গুজরাটের কসাইর বাংলাদেশ সফর || আমাদের কী বার্তা দেয় ? || Ummah News

গুজরাটের কসাইর
বাংলাদেশ সফর আমাদের কী বার্তা দেয়?
শাইখ তামিম আল আদনানী
শেখ মুজিবের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৬শে মার্চ বাংলাদেশে ২ দিনের সফরে আসছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদী। নরেন্দ্র মোদী উপমহাদেশের এক আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মূল খলনায়ক। উপমহাদেশে দাজ্জালী এজেন্ডার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী। দাজ্জালকে স্বাগত জানাতে মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদিরা প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে গ্রেটার ইজরাইল। আর উপমহাদেশের মুশরিকরা প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে গ্রেটার ইন্ডিয়া তথা বৃহত্তর রাম রাজত্ব। আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহের দিকে একটু সতর্ক দৃষ্টি দিলে আপনি বুঝতে পারবেন, উপমহাদেশে নরেন্দ্র মোদীকে ঘিরে দানা বেধে উঠছে মুসলিম বিধ্বংসী এক শক্তিশালী চক্রান্ত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশ নামক এই মুসলিম ভূখন্ডটিও এই ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। বাংলাদেশের তাগুত আওয়ামী সরকার এদেশে এ ষড়যন্ত্রেরই বাস্তবায়ন করছে। নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর এই ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। তারা কৌশলে বাংলাদেশকে বৃহত্তর রাম-রাজত্বের একটি অংশ বানাতে চায়। এই সেই নরেন্দ্র মোদী যে ২০০২ সালে গুজরাটের মুসলিমদের উপর ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা চালিয়েছিল। এই হিংস্র নরপশুরা মায়ের পেট থেকে শিশুদের বের করে হত্যা করেছিল। অসংখ্য মা-বোনকে ধর্ষন করেছিল। এককালের গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী কসাই মোদী এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল বিজেপি, পুরো ভারতজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদের আগুন। ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে আজ নির্মাণ করা হচ্ছে রাম মন্দির। Citizenship Amendment Act (CAA) ভারতের মুসলিমদেরকে উদ্বাস্তু করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। গোরক্ষার নামে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে মুসলিমদেরকে। ২০১৯ সালের দিল্লি গণহত্যার কথা মনে আছে নিশ্চয়। বাংলাদেশ নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে, তাগুত আওয়ামী সরকারকে কাজে লাগিয়ে তারা এই নীল নকশা বাস্তবায়নে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের সরকার ও প্রশাসন দুটোই এখন ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। যে ভারত ফারাক্কা ও তিস্তা বাধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মরুভূমি করার চক্রান্ত করছে, সিমান্তে বাঙ্গালী মুসলিমদের প্রতিদিন পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে, সেই ভারতের বাংলাদেশের এমপি, মন্ত্রীদের বক্তব্য দেখলে অবাক হতে হয়। কসাই মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলার মানুষ, তারা এই নরখাদক জালিমকে বাংলার মাটিতে পা রাখার অনুমতি দিতে পারে না। কিন্তু ভারতের পা-চাটা মন্ত্রীদের মন্তব্য দেখুন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.কে. আব্দুল মোমেন বলেছে, ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্ট প্রতিবেশি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র, তার নেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে আসছেন, এটাই তো আনন্দের বিষয়। উৎসবের বিষয়। নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু ভারতের গোলাম প্রশাসনের বক্তব্য দেখুন, ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম বলেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আগমনকে সামনে রেখে যারা মোদীবিরোধী মিছিল-মিটিং করছে কিংবা করবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ শক্তভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রিয় দেশবাসী! আশা করি আপনারা এখন বুঝতে পেরেছেন। তাগুত আওয়ামী সরকারের মাধ্যমে কসাই মোদী কিভাবে বাংলাদেশে তার হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। কিভাবে বাংলাদেশকে গ্রেটার ইন্ডিয়া তথা অখন্ড ভারত বানানোর প্রজেক্ট বানিয়ে নিয়েছে। সময় অনেক গড়িয়ে গেছে। এদেশে ইসলাম ও মুসলিমদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। মুসলিমদেরকে সব ধরনের হিন্দুত্ব এজেন্ডার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এখন থেকেই দাওয়াহ, ইদাদ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন! ইয়া রব্বাল আলামিন।।