ইমারাতে ইসলামী আফগানিস্তানের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধের বাংলা অনুবাদ ।। কে আফগানিস্তানে বেসামরিক জনগণকে হত্যা করছে?
ইমারাতে ইসলামী আফগানিস্তানের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধের বাংলা অনুবাদ ।। কে আফগানিস্তানে বেসামরিক জনগণকে হত্যা করছে?
ডাউনলোড লিংক-
DOC 460 KB
https://archive.org/details/WhoIsKillingCiviliansBangla
http://up.top4top.net/downloadf-2591rfm1-docx.html
PDF 294 KB
https://archive.org/details/WhoIsKil…sBangla_201609
http://up.top4top.net/downloadf-25934sf2-pdf.html
অনলাইন লিংক-
https://justpaste.it/yen6
Banner
http://u.cubeupload.com/usama_media/81Whiskillingcivilia.jpg
PDF
—-
http://www.mediafire.com/file/5r8ygbl6mnap51m/81._Wh_is_killing_civilians_Bangla.pdf/file
https://archive.org/download/U_M_A_3/81.%20Wh_is_killing_civilians_Bangla.pdf
Word
—–
http://www.mediafire.com/file/gnvuh9se6o9h8vj/81._Wh_is_killing_civilians_Bangla.docx/file
https://archive.org/download/U_M_A_3/81.%20Wh_is_killing_civilians_Bangla.docx
=======================
ইমারাতে ইসলামী আফগানিস্তানের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
একটি প্রবন্ধের বাংলা অনুবাদ
কে আফগানিস্তানে বেসামরিক জনগণকে
হত্যা করছে?
সকল প্রশংসা সেই আল্লাহ্ সুবহান ওয়া তাআলার যিনি আমাদের ঈমানের মত নেয়ামত দিয়ে ধন্য করেছেন এবং আমাদের জন্য, সর্বোত্তম কিতাব, সর্বোচ্চ সম্মানিত রাসূল এবং সর্বোত্তম শরীয়াত বা বিধিবিধান প্রেরণ করেছেন! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক এবং তাঁর কোন শরীক নেই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। তাঁর এবং তাঁর পবিত্র পরিবারের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, আরো বর্ষিত হোক পবিত্র ও উত্তম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী সাহাবা আজমাঈন রাঃ এবং তাবিঈন ও তাবে তাবিঈনদের উপর। আম্মাবাদ
তালিবান আফগানিস্তানের জনগন থেকে হওয়া যারা গত ১৫ বছর জাবত দখলদারদের সাথে লড়াই করে যাচ্ছে। তালিবান আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণেরই অংশ যা তাদের থেকে আলাদা করা যায় না। প্রত্যেক প্রদেশ, জেলা, ঘর এবং আফগানিস্তানের প্রত্যেক প্রান্ত থেকে আফগানিস্তানের সাধারণ মুসলমানের মুখ থেকে তালিবানের পক্ষে সমর্থনের প্রতিধ্বনি জেগে উঠে। আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণের থেকে সমর্থনের কারন এই যে, তালিবান ইসলামের হেফাজত, আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের হেফাজত এবং মুসলমানদের স্বার্থে কাজ করাকে নিজেদের দায়িত্ব মনে করে।
আফগানিস্তানের প্রায় সবাই, শিক্ষিত ও অশিক্ষিত জানে যে, আফগানিস্তানে কোন স্বাধীন সংস্থা নেই, যারা বেসামরিক হতাহতের উপর নজর রাখছে। যতবার দখলদাররা বিশেষ করে আমেরিকানরা মানবতা বিরোধী কোন অপরাধ করে এবং কোন মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, কর্তৃপক্ষ নির্লজ্জ ভাবে তাদের অপরাধ ঢেকে ফেলে এবং মিডিয়াও তা প্রচার করা থেকে বিরত থাকে। সমস্যা হল আমেরিকার দ্বারা করা যুদ্ধাপরাধ শুধু সরকারই ঢেকে ফেলে না বরং মিডিয়াও- যা দখলদার দ্বারা পরিচালিত- সেসব অপরাধগুলোকে তালিবানের উপর চাপিয়ে দিয়ে তার জন্য তালিবানকেই দায়ি করে। মিডিয়া তাদের পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব একাধিকবার প্রমান করেছে তবুও তারা নিজেদেরকে বাকস্বাধীনতার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে অবিহিত করে। সরকার আফগানিস্তানের সাধারণ মুসল্মানের সাথে তালিবানের সম্পরক ছিন্ন করে নিদারুনভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি মিডিয়া ও সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর দ্বারা। দখলদাররা বহুবার জানাযা, বিবাহ, হাসপাতাল, স্কুল ও সামাজিক সমাবেশে বোমা মেরে পুরো গ্রাম বা পরিবারকে গণহত্যা করেছে।
দখলদার দ্বারাকৃত কিছু যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা নিম্নে উল্লেখ করা হচ্ছে ঃ
১- ২০১৪ সালে হেল্মদ প্রদেশের সিঙ্গিন জেলায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আকাশপথে বোমা মেরে আমেরিকান রা ৩৫ জন বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে ও ৪৫ জনের বেশিকে আহত করেছে।
২- ৩০ এর আগস্ট ২০১৫ তে ওয়ারদাক প্রদেশের সায়দাবাদ জেলায়, কথিত এ এন এ অথবা আফগান জাতিয় সেনা মর্টার ও কামান হামলায় একই পরিবারের ১৩ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে।
৩- ২০১৫ এর সেপ্টেম্বর মাসে লগার প্রদেশের মুহাম্মাদ আঘা জেলায় তালিবান সাফাই অপেরাশনের নামে সরকারী বাহিনী বহু নারী ও শিশুকে নির্বিচারে হত্যা ও গণহত্যা করেছে।
৪- ২০১৫ এ ডাক্তারস উইতাউত বরদারস এর দ্বারা পরিচালিত একটি হাস্পাতালে আমেরিকানরা বোমা হামলা করে যাতে বহু ডাক্তার ও নিরীহ রোগী মারা যায়।
৫- ২০১৬ এর এ বছরেই বাঘিস প্রাদেশিক কেন্দ্রে ২ জন নিরীহ মানুষকে মেরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
৬- ১৩ই জুন ২০১৬ এ ফারাহ প্রদেশে একটি জানাযার মিছিলে বোমা মারে যেখানে বহু নাগরিককে হত্যা করা হয়।
৭- এ মাসেই যাবুল প্রদেশে পুলিশ যারা সারাদেশে নাগরিক হত্তার জন্য পরিচিত বেশ কয়েক জন নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে।
৮- এই বছর কান্দাহার প্রদেশের মাইওান্দ জেলায় একটি নির্বিচার রাত্রি অভিজানে অকারনেই ৬ জন নাগরিক মারা যায় ও অনেকে আহত হয়।
৯- বাঘলানের উত্তর প্রদেশে স্থানীয় পুলিশ আকাধিক নাগরিক্ কে চলতি মাসে হত্যা করেছে।
উপরের উদাহরনগুলো দখলদারদের নিয়ন্ত্রিত পুতুল মিডিয়াও উল্লেখ করেছে কিন্তু এর বাইরেও আরও অনেক ঘটনা আছে যা কয়েকটি লাইনে বোঝানো সম্ভব না। ইউ ঈন এ এম এ কিছুদিন আগে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যাতে তালেবানকে বেসামরিক হতাহতের মূল কারন হিসেবে উল্লেখ করেছে, যা একটি সুস্পষ্ট মিথ্যা কথা এবং এর ভিত্তি হছে কিছু পক্ষপাতী খবর, যা তাদের নিজস্ব রীতিরও পরিপন্থি।
উত্তর প্রদেশের জনগন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট দুস্তমের গত কয়েক মাসের সামরিক গণহত্যার নৃশংসতার প্রতিবাদ করেছে। মিডিয়ার দেওয়া নাম তালিবান বিরোধী অভিযানের নামে গবাদি পশুগুলোকেও সে ছাড় দেয় নি।
সরকার ও দখলদারেরা তাদের ব্যর্থতা ও পরাজয়ের নৈরাশ্য নিরীহ জনগণের উপর ঝারছে। প্রতিদিন সরকারী বাহিনী যুদ্ধাপরাধ করে চলছে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে কোন সমন্বয় নেই ও নিজেদের বাহিনীগুলকে পর্যবেক্ষণ করতেও ব্যর্থ। মিডিয়া তাদের এইসব অপরাধের বিষয়েও উদাসীন। এন জি ও ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রিত সংস্থার প্রতিবেদন গুলিও পক্ষপাতদুষ্ট। সরকারী বাহিনী জনগন কে হত্যা ও নিপীড়ন শত শত বার করছে যা দেশের কোথাও ঠিক মত নথিভুক্ত করা হয় না।