আল কায়েদার কেন্দ্রীয় কমান্ড ইরাক ও সিরিয়ার কথিত ইসলামিক রাষ্ট্রের সাথে আল কায়েদার সম্পর্ক বিষয়ক বিবৃতি
আল কায়েদার কেন্দ্রীয় কমান্ড ইরাক ও সিরিয়ার কথিত ইসলামিক রাষ্ট্রের সাথে আল কায়েদার সম্পর্ক বিষয়ক বিবৃতি
ডাউনলোড করুন
PDF
https://banglafiles.net/index.php/s/JemMA98ZrowbG9E
https://archive.org/download/balakot_media_books/relation_between_the_two_organizations_bn.pdf
http://www.mediafire.com/file/1zoz0p5rxksdujl/15.relation_between_the_two_organizations_bn.pdf/file
WORD
https://banglafiles.net/index.php/s/inLdKbnB5xb8aMj
https://archive.org/download/al-qaeda-somporko-bishoyok-bibriti/.docx
====================================
১৪৩৫ হিজরী
“ইরাক ও সিরিয়ার কথিত ইসলামী রাষ্ট্র” এর সাথে “আল–কায়েদা” এর সম্পর্ক বিষয়ক বিবৃতি
তানজিমে কায়েদাতুল জিহাদ – সর্বোচ্চ নেতৃত্ব
উৎস: মারকাজ আল-ফজর মিডিয়া
অনুবাদ করেছেন: উস্তায উবাইদুল্লাহ (দাঃ বাঃ)
পরিবেশনায়: বালাকোট মিডিয়া
[তানজিমে কায়েদাতুল জিহাদ – সর্বোচ্চ নেতৃত্ব]
“ইরাক ও সিরিয়ার কথিত ইসলামী রাষ্ট্র” এর সাথে “আল–কায়েদা” এর সম্পর্ক বিষয়ক বিবৃতি
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য, দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর পরিবারবর্গ, তাঁর সাহাবীগণ ও তাঁকে যারা ভালোবাসে তাদের প্রতি। অতপর,
প্রথমত: জামাআতে “কায়েদাতুল জিহাদ” স্পষ্ট ঘোষণা দিচ্ছে যে, “ইরাক ও সিরিয়ার কথিত ইসলামী রাষ্ট্র” – এর সাথে আল-কায়েদার কোনো সম্পর্ক নেই। ইহা গঠন করার পিছনে আল- কায়েদার কোনো হাত (ভূমিকা) ছিল না। উক্ত বিষয়ে কোনো শূরা-পরামর্শ বা সম্মেলন ডাকা হয়নি, কিংবা এতে সন্তষ্টও নয়।
বরং উহার সাথে কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। উহা আল-কায়েদার কোনো শাখা নয়, না উহার সাথে সাংগঠনিক কোনো সম্পর্ক রয়েছে। তাই আল-কায়েদা তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব নিবে না।
উহা যদি এরূপ কোনো শাখাদল হতো তাহলে আল-কায়েদার সর্বোচ্চ নেতৃত্ব হতে ঘোষণা আসতো। এবং গুরুত্বসহকারে সকল মুজাহিদদেরকে আমাদের সমর্থন, ভাতৃত্ব ও সম্পর্কের ভিত্তিতে উহার স্বীকৃতি দেয়া হতো। আর আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা হচ্ছে, মুসলিম ভাই ও মুজাহিদদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক বজায় রাখা।
দ্বিতীয়ত: আল-কায়েদা জিহাদী কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর জোর দিয়ে থাকে। আর তা হলো,
১) পারস্পরিক পরামর্শ, সম্মিলিত কার্যক্রম ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দের সম্মতি ও মুজাহিদগণের সাথে পরামর্শ করেই সম্পন্ন করে থাকে।
২) মুজাহিদদের নিজস্ব সমস্যার সমাধান নিজেরাই করে থাকে, মিডিয়ার মাধ্যমে নয়।
৩) আমরা সকলেই উম্মাহর একটি অংশ, আমরা কারো হকৃ নষ্ট করি না, কিংবা কারো উপর চেপে বসি না, শাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন কারো অধিকার ক্ষুন্ন করি না যার মধ্যে শরয়ী শর্তসমূহ পাওয়া যায়।
আমরা কোনো “রাষ্ট্র‘ বা ‘ইমারাহ, ঘোষণা করতে তাড়াহুড়া করি না, যার ব্যাপারে মুজাহিদ উলামা, নেতৃবৃন্দ এবং সকল মুসলিম-মুজাহিদেরা পরামর্শ দেয় নি। অতঃপর উহা জনগণের উপর চাপিয়ে দেই না। আর যে উহার বিরোধিতা করে তাঁকেও আমরা ভিন্ন ভাবে দেখি না।
8) আমরা প্রধান-প্রধান সমস্যা সমাধানে উম্মাহকে এক্যবদ্ধ করতে চাই। আর এটাই ছিল শাইখ উসামাহ বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) এর মানহাজ (কর্মপন্থা)। যার মাধ্যমে জিহাদী আমল বা কার্যক্রম উন্নতি লাভ করে সে দিকেই তিনি আহ্বান করেছেন, অবশেষে আল্লাহ তাআলা তাঁকে শহীদ হিসেবে গ্রহণ করলেন (আমরা তাঁর ব্যাপারে এমনটাই ধারণা রাখি, আল্লাহই তাঁর ব্যাপারে ভাল জানেন)।
তাই আল-কায়েদা বা “ইসলামের সমর্থনে একটি প্রামাণ্য দলিলপত্র” নামক নির্দেশনা প্রকাশ করেছে, এতে এই মানহাজকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, উম্মাহকে এসকল মূল-মুল ইস্যুতে এক্যবদ্ধভাবে কাজ করা জরুরি ।
৫) জিহাদী আমল (কার্যক্রম) কে বিরোধিতা” ও “ক্ষতিকারক কার্যকলাপ” থেকে খাঁটি বা পরিশুদ্ধ রাখতে চেষ্টা করে। আর এই লক্ষ্যে আল-কায়েদা বা “জিহাদের সাধারণ দিক-নির্দেশনা” নামে একটি প্রামাণ্য দলিলপত্র প্রকাশ করেছে।
৬) আল-কায়েদা এসকল কার্যক্রম থেকে মুক্ত যা যুলুমের দ্বার উম্মুক্ত করে দেয়। চাই সে যুলুমের শিকার হোক কোনো মুজাহিদ, মুসলিম কিংবা অমুসলিম ।
এখানে আমরা এসকল ফিতৃনা থেকে মুক্ত থাকার তাকিদ (জোর) দিচ্ছি যা সিরিয়ার বিভিন্ন মুজাহিদ গ্রুপগুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছে। নিশ্চয়ই আমরা অবৈধ রক্তপাত করা হতে মুক্ত, তা যে পক্ষ থেকেই হোক না কেন।
আর আমরা সকলকে আহ্বান করছি, তাঁরা যেন আল্লাহকে ভয় করেন এবং তাঁদের উপর ন্যস্ত মহৎ দায়িত্ব উপলব্ধি করেন।
এবং আমরা জিহাদের বিপর্যয় থেকে বেঁচে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি যা সিরিয়ায় পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং মুসলিম উম্মাহর ভবিষ্যৎ যে ফিত্নায় আক্রান্ত হয়েছে, তা থেকে বেঁচে থাকার আহ্বান (নসীহা) জানাচ্ছি।
আমরা প্রত্যেক বুদ্ধিমান, দ্বীনদার মুসলমান ও জিহাদে আগ্রহী এমন প্রত্যেককেই ফিত্নার দাবানল নিভাতে ও যুদ্ধের অবসান করতে দ্রুত কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়ার জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।
অতঃপর পারস্পারিক শাসনের দ্বন্দ্ব নিরসনে মুজাহিদদের মাঝে বিবাদ-বিসম্বাদ দূরীকরণে শরয়ী বিচারিক সংস্থাকে মেনে নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তৃতীয়ত: আমরা গুরুত্বের সাথে আহ্বান করছি যে, আমাদের ও অন্য সকলের মাঝে নসীহা ও সমঝোতার পথ সর্বদা উন্মুক্ত রয়েছে। আর নিশ্চয়ই মুজাহিদ ও মুসলমানদের মাঝে সর্বদা ভ্রাতৃত্ব, সহযোগিতা ও আল ওয়ালা (ভালবাসা) এর অধিকার অবশিষ্ট থাকবে। যদিও ভুলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকুক।
আর আমরা নিজেদেরকে তা থেকে মুক্ত ঘোষণা করি না [যে ব্যাপারে ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) বলেছিলেন],
আমি নিজেকে নির্দোষ মনে করি না। নিশ্চয়ই মানুষের মন মন্দ কর্মপ্রবণ, কিন্তু সে নয় – আমার রব যার প্রতি অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয়ই আমার রব অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।[1]
আর আামাদের উদ্দেশ্য হলো,
আমি তো যথাসাধ্য “ইসলাহ’ বা সংশোধন করতে চাই। আমার কার্যসাধন তো আল্লাহরই সাহায্যে; আমি তাঁরই উপর নির্ভর করি এবং তাঁরই অভিমুখী ।[2]
আর আমাদের সর্বশেষ আহ্বান হলো এই যে, সকল প্রশংসা রাব্বুল আলামীনের জন্য, সালাত ও সালাম আমাদের নেতা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সাহাবীদের প্রতি।
[জামাআতে কায়েদাতুল জিহাদ – সর্বোচ্চ নেতৃত্ব]
২১ শে রবিউল আউয়াল, ১৪৩৫ হিজরী
[1] সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৫৩
[2] সুরা হুদ, আয়াত: ৮৮