তাদেরকে বুঝুন, তাদেরকে জানুন – উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
তাদেরকে বুঝুন, তাদেরকে জানুন
– উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [ ২০৯ কেবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/oya2tQXz8P3nKQ2
https://archive.org/download/taderke-bujhun-taderke-janun/taderke-bujhun-taderke-janun.pdf
https://archive.org/download/know-them-understand-them/Know%20Them%20Understand%20Them.pdf
https://www.file-upload.com/vi9ffsvkycr6
https://www.pdf-archive.com/2015/08/27/taderke-bujhun-taderke-janun/
https://www.mediafire.com/file/wbzce8leeuamhpg/taderke-bujhun-taderke-janun.pdf/file
https://files.fm/u/qewu75pzk
https://anonfiles.com/Dbabf929pa/taderke-bujhun-taderke-janun_pdf
https://www.mediafire.com/file/g1gvg6xm6midpx1/Know_Them_Understand_Them.pdf/file
https://www.mediafire.com/file/8bozk9maqp6kqkt/Know+Them+Understand+Them.pdf/file
https://anonfiles.com/J8X2ee28pc/Know_
بسم الله الرحمن الرحيم
তাদেরকে বুঝুন… তাদেরকে জানুন!
(পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে কৃত্রিম লড়াইয়ে ১২৫ মুজাহিদকে শহীদ করা ও নিস্পাপ বোনদেরকে গ্রেফতার করার প্রেক্ষিতে)
ওসামা মাহমুদ
আল-কায়েদা উপমহাদেশ এর মুখপাত্র
তারিখ- ১০ রবিউল আওয়াল, ১৪৩৬ হিজরী
১০ জানুয়ারী, ২০১৫ ইং
بسم الله والحمد لله والصلوة والسلام على رسول الله أما بعد
পেশওয়ার ট্রাজেডির পর শত শত মুজাহিদ ভাইদেরকে কঠিন নির্যাতনের পর কৃত্রিম লড়াইয়ে শহীদ করা হয়েছে। যারা কয়েক বছর যাবৎ সেনাবাহিনীর ‘আযাবঘরে’ বন্দী ছিলেন.. একইভাবে সোয়াতে কয়েকজন নিস্পাপ বোনকে কয়েদখানায় নিক্ষেপ করা হয়েছে..!! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন!…আল্লাহ আমাদের ওই ভাইদের শাহাদাৎ কবুল করুন, আমাদের ওই বোনদের হেফাজত করে তাদেরকে সেই জালেমদের বন্দীখানা থেকে মুক্তি দিন এবং আমদেরকে ওই ভাই-বোনদের উপর জুলুমকারী জালেমদের থেকে প্রতিশোধ নেয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন!
পেশওয়ারের ঘটনা এবং এধরনের সকল ঘটনা, যেখানে নিরপরাধ জনসাধারণ, নারী শিশু, অথবা বেসামরিক লোককে নিশানা বানানো হয়- আমরা তার পরিপূর্ণ বিরোধী। তাকে শরীয়ত পরিপন্থী মনে করি। এধরনের যে কোন ঘটনায় আমরা মর্মাহত হই। এধরনের ঘটনা প্রতিহত করা আমরা আমাদের শরয়ী দায়িত্ব মনে করি। আর যেহেতু এধরনের ঘটনার দ্বারা আমাদের লক্ষ ও উদ্দেশ্য অস্পষ্ট হয়ে যায়, এ কারণে এধরনের ঘটনাকে কুফরী শাসনব্যবস্থার শক্তি বর্ধনের কারণও মনে করি। কিন্তু প্রশ্ন হল… এসব ঘটনা কি এমনি এমনি হয়ে যায়..? যারা জুলুমের বিরুদ্ধে উঠে দাড়িয়েছে তারা কি কোন কারণ ছাড়াই ব্যাপক হতাহতের এই বেদনাদায়ক পদক্ষেপ নিয়েছে… এমনকি ১৩৫ প্রাণ হরণ করার পাশাপাশি নিজেরা নিজেদেরকেও শেষ করে দিয়েছে? প্রশ্ন এটাই যে, এটা কোন জুলুম ছিল, যা তাদেরকে এরকম প্রতিশোধ নিতে বাধ্য করল?
ভাবুন.. কেন..?
সেনাবাহিনীর এই জুলুম আর নীতি বহির্ভূত ও ইসলামের সাথে গাদ্দারী মূলক কর্মকান্ডই কি এর জন্য দায়ী নয়?
পেশওয়ারের ঘটনা এবং এই ধরনের অন্যান্য ঘটনাবলীর জন্য প্রথম কারণ ও বড় অপরাধী কি এই সেনাবাহিনীই নয়!!! আর সেনাবাহিনীর শক্তি ও ক্ষমতার এমন রক্তাক্ত ব্যবহারের দ্বারাই কি এই ধারাবাহিকতা বন্ধ হবে?
আজ বস্তব কথা এই যে, পেশওয়ারের ঘটনাকে আড়াল বানিয়ে জালিম সেনাবাহিনী, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিবিদ এবং নাস্তিক বুদ্ধিজীবিদের সমস্ত দৌড় ঝাঁপের উদ্দেশ্য হলো অন্যায়, ধর্মহীনতা এবং জুলুমের রক্ষণাবেক্ষণকারী এই শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত রাখা! তাদের জুলম অব্যাহত রাখা, আরাম আয়েশের জীবন নিরাপদ করা এবং কুফরী শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা।
হে মুজাহিগণ! নিজেদের দুনিয়াকে আখিরাতের খাতিরে বিসর্জনকারী আল্লাহর ব্যাঘ্রগণ! সেনাবাহিনীর এই জুলুম এবং কুফরী শাসনব্যবস্থার অন্ধকার থেকে বের হওয়ার একটাই পথ। আর তা হচ্ছে; আমরা জুলুমের নেতৃত্ব দানকারী এবং এই শাসনব্যবস্থা রক্ষাণাবেক্ষণকারী পাপিষ্ঠ সেনাবাহিনীকেই পরিপূর্ণ ক্ষিপ্রতার সাথে নিশানা বানাবো, এই সেনাবাহিনীকেই নিজেদের লক্ষ্যস্থল বানাবো। যারা পাকিস্থানী মুসলমানদের উপর জুলুমের সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। ঐ সমস্ত সেনাবাহিনী এবং সামরিক হেডকোয়ার্টারকেই নিজেদের নিশানা বানাবো, যারা আমেরিকানদেরকে এবং জুলুম ও অন্যায়ের হেফাজতকারী এই শাসনব্যবস্থাকে রক্ষা করতে গিয়ে মুসলমানদেরকে গণহত্যা করে পারিশ্রমিক লাভ করে।
এই স্থানে আমরা জিহাদে ব্যপৃত দলসমূহ এবং ময়দানে কর্মরত মুজাহিদ ভাইদের নিকট এই নিবেদন করবো যে, হে মুজাহিদ ভাইগণ! এই জুলুম থেকে আমরা কিছুতেই নিস্কৃতি লাভ করতে পারবো না, স্বীয় প্রভূকে সন্তুষ্ট করতে পারব না যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা দোষী-নির্দোষীর মাঝে তফাৎ করতে না পারবো এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের প্রিয় জাতি এবং নিরপরাধ পাকিস্তানী মুসলমানদের বাস্তব হেফাজতকারী ও শান্তি বাস্তবায়নকারী না হবো। আমরা একটি দাওয়াত, একটি বার্তা এবং একটি লক্ষ্য নিয়ে উঠেছি। আমাদের এই উদ্দেশ্যের মাঝে আবরণ ফেলার জন্য এবং আমাদেরকে নিজেদের মাঝেই দুর্নাম ও ঘৃণিত বানানের জন্য জ্বিন ও মানুষের সমস্ত শয়তানগণ এবং সমস্ত দুশমনরা একাট্টা হয়ে গেছে। এজন্য আমাদের প্রতিটি কর্মকান্ড, প্রতিটি পদক্ষেপ এবং প্রতিটি কথা আমাদের দাওয়াত ও পয়গামের সহায়ক হতে হবে। আমদের প্রতিটি পদক্ষেপ এবং প্রতিটি কথা আমাদের আসল উদ্দেশ্যের উপর সৃষ্ট আবরণের পরিস্কারক হতে হবে। আমার সম্মানিত ভাইয়েরা! শরীয়তের সাথে থাকাই আমাদের যুদ্ধের সফলতা। শরীয়তই আমাদেরকে হেকমতের পথে চলতে শিক্ষা দেয়। আর এর দ্বারাই আমাদের প্রভূর সাহায্য নেমে আসবে। ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহ আমাদেরকে আমেরিকা এবং তাদের দাস পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যয় অটল রাখুন। যারা দ্বীনের প্রকৃত দুশমন এবং যাদের জুলুম ও স্বৈরাচার পাকিস্তানী মুসলমানদের জীবনের প্রতিটি মূহুর্তকে সংকীর্ণ করে তুলেছে। আল্লাহ আমাদেরকে স্বীয় জাতি, স্বীয় সন্তান-সন্তুতি, নারী এবং নিরপরাধ জনসাধারণের জন্য রহমত ও প্রশান্তির প্রত্যাশাস্থল প্রমাণিত করুন! আমীন
হে আমার প্রিয় জাতি! আমার সেই জাতি, কয়েক দশক যাবৎ যাদেরকে জুলুম ও স্বৈরাচারের মাঝে বসবাস করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সেই জাতি, দীর্ঘকাল যাবৎ যাদের দ্বীন ও দুনিয়া আগ্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু হয়ে আছে… হে আমার জাতি! সেই জাতি, যাদেরকে অন্যরাও লুণ্ঠন করেছে এবং নিজেদের লোকেরা লুণ্ঠনে সামান্য ত্রুটি করেনি!! হে জাতি!! যাদেরকে দুনিয়ার সবুজ বাগান দেখিয়ে অবশেষে দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ই ধ্বংস করা হচ্ছে!!
হে প্রিয় জাতি!! মুজাহিদরা তো জুলুম নিশ্চিহ্ন করা এবং শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য বের হয়েছে। তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জেনে নিন! এরাও মানুষ; ভুল-ত্রুটি তাদেরও হতে পারে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই ভাল-মন্দ, নিরপরাধ-অপরাধী এবং সামরিক-বেসামরিকের মাঝে পার্থক্য করতে পারে। প্রিয় জাতি! নিজেদের অনুগ্রহকারীদেরকে চিনুন! সেই মুজাহিদদেরকে চিনে নিন, যারা আপনাদেরই দ্বীন ও দুনিয়ার হেফাজতের জন্য আত্মবিসর্জন দিয়ে যাচ্ছে।
সেই মুজাহিদদেরকে চিনে নিন! কেরি লোগার, বিল থেকে তাদের সাহায্য পৌছে না, আর সেনাবাহিনীতে প্লট পাওয়ার আশাও তাদেরকে ময়দানে আবতীর্ণ করেনি। তারা বেতন, পদোন্নতি বা উচ্চমর্যাদর জন্য বের হয়নি। তারা তো নিজেদের দুনিয়া এবং নিজেদের আরাম ও প্রশান্তিকে বিসর্জন দিয়েছে। তারা তো গৃহহারা হয়েছে, তাদের বাচ্চাদেরকে শহীদ করা হয়েছে, তাদের মা- বোনদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের উপর নির্যাতনের পাহাড় ভেঙ্গে পড়েছে। এই শত শত মুজাহিদ তো শুধু পেশওয়ারের ঘটনার পরই শহীদ হয়নি। তারা তো বিগত এক দশক ধরে নিত্যদিনই শাহাদাতের নযরানা দিয়ে আসছিল। জেলখানাসমূহ সংকীর্ণ হয়ে গেছে। কিন্তু তারা থেমে যায়নি, মাথা ঝুকায়নি.. কেন..?? এ কারণে যে, একটি বিশ্বাস তাদেরকে দাঁড় করিয়েছে। আখিরাতের চিন্তা এবং দুনিয়াতে রবের আনুগত্যের তাড়নাই তাদেরকে ঘর থেকে বের করেছে। জুলুমের তিমির রজনীর বিলুপ্তি ঘটানো এবং শরীয়তের আলোময় প্রভাতের প্রত্যাশাই তাদের শান্তি ছিনিয়ে নিয়েছে। তারা আপনাদেরই অন্তর্ভূক্ত!! তাদেরকে চিনুন! তারা আপনাদেরই সন্তান এবং আপনাদেরই ভাই.. আল্লাহ সকল মুজাহিদীনকে হেদায়াতের পথে পরিচালিত করুন। আমাদেরকে, আপনাদেরকে নির্বিশেষে সকলকে প্রকৃত সফলতা এবং প্রকৃত ক্ষতির উপলব্ধি দান করুন এবং আমাদেরকে আখিরাতের বাণিজ্য করার তৌফিক দান করুন।
امين يا رب العلمين
وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العلمين
وصلى الله علي النبي الكريم
AN-NASR
http://www.twitter.com/UsamaMahmood35 | Email:usamamahmood148@gmail.com 4
🟩🟩🟩🟩🟩🟩🟩