আন-নাসর মিডিয়াপ্রবন্ধ-নিবন্ধবই ও রিসালাহবার্তা ও বিবৃতি [আন নাসর]মিডিয়াসংবাদসৌদি রাজপরিবারের অপরাধনামা

পিডিএফ/ওয়ার্ড/ ইমেজ || আন নাফির বুলেটিন ইস্যু-২৯ || মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভূমির উপর ক্রুসেড হামলা বন্ধ করার কার্যকর উপায়

পিডিএফ/ওয়ার্ড/ ইমেজ || আন নাফির বুলেটিন ইস্যু-২৯
“মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভূমির উপর ক্রুসেড হামলা বন্ধ করার কার্যকর উপায়”

জুমাদাল আখিরাহ | ১৪৪০ হিজরী

আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত

ডাউনলোড করুন

পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪০২ কেবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/pbx47Hm5DxTQT3k
https://www.file-upload.com/thsj4frqion2
https://archive.org/download/AnNafirBulletin29/AnNafirBulletin-29.pdf
http://www.mediafire.com/file/xbay6m8zyayvdwt/AnNafirBulletin-29.pdf/file

ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [১১৫ কেবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/WrSfk86DHcm49ka
https://www.file-upload.com/xoun1khsr5wy
https://archive.org/download/AnNafirBulletin29/AnNafirBulletin-29.docx
http://www.mediafire.com/file/ffgynena0gavqtg/AnNafirBulletin-29.docx/file

IMAGE 1
https://banglafiles.net/index.php/s/mgWsyw5tfA6FQnK
https://www.file-upload.com/v0jhvjg13rtf
http://www.mediafire.com/file/7i183j73m6gg8q1/An-Nafir_Bulitin_29_PG_1.jpg/file

Image 2
https://banglafiles.net/index.php/s/YXDWJ2A6Z75oS8b
https://www.file-upload.com/8yr0i7zzkc31
http://www.mediafire.com/file/h5y0b9yb4ymrw6o/An-Nafir_Bulitin_29_PG_2.jpg/file

Image 3
https://banglafiles.net/index.php/s/roQGa4eFN56E54q
https://www.file-upload.com/c6s3wh5xcgx9
http://www.mediafire.com/file/t0i36z457cvlgnd/An-Nafir_Bulitin_29_PG_3.jpg/file

====================================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ বাংলাদেশ শাখা
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]

===================

মুসলিম জাতি ও তাদের গৌরবোজ্জল ইতিহাসে সত্যিই এটি একটি অবমাননাকর ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অধ্যায় যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভূমিতে ক্যাথলিক গীর্জার প্রধান ও পথভ্রষ্টদের গুরু পোপ ফ্রান্সিসের উপস্থিতিতে খৃষ্টানদের প্রথম নৈশভোজ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের সামনে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে যে, ইসলাম বিদ্বেষী খৃষ্টানরা মুসলিম জাতির তীর্থভূমি জাযিরাতুল আরবেই তাদের উপর সফল ক্রুসেড হামলা চালিয়েছে।

ওহীর অবতরণ ভূমিতে খৃষ্টান আগ্রাসনের পথ ‍সুগম করে দেওয়া এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভূমিতে আরবীয় ইহুদী ও ক্রুসেডারদের এজেন্টদেরকে কুফরী গীর্জা, শিরকী উপাসনালয় ও খৃষ্টীয় নিদর্শন প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া নি:সন্দেহে শিরক ও লাগামহীনতার প্রসার এবং পরিস্কার কুফর বিস্তারে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহযোগীতা।

এটা আদৌ কথিত উদারতা ও মধ্যপন্থা নয়। বরং এটা হল লাঞ্ছনা, লজ্জাহীনতা ও অপমান। উপরন্তু আল্লাহর দ্বীন থেকে ফিরে মুরতাদ হয়ে যাওয়া।

আজ জাযিরাতুল আরবে যা হচ্ছে, তা প্রতিটি মুমিনের অন্তরে ক্ষত ও ব্যাথা সৃষ্টি করে দিল। প্রতিটি মুমিনের হৃদয়ে দংশন ও উপদেশ দিল। প্রতিটি আত্মমর্যাদাশীলের চেহারায় অপমানের ছাপ সৃষ্টি করে দিল এবং তার সম্মানে কলঙ্কের কালিমা লেপন করে দিল।

কিভাবে এটা সম্ভব! যেখানে আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম. বলেছেন:

لا يجتمع دينان في جزيرة العرب

জাযিরাতুল আরবে দুই ধর্ম একত্রিত হতে পারে 

আজ আমরা আমিরাতের ইহুদী ও হারামাইন নিয়ন্ত্রণকারী তাদের বন্ধুদের মাঝে যে প্রতিযোগিতা প্রত্যক্ষ করছি, তথা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভূমিতে জনসম্মুখে ধর্মত্যাগের মহড়া দেওয়া, মানুষকে খৃষ্টান বানানো, সকল কুফরী জাতির জন্য জায়গা করে দেওয়া, প্রাচীন জাহিলিয়াতকে পুনর্জীবিত করা, নাস্তিকতা বিস্তার করা ও লাগামহীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া- এসব প্রতিরোধ করতে হলে এমন সত্য চেতনাসম্পন্ন ও একনিষ্ঠ লোকদের প্রয়োজন, যারা ঈমানী দায়িত্ববোধ নিয়ে ইসলামের হকগুলোকে উল্টে ফেলা থেকে রক্ষা করবে, তার বিধানসমূহকে পরিবর্তন করা থেকে রক্ষা করবে এবং তার দলিলসমূহকে মিথ্যাচার করা থেকে বাঁধা প্রদান করবে।

তাই হে আত্মমর্যাদাশীলগণ! শরীয়তের মৌলিক বিষয়াবলী ও মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর রক্ষার স্বার্থে জেগে উঠুন! জেগে উঠুন হে ইসলামী আত্মমর্যাদাসম্পন্ন লোকেরা!

কোন দ্ব্যর্থতা বা অস্পষ্টতা ছাড়াই সকল মানুষ যেন জেনে নেয় যে: আমাদের মাঝে আর ‍খৃষ্টানদের মাঝে ইসলামী শরীয়ত স্বীকৃত নীতির বাইরে কোন উদারতা বা মধ্যপন্থা নেই। শরীয়ত স্বীকৃত নীতি হল: যেমন, চুক্তিবদ্ধ ও যিম্মীদেরকে হেফাজত করা।

যারা মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে লড়াই করেনি, মুসলিমদেরকে তাদের দেশ থেকে বের করে দেয়নি, তাদের ব্যাপারে আমাদের এ দায়িত্ব আছে যে, আমরা তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার ও ইনসাফ করব, তাদের চুক্তি রক্ষা করব এবং তাদেরকে তাদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিব, যেভাবে আল্লাহ আমাদেরকে আদেশ করেছেন।

তবে আমরা তাদের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করব না, যেটা থেকে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। তাদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনপূর্বক শুয়ে পড়ব না, তাদের প্রতীক ও নিদর্শনগুলো ব্যবহার করব না, তাদের সাথে প্রার্থনা করব না এবং তাদের জন্য আমাদের সন্তানদেরকে খৃষ্টান বানানোর পথ খুলে দিব না। আমি বহুবার এ বিষয়টি পরিষ্কার করেছি। যেমন আমাদের “ইসলামের সমর্থনে একটি প্রামাণ্যপত্র” ও “জিহাদের সাধারণ দিক-নির্দেশনা” নামক দু’টি নিবন্ধে।

আর যারা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়, আমাদের জাতির সদস্যদেরকে নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে, তাদেরকে বহিস্কারের কাজে তাদের শত্রুদেরকে সাহায্য করে, তাদের ক্ষেত্রে আমাদের কর্মপন্থা হল: আমরা শুধু তাদেরকে সরল পথে দাওয়াত প্রদান, তাদের থেকে সম্পর্কচ্ছেদ করা ও তাদের সাথে বন্ধুত্ব না করার মাঝেই ক্ষ্যান্ত থাকি না। বরং সেক্ষেত্রে আমাদের কর্মপন্থা হল: আমরা তাদের থেকে ইবরাহীম আলাইহিস সালামের মত সম্পর্কচ্ছেদ করি। যাতে আছে: কেবল আল্লাহ ও তার ওলীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে আর আল্লাহর শত্রু ও তার বিরোধীদের সাথে সম্পর্কোচ্ছেদ করতে হবে ।

এখন আমরা তো এদের মাঝে সে বিষয় দেখতে পাচ্ছি, যা নিম্নোক্ত আয়াতের প্রয়োগক্ষেত্র হওয়ার ব্যাপারে শ্রেষ্ঠ যুগের সকল সালাফগণ একমত-

قَدْ كَانَتْ لَكُمْ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ فِي إِبْرَاهِيمَ وَالَّذِينَ مَعَهُ إِذْ قَالُوا لِقَوْمِهِمْ إِنَّا بُرَآءُ مِنْكُمْ وَمِمَّا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ كَفَرْنَا بِكُمْ وَبَدَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةُ وَالْبَغْضَاءُ أَبَدًا حَتَّى تُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَحْدَهُ

“তোমাদের জন্য ইবরাহিম ও তার সঙ্গীদের মধ্যে উত্তম আদর্শ আছে, যখন সে নিজ সম্প্রদায়কে বলেছিল, তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদের উপাসনা করছ, তাদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদেরকে অস্বীকার করি। আমাদের ও তোমাদের মাঝে চিরকালের জন্য শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়ে গেছে, যতক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে।” [সুরাঃ আল-মুমতাহিনাহঃ ৪]

নিশ্চয়ই যে ক্রুসেডীয় তরবারির মাধ্যমে খৃষ্টানরা দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে আমাদের মুসলিম জাতির উপর হামলে পড়েছে তা শুধুমাত্র ইসলামের উমরী তরবারি ব্যতিত অন্য কিছুতেই দমন করা সম্ভব নয়। এই সম্প্রদায়টি বর্তমানে আমাদের জাতির প্রতি তাদের মন্দ হাত ও জবান সম্প্রসারিত করেছে।

একারণে এই খৃষ্টীয় তুফানের মোকাবেলায় আমরা কিছুতেই দাড়িয়ে থাকতে পারব না, একমাত্র জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ ব্যতিত এবং এমন প্রত্যেকের বিরুদ্ধে লড়াই করা ব্যতিত, যারা মুসলিম দেশগুলোতে খৃষ্টানদেরকে তাদের বিকৃত ধর্ম প্রচারের জন্য পথ সুগম করে দেয়।

একারণে আমরা সর্বস্থানের ইসলামী চেতনাশীলগণকে বের হয়ে পড়ার আহ্বান করছি। যেন জাযিরাতুল আরবের উপর চেপে বসা এই ক্রুসেডীয় ও ইহুদিবাদী আগ্রাসনকে ঠেকানোর জন্য এবং তাতে সম্প্রসারমান ধর্মত্যাগ, শিরক ও পৌত্তলিকতার নিদর্শনগুলো থেকে তাকে পবিত্র করার জন্য সকলের চেষ্টাগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়।

আর তারা সকলে এ ব্যাপারে একমত যে: জাযিরাতুল আরবে তাদের খৃষ্টবাদ সম্প্রসারণের পথে সবচেয়ে বড় আশঙ্কা হল: ঈমান ও হিকমতের ভূমি ইয়ামানে অবস্থানরত আল্লাহর পথের মুজাহিদগণ এবং তাদের প্রতিবেশী সোমালিয়ান মুজাহিদগণ।

তাই দ্বীনের ব্যাপারে আত্মমর্যাদাশীল প্রতিটি সতর্ক, সচেতন, বিচক্ষণ ও ধীসম্পন্ন ব্যক্তির কর্তব্য, এই অঞ্চলে অবস্থানকারী তাদের সম্মানিত মুজাহিদ ভাইদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। যেন সেই মর্যাদার নিশানাগুলো স্পর্শ করা যায়, যা আল্লাহ সকল মুসলিমদের উপর ফরজ করেছেন এবং সুস্থ প্রকৃতি ও অবিকৃত বিবেকও যাকে অত্যাবশ্যক মনে করে। তথা আল-জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ।

ঠিক যে ‍মুহূর্তে এখন খৃষ্টান পোপরা আমিরাতে তাদের বাহন অবতরণ করিয়েছে, সেই মুহূর্তেই আমাদের নিকট সংবাদ পৌঁছেছে যে: সোমালিয়ার ইসলামের সিংহগণ আল্লাহর তাওফিকে আমিরাতের খৃষ্টান বাহুগুলোর উপর বিশেষ ধরণের হামলা চালিয়েছে। আর তাদের আক্রমণের ফলে ‘ন্যাশনাল ব্যাংক অফ ওমান’ এর প্রধান ও দায়িত্বশীল ক্রুসেডার পল এন্তোনি ফরমোসা নিহত হয়েছে, যাকে ন্যাশনাল ব্যাংক অফ ওমান এ কর্মরত আমিরাতের প্রথম ইহুদাবাদি লোক হিসাবে গণ্য করা হয়, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাংক কোম্পানী, সোমালিয়ান ব্যাংকের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী শাখা এবং আফ্রিকার সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক বাহু বলে পরিচিত।

যে ব্যাংক, উম্মাহর সম্পদগুলো ছিনতাই করছে এবং এর মাধ্যমে পূর্ব আফ্রিকায় আমেরিকা, কেনিয়া, উগান্ডা, মধ্য আফ্রিকা ও ইথিওপিয়ান খৃষ্ঠানবাহিনী দ্বারা পরিচালিত ক্রুসেড হামলাগুলোর অর্থের যোগান দিচ্ছে। এছাড়াও ইসলাম বিদ্বেষী ক্রুসেডার ফ্রান্স, ন্যাটো জোটভূক্ত তাদের মিত্রবাহিনী ও আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলো কর্তৃক পরিচালিত ইসলামিক মাগরিবের মরু অঞ্চলে পরিচালিত ক্রুসেড হামলাগুলোরও অর্থের যোগান দিচ্ছে।

একারণে আমরা আমাদের সোমালিয়ান মুজাহিদ ভাইদের চেষ্টা ও পদক্ষেপগুলোকে মূল্যায়ন করি ও বড় করে দেখি, যারা নিজেদের নারীদের সম্মান, পরিবারবর্গের জান-মাল ও আত্মমর্যাদাশীল গোত্রগুলোর মূল্যবোধ রক্ষায় সামান্যও ত্রুটি করেননি। বরং নিজেদের দ্বীন, সম্মান ও দেশের সম্পদ রক্ষায় আরো অধিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন, ধর্মত্যাগের স্রোতকে প্রতিহত করেছেন।

তাই আমরা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি, তিনি তাদের সহায় হোন, নিজ সাহায্য দ্বারা তাদেরকে সাহায্য করুন এবং তাদেরকে ও সর্বস্থানের সকল মুজাহিদীনকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!

এই ক্রুসেডীয় ভ্রমণের অশুভ ফলাফলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফল হল: সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নাম করে নিকৃষ্ট আযহারী পাগড়িধারীদের কর্তৃক পথভ্রষ্টদের প্রধানের সাথে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে চুক্তি করা।

তাই মুসলিমগণ যেন সতর্ক থাকেন যে, ধর্মের নামে তাদেরকে কোন দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? তারা যেন সময় ফুরিয়ে যাবার আগেই নিজেদের অস্ত্র ধারণ করে!!

পরিশেষে বলছি: মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভূমিতে ক্রুসেডার ও জায়নবাদি আক্রমণের ব্যাপারে এ হল কয়েকটি সামান্য ভাঙা ভাঙা কথা ও কুফরী রাজনীতি ও ধর্মত্যাগী প্ল্যান-পরিকল্পনার সংক্ষিপ্ত চিত্র। যা জাযিরাতুল আরবের মুরতাদ শাসকদের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে।

এর প্রতিটি অক্ষর ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে সতর্কবাণী এবং আহত জাতির আত্মমর্যাদাশীলদের চেতনা জাগিয়ে তোলার কার্যকরী কথা, যা তাদেরকে কাপুরুষতা থেকে তেজস্বী বানাতে সাহায্য করবে।

আর এর মাধ্যমে আমরা আমাদের জাতির সামনে এই বাস্তবতার মুখোশ উম্মোচন করতে চাই যে, এই বেদনাদায়ক সময়ে আমাদের উপর ক্রসেডার হামলা কোন পর্যায়ে উপনীত হয়েছে? তাদেরকে আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সেই নীতি স্মরণ করিয়ে চাই, যাতে তিনি সংক্ষিপ্তভাবে জাযিরাতুল আরবের উপর ক্রসেডারদের হামলা বন্ধ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তা হল, তার বাণী:

أخرجوا المشركين من جزيرة العرب

“মুশরিকদেরকে জাযিরাতুল আরব থেকে বের করে দাও।” (বুখারিঃ ৩১৬৮, মুসলিমঃ ১৬৩৭)

আমরা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি, তিনি আমাদের মুজাহিদ ভাইদেরকে তাওফিক দান করুন ওহীর অবতরণস্থল ও ইসলামের প্রাণকেন্দ্র থেকে তাদেরকে বিতারিড় করতে এবং আমাদের জাতির সামনে সেই সঠিক পথকে অকাট্যভাবে তুলে ধরতে, যার মাধ্যমে তার অনুগতরা সম্মানিত হবে, তার অবাধ্যরা সঠিক পথ পাবে, সৎকাজের আদেশ করা হবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করা হবে । আর তিনি আমাদেরকে তার পথে নিহত হওয়া ও তার রাসূলের দেশে শাহাদাত বরণ করার তাওফিক দান করুন। নিশ্চয়ই আমরা সকলে তার এবং তারই দিকে প্রত্যাবর্তনশীল। আর তার নিকটই সকল অভিযোগ ও মিনতি। তিনিই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম ব্যবস্থাপক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − fourteen =

Back to top button