বই ও রিসালাহবার্তা ও বিবৃতিশাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

আমেরিকানদের প্রতি চিঠিঃ কেন আমরা যুদ্ধ করি এবং প্রতিরোধ করি? – শায়েখ আইমান আল জাওয়াহিরি হাঃ

 আমেরিকানদের প্রতি চিঠিঃ
কেন আমরা যুদ্ধ করি এবং প্রতিরোধ করি? – শায়েখ আইমান আল জাওয়াহিরি হাঃ

অনলাইনে পড়ুন-

https://justpaste.it/keno_amra_juddho_kori

======================

আমেরিকানদের প্রতি চিঠিঃ
কেন আমরা যুদ্ধ করি এবং প্রতিরোধ করি? – শায়েখ আইমান আল জাওয়াহিরি হাঃ

প্রথম প্রশ্নের উত্তর সহজ। আমরা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করি কারন তোমরা আমাদেরকে আক্রমণ করেছো এবং এখনও করে যাচ্ছো।

তোমরা ফিলিস্তিনে আমাদেরকে আক্রমণ করেছো, যাদেরকে বিগত ৮০ বছরের অধিক সময় ধরে সামরিক দখলদারিত্বের মাধ্যমে দুর্বল করা হয়েছিলো। ব্রিটিশরা তোমাদের সাহায্য এবং আর্শীবাদে ফিলিস্থানকে ইহুদিদেরকে উপহার দিয়ে ছিলো, যারা এখানে অর্ধশতাব্দীর অধিক সময় ধরে নিপীড়ন, আগ্রাসন, অপরাধ, হত্যা, নির্বাসন, ধ্বংস এবং জুলুম- নির্যাতনের শাসন কায়েম রেখেছে। যদি ইসরায়ইলের সৃষ্টি এবং এর দীর্ঘায়ন অপরাধ হয় তাহলে তোমরা হচ্ছো এর প্রধান, আমার বিশ্বাস ইসরায়ইলের পক্ষে আমেরিকার সাহায্যের বিষয়টি বর্ণনা বা প্রমাণ করে দেখানোর কোন প্রয়োজন নেই। ইসরায়ইল একটি অপরাধের নাম এবং এটা অবশ্যই ধ্বংস হতে হবে এবং যে কারও যদি এটাকে প্লাবিত করার অপরাধে জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে এর চরম মূল্য দিতে হবে সুতরাং বিনয়ের সাথে এর মূল্য দিতে থাক। পবিত্র ভূমিতে নিরিহ ফিলিস্তিনিদের রক্ত প্রবাহিত হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে। এর অবশ্যই প্রতিশোধ নেয়া হবে, এবং নিশ্চিত থাক ফিলিস্তিনের জনগণ না একা কাঁদবে না একা মরবে।

তোমরা আমাদেরকে সোমালিয়াতে আক্রমণ করেছো, চেচনিয়া এবং কাশ্মিরের বিপক্ষে জুলুম চালাতে রাশিয়া এবং ইন্ডিয়াকে সাহায্য করছো এবং লেবাননে আমাদের বিপক্ষে জুলুম চালাতে ইহুদিদেরকে সাহায্য করেছো।

এদিকে, পুতুল শাসকগন যারা আমাদের দেশ শাসন করে তারা প্রতিদিনই তোমাদের তত্ত্বাবধান, আদেশ, এবং নির্দেশে আমাদের আক্রমণ করছে। এই শাসকগন আমাদের জনগণকে বল এবং জালিয়াতির মাধ্যমে ইসলামিক শাসন থেকে বঞ্চিত করছে, আমাদেরকে অপদস্ত করছে এবং আমাদেরকে ভয় দেখাচ্ছে এবং বাধ্য করছে। আমাদেরকে দিয়ে বিশাল জেলে ভর্তি করছে। তারা আমাদের সম্পদ চুরি করছে এবং তুচ্ছ মূল্যে তা তোমাদেরকে দিয়ে আসছে এবং তারা ইহুদিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, বেশীরভাগ ফিলিস্থানিদেরকে তাদের সামনে ঠেলে দিয়েছে এবং ফিলিস্থানিকে একটি বিছিন্ন বাঁটোয়ারা রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এসব পুতুল শাসকদের ক্ষমতা থেকে সরানো একটি ইসলামিক দায়িত্ব এবং মুসলিম জাতিকে মুক্তির জন্য একটি মৌলিক পদক্ষেপ, ইসলামিক শাসনের প্রয়োগ এবং ফিলিস্থানিকে মুক্ত করার জন্যেও। সুতরাং, এসব পুতুল শাসকদের সাথে যুদ্ধ তোমাদের সাথে যুদ্ধ করা থেকে অবিচ্ছেদ্য।

তোমরা আমাদের তেল চুরি করছো এবং অন্যান্য সম্পদ সর্বনিম্ন মূল্যে তোমাদের নৌবাহিনীর শক্তি এবং সেনাবাহিনীর ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছো, যা কিনা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ডাকাতি হচ্ছে। তোমরা সামরিক বাহিনী দ্বারা আমাদের দেশগুলোকে অধিগ্রহণ করছো এবং তোমাদের সাময়িক স্থাপনা তৈরী করছো, আমাদের ভূমিগুলো অপবিত্র করছো এবং আমাদের পবিত্র স্থানগুলো পরিবেষ্টন করছো শুধুমাত্র ইহুদিদেরকে রক্ষা করার জন্য এবং ধারাবাহিকভাবে আমাদের সম্পদ লুট চিরস্থায়ী করার জন্য। তোমরা, ইরাকে ‘মুসলমানদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা সংঘটিত করেছো, যেখানে শিশুরা প্রতিদিন মৃত্যুমুখে পাতিত হচ্ছে। এটা আশ্চর্যজনক যে ১.৫ মিলিয়ন ইরাকী শিশু নিষেধাজ্ঞার কারণে মারা যায় কোন একটি বিস্ময় প্রকাশ ছাড়া, কিন্তু যখন তোমাদের ৩০০০ মানুষ নিহত হয়েছে, তখন সমগ্র বিশ্ব উঠে দাঁড়িয়েছে এবং কখনো ঘুরে বসেনি।

এই বিয়োগান্তক কাহিনী এবং বিপর্যয় হচ্ছে আমাদের প্রতি তোমাদের আগ্রাসনের কিছু উদাহরণ। এটা (তোমাদের ও আমাদের) উভয় আইন এবং যুক্তি দ্বারা স্বীকৃত যে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতিহিংসা গ্রহণ করার অধিকার রয়েছে, সুতরাং তোমাদের আরও বেশী জিহাদ, প্রতিরোধ এবং শাস্তি ছাড়া অন্য কিছু আশা করা উচিত নয়। এটা কি যৌক্তিক যে আমেরিকা আমাদেরকে ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে আক্রমণ করছে এবং আমরা একে নিরাপত্তা ও শান্তিতে থাকতে দিচ্ছি?

তোমরা হয়তো প্রশ্ন তুলতে পারো, যে অপরাধে তারা অংশগ্রহণ করে না, সেকারনে কি বেসামরিক জনগণকে আক্রমণ করা যায়?

এই ধরনের যুক্তি অসাড়, যখন তারা বলে যে তাদের দেশ হচ্ছে স্বাধীন ভূমি এবং তারা এই বিশ্বের স্বাধীনতা এর মান-ধারক, সুতরাং আমেরিকার জনগণ নিজ ইচ্ছায় তাদের সরকার নির্ধারন করে এবং তাদের সমস্ত নীতির সাথে একমত প্রকাশ করে। এ অনুসারে আমেরিকার জনগণ পছন্দ এবং একমত প্রকাশ করেছে ইসরাইলের সাথে থাকার যেন তারা ফিলিস্তিনিদেরকে নির্যাতন এবং ধর্ষন করতে পারে।

অন্য দিকে, আমেরিকার জনগণ চাইলে তাদের সরকারের নীতি প্রত্যাখ্যান করতে পারতো। আমেরিকান মানুষ, প্লেনের জন্য কর দেয় যা আফগানিস্তানে বোমা মারে, সে ট্যাংক, যা ফিলিস্তিনে আমাদের মাথা উপর আমাদের ঘর ধ্বংস করে, সে সেনাবাহিনী, যারা আরব উপদ্বীপে আমাদেরকে নির্যাতন করে, এবং সেই নৌ-বাহিনী যারা ইরাকে ‘আমাদের শিশুদের ঘিরে রাখে, যে ট্যাক্স ইসরাইলে যায়, যাতে তারা আমাদেরকে আরও বেশী আক্রমণ এবং আমাদের জমি আরো দখল করা অব্যাহত রাখতে পারে।

সুতরাং, এ আমেরিকান মানুষগুলো যারা আগ্রাসনকে অর্থায়ন করে, যেহেতু তারা দেখে এবং পরিচালিত করে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে, এবং জানে কিভাবে তাদের ট্যাক্স ডলার ব্যয় করা হচ্ছে। এ আমেরিকারই নারী এবং পুরুষ যারা কিনা সশস্ত্র বাহিনীকে সাহায্য করে আমাদেরকে আক্রমণ করতে। এ জন্যেই এটা সম্ভব নয় যে, আমেরিকান এবং ইহুদিরা আমাদের বিরুদ্ধে যে অপরাধ করছে সেজন্য আমেরিকার জনগণরা নিষ্পাপ।

আল্লাহ্ কিসাসের (বদলা) বি্দলা) দিয়েছেন একটি পর্যবেক্ষিত আইন হিসাবে। সুতরাং আক্রমণ করা আমাদের অধিকার যারাই আমাদেরকে আক্রমণ করে তাদেরকে, তাদের শহর এবং গ্রামগুলো ধ্বংস করা যারা আমাদেরটা ধ্বংস করে, এবং তাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা যারা আমাদের সম্পদ চুরি করে, এবং সে সকল দেশের নাগরিকদেরকে হত্যা করা যারা আমাদের নাগরিকদেরকে হত্যা করে। এখনও আমেরিকার সাংবাদিক এবং রাজনীতিবিদরা এ প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানায় যখন তোমরা এই প্রশ্ন করছো “কে ১১ সেপ্টেম্বর আক্রমণ করে ছিলো?”

আমরা তোমাদের কেন তোমাদেরকে আহবান করছি এবং আমরা তোমাদের থেকে কি চাই?

• প্রথম বিষয়, আমরা তোমাদেরকে ইসলাম গ্রহনের আহবান জানায়, যা এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসের ধর্ম এবং সব ধরনের বহুতবাদ ও ইবাদত এবং আনুগত্যে আল্লাহ্র সাথে অন্যকোন অংশীনির্ধারনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা, আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ ভালবাসা, আনুগত্য, তাঁর বিধানের সামনে সব মতামত, দর্শন এবং সকল তত্ত্বসমহূ যা কিনা হযরত মুহাম্মদ(স)-এর উপর অবতীর্ন বাণীর বিরোধী তা বিসর্জন যা সমস্ত নবীদের ধর্ম, যাদের মধ্যে আমরা কোন পার্থক্য করি না।আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ন সর্বশেষ ধর্মের দেকে আমরা তোমাদের ডাকি, যা হচ্ছে আন্তরিকতা, ভাল চরিত্র, ন্যায়পরায়ণতা, বিশুদ্ধতা, সহানুভূতি, এবং শ্রদ্ধার ধর্ম। মানুষের জন্য ভাল কাজ করা, তাদের মধ্যে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, তাদের অধিকার দেওয়া, নিপীড়িত ও নির্যাতিতদের সুরক্ষা, এবং হাত, জিহ্বা, এবং অন্তর দিয়ে ভাল কাজের আদেশ এবং খারাপ কাজের নিষেধের ধর্ম। আল্লাহর পথে জিহাদের ধর্ম যতক্ষন না আল্লাহর বাণী সবার উপরে উঠে। সব মানুষের মধ্যে আল্লাহর আনুগত্যের মধ্যে একতা এবং সকল রঙ, জাতি, অথবা ভাষার সকল মানুষ সমান। যে ধর্মের গ্রন্থ আল-কোরআন অপরিবর্তিত অবস্থায় সুরক্ষিত, যদিও অন্যান্য আসমানী গ্রন্থ এবং বাণী পরিবর্তিত ও প্রতিস্থাপিত হয়েছে। শাশ্বত অলৌকিক , কোরআন যেখানে আল্লাহ্ তার সৃষ্টিকে চ্যালেঞ্জ করেছে এরকম একটি তৈরী করতে অথবা যদি সম্ভব হয় দশটি আয়াত বানাতে।

• দ্বিতীয় বিষয়, আমরা তোমাদেরকে তোমাদের মধ্যে যে বিদ্যমান নিপীড়ন, মিথ্যা, ব্যভিচার, ও অপরাধ আছে তা ছাড়তে বলি। আমরা তোমাদেরকে নৈতিক মূল্যবোধ, সতীত্ব এবং বিশুদ্ধতা্র দিকে আহবান করি, এবং বলি তোমরা পরিত্যাগ কর নির্লজ্জতা যেমন-ব্যভিচার, স্বেচ্ছাচারিতা, মদ, জুয়া, সুদ, যৌন বিক্রয়। আমরা তোমাদেরকে আহবান করি যাতে তোমরা এর থেকে মুক্ত হতে পারো যাতে তোমরা পতিত হয়েছো, এবং তোমাদের রাজনীতিবিদরা যে প্রতারণার বাণী শুনাছে যে তোমরা “মহান জাতি” আসলে তোমরা তো দুঃখের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছো যদিও তা লুকানোর চেষ্টা করছো। আমরা দুঃখের সাথে তোমাদের জানাচ্ছি যে, তোমরা হচ্ছো মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম জাতি। তোমারা হচ্ছো সেই জাতি যারা আল্লাহ্র বিধান অনুসরণ কর না, তোমাদের সংবিধানে অথবা অন্য কোন নিয়মে।

• তৃতীয় বিষয়, আমরা তোমাদেরকে বলি তোমরা দাঁড়াও এবং সত্যতার সাথে নিজেদের পর্যালোচনা কর-আমার সন্দেহ তোমরা হয়তো অনুধাবন করতে পারবে, তোমরা হচ্ছো মূল্যবোধহীন, নীতিহীন অথবা অনৈতিক এবং এ সবকিছু বলতে তোমরা যা বুঝ, তোমরা অন্যদের থেকে তা আশা কর যা তোমরা নিজেরা মানোনা।

• চতুর্থ বিষয়, তোমরা ইসরাইল, ইন্ডিয়া, রাশিয়া, এবং ফিলিপাইনকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাহায্য করা বন্দ করো।

• পঞ্চম বিষয়, যে বিষয় আমরা বলি, তোমাদের ব্যাগপত্র ঘুছাও এবং আমাদের দেশগুলো ছাড়ো। আমরা তোমাদের ভাল চাই এবং তোমাদের হেদায়েত কামনা করি, সুতরাং আমাদেরকে বাধ্য করো না তোমাদের লাশের বক্সে ফেরত পাঠাতে।

• ষষ্ঠ বিষয়, হচ্ছে তোমরা আমাদের দেশগুলোর দুর্নীতিগ্রস্ত এবং দূষণযোগ্য শাসকদেরকে সাহায্য করা বন্দ করো এবং আমাদের জাতীয় নীতি এবং আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর পাঠক্রমে তোমাদের হস্তক্ষেপ বন্দ করো। আমাদেরকে একা ছেড়ে দাও, অথবা নিউয়র্ক এবং ওয়াসিংটনে আমদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকো।

• সপ্তম বিষয়, তোমরা আমাদের সাথে আলোচনা করো পারস্পারিক লাভের ভিত্তিতে বর্তমান বাধ্যবাধকতার নীতি, লুণ্ঠন, দখলদারিত্ব এবং ইহুদিদেরকে সাহায্যের পরির্বতে, যা তোমাদের উপর শুধুমাত্র আরো বিপর্যয় বয়ে আনবে।

এখন তোমরা যদি আমাদের দাবিগুলোর ইতিবাচক সাড়া না দাও, তাহলে ইসলামী জাতির সাথে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হও, একত্ববাদে বিশ্বাসের জাতি যারা শুধুমাত্র আল্লাহ্র উপরই ভরসা করে এবং আল্লাহ্ ছাড়া আর কাউকে ভয় করেনা; যে জাতি আল্লাহর কিতাবে উল্লেখিত হয়েছে এভাবে,

তোমরা কি তাদেরকে ভয় কর? যদি তোমরা মোমেন হও তাহলে আল্লাহ্ তায়ালাকেই ভয় করা উচিত। তোমরা তাদের সাথে লড়াই করো, আল্লাহ্ তায়ালা তোমাদের হাত দিয়েই ওদের শাস্তি দিবেন,তিনি তাদের অপমানিত করবেন, তাদের ওপর তিনি তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তিনি মোমেনদের অন্তরকে নিরাময় করে দিবেন, তিনি তাদের দিলের ক্ষোভ বিদুরিত করে দিবেন; তিনি যাকে চাইবেন তার প্রতি ক্ষমাপরবশ হবেন; আল্লাহ্ তায়ালা কিছুই জানেন এবং তিনি হচ্ছেন সুবিজ্ঞকূশলী। সুরা আত তাওবাহ ১৩-১৪

সম্মান ও গৌরবের অধিকারী মুসলিম জাতি,

তারা বলে — ”আমরা যদি মদীনায় ফিরে যাই তাহলে প্রবলরা দুর্বলদের সেখান থেকে অবশ্যই বের করে দেবে।’’ কিন্ত ক্ষমতা তো আল্লাহ্রই আর তাঁর রসূলের আর মুমিনদের, কিন্ত মুনাফিকরা জানে না। সুরা মুনাফিকুন ৬৩ আয়াত ৮

অতএব দুর্বলচিত্ত হয়ো না ও অনুশোচনা করো না, কারণ তোমরাই হবে উচ্চপদস্থ যদি তোমরা বিশ্বাসী হও। সুরা আল ইমরান আয়াত ১৩৯

সুহাদাদের জাতি যারা মৃত্যুকে ততটাই কামনা করে যতটা তোমরা জীবন কামনা কর,

আর যাদের আল্লাহ্র পথে হত্যা করা হয়েছে তাদের মৃত ভেবো না, বরং তাদের প্রভুর দরবারে জীবন্ত, তাদের রিযেক দেওয়া হবে, আল্লাহ্ তাঁর করুণাভান্ডার থেকে তাদের যা দিয়েছেন সেজন্যে খুশিতে ডগমগ, আর তারা আনন্দ করবে তাদের জন্য যারা তাদের সঙ্গে মিলিত হয়নি তাদের পশ্চাদভাগ থেকে, কেননা তাদের উপরে কোনো ভয় নেই আর তারা অনুতাপও করবে না। তারা আনন্দ করবে আল্লাহ্র কাছ থেকে অনুগ্রহের জন্য এবং করুণাভান্ডারের জন্য, আর নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ বিশ্বাসীদের প্রাপ্য বিফল করেন না। সুরা আল ইমরান আয়াত ১৬৯-১৭১

এমন এক জাতি যাদের বিজয়ের ওয়াদা আল্লাহ তা’আলা দিয়েছেন,

তিনিই সেইজন যিনি তাঁর রসূলকে পাঠিয়েছেন পথনির্দেশ ও সত্য-ধর্মের সাথে যেন তিনি তাকে প্রাধান্য দিতে পারেন ধর্মের — তাদের সবক’টি উপরে, যদিও মুশরিকরা অনিচ্ছুক। সুরা আত তাওবাহ আয়াত ৩৩

আল্লাহর রহমতে, ইসলামী জাতি হচ্ছে তোমাদের মত অনেককে ধ্বংস এবং পরাজিত করেছে এমন এক মহান জাতি; এমন জাতি যারা তোমাদের আগ্রাসনকে তুচ্ছ করে দিতে পারে, তোমাদের মন্দের শেষ দেখতে, এবং তোমাদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত আছে এবং তোমরা নিশ্চয়ই জান যে, তোমাদের দাম্ভিকতার দরুন তোমাদের প্রতি মুসলিম উম্মাহর কি পরিমাণ ঘৃণা আছে?

আমাদের এই উপদেশ এবং হেদায়েত ও ন্যায় দিকে ডাকা আমেরিকাকে যদি সতর্ক না করে, তাহলে তাদের বুশের ধ্বংসই ভোগতে হবে, যে তাদেরকে ক্রুসেডের দিকে ডেকেছিল যেটাতে তারা আল্লাহর ইচ্ছাই মুজাহিদদের কাছে পরাজিত হবে, যেমনটা আমাদের মুজাহিদ পূর্বপুরুষরা তাদের ক্রোসেড পূর্বপুরুষদেরকে পরাজিত ও অপমানিত করে বাড়িতে পাঠিয়েছিলো।

আমেরিকানদের কি শিক্ষা নেওয়া উচিত না এই কথা চিন্তা করে যে, তাদেরকে রাশিয়ার মত ভাগ্য বরণ করতে হবে, যারা আফগানিস্থান থেকে সামরিক পরাজয়, রাজনৈতিক বিভেদ , মতাদর্শগত পতন , এবং অর্থনৈতিক দেউলিয়াপনা নিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলো।

এটাই আমাদের চিঠি আমেরিকার কাছে তাদের চিঠির উত্তরে। সম্ভবত তারা এখন বুঝবে কেন আমরা প্রতিহত করি এবং আমরা যেকোন অজ্ঞ জাতির বিরুদ্ধে আল্লাহ ইচ্ছায় বিজয় হব।

সংগৃহীত
ইন্সপায়ার ১৩ থেকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − one =

Back to top button