আরবআল-ফজর বাংলাইলম ও আত্মশুদ্ধিফাতাওয়া-ফারায়েজবই ও রিসালাহমিডিয়াশাইখ সামি আল উরাইদী হাফিযাহুল্লাহশামহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

শরঈ বিধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জিহাদি জামাআতগুলোর সাথে কৃত বাইয়াত পূর্ণ করার বিধান- -শাইখ সামী আল উরাইদী হাফিজাহুল্লাহ

শরঈ বিধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জিহাদি জামাআতগুলোর সাথে কৃত

বাইয়াত পূর্ণ করার বিধান

-শাইখ সামী আল উরাইদী হাফিজাহুল্লাহ

শরঈ বিধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জিহাদি জামাআতগুলোর সাথে কৃত বাইয়াত পূর্ণ করার বিধান-  -শাইখ সামী আল উরাইদী হাফিজাহুল্লাহ

 

ডাউনলোড করুন

পিডিএফ ডাউনলোড

https://banglafiles.net/index.php/s/FCM3AnsNEf8b3oM

http://www.mediafire.com/file/j7vqkqy4ubjctpz/AE.pdf

https://archive.org/details/tanjim_bayah

ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন

https://banglafiles.net/index.php/s/eRDFwECgNrCWRb5

https://archive.org/download/jihdi_tanjimer_agugotter_gurotto/jihdi_tanjimer_agugotter_gurotto.docx

************************************

শরয়ী বিধান বাস্তবায়নের লক্ষে জিহাদী জামাতগুলোর সাথে কৃত

বায়াত পূর্ণ করার বিধান

الحمد لله وكفى والصلاة والسلام عباده الذين اصطفى وبعد:

মুজাহিদীনদের জন্য শরয়ী বিধান বাস্তবায়নের লক্ষে জিহাদী জামাতগুলোর সাথে কৃত বায়াত পূর্ণ করার বিধান কী?

আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে কিছুটা দেরি করছিলাম এই ভেবে যে, হয়তো আল্লাহ তাআলা আমার পরিবর্তে অন্য কাউকে এই পশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য মনোনীত করবেন। যে আমার পরিবর্তে এই ভার গ্রহণ করবে। কিন্তু ভাইদের পীড়াপীড়ি এবং বিষয়টির অধীক গুরুত্বের কারণে সংক্ষেপে প্রশ্নটির উত্তর দিচ্ছি।

আমি আল্লাহ তাআলার নিকট সাহায্য চাচ্ছি এবং হেদায়াত কামনা করছি এবং কাজটি সঠিক ভাবে করার এবং তার কবুলিয়াতের জন্য প্রার্থনা করছি।

বায়াতের সংজ্ঞা:

ইবনে আছির রহ. বলেন, “বায়াত বলা হয় পরস্পর চুক্তিবদ্ধ হওয়া এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া। র্অথাৎ যেন দুই জনের প্রত্তেকেই তার কাছে যা কিছু আছে অপর জনের কাছে বিক্রি করে দিলো এবং একনিষ্ঠভাবে তার ভিতরগত বিষয় এবং তার আনুগত্য অন্যকে অর্পন করল”। -আন নিহায়াহ ফী গারীবিল আছার: ১/৪৫২

ইবনে খালদুন রহ. তার মুকাদ্দামার মধ্যে বলেন, “বায়াত বলা হয় আনুগত্যের উপর অঙ্গীকার। অর্থাৎ যেন বায়াত প্রধানকারী ব্যক্তি তার আমীরের নিকট এই অঙ্গীকার করল যে, সে তার এবং সমস্ত মুসলমানদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তার নিকট দায়িত্ব অর্পন করলো। সে এ ক্ষেত্রে তার সাথে কোন ধরণের বিরোধিতা করবে না। ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সর্বাবস্থায় তার বৈধ আদেশ মানবে এবং মানতে বাধ্য থাকবে”। – মুকাদ্দামায়ে ইবনে খালদুন: ১০৮

বায়াতের প্রকার সমূহ:

বায়াত দুই প্রকার:

১. সাধারণ বায়াত (অর্থাৎ বড় বায়াত) মানে খলিফাতুল মুসলিমীনের জন্য বায়াত।

২. ছোট বায়াত অর্থাৎ বিভিন্ন মুসলিম জামাত বা ব্যক্তির জন্য বায়াত। এই প্রকারটির অনেক শাখা প্রশাখা অর্থাৎ এটার অনেক প্রকার রয়েছে। আর তার একটি হল আমর বিল মারুফ ওয়া নাহি আনিল মুনকার এর উপর বায়াত (অর্থাৎ সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধের উপর বায়াত প্রধান করা)। জিহাদের উপর বায়াত এবং মাজলুমকে সাহায্য করার উপর বায়াত। এখানে বায়াতের সকল প্রকার, সকল দিক, এবং তার প্রতিটি হুকুম আহকাম ও মাসআলা মাসায়েল নিয়ে আলোচনা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। এ বিষয়গুলোর আলোচনা আহলে এলেমদের কিতাব সমূহে ভরপুর। কিন্তু আমরা এখানে বায়াতের প্রকার সমূহের মধ্যে থেকে একটি প্রকারের বায়াত পূর্ণ করার হুকুম নিয়ে আলোচনা করবো (অর্থাৎ মুজাহিদীনদের জন্য শরয়ী বিধান বাস্তবায়নের লক্ষে জিহাদী জামাতগুলোর সাথে কৃত বায়াত পূর্ণ করার বিধান কী?)।

বায়াত পূর্ণ করার হুকুম :

বায়াত হল পরস্পর চুক্তিবদ্ধ হওয়া বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার একটি প্রকার। যা পূর্ণ করা এবং সেটাকে আক্রে ধরে রাখা শরিয়ত ওয়াজিব করেছে এবং শরয়ী-গ্রহণযোগ্য কোন কারণ ছাড়া তা ভঙ্গ করা বা তার খেলাফ করা হারাম করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন وَبِعَهْدِ ٱللَّهِ أَوْفُوا۟ۚ তোমাদের সাথে কৃত অঙ্গিকার পূর্ণ কর। অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন وَأَوْفُوا۟ بِٱلْعَهْدِۖ إِنَّ ٱلْعَهْدَ كَانَ مَسْـُٔولًا তোমরা অঙ্গিকার পূর্ণ কর, নিশ্চয় অঙ্গিকার সম্পর্কে (কিয়ামতের দিন) জিজ্ঞাসা করা হবে।

সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের উপর কোন আমীর বা জামাআতকে বায়াত দিল। সে তার নিজের উপর স্বাধীন ইচ্ছাকে হারিয়ে ফেলল এবং যাকে বায়াত দিয়েছে সৎ ও পূণ্যের কাজে তার কথা শোনা এবং মানাকে নিজের উপর বাধ্যতা মূলক করে নিল।

এটি একটি প্রশিদ্ধ হুকুম এবং তা আহলে ইলম ও মুজাহিদ দায়ীদের কিতাব সমূহে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। এখানে তাদের কয়েকজনের ফতুয়া তুলে ধরা হল।

শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহ. বলেন, “বায়াত সর্বদা পুণ্য ও তাকওয়ার উপর হবে। কেননা বায়াত বলা হয় তাকওয়া এবং পুণ্যের কাজের ব্যাপারে পরস্পর সহযোগিতার উপর চুক্তি বা অঙ্গিকারকে। গুনাহ এবং শত্রুতার উপর বায়াত জায়েয নেই। যেমন দুই ব্যক্তি কোন এক বিশেষ বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হল এবং বায়াহ দিল এরপর বায়াহ প্রদানকারী ব্যক্তিকে এমন একটি কাজ করতে বলা হল যেটা শরিয়ত সম্মত নয় এবং আল্লাহ তা পছন্দ করেন না। যেমন তাকে অবৈধ ভাবে কারো সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলা হল অথবা কারো অগোচরে তার দোষ সন্ধান করতে বলা হল।

হে ভাই!

তুমি শাইখের কথাটা একটু লক্ষ করে দেখ যে, বায়াত সর্বদা হবে পুণ্য ও তাকওয়ার উপর। কেননা বায়াত বলা হয় তাকওয়া এবং পুণ্যের কাজের ব্যাপারে পরস্পর সহযোগীতার উপর চুক্তি বা অঙ্গিকারকে। গুনাহ এবং শত্রুতার উপর বায়াত জায়েজ নেই। সুতরাং তাকওয়া এবং পুণ্যের কাজের ব্যাপারে পরস্পর সহযোগীতার উপর যে চুক্তি বা অঙ্গিকার করা হবে তাকে বায়াত বলা হবে। আর এই বায়াত পূর্ণ করা শরীআত ওয়াজিব করেছে।

শাইখ আবু মুহাম্মদ আল মাকদিসী হাফি. বলেন, “মুজাহিদদের জন্য তাদের আমীরদের আনুগত্য করা, তাদের বিরোধিতা না করা, ধৈর্য ধারণ করে তাদের সাথে থাকা এবং গোপনে তাদের নসীহত করা ওয়াজিব”। উবাইদুল্লাহ ইবনে খিয়ার রহ. বলেন, “আমি উসামা ইবনে যায়েদ রাযি. এর নিকট গিয়ে তাঁকে বললাম যে, আপনি কি ওসমান ইবনে আফ্ফান রাযি. কে নসীহত করবেন না যে; তিনি যেন ওয়ালিদের উপর হদ কায়েম করেন? তখন ওসামা রাযি. বলেন, “তুমি কি মনে কর যে আমি তোমাদের সামনেই তাকে নসীহত করবো? আল্লাহর কসম আমি একান্তে তাঁকে নসীহত করেছি। আমি চাই না যে আমি একটি খারাপ কাজের দরজা উন্মুক্ত করি যার প্রথম উন্মুক্তকারী হবো আমি”।-মুত্তাফাকুন আলাইহ

সুতরাং প্রত্যেক্যেই সতর্ক থাকতে হবে যে, তার মাধ্যমে যেন মুজাহিদিনদের সামনে কোন খারাপ বা অকল্যাণ কাজের পথ না খুলে। যা দিয়ে তাদের উপর ফেৎনা-ফাসাদ, অনৈক্য, মতানৈক্য, বিশৃঙ্খলা, বা ফাটল সৃষ্টি হবে। কিয়ামতের দিন যার বোঝা তাকে বহন করতে হবে। আর এর মাধ্যমে সে অন্যের জন্য একটা খারাপ পথ বা রীতি তৈরী করলো। কিয়ামতের দিন তাকে এর বোঝা বহন করতে হবে এবং যত মানুষ এই খারাপ পথ অবলম্বন করবে তাদের সকলের পাপের বোঝা তাকে বহন করতে হবে। বরং তাকে কল্যাণকর কাজের পথ উন্মুক্তকারী এবং খারাপ ও অকল্যাণকর কাজের পথ বন্ধকারী হওয়া উচিৎ। এবং তাকে ঐ ছিদ্রগুলো বন্ধ করা উচিৎ যার আমানত তার কাছে রাখা হয়েছে। এবং সে যে কথা শোনা ও আনুগত্যের বায়াত দিয়েছে তাকে তার যথাযথ হেফাজত করতে হবে।

প্রিয় ভাই!

তুমি শাইখের কথার প্রতি একটু ভালভাবে লক্ষ কর। “তাকে যে ছিদ্রগুলো বন্ধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সে যেন তার পূর্ণ হেফাজত করে এবং সে যে কথা শোনা ও আনুগত্যের বায়াত দিয়েছে তাকে তার যথাযথ হেফাজত করতে হবে।” তিনি মুজাহিদিনদেরকে তাদের কৃত বায়াতের পরিপূর্ণ হেফাজত করতে আদেশ দিয়েছেন। এবং কোন শরয়ী কারণ ছাড়া বায়াত ভঙ্গ করার ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন, “এটা মুজাহিদিনদের সামনে কোন খারাপ বা অকল্যাণ কাজের দরজা খুলে দেওয়ার সামিল।” আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে হেফাজত করুন।

শাইখ আতিয়াতুল্লাহ আল লিবী রহ. বলেন, “আমি এখানে কিছু কথা বৃদ্ধি করে বলছি– নিশ্চয় তা (যেই বায়াত) জিহাদের আমীরদের সাথে সম্পৃক্ত, যেমন বিলাদুর রাফিদানে আল কায়দার আমীর অথবা অন্য কোন আমীর। প্রকৃত পক্ষে এই বায়াত ইখতিয়ারী বা স্বাধীন ইচ্ছাধীন, এটা বায়াতে ছুগরা বা ছোট বায়াত, জিহাদ ও কিতালের বায়াত। সুতরাং যে বিলাদুর রাফিদানে কায়েদাতুল জিহাদের কাফেলার সাথে সম্পৃক্ত হতে চায় এবং বায়াহ দিতে চায় সে দিবে। কিন্তু এটা ততক্ষণ পর্যন্ত লাযেম বা অত্যাবশ্যক নয় যতক্ষণ না সরাসরি কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়। এবং এই বায়াহ সকল মানুষের জন্যও লাযেম নয়। সুতরাং আমভাবে মানুষকে বায়াতের জন্য আহবান করা যাবে না। যেমন কোন কোন ভাই বলে, ওমুককে বায়াহ দিতে হবে ওমুককে বায়াহ দিতে হবে। আসলে এর মধ্যে কোনই ফায়দা নেই, বরং এর মাধ্যমে এই সম্মানজনক ও মর্যাদাকর বায়াতকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হয়।

এবং এই হস্তক্ষেপের মধ্যে একটি বার্তা আছে আর তাহল এই কাজ সম্পাদনকারী বায়াতের মূল্য সম্পর্কে অজ্ঞ এবং এই আমানত ও অঙ্গিকারের বড়ত্ব, মহত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে বে-খবর। সুতরাং তারা বিষয়টিকে একেবারে হালকা করে দেখে এবং অমুক অমুকের বায়াতের ঘোষণা করতে থাকে। কিন্তু এই বায়াতের যথাযথ মূল্যায়ন করে না।

সুতরাং এটা জানা থাকা উচিৎ যে, বায়াত একটি শরয়ী বিষয় এবং এর আলাদা একটা মর্যাদা ও মূল্যায়ন আছে। এবং এটি একটি আমানত ও কঠিন বাধ্যবাধকতা এটাকে হালকা মনে করে অবজ্ঞা করা যাবে না। যখন মানুষ জিহাদের কার্যক্রম শুরু করে এবং কোন জিহাদী জামাতের সাথে সম্পৃক্ত হয় তখন বায়াতের প্রয়োজন পরে।এবং তার কাছে বায়াত চাওয়া হয়। সুতরাং সে যেন বায়াত দেয় এবং তার অঙ্গিকার পূর্ণ করে এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চায়। আর তখনই তার উপর আল্লাহর রহমত ও তাঁর সাহায্য সহযোগিতা নেমে আসবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তিনি তার জন্য যথেষ্ঠ হয়ে যান। আর আল্লাহ তাআলাই তাওফীক দাতা।

শাইখ আতিয়াতুল্লাহ আল লিবী রহ. বলেন, “আমার উদ্দেশ্য হল একথা বুঝানো যে, বায়াহ দেওয়া সকলের জন্য জরুরী নয়। তবে যে ব্যক্তি কোন জামাতের সাথে সম্পৃক্ত হবে এবং পৃথিবীর কোন দিকে, কোন দেশে, কোন অঞ্চলে, কোন জামাতের আওতাভূক্ত হবে তখন তার জন্য জরুরী হল ঐজামাতের সাথে লেগে থাকবে, তার কথা শুনবে এবং তার আনুগত্য করবে। চাই সে তার কাছে সরাসরি বায়াহ দেক অথবা না দেক। শুধুমাত্র ঐ জামাতের আওতাভূক্ত হওয়ার কারণেই তার কথা শোনা ও তার আনুগত্য করা লাজেম বা আবশ্যক হয়ে গেছে। সেখান থেকে বের হওয়া বা নতুন কোন জামাত গঠন করা জায়েয নেই। ফুকাহায়ে কেরামদের অনুমদিত শরয়ী গ্রহণযোগ্য কোন কারণ ছাড়া নতুন দল গঠন করা জায়েয নেই। কোন জামাতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা অথবা জামাত থেকে পৃথক হয়ে নতুন কোন জামাত গঠন করা জায়েয নেই। তবে ফুকাহায়ে কেরামদের অনুমদিত শরয়ী গ্রহণযোগ্য কোন কারণ থাকলে জামাত থেকে পৃথক হওয়া যেতে পারে। আল্লাহ ভাল জানেন”। -মাজমু আল আ‘মালিল কামিলাহ: ৪/১৬৯৩

প্রিয় ভাই!

তুমি শাইখের কথার প্রতি ভালভাবে লক্ষ কর :- সুতরাং এটা জানা থাকা উচিৎ যে, বায়াত একটি শরয়ী বিষয় এবং এর আলাদা একটা মর্যাদা ও মূল্যায়ন আছে। এবং এটি একটি আমানত ও কঠিন বাধ্যবাধকতা এটাকে হালকা মনে করে অবজ্ঞা করা যাবে না। যখন মানুষ জিহাদের কার্যক্রম শুরু করে এবং কোন জিহাদী জামাতের সাথে সম্পৃক্ত হয় তখন বায়াতের প্রয়োজন পরে। এবং তার কাছে বায়াত চাওয়া হয়। সুতরাং সে যেন বায়াত দেয় এবং তার অঙ্গিকার পূর্ণ করে এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চায়। আর তখনই তার উপর আল্লাহর রহমত ও তাঁর সাহায্য সহযোগিতা নেমে আসবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তিনি তার জন্য যথেষ্ঠ হয়ে যান। আর আল্লাহ তাআলাই তাওফীক দাতা।

সুতরাং এটা অত্যন্ত স্পষ্ট ও পরিষ্কার কথা যে, বায়াত পূর্ণ করা ওয়াজিব এবং বায়াতের বড়ত্ব, মহত্ব ও মর্যাদা অনেক উর্ধে। এবং শরয়ী গ্রহণযোগ্য কোন কারণ ছাড়া কোন ব্যক্তি বা দলের জন্য বায়াহ ভঙ্গ করে জামাতের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করা বা নতুন দল গঠন করা জায়েয নেই। যেমনি ভাবে শাইখ রহ. বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোন জামাতের সাথে সম্পৃক্ত হবে এবং পৃথিবীর কোন দিকে, কোন দেশে, কোন অঞ্চলে, কোন জামাতের আওতাভূক্ত হবে তখন তার জন্য জরুরী হল ঐ জামাতের সাথে লেগে থাকবে, তার কথা শুনবে এবং তার আনুগত্য করবে। চাই সে তার কাছে সরাসরি বায়াহ দেক অথবা না দেক। শুধুমাত্র ঐ জামাতের আওতাভূক্ত হওয়ার কারণেই তার কথা শুনা ও তার আনুগত্য করা লাজেম বা আবশ্যক হয়ে গেছে। সেখান থেকে বের হওয়া বা নতুন কোন জামাত গঠন করা জায়েয নেই। ফুকাহায়ে কেরামদের অনুমদিত শরয়ী গ্রহণযোগ্য কোন কারণ ছাড়া নতুন দল গঠন করা জায়েয নেই। কোন জামাতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা অথবা জামাত থেকে পৃথক হয়ে নতুন কোন জামাআত গঠন করা জায়েয নেই। তবে ফুকাহায়ে কেরামদের অনুমদিত শরয়ী গ্রহণযোগ্য কোন কারণ থাকলে জামাত থেকে পৃথক হওয়া যেতে পারে। আল্লাহ ভাল জানেন”।

শাইখ আবু মুসআব আযযারকাবী রহ. বলেন, “দাওয়াতের ক্ষেত্রে বর্তমানে যে বায়াত প্রশিদ্ধ আছে, নিশ্চয় তা ঐ বায়াতের অন্তর্ভূক্ত যা পূর্ণ করা শরয়ীভাবে ওয়াজিব। এবং মুমিন সর্বদা তার ওয়াদা ও শর্ত পূর্ণ করে থাকে। এবং সামাজিক ও জামাহগত কাজের কারণে মানুষকে অনেক ব্যক্তি-স্বাধীনতা ত্যাগ করতে হয়। ব্যক্তি-স্বাধীনতা ত্যাগ করা ব্যতীত উম্মাহর কল্যাণ প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামী জীবন ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায়রত দায়ীদের আশা-আকাঙ্খা কখনো সফল হবে না। এবং তার নেতৃত্ব অন্যের কাছে অর্পণ না করে এবং তার আনুগত্য স্বীকার না করে সে এই কাজে বেশী দিন টিকে থাকতেও পারবে না।

মূল কথা হল বায়াহ ভঙ্গকারী নিজেকে অত্যন্ত নিকৃষ্ট বিষয়ে নিক্ষেপ করল। যদিও সে জামাতের অনুমতি ছাড়া নিজে নিজেই পৃথক হয়ে যায়।

সুতরাং সে ওয়াদা ভঙ্গের গুনাহে পতিত হবে। এবং এটা তাকে নিকৃষ্ট নেফাকের কাছাকাছি নিয়ে যাবে কারণ মুনাফিক ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে। এবং সে অঙ্গিকার থেকে ফিরে আসার গুনাহে পতিত হবে কারণ অঙ্গিকার পুরা করা ওয়াজিব। যেমন কেউ মান্নত করলে তা পূরা করা ওয়াজিব হয়ে যায়। এবং তার যে পূণ্য অর্জন হয়েছিল সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাবে। এরপর সে অন্যের জন্য একটা খারাপ রীতি চালু করার গুনাহে পতিত হবে। কারণ তার দেখাদেখি অন্যরাও এটা করার সাহস পাবে।

হে ভাই!

তুমি একবার শাইখের কথার প্রতি লক্ষ কর দেখ তিনি কত স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে শরয়ী বায়াত পূর্ণ করা ওয়াজিব এবং তা ভঙ্গ করা হারাম। সুতরাং তা ভঙ্গকারী নিজেকে নিকৃষ্ট বিষয়ে নিক্ষেপ করল। নায়ুযুবিল্লাহ।

শাইখ আব্দুল হাকীম হাসান রহ. বলেন, “আনুগত্যের বায়াত ও অঙ্গিকার মানুষের উপর ওয়াজিব না তবে যে ব্যক্তি স্বইচ্ছায় সন্তুষ্ট চিত্তে বায়াহ দিবে তার উপর বায়াহ পূর্ণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়। কারণ সে নিজে নিজেই তা ওয়াজিব করে নিয়েছে। যেমন দুজনে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হল যে, তারা কুরআনুল কারীম মুখস্থ করবে অথবা কুরআনুল কারীমের কিছু অংশ মুখস্থ করবে। যদিও কুরআনুল কারীম মুখস্থ করা পকৃত পক্ষে কোন মুসলমানের উপর ফরজ নয়। তবে কেউ যখন তা মুখস্ত করার ব্যাপারে অন্যের সাথে ওয়াদা বদ্ধ হয়েছে তখন সেই ওয়াদার করণে তার উপর মুখস্থ করা ওয়াজিব হয়ে যায়।

শাইখ রহ. আরও বলেন, “আনুগত্যের উপর কৃত অঙ্গিকার বা বায়াহ পূর্ণ করা ওয়াজিব। তার বিরুধিতা করা বা তা ভঙ্গ করা জায়েয নেই। তবে যদি বায়াত প্রদানকারী ব্যক্তিকে কোন অন্যায় বা হারাম কাজের আদেশ দেওয়া হয় তাহলে বায়াত বা অঙ্গিকারের আওতা থেকে বের হয়ে আসা জায়েয বা বৈধ। যদিও বায়াহ পূর্ণ করা ওয়াজিব তবুও এক্ষেত্রে (হারাম বা অন্যায় কাজে) আনুগত্য করা জায়েয নেই। অনুরূপভাবে তাদের সাধ্যাতীত কোন কাজের আদেশ দেওয়া হলে তা মানাও ওয়াজিব নয়। তবে কাজটা প্রকৃত পক্ষেই তার সাধ্যাতীত হতে হবে। নিজের ধারণাকৃত হলে হবে না। শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রে বায়াহ প্রধানকারী ব্যক্তির উপর বায়াহ পূর্ণ করা ওয়াজিব না।

প্রিয় ভাই!

লক্ষ করে দেখ। এই মাসআলার ক্ষেত্রে শাইখ রহ. এর ফতুয়া অন্যান্য শাইখদের ফতুয়াকে স্পষ্ট ও প্রকাশ্যভাবে সমর্থন করে। অর্থাৎ খাছ বা বিশেষ বায়াত পূর্ণ করা ওয়াজিব।

শাইখ আব্দুল কাদের বিন আব্দুল আযিয হাফি. বলেন, “মূল কথা হল মুসলিম ইমামকে বায়াহ দেওয়া মৌলিকভাবে ওয়াজিব অর্থাৎ প্রথম থেকেই শরয়ীভাবে ওয়াজিব। আর অন্য মানুষকে বায়াহ দেওয়া অর্থাৎ কোন জামাত, কোন জিহাদের আমীরকে অথবা অন্য কাউকে বায়াহ দেওয়া অঙ্গিকার বা চুক্তির কারণে ওয়াজিব হয়। যেমন আমি পূর্বে আলোচনা করেছি (উমদাহ কিতাবে) যে, কোনটা শরীয়তের মাধ্যমে ওয়াজিব হয়েছে। কোনটা অঙ্গিকার বা চুক্তির মাধ্যমে আর কোনটা উভয়টার কারণে ওয়াজিব হয়েছে।

শাইখ আব্দুল কাদের তার উমদাহ নামক কিতাবে বায়াতের অনেক মাসআলা এবং তার হুকুম নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ্য করেছেন যে, খাছ বা বিশেষ বায়াত যা মানুষ নিজের পক্ষথেকে দিয়ে থাকে তা পূর্ণ করা ওয়াজিব।

শাইখ আবুল মুনজির শানকিতি রহ. বলেন, “বায়াত একটা দীন বা ইবাদত যার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তাআলার ইবাদত করে থাকি। বায়াত হচ্ছে একটা চুক্তি এবং কঠিন অঙ্গিকার।”

অথচ সাম্প্রতিক সময়ে কিছু মুসলমান এই বায়াত নিয়ে খেলতামাশা করে। তুমি তাকে দেখবে যে, সে একটা জামাতকে বায়াত দিয়েছে অতপর কিছুদিন পর সেটাকে ভাল লাগেনি তো সেটাকে ছেড়ে অন্য আর একটাকে বায়াত দিয়েছে এর কিছুদিন পর সেটাকেও ছেড়ে অন্য আর এক দলকে বায়াত দিয়েছে। এভাবে বায়াত দিতে থাকে এবং ভাংতে থাকে ≈

এভাবে বায়াত তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে। এখন আর মানুষ আমীর উমারাদের বিরোধীতা করা এবং তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করাকে কিছু মনে করে না। সাবধাণ! আল্লাহ তাআলাকে ভয় কর এবং বায়াতের উপর অটল থাক তোমরা তোমাদের দীন নিয়ে তামাশা করো না।

হে ভাই!

বায়াতের মর্যাদা সম্পর্কে এবং তা পূর্ণ করা ওয়াজিব হওয়ার সম্পর্কে শাইখের স্পষ্ট কথার প্রতি লক্ষ কর– “বায়াত একটা দীন বা ইবাদত যার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তাআলার ইবাদত করে থাকি। বায়াত হচ্ছে একটা চুক্তি এবং কঠিন অঙ্গিকার। সাবধাণ! আল্লাহ তাআলাকে ভয় কর এবং বায়াতের উপর অটল থাক তোমরা তোমাদের দীন নিয়ে তামাশা করো না।”

এই মাসআলার ক্ষেত্রে আহলে ইলম ও মুজাহিদ দায়ীদের ফতুয়া বর্ণনা এখানেই শেষ করছি। আশা করি হক সন্ধানিদের জন্য এই মাসআলার সন্তুষ্ট জনক জওয়াব হিসেবে এই বর্ণনাগুলোই যথেষ্ট।

এর উপর ভিত্তি করে আমি বলবো: প্রত্যেক মুজাহিদের উপর এটা ওয়াজিব যে, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য সে তার আমীর অথবা জামাতকে দেওয়া বায়াত যথাযথভাবে পূর্ণ করবে। ফুকাহায়ে কেরামদের সমর্থিত শরয়ী গ্রহণযোগ্য কোন কারণ ছাড়া সে যেন তার বায়াত ভঙ্গ না করে।

নিশ্চয় শরীয়তে বায়াতের অনেক গুরুত্ব রয়েছে আর এটি একটি আমানত ও কঠিন বাধ্যবাধকতা এটাকে হালকা মনে করে অবজ্ঞা করা যাবে না। “বায়াত একটা দীন বা ইবাদত যার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তাআলার ইবাদত করে থাকি। বায়াত হচ্ছে একটা চুক্তি এবং কঠিন অঙ্গিকার।” এবং বায়াহ ভঙ্গকারী যেন সতর্ক হয় যে, তার মাধ্যমে যেন মুজাহিদীনদের সামনে কোন খারাপ বা অকল্যাণজনক কাজের পথ না খুলে। যা দিয়ে তাদের উপর ফেৎনা-ফাসাদ, অনৈক্য, মতানৈক্য বিশৃঙ্খলা ও ফাটল সৃষ্টি না হয়। কিয়ামতের দিন যার বোঝা তাকে বহন করতে হবে। এর মাধ্যমে সে অন্যের জন্য একটা খারাপ পথ বা রীতি তৈরী করলো কিয়ামতের দিন তাকে এর বোঝা বহন করতে হবে এবং যত মানুষ এই খারাপ পথ অবলম্বন করবে তাদের সকলের পাপের বোঝা তাকে বহন করতে হবে। বরং তাকে কল্যাণকর কাজের উন্মুক্তকারী হওয়া উচিৎ এবং খারাপ ও অকল্যাণকর কাজের বন্ধকারী। বায়াহ ভঙ্গ করা শরীয়ত সম্মত নয় বায়াহ ভঙ্গ করার করণে সে অঙ্গিকার পূর্ণ না করার গুনাহে পতিত হবে এবং এর মাধ্যমে সে নিকৃষ্ট নেফাকের নিকটবর্তী হবে। নিশ্চয় মুনাফিক যখন ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করে। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।

নিশ্চয় বায়াত সঙ্ঘটিত হয় শরয়ী কিছু আসবাব ও পন্থার মাধ্যমে সুতরাং তুমি খেয়াল খুশি মত ধারণা বসত কৌশল প্রতারণা ও ধোকার মাধ্যমে বায়াহ ভঙ্গ করো না। যে ব্যক্তি এটা করবে সে ইহুদীদের সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বন করলো। নিশ্চয় তাদের (ইহুদীদের) সবচেয়ে প্রশিদ্ধ ও খারাপ গুণ হচ্ছে কৈশল, প্রতারণা, ধোকা এবং বিশেষ করে চুক্তি ও অঙ্গিকার ভঙ্গ করা।

যে ব্যক্তি সন্তুষ্ট চিত্তে কোন আমীর অথবা জামাতকে বায়াহ দিল অতপর জামাতের ব্যাপারে অথবা জামাতের কোন সদস্যের ব্যাপারে সামান্য কোন ইঙ্গিত শুনতে পেল। অথবা কোন স্থানে জামাতের কোন তয়েফা জামাত থেকে পৃথক হওয়া অথবা ভিন্ন দল গঠন করার সংবাদ পেল তো ব্যাস বায়াহ ছেড়ে দিল এবং বায়াহ ভেঙ্গে দিল।

আরে ভাই!

তোমার তো উচিত তুমি বিষয়টি জামাতের আমীরের কাছ থেকে যাচাই করবে এবং ভালভাবে নিশ্চিত হবে। কারণ বায়াহ তো তার সাথে সঙ্ঘঠিত হয়েছে সুতরাং তোমার দায়িত্ব ও তোমার উপর ওয়াজিব হল তোমার বায়াহ ও অঙ্গিকার পূর্ণ করা। আর যতক্ষণ না তুমি তোমার আমীরের কাছ থেকে বিষয়টি ভালভাবে যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হবে ততক্ষণ তোমার জন্য বায়াহ ভঙ্গ করা জায়েয নেই। যেমনিভাবে বায়াহ দিয়েছিলে তেমনিভাবে বায়াহ ভঙ্গ হবে নিশ্চয়তার সাথে এবং যেমনিভাবে বায়াহ সঙ্ঘঠিত হয়েছিল সেচ্ছায় ও সন্তুষ্টির সাথে এবং উভয় দিকের ঐক্যমতের ভিত্তিতে তেমনিভাবে বায়াহ ভঙ্গ হবে সেচ্ছায় ও সন্তুষ্টির সাথে এবং উভয় দিকের ঐক্যমতের ভিত্তিতে। সুতরাং তুমি খেয়াল খুশি মত ধারণা বসত কৌশল প্রতারণা ও ধোকার মাধ্যমে বায়াহ ভঙ্গ করো না।

ইবনে আবুল ইয্য আল হানাফি রহ. বলেন, “কুরআন, সুন্নাহ এবং সালফে সালেহীনদের ইজমা এটাই প্রমাণ করে যে, আমীর, নামাজের ইমাম, বিচারক, যুদ্ধের আমীর, সদাকা বা যাকাত উত্তলনের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিকে স্বস্থানে অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু তাদের অনুসারিদের অনুসরণ করা জরুরী না বরং স্বস্ব ক্ষেত্রে তাকে অনুসরণ করতে হবে এবং নিজ সিদ্ধান্তকে তার সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দিতে হবে। নিশ্চয় জামাআতের কল্যাণ অকল্যাণ ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে অনেক বড়। আর এ কারণেই এক হাকীম অন্য হাকীমের হুকুম বাতিল করা জায়েয নেই”। -শরহুত তাহাবী : ৩৭৬

হে ভাই!

পূর্বে যা কিছু আলোচনা করলাম এর সারকথা একটাই আর তা হচ্ছে তুমি তোমার জামাত অথবা আমীরকে যে বায়াহ দিয়েছো তা পূর্ণ করা তোমার উপর ওয়াজিব। এবং সাথে সাথে ইসলাম ও মুসলমানদের সাহায্যার্থে তোমার জামাআতের অন্যান্য ভাইদের সাথে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ চালিয়ে যাবে। এবং পূর্ণ আনুগত্যের সাথে হকের সাহায্যে তোমার জামাত বা আমীরকে দেওয়া বায়াহ পূর্ণ করবে এবং একে অপরকে সাহায্য করবে।

আল্লাহর ইচ্ছায় ও তার অনুগ্রহে এই প্রশ্নের উত্তরে এটুকু লেখাই আমার জন্য সহজ হলো। সুতরাং এর মধ্যে যা কিছু কল্যাণ রয়েছে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যা কিছু অকল্যাণ ও ভুল-ত্রুটি সব আমার ও শয়তানের পক্ষ থেকে। এবং আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। আল্লাহ আমাদের কল্যাণকর কাজগুলো কবুল করুন এবং ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 1 =

Back to top button