খোরাসানসংবাদ

গণহত্যা ও ইসলামি শিআর সমূহের অবমাননা

দখলদার ও কাবুল সরকার তার শুরু লগ্ন থেকে আফগান সর্বসাধারণকে হত‍্যা , তাদের বসতবাড়ি ধ্বংস করা এবং ইসলামি শিয়ার সমূহের অবমাননা করে আসছে। রক্ত পিপাসু ট্রাম্প ও আশরাফ গনীর সময়ে নৃশংসতা আরো বেড়েছে। হাজারো মসজিদ-মাদরাসায় হামলা চালানো হয়েছে। নিরস্ত্র মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। দখলদার আর ভাড়াটে সেনারা মিলে জালগা জেলার শাতুগী,চাতু ও বাবেক গ্ৰামে মুহুর্মুহু বোমা হামলা চালিয়ে বহু বাড়িঘর ধ্বংস করে দিয়েছে; একটি মসজিদ ও একটি মাদ্রাসা শহীদ করা হয়েছে। এসময় নারী ও শিশু সহ অন্তত ২০জন নিহত হয়েছে।
দুই দিন পূর্বে দখলদার ও পুতুল সরকারের সেনারা চরখ জেলার জরসং এলাকায় দুটি মসজিদ শহীদ করেছে। স্থানীয়দের বেশ কিছু বাড়ি বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে। চার দিকে ত্রাস সৃষ্টি করে লুটতরাজ চালানো হয়েছে। তাছাড়া ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখে তাগাব জেলার বদরাব এলাকায় মাদ্রাসা হামিদিয়ায় অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দিয়েছে।
কেবল চলতি ও গত মাসে বহু মাদ্রাসা, মসজিদ, স্কুল, ক্লিনিক জনকল্যাণমূলক স্থাপনা ধ্বংস করেছে এবং এসময় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
শত্রুরা যখনই এবং যেখানেই হামলা করে তখনই তারা মুজাহিদগণের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করে। আর মিডিয়াও সত্য-মিথ্যার বাছবিচার না করে চোখবুঁজে প্রচার করে। অবশ্য উপরোক্ত হামলাগুলোর ব্যাপারে শত্রুরাও দাবি করেনি যে, হামলাস্থলের আশপাশে কোনো মুজাহিদ ছিল। আবার এটিও পরিস্কার করে বলতে পারেনি, ঠিক কাদের উপর তারা হামলা চালিয়েছে। এসব হৃদয়বিদারক ঘটনার কোন যৌক্তিকতা আছে কি?
দখলদার ও তাদের ভাড়াটে সৈনিকেরা আফগান সর্বসাধারণের উপর হামলা চালিয়ে এবং ইসলামি শিকার সমূহের অবমাননা করে অমার্জনীয় অপরাধ করে যাচ্ছে। সাধারন নাগরিকদের হত্যা করা, ঘরবাড়ি ধ্বংস করা এবং জনাকীর্ণ হাটবাজার ইত্যাদিতে হামলা চালিয়ে শত্রুরা তাদের জাত চিনিয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখেনা, এসব এলোপাথাড়ি হামলা পরাজয়ের পূর্ব লক্ষণ। আক্রান্ত মসজিদ-মাদরাসা এবং আফগান সর্বসাধারণের রক্তের বদলা ইসলামি ইমারাহ অবশ্যই নেবে ইনশাআল্লাহ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − fifteen =

Back to top button