লোকজন ব্যবহার করে । এই বৈশিষ্ট্যের কারনে অস্ত্রটি জোগাড় করর সময়, নিয়ে যাওয়ার সময় এবং এমনকি এটা অঞ্চালনের সময় কারো মনোযোগ আকর্ষণ করেনি । এবং অপারেশনের জন্য অস্ত্রের ধরণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে এটি একটি সরল অস্ত্র, ব্যবহার করা সহজ এবং অপারেশনের সময়ই এটা বিনিয়োগ করা হয় ।
চতুর্থ পয়েন্ট : মুজাহিদ এ্যাটাক করার সময় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে । কিভাবে মুজাহিদ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার অপারেশনের পর্যায়গুলো চিত্রিত করেছেন এটি তার ব্যাপারে গভীর অন্তর্দৃষ্টির পরিচয় দেয়, এবং এছাড়াও তিনি গবেষণা করেছিলেন অপারেশন পরে কি আসার ছিল । এই অপারেশন চলাকালীন যা ঘটেছে তা থেকে আমরা অপারেশনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের উপর আরও অনেক কিছু জানতে পারি । তিনি ট্রাক থেকে পালিয়ে দূরে যাওয়া লক্ষ্যগুলোতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছেন, সেই সাথে ট্রাকটি কোন কারণে থেমে গেলেও যাতে তিনি অপারেশন চালিয়ে যেতে পারেন সেজন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছেন ।
আমরা মনে করি যে, যে তিনি অপারেশনে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছেন যাতে আমৃত্যু অপারেশন চালিয়ে যেতে পারেন । যদি পালাতে না পারেন তাহলে যাতে শত্রু লাইনের মধ্যে ঢুকে যেতে পারেন । এবং এটাই ঘটেছে তাদেরকে ট্রাক চাপা দেয়ার পর পুলিশ তার গাড়ির নিকটবর্তী হয় এবং পুলিশের সাথে গুলি বিনিময় শুরু হয়, যার ফলে শহীদ হন মুজাহিদ হিরো,মুহাম্মাদ ।
পঞ্চম পয়েন্টঃ কেউ কেউ বলতে পারেন “যে অগ্রসরমান ট্রাকটি থেকে গনজমায়েত ডানে বা বামে পালানোর সম্ভবনা ছিল” উত্তর হচ্ছে দুটি করনে অনেকের পলায়ন ব্যাহত হয় । প্রথমতঃ ট্রাকটি উচ্চ গতিতে চলন্ত ছিল, এভাবে অনেক মানুষ চাপা পড়ে । দ্বিতীয়তঃ যেখানে বিপুল মানুষ জড়ো হয় সেখানে মানুষের চলার গতি ধীর হয়ে যায় এবং এ ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত যা ঘটে, যখন অনেক মানুষের মধ্যে ঠেলাঠেলি শুরু হয় তখন চলাচলে স্থবিরতা তৈরী হয় এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যায় ।
শেষ পয়েন্টঃ মুজাহিদ ট্রাকে ভূয়া বিস্ফোরক ও অস্ত্র রেখেছিলেন, আমার দৃষ্টিকোন অনুযায়ী; কারণ হল, তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে দেরী করাতে চেয়েছিলেন, যাতে পরিস্থিতি অনুকুলে থাকলে তিনি যেন সফলভাবে অপারেশনস্থল থেকে পালাতে পারেন । ভূয়া অস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের কর্তব্য সম্পর্কে হতবুদ্ধি করে দিবে এবং তাকে পালানোর জন্য আরও বেশি সময় দিবে । এবং এই একই ট্রাকে একটা মোটর সাইকেল এর উপস্থিতি এটাই প্রমান করে । যা মুজাহিদের অন্তর্দৃষ্টির পরিচয় দেয় যে তার একটি পালাবার পরিকল্পনা ছিল হয়তো ।
অপারেশনের বার্তা
নিস অপারেশনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে । প্রথমটি হচ্ছে ভয় এবং ত্রাস তৈরী করা এবং অন্যান্য ইউরোপীয় জাতির মধ্যে তা ছড়িয়ে দেয়া । আর এটাই হচ্ছে সাধারণ মানুষের সমাবেশ লক্ষ্য কর হামলার ফলাফল । ফরাসি মানুষ সন্ত্রাস এবং ভয়ের একটি রাতে নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করেছে …… এখানে কেন এসব হচ্ছে ? আর এর কারণ কী ? এর উত্তর সরাসরি আসে যখন তারা বলে “এটা ইসলামী সন্ত্রাসবাদ ।” মুজাহিদীন উত্তর দেয় “তোমরা অন্যদের সাথে যা করেছ, তোমাদের সাথে তাই করা হবে” এবং “তুমি যেমন হত্যা করবে, তোমাকেও হত্রা করা হবে” এবং “আমরা ভীত থাকলে, তোমরাও ভীত থাকবে ।” আমরা আত্মরক্ষার চেষ্টা করছি । শাইখ উসামা তোমাদেরকে ১০ বছরের যুদ্ধবিরতির সুযোগ দিয়েছিলেন কিন্তু তোমরা অস্বীকার করেছ এবং চরমপন্থা বেছে নিয়েছ । আজ সিদ্ধান্ত ফরাসী জনগনের উপর, তারাই আসলে এগুলো বন্ধ করতে সক্ষম ।
যে কারণে তাদের ভয় আরও বেড়ে গেছে তা হচ্ছে এই অভিযানের স্বতন্ত্রতা । এটি অপারেশনের নতুন ধরনের একটি পদ্ধতি এবং যা ছিল অপ্রত্যাশিত । ব্যবহৃত অস্ত্র রাস্তা-ঘাটে সহজলভ্য । এবং যে কারণে তাদের ভয় আরোও বেড়ে গেছে যখন কিছু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে যে, এ জাতীয় অপারেশন থামানো অসম্ভব ।
দ্বিতীয় বার্তাটি এই যে, এখন থেকে ফ্রান্সের পর্যটন নিরাপদ নয় এবং নিরাপদ হবে না । ফ্রান্সের পর্যটন খাত থেকে বার্ষিক রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে এটি একটি হুমকি হবে । আর বিশ্বজুড়ে সকল পর্যটকদের জন্য এটি একটি বার্তা, যে ফ্রান্স আর নিরাপদ নয় ।
তৃতীয় বার্তাটি মুসলমানদের জন্য । ফ্রান্স যে বাস্তিল দিবস উদযাপন করছে, যা স্বাধীনতা, ভ্রাতৃত্ব ও সমতার প্রতীক । ফরাসি, যারা বাস্তিল কারাগারে হামলার ইস্যুকে বিপ্লব ও স্বাধীনতার প্রতীক করেছে । ঠিক একই সময়, ফ্রান্স অনেক মুসলমানকে বন্দি করছে, তাদের উপর নির্যাতন করছে, তাদের ধন-সম্পদ লুন্ঠন করছে, তাদের আমেরিকান মিত্রদের সহায়তায় শিশু এবং নারীদেরকে হত্যা করছে । এই স্বাধীনতা শুধুমাত্র ফরাসিদের জন্য, আর মুসলমানদের জন্য তাতে কিছুই নাই ।
অপারেশন গাইড
বাস্তবে মুজাহিদ ভাই, মুহাম্মদ (আল্লাহ তার উপর রহম করুন) অপারেশন সম্পূর্ণভাবে এবং সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছেন । আমাদের কিছু পর্যবেক্ষণ পয়েন্ট যোগ করা ছাড়া আর কিছুই বাকি রাখেন নি । পূর্বের ই্ন্সপায়ার ম্যাগাজিনের ইস্যু-২ এ আমরা একটি ধারণা উপস্থাপন করেছিলাম কিভাবে কাফিরদের সমাবেশের উপর গাড়ি চালিয়ে দেয়া যায় । আমরা একটি পদ্ধতি যোগ করেছিলাম যা ক্ষয়ক্ষতি বাড়িয়ে দিবে এবং হতাহত নিশ্চিত করবে । এই পদ্ধতিতে গাড়ির সামনে একটি প্রশস্ত ধারালো ব্লেড স্থাপন করার ব্যাপারে বলা হয়েছে অনেকটা বাম্পারের মতো করে যাতে সন্দেহ সৃষ্টি না করে । আর রেফারেন্সের জন্য ইস্যু-২ ম্যাগাজিন উল্লেখ করা যেতে পারে ।
দ্বিতীয় পয়েন্ট, অপারেশন যিনি করেছেন তিনি যেন তার উদ্দেশ্য জানিয়ে একটি বার্তা পাঠান । তার যেকোন উপায়ে অবশ্যই একটি বার্তা পাঠানো দরকার যাতে মানুষ তার উদ্দেশ্য বুঝতে পারে ।
শেষকথা
অবশেষে আমরা বলছি, ফরাসি জনগনকে অবশ্যই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কি আমাদের সাথে যুদ্ধ জারি রাখবে ? নাকি তারা তাদের সরকারকে আমাদের উপর আগ্রাসন চালানো থেকে বিরত রাখবে ? আমরা আল্লাহর ইচ্ছায় ফ্রান্সকে আমাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করতেই থাকবো এবং অন্যদেরকেও সংগঠিত বা লোন-জিতাদী হামলা চালাতে উৎসাহিত করবো যতক্ষন ফ্রান্স তার অত্যাচারী রাজনীতি চালাতেই থাকবে এবং যৌথভাবে তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদ’ নামক যুদ্ধে তাদের অংশগ্রহন অব্রাহত রাখবে । মুসলিমদের বিষয়াবলির অনধিকার চর্চা এবং তাদের সম্পদ লুন্ঠন বন্ধ না করা পর্যন্ত আমরা ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাব, হোক সেটা প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে ।
এবং আমাদের চূড়ান্ত আহবান হচ্ছে সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহর জন্য । এবং শান্তি ও আল্লাহর অনুগ্রহ নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার ও সাহাবীগণের উপর ।
লোন জিহাদ গাইড টিম