আনসারুল্লাহ বাংলা টিমমিডিয়া

জিহাদি ফোরাম ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছেঃ অনুগ্রহ করে শরিয়তভিত্তিক নীতিমালার অনুগত থাকুন

بسم الله الرحمن الرحيم

জিহাদি ফোরাম ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছেঃ

অনুগ্রহ করে শরিয়তভিত্তিক নীতিমালার অনুগত থাকুন

আনসারুল্লাহ্* বাংলা টিম কতৃক অনূদিত
{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا قَوَّامِينَ لِلَّهِ شُهَدَاءَ بِالْقِسْطِ وَلا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآنُ قَوْمٍ عَلَى أَلَّا تَعْدِلُوا اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَى وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ}
হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্*র উদ্দেশ্যে বিধানসমূহ পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠাকারী ও ন্যায়ের সাথে সাক্ষ্য দানকারী হয়ে যাও, কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের শত্রুতা যেন তোমাদেরকে এর প্রতি উদ্যত না করে যে তোমরা ন্যায়বিচার করবে না, তোমরা ন্যায়বিচার করো, এটা তাকওয়ার অধিক নিকটবর্তী এবং আল্লাহ্*কে ভয় করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ্* তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে পূর্ণ ওয়াকিফহাল। – সূরাহ্* আল-মাইদাহ্*, আয়াতঃ ০৮

সকল প্রশংসা শুধুমাত্র আল্লাহ্*র, যার কাছে আমরা সাহায্য চাই। আমরা তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমাদের কুপ্রবৃত্তি ও আমাদের অপকর্মের খারাবি থেকে আমরা আল্লাহ্*র কাছে আশ্রয় চাই । এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ্* যাকে হেদায়েত (সঠিক পথ প্রদর্শন) করেছেন তাকে কখনোই পথভ্রষ্ট করা যায় না, এবং যাকে পথভ্রষ্ট করে দেওয়া হয়েছে তার জন্য কোন হেদায়েত (সঠিক পথ প্রদর্শন) নেই। কেয়ামত পর্যন্ত সালাত (সৃষ্টিকূলের পক্ষ থেকে দুয়া ও আল্লাহ্*র পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি) ও সালাম (শান্তি) বর্ষিত হোক তাঁর নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ), তাঁর (নবীর) পরিবার এবং তাঁর (নবীর) সাহাবাগণের উপর

আমাদের কষ্ট হয় এবং আমাদের অন্তর থেকে রক্তের অশ্রু ঝরে যখন আমরা বিভিন্ন রকমের অতিরঞ্জিত আচরণ দেখতে পাই, যখন কাউকে সঠিক মানহাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ‘বিদআতী’ বা ‘কাফের’ বলা হয়, অথবা যখন তাদেরকে এমনভাবে অপমান করা হয় যা নবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সীমালঙ্ঘনকারীদের সাথে যে আচরণ করার শিক্ষা দিয়েছেন সেটার সম্পূর্ন পরিপন্থী। তাই যে ব্যক্তি বাহ্যিকভাবে দ্বীনকে রক্ষা করার জন্য আমাদের পাশে একই কাতারে দাঁড়ায় কিন্তু তার আচরণ ও কাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে সে অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু ভুল করছে এবং সেই সাথে নিজেকে সঠিক পথেই প্রতিষ্ঠিত ভাবছে, সে ব্যক্তির সাথে আমাদের আচরণ কিরূপ হওয়া উচিত তা আমাদের বুঝা ও উপলদ্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের লক্ষ্য করতে হবে যে, এই ধরনের মানুষ কিন্তু তাদের থেকে সম্পূর্নরূপে ভিন্ন যারা ইসলামের শত্রুদের সাথে মিলিত হয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। আমাদেরকে এই দুই দলের মাঝে পরিষ্কার পার্থক্য করতে হবে এবং এই ব্যাপারে আমাদেরকে সবসময় তাদের সাথে আলোচনা-পরামর্শ করতে হবে যাদের ইসলাম ও শরিয়তের জ্ঞান আছে। এই পৃথকীকরণ করার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দলের মানুষদের মাঝে পার্থক্য স্থাপন করতে পারবো এবং সেই অনুযায়ী তাদের সাথে আচরণ করতে পারবো, যেরূপ আচরণের শিক্ষা আমাদের দ্বীন আমাদেরকে দেয়। এটা আমাদের নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে সাহায্য করবে এবং আমাদের আসল শত্রুকে ঘায়েল করার দিকে মনযোগ দিতে সাহায্য করবে।

প্রত্যেক জ্ঞানী ব্যক্তি আজকের মুসলমান উম্মতের হাল জানে। আমরা জানি যে, কি ধরনের সমস্যা, শোকাবহ ঘটনা এবং বিরোধীতা আমাদের সামনে আসে। এই সময়টি হচ্ছে সবচাইতে বড় কুরবানি করার সময়।
এই উম্মতের মুখোমুখি হয়েছে এমন এক শত্রু যারা যোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের মাঝে পার্থক্য করে না, তারা পার্থক্য করে না মহিলা, শিশু বা বয়স্ক-বৃদ্ধদের। তারা আমাদের সকলকে শত্রু মনে করে, কারণ আমরা সকলেই মুসলমান এবং আমরা সকলেই আল্লাহ্*র একত্বে বিশ্বাস করি। এই পরিস্থিতি আমাদেরকে হুকুম করে এই প্রবল আক্রমণকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে ও একত্রিত হতে এবং তাদেরকে আমাদের দেশ/ভূখন্ড-গুলো থেকে উৎখাত করতে। আল্লাহ্*র দেওয়া সর্বোত্তম নিয়ামত হচ্ছে আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধ, আমাদের মধ্যকার সাহায্য-সহানুভূতি এবং আমাদের দৃঢ় ও সারিবদ্ধভাবে একত্র হওয়া। শত্রুরা আমাদেরকে বিভিন্ন দলে-উপদলে ভাগ করে দেওয়ার জন্য দিন-রাত চেষ্টা করছে, যাতে আমরা দুর্বল হয়ে পড়ি। আমাদের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টি করার জন্য এবং তাদের মূল উদ্দেশ্যে (আমাদেরকে ধ্বংস করে দেওয়া) অল্প খরচে পৌছানোর জন্যই তারা এসব করছে। এখন এই অবস্থায় আমরা যদি আমাদের উল্লেখকৃত মনোভাব (অর্থাৎ, নিজেদের মধ্যকার কিছু ভুলসম্পন্ন ভাইদের প্রতি অন্যায় আচরণ করা) নিয়ে অবিচল থাকি তাহলে আমরা আসলে আমাদের শত্রুদেরকে তাদের মূল উদ্দেশ্যে পৌছাতেই সাহায্য করছি।

আমরা যেসব যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়োজিত আছি তার ভিতরে একটি অত্যন্ত জরুরী ক্ষেত্র হল বিভিন্ন জিহাদী ফোরাম যেগুলি আমাদের আমাদের শত্রুদেরকে তাদের সুখনিদ্রা থেকে বঞ্চিত করছে। তারা ইতিমধ্যেই এই সব ফোরামের মাধ্যমে সমসাময়িক জিহাদের যে ব্যাপক বিস্তার হচ্ছে তার মূল্যায়ন করে ফেলেছে। এই ফোরামগুলো পৃথিবীতে ছড়ানো ছিটানো বিভিন্ন জিহাদী দলগুলোকে সমর্থন করছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ্*র অনুমতিতে আমরা এই জিহাদীদেরকে আজকের দিনের বিজয়ী দল মনে করি।

এসব ফোরামগুলো আমাদের এবং আমাদের শত্রুদের মাঝে এক সত্যিকারের যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আমরা এসব ফোরামে আমাদের কথার দ্বারা আমাদের জিহাদকে রক্ষা করি, এবং তাই এসব ফোরামের মাধ্যমে আমরা মুজাহিদীনদের সত্য তথ্য ও খবর ছড়িয়ে দেই। এছাড়াও আমরা এই ফোরামের মাধ্যমে জিহাদের কষ্টকর পরিস্থিতিগুলোকে তুলে ধরি, এবং চেষ্টা করি মুজাহিদীনদের বার্তা সবার কাছে পৌছে দিতে। শত্রুদের ষড়যন্ত্রগুলোকে অনাবৃত করে দিতে এবং তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রকাশ করে দেওয়ার জন্য এসব ফোরামগুলো কাজ করে, যেন যে সকল মুসলমান যুবকেরা বাস্তবতা বুঝেনা তারা কাফেরদের প্রকৃত চেহারা দেখতে পায়। আমাদের ফোরামগুলো থেকে আমাদের মুসলমান ভাইদেরকে বার্তা পাঠানো হয় যে, তাদের এখন জিহাদের প্রকৃত ময়দানে প্রয়োজন, যেন তারা সেখানে অংশগ্রহন করতে পারে।

যেহেতু আমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে আমাদের ফোরামগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমাদের সদস্যদের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা বাধ্যতামূলক যে বৈশিষ্ট্যগুলো আছে যুদ্ধময়দানে আমাদের যুদ্ধরত মুসলমান সৈন্যদের, দাওয়াতের ক্ষেত্রে দায়ীদের এবং সেসব গুণী মানুষদের যারা মানুষদেরকে অন্তরগুলোকে একত্র করে দেয় এবং দূরে ঠেলে দেয় না। এর দ্বারা আমরা বলতে চাই যে, আমাদের সেসব কাজ পরিচালনা করা উচিত যেসব কাজ আমরা সবচাইতে ভাল করতে পারি এবং যেসব কাজ গঠনমূলক। আমাদের মুসলমানদের মধ্যে ঘৃণা বিস্তার না করে শান্তির বিস্তার করা উচিত। আমাদের এই দিনে এমন প্রতিনিধি হওয়া দরকার যারা হক্ব (সত্য) মানহাজের প্রতি ভালবাসা সৃষ্টি করে। আমাদের তাদের মত হওয়া উচিত নয় যারা এই মানহাজের প্রতি ভয় বৃদ্ধি করে।

{يُؤتِي الْحِكْمَةَ مَن يَشَاءُ وَمَن يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْراً كَثِيراً وَمَا يَذَّكَّرُ إِلاَّ أُوْلُواْ الأَلْبَابِ}
তিনি যাকে ইচ্ছা হেকমত (প্রজ্ঞা) দান করেন এবং যাকে হেকমত (প্রজ্ঞা) দান করা হয় ফলতঃ নিশ্চয়ই সে প্রচুর কল্যাণ লাভ করে, বস্তুতঃ জ্ঞানবান ব্যক্তি ব্যতীত কেউই শিক্ষা গ্রহন করতে পারে না।– সূরাহ্* আল-বাকারাহ্*, আয়াতঃ ২৬৯

আমাদের প্রিয় ভাইয়েরা! আমরা এই বিষয়গুলো উল্লেখ করছি কারণ আমরা দেখেছি যে, অনেক ভাইয়েরা দ্বীনের একটি বিপজ্জনক বিষয়ে হাত দিচ্ছে। বিষয়টি হল তাকফীর করা অথবা বাস্তবতা ও কারণসমূহ না জেনেই ইসলামের কোন বিষয় সম্পর্কে ভুলধারণা সম্পন্ন কোন ব্যক্তিকে ইসলামের শত্রু বলে ঘোষণা করা। কিছু মানুষ আছেন যারা অনেক তাড়াহুড়া করেন এবং মনে করেন যে, কেউ কোন বিষয়ে ভুল বিচার করলে তার সকল ভালো কাজই বৃথা হয়ে যায় এবং তাকে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়। কিন্তু এটা আমাদের মানহাজের প্রকৃত পদ্ধতি নয় এবং এটা আহ্*লে সুন্নত ওয়াল-জামায়াতের আমাদের ন্যায়পরায়ণ পূর্বপুরুষদের মানহাজের সম্পূর্ন বিপরীত।

কোন আইন লঙ্ঘন করার জন্য রায় যদি কেউ প্রকাশ করতে চায় তবে সেই ব্যক্তির সেই ব্যাপারে যথেষ্ট জ্ঞান ও বুঝ থাকতে হবে। আমরা যাদের সাথে দ্বিমত করি তাদেরকে আমরা আল্লাহ্*র শত্রু অথবা আল্লাহ্*র শত্রুদের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করতে পারিনা। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, কিছু মানুষ চরম পর্যায়ে উপনিত হয়ে অন্য একজন মানুষকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বা ‘এজেন্ট’ বলছে শুধুমাত্র তার একটি বিষয়ে ভিন্ন মত প্রকাশের কারণে। আল্লাহ্* যেন আমাদের সাহায্য করেন।

তাকফীরের ব্যাপারটা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিত, এবং যে ব্যক্তি এরকম রায় প্রকাশ করেন তার এই ব্যাপারটিকে পরিষ্কারভাবে ও সাবধানভাবে বুঝানো উচিত। তবে যখন ব্যক্তিগত তাকফীরের ব্যাপারটা চলে আসে তখন বিষয়টি গোষ্ঠীগত তাকফীরের তুলনায় আরোও জটিল হয়ে যায় এবং তাই আমাদের আরোও সতর্ক হতে হবে। একজন ব্যক্তিকে যদি আমরা কাফের হিসেবে ডাকতে চাই তবে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ফাত্*ওয়ার সবগুলো শর্ত আমাদের বুঝা উচিত এবং কোন ধরনের ভুল ধারণা সড়িয়ে ফেলা উচিত।

আমার প্রিয় এবং সম্মানিত ভাইয়েরা!
কাউকে তার ভুলের জন্য উপদেশ দেওয়া, আর কারোও ভুল-কে ব্যবহার করে তাকে কাফের ডাকার মাঝে বিশাল তফাৎ আছে। পরেরটি হল কোন ভিন্নমতাবলম্বী মুসলমানকে কাফের বলে ডাকার একটি বিপজ্জনক দরজা। এই ধরনের কাজের দ্বারা আমরা শরিয়তের সম্পূর্ন বিরোধী একটি কাজে লিপ্ত হচ্ছি। আমাদের ন্যায়পরায়ণ পূর্বপুরুষেরা কখনোই এই ধরনের কাজ করেন নি। বিশেষ করে এই ধরনের কাজ বা অভিযোগ আরোও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায় যখন যে ব্যক্তিটিকে কাফের হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে সেই ব্যক্তিটি যদি দ্বীনের কোন সেবক হয়ে থাকে এবং তার অতীত যদি দ্বীন ইসলামের প্রতি তার কাজের সাক্ষ্য দেয়। এক্ষেত্রে মুসলমানদের একতা অর্জন সবচাইতে দুর্বোধ্য বিষয়ে পরিণত হয়। মানুষদের মাঝে কিছু মানুষ এমনও আছে যারা চরম পর্যায়ে উপনিত হয়ে তাদের সাথে নিছক কোন মতের মিল না হলেই কোন মানুষ বা দলের প্রতি অন্যায়-আচরণ ও অমর্যাদা করে। এর পরিণতি হল, আমরা আমাদের সেসকল সমর্থকদের হারাই যারা মানুষদেরকে আমাদের কাছে নিয়ে আসছিল এবং আমাদের জন্য দুয়া করছিল। আমরা আমাদের শত্রুদের প্রতি যত না কঠোর ও নিষ্ঠুর তার চাইতে এরকম মুসলমানদের প্রতিই আমরা অধিক কঠোর ও নিষ্ঠুর হয়ে পড়ি। কিন্তু একথা মনে রাখতে হবে যে, কঠোরতা আল্লাহ্*র শত্রুদের জন্য প্রযোজ্য, মুসলমানদের জন্য নয়। দৃঢ় ও মজবুত হওয়া মানে এই নয় যে, আমরা তাকফীরের বন্যায় হাবুডুবু খাবো এবং আমাদের মতের সাথে কারোও মতের মিল না হলেই তাকে ‘কাফের’ বলে সম্বোধন করবো। আমরা এখানে মুসলমানদেরকে কাফের বলতে আসিনি, যদি না এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যখন এই কাজটা অনিবার্য হয়ে পড়ে।
আল্লাহ্*র এই হুকুমের প্রতি আমাদের কিরূপে আমল করা উচিত?

{مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِمْ مِنْ أَثَرِ السُّجُودِ ذَلِكَ مَثَلُهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَمَثَلُهُمْ فِي الإِنْجِيلِ كَزَرْعٍ أَخْرَجَ شَطْأَهُ فَآزَرَهُ فَاسْتَغْلَظَ فَاسْتَوَى عَلَى سُوقِهِ يُعْجِبُ الزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُمْ مَغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا}
মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্*র রসূল; আর যারা তাঁর সাথে আছে তারা কাফেরদের বিরুদ্ধে কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরে সহানুভূতিশীল; আল্লাহ্*র অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে। তাদের মুখমন্ডলে সিজদার চিহ্ন থাকবে, তাওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপই এবং ইঞ্জীলেও। তাদের দৃষ্টান্ত একটি শস্যক্ষেতের ন্যায়; যার চারা গাছগুলো অঙ্কুরিত হয়, পরে সেগুলো শক্ত ও পুষ্ট হয়, পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে, যা চাষীকে আনন্দ দেয়। এভাবে (আল্লাহ্* ঈমানদারদেরকে সমৃদ্ধির দ্বারা) কাফেরদের অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্* তাদের ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।– সূরাহ্* আল-ফাত্*হ, আয়াতঃ ২৯

কোন ব্যক্তি যদি কোন বিষয়ে ভুল করে থাকেন তবে তার ভুলটিকে কারণ ও যুক্তি দিয়ে এবং সদয় উপদেশ, কথা ও সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। কারণ এক্ষেত্রে লক্ষ্য হচ্ছে মূল সমস্যাটির সমাধান করা ও সঠিক বিষয়টি চিহ্নিত করা। আমাদেরকে মূল সন্দেহ-সংশয়-টিকে শনাক্ত করতে হবে এবং সেটিকে অপসারিত করতে হবে। আমাদেরকে বিষয়টির যেখানে ভুলটি হয়েছে সেটিকে শনাক্ত করতে হবে এবং সেই সম্পর্কিত সকল সন্দেহকে দূরীভূত করতে হবে। আল্লাহ্* সর্বশক্তিমান আমাদেরকে এক্ষেত্রে একটি খুবই প্রতিষ্ঠিত ও নির্ভরযোগ্য কর্মপদ্ধিত প্রদান করেছেন যা সদয় কথা, যুক্তি ও সদুপদেশের উপরে প্রতিষ্ঠিত। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, যে ব্যক্তিটি ভুল করছে তার সংশোধন করা, যেন তাকে আমাদের সাথে একই কাতারে সারিবদ্ধ করা যায়, এবং অবশ্যই ব্যক্তিটিকে আমাদের শত্রুতে পরিণত করে প্রকৃতপক্ষে শত্রুদের কাতারে তাকে সারিবদ্ধ করে শত্রুদেরকেই শক্তিশালী করা নয়। আল্লাহ্* যেন এই কাজে আমাদের সহায় হন এবং নিজের ভাইদেরকে শত্রু বানানো থেকে যেন তিনি আমাদেরকে রক্ষা করেন।

আল্লাহ্ যেন আপনাদের সকলের উপর অনুগ্রহ করেন, আর আপনাদের একথা ভুলে গেলে চলবে না যে, আপনারা সে সকল ফোরামের সদস্য যা মানুষকে জিহাদের দিকে আহবান করে, আর আল্লাহ্*র অনুমতিতে আমরা সত্যের অনুসরণ করছি। আমরা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও দামী উপহার বহন করছি যা এটির মালিকের কাছে পৌছে দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের একমাত্র উপায় হল আমাদের দায়িত্বগুলোকে সর্বোত্তম আচরণ ও পন্থায় পরিচালনা করা। আমাদেরকে শয়তান ও আমাদের নিজেদের নফসের প্রলোভন থেকে সাবধানে চলতে হবে। কারণ আমরা যদি এগুলোকে সন্তুষ্ট করা শুরু করি, তাহলে এর দ্বারা আমরা আমাদের রব ও সৃষ্টিকর্তাকে রাগান্বিত করবো।

আমরা আল্লাহ্*র জন্য বলছি! আল্লাহ্*র ওয়াস্তে সাবধান থাকবেন যখন আপনি (কারোও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ এনে) কাউকে শনাক্ত করছেন এবং নিশ্চিত হচ্ছেন। আল্লাহ্*র ওয়াস্তে আপনার ভাইদের প্রতি দয়াশীল হন।

অপরদিকে, আমাদের সবসময় উপদেশ দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত, তবে আমাদের উপদেশের কন্ঠ এমন হওয়া উচিত যেন তা প্রতিপক্ষের অন্তরে কোমলভাবে অবতরণ করে। আমাদের এখন একই সাথে দুইটি দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা হল দাওয়াত দেওয়া এবং আল্লাহ্*র শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করা। কারণ যদি আমরা তা পালন করি তবে ফিতনার দরজা বন্ধ করার জন্য এবং আমাদের যে ব্যক্তিকে আমরা মনে করি যে সে ভুলপথে আছে তার চোখে সত্যের আলো প্রদানের জন্য আল্লাহ্* তাআলা আমাদেরকে উছিলা (কারণ) করতে পারেন।

এই ফিতনা বন্ধ করার জন্য এবং এই যুদ্ধ ও যুদ্ধরত ভাইদের মহান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন করার জন্য অল্প কিছু ফোরাম-ব্যবহারকারীর ইউজারনেম ব্যান (নিষিদ্ধ) করে দেওয়া আমাদের জন্য খুবই সহজ কাজ। এক্ষেত্রে এটা জরুরী নয় যে, সে বা তারা প্রকৃতপক্ষে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ বা তাদের নাম কি। আমরা তাকে বা তাদেরকে ফোরাম থেকে ব্যান (নিষিদ্ধ) করে দিবো যদি দেখি যে তিনি বা তারা ফোরামে বিভিন্ন ঝগড়া ও অযথা যুক্তি-তর্কের দিকে উস্কানি দিচ্ছেন যা আমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধকে ব্যাহত করে দেয়, যে যুদ্ধে আমাদের শত-সহস্র ভাইয়ের জীবন, সম্পদ, সম্পত্তি ও পরিবার কুরবানি হয়েছে।

আমাদের আপনাদেরকে যা বলার প্রয়োজন ছিল তা আমরা বলে দিয়েছি। আমরা আল্লাহ্*র কাছে দুয়া করি যেন, তিনি আমাদেরকে আমাদের দোষ-ত্রুটি, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে বুঝ অর্জনের তৌফিক (সুযোগ) দান করেন এবং আমাদেরকে আমাদের কথা ও কাজে ইখলাস (অকৃত্রিম আন্তরিকতা) দান করেন। আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে দুয়া করি যেন তিনি আমাদেরকে আমাদের দ্বীনের সাহায্যার্থে এবং আমাদের মুজাহিদীন ভাইদের প্রতিরক্ষার্থে একটি দেহের ন্যায় একতাবদ্ধ করে দেন এবং তিনি যেন আমাদের সকল বন্দী ভাইদের মুক্তির ব্যবস্থা করে দেন। নিশ্চয়ই শুধুমাত্র আল্লাহ্*রই এই সকল বিষয়ে পূর্ণ ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ আছে। আমাদের শেষ দুয়া হল, সকল প্রশংসা শুধুমাত্র আল্লাহ্*র জন্য যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। আর আল্লাহ্*র পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি ও শান্তি বর্ষিত হোক তাঁর [নবী মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] প্রতি যার আদর্শ কুরআনের উপরে প্রতিষ্ঠিত।

ইসলামিক নেটওয়ার্কসমূহের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিযুক্ত
আপনার ভাইয়েরা
(উৎসঃ শুমুখ, ফিদা এবং আনসার)

 

ডাউনলোড লিঙ্কঃ

PDFhttps://archive.org/download/ShariahRulesOfJihadiForumUsersBangla/Shariah%20Rules%20of%20Jihadi%20Forum%20Users%20%5BBangla%5D.pdf

DOChttps://archive.org/download/ShariahRulesOfJihadiForumUsersBangla/Shariah%20Rules%20of%20Jihadi%20Forum%20Users%20%5BBangla%5D.docx

Archive Page
https://archive.org/details/ShariahRulesOfJihadiForumUsersBangla

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 + 1 =

Back to top button