ইলম ও আত্মশুদ্ধিউস্তাদ আহমাদ নাবীলবই ও রিসালাহবাংলাদেশহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

উস্তাদ আহমাদ নাবিল হাফিজাহুল্লাহর দুটি পোস্ট।

#হিকমত

শরীয়তের মুহকাম (দ্যর্থহীন) বিধান গোপন করার নাম হিকমত নয়। এর নাম ‘কিতমান’। যার পরিণাম হচ্ছে- রবের পক্ষ থেকে মাল’উন “উপাধি” অর্জন। কিতমানকারীদের উপর লা’নত করেন আল্লাহ্* সুবহানাহু ওয়া তায়ালা, সাথে সাথে তাঁর সম্মানিত ফেরেস্তাগন ও মুমিন বান্দাগণ।

পার্থিব স্বার্থ রক্ষা অথবা নিজের মতকে প্রতিষ্ঠার জন্য মুহকাম (দ্যর্থহীন) বিধানের অপব্যাখ্যার নাম হিকমত নয়। এর নাম তাহরীফ। আর তাহরীফ, কিতমানের চেয়েও জঘন্য, ইয়াহুদ উলামাদের একটা অন্যতম বৈশিষ্ট। যা কখনো কখনো কুফর পর্যন্ত পৌঁছায়।

তাহলে হিকমত কি?
-হিকমত হচ্ছে কুরআন-সুন্নাহের সঠিক ইলেম ও ফাহাম (জ্ঞান ও বুঝ) ও তার সঠিক প্রয়োগের নাম।

কিন্তু আফসোস! শত আফসোস!
কিতমান ও তাহরীফকেই সমাজে ইলেম ও হিকমতের চাদর পরানো হয়েছে।

#জিহাদ_করবে_না! #সদাকা_দেবে_না!

#কিভাবে_জান্নাতে_প্রবেশ_করবে?!!

এক ব্যক্তি এলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে বায়াত নেবেন। তিনি বায়াতের জন্য শর্ত দিলেন- সাক্ষ্য দিতে হবে, আল্লাহ্* তায়ালা ছাড়া কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্* তায়ালার বান্দা ও রাসূল। সালাত ও যাকাত আদায় করতে হবে। হজ্জ পালন করতে হবে, রোজা রাখতে হবে। আল্লাহ্* তায়ালার পথে জিহাদ করতে হবে।

সাহবী জানালেন, জিহাদ ও সদাকার ব্যাপারে বায়াত নিতে পারবেন না। জিহাদ করবেন না কারণ, ঈমান দুর্বল, জিহাদে যেয়ে মৃত্যুর ভয়ে যদি পলায়ন করেন তাহলে তো আল্লাহ্* তায়ালার ক্রোধের মাঝে পরবেন। আর সদাকাহ করতে পারবেন না, কারণ সম্পদ স্বল্প।

ওজর শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার হাত ধরলেন। ঝাঁকি দিয়ে বললেনঃ
«لا جهاد ولا صدقة!! فبمَ تدخل الجنة؟»

জিহাদও করবে না! সদাকাও দেবে না! তাহলে কিভাবে তুমি জান্নাতে প্রবেশ করবে?!!

অতঃপর সাহাবী সকল বিষয়ের উপর বায়াত প্রদান করলেন।

(আল-মুসতাদরাক আলাস-সহীহাইন। সনদ-ইমাম যাহাবী রহঃ সহীহ বলেছেন)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − three =

Back to top button