আল কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখার (aqap) ভাইদের হাতে ধৃত- গুপ্তচর মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মা’উদাহ ওরফে ‘আকরাম মা’উদাহ’- এর স্বীকারোক্তির একাংশ

مؤسسة الحكمة
আল হিকমাহ মিডিয়া
Al Hikmah Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:
تنظيم قاعدة الجهاد في جزيرة العرب
جانب من اعترافات الجاسوس: محمد عبد الله معوضة المكنى أكرم معوضة
আল কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখার (AQAP) ভাইদের হাতে ধৃত-
গুপ্তচর মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মা’উদাহ ওরফে ‘আকরাম মা’উদাহ’- এর স্বীকারোক্তির একাংশ
মুহররম ১৪৪৭ হিজরি | জুলাই ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
“Confession of the Spy, Muhammad Abdullah Ma’udah, also known as ‘Akram Ma’udah’,
Captured by the AQAP Brothers”

![]()
روابط بي دي اف
PDF (451 KB)
পিডিএফ [৪৫১ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://archive.gnews.to/s/8997dKfjeHfnmim
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/m4zHtfMZo9HCiNa
লিংক-৩ : https://archive.org/download/aqap-jasus-1/AQAP%20jasus-1.pdf
লিংক-৪ : https://guptocor.wordpress.com/wp-content/uploads/2025/07/aqap-jasus-1.pdf
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/9lmikm7pq9sameb/AQAP+jasus-1.pdf/file
লিংক-৬ : https://share.ue.internxt.com/d/sh/file/9bdebe50-6ecf-42ea-b242-022f5e3a22de/72cedf369cf3f491f7c8f74da9ab96b65f3aa297998a39b8819cc0214be4065d
লিংক-৭ : https://mega.nz/file/bIFzWIyY#uKxzWKuST82wBnb-KEaWMNmK1X3BivVmUqqS21be7Xg
روابط وورد
Word (397 KB)
ওয়ার্ড [৩৯৭ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://archive.gnews.to/s/ii6R2JR27f7fgEL
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/3tFR56ir829rT9j
লিংক-৩ : https://archive.org/download/aqap-jasus-1/AQAP%20jasus-1.docx
লিংক-৪ : https://guptocor.wordpress.com/wp-content/uploads/2025/07/aqap-jasus-1.docx
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/9ltqcambziitsgs/AQAP+jasus-1.docx/file
লিংক-৬ : https://share.eu.internxt.com/d/sh/file/6c96c549-fa2e-42b1-869b-5c5e5b01f264/e92e0224385ad0dabcb22ec06b6a3925bb7afef22f203edaf69d864862878b12
লিংক-৭ : https://mega.nz/file/qBt0ESIY#YhKfyRXoXVBWjmE7ixaDJ056fUK63zG-lcTxrHDTGKs
روابط الغلاف
Book cover [1.4 MB]
বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [১.৪ মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://archive.gnews.to/s/GsjxpeRiJNDNfnF
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/qsJZkZitJRJtA2w
লিংক-৩ : https://archive.org/download/aqap-jasus-1/AQAP%20jasus-1%20Cover.jpg
লিংক-৪ : https://guptocor.wordpress.com/wp-content/uploads/2025/07/aqap-jasus-1-cover.jpg
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/y5sh7f78qhva674/AQAP+jasus-1+Cover.jpg/file
লিংক-৬ : https://secure.eu.internxt.com/d/sh/file/8bfe4df0-593d-4666-8086-b5a2ae258950/73cadcfcc5cc9d9880efc1dc37670131cb43558fd2de450b90afe951bcfbef57
লিংক-৭ : https://mega.nz/file/3EMDgTwL#qAP-hMvIG_mBuGkS5MFoBjSHWCftQtNlFkUqS2uZ7r4
روابط البانر
Banner (318 KB)
ব্যানার [৩১৮ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://archive.gnews.to/s/bPAkLQ5mW8k29SA
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/ypRtbk4xWPxYEcJ
লিংক-৩ : https://archive.org/download/aqap-jasus-1/AQAP%20jasus-1%20Banner.jpg
লিংক-৪ : https://guptocor.wordpress.com/wp-content/uploads/2025/07/aqap-jasus-1-banner.jpg
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/3qst9wwsg7unrxt/AQAP+jasus-1+Banner.jpg/file
লিংক-৬ : https://share.eu.internxt.com/d/sh/file/a3bcb7b5-f9eb-4e62-8e25-3a7d1d680cfa/1c4e1f70014c341dfa92e110a8b0c890227cf418c914c2d98e43afe11707de84
লিংক-৭ : https://mega.nz/file/6UtiHQAY#QoOHO3IfiraWG1eZAuGfP3EbQh-Ko7Ky2s6Lh9hLLag
***********
আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহ ও দয়ায়, মুজাহিদগণ এক গুপ্তচরকে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন, যার নাম ‘মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মা’উদাহ’ এবং তার ছদ্মনাম ছিল ‘আকরাম মা’উদাহ’। উক্ত ব্যক্তি মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়েছিল এবং তাদের হত্যা ও গোপন তথ্য ফাঁস করার মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত ছিল। আটক হওয়ার পর, সে স্বীকার করেছে যে, মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সে যা কিছু করেছে, সবই সে জেনে-বুঝেই করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে তার জানা সকল তথ্য অকপটে স্বীকার করেছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে শরীয়াহ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়, এবং সর্বসম্মতভাবে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।
নিম্নোক্ত কথোপকথনটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে তার যোগাযোগ থেকে সংগৃহীত হয়েছে:
“আমি যখন শেষবারের মতো মারিবে গিয়েছিলাম, অনেক ঘটনা ঘটেছে, অনেক কিছু ঘটেছে, আর আমি সেখানে কিছু লোকের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছি। মানে, অনেক ব্যাপার ছিল যেগুলো আমি খসড়া আকারে লিখেও রেখেছি।
এখন তো সবকিছু পরিষ্কার—আমি একটি খোলামেলা যুদ্ধে প্রবেশ করে ফেলেছি।
অন্য পক্ষ এখন আঘাত হানছে, তুমি বুঝেছ তো?
মানে, এখন আমরা আগের তুলনায় অনেক বৃহত্তর ও ব্যাপক এক পর্বে প্রবেশ করেছি।”
এখানে তুলে ধরা হলো তার স্বীকারোক্তির কিছু অংশ:
- তার নাম, পারিবারিক অবস্থা ও সংগঠনের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধসমূহ —
“আমার নাম মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলী মা’উদাহ। জন্ম রিয়াদে। বয়স ছেচল্লিশ বছর। বিবাহিত, সন্তানের জনক।
আমার কাহিনি মূলত এই যে, আমি আমিরাতের জায়নিস্টদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি। তারা আমাকে টাকার লোভ দেখিয়ে ধীরে ধীরে ফাঁদে ফেলে। আমি মুজাহিদদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের হাতে তুলে দিই। এই তথ্যের ভিত্তিতে কিছু ভাই শহীদ হন। আমি শুধু ওই তথ্যই দিইনি, আরও অনেক তথ্য দিয়েছি। এ কথা আমি স্বীকার করছি, আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাওবা করছি।
আমি স্পষ্ট করে বলছি—আমার পক্ষ থেকে কেউ যেন কিছু না বলে, আমার ঘটনার অপব্যাখ্যা দিয়ে মুজাহিদদের বদনাম না করে। আমার ঘটনার দোহাই দিয়ে কেউ যেন মুজাহিদদের বিরুদ্ধে রোষ পোষণ না করে, কিংবা এটিকে ‘অবিচার’ হিসেবে ব্যবহার না করে। আমি শপথ করে বলছি, আমার স্বীকারোক্তি পুরোপুরি আমার নিজের ইচ্ছায়—আমাকে কেউ শারীরিকভাবে নির্যাতন করেনি। আমিরাতিরা বলে যে, সংগঠনের লোকজন মানুষকে নির্যাতন করে—এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওরা আমাকে দ্বীনের আলোকে বোঝায়। আর আমি নিজেও এতটাই তাওবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা অনুভব করছিলাম যে, যা কিছু আমার কাছে ছিল এমনকি যা তাদের জানা ছিল না, সেটাও আমি বলে দিই। এমনকি ওই জায়নিস্ট কুকুরদের সঙ্গে আমার যেসব সাক্ষাৎ হয়েছে, সেসবের কথাও বলে দিই—সাক্ষাতে কী আলোচনা হতো, সব জানাই।
আমি আল্লাহর সাক্ষাতে এমন অবস্থায় যেতে চাই না যে, আমার ওপর রক্তের দায় থেকে যায়। না, আমি দুনিয়াতেই তা স্বীকার করি, তাওবা করি, নিজেকে পরিশুদ্ধ করি—যেন কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে তাওবাকারী হিসেবে উপস্থিত হতে পারি।
এই হচ্ছে সেই অপরাধের সীমা, যে সীমার কারণে এই শাস্তি। আমি চাই না, কিয়ামতের দিন আমি কারও রক্তের বোঝা নিয়ে উপস্থিত হই।
আমি যা জানি, তা স্পষ্টভাবে বলেছি—শুধু এই জন্য যে, আমি তাওবা করতে চাই। তুমি খুশি হও বা রাগ করো, আমাকে অপমান করো বা সমুদ্র খেয়ে ফেলো—তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কিয়ামতের দিন যখন আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে, তখন তো তুমি নিজেই বলবে, ‘ইয়া নাফসি! ইয়া নাফসি!’
আল্লাহর শপথ করে বলছি, ইশ! যদি আমি ওই কুকুরদের সঙ্গে ‘ইবনু মাআলীন’-এর রাস্তায় একসাথেই থাকতাম, ওখানেই পড়ে থাকতাম, তাহলে হয়তো সেটা বেশি সম্মানের হতো। আমি তো সেখানে বসেই জীবন কাটাতে পারতাম—তা-ই অনেক বেশি মর্যাদার হতো আমার জন্য। মর্যাদার হতো—এই জন্য নয় যে, আমি আমার পরিণতিকে ঘৃণা করি—না, একেবারেই না। বরং আল্লাহর সঙ্গে যে লজ্জাজনক অবস্থায় পড়েছি, তার তুলনায় ওটাই অধিক সম্মানের হতো। আল্লাহ—যিনি আমাকে সম্মানিত করেছেন, আমাকে রক্ষা করেছেন, আমাকে স্ত্রী দিয়েছেন, রিযিক দিয়েছেন, মুজাহিদদের চিন্তা আমার অন্তরে রেখেছেন, আর আমি তাঁদের মাঝে থেকেছি, কাজ করেছি, সক্রিয় ছিলাম—তাঁর এই সব নেয়ামতের প্রতিদান আমি কীভাবে এমনভাবে দিতে পারি?”
মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যেসব ব্যক্তি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন, তাদের প্রতি তার বার্তা:
তাৎক্ষণিকভাবে তাওবা করো, আল্লাহর দিকে ফিরে এসো, এবং নিজের ইচ্ছায় মুজাহিদদের কাছে আত্মসমর্পণ করো।
এই বার্তাটি আমার পক্ষ থেকে একটি আন্তরিক উপদেশ। আমি আল্লাহর নিকট দোয়া করি—এই কথাগুলো যেন তোমার অন্তরের কানে পৌঁছায়, তোমার হৃদয়ে স্থায়ী আসন গড়ে নেয়, যেন তুমি অনুধাবন করো, শোনো এবং বিন্দুমাত্র দেরি না করে, বিনা দ্বিধায় চলে এসো।
প্রত্যেক সেই ব্যক্তির প্রতি—যে আল্লাহকে এবং আখিরাতকে চায়, এমনকি যদি ভুল করেও থাকে—আমি বলছি, হয়তো তুমি এখনো শ্বাস নিচ্ছ, এখনো সময় আছে, ফিরে এসো, তাওবা করো। চলো আল্লাহর দিকে। চলো, তুমি চাও বা না চাও, সংগঠন (মুজাহিদরা) যদি তোমার নাগাল না-ও পায়, আল্লাহ তো পেয়েই যাবেন। তিনি ইচ্ছা করলে তোমার জান কেড়ে নেবেন, তোমাকে পাকড়াও করবেন। সুতরাং কৃতজ্ঞ হও যে, আল্লাহ এখনো তোমার জান নেননি—যখন তুমি ছিলে পথভ্রষ্টতা, রিদ্দা (ধর্মত্যাগ), কুফর এবং নিফাকের অবস্থায়।
যারা আমিরাতিদের সঙ্গে কোনো ধরনের বিশ্বাসঘাতকতায় জড়িয়ে পড়েছে—ভয় পেও না। আল্লাহর পর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় তাঁরাই (মুজাহিদরাই)। আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁদের প্রশংসা করছি না, বরং আল্লাহ সাক্ষী, আমি এই কথা কারাগারে বসে বলছি না; উপরওয়ালার সাক্ষ্য, তাঁরাই আশ্রয়স্থল। তাঁরা আশ্রয় দিয়েছে সেই মজলুমদের—যাদেরকে প্রতারণা করা হয়েছিল, শোষণ করা হয়েছিল, এমনকি যারা তাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল, তারাও যদি সত্যিকারের তাওবাকারী হয়ে ফিরে আসে—তারা আশ্রয় পায়।
যদি কেউ বলেও, “আমি এসব কিছু করিনি,” কিন্তু তাও আমিরাতিরা কিছু দাবি করেছে, তাহলে এসো, সব খুলে বলো। সব তথ্য জানাও।
আমার উপদেশ ভয় দেখানোর জন্য নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। দুনিয়ার ভয় নয়, দুনিয়া তো এমনিতেই চলে যাবে। দুনিয়ার তো কিছুই থাকে না। আসল বিচার হবে আল্লাহর সামনে। আর আল্লাহ যদি তাওবা কবুল করে নেন, তবে তুমি জানো, তাওবার শর্ত হলো—যতক্ষণ না গলার গভীর থেকে আত্মা বের হয়ে যায়, বা সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হয়। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছেন, এবং আমি এটাকে তাঁর এক বিরাট নেয়ামত মনে করি। শুনলে হয়তো অবাক হবে, কিন্তু আমার জন্য এটা ছিল এক অপার নেয়ামত যে, আমি ধরা পড়েছি—যাতে আমি আমার ভুলগুলো থেকে নিজেকে পবিত্র করতে পারি। সেই রক্তের দায় থেকে মুক্ত হতে পারি, যা আমি অন্যায়ভাবে কাঁধে নিয়ে ঘুরছিলাম।
তোমাদের বলছি, শয়তানকে নিজের মাঝে স্থান দিয়ো না। কারণ, আল্লাহর শপথ করে বলছি, যদি তুমি আমার জায়গায় থাকতে, যদি তোমার কাছে এই বার্তাটি আসত, তুমি দেখতে, আমি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় এই কথাগুলো পাঠাচ্ছি—কারো চাপ বা নির্যাতনে নয়, এমনকি কোনো প্রতিশ্রুতিতেও নয়। আল্লাহ সাক্ষী, আমি জানি, আমি হয়তো মৃত্যুদণ্ড পাব, কিন্তু আমি চাই আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন।
তুমি আল্লাহর সামনে আজ এক ভয়ঙ্কর ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে আছো। তুমি চাইলে পৃথিবীর শেষ দ্বীপে পালিয়ে যাও, ‘ওয়াক-ওয়াক’ দ্বীপে, কিন্তু বলো তো, আল্লাহ থেকে কোথায় পালাবে? কোথায় যাবে? কী অজুহাত দেখাবে যখন আল্লাহ তোমার জান নিয়ে নেবেন?
আমি দোয়া করি, আল্লাহ যেন তোমার জান কবুল করেন তখন, যখন তুমি তাওবাকারী। কেন জানো? কারণ তুমি যদি তাওবা না করে এই অবস্থা নিয়েই মারা যাও, তবে কিয়ামতের দিন তুমি সেই অবস্থায়ই উঠবে। হ্যাঁ, আল্লাহ যদি ভিন্ন কিছু না করেন, তবে কুরআন ও হাদীসে যা বলা হয়েছে তা স্পষ্ট—যে কুফর অবস্থায় মারা যায়, সে জাহান্নামে; যে নিফাক নিয়ে মরে, সে জাহান্নামে; যে শিরক নিয়ে মারা যায় অথচ তাওবা করেনি, তার স্থানও জাহান্নাম। নবী ﷺ বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুশরিককে জাহান্নামের সুসংবাদ দাও’—এটি সহীহ হাদীস।
তোমার দুনিয়া ও আখিরাত—দুটোই আজ দুর্ভোগে। তুমি না দুনিয়াতে শান্তিতে আছো, না আখিরাতে। নিশ্চিতভাবে তুমি এক অস্থির জীবনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছো। আল্লাহ বলেন:
﴿وَمَنْ أَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنكًا﴾ —
“যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তাকে সংকীর্ণ জীবন দান করি।”
আল্লাহর শপথ করে বলছি, তুমি সংকীর্ণ জীবনেই আছো। আমিও ছিলাম এমনই এক জীবনে। এখনো সময় আছে। দেরি করো না। যেই অবধি না ওরা তোমাকে ধরে ফেলেছে, তার আগেই ফিরে এসো।
ভাইয়েরা এখনো তোমাদের জন্য বুক উন্মুক্ত করে রেখেছে। তাঁরা আমাকেও এই বার্তা পাঠানোর সুযোগ দিয়েছেন। এটা তোমার জন্য এক দাওয়াত, এক নিদর্শন, এক প্রমাণ। এটা আমার জন্য নেয়ামত, তোমার জন্যও নেয়ামত—এবং একইসঙ্গে তোমার বিরুদ্ধে প্রমাণও। কেন জানো? কারণ তুমি যদি এই বার্তা পাও, অথচ তাওবা করে ফিরে না আসো—তবে বুঝে নিও, যারা একসময় তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল, তারাই আজ তোমাকে ক্ষমা করতে প্রস্তুত।
তারা তোমার ব্যাপারে অনেক কিছু জানে—আমার থেকেও বেশি জানে। কাজেই দয়া করে আমার মতো শেষ মুহূর্তে ফিরে না এসে—এখনই ফিরে এসো।
সংগঠন কিংবা মুজাহিদরা যদি এখনো তোমাকে ধরতে না-ও পারে, জেনে রেখো, মৃত্যুর হাত থেকে তুমি পালাতে পারবে না।
হে মৃত্যু থেকে পালানো মানুষ, জেনে রাখো—তোমার সঙ্গে দেখা হবেই।
ভাইয়েরা সত্যিকার তাওবাকারীর জন্য নিজেদের বুক উন্মুক্ত রেখেছেন। তাঁরা আমাকেও এই বার্তা পাঠানোর অনুমতি দিয়েছেন। তুমি এই সুযোগ গ্রহণ করো। তাঁরা নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিচ্ছে, আল্লাহর কসম খেয়ে বলছে, তাঁরা তোমাকে আঘাত করবে না।
তাঁরা বলছে—এসো, তুমি আমাদের হাতে ধরা পড়ার আগেই নিজেই ফিরে এসো। এমনকি যদি শরীয়তের দৃষ্টিতে তোমার বিরুদ্ধে ‘হদ’ (আইনসিদ্ধ শাস্তি)ও প্রযোজ্য হয়, তবুও আমরা শর্তানুযায়ী নিরাপত্তা দেব। শরীয়ত অনুযায়ী তুমি নিরাপদ, এবং তোমাকে তোমার আগের জায়গায় ফেরত পাঠানো হবে।
গুপ্তচরদের প্রতি উপদেশ ও যারা গুপ্তচরবৃত্তির পথে পা বাড়িয়েছে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা:
এখনই নিজেকে সামলাও।
এই উপদেশ আমি তোমার জন্যই দিচ্ছি—আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আখিরাতের মুক্তির আশায়।
আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি এখানে কোনো অভিনয় করছি না। কেউ আমাকে কোনো টাকা বা ছাড়ের প্রতিশ্রুতি দেয়নি, ক্ষমার আশ্বাস দেয়নি, বরং আমার জন্য নির্ধারিত একমাত্র পরিণাম—আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি।
তবুও আমি বলছি—যদি মানুষকে সততার সঙ্গে সত্য জানানো হয়, তাহলে আমি আশা করি আল্লাহ আমাকে এক খাঁটি তাওবা দান করবেন এবং আমার অন্তরকে প্রশান্তি দেবেন।
আল্লাহর নামে শপথ, যখনই আমি এই কথাগুলো বলি, কারো সঙ্গে কথা বলি—আমার ভিতরে এক শান্তি নামে।
কেন জানো?
আমি চাই, ভাই, আমি চাই তোমাকে রক্ষা করতে।
তুমি কি বাধ্য যে সেই পঙ্কিলতার মধ্যে গিয়ে পড়বে, যেটায় আমি পড়েছিলাম?
ইশ, যদি এটা শুধুই পঙ্কিলতা হতো!
তবে হয়তো গোসল করে তা ধুয়ে ফেলা যেত।
কিন্তু এটা জাহান্নামের এক গর্ত।
আল্লাহর শপথ, এটা দুনিয়ার কোনো পাপ নয়—এটা সেই আগুনের গহ্বর, যা জ্বলে জ্বলে শেষ করে দেয়।
তুমি যদি ওই কুকুরদের (আমিরাতি গোয়েন্দা বাহিনী) হাতে হাত রাখো, তারা তোমাকে ব্যবহার করবে, মিথ্যা হাসি দেবে, তারপর তোমাকে দিয়ে মুসলিম নারীদের ইজ্জত লুণ্ঠন করাবে, মুসলমানদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করাবে, মুসলিম সমাজকে ভেঙে দেবে।
তারা মুসলিমদের, মুজাহিদদের, ইসলাহি ও সালাফি চিন্তাধারার অনুসারীদের বিরুদ্ধেও জাসুস নিয়োগ করে।
তারা কোনো মুসলিমের ইজ্জত অক্ষত রাখেনি—কোনো মেয়ে, কোনো ধর্মভিত্তিক সংগঠনের সদস্য, এমনকি সাধারণ ধর্মানুরাগী—কোনো মুসলিমই রেহাই পায়নি।
এই সবকিছু তারা করে ‘সন্ত্রাস বিরোধী’ নামে, অথচ আসলে তারা ইসলাম বিরোধী অভিযান চালায়।
তুমি তো বুঝছো এ কথার মানে, তাই না?
তাহলে নিজেকে ধোঁকা দিও না।
তুমি যদি এই পথে পা বাড়াও, তবে জেনে রাখো—তোমার সামনে অন্ধকার। আমি নিজে সেই গর্তে পড়ে দেখে এসেছি।
আজ তোমার সামনে আলো আছে। আমি তা তোমার সামনে উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
এই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসো।
আলোতে এসো।
আলো হলো আল্লাহর কিতাব ও রাসূল ﷺ–এর সুন্নাহ।
নিজেকে এমন কাজে নিয়োজিত করো, যা তোমার দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য উপকারী।
সুতরাং এখনই সেই সিদ্ধান্ত নাও—যেটা তোমাকে আল্লাহর কাছে রক্ষা করবে।
এর পরে কী হবে, কী প্রতিক্রিয়া আসবে—তা আল্লাহর উপর ছেড়ে দাও।
যা ঘটবে, তা-ই ঘটুক।
আমি কেন নিফাকের পথে গেলাম?
এটা কি নিজে থেকে আমার কাছে এসেছিল?
না।
আমি-ই সেই দরজা খুলেছিলাম।
আমি নিজের হাতেই নিজের জন্য নিফাকের দরজা খুলে দিয়েছিলাম।
তাই ভাই, অনুরোধ করি—তুমি যেন সেই পথে পা না বাড়াও।
রিদ্দা (ধর্মত্যাগ), গুপ্তচরবৃত্তি, নিফাক—এসবের কোনো দরজা নিজের উপর খোলো না।
আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি—
যদি এখনই আল্লাহ আমার জান কাড়েন, আমি সংগঠনের (মুজাহিদদের) হাতে নিহত হই, আমার মাথা কেটে ফেলা হয়, আমার অঙ্গচ্ছেদ হয়—তাও আমি রাজি।
শুধু এই জন্য যে, আমি যেন সেই জীবনে ফিরে না যাই, যেটা আমি পেছনে ফেলে এসেছি।
তুমি জানো, আমাদের আসল সমস্যা কী?
আমরা কুফরের পথে ফিরে যাওয়াকে ভয় করি না।
নবী ﷺ বলেছেন:
“কেউ যেন কুফরের পথে ফিরে যেতে এতটাই ঘৃণা করে, যেন তাকে আগুনে নিক্ষেপ করা হচ্ছে—এই হচ্ছে প্রকৃত ঈমানের চিহ্ন।”
তোমাকে যদি বলা হয়—
তোমাকে স্বর্ণ, হীরা, সব দামি রত্ন, রাজত্ব—সব দেওয়া হবে।
তুমি ৫০ বছর এই আরামেই থাকবে, কোনো রোগ, বিপদ, মানুষ বা জিন তোমাকে স্পর্শ করবে না।
তারপর হঠাৎ মৃত্যু, আর আল্লাহ তোমার উপর ক্রুদ্ধ হবেন।
বলো, তুমি কি চাও এমন জীবন?
না।
কারণ, আল্লাহ রাগান্বিত—এই একটি কথাই যথেষ্ট।
আল্লাহর সঙ্গে তুলনা হয় এমন কিছু নেই।
তুমি পালাতে পারবে না, প্রতিরোধ করতে পারবে না, এমনকি আত্মগোপন করেও রক্ষা পাবে না।
ড্রোন দিয়ে খুঁজে বের করা যাবে, সুড়ঙ্গ করেও বাঁচা যাবে না—কারণ আল্লাহ, তিনি আল্লাহ।
তুমি কি তাঁকে ঠিকভাবে চিনতে পেরেছ?
নবী ﷺ বলেন:
“তোমরা এমন কাজের দিকে তাড়াতাড়ি অগ্রসর হও—কারণ সামনে এমন ফিতনা আসবে, যা হবে অন্ধকার রাত্রির মতো। মানুষ সকালে মুমিন থাকবে, কিন্তু সন্ধ্যায় কাফের হয়ে যাবে। সে তার দ্বীনকে দুনিয়ার বিনিময়ে বিক্রি করে দেবে।”
(সহীহ মুসলিম)
একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে করিয়ে দিতে চাই। আমি যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে আমিরাতের লোকদের চিনি, এমনকি কিছু সৌদিকেও জানি, তাই বলতে পারি—এই লোকেরা মানুষকে টাকার মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে। অর্থের ফিতনা কোনো সাধারণ ফিতনা নয়, এটা খুবই ভয়ানক। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর একটি হাদীস আছে—অত্যন্ত গভীর এক হাদীস—যেটা আমি একসময় পড়তাম আর অবাক হয়ে ভাবতাম, “আচ্ছা, এটা কেমন করে সম্ভব? কেউ সকালে মুসলিম, আর সন্ধ্যায় কুফরে পতিত হয়? কীভাবে? কেন?” তখন আমি ভাবতাম, হয়তো যুদ্ধের ভয়াবহতা বা জোরজবরদস্তির কারণে মানুষ এমন হয়।
এই সব আমি ভাবতাম সেই সময়, তখনো মুজাহিদদের সাথে যুক্ত হইনি। কিন্তু যখন যুক্ত হলাম, তখন বাস্তব অভিজ্ঞতা হলো—অমুক ভাই ধরা পড়ল, তার কাছ থেকে তথ্য আদায় করল ওরা—إنا لله وإنا إليه راجعون—আমার বুক কেঁপে উঠল। তারপর একদিন আমিও… হ্যাঁ, আমি নিজেই! সকালে মুসলিম ছিলাম, আর সন্ধ্যায় তাদের সাথে দেখা করে তাদেরকে তথ্য দিয়ে এলাম। আর তখন আমি, আল্লাহর কসম, ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম—একেবারে হাদীসের ভাষায়, হুবহু!
এটা শুধু একটা তথ্য দেওয়া নয়, এটা হলো নিজের হাতে নিজের জন্য কুফর আর নিফাকের দরজা খুলে দেওয়া। তুমি হেসে হেসে সেই মুরতাদের সাথে বসে রইলে, তার কাছ থেকে টাকাও নিলে—টাকাটা সে দিল আমিরাতি শত্রুর পক্ষ থেকে, একজন প্রকৃত অর্থে ‘সিহিও-আমিরাতি’ কুফফার! তুমি সে টাকাটা নিলে একটা তথ্যের বিনিময়ে। তাহলে বাস্তবে কী হলে? তুমি নিজের দ্বীন বিক্রি করে দিলে।
হয়তো তুমি ভাবছো, পুরনো তথ্য দিয়েছো, তাকে ঠকিয়েছো। না ভাই, সে তোমাকে ঠকিয়ে তোমার দ্বীন ছিনিয়ে নিয়েছে—এটা নিশ্চিত!
আমি নিজে শুরুতে এমন কিছু দিতাম না যেটা সাম্প্রতিক কিংবা স্পর্শকাতর। পুরনো কিছু দিলে মনে করতাম নিরাপদ আছি। কিন্তু বিশ্বাস করো, পৃথিবী যতই স্বর্ণ দিয়ে ভরে দাও, কিয়ামতের দিন সেই স্বর্ণ দিয়ে নিজের প্রাণ মুক্ত করতে চাইবে, বলবে—”ইয়া আল্লাহ, আমি তাওবা করেছি! এই স্বর্ণটা নাও, এর বদলে মুক্তি দাও!”—কিন্তু সেদিন আর কিছুই কবুল হবে না।
তুমি এখনো সময় পেয়েছো। নিজেকে বাঁচাও! দরকার হলে গাছের ডাল কামড়ে পড়ে থাকো, যেভাবে আমরা সানআতে বলি—”পুরো গাছটাই শুকনো হয়ে যাক, তবু সম্মানের সাথে থাকো!”—কিন্তু পাঁচটা রিয়ালও নিও না তাদের কাছ থেকে! এমনকি তারা বিনা মূল্যে দিলেও নিও না। কারণ, এই টাকাই তোমার দ্বীন হরণ করবে।
আমি তো একসময় এমন ছিলাম যে ভাবতাম, “আমি তো ওদের ঠকাচ্ছি, আমি চালাক, আমি তো কিছু বলি না আসল কথা!” কিন্তু শেষে আমি বুঝলাম—না, আমি ওদের নয়, নিজেকেই ঠকাচ্ছিলাম। কারণ ওরা একটা সংগঠিত দল—ওদের আছে পরিকল্পনা, আছে বাজেট, আছে লক্ষ্য। ধরে নাও, আমি যদি পুরা সময় জুড়ে এক মিলিয়ন দিরহাম পেয়ে থাকি, সেটা ওদের দৃষ্টিতে কিছুই না। ওদের ট্রাম্পরা যে হাজার হাজার বিলিয়ন লুটে নেয়, তার তুলনায় আমার পাওয়া তো এক ফোঁটা পানির মতো!
তবে অর্থ নেওয়ার চেয়েও ভয়াবহ বিষয় হলো—তুমি দ্বীনের গণ্ডি থেকে বের হয়ে গেলে। শুধু এইটুকুই নয়, তুমি শত্রুকে তথ্য দিলে, তাকে সাহায্য করলে, আর ধীরে ধীরে না বুঝেই তাকে ভালোবাসতে শুরু করলে। কারণ, মানুষের মন এমনই—যে উপকার করে, মন তার প্রতি নরম হয়ে পড়ে। তুমি সেই মুনাফিককে ভালোবাসার দরজা খুলে দিলে, আর বললে—”আরে, মানুষটা তো ভালো!” হ্যাঁ, মোহাম্মদ মাওয়াদার মতো লোকদের কথা বলছি, যারা আজও তাদের দ্বীন বিক্রি করে বসে আছে।
কিন্তু আল্লাহ তো কুরআনে স্পষ্টভাবে বলেন:
“তুমি এমন কাউকে পাবে না, যারা আল্লাহ ও পরকালের ওপর ঈমান রাখে, অথচ তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে।” (সূরা মুজাদালাহ ৫৮:২২)
একেবারে চূড়ান্ত, দ্ব্যর্থহীন আয়াত। সেখানে কোনো বিতর্কের জায়গা নেই। কেউ যদি আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে, সে কখনো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের শত্রুর বন্ধু হতে পারে না। তাহলে বলো—এই ‘ভালোবাসা’ কিভাবে সম্ভব?
আসলে মানুষের মন টাকার প্রতি দুর্বল। যে উপকার করে, মন তার দিকে ঝুঁকবেই। তুমি চাইলেও এড়িয়ে যেতে পারবে না। এক সময় তুমি ওদের পক্ষেই কথা বলতে শুরু করবে—যদি সত্যিকারের তাওবা না করো। আর যদি তাওবা করো, তাহলে এমন তাওবা করো যেন সত্যিকারের তাওবা হয়, ফিরে এসো আল্লাহর দিকে, ফিরে এসো আল্লাহর সিংহের মতো সাহসী হয়ে, তাঁর দ্বীন রক্ষায়।
তবে তা করার জন্য, তোমার আমার মতো এতো দুর্বিপাকে পড়ার দরকার নেই। এখনই ফিরে এসো। এখনই আল্লাহকে ভয় করো।
মানুষকে ভাবা উচিত—সে কোথায় যাচ্ছে, তার ভবিষ্যৎ কী, আল্লাহর গজব আর অভিশাপ তো সবার চেয়ে ভয়ানক! মানুষের রাগ, দলের রাগ—এসব তো কিছুই না আল্লাহর রাগের তুলনায়। তুমি এখনো নিরাপদ, এখনো রক্তে জড়াওনি, কারো ক্ষতি করোনি, এখনো কোনো তথ্য দাওনি—এই সম্পর্ক, তোমার আর আল্লাহর মাঝখানের এই পবিত্র বন্ধনটা রক্ষা করো। তুমি এখনো মুসলিম, এখনো নিফাকের গর্তে পড়োনি, দয়া করে এই টাকার লোভে পড়ে নিজের ঈমানকে বিক্রি কোরো না।
“আমি তো পুরনো তথ্য দিচ্ছি”, “আমি তো বিক্রি করিনি!”—এসব নিজেকে ধোঁকা দেওয়ার কথা। আল্লাহর কসম, আমি নিজেও একসময় এভাবেই বলতাম, এবং হয়তো তখন মন থেকে বলতাম। বলতাম, “আমি তো রক্ত নিয়ে কিছু করিনি!” কিন্তু শেষপর্যন্ত কী হলো? আমি পড়ে গেলামই। হয়তো তুমিও পড়ে যাবে—যদি সাবধান না হও।
এই উপদেশ আমি সব মুসলিম ভাইদের উদ্দেশ্যে দিচ্ছি। কারণ কেউ কেউ এসে বলে, “ভাই, শুধু একটা ছবি দাও!” আর তুমি ভাবো—ছবি তো, তেমন কিছু না। কিন্তু একবার ভাবো, তুমি কার ছবি তুলে পাঠাচ্ছো? সে তো একজন মুজাহিদ, যে নিজের জীবন বিসর্জন দিচ্ছে ইসলামের জন্য, মুসলিম উম্মাহর জন্য। আর তুমি? তুমি তো মুসলমান—তাদেরই একজন, যাদের রক্ষায় সে জীবন দিচ্ছে। অথচ তুমি তার ছবি তুলে পাঠিয়ে দিচ্ছো আমিরাতিদের হাতে, কিংবা যেকোনো গোয়েন্দা সংস্থার কাছে, যারা তা চাইছে।
না, ভাই। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহর দিকে ফিরে যাও। আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি—এই উপদেশ আমি কারো চাপে দিচ্ছি না, আমাকে কেউ ভয় দেখায়নি। মনোযোগ দিয়ে শোনো, এই কথা আমি শুধু তোমাদের হেদায়াতের জন্য বলছি। কল্পনা করো, যদি আমার এই কথার কারণে আল্লাহ তোমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে দেন! তাহলে আমার জন্যও কত বড় সৌভাগ্য! কে জানে, এই দুনিয়ায় আমার সময় আর কতটুকু বাকি! আমি তো বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। এখন আর কিছুই বাকি নেই, শুধু আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়া।
আল্লাহর কসম, একদিন—হ্যাঁ, মাত্র একদিন—নিজেকে সময় দাও। নেশা থেকে বিরত থাকো, এক রাত নির্জনে বসো, নিজের অবস্থান নিয়ে চিন্তা করো। নিজের হিসাব নিজেই করো, আল্লাহর সামনে। মনে রেখো—আল্লাহ ‘আল-জাব্বার’, প্রবল পরাক্রান্ত, ‘আল-মুনতাকিম’, ভয়ংকর প্রতিশোধ গ্রহণকারী। তিনি চাইলে এক মুহূর্তেই তোমার প্রাণ কেড়ে নিতে পারেন।
তুমি কত বড় সংগঠনের লোক, তোমার কত শক্তি—এসব কিছুই না। সারা পৃথিবীর শক্তি মিলে যদি তোমাকে রক্ষা করতেও চায়, আল্লাহ চাইলে তুমি ইসলামের বাইরে মরবে। আর সেই মৃত্যুর পরে, কিয়ামতের দিনে আল্লাহ তোমাকে ফিরআউনের সাথে উঠাবেন, কারুনের সাথে গণনা করবেন—আল্লাহর পানাহ!
আমি প্রার্থনা করি—সর্বশক্তিমান, দয়ালু ও পরাক্রমশালী আল্লাহর কাছে—যদি তোমরা তাওবা না করো, তাহলে যেন তোমরা এমন অবস্থায় ধরা পড়ো, যাতে নিজেই আমার মতো অবস্থানে এসে পড়ো, বাধ্য হয়ে তাওবা করো। আমি এটা কোনো বিদ্বেষবশত বলছি না—না, এটা তোমার কল্যাণের জন্য বলছি। কারণ কেউ কেউ জোরে ঠোকা না খেলে সোজা হতে চায় না।
আমি জানি না, এই বার্তাটি তোমার কাছে পৌঁছেছে কি না। তুমি কোথায় আছো, কবরের ধারে কি না—আমার জানার উপায় নেই। কিন্তু এটুকু নিশ্চিত—যদি আল্লাহ কারো জন্য হেদায়াত চান, তিনি তাকে তাঁর প্রিয় বান্দাদের হাতে পৌঁছে দেন। কত অফিসার ধরা পড়েছে, কত বিশ্বাসঘাতক বছরের পর বছর ধরা খেয়েছে! কারণ এই ব্যাপারগুলো রক্ত আর বিশ্বাসঘাতকতার সঙ্গে সম্পর্কিত—এগুলো হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নয়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ন্যায়বিচারক—তিনি কাউকে ছাড় দেবেন না।
এখন, যদি কেউ তোমাকে বলে, “এসো ভাই, তুমি আমাদেরই একজন, তোমাকে কষ্ট দেওয়া হবে না, এমনকি একদিনের জন্যও আটকে রাখা হবে না”—তবে কেন পিছপা হচ্ছো? আল্লাহ বলেন:
“আর তোমরা তোমাদের রবের পক্ষ থেকে ক্ষমা লাভে দৌড়াও।” (সূরা আলে ইমরান ০৩:১৩৩)
সফল সেই ব্যক্তি, যে অন্যের বিপদ দেখে শিক্ষা নেয়।
পরিশেষে বলবো-
আমরা, আরব উপদ্বীপের আল-কায়েদা শাখা, আবারও আহ্বান জানাচ্ছি—যারা এই জঘন্য কাজগুলোতে জড়িয়ে পড়েছে, যারা আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা ও তাদের আঞ্চলিক দোসরদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেছে—তাদের প্রতি আমাদের দাওয়াত এখনো খোলা আছে।
যদি কেউ সত্যিকারের তাওবা করে, আমাদের কর্তৃত্বে আসার আগেই, স্বেচ্ছায় ফিরে আসে এবং তার জানা সবকিছু খুলে বলে—তাহলে তার জন্য রয়েছে নিরাপত্তা, গোপনীয়তা, এবং ক্ষমার দরজা।
*****
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায়
আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
Al Hikmah Media
Al-Qaidah in the Subcontinent



