তলোয়ারের ধার দিয়ে আশ-শাম মুক্ত হবে – শাইখ আবু উবায়দা ইউসুফ আল-আন্নাবী
তলোয়ারের ধার দিয়ে
আশ-শাম মুক্ত হবে
– শাইখ আবু উবায়দা ইউসুফ আল-আন্নাবী
Downland
Archive Link:
https://archive.org/details/AshShamLiberatedBn
Word
https://banglafiles.net/index.php/s/cxNDW8xa8xL2StW
http://www.mediafire.com/file/lcfz7a5ly8eg4cb/23.Ash-Sham_Liberated_Bn.docx/file
PDF
https://banglafiles.net/index.php/s/n6FMSsWXMKNZzpQ
http://www.mediafire.com/file/yyo736fdjlexuxg/23.Ash-Sham_Liberated_Bn.pdf/file
=====================================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
In your dua remember your brothers
=====================================
بسم ﷲ الرحمٰن الرحیم
প্রশংসা আল্লাহর হোক যিনি তাঁর বিচারের মাধ্যমে অত্যাচারীদের শাসনকে উৎখাত করেন, তাঁর শক্তি দিয়ে তিনি শক্তিশালীদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেন এবং দূর্বলদের কাছে তাদের জমি ও ঘরবাড়ি ফিরত দেন। সালাত এবং সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ), তাঁর পরিবার এবং সাহাবীদের প্রতি। অতঃপরঃ
আমাদের পরাক্রমশালী রব বলেছেন,
وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا [٤:٧٥]
আর তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।
সুখ্যাত শাম বিপ্লবের এক বছরের অভিশপ্ত হত্যাযজ্ঞ আজ শেষ হল। ধারাবাহিক শিশু হত্যাকারী এবং গোলানের বিক্রেতা সব ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করেছে যাতে এই নিরস্ত্র মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে সর্বাধিক ভয়ংকর অপরাধ সংগঠিত করা যায় যেমন– নিরপরাধ শরীর ছিন্ন ভিন্ন করা এবং লোকজনদের অপমানিত করা, পেট চিড়ে ফেলা, দেহের অঙ্গ কেটে নেয়া এবং বাড়ি ও মাসজিদ গুড়িয়ে দেয়া। এখন পর্যন্ত নুসাইরী সন্ত্রাসীরা দয়া ও বিরতি ছাড়াই সমগ্র বিশ্বের সামনে ধ্বংসের পর ধ্বংসের অপরাধগুলো পাগলদের মত করে বেড়াচ্ছে।
কিন্তু– প্রশংসা আল্লাহরই প্রাপ্য– আশ–শামের স্বাধীনচেতা মানুষেরা এবং বিজিতদের উত্তরাধিকারীরা প্রথম দিন থেকেই নির্ধারন করে নিয়েছিল যখন তারা উচ্চ স্বরে ঘোষণা দিয়েছিল কোন রূপ দ্বিধাদ্বন্দ ছাড়াই – অপমানের চেয়ে মৃত্যু ভাল – তারা প্রতিদ্বন্ধিতার জবাব দেয় প্রতিদন্ধিতা দিয়ে এবং অত্যাচারের মুখে দাঁড়ায় সংঘর্ষের মাধ্যমে এবং তারা এক অসম যুদ্ধের নৃশংস সেনাদের সামনে সাহসী ছিল। যেই সেনাগুলো বিশ্বাসীদের রক্ষার বিষয়ে নিরব ছিল। খোলা বক্ষ এবং খালি পেটে তারা একাকী দাঁড়ায় কাউকে সাথে নিয়ে নয় শুধু আল্লাহ এবং তাঁর সাহায্যকে সাথে নিয়ে যাদের ঘিরে ছিল অত্যাচারিতের অজস্র দো’আ এবং যারা অটল ছিল ঈমানের আলোয় যা ছিল তাদের অন্তরে দীপ্তমান যা তাদের ইচ্ছাকে মজবুত করে যাচ্ছিল এবং অত্যাচারীর আধার দূর করছিল।
সুতরাং হে আশ–শামের স্বাধীনচেতা মানুষেরা! আল্লাহ তোমাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন, যারা পুরা দুনিয়াকে আত্মত্যাগ এবং সংশোধনের শিক্ষা শিখাচ্ছে এবং আমাদের সামনে সম্মানের কিছু বিস্ময়কর উদাহরন উপস্থাপন করছে। আল্লাহ যেন আপনাদের উত্তম প্রতিদান দেন। আপনারা হলেন তারা যারা তাদের রক্ত দিয়ে আশ–শামের কবিদের পংক্তিতে মহাকাব্য লিখে চলেছেন। শহীদ মুজাহিদ (ইনশাআল্লাহ) মাহমুদ ‘আব্দুর রাহিম বলেন…
আমি আমার হাতে আমার হৃদয় নিয়ে বেড়াই
এবং তা আমি মৃত্যুর উপত্যকায় ছুঁড়ে ফেলি
এটা হতে পারে এমন জীবন যা করতে পারে কোন বন্ধুকে খুশি
অথবা, এমন মৃত্যু যা করে দিতে পারে কোন শত্রুকে রাগী
আদর্শ ব্যক্তিদের অন্তরে থাকে দুই লক্ষ্য
হয় মৃত্যু না হয় এর স্বপ্ন ছুঁয়ে ফেলা
হে সিরিয়ায় আমাদের স্বাধীনচেতা মানুষেরা! আপনাদের দৃঢ়তা এবং সাহসিকতার কারনে এবং এই পবিত্র বিপ্লবের ধারাবাহিকতার ফলে, আমাদের সামনে সত্য প্রকাশিত হয়ে পড়েছে। স্লোগান এখন হাওয়ায় মিলিয়েছে এবং দূর্বলতা প্রকাশিত হয়ে পড়েছে। বাকি থাকা তুঁতের পাতাগুলো ঝরে পড়ছে যাদের দাবি ছিল তারা পৃথিবীর সবচেয়ে সভ্য জাতি– তারা অত্যাচারিত এবং হয়রানির শিকার মানুষদের রক্ষা করছে বলে দাবি করছে। পশ্চিমা জাতিগুলো আপনাদের বিপ্লবের বিরুদ্ধে চুপিসারে সহযোগিতা করে যাচ্ছে কারণ তারা চায় না ইসরাইলের প্রতিরক্ষার প্রথম ব্যূহ ধসে পড়ুক আর চায় না আশ–শামের লোকেরা বর্তমান ফেরাউনের খপ্পর থেকে মুক্ত হয়ে যাক। যদি এরা মুক্ত হতে পারে তবে এই মুসলিম উম্মাহ পরবর্তীতে বায়তুল মাকদিস স্বাধীন করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ টি গ্রহন করবে।
আর যেটাকে বলা হয় আরব লীগ সেটার ব্যাপারে বলছি, ওটা হল পশ্চিমাদের একটা দাবার গুটি ও তাদেরই অপদস্ত অনুসারি যারা এমন মুসলিম যাদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলোতে আমাদেরকে প্রতারনা করার জন্য। তাই আজকে আমরা হতবাক নই যখন দেখছে যে এই আরব লীগ সিরিয়ার বিপ্লবের ক্ষেত্রে যে উপহার দিচ্ছে তা হল এই নুসাইরি স্বৈরাচারিকে হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য অবকাশ দিয়ে যাওয়া এবং ইয়েমেনের স্বৈরাচারীর মত এক সম্মানী সমাপ্তির দিকে ধাবিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়া।
এবং এটা ওটার প্রান্তীয় ব্যবধান থেকে সরে এসে এইসব অসৎ ও পরস্পর সাংঘর্ষিক সরকারগুলো – পশ্চিমা ও আরব – নিশ্চিত করতে চাচ্ছে যে সিরিয়ার বিপ্লব বিজয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে বিচ্ছিন্ন থাক, এদের দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্ন, এদের বিশ্বাস থেকে বিচ্ছিন্ন এবং ইসলামের চূড়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ুক। তারা চায় এই বিষয়গুলো অস্পষ্ট থাকুক যেন এদেরকে (এই বিপ্লবীদেরকে) সহজে উপড়ে ফেলা যায় এবং অবশিষ্ট ও অর্ধ নিষ্পত্তি মেনে নিতে বল প্রয়োগ করা যায়। কিন্তু “তারা পরিকল্পনা করে এবং আল্লাহও পরিকল্পনা করে এবং আল্লাহ হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী”
এ কেমন ভুল! এ কেমন ভুল!! এ কেমন ভুল!!! এই স্বাধীনচেতা লোক গুলোর ব্যাপারে যারা অনেক আগে থেকেই ঘোষনা দিয়ে আসছে, “আমরা শুধু আল্লাহর কাছেই নত হই।” তাদেরকে এই ধরনের রং বেরঙ্গের ছলচাতুরী করে বোকা বানানো বা, ঘুম পাড়ীয়ে রাখা যাবে না।
এ কেমন ভুল! এ কেমন ভুল!! সাহসী সিরিয়ার মুসলিম জনগন যখন থেকে তাদের অস্ত্রশস্ত্র বহন করা শুরু করেছে এবং যুবক বৃদ্ধ সবাই যখন যুদ্ধের ময়দানের দিকে উড়ে যাচ্ছে, এবং দল গঠন করছে এবং এর সেনাবাহিনীকে উপরে তুলে নিচ্ছে তখন থেকেই দাম্ভিক মিথ্যার প্রভাব প্রতিপত্তি শেষ হওয়ার স্রোত শুরু হয়েছে এবং অত্যুৎসাহী সত্য ফিরে আসারও স্রোত শুরু হয়েছে। পুরুষ ও যুবক সবাই জিহাদে আসার আহবানে সাড়া দিচ্ছে তাদের জনগনকে এবং তাদের সম্মানের প্রতিরক্ষার জন্য এবং ঐসব দূর্বলের ডাকে সাড়া দিচ্ছে যাদের ডাক সারা সিরিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে যারা এদের (আসাদ প্রশাসন) বিরুদ্ধে সাহায্যের জন্য আবেদন করে যাচ্ছে এবং যারা স্বাধীনচেতা লোকদের অন্তর চিড়ে ফেলছে।
হে আল্লাহ! শুধু তুমিই আমাদের সাথে আছো, হে আল্লাহ!
তাই আশ–শামের ভূমিতে আমাদের জনগণ এবং প্রিয়জনেরা, আপনারা আল্লাহর সাহায্যে সত্যবাদি আছেন। আপনাদের জন্য শুধু আল্লাহই আছেন এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ছাড়া আপনাদের জন্য কোন উপায় নাই তা এমন জিহাদ যা আপনাদের সন্তানেরা করে যাচ্ছে এবং জারি আছে আপনাদের জনগনের আত্মত্যাগের মাধ্যমে এবং আপনাদের উম্মাহর সমর্থনের ফলে– এক সশস্ত্র জিহাদের শুরু হয়েছে যা জালেমদের ভয় দেখাচ্ছে, দেশের স্বাধীনতা আনছে এবং রাষ্ট্রদ্রোহীরা আপনাদেরকে একা ছেড়ে দেয়ার পর এবং কাল ক্ষেপণকারীরা আপনাদেরকে পরিত্যাগ করার পর আপনাদের সম্মান রক্ষা করে চলেছে। আল্লাহ, পরাক্রমশালী বলেন…
أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا ۚ وَإِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ [٢٢:٣٩]
যুদ্ধে অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে কাফেররা যুদ্ধ করে; কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম।
الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِن دِيَارِهِم بِغَيْرِ حَقٍّ إِلَّا أَن يَقُولُوا رَبُّنَا اللَّهُ ۗ وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُم بِبَعْضٍ لَّهُدِّمَتْ صَوَامِعُ وَبِيَعٌ وَصَلَوَاتٌ وَمَسَاجِدُ يُذْكَرُ فِيهَا اسْمُ اللَّهِ كَثِيرًا ۗ وَلَيَنصُرَنَّ اللَّهُ مَن يَنصُرُهُ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ [٢٢:٤٠]
যাদেরকে তাদের ঘর–বাড়ী থেকে অন্যায়ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে শুধু এই অপরাধে যে, তারা বলে আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ। আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে (খ্রীষ্টানদের) নির্ঝন গির্জা, এবাদত খানা, (ইহুদীদের) উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেত, যেগুলাতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহর সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী শক্তিধর।
সিরিয়ার আপনারা যে ফেরাউনের মুখোমুখি হচ্ছেন সে লিবিয়ার ফেরাউনের মতই রক্তপিয়াসী এবং নরকীয়। সে রাফিদী ফিরকাভুক্ত এবং সুন্নি জনতাকে ঘৃণাপোষনকারী হওয়ায় তার (লিবিয়ার ফেরাউনের) চেয়ে অধম বলে প্রমানিত যা তাকে আপনাদেরকে পুরোপুরি উপড়ে ফেলে দিতে এবং দ্বিধাহীন চিত্তে সরিয়ে দিতে উৎসাহী করে তুলেছে ।
সুতরাং তাকে সাথে নিয়ে কোন উপায় করা যাবে না বরং সমাধান হল তাই যা লিবিয়ায় আপনাদের ভাইয়েরা গ্রহন করেছেন এবং আমরা আল্লাহর কাছে দো’আ করছি তিনি যেন এই ফেরাউনের শেষ পরিনতি তার লিবিয়ার ভাইয়ের মত যেন হয়।
যদি কেউ আপনাদেরকে জিহাদ পরিত্যাগ করার এবং অস্ত্র নামিয়ে ফেলার পরামর্শ দেয় তাহলে বুঝতে হবে সে আপনাদেরকে বোকা বানাচ্ছে এবং যে আপনাদের ইয়েমেনীদেরকে রাস্তায় বের হওয়ার পরামর্শ দেয় যে রাস্তায় শহীদের রক্ত বিক্রি করে কুৎসিত অপরাধি প্রশাসনের চেহারায় কসমেটিক্স সার্জারী করে ঠিক করা হয়েছে– তা হবে আপনাদের বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্র মাত্র।
অস্ত্র উঠিয়ে নেয়া এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা ছাড়া এখন আর কোন উপায় নাই। সুতরাং আল্লাহর সাহায্যে এগিয়ে যান এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে বিজয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকুন। অবিচার দমন, সুবিচার প্রতিষ্ঠা এবং শরীয়াহ ও ইসলামকে এই দেশের সীমানার মধ্যে প্রভাব বিস্তারকারী হিসাবে প্রতিয়মান করার মাধ্যমে আশ–শামের ভূমিকে মুক্ত করাই আপনাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
সিরিয়ায় থাকা আমাদের জনগণ ও প্রিয়ভাজনেরা, ইসলামিক মাগরিবে থাকা আপনাদের মুসলিম ভাইয়েরা তাদের অন্তর ও দো’আর মাধ্যমে এবং তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে আপনাদের সাথে আছেন। শুধু আল্লাহই ভাল জানেন যে যদি আমরা পারতাম তবে পাখির পিঠে চড়ে এসে বাধ্য সেনা দলের মতই আমরা আপনাদের পাশে থেকে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করতে চাইতাম। আমরা যদি পারতাম তবে আমরা আমাদের অস্ত্র শস্ত্র এবং অর্থ আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতাম এবং আপনাদের চাহিদা মোতাবেক দুনিয়াবি যত সাহায্য সহযোগিতা দরকার তা করতে সচেষ্ট হতাম। এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই এবং সে তার প্রতি অবিচার করতে পারে না এবং তাকে সে পরিত্যাগও করতে পারে না। কিন্তু আপনাদের এবং আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে জাওনিস্ট আরব যার প্রধান হচ্ছে আলজেরিয়ার প্রশাসন যারা আলজেরিয়ার বাথ প্রশাসন কে রক্ষা করে চলেছে। তারা যে শুধুই আপনাদের কাছে পৌঁছে সাহায্য করতে নিষেধ করছে তাই নয় বরং তারা ঐসব মুসলিম যুবকদেরকেও বন্দি করছে যারা আপনাদের বিষয়গুলোতে সাহায্যের জন্য শান্তিপূর্ণ ভাবে হেঁটে যেতে চেয়েছিল। এটা আশ্চর্য্যের বিষয় নয় যখন এদের কাজ নুসাইরি প্রশাসন থেকে অপরাধের দিক থেকে ছাড়িয়ে গেছে এবং যাদের হাত আলজেরিয়ার হাজারো মুসলিম জনতার ছেলেদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে আছে।
হায় আফসোস! যারা মন্দ কাজ করে যাচ্ছে তাদের জন্য, যাদের কিছু সংখ্যক অন্যদের সাহায্য কারী এবং আল্লাহ হলেন তাদের সাহায্যকারি যারা খারাপকে সরিয়ে দেয়।
সুতরাং, সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা মুসলিমেরা, সিরিয়ার জনতাকে সাহায্য করুন। আল্লাহ, আল্লাহ আপনাদের বঞ্চিত আশ–শামের সাহায্যকারী হবেন। ইসলামী জনতা, সমর্থন দিন, ইসলামী জনতার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। জিহাদের ময়দান এবং যুদ্ধক্ষেত্র গুলোতে আঁকড়ে থাকুন, আঁকড়ে থাকুন।
এবং আলেম ও দাঈ ভাইয়েরা, সেনাদলের প্রধান হোন এবং দায়িত্ব গ্রহন করুন। জিহাদ এবং শহীদ হওয়ার ব্যাপারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করুন এবং এগিয়ে নিয়ে যান এবং আপনাদের উম্মাহকে পিছনে ফেলে রাখবেন না এবং আপনার দ্বীনের সাহায্যে কালক্ষেপন করবেন না। জেনে রাখুন, জালেমদেরকে ভয় করার যুগ শেষ হয়েছে, ইনশাআল্লাহ। এটা আপনাদের অর্জন করা জ্ঞানের উপর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং রাসুল (সাঃ) কর্তৃক দেখানো রাস্তার অনুসরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন ময়দান এবং যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতেন।
আশ–শামে যারা আছেন এবং যুদ্ধ করছেন সেসব প্রিয়ভাজনেরা এবং ভাইয়েরা, আপনারা হতাশ হবেন না এবং হত্যদম হবেন না যদি আপনারা সত্যিকার মু’মিন হন তবে অবশ্যই বিজয়ী হবেন। সাফল্য এবং বিজয়ের নিশ্চয়তা গ্রহন করুন। অত্যাচারীরা এখন কেঁপে ওঠেছে এবং ফাঁদে পড়েছে এবং তাদের দূর্গের দেয়ালগুলো এখন ভেঙ্গে পড়ছে। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হোন। আল্লাহর পথে জিহাদে অংশ নিন এবং বিজয়ের ব্যাপারে দৃঢ় থাকুন। প্রতি আঘাতেই হত্যাকারী এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন। আশ–শাম এবং আইয়ুবীর এর মত করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকুন যেন তাদের পঙ্কিলতা থেকে দামেস্ক পরিচ্ছন্ন হয়ে ওঠে এবং সত্যকে তার সঠিক স্থানে জায়গা করে দিন। পরে আপনাদের ঘোড়া গুলোতে স্যাডল চাপিয়ে রাইফেলগুলোর নিশানা বাতাসে রেখেই বায়তুল মাকদিসের দিকে রাওয়ানা দিন।
সতর্ক হোন, আমার প্রিয় ভাইয়েরা, ধৈর্য্যই বিজয় আনতে পারে এবং তরবারীর ছায়া তলে রয়েছে জান্নাত এবং স্বাধীনতা। একটা মূল্য থাকে যা সবাইকে চুকাতে হয়। একটা দরজা গুড়গুড় করে দিয়েছে রক্ত স্নাৎ হাতের মাধ্যমে। আপনাদের থাবা দিয়ে তাদেরকে ধরে রাখুন যারা মুক্ত আছেন এবং আশ–শামের ঐ মুজাহিদ কবির পংক্তিগুলোর মাধ্যমে উজ্জীবিত হোন…
মৃত্যুকে দেখে দূর পানে
কিন্তু ছুটে চলি তার পানে
তরবারির ঝনঝনানি আমার কানে বাজে
রক্তের ধারায় আমার অন্তর মেতে ওঠে
বিদ্বেষে পূর্ণ হয়ে আমি কিভাবে ধৈর্য ধরি
আর এই সব ব্যাথায় আমি কিভাবে ধৈর্য্য ধরি
এটা কি ভয়ের জন্যে হয় যখন জীবনের কোন মূল্য আমার কাছে নেই
অহবা, অবজ্ঞা যখন আমি ঘৃণায় পূর্ণ
আমার অন্তর ছুঁড়ে দেই শত্রুর মুখে
এবং আমার অন্তর লৌহ কঠিন ও আগুন
আমার তরবারির ধার দিয়ে এই ভূমি কে আমি রক্ষা করব
যেন আমার জনগন জেনে নিতে পারে আমিই হলাম ঐ ব্যক্তি
হে আল্লাহ! সিরিয়ায় আমাদের ভাইদেরকে হেদায়াত দেখান যার মাধ্যমে আপনার দল হবে সম্মানী এবং আপনার শত্রুরা হবে অপদস্ত।
হে আল্লাহ! তাদের শক্তিশালী করুন, তাদের অত্যাচারীকে হত্যা করুন এবং আপনার সাহায্য দিয়ে তাদেরকে সহায়তা করুন এবং তাদের জন্য এক তড়িৎ বিজয়ের সুযোগ করে দিন।
আমাদের সর্বশেষ দোয়া হল সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর প্রাপ্য যিনি সারা জাহানের রব।
পরিবেশনায়
আল–ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া ফাউন্ডেশন
গ্লোবাল ইসলামিক মিডিয়া ফ্রন্টের একটি শাখা
মুজাহিদীনদের খবর প্রচার করছে এবং বিশ্বাসীদের অনুপ্রানিত করছে