ঈদুল-আযহা (২০১৭) উপলক্ষে সম্মানিত আমির-উল-মু’মিনীন শাইখুল হাদীস হাইবাতুল্লাহ আখুনযাদা (হাফিযাহুল্লাহু)এর দেয়া অভিনন্দন বার্তা।
পরম করুনাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে,
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি সর্ব্ শক্তিমান ও পরাক্রমশালী। নিশ্চয় তার হস্ত শক্তিশালী এবং তার রজ্জু (দ্বীন) অত্যন্ত শক্তিশালী। তিনিই সর্ব্ বিজয়ী, তিনি যা চান তাই করেন। আমরা তাঁর প্রশংসা করি যেমন তিনি চান।তাঁর কাছে অপরাধী হিসাবে ক্ষমা প্রার্থ্্না করি এবং তাঁর উদারতাপূর্ণ্ রহমত কামনা করি। আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রসূল। সালাত ও সালাম তাঁর উপর ও তাঁর বংশধর এবং সাহাবী ও কেয়ামত দিবস পর্যন্ত তার অনুসারীদের উপর।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন:
যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম্ সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার ইবাদাতে কাউকে শরীক না করে। (সূরা: কাহ্*ফ, আয়াত:১১০)
আফগানিস্তানের মুসলিম ও মুজাহিদ সম্প্রদায় এবং সকল ইসলামী উম্মাহ এর প্রতি!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ (আপনাদের প্রতি আল্লাহ্*র রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক)
প্রথমে আমি আপনাদেরকে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাই এবং আপনাদের ঈদ সুখময় হোক এ কামনা করি। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আপনাদের সকল ইবাদাত ও কুরবানী কবুল করুন। এবং যারা হজ্জ করতে সক্ষম হয়েছেন তাদের হজ্ব কবুল করুন। এবং যে সকল মুজাহিদীনগণ মিথ্যাবাদীদের বিরুদ্ধে সকল ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন বিশেষত: যাঁরা নিজের জান কুরবানী করে দিয়ে শহীদ হয়েছেন আল্লাহ তাদের সকল প্রচেষ্টা কবুল করুন। যাঁরা আহত হয়েছেন এবং যাঁরা বন্দী হয়েছেন তাদেরকে সুস্থতা ও মুক্তি দান করুন, আমীন।
সম্মানিত দেশবাসী!
এ ঈদ আমাদেরকে হযরত ইবরাহীম (আঃ)ও তার সন্তান হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয় এই প্রকৃত সত্যের প্রতি আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করায় যে তার নীতিমালায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একজন মুসলমানের দৃঢ়তা একটি সহজ কাজ নয় । আল্লাহর পথ হচ্ছে বিচারের সম্মুখীন হওয়া, কষ্ট ও যন্ত্রণায় ভরা। আমরা আরো বিশ্বাস করি যে, পরীক্ষা যত গুরুতর হয়ে থাকে আল্লাহর বিজয় এবং সাহায্য তত কাছাকাছি আসে।
আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা ইরশাদ করেন:
যখন মুমনিগণ শত্রুবাহিনীকে দেখল, তখন বলল, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরই ওয়াদা আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্য বলেছেন। এতে তাদের ঈমান ও আত্মসমর্প্্নই বৃদ্ধি পেল। (সূরা আহযাব, আয়াত:২২)
আমরা বিশ্বাস করি যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাদের কাজকে নষ্ট করবেন না যারা আন্তরিকতার সাথে তার পথে কষ্ট স্বীকার করে । আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন:-
আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান নষ্ট করে দেবেন। (সূরা বাক্বারাহ:১৪২)
সর্ব্্শক্তিমান আল্লাহ বিচার দিবসে তাদের সৎকাজের পুরষ্কার অবশ্যই দেবেন এবং এ পুরষ্কার ১০ থেকে ৭০০ গুণ পরিমান বৃদ্ধি করে দেবেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ইরশাদ করেন:
যে একটি সৎকর্ম্ করবে, সে তার দশগুণ পারে এবং যে একটি মন্দ কাজ করবে, সে তার সমান শাস্তিই পাবে। বস্তুত: তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না। (সূরা আল-আনআম: ১৬০)
আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন:
যারা আল্লাহ্*র রাস্তায় স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যায় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল, সর্ব্রজ্ঞ। (সূরা বাক্বারা: ১৬১)
উল্লেখিত আয়াতে বিশ্বে আগত বিচার দিনের পুরস্কার হিসাবে তা উল্লেখ করা হয়েছে।এমনিভাবে এই দুনিয়াতেও সফলতা প্রদান করবেন। আল্লাহর রহমত এবং সাহায্যে নির্ভ্র করে আমরা নিপীড়িত মানুষদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমাদের আত্মদান ফলাফল প্রাপ্তির দারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। আফগানিস্তান ও আফগানিস্তানের ইসলামী ব্যবস্থায় আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আমাদের আত্মত্যাগের ফলাফল অর্জনের সময় এসে গেছে।আমাদের শত্রুরা ভিত্তিহীন সন্দেহ, অরাজকতা আর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের ব্যাপারে আমাদের জনগণের আশা ভাঙার চেষ্টা করছে, তারা ধারনা করে যে, যদি আগ্রাসীরা এদেশ ছেড়ে চলে যায় তাহলে আফগানিস্তানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি প্রবল হবে এবং জাতিগত ও ধর্মীয় বৈষম্য উত্থিত হবে। ফলে তালিবানরা একচেটিয়া ক্ষমতা দখল করে সরকার গঠন করবে।অথবা তারা মনে করে ইসলামিক ইমারাহ’র মুজাহিদীনরা তাদের আভ্যন্তরীন বিপক্ষীয়দের উপর প্রতিশোধ নিবে।
জনগণকে বুঝতে হবে যে এরা এসবই ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে । আসল সত্য হচ্ছে আক্রমণকারীরা তাদের পক্ষ থেকে প্রচারক নিয়োগ করেছে যারা আমাদের দেশবাসীকে এটা বোঝাবার চেষ্টা করে যাচ্ছে যে, আধিপত্য বজায় রাখা অপরিহার্য্।
কিন্তু বর্তমানে দেশের অর্ধেকেরও বেশি স্থানে আমাদের শাসন-ব্যাবস্থা চালু রয়েছে আর আমরা এটা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি যে, আমরা কারো উপর প্রতিশোধ নেয়ার অভিপ্রায় পোষন করি না। আমাদের কোনো বৈষম্যমূলক আচরণ নেই এবং আমরা ক্ষমতার একচেটিয়া অধিকার চাই না। আমরা বিশ্বাস করি একটি সমন্বিত ও প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা যার মধ্যে একটি সমাজের সকল স্তরের মানুষের আশা-আকাঙ্খার ভরসাস্থল হিসাবে ব্যবহৃত হয়, ও জাতি তাদের অংশগ্রহণ দেখতে পায়।
শান্তির পথে প্রধান বাধা হলো দখলদারিত্ব।ইসলামী ইমারাতের নীতি অনুযায়ী আফগান সমস্যার শান্তিপূর্ণ্ সমাধানের প্রধান স্তম্ভ হচ্ছে এ দখলদারিত্বের অবসান হওয়া। শেষ পর্য্রন্ত, একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার জন্য রাজনৈতিক অফিসে নিয়োগ করা হয়েছে।
আমরা আঞ্চলিক সরকার এবং ইসলামি বিশ্বের যারা আমাদের একক একতরফা পদক্ষেপ বা সমালোচনা (আমাদের বিরুদ্ধে) ঘোষণা এবং আমাদের শত্রু কোণ থেকে আমাদের দেখতে না আগে আমাদের নীতি এবং অবস্থান জানতে আশ্বাস
আমরা চাই যে আঞ্চলিক সরকার এবং ইসলামি বিশ্বের যারা একতরফাভাবে আমাদের সমালোচনা করে থাকেন তাদেরকে আমাদের বিপক্ষে একতরফা পদক্ষেপ ও সমালোচনামূলক অভিযোগ করার পূর্বে আমাদের নীতি এবং অবস্থান জানতে আহবান জানাই। এবং আমাদের শত্রুর দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের দেখবেন না। ইসলামি আমিরতের কারও কোনও ক্ষতি করার কোনো উদ্দেশ্য নেই।
আমাদেরকে ভুল বোঝার কারনে বিশ্বের যেসব সরকার আফগানিস্তানে তাদের উপস্থিতি তারা হুমকির মুখে রয়েছে বলে মনে করে আমরা তাদের বলতে চাই যে, আমাদের মৌলিক নীতিমালা এ নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে:
“ইসলামী বিধানে কারো ক্ষতি করার অধিকার নেই এবং মুসলমানদেরও ক্ষতিকর কাজ করা উচিত নয়।”
অতএব, বিশ্বের এ ব্যাপারে আশ্বস্ত থাকা উচিত যে ইসলামি আমিরাতের কারো বিরুদ্ধে কোনও খারাপ অভিপ্রায় নেই।একভাবে বলা যায়, বিশ্বের সকল দেশের জনগণের এই সত্য জানা উচিত যে, ইসলামি আমিরাত খুব ভয়াবহ গোঁড়ামির বৃদ্ধিকে খর্ব করেছে।সমগ্র অঞ্চলের অত্যাশ্চর্য ভয়াবহ ঘটনা প্রতিরোধ, নিরাপত্তা বিধান এবং এর স্থায়িত্বে অবদান রেখেছে। সম্প্রতি ইসলামী আমিরাতের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় মানুষের জীবন, সম্পত্তি এবং জনগণের সম্মান সম্পুর্ণ্ নিরাপদ। এবং জীবনোপকরনের প্রতিটি সামগ্রী নিশ্চিত করার জন্য এখানে তৈরি হচ্ছে এবং এ এলাকা থেকে প্রতিবেশী অথবা দূরবর্তী রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতির কোন আশঙ্কা নেই।
আমি ইসলামী জগতের ভয়াবহ পরিস্থিতির উপর গভীরভাবে মর্মাহত। বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যে অবিরাম অসন্তোষের ঘটনা আমাকে ব্যাথিত করেছে। আমি সব মুসলমান শাসক এবং জনসাধারণ উভয়কে অনুরোধ করি যে, আপনারা তাদের পারস্পরিক মতপার্থক্য মুছে ফেলা এবং নিপীড়িতদের রক্ষায় সর্বাধিক চেষ্টা করুন; পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করুন, তাহলে আমাদের শত্রু আমাদের ক্ষতি করতে তাদের হাত প্রসারিত করতে সক্ষম হবে না।
আমি উল্লেখ করতে চাই যে আমরা একটি স্বাধীন এবং প্রগতিশীল আফগানিস্তান দেখতে চাই। এমন একটি রাষ্ট্র তৈরি করতে আমি আমাদের জনগণকে আহবান করি যেন বিদেশীদের জন্য অপেক্ষা করতে না হয়। কারন তাদের দাবীগুলো শুধুমাত্র শ্লোগান সর্ব্রস্ব।
সুতরাং আফগানদেরকে দেশের পুনর্গঠন ও উন্নয়নের জন্য কাজ করতে তাদের কোমর বেঁধে নেমে পড়া এবং এজন্য দেশের ভিতরে তাদের আর্থ্রনৈতিক এবং জনশক্তি ব্যয় করা উচিৎ।বিশেষ করে বেকারত্ব দূরীকরণ ও আমাদের দেশবাসীকে বিপদজনক অভিবাসন, কঠোর পরিশ্রম এবং বিচ্যুতি থেকে বাঁচাতে ব্যবসায়ী ভাইদেরকে দেশের ভেতরে বিনিয়োগ করতে হবে।
যদি ব্যবসায়ীরা শহরগুলিতে অপহরণকারী এবং দখলদারদের ভয় পায় তবে তারা গাছপালা ও কারখানা গড়ে তুলতে পারে এবং কৃষি সম্প্রসারণের জন্য আমাদের প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে। ইসলামী ইমারাত তাদেরকে শুধুমাত্র উৎসাহিতই করে না বরং সর্ব্রক্ষেত্রে তাদেরকে সাহায্য-সহযোগীতা করে থাকে যা আমাদের সকল জনগণ এবং রাষ্ট্র উপকৃত হতে পারে।
দেশের প্রতিটি অংশে সড়ক, সেতু, পানি উন্নয়ন, বাঁধ নির্মাণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উৎপাদন কারখানা এবং অবকাঠামোর প্রতিটি প্রজেক্টের পর্যবেক্ষণ ও সুরক্ষা প্রকল্পের কাজ করতে আমরা একটি বিশেষ কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি।
যারা ইসলামিক ইমারাতের নিয়মাবলী পালন করে সুবিধাগুলো কাজে লাগাতে চায় এমন এন,জি,ও গুলোকে ইসলামী ইমারাতের প্রশাসনের অধীনে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও অন্যান্য সামাজিক খাতে সহযোগিতা করার জন্য আমরা আহবান জানাচ্ছি।
আমি জনগণের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কাজ করার পথকে প্রশস্ত করার জন্য ইসলামি ইমারাতের সকল মুজাহিদিনকে নির্দেশ করছি এবং এবং কার্য্রক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা ও নিরাপত্তা বিধানে আপনার দায়িত্ব বিবেচনা করুন। কারণ জনগণের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি আমাদের জিহাদের মূল লক্ষ্যগুলোর একটি।
শত্রুদের পদবী এবং সুবিধাদি গ্রহণ করে দাড়িয়ে রয়েছেন আমরা এমন সৈনিকদেরকে বলছি আপনি যা বেছে নিয়েছেন তা আপনার ইহকাল ও পরকালের জীবনকে নষ্ট করার চেয়ে বেশি কিছু নয়। আপনি আক্রমণকারীদের কমান্ডের অধীনে আপনার বিশ্বাসী লোকেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। আপনি যদি এই পথে আপনার জীবন হারান তবে এটি একটি অপমৃত্যু এবং যদি আপনি বেঁচে থাকেন এবং এখনও অব্যাহতভাবে করতে থাকেন তাহলে আপনার পাপের বোঝা প্রতিটি মুহূর্তে ভারী হতে চলেছে।
দেশের প্রতিরক্ষা এবং সীমান্ত রক্ষার স্লোগানগুলি আপনাকে প্রতারিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। কারণ যারা আপনাকে প্রশিক্ষিত অথবা সজ্জিত করছে তারা দেশের প্রতিরক্ষা এবং তার সীমানা সম্পর্কে কোন পরোয়াই করে না।অতএব, নিজেরাই নিজেদের উপর রহম করুন এবং এটা বিশ্বাস করুন যে, ইসলামী ইমারাত শুধুমাত্র আপনার কল্যাণ কামনা করে।আমরা ব্যাক্তি আপনার বিরোধী নই বরং আপনার কর্ম্রকান্ডের বিরোধী।
ইসলামী ইমারাতের মুজাহিদীনদের নিজের ভাই এবং শুদ্ধ আকাঙ্খার প্রতিনিধি এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বিবেচনা করার জন্য আমি দেশের সকল শিক্ষিত ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদেরকে আহবান জানাচ্ছি। তাদের সাথে সামাজিক সুসম্পর্ক্ বজায় রাখুন এবং তাদের দায়িত্বগুলি তাদের দায়িত্বের মধ্যে রাখুন এবং তাদেরকে পাণ্ডিত্যপূর্ণ ও জাতীয় প্রকৃতির ভাল উপদেশ দিন। আমাদের এ ভূমি নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্যে মুক্তি হবে। ভবিষ্যত আপনার এবং এই স্বাধীনতা যোদ্ধাদের জন্যে অপেক্ষা করছে ইনশাআল্লাহ।
পবিত্রতা ও পবিত্র শরীয়া বাস্তবায়নের মধ্যে আল্লাহর সাহায্য রয়েছে। আমাদের উচিত শরিয়া বাস্তবায়নের ব্যাপারে সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া এবং এটির অনুসরণ করা। নিয়মিত জামাতে সালাত আদায় করা উচিত। আল্লাহর কাছে প্রার্থ্রনা করা এবং তাঁর স্মরনে অমনোযোগী থাকা উচিত নয়। আলিমগণের এবং ধার্মিক ব্যক্তিদের সঙ্গ অবলম্বন করুন এবং তাদের ভাল উপদেশ শুনতে থাকুন এবং সে অনুযায়ী আমল করুন।
শহীদ পরিবারের প্রতি সম্মান প্রদর্শ্ন করুন এবং তাদের উপেক্ষা করবেন না। তাদের প্রতি সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করুন। আহতদের চিকিত্সায় অগ্রাধিকার দিন বন্দিদের পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদেরকে ভালভাবে অবহিত করুন এবং তাদের সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করুন।এমনিভাবে অনাথ এবং হস্তান্তরিতদের সমস্যাগুলির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। সাদৃশ্য, একতা, ভালবাসা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ দৃঢ় করুন। বিরোধ, পার্থক্য, বৈষম্যমূলক আচরণ এবং জাতিগত, ভৌগলিক এবং ভাষাগত বৈষম্য কঠোরভাবে এড়িয়ে চলুন।মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে দায়িত্ব বন্টিত হতে হবে, বন্ধুত্ব অথবা আত্মীয়তার ভিত্তিতে নয়।
আমার মুজাহিদ ভাইগণ!
যেসব লোককে আপনি বন্দী করেছেন তাদের সাথে উৎকৃষ্ট আচরণ করুন এবং আদালতের আদেশ ছাড়া তাদের আটক রাখবেন না। তাদের শিক্ষা এবং নৈতিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন। আপনার শারয়ী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মান্য করুন । এবং আপনার কমান্ডের অধীনে যে সকল মুজাহিদীন রয়েছেন তাদের সঙ্গে এমন ভাল আচরণ করুন যেমন আপনি আপনার সন্তানের সাথে করে থাকেন। তাদেরকে এমন লক্ষ্যে ব্যাবহার করুন যেমন আপনি আপনার সন্তানের জন্য করে থাকেন। তারা বিস্ময়কর, বিশুদ্ধ, নিবেদিত মুজাহিদিন। আল্লাহ তাদেরকে অবৈধ উপায়ে বা অন্য কোন অনর্থ্ টার্গেটের জন্য ব্যবহার করা নিষেধ করেছেন। তাদের শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ এবং নৈতিক সংহতি এবং তাদের অধিকার এবং সেইসাথে শরীয়া বাস্তবায়নে মনোযোগ দিন। মুক্ত এলাকায় শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ এর ব্যাবস্থা করুন। গুণাবলী উন্নয়ন এবং হিকমাহ এবং সদুপদেশ এর দ্বার দোষ নিবারণ করুন এবং প্রথমে এটি নিজেকে দিয়ে শুরু করুন। আদালতের আদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শ্ণ এবং তা বাস্তবায়নে মনোযোগী হোন আদালতের আজ্ঞাবহ থাকতে সচেষ্ট হোন এবং মানবাধিকারের প্রতিও। বেসামরিক হতাহতের প্রতিরোধ করার জন্য কঠোর চেষ্টা করুন এবং বেসামরিক হতাহতের প্রতিরোধের জন্যই DPCC (Department of Prevention of Civilian Casualties) বা ‘বেসামরিক হতাহতের প্রতিরোধ বিভাগ’ এর সঙ্গে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করুন।
সবশেষে,
আমি দেশের সকল মানুষ, বিশেষ করে ধনী ব্যক্তিদেরকে ঈদ উদযাপন করতে দুঃখী দেশবাসী, শহীদদের পরিবার ও বন্দীদের পরিবার এবং তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।
সকলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক
আমীরুল মু’মিনীন
ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তান