অন্যান্য সংবাদআরব বিশ্বসংবাদ

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসলামী কার্যকলাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপ

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসলামী কার্যকলাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে খসড়া আইন প্রণয়ন, আইন ভঙ্গকারীকে শাস্তিস্বরূপ জরিমানাসহ জেলদণ্ডাদেশের আদেশ।।
অনুমোদন ব্যতীত যদি কেউ ধর্মীয় লেকচার এবং লেসন ধারণ করে অথবা পবিত্র কোরআন শরীফ হিফজ করে অথবা ধর্মীয় সভার আয়োজন করে, তবে তার উপর জরিমানা এবং তাকে জেলে পাঠানোর আইন আরোপ করে ফেডারেল ন্যাশনাল কাউন্সিল একটি নতুন খসড়া আইন পাস করেছে। মঙ্গলবারে নতুন এই খসড়া আইনটি কার্যকর করতে পাস করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত ধর্মীয় লেকচার এবং লেসন ধারণ, ধর্মীয় সামাজিক সভা অথবা পবিত্র কোরআন হিফজ করলে যে কারও বিরুদ্ধে জেল দণ্ডাদেশ এবং/অথবা জরিমানা হতে পারে। নতুন এই খসড়া আইন ‘ইসলামী কার্যক্রম এবং বৃত্তিদান’ সংস্থাটির সাধারণ কর্তৃপক্ষ থেকে পূর্ব অনুমোদন ব্যতীত একজন লোককে কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া, ধর্মীয় লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা এবং সদকাহ অথবা সাহায্য সংগ্রহকেও যে কারও জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।.
যারা এই নতুন আইন মেনে চলবে না, তাদেরকে ৩ মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫,০০০ দিরহাম পর্যন্ত জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে।
FNC(ফেডারেল ন্যাশনাল কাউন্সিল) স্পিকার ড. আমাল আল কোবাইসির সভাপতিত্বে পরিচালিত ঐ অধিবেশনটিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মসজিদগুলোর নিয়ম এবং নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়গুলোর উপরও গভীরভাবে মনোযোগ দেওয়া হয়।
মসজিদগুলোর নিয়ন্ত্রণ এবং যত্নের ব্যাপারে এফ এন সি একটি ‘খসড়া ফেডারেল আইন’ অনুমোদন করেছিল। এফ এন সি সদস্যরা এই বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়েছিল যে শুধু দক্ষ কর্মীরা মসজিদগুলোতে কাজ করবে, এবং প্রজ্ঞাপনটি মসজিদগুলোতে এমন কোন কর্মীকে মসজিদে কাজ করা থেকেও নিষেধ করেছে, যারা বেআইনী দল অথবা সংগঠনের সাথে যুক্ত, নিষিদ্ধ রাজনৈতিক অথবা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড অনুশীলন করে, লাইসেন্স অথবা অনুমোদন ব্যতীত দাওয়াত দেয়, মসজিদের বাইরে ফতওয়া অথবা পবিত্র কোরআন শিক্ষা দেয়।
যে কেউ মসজিদের নিরাপত্তা এবং পবিত্রতা লঙ্ঘন করবে তার জন্য ২০০০০দিরহাম থেকে ৫০০০০ দিরহাম পর্যন্ত জরিমানা এবং কমপক্ষে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ অথবা শুধু তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হবে।
ঐ খসড়া আইনে এটাও ঘোষণা করা হয়েছে যে, ‍যদি কেউ মসজিদে ভিক্ষা করে, অথবা ইমাম সাহেব নামাজ বা দাওয়াত দেওয়ার সময় তার কাজের অন্তরায় হয় তাহলে তাকে ৫০০০দিরহাম পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।
অধিকন্তু, মসজিদে কাজ করা কর্মীদের বেতন সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছিল ঐ অধিবেশনে।

এফ এন সি সদস্যরা মত প্রকাশ করেছিল যে, সকল মসজিদ কর্মীদের জন্য ‘মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়’ এর দ্বারা নির্ধারিত বেতন নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে হবে। যাইহোক, ‘ইসলামী কার্যক্রম এবং আওকাফ’ এর সাধারণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ মাতার আল কাবী ভিন্ন মত পোষণ করে বলেন যে, কিছু মসজিদ মালিকেরা খুশিমনে মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত বেতন ন্যূনতম ৬৩০০ দিরহামের অধিক বেতন দিতে পারবেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “ একজন মসজিদ মালিক একজন ইমামকে ২০০০০ দিরহাম দিতে চায়, তবে কেন তার বেতন ৬৩০০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে?”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × four =

Back to top button