আরবইলম ও আত্মশুদ্ধিবই ও রিসালাহবালাকোট মিডিয়ামিডিয়াশাইখ আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসী হাফিযাহুল্লাহশামহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

বিবাহ জিহাদ!! – শাইখ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ

বিবাহ জিহাদ!!

– শাইখ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ

বিবাহ জিহাদ!! –  শাইখ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ

ডাউনলোড করুন

PDF
https://banglafiles.net/index.php/s/o3fDWD39qgH43iB
https://archive.org/download/balakot_media_books/bibaho_jihad.pdf
http://www.mediafire.com/file/0puid0v6f63xb93/25.bibaho_jihad.pdf/file

Word
https://banglafiles.net/index.php/s/6ifpXEwp83L3C6i
https://banglafiles.net/index.php/s/r8XSiGMd5xjjZXH

https://archive.org/download/bibah-jihad/.docx
http://www.mediafire.com/file/sbb35lueov7r2ua/17.ei_deener_mul_vitti.docx/file
====================================

বিবাহ জিহাদ!! –  শাইখ আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহ

جهاد النكاح

هو جهاد كفرة الحكام أفتاهم به الحاخام

 

বিবাহজিহাদ !!!

বিবাহজিহাদেকাফের শাসকেরাই লিপ্ত যার বৈধতা দিয়েছে তাদের ধর্মগুরুরা

আলোচনায়:

শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল মাক্বদিসী (আল্লাহ তার মুক্তি ত্বরান্বিত করুন)

 

১৪৩৪ হিজরি / ২০১৩ ইংরেজি

প্রশ্ন: কিছু মিডিয়া মুজাহিদদের ব্যপারে অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, ‍মুজাহিদরা নাকি তথাকথিতবিবাহজিহাদ[[1]] এর বৈধতার ফাতওয়া দিয়েছে ব্যপারে আপনাদের বক্তব্য কি? আদৌ এই নামের কোনো ভিত্তি আছে কি? অথবা চলমান সালাফী জিহাদী আন্দোলনের নির্ভরযোগ্য কারো পক্ষ থেকে কি এই ধরনের কোনো ফাতওয়া প্রকাশিত হয়েছে?

উত্তর:   

الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى اله وصحبه ومن والاه وبعد،

সকল প্রসংশা কেবল আল্লাহর জন্য।

সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক রাসূল (সাঃ),তাঁর পরিবার, সাহাবায়ে কেরাম, ও তাঁকে যারা ভালোবাসে তাঁদের সকলের প্রতি।

আল্লাহ তায়ালা তাঁর সম্মানিত কিতাবে ইরশাদ করেন,

وقال الذين كفروا لاتسمعوا لهاذا القرأن والغوا فيه لعلكم تغلبون.

আর কাফেররা বলে তোমরা এই কোরআন শ্রবণ করিও না এবং এটা তেলাওয়াতের সময় শোরগোল সৃষ্টি করো যাতে তোমরা জয়ী হতে পার[[2]]

এই আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাঁর দ্বীন ও শরীয়ত থেকে বাধা প্রদানে কাফেরদের পদ্ধতি বা অপেকৗশল আমাদের সামনে উন্মোচন করে দিয়েছেন। আর তারা এটা এজন্য করে যেন দ্বীনের সাহায্যকারীদেরকে পরাজিত করা যায়। আর তা হলো, দ্বীনথেকে মানুষদেরকে বিরত রাখতে কুৎসা রটনা ও মিথ্যারোপ করার মাধ্যমে তারা আল্লাহর দ্বীনকে মানুষের চোখে  নিন্দিত করে তুলে।

আল্লাহর দ্বীন ও শরীয়েতর ব্যাপারে কাফেররা একেক সময় একেক রকম অশ্লীল বা বাজে কথা বলে থাকে।

দ্বীন ও জিহাদের নিন্দার ক্ষেত্রে প্রতিটি যমানায় তৎকালীন তাগুত, কাফেরদের নিন্দার ধরন ছিল বিভিন্ন ও পরিবর্ধিত।

এই ক্ষেত্রে তারা যা নতুন উদ্ভাবন করেছে তা হলো, মিথ্যা ও বিকৃত ফাতওয়াকে মুজাহিদদের বলে প্রচার করা। এবং এটাকে দ্বীনের সাহায্যকরীদের সাথে সম্পৃক্ত করা। এই মিথ্যা কৌশল অতীতেও ছিল, বতর্মানেও চলছে।

আহলে সুন্নাহর অনুসারীদের শত্রুরা প্রতিটি যুগে বিরতিহীন ভাবে আকীদা, ফিকাহ এবং অন্যান্য ব্যাপারে তাঁদের দিকে নিকৃষ্ট অপবাদ ও বদনাম করে আসেছ। যেন আহলে সুন্নাহর বিশুদ্ধ আকীদা থেকে মানুষেক ফিরিয়ে রাখা যায়। আর এই বিষয়টি সকলেই অবগত রয়েছেন।

পরবর্তীতে আমরা জানেত পেরেছি যে, প্রশ্নকারী যে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তা চলমান সালাফী জিহাদী আন্দোলনের দিকে, বিশেষভাবে সিরিয়ার মুজাহিদ ভাইদের দিকে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছে। যাকে জিহাদের দুশমনরা (جهاد النكاح) বা বিবাহজিহাদ নামে নামকরণ করেছে। এ নামটি নতুন আবিষ্কৃত ইসলামে এর সাধারণভাবে কোনো ভিত্তি নেই, এবং বিশেষভাবে আহলে তাওহীদ ওয়াল জিহাদ এর ভাইদের নিকট তো এর কোনো ভিত্তিই নেই।

চলমান সালাফী জিহাদীদের অভিধানে কেবল মাত্র একটি প্রকারই রয়েছে আর সেটা হলো দ্বীনে দুশমনদের গর্দান উড়িয়ে দেয়া।

আর এর অনুগামী, পরিপূরক ও সহায়ক হলো মুখের জিহাদ যা তলোয়ারের জিহাদের দিকে নিয়ে যায়।

আর তারা যে বিবাহজিহাদ নাম দিয়েছে, এই ধরেনর নামের ব্যাপারে চলমান বরকতময় জিহাদের নিরভরযোগ্য কোনো সূত্র বা শাইখ কোনো ফাতওয়া দেননি। এই নামকরণটি পথভ্রষ্ট উলামায়ে ছু, দুনিয়ালোভী ফকীহ ও চাটুকার দরবারী আলেমদের দ্বরা উদ্ভাবিত হয়েছে। আর এগুলো প্রচার করার জন্য কতিপয় সংস্থা ও মিডিয়ার মুখপাত্র নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর তারা এই ফাতওয়াকে মুজাহিদদের সাথে জড়িয়ে দিচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আর না এই জাতীয় ফাতওয়ার কোনো অস্তিত্ব রয়েছে।

বরং বিষয়টি সম্পূর্ণ বিপরীত! ইতিপূর্বে আমাদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যুদ্ধের ময়দানে বিশেষকরে সিরিয়ায় মুজাহিদেরা তাদের স্ত্রী ও সন্তানদেরকে নিজেদের সাথে রাখার বিষয়ে, যা আমরা কঠোরভাবে নিষেধ করে দিয়েছি।

কেননা এতে মুসলমানদের নারীরা যুদ্ধরত শত্রুদের হাতে বন্দী হওয়া, তাদের সম্ভ্রমহানী ও যুলুমের শিকার হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।

সুতরাং যখন কিনা আমরা মুজাহিদদেরক তাদের স্ত্রী ও শিশুদেরকেই যুদ্ধের ময়দানে নেয়ার অনুমিত দিচ্ছি না, সেখানে এ কথা কিভাবে কল্পনা ও চিন্তা করা যায় যে, বতর্মানের কোনো শাইখ বা মুজাহিদীন ফকীহ মুসিলম তরুণীদেরকে এমন এক অঞ্চলে (ময়দানে) যেতে অনুমিত দিবেন যেখানে মূল কাজটিই হলো তুমুল লড়াই! যেখানে বিভিন্ন ক্ষতির সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান! তাও আবার মুহিরম ব্যতীত! অতঃপর অভিভাবক ছাড়া নিজে নিজেই যে কারো কাছে বিবাহ বসেব!…এটা কিভাবে সম্ভব!!!

মুসিলম (রহঃ) নিজ গ্রন্থ সহীহ মুসলিমে বণর্না করেছেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

لا يحل لامرأة تؤمن بالله واليوم الآخر أن تسافر مسيرة يوم إلا مع ذي محرم.

“আল্লাহ ও পরকালের উপর ঈমান আনয়নকারী কোনো নারীর জন্য মুহরিম ব্যতীত এক দিন পরিমান রাস্তা (দূরত্ব) সফর করা বৈধ নয়।”[[3]]

ইবনে মাজাহ কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রয়েছে,

لا تزوج المرأة المرأة ولا تزوج المرأة نفسها.

“কোনো নারী অপর কোনো নারীকে বিবাহ দিতে পারে না এবং কোনো নারী নিজে নিজেই অন্যের কাছে বিবাহ বসতে পারেনা।”[[4]]

আর বায়হাকীতে রয়েছে,

لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل.

“ওলী বা অভিভাবক ও দুইজন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষ্য ছাড়া বিবাহ বৈধ নয়।”

আর অকস্মাৎ নব আবিষ্কৃত এই ধরেনর হীনকর্মগুলো সাধারণ মুসলমানদের থেকে সংঘঠিত হতে পারে না। বিশেষভাবে আল্লাহভীরু ও পবিত্র মুজাহিদদের ক্ষেত্রে তো কল্পনাই করা যায় না।

এটা তো তার দাওয়াহ বিরোধী! “বিবাহ-জিহাদ” নামটি চরম মিথ্যা ও বাতিল। এই ধরেনর ফাতওয়া তো কোনো সাধারণ মুসলমানও দিতে পারে না, আর একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যখন এটা এমন আলেমের সাথে সম্পৃক্ত করা হয় যিনি বরকতময় জিহাদী আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ কাজের সাথে জড়িত, যেজন্য তিনি জিহাদ করেন, শত্রুদের মারেন ও শহীদ হন, মুসলমানদের সম্মান রক্ষা করেন, তাদের সম্পদ সংরক্ষণ করেন, তাগুত ও তার দোসরদের খেল-তামাশার (ক্ষতি)নির্যাতন থেকে মুসলমানেদর স্ত্রী ও সন্তানদের প্রতিরক্ষা করেন (তখন কথাটা কোন পর‌্যায়ের মিথ্যা হতে পারেনা!)।

আমরা এই নামের (বিবাহজিহাদ) সাথে আমাদের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করছি এবং তা হতে আমরা মুক্ত তাগুতী মিডিয়া মিথ্যা অপবাদ হিসেবে মুজাহিদদের দিকে যা সম্পর্কিত করছে তা আমরা মিথ্যা প্রতিপন্ন করছি।

আর আমরা এটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এটা একটা নব আবিষ্কার, যা তারা মুজাহিদদের এমন জিহাদের কুৎসা রটানোর জন্য উদ্ভাবন করেছে যা তাদের মেরুদন্ডকে ভেঙ্গে দিচ্ছে, তাদেরকে সন্ত্রস্ত করছে। তারা জিহাদের সীমা অতিক্রম করে তাদের সীমাতে যেতে ভয় পাচ্ছে। তাই তারা মানুষদেরকে জিহাদ থেকে বাধা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষের চোখে জিহাদকে নিন্দিত ও ঘৃণিত করতে তারা সকল নিকৃষ্ট ও হীন পন্থা বেছে নিয়েছে। যেমনটি প্রবাদে রয়েছে:

وكل إناء بما فيه ينضح.

প্রতিটি পাত্রে যা আছে তাই বের হয়

 

সুতরাং, এসকল তাগুত তাদের ফাসাদ মিডিয়াসমূহ খারাপ চরিত্র, যিনাব্যাভিচার, নির্লজ্জতার উপর অভ্যস্ত এসব তাগুতের সকালবিকাল অতিবাহিত হয় মদজুয়ার আড্ডাখানায়, নাইট ক্লাবে, পতিতালেয়, উলঙ্গ সমুদ্র সৈকত এই ধরেনের স্থানে

এদেরকে আপনি দেখতে পাবেন, যখন এরা বিরোধীর সাথে ঝগড়া করে তখন তারা প্রতিপক্ষকে সেই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আঘাত করে যেই রোগে তারা নিজেরাই আক্রান্ত, যে কর্মে তারা নিজেরাই লিপ্ত ও অভ্যস্ত।

যেমনটি কথিত আছে,

رمتني بدائها وانسلت.

সে তার রোগ আমার উপর নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে

উপরে উল্লেখিত এই ধরেনর হীন ও নিকৃষ্ট  কর্মে তারা অভ্যস্ত যেগুলো তারা অনুমোদন করে আইন জারি করেছে। এদের আসল চরিত্র নিচের এই চমৎকার উপমার মধ্যে ফুটে উঠে:

يقولون جاهد يا جميل بغزوة + أقول وهل لي غيرهن جهاد.

হে সুদর্শন যুবক! ময়দানে যুদ্ধ করে যাও! আমি বলি, সুন্দরীদের উপভোগ করা ছাড়া আমার কি আর কোনো যুদ্ধ আছে!

বরং উহার বৈধতার ফাতওয়া দিয়েছে তাদের নেতৃবৃন্দ, তাদের মাশায়েখ তাদের ধর্মগুরুরা ইসরাঈলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ‘তাসবি লাফনি’ যখন “মুসাদ” এর গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলো তখন তারাই ফাতওয়া দিয়েছে যে, ইসরাঈলের স্বার্থে তুমি যথেচ্ছা ব্যাভিচারে  লিপ্ত হতে পারো! যেমনটি তাদের ম্যাগাজিনে উল্লেখ করা হয়েছে!

সেখানে আরো উল্লেখ আছে যে, এই ফাতওয়াটিতে আরবের নেতৃবৃন্দ ও এজেন্টদের সমর্থন রয়েছে। এটাই তাগুত, তাদের সহযোগী ও তাদের দোসরদের নিকট বিবাহজিহাদ নামে পরিচিত। ওরাই ইহার ফাতওয়া প্রদানকারী। কেননা, এটা ওদের কাছে সাধারণ ব্যাপার (যাতে তারা নিজেরা  অভ্যস্ত)। অথচ তারা ইহার অপবাদ দিতে লাগলো পুণ্যাত্মা ও মুত্তাকী মুজাহিদদেরকে।

আর তাদের সাথে এই বিদ্বেষের কারণ একটাই। আর তা হলো, তাদের পবিত্রতা এবং জিহাদ। তাদেরই মিত্র কওমে লুতরা কি লুত আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারদের প্রতি (তিরস্কার করে) এ কথা বলেনি যে,

أخرجوهم من قريتكم إنّهم أناس يتطهّرون.

…“তোমরা তাঁদেরকে তোমাদের জনপদ থেকে বহিষ্কার করে দাও কারণ, তাঁরা অতি পবিত্র মানুষ[[5]]

তেমনিভাবে কওেম লুতের বর্তমান অনুসারীরা তাদের পূর্বসূরীদের পথই অনুসরণ করছে। পবিত্রতা ও তাকওয়াকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছ! এটাই তাদের যুদ্ধের ঘৃণ্য রূপ ও আসল চেহারা।

তারা শরীয়তের সাহায্যকারীদেরকে সকল মন্দ ও খারাপ অপবাদ দিচ্ছে। জিহাদ ও মুজাহিদদেরকে দোষারোপ করতেই তারা এমন হীন মিথ্যা অপবাদ ও নাম (বিবাহ-জিহাদ) আবিষ্কার করছে। অথচ তারাই (মুজাহিদরা) হলো উম্মাহর খাঁটি ও সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গ

আল্লাহ তায়ালা বলেন,

وما نقموا منهم إلا أن يؤمنوا بالله العزيز الحميد.

মহাপরাক্রমশালী মহাপ্রশংসিত আল্লাহ তাআলার প্রতি ঈমান আনার কারেণই তাদের সাথে এই শত্রুতা[[6]]

তারা (শত্রুরা) ভাল করেই জানে যে, এইরূপ (বিবাহ-জিহাদ) কোনো কিছু কোনো মুজাহিদের থেকে আদৌ প্রকাশ পায়নি। বরং তাঁরা তা থেকে পুতঃপবিত্র…।

والله غالب علي أمره ولكنّ أكثر الناس لا يعلمون.

আল্লাহ তাআলা নিজ কাজে প্রবল শক্তিধর, কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না[[7]]

আবু মুহাম্মদ আসিম আল মাকদিসী

উম্মুল লুলু কারাগারে বন্দী, ১৪৩৪ হিজরী

(আল্লাহ তাআলা শাইখকে দ্রুত মুক্তি দিন)

[[1]] প্রথমত “জিহাদুন নিকাহ” এর অর্থ হলো “নিকাহ এর জিহাদ” বা সংক্ষেপে “নিকাহ জিহাদ”। “নিকাহ” শব্দের অর্থ হলো “বিবাহ”। সভ্য সমাজে “বিবাহ” শব্দের দ্বারা পুরুষ ও নারীর দাম্পত্য জীবনকে বৈধতা দেবার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াকে বুঝানো হয়ে থাকে, যারমাধ্যমে তারা সমাজে বৈধ দম্পত্যি হিসাবে স্বীকৃতি পায়।বৈধ দম্পত্যির মাঝে যৌন সম্পর্ক থাকা পৃথিবীর অন্যতম স্বাভাবিক বিষয়, তবে তাই বলে স্বয়ং “বিবাহ” শব্দের দ্বারা সরাসরি “যৌনকর্ম”বা “যৌনতা” কে বুঝানো হয় না। এতদসত্ত্বেও বাংলাদেশের নোংরা মিডিয়াগুলোর “জিহাদুন্ নিকাহ”এর বাংলা হিসেবে “যৌন-জিহাদ”শব্দটি প্রচার করছে-যা এই মিডিয়াগুলোর ইসলাম বিরোধী নোংরা মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

দ্বিতীয়ত, জিহাদুন্ নিকাহ বা বিবাহ জিহাদ ইসলাম দ্বারা স্বীকৃত কোনো বিষয় নয় । বরং এটা হচ্ইসলাম সম্পর্কে খারাপ ধারনা তৈরী করার লক্ষে ইসলামের শত্রুদের একটা নিকৃষ্ট ষড়যনন্ত্র যা শ্রদ্ধেয় শাইখ (আল্লাহ তাঁকে হিফাযত করুন)তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেছেন।

[[2]] সূরা হা-মীম-আস-সাজদা, আয়াত: ২৬

[[3]] আহমদ-২/৪৯৩ হা-১০৪০৬, মুসিলম-২/৯৭৭ হা-১৩৩৯, আবু দাউদ-২/১৪০ হা-১৭২৩, ইবেন মাজাহ-২/৯৬৮ হা-২৮৯৯

[[4]] ইবেন মাজাহ/১৮৮২, দারে কুতনী/৩৮৪, বায়হাকী-৭/১১০

[[5]] সূরা আরাফ, আয়াত: ৮২

[[6]] সূরা বুরূজ, আয়াত: ৮

[[7]] সূরা ইউসুফ, আয়াত: ২১

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × one =

Back to top button